22/07/2025
✍️ কুরআনের আলোকে জুয়ার বিধান:
🔴 জুয়া সম্পূর্ণরূপে হারাম (নিষিদ্ধ)
👉 আল্লাহ তাআলা বলেন:
"হে ঈমানদারগণ! নিশ্চয়ই মদ, জুয়া, মূর্তি, ভাগ্য নির্ধারণকারী তীর — এসব শয়তানের অপবিত্র কাজ। সুতরাং এগুলো থেকে দূরে থাকো, যাতে তোমরা সফল হতে পারো।"
(সূরা আল-মায়িদা: ৯০)
🔹 পরবর্তী আয়াতে আল্লাহ বলেন:
"শয়তান তো চায় যে, মদ ও জুয়ার মাধ্যমে তোমাদের মধ্যে শত্রুতা ও বিদ্বেষ সৃষ্টি করাতে এবং আল্লাহর স্মরণ ও নামাজ থেকে তোমাদের বিরত রাখতে। তবে কি তোমরা বিরত থাকবে না?"
(সূরা আল-মায়িদা: ৯১)
🟢 এই আয়াতে বোঝা যায়:
জুয়া শয়তানের কাজ।
এটি মানুষকে আল্লাহর স্মরণ এবং নামাজ থেকে দূরে রাখে।
সমাজে শত্রুতা ও বিদ্বেষ তৈরি করে।
📜 হাদীসের আলোকে জুয়ার নিষেধাজ্ঞা:
✍️ হাদীস:
"যে ব্যক্তি জুয়া খেলে, সে যেন আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের আদেশ অমান্য করে।"
— (সহিহ মুসলিম)
রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেন:
"যে ব্যক্তি বলে: এসো আমি তোমার সঙ্গে বাজি ধরি—সে অবশ্যই জুয়া খেলে ফেলেছে।"
(আবু দাউদ: ২৫৮৩)
"যে লোক পাশা (dice) খেলে, সে যেন নিজের হাত রক্তে রঞ্জিত করে নেয়।"
— (সহিহ মুসলিম)
📌 অনলাইন জুয়া ইসলামী দৃষ্টিতে কেন হারাম?
বিনা শ্রমে টাকা উপার্জনের চেষ্টা, যা ইসলামে নিষিদ্ধ।
প্রতারণা ও লোভের মাধ্যমে মানুষকে ধ্বংসের পথে ঠেলে দেয়।
পরিবার, সমাজ ও ব্যক্তি জীবন ধ্বংস করে।
আল্লাহর ওপর ভরসার পরিবর্তে "ভাগ্য" নির্ভরতা বাড়ায়।
✅ করণীয় (ইসলামিক দৃষ্টিকোণ থেকে):
তওবা (তাওবাহ) করুন – যদি আগে কখনো জড়িয়ে পড়ে থাকেন।
নামাজ-রোজা মজবুত করুন, যেন মন ও আত্মা শক্ত হয়।
জুয়া-সংশ্লিষ্ট অ্যাপ, সাইট, লোকজন থেকে দূরে থাকুন।
হালাল রিজিকের উপায় অনুসন্ধান করুন।
🔚 উপসংহার:
অনলাইন হোক বা অফলাইন—জুয়া ইসলাম ধর্মে হারাম। কুরআন ও হাদীস এ বিষয়ে অত্যন্ত কঠোর ভাষায় নিষেধ করেছে। তাই, একজন মুসলমানের উচিত – এই ধ্বংসাত্মক পথ থেকে নিজেকে ও অন্যদের দূরে রাখা।