18/05/2025
পাকিস্তানকে গোপন তথ্য সরবরাহের অভিযোগে গ্রেফতার হরিয়ানার কলেজ পড়ুয়া। সোশ্যাল মিডিয়ায় পিস্তল ও বন্দুকের ছবি আপলোড করায় গ্রেফতার করা হয়েছিল তাঁকে। কিন্তু জিজ্ঞাসাবাদে উঠে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য। অভিযোগ, পাকিস্তানের গুপ্তচর সংস্থা ISI-কে ভারতের গোপন ও স্পর্শকাতর তথ্য সরবরাহ করেছিলেন ওই তরুণ। বিনিময়ে তিনি মোটা টাকা পেয়েছিলেন বলেও দাবি তদন্তকারীদের। পাকিস্তানকে তথ্য সরবরাহ করার অভিযোগে এই নিয়ে চলতি সপ্তাহে দ্বিতীয় গ্রেফতারির খবর সামনে এল। (India-Pakistan Tension)
হরিয়ানার কৈথল থেকে ২৫ বছর বয়সি কলেজ পড়ুয়া, দেবেন্দ্র সিংহ ঢিলোঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পটিয়ালা খালসা কলেজে রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগে পাঠরত ওই পড়ুয়া। সম্প্রতি ফেসবুকে তিনি পিস্তল ও বন্দুকের ছবি আপলোড করেছিলেন, যার জেরে গত ১২ মে তাঁকে গ্রেফতার পুলিশ। কিন্তু জিজ্ঞাসাবাদে চাঞ্চল্যকর তথ্য় উঠে এসেছে বলে জানিয়েছেন তদন্তকারীরা। বিষয়টি সামনে আসতেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে। (India-Pakistan Conflict)
তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন, গত বছর নভেম্বর মাসে কর্তারপুর করিডর দিয়ে পাকিস্তান গিয়েছিলেন ওই তরুণ। সেখানে পাকিস্তানের ISI এজেন্টদের সঙ্গে সাক্ষাৎ হয়। ISI এজেন্টদের হাতে গোপন ও স্পর্শকাতর তথ্য তুলে দেন তিনি। ঢিলোঁকে নিজেদের বাগে আনতে ISI প্রচুর টাকাও খরচ করে বলে জানা গিয়েছে। কৈথলের পুলিশ সুপার আস্থা মোদি জানিয়েছেন, স্নাতকোত্তর স্তরের প্রথম বর্ষের ছাত্র দেবেন্দ্র। ISI-কে তিনি পটিয়ালা মিলিটারি ক্যান্টনমেন্টের ছবিও পাঠিয়েছিলেন।
দেবেন্দ্রর ফোনটি বাজেয়াপ্ত করে ফরেন্সিক তদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। তাঁর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে লেনদেন সংক্রান্ত তথ্যও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন, পাকিস্তান থেকে ফিরে আসার পরও ISI এজেন্টদের সঙ্গে যোগাযোগ ছিল দেবেন্দ্রর। দেবেন্দ্র সেই কথা স্বীকারও করে নিয়েছেন বলে দাবি করেছেব তদন্তকারীরা।
এর আগে, ২৪ বছর বয়সি নৌমান ইলাহি নামের এক তরুণকে পানিপথ থেকে গ্রেফতার করা হয়। উত্তরপ্রদেশের বাসিন্দা ওই তরুণ হরিয়ানায় নিরাপত্তারক্ষীর চাকরি করছিলেন। তদন্তকারীদের দাবি, পাকিস্তানকে গোপন তথ্য পাচার করে জামাইবাবু এবং এক গাড়ির চালকের অ্যাকাউন্টে টাকা নিতেন নৌমান। পঞ্জাব পুলিশও গত সপ্তাহে এক মহিলা-সহ দু’জনকে গ্রেফতার করে। দিল্লিতে পাকিস্তান হাই কমিশনে কর্মরত এক আধিকারিকের সঙ্গে তাঁদের যোগাযোগ ছিল, পাকিস্তানের হয়ে তাঁরা চরবৃত্তি করছিলেন বলে অভিযোগ। পর পর এমন ঘটনায় সীমান্ত এলাকার নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।