03/01/2024
জীবনে যেকোনো বিষয়ে progress(উন্নতি) করতে হলে, যেই বিষয়টা মাথায় রাখতে হবে সেটা হল clum(শান্ত) থাকা, সেই progress হতে পারে financially, সোশালি যা-ই হোকনা কেন।
কারণ আমাদের ব্রেইন শান্ত অবস্থায় যতটাই active and ফাস্ট কাজ করতে পারে, অস্থিরত বা দুশ্চিন্তাগত অবস্থায় ততটা ফাস্ট কাজ করতে পারে না। আর যে তার ব্রেনকে যত একটিভ এবং প্রপারলি কাজ করাতে পারে সে-ই তো সাকসেস এবং উন্নত।
~আর শান্ত থাকার একটা উপায় হল শুকরিয়া বা কৃতজ্ঞতা আদায় করা। আপনি যেই পরিস্থিতিতেই থাকেন না কেন সেটাকে পজিটিভলি নিয়ে সেটার জন্য শুকরিয়া আদায় করুন দেখবেন আপনি অটোমেটিক্যালি শান্ত থাকতে পারতেছেন এবং আপনার progress এর জন্য আপনি কাজ করতে পারতেছেন। এজন্য আল্লাহপাক কোরআনে উল্লেখ করেছেন, ‘যে কৃতজ্ঞ হয়, সে তো কেবল স্বীয় কল্যাণের জন্যই কৃতজ্ঞ হয়। আর সে অকৃতজ্ঞ হলে তো আল্লাহ্ অভাবমুক্ত প্রশংসিত।’ (সুরা লোকমান ১২)
সূরা ইব্রাহীম এর ৭ নম্বর আয়াতে আল্লাহ সুবহানুতাআলা আরও বলেছেন যে, যদি তোমরা শুকরিয়া আদায় করো তবে আমি তোমাদেরকে আরো বাড়িয়ে দেব।
তার মানে আমরা কি বুঝলাম শুকরিয়া আদায় করলে শান্ত থাকা যায় আর শান্ত থাকার মানে হল কোন কিছু প্রপারলি একসেপ্ট করার যোগ্যতা অর্জন করা।
(আল্লাহ সুবহানাতায়ালা আমাদেরকে শান্ত থাকার এবং সব পরিস্থিতিতে তার শুকরিয়া আদায় করার তৌফিক দান করুন আমিন। )😊
~
✍️ আতিকুল ইসলাম।
"কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করায় রয়েছে প্রত্যেক মানুষের শারীরিক, মানসিক অনেক উপকার। টাইম ম্যাগাজিনের একটি নিবন্ধে উল্লেখ করা হয়েছে, ২০০৩ সালে ২ হাজার ৬১৬ জন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের ওপর গবেষণা করে দেখা গেছে : যারা অপেক্ষাকৃত বেশি কৃতজ্ঞ, তাদের মধ্যে মানসিক অবসাদ, দুশ্চিন্তা, অমূলক ভয়ভীতি, অতিরিক্ত খাবার অভ্যাস এবং মদ, সিগারেট ও ড্রাগের প্রতি আসক্তির ঝুঁকি অনেক কম। ওই নিবন্ধে আরেকটি গবেষণার কথা বলা হয়েছে। ওই গবেষণার ফলাফল ছিল, ‘মানুষকে নিয়মিত আরো বেশি কৃতজ্ঞ হতে অনুপ্রাণিত করলে, মানুষের নিজের সম্পর্কে যে হীনম্মন্যতা আছে, নিজেকে ঘৃণা করা, নিজেকে সবসময় অসুন্দর, দুর্বল, উপেক্ষিত মনে করা ইত্যাদি নানা ধরনের সমস্যা ৭৬ ভাগ পর্যন্ত দূর করা যায়।’ এক্ষেত্রে চিকিৎসাবিজ্ঞানের মতামত হলো, ‘কৃতজ্ঞতার মনোভাব লোকদের আরো ইতিবাচক হতে, উত্তম অভিজ্ঞতা থেকে আনন্দ লাভ করতে, স্বাস্থ্যকে আরো উন্নত করতে, দুর্দশার সঙ্গে মোকাবিলা করতে এবং দৃঢ়বন্ধন গড়ে তুলতে সাহায্য করে।"
"কৃতজ্ঞতা প্রকাশে প্রতিটি মানুষের শারীরিক ও মানসিক উপকার নিহিত রয়েছে বলেই কোরআনে আল্লাহ কৃতজ্ঞতা প্রকাশের জন্য অত্যধিক গুরুত্বারোপ করেছেন। তিনি আমাদের দৈনিক নামাজের মাধ্যমে কৃতজ্ঞতা প্রকাশের সুযোগ করে দিয়েছেন। আমরা সর্বদা নামাজে দাঁড়িয়ে বলি, ‘আলহামদু লিল্লাহি রাব্বিল আলামিন’- সব প্রশংসা এবং ধন্যবাদ আল্লাহর, যিনি সৃষ্টিজগতের প্রভু। প্রত্যেক প্রাপ্তবয়স্ক মুসলমানের জন্য অবশ্যই দৈনিক পাঁচবার নামাজ আদায় করতে হয়। পাঁচ ওয়াক্ত নামাজে ১৭ রাকাত হলো ফরজ, সঙ্গে সুন্নত নফল তো আছেই। প্রতি রাকাতে আমাদের সুরাতুল ফাতেহা অবশ্যই পড়তে হয়। তার মানে হচ্ছে, আমরা নামাজের প্রতিটি রাকাতে দাঁড়িয়ে প্রথমেই বাধ্যতামূলকভাবে মহান প্রভুর প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করি। এভাবেই আল্লাহ আমাদের বেশি বেশি কৃতজ্ঞতা প্রকাশের সুযোগ করে দিয়েছেন। আলহামদুলিল্লাহ।"
"__" =collected.