21/08/2025
🔥 ১৯৪৬ – কলকাতার রক্তস্নান
১৯৪৬ সালের ১৬ই আগস্ট। মুসলিম লীগের নেতা জিন্নাহ ঘোষণা করল – “ডিরেক্ট অ্যাকশন ডে।”
সেদিন কলকাতার রাস্তায় নেমে এলো হাজার হাজার দাঙ্গাবাজ মুসলিম। তাদের উদ্দেশ্য স্পষ্ট –
👉 হিন্দুদের ঘর জ্বালিয়ে দেওয়া
👉 হিন্দুদের কেটে ফেলা
👉 নারীদের ইজ্জত লুটে নেওয়া
👉 শহরকে রক্তে ভাসিয়ে পাকিস্তান দাবি করা
কলকাতার অলিগলি কেঁপে উঠলো –
হিন্দু বাড়িতে আগুন লাগানো হলো
নারী ও কন্যাদের টেনে হিঁচড়ে নিয়ে যাওয়া হলো
শিশুদের দুধের বোতল ফেলে রক্তে ভিজিয়ে দেওয়া হলো
রাস্তায় লাশ পড়ে থাকলো শত শত
সেই ভয়াবহতা আজও শিউরে তোলে।
---
⚡ গোপাল পাঁঠার আবির্ভাব
এই দাঙ্গার আগুনে যখন পুরো হিন্দু সমাজ আতঙ্কে স্তব্ধ, তখন সামনে এলেন এক সাহসী বাঙালি যুবক –
গোপাল মুখার্জি ওরফে গোপাল পাঁঠা।
তিনি ছিলেন পেশায় মাংস ব্যবসায়ী। তাই নাম হয়েছিল পাঁঠা।
কিন্তু তাঁর বুকের ভেতরে ছিল আগুনের ভাণ্ডার।
তিনি দাঁড়িয়ে বললেন –
> “হিন্দু ঘরে আগুন লাগবে, মেয়েদের ইজ্জত লুট হবে, আর আমরা চুপ করে বসে থাকবো? যতদিন গোপাল পাঁঠা বেঁচে আছে, ততদিন কোনো দাঙ্গাবাজের হাতে হিন্দু মরবে না!”
---
🔪 গোপালের প্রতিরোধ বাহিনী
তিনি সঙ্গে সঙ্গে গড়ে তুললেন এক হিন্দু প্রতিরোধ বাহিনী।
কোনো রাজনীতি নয়, কোনো ভণ্ডামি নয় – কেবল লড়াই।
যুবকেরা হাতে নিল দা, লাঠি, চাঁপারি, বন্দুক
হিন্দুরা দল বেঁধে নামলো রাস্তায়
গোপালের স্লোগানে কেঁপে উঠলো কলকাতা –
“হিন্দু বাঁচাও, লড়াই করো!”
যেখানে দাঙ্গাবাজরা প্রবেশ করতো, গোপালের দল সেখানে বজ্রপাতের মতো আঘাত হানতো।
যেন বজ্রকণ্ঠে গর্জে উঠেছিল –
👉 “হিন্দুর ঘরে হাত দিলে, রক্তে ভাসবে রাস্তা।”
---
🩸 রক্তক্ষয়ী লড়াই
ইতিহাস বলে, গোপালের নেতৃত্ব ছাড়া হিন্দুরা সম্পূর্ণ নিশ্চিহ্ন হয়ে যেত।
যখন মুসলিম দাঙ্গাবাজরা খড়গ হাতে রক্তের হোলি খেলছিল, তখন গোপালের দল তাদের চোখের জ্বালা হয়ে দাঁড়ায়।
রাস্তা ভরে গেলো দু’পক্ষের লাশে।
কিন্তু গোপাল পাঁঠার আক্রমণ থামলো না।
তিনি ছিলেন অকুতোভয়, নির্ভীক।
অনেক সময় তাঁর নাম শুনেই দাঙ্গাবাজরা পালিয়ে যেত।
কারণ তাঁরা জানতো –
👉 গোপাল পাঁঠার সামনে দাঁড়ানো মানেই মৃত্যু।
---
🌟 কিংবদন্তি
গোপাল পাঁঠা তখন আর শুধু একজন মানুষ ছিলেন না।
তিনি ছিলেন –
হিন্দুদের রক্ষাকবচ
আতঙ্কের প্রতীক
কলকাতার প্রতিরোধের মশাল
যেখানে মানুষের বুক কাপছিল, সেখানে তিনি দাড়িয়ে ঘোষণা করেছিলেন –
> “যদি মরতেই হয়, তবে মাথা উঁচু করে মরো। কিন্তু হিন্দু রক্তকে অপমান হতে দিও না।”
---
🕯️ শেষ পরিণতি
১৯৪৬-এর সেই দাঙ্গার পরে গোপাল আর কোনোদিন রাজনীতি বা বড় মঞ্চে নামেননি।
কিন্তু তাঁর নাম ইতিহাসে খোদাই হয়ে গেল।
১৯৯৪ সালের ১লা অক্টোবর তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
---
✊ কেন গোপাল পাঁঠা আজও অনুপ্রেরণা
তিনি প্রমাণ করেছিলেন – সাধারণ মানুষও পরিস্থিতির চাপে অসাধারণ যোদ্ধা হতে পারে।
তিনি দেখিয়েছিলেন – শুধু প্রতিবাদ নয়, অস্ত্র হাতে লড়াই করেই অন্যায়কে ঠেকাতে হয়।
তাঁর কারণে ১৯৪৬ সালে কলকাতায় হিন্দুরা টিকে গিয়েছিল।
---
🔥 আজকের প্রজন্ম যদি গোপাল পাঁঠার নাম মনে রাখে, তবে বুঝবে –
“যখন জাতির অস্তিত্বের প্রশ্ন ওঠে, তখন ভয় নয়, রক্ত দিয়েই জবাব দিতে হয়।”