23/08/2025
যে ইষ্টকর্ম করতে যাচ্ছে তাকে সাহায্য না করে যদি বাধার সৃষ্টি করি তা হলে আমি ইষ্টপ্রতিষ্ঠা চাই না, আত্মপ্রতিষ্ঠা চাই।
সমগ্র শক্তি দিয়ে, সমগ্র চেতনা দিয়ে তাঁর সেবা করি। ফাঁকি দিই না। ফাঁকি দিয়ে তাঁকে পাওয়া যা@@@@@@@@@@@@ # # # # #য় না। তাঁকে সম্পূর্ণ দেন,সব পাবেন। হাজার সাধনা করেন, হাজার নামধ্যান করেন তাঁকে পাবেন না। সমস্ত মন দিয়ে, সমগ্র চেতনা দিয়ে তাঁকে অনুভব করতে হবে। "ঠাকুর কি তোর এতই বেকুব/ফাঁকি দেখেও নয় সামাল?"
সবাই একসাথে ইষ্টকর্ম করেন। সবাইকে একসাথে নিয়ে চলেন। দীক্ষা বাড়ছে। আমরা অসম্ভবকে সম্ভব করতে যাচ্ছি। কে বলবে যে আগামী দুই-আড়াই বছরের মধ্যে বছরে ৫০/৬০ লক্ষ দীক্ষা হবে না? প্রত্যেক বছর দীক্ষা বাড়ছে। আমরা অনেক কাজ করছি। করেই যাচ্ছি। সবসময় আনন্দে থাকি। যে যত ঠাকুর নিয়ে থাকে সে তত আনন্দে থাকে। সবাই সুখে থাকেন, আনন্দে থাকেন। তাঁর কাজ করতে থাকেন। -অবিরাম-অবিশ্রান্ত নদীর মতন। চলেই দেখেন কী হয়? তিনি দয়াল। তিনি আমাদের দয়া করেন। সমস্ত অপদার্থতা, অযোগ্যতা তিনি ক্ষমা করেন।
আনন্দমুখর হই যখন আমরা বৃহৎ হই। কল্যাণের অধিকারী যখন হই তখন তিনি আনন্দ পান। আমাদের আনন্দে তাঁর আনন্দ। কখনো দুঃখের প্রশ্রয় দেবেন না। দুঃখ তো আসতেই পারে। দুঃখের দিনে তাঁকে আরো বেশী করে মনে পড়ে। এক দাদা বললেন, পায়ের ব্যথায় কষ্ট পাচ্ছি। বললাম, ব্যথা খুব ভাল। ব্যথা না থাকলে ঠাকুরকে ভুলে যায়। ব্যথায় তাঁকে মনে হয়। মনে হয় তিনি ছাড়া পথ নাই। তাঁকে নিয়ে চলি। ব্যথা,বেদনা,দুঃখ সব পরীক্ষা। যা করার করে যেতে হয়। নিষ্ঠার সঙ্গে করার মধ্য দিয়ে সিদ্ধিলাভ হয়। অন্য পথ নাই।
--- পরমপূজ্যপাদ শ্রীশ্রীদাদা
(আলোচনা,মাঘ ১৪২২)