Iconইক পত্রিকা

Iconইক পত্রিকা আইকনিক একটি বাংলা অনলাইন এবং প্রিন্টেড সাহিত্যমূলক পত্রিকা।একটি ক্ষুদ্র প্রয়াস

শুভ বিজয়া ❤️
13/10/2024

শুভ বিজয়া ❤️

08/10/2024
বেশ কিছু সমস্যার জন্য Iconইকের পুজো তথা শারদ সংখ্যাকে প্রিন্টেড সংখ্যা হিসেবে বের করা গেলনা। তাই পুজো সংখ্যাকে অনলাইন বা...
18/09/2024

বেশ কিছু সমস্যার জন্য Iconইকের পুজো তথা শারদ সংখ্যাকে প্রিন্টেড সংখ্যা হিসেবে বের করা গেলনা। তাই পুজো সংখ্যাকে অনলাইন বা ফেসবুক কবিতা সংখ্যা হিসেবে বের করা হচ্ছে। মাস দুয়েকের মধ্যে, প্রিন্টেড সংখ্যা বের করা শুরু হবে। ধন্যবাদ।

Happy New year 😊
01/01/2024

Happy New year 😊

বাগবাজার লিটিল ম্যাগাজিন মেলার কিছু মুহুর্ত মোবাইল ক্যামেরায় বন্দী। 😊😊
17/12/2023

বাগবাজার লিটিল ম্যাগাজিন মেলার কিছু মুহুর্ত মোবাইল ক্যামেরায় বন্দী। 😊😊

আইকনিকের তরফ থেকে আমরা থাকছি বাগবাজার লিটিল ম্যাগাজিন মেলায়। আইকনিকের stall এ সবার আমন্ত্রণ। পারলে আসার চেষ্টা করুন।[ ফ...
14/12/2023

আইকনিকের তরফ থেকে আমরা থাকছি বাগবাজার লিটিল ম্যাগাজিন মেলায়। আইকনিকের stall এ সবার আমন্ত্রণ। পারলে আসার চেষ্টা করুন।

[ ফটো: মেলা কর্তৃপক্ষের পোস্ট থেকে সংগৃহীত।]

তারকেশ্বর লিটল ম্যাগাজিন মেলায়, আইকনিক এর স্টল। লিটল ম্যাগাজিন মেলায় অংশ গ্রহণের মাধ্যমে আইকনিক এক ধাপ অগ্রসর হওয়া।😊💝
18/11/2023

তারকেশ্বর লিটল ম্যাগাজিন মেলায়, আইকনিক এর স্টল। লিটল ম্যাগাজিন মেলায় অংশ গ্রহণের মাধ্যমে আইকনিক এক ধাপ অগ্রসর হওয়া।😊💝

29/10/2023

সম্পাদকীয়:

নিজেকে কেমন যেনো লালমোহন বাবুর বোম্বে ফিল্ম ডাইরেক্টর পুলক ঘোষাল পুলক ঘোষাল লাগছে। পুলক ঘোষাল কয়েকটা বাংলা সিনেমায় সহকারী পরিচালকের কাজ করে হটাত একদিন রোখের মাথায় বোম্বে গিয়ে নিজেই সিনেমা পরিচালনা শুরু করে, এটা সবার জানা। লিখতে ভালোবাসি, কয়েকটা ম্যাগাজিনে টুকটাক লেখা দিচ্ছিলাম। হটাত কি একটা হয়ে গেলো ঠিক করে ফেললাম এবারের দুর্গা পুজোয় নিজেদের ম্যাগাজিন বের করবো: as if someone has custed a spell on me (like Harry Potter or Doctor Strange)..it could be my secret beneficiary or my alter ego...

জটায়ুর গল্প থেকে সিনেমা হবার প্রসঙ্গ দিয়ে শুরু করেছি, তখন এই প্রসঙ্গে আর কয়েকটা কথা না বললে চলবে না। লালমোহন বাবুর গল্প থেকে সিনেমা তৈরি হবার ক্ষেত্রে যেমন ফেলুদার (তোপসেরও) ভূমিকা অফুরন্ত এবং ফেলুদার উপস্থিতি ছাড়া ব্যাপারটা সর্বাঙ্গীন সুন্দর হতো না, তেমন আইকনিক পত্রিকা কয়েকজন ব্যক্তির উল্লেখ যোগ্য ভূমিকা এবং উপস্থিতি ছাড়া আমাদের সবার হাতে এসে পড়তো না, এই শারদ উৎসবের শুভ সূচনা লগ্নে, এঁরা হলেন আমার শিক্ষক শ্রদ্ধেয় ড. দেবী প্রসাদ মজুমদার এবং শ্রদ্ধেয় শঙ্কর কুমার রায় , মুক্তকণ্ঠ পেজ এবং মুক্তকণ্ঠর ফাউন্ডার - অ্যাডমিন অনিন্দিতা দে, স্পর্শ- The Inner Touch এবং স্পর্শর অ্যাডমিন সুজন দে এবং আরো অনেকে। প্রকৃত পক্ষে ফেলুদার guidance আর সাহায্য ছাড়া লালমোহন বাবুর সিনেমার গল্প লেখা এবং সেই গল্প থেকে সিনেমা হওয়ার স্বপ্নটা যেমন স্বপ্নই থেকে যেতো ঠিক তেমন আমার শ্রদ্ধেয় দুই শিক্ষকের পরামর্শ, অনুপ্রেরণা এবং আমার বন্ধু অনিন্দিতা দে এবং সুজন দে এবং বাকি দের সাহায্য ছাড়া আইকনিক পত্রিকা প্রকাশের ইচ্ছে টাও স্বপ্নই থেকে যেতো।এঁদের সবাইকে আন্তরিক ভাবে কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করি।

ম্যাগাজিন তো বেরকরছি , নাম কি দেওয়া যায় কিছু তে মাথায় আসেনা। বাধ্য হয়ে জেট বাহাদুরই না নাম দিতে হয়! ইনস্টাগ্রাম ঘাঁটছি হটাৎ শারুক আর কাজলের সর্ষে ক্ষেতে দিল বালে দুলহানিয়া লে জায়েঙ্গের সেই আইকনিক ফটো টা চলে এলো। ব্যাস আর পায় কে? এখান থেকেই ম্যাগাজিনের নামকরণ।

"আইকনিক" সত্যিই আইকন হয়ে উঠবে কিনা সেটা খুব একটা ভাবনার ব্যাপার নয়। কারণ ভালোবাসা থেকেই শিশু "আইকনিক" এর জন্ম হলেও , অ্যাম্বিশাস অভিভাবকের ভূমিকায় অভিনয় করার ইচ্ছা নেই, 3 Idiots মুভির " Farhan Khureshi must be B.Tech engineer " সংলাপ টা প্রাসঙ্গিক ভাবে মনে পড়ে যাচ্ছে। বরং শিশু
" আইকনিক"কে বয়োবৃদ্ধির সাথে সাথে স্বতস্ফুর্তভাবে ক্রমবিকাশে সাহায্য করাই আমার এবং আইকনিক পরিবারের উদ্দেশ্য হবে বলে আশা রাখছি।

সম্পাদক

সৌম্য সরকার

পরামর্শদাতা: ড. দেবীপ্রসাদ মজুমদার এবং শঙ্কর কুমার রায় ।মিডিয়া পার্টনার: মুক্তকণ্ঠ (সৌজন্যে অনিন্দিতা দে)এবং স্পর্শ - ...
29/10/2023

পরামর্শদাতা: ড. দেবীপ্রসাদ মজুমদার এবং শঙ্কর কুমার রায় ।

মিডিয়া পার্টনার: মুক্তকণ্ঠ (সৌজন্যে অনিন্দিতা দে)
এবং স্পর্শ - The Inner Touch (সৌজন্যে সুজন দে)।

সম্পাদকীয় : সৌম্য সরকার।

https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=122129701736033469&id=61551004084187&mibextid=Nif5oz

শুধু কবিতার জন্যে: ড. দেবী প্রসাদ মজুমদার, অনিন্দিতা দে, সুজন দে, শঙ্কর কুমার রায়, সৃজন পোড়েল, অর্ধেন্দু পাল, রাজীব মল্লিক, অনসূয়া চন্দ্র ,সঞ্জয় সাধুখাঁ, তাপস জানা এবং সৌম্য সরকার।

https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=122129691986033469&id=61551004084187&mibextid=Nif5oz

চিত্রকর: পৌষালি মুখার্জী

https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=122129691728033469&id=61551004084187&mibextid=Nif5oz

প্রাবন্ধিক: সৌম্য সরকার

https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=122129689736033469&id=61551004084187&mibextid=Nif5oz

ভ্রমণ পিপাসু : অর্ণব ভট্টাচার্য্য ।

https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=122129686658033469&id=61551004084187&mibextid=Nif5oz

গল্পস্বল্প: সৌরভ মাইতি, অর্ণব ভট্টাচার্য্য, সুব্রত চন্দ্র এবং সৌম্য সরকার।

https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=122129679200033469&id=61551004084187&mibextid=Nif5oz

29/10/2023

∆∆ শুধু কবিতার জন্যে ∆∆

১) উতল হাওয়া

ড. দেবীপ্রসাদ মজুমদার

উতল হাওয়া নামলো যখন

তখন তুমিই ছিলে আমার ঘরে

হাওয়া বসলো ঘুরে ঘুরে দ্যাখে

যেখানে যত বিস্তৃত আকাশ ।

হাওয়া বলল, আকাশ ধরবো একদিন ঠিক

ছুঁয়ে যাবো জেনো, আর

সেদিনটা কাছে আসবে, আর তুমি সময়ের

মুঠোয় ধরা দিয়ো না ।

হাওয়ার দেশে এখন বসন্ত

রঙিন ফুলের সম্ভারে সেজেছে মাঠ

মাঠের দিগন্তে ভেসে যাচ্ছে গোপন ছায়া

ওরা মাতাল হতে পারেনি বরং নিরীহ

আবেগে আকণ্ঠ নিমজ্জিত স্বপ্নমেদুরতায়।

হাওয়া সাহসী হলো, আর নির্মাল্য এলে

আকাশের গলে পরালো ছিন্ন মালা

অহংকার প্রকট হলে পর আবার ছুটলো তার রথ

আর সেই রথে সেজেগুজে বসে

পায়ে দোল দিচ্ছে এক খন্ড মেঘ

উৎফুল্ল দেখি তাকে, আর

চিহ্নিত সীমায় ধরতে চেয়ে একগুচ্ছ শিউলি

এনে দরজায় রেখে স্থির পায়ে বের হলাম ।

নূপুরের মধ্যে বাজে ক্ষণিকের সুর

এই সুর গোপন খেলায় মেতেছে যখন

তখন হওয়া এসে বন্ধ করে দেয়

দরজা জানলা প্রকোষ্ঠ সব ।

ধীরে হাঁটে সময় সারথি

প্রদক্ষিণ করে খিড়কি থেকে সদর

তারপর একমুঠো সকাল হাতের মধ্যে রেখে

উদাস হয়ে বসে রইলো ।

২) পুজোর নতুন আশায়

অনিন্দিতা দে

শরতের রোদ আর শিউলির ফুলে,
আনন্দের জোয়ার আনে হৃদয়ের কুলে।
বাতাসে বয়ে যায় খুশির আমেজ,
মনে হয় জীবনটা যেন ফ্রী ফ্রম বন্ডেজ।
ভুলিয়ে সব দু:খ কষ্টের দিন
মানুষ হয়েছে সব ভেদাভেদহীন।
"মা আসার " রব আমাদের কানে
এই চারটি দিন প্রত্যেক বাঙালির ই হৃদয় টানে।

হঠাৎ করেই শুরু হল থিমের পুজো,
অনেকেই যা মেনে নিতে পারেনি আজও।
লক্ষ লক্ষ টাকা খরচ হচ্ছে এখন,
সে টাকা অসহায়ের দরকার যখন।
পুরস্কারই হয়ে উঠেছে পুজোর প্রধান লক্ষ্য,
এ শুধু সসম্মানিত নয় পুজো নিয়ে কটাক্ষ।
মন্ডপে দেখা যাচ্ছে আফ্রিকা বা রোম,
প্রতিমা তৈরীতে প্রধান দ্রব্য হয়ে উঠেছে মোম।
কিন্তু একদিন সেই পুরনো দিনে ফিরে যেতেই হবে-
অপেক্ষা করছি বসে,জানিনা
সে দিন আসবে ফিরে কবে।

৩) দুটি অনু কবিতা

সৃজন পোড়েল

অ) নীল আকাশের কালো মেঘ দেখতে লাগে ভালো
হঠাৎ করে জীবনে অন্ধকার নেমে এলো‌।‌
মনের মাঝে একটা প্রদীপ জ্বালছে আলো রোজ
শত মানুষের মাঝে একটা মানুষ নেয় প্রতি দিন খোঁজ
আশা জাগায় রোজ‌
কাটবে অন্ধকার ফুটবে আলো
মনের ঘরের দরজা খোলো
জীবন হবে রামধনু নেয়
সাথে থেকো তুমি
নতুন দিন করবো শুরু শপথ করছি আমি
থেকো তুমি আমার পাশে হাতটি ধরে রেখো
হঠাত করে হোঁচট খেলে সামলে তুমি নিয়ো



আ) ভোরের বাতাসে শিউলি দোলে গন্ধে মাতে ভুবন ।

মাতাল হওয়ায় দুলছে কাশ ফুলেদের রাশি ।

মায়ের মুখে ফুটলো হাসি মা দেবে মর্তে পারি

ঢাকে পরলো কাটি বেজে উঠলো আগমনীর সুর মা আসছে তাড়াতাড়ি ।

উজ্জ্বল হলো বাতি

দিন গুনছে পৃথিবী বাসি ।

৪) ইচ্ছে ডানা

অর্ধেন্দু পাল

অনেকেই মনে করে যদি পাখি হতাম,

খোলা আকাশে উড়ে বেড়াতাম

যেদিকে মন চায়।

আমার মনে হয় যদি আকাশ হতাম!

এই রং বেরঙের পাখিগুলোকে,

উড়তে দিতাম, আমার বক্ষ মাঝে।

বুকের মাঝে জড়িয়ে ধরে,

কত যে আদর দিতাম।



আবার অনেকে ভাবে যদি মাছ হওয়া যেত,

গভীর জলে ঘুরে ফিরে কত স্বপ্ন বোনা যেত।

আমার ইচ্ছে করে ওই গভীর জল হতে!

মাছগুলো সেই গভীর জলে রেখে আসতো অনেক গোপন কথা,

আমি সেই সবকিছুর সাক্ষী হয়ে থাকতাম,

আর সেই সব গোপনীয়তা আগলে রেখে দিতাম।



স্বপ্ন দেখে অনেকে নদী হওয়ার,

এঁকেবেঁকে পথ চলা কত দেশ কত মহাদেশ পার করা।

আমি ভাবি যদি নদীর দুপাশের পার হতাম !

ভাঙা গড়া উঁচু নিচু সামলে ,

নদীর চলন পথ করে দিতে পারতাম।



বসন্তের স্বপ্ন দেখে সবাই ।

তবে আমি ওই বসন্তের ফাগ হতে চাই,

যে ফাগের স্পর্শে রাইয়ের লাজুক লাজুক মুখ ,

যে ফাগের গন্ধে রাই কিশোরীর প্রেমের সাগরে ডুব।

৫) মনেপড়ে

রাজীব মল্লিক

এখন যখন দুপুর বেলা
একলা থাকি ঘরে ,
ছোটো বেলার দিন গুলো
বড্ড মনে পড়ে।
অপলক দৃষ্টিতে
খোলা জানালায় ,
মনে পড়ে বন্ধুদের
ডাকতো ইশারায় ।
চুপি চুপি বলতো ওরা
এখনো বসে ঘরে !
বিকেল তো হয়ে এলো
খেলতে যাবিনা রে !
সে দিনের বন্ধু গুলো
আজ হারিয়ে গেছে ,
ঝাপসা হয়নি ওদের মুখ
আজ ও মনে আছে।
সময় গুলো পেরিয়ে এলাম
কাজের ব্যস্ততায় ,
কতো দুপুর পেরিয়ে যায়
ঘড়ির কাঁটায় !
এখন যখন দুপুর বেলা
একলা থাকি ঘরে ,
কেউ ডাকেনা আগের মতো
খেলতে যাবিনা রে !
দুপুর শেষে বিকেল হয়
নামে সাঁঝবেলা ,
চেনা মুখ হারিয়ে গেছে
এখন আমি একলা ।

৬) পূজো মানে

অনুশ্রী রায়

শরৎকালের আকাশ জুড়ে,
তুলোর মতো মেঘ।
পূজো মানে শৈশবের
অনেক আবেগ।
মা আসছেন আনন্দে তাই
রোজ রোজ দিন গোনা।
আসছে পূজো শুরু হবে,
নতুন জামা কেনা।
বাচ্চা বুড়ো সবাই মিলে,
অনেক ঠাকুর দেখা।
নর্থে যাবো সাউথ এ যাবো
অনেক মজা করা।
দিনের শেষে ক্লান্ত হয়ে,
নিজের ঘরে ফেরা।
চারটে দিনের হুটোপুটি,
আর হরেক রকম খাবার,
মা দুগ্গা চলে গেলে ,
মুখগুলো সব বেজার।
আসছে বছর আবার হবে,
আনন্দের এই মেলা।
ছুটির দিন গুলো সব শেষ,
এবার পড়তে বসার পালা।।

৭) শরৎ ও শারদীয়া

রাজীব মল্লিক

শরৎ হাজির বর্ষা শেষে ,
শুভ্র মেঘ নীলাকাশে ।
শিউলির ঘ্রান ভোরের বাতাসে ,
ঝরে আছে সবুজ ঘাসে।
মাঠ ভরা কাশফুল হিমেল বাতাসে দোলে,
দীঘি ভরা শতদল আছে পাপড়ি মেলে।
শরতের নীলাকাশে ঝল মলে রোদ্দুর,
আকাশে বাতাসে বেজে উঠেছে আগমনীর সুর।
শারদীয়ার প্রস্তুতি পুজো পুজো রব,
পুজোর আনন্দে মাতোয়ারা সব।
দিকে দিকে উঠবে বেজে ঢাক কাঁসর,
শরতে শারদীয়া পুজোর আসর।

৮) রোমন্থন

অনসূয়া চন্দ্র
(ক্যালিফোর্নিয়া)

একটা সকাল স্বপ্নের মত ঝাপসা
ধূসর মেঘের ডানা ঝাপটে
খড়কুটো তার জোটেনা।
একটা বিকেল কাদা মাখামাখি
ক্ষত স্থান অনেক গভীর
মাটির প্রলেপ,কাজ দেবে কি?
একটা রাত,আকাশনীলে কালো
দানা দানা সব মরীচিকাময় আলো।

এ সময়টা একটু যেন অন্য
নিস্তব্ধতা ,শিশিরের কাছে ঘেঁষে
গল্প জোড়ে আলগা নরম বাতাসে।
চোখ খুলে গেলে হঠাৎ ভোরাকাশে
বাইরে এস, বসো নিজের কাছে।
কড়িবরগা বেয়ে যে চিলতে আলো
এই তো ছিল হঠাৎ ফুরিয়ে গেল!
শ্যাওলা ধরা ছাত পাঁচিলের গল্প
দস্যি দুপুর বেঁধেছিল অল্পস্বল্প।
পাতাগুলো তার হলদে আজ
বইটা বুকের মাঝে
নতুন নতুন সকাল আসুক
বেঁচে নিই পুরনো আঁচে।

৯) ভালোবাসার ঠিকানা

শঙ্কর কুমার রায়

আকাশে যখন ঝমঝমিয়ে বৃষ্টি নামে
মধুর ধ্বনি বাজে কানে
বাতাস ভরে সোদা ঘ্রাণে ,
মনে কি তোমার
কোন খুশিই জাগে না ?
জাগে যদি প্রেমিক তুমি,
আছে তোমার হৃদয় মাঝে
ভালোবাসার ঠিকানা।

মেঘলা দিনে আকাশে যখন
রামধনুতে রং ছড়ায় ,
দেখেও তা কি
মন কি তোমার
খুশির দোলায় দোলে না?
দোলে যদি প্রেমিক তুমি,
আছে তোমার হৃদয় মাঝে
ভালোবাসার ঠিকানা ।

বসন্তে সবুজ বনে
কোকিল ডাকে কুহু তানে,
মুগ্ধ হয়ে তাহার গানে
মন কি তোমার উদাস হয়ে
সঙ্গ কারও খোঁজে না?
খোঁজে যদি প্রেমিক তুমি,
আছে তোমার হৃদয় মাঝে
ভালোবাসার ঠিকানা।

ফুলের বনে মৌমাছিরা
গুনগুনিয়ে আপন মনে
মত্ত যখন মধু পানে,
দেখে তোমার মন ভোমরা
খুশির তুফান তোলেনা?
তোলে যদি প্রেমিক তুমি,
আছে তোমার হৃদয় মাঝে
ভালোবাসার ঠিকানা।

মেঘ দেখে বর্ষাকালে
ময়ূর যখন পেখম তুলে
নাচে মনের খুশিতে,
দেখে তোমার মন-ময়ূরী
নেচে কিগো ওঠে না?
নাচে যদি প্রেমিক তুমি ,
আছে তোমার হৃদয় মাঝে
ভালোবাসার ঠিকানা।

১০) আবছা স্মৃতি

সঞ্জয় সাধুখাঁ

যদি কাল খুব মেঘ করে আসে,
বৃষ্টি নামে মনের জানলা জুড়ে
বলো আসবে না আমার ডাকে?

মনে কি পড়ে এই দিনটায় বছরখানেক আগে
হাতে হাত দিয়ে হেঁটেছিলাম কলেজ স্ট্রিটের রাস্তা ধরে
কত হাসিমাখা কবিতা আর লুকোনো গল্পের আনাগোনা..
উপহার, হ্যাং-ওভার সব মিলেমিশে আজ একাকার স্মৃতির কোণে

সত্যি করে বলো তো
যদি কাল খুব মেঘ করে আসে,
বৃষ্টি নামে মনের জানলা জুড়ে
বলো আসবে না আমার ডাকে?

তুমি আমি আমাদের পৃথিবী
ছোট্ট ঘর আদরমাখা সংসার
আমি বুঝেছি ভুল তাই ফিরিনি সেই ঠিকানায়
যন্ত্রণা নিয়ে হাতড়ে খুঁজেছি শুধু তোমায়

হ্যাঁ আমি বুঝেছি এখন আমায় ঘৃণা করো
ক্ষমা চাইতে চাইতে তাই আমি আজ ব্যর্থ
বারবার কথা দিয়েও রাখতে পারিনি তাই
এগিয়ে গেছি আজ মৃত্যুর দিকে

আধো আলো ঝড় মাখা কাব্যে ভালোবাসা আজ মৃত
প্রকৃতি জানে কত ভালোবাসা দিয়েছি তাকে
প্রমাণ চাইনা, থাক পড়ে দলিলের ব্যাগে
স্টেথোস্কোপ চালিয়ে দেখো আমার বুকে,
কত দুঃখ জমে আছে বাক্সবন্দী ফুসফুসে...
ঝড় আসে আর উড়ে যায় ভালোবাসা,
জানালার ধারে পোড়া গন্ধ পেয়ে।

১১) সুমিতা দাস

তাপস জানা

আজি সেই বসন্ত বিকেল, কেটে গেছে বিরহের কতো
গুলো বছর, কতগুলো মাস। স্মৃতি জুড়ে রয়ে গেছো তুমি, সুমিতা দাস। আজ আর নেই কোনো ভয়, নেই কোনো অবসাদ । মনের আকাশ জুড়ে কালবৈশখী করে গেছে কতো আর্তনাদ। এ মহাজীবনের পথে, তুমি আজ কতোটা সফল ?

প্রেম আজ অসহায়, তবু তা মানুষের জীবনের শেষ অবলম্বন । একদিন ঠিকই চলে যাবো আমি ।
রবে নীরবে দাঁড়িয়ে, যেমন আছো তুমি !
আমি তোমার থেকে নিয়েছি মিতার মাধুর্য্য, আছে
তোমার পাশে ' সু ' , তব সংসার সাজাতে ! চারিদিকে ছড়িয়ে পড়ুক তোমার সৌন্দর্য্য ।
একাকী হৃদয় মাঝে বিরাজিবে তব মাধুর্য্য ।
হায় ! এযে একান্তই আমার, নেই এতে করুর অধিকার। এখানেই জিতে যাবে প্রেম , ভালোবাসা করে অঙ্গীকার ।

১২) ছদ্ম প্রেমীক:

সৌম্য সরকার

শেষ বর্ষার ছন্নছাড়া মেঘের
ভেতর থেকে দুরন্ত চাঁদ এসে
রাশিচক্রের ঘর বদলের
মতো , এক জন থেকে অন্যের
মনে স্রোত আর বিরহের
ছবি এঁকে যায়;
সেই চাঁদই কোনো
এক পূর্ণিমায় দেখা দেয়
আমাকে, পাশের ব্যালকনি থেকে;
কফি খেতে খেতে সদ্য পড়া
রোম্যান্স নভেলের গল্প বলি তাকে।
কথা বলা দুই চোখ, শিকারী হাঁসি
তাবড় খাঁজ আর ভাঁজ তার শরীরের
দিয়ে যায় উস্কানি!
মহাভারতের মহাপ্রস্থান পর্ব,
রেড ফ্ল্যাগ দেখায়!
সামলে নিই নিজেকে,
কখনো ভান করি
নেশা গ্রস্থের;
অভিনয় আমার পেশা নয়,
ধরা পড়ে যাই, তবু খুশি
হয় সে, প্রেমীক হতে পারিনি তার
ছদ্ম প্রেমীক হয়ে ধ্রুবক থেকে যাই
ধ্রুব তারারই মতো।

১৩) মন হারাতে চায়

শঙ্কর কুমার রায়

আকাশ ভরা সজল মেঘ
ঝরছে বারিধারা,
চারিদিকে ঘোর আঁধারে
দৃষ্টি হলো হারা ।
মন কেন আজ বাঁধনহারা
শ্রাবণ বরিষায় ;
কারো মনে মন কেন আজ
হারিয়ে যেতে চায়!

-----------------------

∆∆    চিত্রকর   ∆∆  পৌষালী মুখার্জী
29/10/2023

∆∆ চিত্রকর ∆∆

পৌষালী মুখার্জী

29/10/2023

∆∆ প্রাবন্ধিক ∆∆

♾️♾️ কিছু উপলব্ধি: ♾️♾️

সৌম্য সরকার


কতো সাহিত্য, গান, প্রেম, ভালোবাসা, বিরহ,
আম্বিশন, প্যাশন, স্ট্রাগল, নাটক আর নাটকীয়তা মঞ্চে - মঞ্চের বাইরে, ঐশ্বর্য , ক্ষমতা, দম্ভ, সব মিথ্যে। ব্যক্তিগত , পারিবারিক কিম্বা সোশ্যাল সেন্টিমেন্ট ও মিথ্যে - একদিন এই সব কিছুই ধুইয়ে যাবে। দেশ, কাল, সীমানার গণ্ডি; উত্থান পতন, জাতি বা বর্ণের দম্ভ আর বিদ্বেষ, আন্দোলন সব যেনো পদ্ম পাতায় জমা জলের স্থায়িত্বের মতো মায়াময়।

তাহলে সত্যি কী? সেটা বলার বা বোঝাবার মতো ক্ষমতা আমার নেই। কিম্বা সত্যি কী, সেই রহস্যের পাটোদ্ধার করে ফেলেছি, সেটা বলাটা হাস্যকর। কিছু উপলব্ধি আর ভাঙ্গা ভাঙ্গা ভিশান ( সাইকিক ভিশনের ব্যাপারে বলছিনা।) ধরা দিতে চায় মাঝে মাঝে, জীবনের ব্যাস্ততার আর নাটকীয়তার মধ্যে ধরতে পারিনা পুরোপুরি। তবু এই না ধরতে পারা উপলব্ধির জন্যেই এই লেখা।

সব মিথ্যের মধ্যে নিজের কোনো শ্বাশত সত্তার, ক্ষণস্থায়ী আভাস পাই যে সত্তাকে আমি চিনি না, আমার বন্ধু পরিচিত পরিবার সুহৃদ বা শত্রু কেউ কখনো দেখেনি। এই সত্তা গীতায় ভগবান বাসুদেব বিশ্বরূপ ধারণ কলে অর্জুনকে যে অবিনাশী আত্মার কথার বলেছেন, তারও ধরা ছোঁয়ার বাইরে, যদিও তাকে স্পর্শের চাবিকাঠি ওই অবিনশ্বর আত্মাই। আমার সেই আমিই আমার অন্তিম অভীষ্ট আর ইষ্ট, যাকে কোনো মন্দিরে মসজিদে, গির্জায়, মঠে, দরগায় খুঁজে পাওয়া যায়না; আবার পাওয়া যেতেও পারে।এই সত্তা অনন্ত (The Infinity ♾️)একই সাথে শিব ও বিষ্ণু, মহাদেব ও পার্বতী, কৃষ্ণ আর রাধা, কালী আর লক্ষী (অলক্ষীও), ঈশ্বর আর আল্লাহ, আল্লাহ্ আর এলোহিম , ভগবান আর গড। তবে এই সত্তার আভাস মাঝে মাঝেই পাই, ক্ষণস্থায়ী ঠিক যেমন বাঙালির গুরুদেব বলেগেছেন:

"কেন মেঘ আসে হৃদয়-আকাশে
কেন মেঘ আসে হৃদয়-আকাশে,
তোমারে দেখিতে দেয় না
মোহমেঘে তোমারে।
অন্ধ করে রাখে, তোমারে দেখিতে দেয় না।
মাঝে মাঝে তব দেখা পাই,
চিরদিন কেন পাই না।
মাঝে মাঝে তব দেখা পাই,
চিরদিন কেন পাই না।
ক্ষণিক আলোকে আঁখির পলকে
তোমায় যবে পাই দেখিতে।
ওহে ক্ষণিক আলোকে আঁখির পলকে
তোমায় যবে পাই দেখিতে।
ওহে হারাই-হারাই সদা হয় ভয়
হারাই-হারাই সদা হয় ভয়, হারাইয়া ফেলি চকিতে
আশ না মিটিতে হারাইয়া, পলক না পড়িতে হারাইয়া,
হৃদয় না জুড়াতে হারাইয়া ফেলি চকিতে।
মাঝে মাঝে তব দেখা পাই,
চিরদিন কেন পাই না।
মাঝে মাঝে তব দেখা পাই,
চিরদিন কেন পাই না।"

আবার সর্বৈব মিথ্যর মাঝে , মোহের মধ্যে কিভাবে নিজের সেই সত্তার (যাকে আমরা মন্দিরে, মসজিদে, গির্জায় দরগায় মঠে স্বদগুরুর কাছে খুঁজতে যাই...)সাথে যোগাযোগ রেখে বস্তু সর্বস্ব আর মোহময় পার্থিব জীবন কাটানো যায় তার ইঙ্গিত দিয়ে গেছেন গুরুদেবই :

"বৈরাগ্যসাধনে মুক্তি, সে আমার নয়।

অসংখ্যবন্ধন-মাঝে মহানন্দময়

লভিব মুক্তির স্বাদ। এই বসুধার

মৃত্তিকার পাত্রখানি ভরি বারম্বার

তোমার অমৃত ঢালি দিবে অবিরত

নানাবর্ণগন্ধময়। প্রদীপের মতো

সমস্ত সংসার মোর লক্ষ বর্তিকায়

জ্বালায়ে তুলিবে আলো তোমারি শিখায়

তোমার মন্দির-মাঝে।

ইন্দ্রিয়ের দ্বার

রুদ্ধ করি যোগাসন,সে নহে আমার।

যে কিছু আনন্দ আছে দৃশ্যে গন্ধে গানে

তোমার আনন্দ রবে তার মাঝখানে।

মোহ মোর মুক্তিরূপে উঠিবে জ্বলিয়া,

প্রেম মোর ভক্তিরূপে রহিবে ফলিয়া।"

[তবে নিজের এই সত্তার উপলব্ধি শুধু মাত্র আমার বা অল্প সংখোকের হয় তেমন নয়, যারা নিজেকে উপলব্ধি করার চেষ্টা করেন তারা প্রত্যেকেই এই উপলব্ধির স্বাদ পেয়েছেন। আর প্রত্যেকেরই কখনো না কখনো এই উপলব্ধি হয়েছে বলে আমার বিশ্বাস, শুধু বস্তুবাদের জগতে আমরা এই সব উপলব্ধিকে তোয়াক্কা করি না, জীবনের অন্তিম লগ্ন পর্যন্ত আমরা বস্তুতান্ত্রিক জগতের মোহে বিভোর হয়ে কাটিয়ে দিই।]

Address

8, Bachaspati Para Road
Ariadaha
700076

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Iconইক পত্রিকা posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share

Category