21/05/2025
গত ১৯ মে কোচবিহার পঞ্চানন বর্মা বিশ্ববিদ্যালয়ে এআইডিএসও কর্মীদের উপরে তৃণমূল ছাত্র পরিষদ আশ্রিত দুষ্কৃতিদের ঘৃণ্য আক্রমণের পর ২০মে বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠরত এআইডিএসও কর্মী সন্দীপ বর্মণকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে ব্যাপক অত্যাচারকে ধিক্কার
ক্যাম্পাসে গণতান্ত্রিক পরিবেশ রক্ষার্থে সর্বস্তরের ছাত্র সমাজ এক হও
AIDSO কোচবিহার পঞ্চানন বর্মা বিশ্ববিদ্যালয় ইউনিটের আবেদন
প্রিয় ছাত্র-ছাত্রী বন্ধুরা,
যোগ্য শিক্ষক-শিক্ষিকা শিক্ষাকর্মীদের উপর বর্বরোচিত পুলিশি অত্যাচারের প্রতিবাদে ১৯ মে সারা বাংলা জুড়ে কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র ধর্মঘটের আহ্বান দেওয়া হয়েছিল AIDSO পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য কমিটির পক্ষ থেকে। ধর্মঘটের সমর্থনে সেই দিন বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরে সংগঠনের পক্ষ থেকে শান্তিপূর্ণভাবে পিকেটিং করা হচ্ছিল, ছাত্র-ছাত্রীদের ব্যাপক সমর্থনে সর্বাত্মক সফল হওয়ার পর যখন আমাদের কর্মী সমর্থকরা ক্যাম্পাস থেকে বেরিয়ে আসছিল, তখন তৃণমূল ছাত্র পরিষদ আশ্রিত একদল দুষ্কৃতি, মদ্যপ অবস্থায় আমাদের কর্মী সংগঠকদের উপরে আক্রমণ নামিয়ে আনে। এআইডিএসও'র পক্ষ থেকেও এ আক্রমণকে প্রতিরোধ করার চেষ্টা করা হয়। তৃণমূল ছাত্র পরিষদের আক্রমণে আমাদের ১১ জন আহত হয় এবং ৬জনকে হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়। আমরা খুবই উদ্বেগের সহিত লক্ষ্য করলাম এই ধরনের বর্বরোচিত আক্রমণের পর, হাসপাতালে চিকিৎসাধীন এআইডিএসও কর্মীদের লাগাতার ফোন করে হুমকি দিতে থাকে।
শুধু তাই নয়, গতকাল বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরে কোচবিহার পঞ্চানন বর্মা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের ছাত্র AIDSO কর্মী সন্দীপ কুমার বর্মন কে ইউনিভার্সিটি ক্যাম্পাসে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা ব্যাপক মারধর করে । তারপর তাকে ক্যাম্পাস থেকে টোটোতে তুলে নিয়ে কোচবিহার কলেজের ইউনিয়ন রুমে নিয়ে যায় । সেখানে তার ওপর ব্যাপক অত্যাচার নামিয়ে আনে। সন্দ্বীপের মাথায়, ঘাড়ে, মুখে এলোপাথাড়ি চর, ঘুষি মারে। অশ্লীল, অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ করে টিএমসিপি দুষ্কৃতীরা। সন্দীপ কে দিয়ে কোচবিহার পঞ্চানন বর্মা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র এবং এআইডিএসও কর্মীদের ফোন করে ওখানে ডাকতে বলে। সেই সময় তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা বাইরে রড,লাঠি নিয়ে ক্যাম্পাসের সামনে দাঁড়িয়ে থাকে, এআইডিএসও'র কর্মীদের মারার জন্য । সংগঠনের পক্ষ থেকে বারবার থানায় ফোন করার পরেও ঘটনাস্থলে পুলিশ যেতে গড়িমসি করে। সংগঠনের জেলা সম্পাদক আসিফ আলম থানায় গিয়ে চাপ দেয় । তারপর ঘটনাস্থলের উদ্যেশ্যে পুলিশ যায় এবং খবর পেয়ে সন্দীপ কুমার বর্মন কে সেই টিএমসিপি দুষ্কৃতি বাহিনী ছেড়ে দেয় ।সন্দীপ বর্মন কে প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য কোচবিহার মেডিকেল কলেজে নিয়ে যাওয়া হয়। কোতয়ালি থানায় লিখিত অভিযোগ করা হয়। আমরা এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। ক্যাম্পাস থেকে একজন ছাত্রকে অন্যায় ভাবে তুলে নিয়ে ব্যাপক আক্রমণ ক্যাম্পাসের গণতান্ত্রিক পরিবেশকে চূড়ান্ত ভাবে বিঘ্নিত করছে। আমরা দাবি করছি, অবিলম্বে টিএমসিপি দুষ্কৃতীদের গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে। পাশাপাশি যোগ্য শিক্ষকদের উপর পুলিশী বর্বরতার প্রতিবাদে আন্দোলনরত এই এআইডিএসও কর্মীদের উপরে তৃণমূলের দুষ্কৃতীদের ব্যাপক অত্যাচারের বিরুদ্ধে ছাত্র-ছাত্রী সহ শিক্ষক শিক্ষাকর্মীবৃন্দকেও সোচ্চার হওয়ার জন্য আবেদন জানাচ্ছি।
সংগ্রামী অভিনন্দন সহ
সুনির্মল অধিকারী
সম্পাদক
AIDSO, কোচবিহার পঞ্চানন বর্মা বিশ্ববিদ্যালয় ইউনিট