21/09/2025
অনেক অনেক দিন আগে…
অসুরদের মধ্যে ছিল এক মহাবলশালী অসুর – মহিষাসুর। সে ছিল ভীষণ শক্তিশালী, তার শক্তির কাছে দেবতারা পর্যন্ত পরাজিত হলেন। মহিষাসুর একে একে স্বর্গ, মর্ত্য, এমনকি পাতালও দখল করে ফেলল। তখন দেবতারা বড়ই চিন্তায় পড়লেন।
তখন দেবতারা সবাই একত্র হয়ে গেলেন—ব্রহ্মা, বিষ্ণু, মহেশ্বর। তাঁরা ভাবলেন, “এবার তো এমন এক শক্তির প্রয়োজন, যে মহিষাসুরকে বধ করতে পারবে।” সবার শক্তি মিলিয়ে এক অদ্ভুত আলো বেরোল, সেই আলো থেকে জন্ম নিলেন দশভুজা মহামায়া দুর্গা। দেবতারা তাঁকে নানা রকম অস্ত্র উপহার দিলেন—ত্রিশূল, চক্র, ধনুক, তলোয়ার, শঙ্খ। সিংহকে বাহন করে মা দুর্গা প্রস্তুত হলেন মহিষাসুরের সঙ্গে যুদ্ধের জন্য।
অন্যদিকে, পৃথিবীতে তখন চলছিল পিতৃপক্ষ। এই সময়ে মানুষ তাদের পূর্বপুরুষদের জন্য তর্পণ করে শান্তি কামনা করে। পিতৃপক্ষের অমাবস্যা রাত শেষ হলে ভোরে শুরু হয় দেবীপক্ষ। সেই দিনটিই হলো মহালয়—যেদিন আমরা মা দুর্গাকে আহ্বান জানাই, বলি—
> "এসো মা, এসো এসো…
অশুভ শক্তির বিনাশ করো,
ধরণীতে আনো শান্তি ও সুখ।"
১৯৩১ সাল থেকে মহালয়ের সঙ্গে জুড়ে গেল আরও এক নতুন অধ্যায়—বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্রের কণ্ঠে চণ্ডীপাঠ। তখন থেকেই ভোররাতের মহালয় বাঙালির জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ।
---
👉 তাই মহালয় মানেই—
পিতৃপক্ষের সমাপ্তি।
দেবীপক্ষের সূচনা।
আর মা দুর্গার পৃথিবীতে আগমন