18/10/2025
দেখুন, লক্ষ্য করুন, সেই অলৌকিক সৃষ্টির প্রতি—এক টুকরো চর্বি আর মাংসের অংশ, যার ওজন মাত্র ১৪০০ গ্রাম—যার নাম “মস্তিষ্ক”!
হে মহান সৃষ্টিকর্তা! অনুগ্রহ করে বলুন, কীভাবে আপনি এই মাংসের টুকরো থেকেই সৃষ্টি করলেন সমগ্র সৃষ্টির মধ্যে সবচেয়ে বিস্ময়কর জীবন্ত কম্পিউটারটিকে?!
- স্নায়ুবিজ্ঞানীরা বলেন, মানুষের মস্তিষ্কের তথ্য সংরক্ষণের ক্ষমতা “পেটাবাইট” (অর্থাৎ ১৫টি শূন্য) পরিমাণ ডেটার সমান — যা গোটা ইন্টারনেট জগতের ডেটা ধারণক্ষমতার সমান!
- এমন কাজ সম্পাদন করতে একটি সাধারণ কম্পিউটারের প্রয়োজন হয় প্রায় ৪ মিলিয়ন ওয়াট বিদ্যুৎ শক্তি; অথচ মানবমস্তিষ্ক সেই কাজ করে মাত্র ১০০ ওয়াট শক্তিতে।
- মানুষের মস্তিষ্কের এক সেকেন্ডের কার্যক্রম অনুকরণ করতে বিজ্ঞানীরা ব্যবহার করেছিলেন বিশ্বের অন্যতম দ্রুততম সুপার কম্পিউটার, যেখানে ছিল ৮২,০০০-এরও বেশি প্রসেসর!
- গবেষকদের হিসেবে, মানবমস্তিষ্কের পূর্ণ অনুকরণ করতে হলে এমন এক যন্ত্র প্রয়োজন যার গণনাশক্তি হবে অন্তত ৩৬.৮ পেটাফ্লপস, যেখানে ১ পেটাফ্লপ মানে হলো এক হাজার ট্রিলিয়ন গণনা প্রতি সেকেন্ডে এবং প্রয়োজন হবে ৩.২ পেটাবাইট (অর্থাৎ ৩২০০ টেরাবাইট) র্যাম মেমোরি!
- জীববিজ্ঞানীদের মতে, মানবমস্তিষ্কে রয়েছে প্রায় ১০০ বিলিয়ন (দশ হাজার কোটি) স্নায়ুকোষ, যা পরস্পরের সঙ্গে সত্যিকার অর্থেই সংযুক্ত,
অর্থাৎ এতে রয়েছে প্রায় ২২০ ট্রিলিয়ন সংযোগ বিন্দু, যাকে বলে সিন্যাপস বা স্নায়ুবন্ধ।
— আমার স্রষ্টা! আপনি কত মহান, আমরা আপনার মহিমা যথাযথভাবে উপলব্ধি করতে পারিনি!
এই জীবন্ত কম্পিউটারই পৃথিবীর সব আবিষ্কারের মূল, সে-ই উদঘাটন করেছে মহাবিশ্বের সকল নিয়ম,
সে-ই সমাধান করে জটিলতম রহস্য ও গণিতের কঠিনতম সমীকরণ।
তাহলে কীভাবে সম্ভব হলো—মহাবিশ্বের ভাষা, যা লেখা হয়েছে গণিতের ভাষায়, তা এক টুকরো মাংস বুঝতে পারছে?!
নিশ্চয়ই এটি এক মহান স্রষ্টার অমূল্য দান—যার এ দান গ্রহণের আমরা যোগ্যই নই। তিনি দয়া করে মানুষকে তা বিশেষ করে দিয়েছেন...