Amar Barta

Amar Barta "অমর বার্তা" সত্য উদ্ঘাটনে সদা সর্বদা ?

04/12/2025

নেশা সামগ্রী পাচার করতে গিয়ে পুলিশের হাতে ধরা পড়লেন এক গৃহবধূ। ঘটনা তেলিয়ামুড়া এলাকায়, আটকৃত নেশা সামগ্রী আনুমানিক বাজার মূল্য ৭ লক্ষ টাকা।
news district district district m***a

02/12/2025

আকাশ ঝড়-তুফানমুক্ত থাকলেও আচমকা একটি গাছ ভেঙে পড়ে থাকছড়া নাকা পয়েন্টে অমরপুর-উদয়পুর মূল সড়কে কিছুক্ষণের জন্য যানচলাচল স্তব্ধ! ঘটনার সঙ্গে সঙ্গে পুরো অমরপুর শহরে বিদ্যুৎ সরবরাহ ঘণ্টাখানেকের জন্য বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। দুই দিকে প্রচুর যানবাহন আটকে যায়, কিন্তু সৌভাগ্যের বিষয়, কেউ আহত হয়নি। ঘটনাটি ঘটেছে আজ সন্ধ্যা ৭:৩০ নাগাদ, যখন হঠাৎ গাছটি ভেঙে রাস্তা আটকে দেয় এবং বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে যায়। অমরপুর বিদ্যুৎ দপ্তরের কর্মীরা তাড়াতাড়ি এসে গাছ কেটে রাস্তা পরিষ্কার করে, যাতে যানচলাচল স্বাভাবিক হয়। তবে, স্থানীয়রা অভিযোগ করছেন যে, বিদ্যুতের ঝুলন্ত তারগুলো এখনও ঝুলে আছে। বড় গাড়ি চলাচলে যেকোনো মুহূর্তে বিপদ ঘটতে পারে। "এটা ঠিক করা দরকার, না হলে দুর্ঘটনা হবে," বলছেন এক বাসিন্দা। কর্তৃপক্ষের দ্রুত ব্যবস্থা চাইছে সবাই।

news district district district m***a

হিটলার বলেছিলেন, মানুষকে এতটাই বিপদের মধ্যে রাখো যে বেঁচে থাকাটাই তার কাছে উন্নয়ন বলে মালুম হয়! দুনিয়াজুড়ে শাসকের একটাই ...
02/12/2025

হিটলার বলেছিলেন, মানুষকে এতটাই বিপদের মধ্যে রাখো যে বেঁচে থাকাটাই তার কাছে উন্নয়ন বলে মালুম হয়! দুনিয়াজুড়ে শাসকের একটাই বক্তব্য ! বিনা পয়সায় যখন চাল দিচ্ছি, তখন প্রাণের উপরও আমার ষোলোআনা অধিকার। ব্যাপারটা এমন, আহার দিয়েছেন যখন মুণ্ডুর উপরও তাঁরই দখলদারি! শুধু ভোটাররা নন, বেচারা বিএলওরাও এই জাঁতাকলে পড়ে এখন কুল রাখেন না শ্যাম! কাজে ফাঁকি দিলেই চাকরি থেকে সাসপেন্ড। আবার রাতবিরেতের নানা আবদার অজুহাতের নিশিডাকা ফোনে তাঁদের রক্তচাপ, বুকের কোণে দমকা ব্যথা চাগাড় দেওয়া খুব অসম্ভব নয়। বহুদলীয় গণতন্ত্রের ফসকা গেরোয় কেউ হাসপাতালে, কেউ অন্তিম শয্যায়। যে যায়, সে যায়। স্বজনহারা পরিবারের খোঁজ কে রাখে? সবাই ছুটছে ক্ষমতা দখলের নেশায় মত্ত হয়ে। নিরীহ বিএলওদের প্রাণ যাচ্ছে। এ জগতে সাধারণেরই শুধু কোনও রক্ষাকবচ নেই, তাঁরা যুগে যুগে বিপন্ন। এর মধ্যেও যদি আপনার শ্বাস চলে, সেটাই তো কেন্দ্রের উন্নয়ন। মোদিজি মেহেরবান! এমপি এমএলএদের সুযোগ সুবিধা বৃদ্ধির বিল পাশ হয় চোখের পলক পড়ারও আগে! যে কোনও নির্বাচিত সরকারের একটাই লক্ষ্য, নানা অজুহাতে মানুষকে জীবন সংগ্রামে ব্যস্ত রেখে বেকারত্ব, দুর্নীতি, মূল্যবৃদ্ধি এবং নোট বাতিলের নামে প্রতিশ্রুতিভঙ্গের আখ্যানের উপর পর্দা টেনে ধরা। মন্দির মসজিদ নিয়ে হানাহানি, মানুষে মানুষে বিভাজন, শিক্ষা, স্বাস্থ্য সহ আরও দু’শো কুনাট্য থেকে দৃষ্টিটা ঘুরিয়ে ভোটার তালিকায় শুধু নামটা বাঁচিয়ে রাখার আড়ালে যে নাটকটা মঞ্চস্থ হচ্ছে তারসঙ্গে রুটিরুজির যোগ নেই, নেই জীবনধারণের কোনও সমস্যা সমাধানের চেষ্টাও। এই গোটা প্রক্রিয়াটাই তাই অবাধ্য জনগণকে সবক শেখানোর আয়োজন না তো! নামটা বাদ গেলেই আপনি অনুপ্রবেশকারী। দলবদলু নেতা থেকে দেশের মহামান্য স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর খাতায় স্রেফ ঘুসপেটিয়া! পরিণতি? যোগীজি উত্তরপ্রদেশে ডিটেনশন ক্যাম্প রেডি করতে বলেছেন। অযোধ্যার মন্দিরের মাথায় গেরুয়া পতাকা শোভা পাচ্ছে। হিন্দুরাষ্ট্রের অভিযাত্রা শুরু হয়ে গিয়েছে। যোগীজির আর তর সইছে না। এনকাউন্টারেও যাদের এখনও খতম করা যায়নি, তাদের চালান করো ক্যাম্পে। উত্তরপ্রদেশে পরের বিধানসভা ভোট ২০২৭ সালে। বিরোধী নিকেশের তাই এত বিরাট আয়োজন। পিছিয়ে নেই গুজরাত ও মধ্যপ্রদেশও, সেখানে নির্বাচন আগামী ২০২৮ সালে। সবমিলিয়ে ভোটের আগেই একটা চাপা আতঙ্ক চেপে বসেছে নির্বাচকদের মনে। জেলায় জেলায় ফর্ম জমা ও তা বিএলওরা ঠিকমতো আপলোড করছেন কি না, তা নিয়ে ব্যস্ততা তুঙ্গে। কোনও তথ্য বাদ গেল, ম্যাপিংয়ে ত্রুটি থাকলে সব ব্যাটাকে ছেড়ে দিয়ে বিএলও ব্যাটাকে ধর! বর্তমানে যখন সাইবার অপরাধ নিয়ে খোদ পুলিশই হিমশিম খাচ্ছে, তখন অন্য পেশার ৮১ হাজার বিএলও’র মোবাইল নম্বর গোটা পৃথিবীর সামনে প্রকাশ করে দেওয়ার অর্থ কী? কারও অনুমতি ছাড়া এই কাজ করা যায়? ওই ফোনের সংযোগ তো নির্বাচন কমিশন দেয়নি। তার রিচার্জও কমিশনের খরচে হয়নি। তাহলে এই তামাশা কেন? ইতিমধ্যেই বহু মহিলা বিএলওকে ফোনে হুমকি, ভয় দেখানো শুরু হয়ে গিয়েছে। বিএলও পিছু কেন্দ্রীয় বাহিনীর দু’জন করে জওয়ান দেওয়ার দাবি কি খুব অন্যায্য? যদি গেরুয়া শিবিরে যোগ দিলেই কোনও সরকারি পদ ছাড়া নিরাপত্তার বহর বেড়ে যায়, ওয়াই-জেড নিয়ে টানাপোড়েন শুরু হয়ে যায়, তাহলে বিএলওরা কী দোষ করল? আসলে কোনও রকম পরিকল্পনা না করেই গোটা কাজটায় হাত দেওয়া হয়েছে। তার ফলই ভুগতে হচ্ছে নিরীহ বিএলওদের। তাঁরা কেউ কমিশনের কর্মী নন। কেউ শিক্ষকতা করেন, কেউ আবার অন্য কাজ। গালভরা নির্বাচন কমিশনার কোথায়, তাঁর ফোন নম্বর তো কোথাও দেওয়া নেই! বাংলা সহ দেশের ১২ রাজ্যে এই বিএলওরাই কমিশনের মুখ। তাই আপাতত জ্ঞানেশ কুমারও নন, রাজ্যের সিইও নন, এই বিএলওদেরই পোয়াতে হচ্ছে ঝড়ঝাপটা। অথচ পুরোনো তালিকা মেনেই চব্বিশ সালে একের পর এক রাজ্যে জিতে তৃতীয়বার প্রধানমন্ত্রীর চেয়ারে বসেছেন নরেন্দ্র মোদি। পুরো ভোটার তালিকাটাই যদি ভুলে ভরা, তাহলে চব্বিশে মোদিজির ঐতিহাসিক জিতে আসাটাও কি সম্পূর্ণ বেআইনি ছিল?আরএসএসের অনুশাসন ভেঙে ৭৫ বছর পেরিয়েও তাঁর ক্ষমতায় থাকার এই যাত্রায় যে দু’টি লক্ষ্য পূরণ হতে বাকি, তারমধ্যে হিন্দুরাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার সঙ্গে অন্যতম অবশ্যই বঙ্গবিজয়। সর্বভারতীয় পরিসংখ্যান অনুযায়ী দেখা যাচ্ছে, কাজের চাপে-আতঙ্কে অসুস্থ হয়ে বিএলও মৃত্যুর সংখ্যা সর্বোচ্চ কিন্তু ডাবল ইঞ্জিন রাজ্যেই। সর্বশেষ হিসেব অনুযায়ী এই তালিকায় শীর্ষে মধ্যপ্রদেশ। তারপর যোগীরাজ্য উত্তরপ্রদেশ এবং মোদিরাজ্য গুজরাত। কিন্তু ডাবল ইঞ্জিন রাজ্যে ভোট শিয়রে নয়। সেখানে রাজনৈতিক দলগুলি এক বছর সময় পাবে গুছিয়ে নিতে। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গের তৃণমূল সেই সময়টুকু পাবে না। পশ্চিমবঙ্গকে দখল করার শেষ চেষ্টা, বাংলায় বিজেপি সরকার নেই বলে, কেন্দ্রের টাকা বন্ধ, একশো দিনের কাজ তিন বছর প্রায় স্থগিত রাখার পর সুপ্রিম কোর্টের গুঁতোয় মন্ত্রী ফাইলে সই করেছেন বলে খবর। বাস্তবে কবে আবার টাকা প্রান্তিক মানুষের কাছে পৌঁছবে কেউ জানে না! সব দিক দিয়ে বাংলায় একটা সামাজিক অশান্তি এবং বিভ্রান্তি তৈরি করার আপ্রাণ চেষ্টা। ক্ষমতা দখলের দৌড়ে নেতাদের ঢং বদলায়, রং বদলায়। আর সাধারণ মানুষ হিমশিম খেতে খেতে তলিয়ে যায় অন্ধকারে!

news district district district m***a

01/12/2025

গ্রাম প্রধানের বিরুদ্ধে চাকরি কেলেঙ্কারির অভিযোগ তুলে অঙ্গনারী সেন্টার তালা দিল এলাকাবাসী। ঘটনা পশ্চিম খুপিলং এলাকায়।

news district district district m***a

28/11/2025

রাজ্যে জুড়ে চলা নিগো-বাণিজ্যের কারণে স্তব্ধ হয়ে পড়েছে উন্নয়ন। রাজ্যের জনগণ সবই প্রত্যক্ষ করছে, চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে সাধারণ জনগণের মধ্যে। কিছু কিছু এলাকায় প্রকাশ্যে প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করছে সাধারণ জনগণ।
news district district district m***a

26/11/2025

উদয়পুর মহকুমার গর্জি এলাকায় হৃদয়বিদারক ঘটনা! এক তরুণীকে গুলি করে তারপর নিজের বুকে গুলি চালিয়ে আত্মহত্যা করেছে তার প্রেমিক। প্রেমিকার ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয়েছে, আর প্রেমিককে হাসপাতাল নিয়ে যাওয়ার পথে মৃত্যুবরণ করেছে।
news district district district m***a

25/11/2025

জিনিস পরিষ্কারের নাম করে স্বর্ণের চেইন নিয়ে পালিয়ে গেল প্রতারক, সিসিটিভি র ফুটেজ পুলিশের কাছে থাকলেও পুলিশের নাগালের বাইরে প্রতারক।
news district district district m***a

25/11/2025

আগরতলা-মেলাঘর সড়কে ভয়াবহ দুর্ঘটনা, একজন গুরুতর আহত! আগরতলা থেকে মেলাঘর যাওয়ার পথে ভয়ংকর দুর্ঘটনা! ব্যানার্জি বাগান এলাকায় এক নম্বর গেটের সামনে নিয়ন্ত্রণ হারানো TR01BV0595 নম্বরের একটি বেলেনো গাড়ি গভীর খাদে ঝাঁপ দিয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে আজ দুপুরে, যখন চালক সাইদুল রহমান মেলাঘরের দিকে যাচ্ছিলেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা তাড়াতাড়ি মেলাঘর ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেন। দপ্তরের কর্মীরা ঘটনাস্থলে ছুটে এসে অসুবিধাজনক অবস্থান থেকে গাড়ি থেকে সাইদুল রহমানকে উদ্ধার করেন এবং প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য মেলাঘর হাসপাতালে নিয়ে যান। তার অবস্থা গুরুতর হওয়ায় পরে জিবিপি হাসপাতালে রেফার করা হয়েছে।

news district district district m***a

23/11/2025

গতরাতে আবারও চুরি !একের পর এক চুরির ঘটনায় দিশেহারা হয়ে পড়েছে দক্ষিণ অমরপুর টাউন উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ, গত এক বছরের মধ্যে চারবার চুরি হয়েছে উক্ত স্কুলে।

news district district district m***a

23/11/2025

বর্তমানে বেকারদের নিয়োগ নীতি নিয়ে ত্রিপুরা প্রদেশ কংগ্রেস ভবনে এক সাংবাদিক সম্মেলনের অনুষ্ঠিত হয়।
news district district district m***a

23/11/2025

আগরতলা কুশাভাউ ভবনে আহূত সাংবাদিক সম্মেলনে বিজেপির প্রদেশ সহসভাপতি তাপস ভট্টাচার্য, সুবল ভৌমিক, সাধারণ সম্পাদক বিপিন দেববর্মা এবং প্রদেশ মিডিয়া ইনচার্জ সুনীত সরকার উপস্থিত হয়েছেন। সম্মেলনে রাজ্যের উন্নয়ন, জনজাতি কল্যাণ এবং সাম্প্রতিক ঘটনাগুলো নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
সুবল ভৌমিক বললেন, সভাপতি রাজীব ভট্টাচার্য রাজ্যবাসীর আশীর্বাদে এবং মাতা ত্রিপুরেশ্বরীর কৃপায় ভালো হয়ে উঠছেন। কিছুদিন আগে মন্ত্রিসভায় বেকারদের চাকরি এবং দুটি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থাপনের মতো যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বিজেপি একের পর এক রাজ্যে জয়লাভ করছে, বিহারের মতো। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি 'সবকা সাথ, সবকা বিকাশ' থেকে 'বিকশিত ভারত'-এর প্রসারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছেন। জেপি নাড্ডাকে ধন্যবাদ জানালেন মোদীজি।জনজাতি এলাকায় কাজ চলছে বলে জোর দিয়ে বললেন ভৌমিক। মুখ্যমন্ত্রী ড. মানিক সাহা উপজাতি-জনজাতিদের কল্যাণে কাজ করছেন, স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠা হবে। কিন্তু সরকারের ভাবমূর্তি কলুষিত করার ষড়যন্ত্র চলছে। বাম আমলের এসডিএম-এমএলএ খুনের মতো ঘটনা উল্লেখ করে বললেন, এআইএম ইমলে এমন কিছু হয়নি। কিছু অনভিপ্রেত ঘটনায় সরকার পদক্ষেপ নিয়েছে, দলও গুরুত্ব দিচ্ছে। বিজেপি কোনো প্রশ্রয় দেবে না, জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা হবে। দীর্ঘক্ষমতাসীনদের দিকেও আঙুল তুলেছেন।
উন্নয়ন এবং জনজাতি কল্যাণের জন্য সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। অনিমেষ দেববর্মার স্বরাষ্ট্র দফতরের মথা নিয়ে ভৌমিক বললেন, আবেগ থেকে বলেছেন, তাঁর দায়িত্বগুলো ভালোভাবে চালান। আশারামবাড়ির ঘটনায় অনিমেষের বক্তব্য শিশুসুলভ ছিল, সিরিয়াসলি বলেননি। সম্মেলনে উন্নয়নের আত্মবিশ্বাস ফুটে উঠলেও বিরোধীদের ষড়যন্ত্রের অভিযোগ তুলে রাজনৈতিক উত্তাপ বাড়িয়েছে।
news district district district m***a

নোট দিয়ে ভোট কেনা কি তাহলে আইনসিদ্ধ হয়ে গেল? বিহারের নির্বাচন এই প্রশ্ন তুলে দিয়েছে। বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার ভ...
23/11/2025

নোট দিয়ে ভোট কেনা কি তাহলে আইনসিদ্ধ হয়ে গেল? বিহারের নির্বাচন এই প্রশ্ন তুলে দিয়েছে। বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার ভোটের মুখে মহিলাদের ১০ হাজার টাকা দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছিলেন। বিরোধীরা নির্বাচনী বিধিভঙ্গের অভিযোগ জানিয়েছিল। কিন্তু, কমিশন আমল দেয়নি। নির্বাচন ঘোষণার পরে টাকা দিলেও মন্ত্রিসভা আগেই সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। সেই সুবাদে এটা নাকি ‘অন গোয়িং প্রজেক্ট’। নির্বাচন সংক্রান্ত বিষয়ে শেষ কথা বলার হক একমাত্র কমিশনেরই আছে। একটা সময় ক্রিকেট মাঠেও আম্পায়ারের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত ছিল। আম্পায়ার ভুল আউট দিলেও ব্যাটসম্যান মাঠ ছাড়তে বাধ্য হতেন। তাতে উঠত বারোজনে খেলে ম্যাচ জেতার অভিযোগ। তবে, এখন সেটা হয় না। সৌজন্যে থার্ড আম্পায়ার। অনেকে বলছেন, বিজেপি ম্যাচ জিতছে। কিন্তু হজম করতে হচ্ছে ‘বারোজনে’ খেলার কটাক্ষ। এই পরিস্থিতিতে নির্বাচন ব্যবস্থাতেও কি ‘থার্ড আম্পায়ার’ আবশ্যক হয়ে পড়ছে!
বিহারের নির্বাচনে বিপুল সাফল্য পেয়েছে এনডিএ জোট। এই সাফল্যের জন্য রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা নীতীশ কুমারের মুখ্যমন্ত্রী মহিলা রোজগার যোজনাকেই সবচেয়ে বেশি নম্বর দিচ্ছেন। তাঁদের বক্তব্য, নির্বাচনের মুখে মহিলাদের ১০ হাজার টাকা দেওয়ায় খেলা ঘুরে গিয়েছে। টাকা দেওয়ার কারণেই মহিলা ভোটদানের হার বেড়ে ৭১ শতাংশ হয়েছে। সেই মহিলাদের একটা বড়ো অংশের সমর্থন গিয়েছে এনডিএ জোটের দিকে।
বিহারের কত মহিলা ১০ হাজার টাকা করে পেয়েছেন, তা সরকারিভাবে জানানো হয়নি। তবে লক্ষ লক্ষ মা-বোন এই টাকা পেয়েছেন। প্রশান্ত কিশোরের দল জন সুরাজ পার্টির দাবি, সংখ্যাটা প্রায় দেড় কোটি। দাবি সত্যি হলে এই খাতে সরকারের খরচ হয়েছে প্রায় ১৫ হাজার কোটি টাকা। সেটাও নাকি দেওয়া হয়েছে বিশ্বব্যাংক থেকে নেওয়া ঋণের টাকায়। এককথায়, নীতীশ কুমার ঋণ করে ঘি খাওয়ার পরিকল্পনা আগেই করে রেখেছিলেন। ঘিয়ের স্বাদ যে তিনি চেটেপুটে উপভোগ করেছেন, সেটা বলাই বাহুল্য। ‘ভোটের রাজনীতিতে এক ভয়ংকর প্রবণতা দেখা দিয়েছে। ভোটের জন্য মানুষকে বিনা পয়সায় রেবড়ি (মিষ্টি) খাওয়ানোর ব্যবস্থা হচ্ছে। কিন্তু এভাবে সরকারি টাকা ধ্বংস করে ভোট কেনা হলে রাস্তাঘাট, এক্সপ্রেসওয়ে তৈরির টাকা মিলবে কীভাবে?’ কথাগুলি স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির। সময়টা ২০২২ সালের জুলাই মাস। উত্তরপ্রদেশের বুন্দেলখণ্ডে এক্সপ্রেসওয়ের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এই মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী বোঝাতে চেয়েছিলেন, রাজনীতিতে দান খয়রাতির সংস্কৃতি দেশের জন্য বিপজ্জনক। তিনি কোনও রাজনৈতিক দলের নাম নেননি। তবে, লক্ষ্য যে বিরোধীরা ছিল, তাতে কোনও সংশয় নেই। বিজেপি নেতৃত্ব বারবার ঘোষণা করেছে, তারা ভোটের জন্য রেউড়ি রাজনীতি করবে না। কিন্তু বাস্তবে কী দেখা যাচ্ছে? বিজেপি ও তার জোট সরকারের ক্ষমতা দখলের অস্ত্র হয়ে উঠছে তথাকথিত দান খয়রাতির রাজনীতি।
পরিসংখ্যান বলছে, ওড়িশায় সুভদ্র প্রকল্পের সুবিধা পান প্রায় এক কোটি মহিলা। খরচ হয় প্রায় সাড়ে আটশো কোটি টাকা। মহারাষ্ট্রে লড়কি বহিন যোজনায় প্রায় আড়াই কোটি মহিলা সুবিধা পান। সরকারের ব্যয় হয় দেড় হাজার কোটি টাকা। এছাড়া মধ্যপ্রদেশে প্রায় এক কোটি ৩০ লক্ষ মহিলার জন্য এক হাজার আড়াইশো কোটি টাকা এবং অসমে প্রায় ৪০ লক্ষ মহিলার জন্য সরকার খরচ করে এক হাজার আড়াইশো কোটি টাকা।
এখন প্রশ্ন হল, একদিন যাকে প্রধানমন্ত্রী ‘রেউড়ি রাজনীতি’ বলে কটাক্ষ করেছিলেন এখন তাকেই বিজেপি আঁকড়ে ধরছে কেন? এর কারণ নরেন্দ্র মোদির দেওয়া অধিকাংশ প্রতিশ্রুতিই পূরণ হয়নি। সুইস ব্যাঙ্কে গচ্ছিত ভারতীয়দের কালো টাকা ফিরিয়ে আনতে ব্যর্থ হয়েছেন। বছরে দু’কোটি বেকারের কর্মসংস্থানের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। অথচ বেকারত্ব শিখর ছুঁয়েছে তাঁরই আমলে। ব্যাংক সংযুক্তিকরণের জেরে চাকরির রাস্তা সঙ্কুচিত হয়েছে। রেলে লক্ষ লক্ষ পদ ফাঁকা রয়েছে। নিয়োগ হচ্ছে না। সেনা বাহিনীতেও একই অবস্থা। জঙ্গি মোকাবিলার উদ্দেশ্যেই হয়েছিল নোটবন্দি। অথচ তাঁরই আমলে একের পর এক জঙ্গিহানার ঘটনা ঘটেছে। ডিজিটাল ইন্ডিয়ার স্বপ্ন দেখিয়ে ব্যাংকের অ্যাকাউন্টের সঙ্গে মোবাইল নম্বর যুক্ত করা বাধ্যতামূলক হয়েছে। তাতে সাধারণ মানুষের কতটা সুবিধে হয়েছে বলা কঠিন। কিন্তু সাইবার প্রতারকরা নিমেষের মধ্যে অ্যাকাউন্টে থাকা লক্ষ লক্ষ টাকা হাওয়া করে দিচ্ছে।
news district district district m***a

Address

Amarpur Super Market
Amarpur
799101

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Amar Barta posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to Amar Barta:

Share