24/07/2025
আরামবাগ থেকে সরাসরি দিল্লির মঞ্চে! নার্স মধুরিমা এখন মিসেস ইন্ডিয়া এশিয়া ২০২৫-এর ফাইনালিস্ট
স্থান: আরামবাগ | তারিখ: জুলাই ২০২৫
হাসপাতালের ইউনিফর্ম পেরিয়ে এবার র্যাম্পের গ্ল্যামারে— বদলে গেল নার্সিং অফিসার মধুরিমা চক্রবর্তীর জীবন। দীর্ঘ ছয় বছর ধরে আরামবাগ হাসপাতালে রোগীর সেবায় নিজের মনপ্রাণ দিয়ে নিয়োজিত রাখলেও এবার তিনি পা রাখছেন এক নতুন জগতে। নির্বাচিত হয়েছেন ‘মিসেস ইন্ডিয়া এশিয়া ২০২৫’-এর গ্র্যান্ড ফিনালে-তে। রাজ্যের প্রতিনিধি হয়ে পাড়ি দিচ্ছেন রাজধানী দিল্লিতে।
রোগীর সেবিকা থেকে র্যাম্পে রানওয়ে ওয়াক
কলকাতায় গত ২২শে জুন আয়োজিত হয়েছিল মিসেস ইন্ডিয়া এশিয়া ২০২৫-এর ইস্ট জোন অডিশন। সেখানে অংশ নিয়েছিলেন ৫২ জন প্রতিযোগী। চারটি বিভাগে (Self Introduction, Self Presentation, Instant Intelligence, Ramp Walk) দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের মাধ্যমে পশ্চিমবঙ্গের একমাত্র নির্বাচিত প্রতিনিধি হন মধুরিমা।
আরামবাগেই বেড়ে ওঠা, সেবা আর সৌন্দর্যের নিখুঁত মিশেল
মধুরিমার বাপের বাড়ি আরামবাগের কালীপুর কলেজ এলাকায়। পেশায় নার্স হলেও, সাজগোজ, নাচ, আঁকা ও পড়াশোনায় বরাবরই তার আগ্রহ। জিএনএম পাশ করার পর প্রথমে মেদিনীপুর হাসপাতালে, পরে আরামবাগ হাসপাতালে দীর্ঘ ছয় বছর কাজ করেছেন নার্সিং অফিসার হিসেবে। পাশাপাশি বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতালেও তার দক্ষতা প্রমাণ করেছেন।
ছোট্ট পরিবার, বড় স্বপ্ন
ছয় বছর আগে বিয়ে হয় পশ্চিম মেদিনীপুরের রাজীব মল্লিকের সঙ্গে। রাজীব একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের কর্মী। তাঁদের তিন বছরের এক পুত্র সন্তান রয়েছে। মাতৃত্ব সামলে নিজেকে নতুনভাবে গড়ে তোলার জেদেই আজ এই অসাধ্যকে সাধন করেছেন মধুরিমা।
"সুন্দর মানে কেবল মুখ নয়, মন আর মানসিকতাও" — মধুরিমা
মধুরিমা বলেন, “অনেকেই ভাবে মা হওয়ার পরে সৌন্দর্য হারিয়ে যায়। কিন্তু আমি মনে করি, একটা গাছ যেমন ফুল-ফল নিয়ে নিজের সৌন্দর্যকে প্রকাশ করে, ঠিক তেমনই একজন মাও মাতৃত্বের পরেও সুন্দর হতে পারেন— যদি মন থেকে আত্মবিশ্বাস রাখা যায়। আমি বিশ্বাস করি, আমি যা চাই, তা আমি পাব।"
তার লক্ষ্য এখন আরও বড়— একদিন ‘মিসেস ওয়ার্ল্ড’-এর মঞ্চে দাঁড়ানো।
মেয়েকে নিয়ে গর্বিত মা শুক্লা চক্রবর্তী। তিনি বলেন,“ছোট থেকেই মেয়ে সাজগোজ ভালোবাসত, জানার আগ্রহ ছিল অফুরন্ত। পড়াশোনাতেও সবসময় ভাল করত। আজ মেয়ের এই সাফল্যে আমরা গর্বিত।”
আরামবাগ POST পরিবারও গর্বিত মধুরিমার এই কীর্তিতে।
আপনারা কমেন্টে শুভেচ্ছা জানাতে পারেন এই নার্সিং অফিসার-সুন্দরীকে।
আরও এই ধরনের ইতিবাচক গল্প পেতে চোখ রাখুন Arambagh POST-এ।