১৬ আনা বাঙালি

১৬ আনা বাঙালি বাংলা ও বাঙালির কথোপকথন

28/07/2025

দেখা হবে না আর কোনও দিনই

জগন্নাথ দেবের স্নান যাত্রা 🙏২৭ ই জ্যেষ্ঠ ১৪৩১ সনচার ধামের এক নাম, পুরীর জগন্নাথদেবের ধামের স্নান যাত্রার মুহূর্ত 😍 ছবি: ...
11/06/2025

জগন্নাথ দেবের স্নান যাত্রা 🙏
২৭ ই জ্যেষ্ঠ ১৪৩১ সন
চার ধামের এক নাম, পুরীর জগন্নাথদেবের ধামের স্নান যাত্রার মুহূর্ত 😍
ছবি: সংগৃহীত

শুভ জন্মদিন উর্মিলা বিশ্বাস  , আ্যডমিন ১৬ আনা বাঙালি ১৬    - পেজের।জন্মদিনের অনেক অনেক শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা ❤️। ভগবানের ক...
08/03/2025

শুভ জন্মদিন উর্মিলা বিশ্বাস , আ্যডমিন ১৬ আনা বাঙালি ১৬ - পেজের।

জন্মদিনের অনেক অনেক শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা ❤️। ভগবানের কাছে প্রার্থনা করি তোমার প্রতিটি দিন কাটুক খুব আনন্দে💞💞 ভালো থেকো, সুস্থ থেকো সব সময়।

পেজ টাকে বড়ো করে তোলার জন্য তোমার ও অবদান আছে অনেক 😍❣️। এই পেজের মাধ্যমে তোমার সঙ্গে পরিচয় হয়েছিল,এক অজানা তথ্য সকলের কাছে পৌঁছে দেওয়ার মাধ্যমে।সেখান থেকেই বন্ধুত্ব হয়েছে তোমার সঙ্গে‌। এখন তো তুমি পেজের একজন বড়সড় সদস্য।সময় পেলেই নতুনত্ব কিছু পোষ্ট করার কথা জানাও আমায়।আশা করি ভবিষ্যতে আরও ভালো ভালো কন্টেন্ট তুলে ধরবে।

বাংলা ও বাঙালির নানা ধরনের অজানা তথ্য নিয়ে এই পেজের মাধ্যমে সকলের কাছে পৌঁছে দাও। পেজটার পাশে এই ভাবেই থেকো সবসময় 😊😊।

জন্মদিনের অনেক অনেক ভালোবাসা জানাই অ্যাডমিন ও পেজের সকল পরিবার এর তরফ থেকে ❤️❤️।

সৌজন্যেঃ অ্যাডমিন Rahul Dutta

|| গ‌ম্ভীরা লোকনৃত্যর ইতিবৃত্ত |||| মালদা জেলার গর্ব, বাংলা গর্ব, পশ্চিমবঙ্গ ||গম্ভীরা বাংলার লোকসঙ্গীতের অন্যতম একটি ধা...
30/01/2025

|| গ‌ম্ভীরা লোকনৃত্যর ইতিবৃত্ত ||
|| মালদা জেলার গর্ব, বাংলা গর্ব, পশ্চিমবঙ্গ ||

গম্ভীরা বাংলার লোকসঙ্গীতের অন্যতম একটি ধারা। পশ্চিমবঙ্গের মালদহ জেলা ও বাংলাদেশের চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলাতে গম্ভীরার প্রচলন রয়েছে। গম্ভীরা দলবদ্ধভাবে গাওয়া হয়। এটি বর্ণনামূলক গান। পশ্চিমবঙ্গের মালদহ জেলা অঞ্চলে গম্ভীরার মুখোশ পরে গম্ভীরা গানের তালে গম্ভীরা নৃত্য পরিবেশন করা হয়৷ বাংলাদেশের চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা অঞ্চলের গম্ভীরার মুখ্য চরিত্রে নানা-নাতি খুব জনপ্রিয়।

ধারণা করা হয় যে, গম্ভীরা উৎসবের প্রচলন হয়েছে শিবপূজাকে কেন্দ্র করে। শিবের এক নাম 'গম্ভীর', তাই শিবের উৎসব গম্ভীরা উৎসব এবং শিবের বন্দনাগীতিই হলো গম্ভীরা গান।

পশ্চিমবঙ্গের মালদহ অঞ্চলে চৈত্রসংক্রান্তির গাজন উৎসবই গম্ভীরা পূজা ও উৎসব নামে পরিচিত (উত্তরবঙ্গের জলপাইগুড়িতে এটি গমীরা নামে খ্যাত)। চৈত্রের শেষ চারদিনে মূল অনুষ্ঠান হয়, তবে অঞ্চলভেদে বৈশাখ, জ্যৈষ্ঠ এমনকি শ্রাবণ মাসেও শিবমূর্তি স্থাপন করে গম্ভীরা পূজা হয়। বর্তমানে মূলত শিবপূজা নামে খ্যাত হলেও প্রাচীনকালে এটি সূর্যের উৎসব ছিল বলে মনে করা হয়।

মালদহে নিম্নবর্ণের হিন্দু, কোচ-রাজবংশী, পোলিয়া সম্প্রদায়ের লোকেরা মূলত উৎসবে অংশগ্রহণ করেন। গম্ভীরা উৎসব মালদহ জেলাতে প্রধানত চার দিনের উৎসব। প্রথমদিন 'ঘটভরা' অনুষ্ঠান; গম্ভীরা মণ্ডপে ঘট স্থাপন করে শিবপূজার উদ্বোধন করা হয়। দ্বিতীয় দিনে হয় 'ছোট তামাশা'; এই দিনে শিব ও পার্বতীর পুজো হয়, পুজোর অনুষ্ঠান রং, তামাশা, আনন্দ, রসিকতার মধ্যে কাটে এবং ঢাক-ঢোল বাদ্য সহযোগে মণ্ডপে নানা নৃত্যানুষ্ঠানের ব্যবস্থা করা হয়। তৃতীয় দিনে 'বড়ো তামাশা'র সন্ন্যাসীরা শুদ্ধচিত্তে শুদ্ধাচারে কাঁটা-ভাঙ্গা, ফুল-ভাঙ্গা ও বাণফোঁড়ায় অংশ নেয়। এদিন মালদহে বিভিন্ন সঙের দল ঘোরে; রাতে গম্ভীরা মণ্ডপে মুখোশনৃত্য অনুষ্ঠিত হয়। চামুণ্ডা, নরসিংহী, কালীর মুখোশ পড়ে ঢাকের তালে তালে নৃত্য হয়। মুখোশ পড়ে উদ্দাম নৃত্যের মধ্য দিয়ে গম্ভীরার বিশেষ রূপ প্রকাশ পায়। চতুর্থ দিনের উৎসবের নাম ‘আহারা’। এই দিন মণ্ডপে শিবের সঙ্গে নীলপূজাও হয়, সঙ্গে গম্ভীরা গান গাওয়া হয়ে থাকে। বিকালবেলায় সঙ বেরোয়। বিভিন্ন সাজে সেজে সঙ গ্রাম-শহর পরিক্রমা করে। এই সঙ আবার দুই ভাগে বিভক্ত। প্রথম রীতিতে গান গেয়ে অভিনয় করা হয়। এখানে সব রকম ভাবে নাটকীয় গুণ প্রকাশ পায়। এই রীতিটিই হল গম্ভীরা লোকনাট্য।

গম্ভীরা গানের শুরুতে দেবাদিদেব শিবকে বন্দনা করার রীতি আছে। শিবরূপী অভিনেতাকে মঞ্চে নিয়ে এসে তাঁকে সমস্ত বিষয়ে জানানো হয়। সমাজের মঙ্গলের জন্য কী করণীয় বা কোনও সমস্যা থাকলে কী ভাবে তার সমাধান করা যেতে পারে, তার প্রতিকারের নিদান দেন।

গম্ভীরা গান সাধারণত দুপ্রকার — আদ্যের গম্ভীরা এবং পালা-গম্ভীরা। প্রথমত, দেবদেবীকে সম্বোধন করে মানুষ তার সুখ-দুঃখ পরিবেশন করলে তাকে আদ্যের গম্ভীরা বলা হয়। দ্বিতীয়ত, পালা-গম্ভীরায় নানা-নাতির ভূমিকায় দুজন ব্যক্তির অভিনয়ের মাধ্যমে এক একটা সমস্যা তুলে ধরা হয়।

গম্ভীরা গানের উৎপত্তি পশ্চিমবঙ্গের মালদহ জেলায় হিন্দুসমাজে। গম্ভীরা নৃত্যটি উত্তরবঙ্গের অর্থাৎ পশ্চিমবঙ্গের মালদহ জেলা জুড়ে চৈত্র সংক্রান্তির উৎসবের সময় প্রদর্শিত হয়। মালদহের গম্ভীরার বিশেষত্ব হল মুখোশের ব্যবহার৷ স্থানীয় সূত্রধর সম্প্রদায় নিম এবং ডুমুর গাছের অংশবিশেষের সাহায্যে মুখোশগুলি তৈরি করে। কখনও কখনও মুখোশগুলি মাটি দিয়েও তৈরি করা হয়।গম্ভীরা গানের তালে এই মুখোশ পরেই নৃত্য পরিবেশন করা হয়। গম্ভীরা নৃত্যের মুখোশ হিসাবে বিভিন্ন ধরনের মুখোশ ব্যবহৃত হয়। হিন্দু পৌরাণিক চরিত্রের বাণ, কালী, নরসিংহী, বাশুলী, গৃধিনীবিশাল, চামুণ্ডা, উগ্রচণ্ডা, ঝাঁটাকালী, মহিষমর্দিনী, লক্ষ্মী-সরস্বতী, হিরণ্যকশিপুবধ, তাড়কাবধ, শুম্ভনিশুম্ভ বধ ইত্যাদির মুখোশ ব্যবহৃত হয়। এই মুখোশের মধ্যে সবচেয়ে আকর্ষণীয় নরসিংহী মুখোশ।

যে সমস্ত প্রথিতযশা শিল্পীদের হাত ধরে গম্ভীরা মালদহ জেলাতে স্বমহিমায় বিরাজমান তাঁদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য নামগুলি হল ধনকৃষ্ণ অধিকারী, কৃষ্ণধনদাস গোস্বামী, মহম্মদ সুফি, গোপালচন্দ্র দাস, সতীশচন্দ্র গুপ্ত, গোলাম গুপ্ত, কিশোরীকান্ত চৌধুরী প্রমুখ। গম্ভীরা গানকে বিশেষ মাত্রায় পৌঁছে দিয়েছিলেন পুরাতন মালদহের ইটখোলা গ্রামে জন্ম নেওয়া এবং ইংরেজবাজার শহরের কুতুবপুর বাবুপাড়া নিবাসী যোগেন্দ্রনাথ চৌধুরী যিনি গম্ভীরাসম্রাট নামে আখ্যায়িত হন । গম্ভীরায় কৌতুক সৃষ্টিকারী অভিনেতা ও গায়ক শিল্পী হিসেবে তার স্থান ছিল অদ্বিতীয়। তার ডাকনাম ছিল মটরা। এক সময় , মালদহ তো বটেই, অবিভক্ত দিনাজপুর তথা গোটা বাংলায় তার অভিনীত গম্ভীরা মটরার গান হিসেবেও পরিচিত ছিল।

তথ্য সূত্র - বিভিন্ন প্রতিবেদন
ছবি -সৌনক পাল

মুর্শিদাবাদ বিষ্ণুপুর কালীবাড়ি🌺👣🌼🌺👣🌼🌺👣🌼🌺👣🌼🌺👣🌼🌺ঢাকা থেকে রাজপাট উঠিয়ে ভাগীরথীর তীরে মুকসুদাবাদে এসেছিলেন আওরঙ্গজ়েবের দেও...
28/01/2025

মুর্শিদাবাদ বিষ্ণুপুর কালীবাড়ি
🌺👣🌼🌺👣🌼🌺👣🌼🌺👣🌼🌺👣🌼🌺
ঢাকা থেকে রাজপাট উঠিয়ে ভাগীরথীর তীরে মুকসুদাবাদে এসেছিলেন আওরঙ্গজ়েবের দেওয়ান মুর্শিদকুলি খাঁ। মুর্শিদকুলি নাম থেকেই বোধহয় মুর্শিদাবাদ নামটা এসেছে। আর ১৭০৪ সালে বাংলা-বিহার-ওড়িষার রাজধানী মুর্শিদাবাদ নগর পত্তনের সময় বহরমপুর ছিল রাজধানীর দক্ষিণে একটি গ্রাম। তখন তার নাম ছিল সাতপুকুরিয়া ব্রহ্মপুর। গ্রামটার পূর্ব ও পশ্চিম দু'দিক দিয়ে ভাগীরথী নদী প্রবাহিত ছিল। সেসময় গ্রামটায় ৭০০ ঘর ব্রাহ্মণ বাস করতো তাই স্থানটির নাম হয় ব্রহ্মপুর। পলাশীর যুদ্ধর পরে ইংরেজ আমলে বহরমপুর শহরের পত্তন ঘটে। নিজেদের দরকারেই পলাশির যুদ্ধের পরে এই এলাকাতে সেনানিবাস তৈরি করে ইংরেজরা। নতুন নবাব মীর জাফর আলী খান ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানিকে ব্রহ্মপুর মৌজায় ৪০০ বিঘা জমি দান করেন। ১৭৬৫ সালে বহরমপুর ক্যান্টনমেন্টের সূচনা হয়। ইংরেজদের উচ্চারনে ব্রহ্মপুর হয়ে যায় বহরমপুর। আর বাংলা-বিহার-ওড়িশার রাজধানী মুর্শিদাবাদ প্রতিষ্ঠিত হওয়ার অনেক আগেই বাংলার বিখ্যাত বাণিজ্যকেন্দ্র কাশিমবাজার। এই কেন্দ্রকে ঘিরে সেখানে দেশি ও বিদেশি বণিকরা ভিড় জমিয়েছিলেন। ইংরেজ, ফরাসি ও ওলন্দাজ বণিকদের নজর ছিল কাশিমবাজারের উপরে। একে সেটি বন্দর, তার উপরে সেই অঞ্চলের রেশম শিল্পের খ্যাতি দেশ জুড়ে। শোনা যায়, কাশিমবাজারের কান্ত বাবু ওরফে কৃষ্ণচন্দ্র নন্দী অসহায় ওয়ারেন হেস্টিংসকে এক রাতে আশ্রয় ও খাবার দিয়ে সাহায্য করেন। পরদিন হেস্টিংস পালিয়ে গেলেও পরে ফিরে আসেন সাহায্যদাতার খোঁজে। কান্তর খোঁজ হয়ে ওঠে হেস্টিংসের ডান হাত। সেই ঘটনা থেকেই কাশিমবাজারের রাজা হন কান্তনন্দী।
আনুমানিক ১৫৪০ খ্রিস্টাব্দে ত্রিবেণীর কাছে ভাগীরথীর গতিপথের পরিবর্তন হওয়ার জন্য সরস্বতী নদীতীরের বন্দর সপ্তগ্রামের বাণিজ্য হ্রাস পেতে থাকে। এরপরে বাংলার উত্তরবঙ্গ ও দক্ষিণবঙ্গের মধ্যবর্তী স্থানে। আনুমানিক ১৬৩১ খ্রিস্টাব্দ থেকে কাশিমবাজার বাণিজ্যের কেন্দ্র হিসেবে প্রসিদ্ধি লাভ করতে শুরু করে। অষ্টাদশ শতাব্দীর প্রারম্ভে বাংলার রাজধানী ঢাকা থেকে মুর্শিদাবাদে এলে কাশিমবাজারের ব্যবসা-বাণিজ্য বহুগুণ বেড়ে যায়। সপ্তগ্রাম বন্দরের পরে আর কলকাতা বাণিজ্যকেন্দ্র হয়ে ওঠার মাঝে কাশিমবাজার ছিল বাংলার শ্রেষ্ঠ বাণিজ্যকেন্দ্র। এই হলো কাশিম বাজারে গল্প। কাশিমবাজারের ছোট রাজবাড়ি যাওয়ার পথেই চোখ আটকে গেল সাদা মর্মর স্থাপত্যে, তার থামজোড়া কারুকাজে। ওলন্দাজদের কবরখানা। যেখানে মাটির নীচে আজও শুয়ে জনাপঞ্চাশেক ওলন্দাজ! সেই পথেই পরে করুণাময়ী কালীমন্দির।
বহরমপুর বিষ্ণুপুর কালীবাড়ি। এই কালীবাড়ির মা এখানে "করুনাময়ী মা" হিসাবে পুজিত হন। এই কালীবাড়িতে প্রতিবছর পৌষ মাস অর্থাৎ মায়ের আবির্ভাবের মাসে,জুড়ে টানা এক মাস এখানে মেলা হয়। এখানকার মা খুব জাগ্রত। শোনা যায় নবাব সরফরাজ খান আমলে কাজের সন্ধানে মহারাষ্ট্র থেকে বাংলায় আসেন এক ব্রাহ্মণ তার নাম কৃষ্ণনন্দ হােতা। কাশিমবাজারে নবাবের অধীনে তিনি কাজ পান। কৃষ্ণনন্দ হােতা খুব ধার্মিক মানুষ ছিলেন। তিনি নিঃসন্তান হওয়ায় এক সময় তিনি নিজের দেশে ফিরে যাবেন বলে ঠিক করেন। এরপরেই তিনি স্বপ্ন পান। এক বছর তার কন্যা সন্তান হয় তার নাম রাখেন। করুনাময়ী। এই করুনাময়ী বাবা অন্ত প্রান কাজের অফিসেও তিনি চলে যেতো। সেই সময়ে এই বিষ্ণুপুর ছিল মহাশ্মশান জঙ্গলাকীর্ণ। কৃষ্ণনন্দ হােতার বাড়ি ছিল বহরমপুরের সৈদাবাদে। প্রতিদিন অফিস থেকে ফেরার আগে এই বিষ্ণুপুর মহাশ্মশানে বট বৃক্ষের তলায় ধ্যান করতেন। আর মেয়ে করুনাময়ী সেই সময় তার সামনেই খেলা করে বেড়াতাে। একদিন অফিস শেষ করে বিষ্ণপুরে এসে তার মনে পড়েছে তিনি অফিসে কোন জরুরী কাজ ফেলে রেখে এসেছেন। তাই তাকে কাশিমবাজার যেতে হবে কিন্তু কন্যা করুনাময়ী তার সঙ্গে আর যেতে রাজী হয়নি। তার পরিচিত এক শাখারী যাচ্ছেন। কৃষ্ণনন্দ বলেন তার কন্যাকে যেন তিনি বাড়িতে পৌঁছে দিতে বলেন। পথে পারাপার ঘাটের কাছে আসতেই করুনাময়ী হানেমে পড়েন এবং জলের। অনেক ডাকাডাকি করেও করুনাময়ী আর আসেনি। করুনাময়ী বলেন ওই শাখারীকে তার হাতে যেন শাখা পড়িয়ে দেওয়া হয়। এবং কন্যা শোকে কৃষ্ণনন্দ বিষ্ণপুরে সাধনা রত অবস্থায় মা দর্শন পান এবং মন্দির প্রতিষ্ঠা হয়। বহরমপুরের মা করুণাময়ী বিস্টুপুরের মা বলে ডাকে -বামাখ্যেপা এই মাকে দর্শন করেছিলেন বলেও কথিত আছে। মুর্শিদাবাদের কালীঘাট নামে এই স্থান পরিচিত। কথিত আছে বহরমপুর এলাকার জাগ্রত দেবী আনন্দময়ী, করুণাময়ী ও কৃপাময়ী ৩ বােন।
কৃপাময়ী মন্দিরে এক সময় এক দুপুরে ডাকাতরা মা-কে ভােগ দেওয়া সময় এক ডাকাত গা ঢাকা দিয়ে ছিল। ভােরে মন্দিরে ডাকাতি করে পালানাের সময় হঠাৎ কাঁসার বাসন পড়ে যায়। কেউ বলেন সেবাইত পরিবারের এক সদস্য স্বপ্নাদেশে জানতে পারেন মন্দিরে ডাকাতি হচ্ছে। তিনি গুলি করে এক ডাকাতকে মেরে ফেলেন। ডাকাতরা নাকি মূর্তির গা থেকে গয়না খােলার সময় মায়ের একটি পা ভেঙে ফেলে। পরে বারাণসী থেকে আবার কষ্ঠিপাথর নতুন মুর্তি নিয়ে আসা হয়। কৃপাময়ী কালী মাকে নতুন করে প্রতিষ্ঠা করা হয়। আর পুরাতন মূর্তিটি আনন্দময়ী কালী মন্দিরে রাখা হয়।
তবে বহরমপুরের কাশিমবাজার ভাটপাড়া এই কৃপাময়ী কালীবাড়ির শতবর্ষ মানে ১২৫-১২৬ বছরের পুরাতন। শোনা যায় তখন স্বাধীনতা সংগ্রামীরা এই মন্দিরে গোপন আস্তানা তৈরি করেছিলেন। নাকি নেতাজিও এখানে আসতেন।
কাশিমবাজারের রাজা মণীন্দ্র চন্দ্র নন্দীর রাজবাড়িতে পুরোহিত ছিলেন শুধাংশু শেখর চট্টোপাধ্যায়। তিনি এই মন্দিরে প্রতিষ্ঠাতা করেন। মা কালী তখন মাটির বাড়িতে থাকতেন। রাজা মণীন্দ্র চন্দ্র উদ্যোগী হয়ে এই আজকের এই মন্দির তৈরি করেন।
লেখনী :- মানব মন্ডল মহাশয়
Fans of Durga Puja🌿🌿

Netaji Untold Story ❤️✊আজ আমার ভগবানের আবির্ভাবের পূর্ণ তিথি 🙏১৮৯৭ সালে ২৩ শেষ জানুয়ারি (৫ই মাঘ) শনিবার বেলা ১২:১৫ মিনি...
23/01/2025

Netaji Untold Story ❤️✊

আজ আমার ভগবানের আবির্ভাবের পূর্ণ তিথি 🙏

১৮৯৭ সালে ২৩ শেষ জানুয়ারি (৫ই মাঘ) শনিবার বেলা ১২:১৫ মিনিটে কৃষ্ণপক্ষের পঞ্চমী তিথিতে, উড়িষ্যার কটক শহরে, প্রভাবতী দেবী এক পুত্র‌ সন্তানের জন্ম দেন।

প্রভাবতী দেবী আদর করে তাঁকে সুবী বলে ডাকতেন। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে তিনি বড়ো হতে থাকেন।তবে তাঁর চিন্তাধারা ছোটো থেকেই বাকি ছেলে-মেয়েদের থেকে আলাদা ছিল। পরবর্তীতে তিনি দেশের জন্য তাঁর সর্বস্ব ত্যাগ করেন,দেশ মায়ের জন্য নিজের জীবন উৎসর্গ করে দেন।দেশ স্বাধীন করার উদ্দেশ্যে ইংরেজদের চোখে ধুলো দিয়ে ছদ্মবেশ ধারণ করে পাড়ি দেন বিদেশে।

শত্রুর শত্রু মিত্র হয়,এই যুক্তিতে তিনি বিশ্বাস করতেন। তার জন্য হিটলারের সঙ্গে দেখা করেন এবং তাঁর সাহায্য নেন। তিনি প্রথম ব্যক্তি ছিলেন যিনি সরাসরি ইংরেজদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেন।তিনি অখন্ড ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী ছিলেন।

আমার কাছে নেতা একজন, তিনি অদ্বিতীয় আমাদের ভারতের ভাগ্য বিধাতা নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু 🙏

#নেতাজি_জিন্দাবাদ
#জয়হিন্দ
#দেশপ্রেম_দিবস
#ভগবানের_১২৫তম_জন্ম_তিথি

Netaji Untold Story ❤️ 🧿 সুভাষ চন্দ্র বসু  জাতির উদ্দেশ্যে  বলেছিলেন - "স্বাধীনতা মানে শুধুমাত্র রাজনৈতিক বন্ধন থেকেই মু...
23/01/2025

Netaji Untold Story ❤️ 🧿

সুভাষ চন্দ্র বসু জাতির উদ্দেশ্যে বলেছিলেন -
"স্বাধীনতা মানে শুধুমাত্র রাজনৈতিক বন্ধন থেকেই মুক্তি নয়, স্বাধীনতা মানে সম্পদের সুষম বন্টন , জাতপাতের ভেদাভেদ ও সামাজিক অসাম্যের অবলুপ্তি এবং সাম্প্রদায়িকতা ও ধর্মীয় অসহিষ্ণুতার অবসান।"

হে মহান দেশনায়ক জন্মতিথিতে জানায় শুভেচ্ছা, ভালোবাসা, বিনম্র শ্রদ্ধা ও প্রণাম ❤️🙏

হৃদয়ে সুভাষ❤
রক্তে সুভাষ❤️
আমাদের নেতা একজনই "নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু"❤🙏
জয় হিন্দ✊
জয়তু নেতাজি🙏

দেশপ্রেম দিবসের শুভেচ্ছা জানায় সকলকে 🙏❤️

🙏🙏🙏
23/01/2025

🙏🙏🙏

রাঢ় বাংলা 😍স্থান: ঈশ্বরবাটি,সাগরদিঘী,মুর্শিদাবাদছবি : ফারুক আবদুল্লাহ
31/12/2024

রাঢ় বাংলা 😍

স্থান: ঈশ্বরবাটি,সাগরদিঘী,মুর্শিদাবাদ
ছবি : ফারুক আবদুল্লাহ

শীতের সকাল 😍কোন কোন জায়গায় এটার নাম কি...জানাবেন সবাই....... 😊ছবি : নিজস্বী
27/12/2024

শীতের সকাল 😍

কোন কোন জায়গায় এটার নাম কি...
জানাবেন সবাই....... 😊
ছবি : নিজস্বী

মা 🙏Char Durgapur Kali MandirP.O. HarudangaP.S. Raninagar Murshidabadছবি -  Mondal
24/12/2024

মা 🙏
Char Durgapur Kali Mandir
P.O. Harudanga
P.S. Raninagar
Murshidabad
ছবি - Mondal

শুভ সকাল 😊ছবি : রেনুকা খাতুন
10/12/2024

শুভ সকাল 😊

ছবি : রেনুকা খাতুন

Address

Berhampore

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when ১৬ আনা বাঙালি posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share