14/06/2025
আহমেদাবাদ থেকে লন্ডন গেটউইক আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের দূরত্ব প্রায় ৭১০০ কিলোমিটার । প্রতি ঘন্টায় জ্বালানি খরচ হয় ৫৫০০ থেকে ৬ হাজার লিটার। ফ্লাইট টাইম নয় ঘন্টা থেকে সাড়ে ৯ ঘণ্টা যা নির্ভর করে বাতাস গতিপথ এবং আরো অন্যান্য বিষয়ের উপরে ।
এটা সর্বোচ্চ ২৫৪ টন ওজন নিয়ে উঠতে পারে এবং সর্বোচ্চ জ্বালানি নিতে পারে ১ লক্ষ ২৬ হাজার লিটার।
* বিমানটি দুপুর ১:৩৮ মিনিটে উড্ডয়ন করে এবং রানওয়ে ছাড়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই সমস্যার সম্মুখীন হয়।
• এয়ার ইন্ডিয়ার ফ্লাইট AI 171, বোয়িং ৭৮৭-৮ ড্রিমলাইনার, আহমেদাবাদ থেকে লন্ডনের উদ্দেশ্যে রওনা দেয়।
• উড্ডয়নের কিছুক্ষণের মধ্যেই বিমানটি প্রযুক্তিগত সমস্যায় পড়ে এবং মাত্র ৬২৫ ফুট উচ্চতায় পৌঁছে রাডার থেকে অদৃশ্য হয়ে যায়।
• বিমানটি আহমেদাবাদের মেঘানি নগর এলাকার একটি আবাসিক ভবনে বিধ্বস্ত হয়।
• Onboard ছিল ২৪২ জন—২৩০ যাত্রী ও ১২ জন ক্রু, যাদের মধ্যে অনেকেই নিহত হয়েছেন বলে আশঙ্কা।
• বিধ্বস্তের ফলে ভবনগুলোতে আগুন ধরে যায় এবং আশেপাশের এলাকাও ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
• বিমানটি প্রায় ১১ বছর পুরোনো এবং ২০১৪ সালে এয়ার ইন্ডিয়ায় যুক্ত হয়েছিল।
• দুর্ঘটনার কারণ এখনও নিশ্চিত নয়, তবে তদন্তে প্রযুক্তিগত ত্রুটি ও ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়গুলো খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
• এটি বোয়িং ৭৮৭ ড্রিমলাইনারের ইতিহাসে প্রথম প্রাণঘাতী দুর্ঘটনা।
এয়ার ইন্ডিয়া ফ্লাইট AI171 আহমেদাবাদ বিমানবন্দরের রানওয়ে 23 ব্যবহার করেছিল।
• এটি পশ্চিম-দক্ষিণ-পশ্চিমমুখী একটি রানওয়ে, যা প্রায়শই আন্তর্জাতিক ডিপারচার ফ্লাইটের জন্য ব্যবহৃত হয়।
******সম্ভাব্য দুর্ঘটনার কারণ (তদন্তাধীন):
১)প্রযুক্তিগত ত্রুটি:
বিমানের ইঞ্জিন বা ফ্লাইট কন্ট্রোল সিস্টেমে ত্রুটি দেখা দিতে পারে। এয়ারক্রাফটটি সম্প্রতি মেইনটেন্যান্স বা রিফার্বিশন পেয়েছিল বলে জানা গেছে।
২)ইনস্ট্যান্ট পাওয়ার লস বা স্টল:
উড্ডয়নের সময় একটি বা একাধিক ইঞ্জিনে thrust কমে যেতে পারে, ফলে বিমান স্টল করে নিচে পড়ে।
৩)ম্যানুয়াল কন্ট্রোল ইস্যু:
ককপিটে কোনো কনফিগারেশন ভুল বা হিউম্যান ফ্যাক্টর (যেমন: flap/gear সমস্যা, speed misjudgment) ঘটতে পারে।
৪)বার্ড হিট বা এক্সটার্নাল অবজেক্ট:
রানওয়ের কাছাকাছি বড় পাখির সাথে সংঘর্ষ ইঞ্জিন ফেলিউর ঘটাতে পারে — যদিও এখনো এটি নিশ্চিত নয়।
৫)জ্বালানি লিক বা আগুন:
দুর্ঘটনার পরে তীব্র আগুন দেখা গেছে, ফলে জ্বালানি ব্যবস্থায় লিক বা বিস্ফোরণ ঘটার সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না।
এই মুহূর্তে DGCA ও AAIB যৌথভাবে ব্ল্যাক বক্স এবং ককপিট ভয়েস রেকর্ডার বিশ্লেষণ করছে। সুনির্দিষ্ট কারণ জানতে কিছুদিন সময় লাগবে।
****ক্যাপ্টেন সুমীত সভরাওয়াল
• তিনি ‘লাইন ট্রেনিং ক্যাপ্টেন’ (LTC), অর্থাৎ নতুন বা অপারেটিং ট্রেনিংয়ের দায়িত্বে ছিলেন।
• মোট ফ্লাইট অভিজ্ঞতা: প্রায় ৮,২০০ ঘণ্টা — দীর্ঘমহাদেশ ও আন্তর্জাতিক রুটে বহু অভিজ্ঞতার প্রমাণ।
***ফার্স্ট অফিসার ক্লাইভ কুন্দর
• সিনিয়র ক্যাপ্টেনের সঙ্গে ছিলেন সহকারী হিসেবে।
• তার মোট ফ্লাইট সময়কাল: প্রায় ১,১০০ ঘণ্টা — আন্তর্জাতিক ট্রেনিং এবং অভ্যন্তরীণ ফ্লাইটে কাজ করেছেন .
এই দুই পাইলট কাট্নীন পরিস্থিতিতে MAYDAY ডিস্ট্রেস কল দিয়েছেন — ক্যাপ্টেন সভরাওয়াল তার ইমার্জেন্সি সঙ্কেত ATC-তে পাঠান . তবে ঘটনাটি এত দ্রুত ঘটেছিল যে সঙ্কেতের পর আর ফেরৎ যোগাযোগ সম্ভব হয়নি।
আহমেদাবাদে ঘটে যাওয়া মর্মান্তিক বিমান দুর্ঘটনায় আমরা গভীরভাবে শোকাহত। যারা এই দুর্ঘটনায় তাদের প্রিয়জনকে হারিয়েছেন, তাদের প্রতি আমাদের গভীর সমবেদনা। এই অপূরণীয় ক্ষতি মেনে নেওয়া অত্যন্ত কঠিন, এবং এই দুঃসময়ে আমাদের হৃদয় আপনাদের সাথে আছে। নিহত সকলের আত্মার শান্তি কামনা করি। এই কঠিন সময়ে আপনারা যেন শক্তি পান, এই প্রার্থনাই করি।