20/07/2025
একজন মানুষ, যিনি ব্যাট বা বল হাতে নয়, বরং শব্দের ধারালো শটে জয় করেছেন কোটি ক্রিকেটপ্রেমীর হৃদয়—তিনি হার্শা ভোগলে। এক সময়ের একাডেমিক মেধাবী ছাত্র, হায়দরাবাদের আইআইএম-গ্র্যাজুয়েট এই যুবক স্বপ্ন দেখতেন মাইক্রোফোন হাতে ক্রিকেট মাঠে গল্প বলার। খেলেননি ভারতের হয়ে, তবুও তিনি ক্রিকেটজগতের সবচেয়ে আপন নামগুলোর একটিতে পরিণত হয়েছেন।
১৯৯১ সালে অস্ট্রেলিয়া সফরে ভারতীয় দলের সঙ্গে বিদেশ সফরের অনুমতি পাওয়া প্রথম নন-ক্রিকেটার হিসেবে তার পথচলা শুরু। সেখান থেকেই শুরু হয় এক অনন্য যাত্রা—যেখানে ভাষা হয়ে ওঠে খেলার আরেকটি ব্যাটন, আর তিনি হয়ে উঠলেন তার মাস্টার। হার্শার কণ্ঠে থাকে গল্প, পরিসংখ্যানে থাকে আবেগ, আর প্রতিটি বাক্যে থাকে ব্যাখ্যার এক রাজকীয় ছোঁয়া।
তাকে বলা হয় “দ্যা ভয়েস অফ ইন্ডিয়ান ক্রিকেট”। কারণ, তার কণ্ঠে যখন শোনা যায় “হোয়াট অ্যা শট!”, তখন তাতে মিশে থাকে দর্শকের না বলা অনুভূতির প্রতিচ্ছবি। তার চোখ ক্রিকেটে শুধু স্কোর দেখেনি, তিনি দেখেছেন প্রেক্ষাপট, মনস্তত্ত্ব আর কৌশলের নাট্যমঞ্চ। শচীন থেকে কোহলি—সব প্রজন্মকেই বিশ্লেষণ করেছেন নিপুণ ভঙ্গিমায়।
অনেক আন্তর্জাতিক ধারাভাষ্যকারের ভিড়ে হার্শা ছিলেন বরাবরই আলাদা। তিনি কখনো খেলোয়াড়কে ছোট করেননি, আবার সত্য কথাও বলতে ছাড়েননি। তাঁর গল্প বলার ধরন, তাত্ত্বিক বিশ্লেষণ ও ভাষার সৌন্দর্য তাঁকে বানিয়ে দিয়েছে ক্রিকেটবিশ্বের এক কালজয়ী চরিত্রে।
হার্শা ভোগলে প্রমাণ করেছেন, ক্রিকেট বোঝার জন্য মাঠে খেলার দরকার নেই—ভালোবাসাই যথেষ্ট।
ভারতীয় কিংবদন্তি ধারাভাষ্যকার ও ক্রিকেট বিশ্লেষক হার্শা ভোগলে কে জন্মদিনের শুভেচ্ছা! 🎂