ভাবনায় ভদ্রেশ্বর Bhabnay Bhadreswar

ভাবনায় ভদ্রেশ্বর Bhabnay Bhadreswar Bhabnay Bhadreswar
ভাবনায় ভদ্রেশ্বর

29/06/2025
কলকাতা : দক্ষিণ কলকাতায় কলেজের মধ্যেই ঘটে গিয়েছে ন্যক্কারজনক ঘটনা। কলেজের ছাত্রীকেই গণধর্ষণের অভিযোগ উঠল ক্যাম্পাসের মধ্...
28/06/2025

কলকাতা : দক্ষিণ কলকাতায় কলেজের মধ্যেই ঘটে গিয়েছে ন্যক্কারজনক ঘটনা। কলেজের ছাত্রীকেই গণধর্ষণের অভিযোগ উঠল ক্যাম্পাসের মধ্যে। অভিযোগকারিণীর অভিযোগের ভিত্তিতে গতকাল রাতেই গ্রেফতার হয় ৩ জনকে। জানা গিয়েছে, ধৃত মূল অভিযুক্ত মনোজিৎ মিশ্র ওই কলেজেরই প্রাক্তনী। সেই সঙ্গে গ্রেফতার হয়েছে ওই কলেজেরই পড়ুয়া আরও ২ জন।
মুখ খুললে ভিডিও করে ভাইরাল করার হুমকি, পুলিশের কাছে অভিযোগ কসবাকাণ্ডের নির্যাতিতার
কলকাতায় কলেজের মধ্যেই ছাত্রীকে গণধর্ষণ! অভিযুক্ত TMC কর্মী তথা কলেজেরই অস্থায়ী কর্মী

// কলকাতার কলেজে 'গণধর্ষণ'//
ঠিক কী ঘটেছিল সেদিন ছাত্রীর সঙ্গে? কীভাবে তাঁকে আটকে রাখে মনোজিতরা?
'মনোজিৎ কলেজে অস্থায়ী চাকরি করত গভর্নিং বডির সুপারিশে', জানালেন ভাইস প্রিন্সিপাল
প্রথমবার গড়াল রথের চাকা, নারকেল ফাটিয়ে সোনার ঝাড়ু দিয়ে ঝাড় দিলেন, দিঘায় রথযাত্রায় সূচনা মুখ্যমন্ত্রীর
জানা গিয়েছে, ধৃত মূল অভিযুক্ত মনোজিৎ মিশ্র কলেজের প্রাক্তনী । গত ২৫ জুন কলেজের একটি অনুষ্ঠানে ক্যাম্পাসে গিয়েছিলেন মনোজিৎ । জানা গিয়েছে, মনোজিৎ আলিপুর আদালতেই প্র্যাকটিস করে। সোশ্যাল মিডিয়ায় মনোজিৎ দাবি করেছেন, তিনি তৃণমূল কংগ্রেস ছাত্র পরিষদ করতেন। তিনি ওই কলেজের ইউনিট প্রেসিডেন্ট ছিলেন বলেও দাবি করেছেন মনোজিৎ । তার সোশ্যাল মিডিয়া প্রোফাইলে শাসক দলের নানা কর্মসূচিতে তার ছবি রয়েছে। দক্ষিণ কলকাতার শাসক দলের নেতাদের সঙ্গেও তার ছবি রয়েছে। ২ দিন আগেও তিনি দক্ষিণ কলকাতার যুব তৃণমূলের সভাপতি পদে সার্থক বন্দ্যোপাধ্যায় নির্বাচিত হওয়ার পরে তাঁকে উত্তরীয় পরিয়ে আসে এই মনোজিৎ। যদিও তৃণমূল ছাত্র পরিষদ তার সঙ্গে দূরত্ব তৈরি করার চেষ্টা করছে এখন। ওই কলেজের ছাত্র ছাত্রীরাও, মনোজিৎকে শাসকদলের ঘনিষ্ঠ হিসেবেই চেনে। কলেজের গভর্নিং বডির সঙ্গেও তার ওঠাবসা ছিল বলেই জানা যাচ্ছে। তাছাড়া মনোজিৎ মিশ্রকেই কয়েকদিন আগে কলেজের পরিচালন সমিতির সভাপতি অশোক কুমার দেবের অনুমতিতে অস্থায়ী কর্মী হিসেবে নিয়োগ করা হয়। তাহলে কি সেই সুযোগেই সেদিন সন্ধেয় কলেজে ঢুকেছিল ওই প্রাক্তনী? সেই ক্ষমতা বলেই কি নির্যাতিতাকে জোর করে প্রাক্তনী? প্রশ্ন অনেক।
#সূত্রের খবর, সাউথ ক্যালকাটা ল'কলেজে ছাত্র সংসদ ছিল TMCP-র দখলে। তার সভাপতি ছিলেন এই মনোজিৎ মিশ্র। তবে দীর্ঘদিন ধরে সেখানে নির্বাচন হয়নি। কিন্তু অভিযোগ, কলেজে একছত্র দাদাগিরি চালাতেন TMCP ইউনিটের প্রাক্তন সভাপতি । কলেজে পরিচিত ছিলেন ম্যাঙ্গো নামে। কলেজের দেওয়ালে দেওয়ালে লেখা 'মনোজিৎ দাদা ইজ ইন আওয়ার হার্টস!' কলেজের গায়ে খোদাই করা এই বার্তা যাকে ঘিরে, সেই মনোজিৎ মিশ্রই সাউথ ক্যালকাটা ল'কলেজের ছাত্রীকে গণধর্ষণে প্রধান অভিযুক্ত।
যদিও তৃণমূলের নেতারা, যাঁদের সঙ্গে মনোজিতের ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় রয়েছে, তাঁরাও বলছেন, সে টিএমসিপির সঙ্গে যুক্ত ছিল। এখন আর নয়। অভিযুক্ত মনোজিতের কঠোর শাস্তি চেয়েছেন তৃণমূল নেতা দেবাশিস কুমারও।

সকলের চোখের পলক পড়ে কিন্তু প্রভু জগন্নাথের কখনোই চোখের পলক পড়ে না .............. শ্রী শ্রী ঠাকুরনিজেই বলেছেন "আমি জগন্...
27/06/2025

সকলের চোখের পলক পড়ে
কিন্তু প্রভু জগন্নাথের কখনোই চোখের পলক পড়ে না ..............
শ্রী শ্রী ঠাকুর
নিজেই বলেছেন
"আমি জগন্নাথ।"যিনি নিজেকে কোনদিন প্রচারের সম্মুখে কোনদিন আনেন নি,আনতে ভাল বাসতেন না
তিনি নিজেই বলেছেন এ কথা ।
তাহলে একবার ভেবে দেখুন ,সে জন্যই তিনি পুরী জগন্নাথ ধামে কোনদিন যেতে পারেননি ।কারণ প্রভু জগন্নাথের সঙ্গে এই দেহ মনের মিলন হয়ে শরীরের পতন হয়ে যাবে। সমাধি হয়ে যাবে। তাই কোনদিন তিনি বিভিন্ন তীর্থস্থানে গেলেও পুরীতে যেতে পারেননি।।

ঠাকুর রামকৃষ্ণ দেব নিজের হাতে টেনে ছিলেন বলরাম বসুর বাড়ির রথ

এক বৎসর প্রভুদেব পুনরযাত্রার দিনে
করিতে আসিলেন লীলা বলরাম ভবনে....

সালটা ছিল ১৮৮৪ , ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ রথযাত্রা উৎসবে যোগদান করেছিলেন বলরাম মন্দিরে। সেইদিন ছিল পুনর্যাত্রা বা উল্টোরথ।
ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ দেব শশধর, প্রতাপ, রামদয়াল, রাম, মনোমোহন, শ্রীম, প্রভৃতি অনেকের সঙ্গেই বসে ভগবৎপ্রসঙ্গ করছিলেন। ইতিমধ্যে ছোট রথটি দোতলার বারান্দায় ফুল, মালায় সুসজ্জিত করে আনা হল। ঠাকুর ভক্তসঙ্গে রথের সামনে এলেন। রথমধ্যে শ্রীশ্রীজগন্নাথ, সুভদ্রা ও বলরামকে নানা রঙের ফুল, মালা, অলঙ্কার ও পীতাম্বরনববস্ত্রে সাজানো হয়েছে।

কথামৃতকার লিখেছেন -
"বলরামের সাত্ত্বিক পূজা, কোন আড়ম্বর নাই । বাহিরের লোকে জানেও না যে, বাড়িতে রথ হইতেছে।” ঠাকুর রথের দড়ি ধরে কিছুক্ষণ টানলেন এবং মধুর কণ্ঠে গাইলেন "নদে টলমল টলমল করে গৌরপ্রেমের হিল্লোলে রে" এবং "যাদের হরি বলিতে নয়ন ঝরে তারা দু ভাই এসেছে রে" এই গান দুটি।

ঠাকুর প্রেমানন্দে নর্তন-কীর্তন করছেন। ভক্তেরাও নৃত্যরত। কীর্তনীয়া বৈষ্ণবচরণ সম্প্রদায়ের সঙ্গে গানে ও নৃত্যে যোগ দিয়েছেন। দেখতে দেখতে দোতলার বারান্দা লোকে ভরে গেল। বাড়ির মেয়েরাও ঘর থেকে আনন্দঘন শ্রীরামকৃষ্ণের মহাসঙ্কীর্তন দেখছেন।

বলরাম ভবনের পরিবেশ দেখে কথামৃতকারের মনে হল" এ যেন শ্রীবাস মন্দিরে শ্রীগৌরাঙ্গ ভক্ত সঙ্গে হরিপ্রেমে মাতোয়ারা হইয়া নৃত্য করিতেছেন।"

প্রভু হে প্রিয় হে
দেখা দাও হে আসি....
জয় ঠাকুর জয় ঠাকুর
জয় জগন্নাথ 🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌺🌺🌺🌺🌺🌺🌺🌺🙏🙏🙏🙏🙏

প্রেরণা শক্তি। এক ব্যতিক্রমী সফল বাঙালি উদ্যোগী। নারায়ন মজুমদার। Red Cowভাবনায় ভদ্রেশ্বর Bhabnay Bhadreswar
26/06/2025

প্রেরণা শক্তি। এক ব্যতিক্রমী সফল বাঙালি উদ্যোগী। নারায়ন মজুমদার। Red Cow
ভাবনায় ভদ্রেশ্বর Bhabnay Bhadreswar

22/06/2025

সবুজ পৃথিবী গড়ার লক্ষ্যে। বৃক্ষ দান । বসে আঁকো প্রতিযোগিতা। মহতী উদ্যোগে আহরণ ফাউন্ডেশন। ভাবনায় ভদ্রেশ্বর Bhabnay Bhadreswar #ভাবনায়_ভদ্রেশ্বর #ভদ্রেশ্বর

বাংলা সাহিত্যে  নক্ষত্রপতনসিদ্ধার্থ সিংহ Siddhartha Singha ২০১২ সালে নীরেনদা, মানে নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী আর আমি ছোটদের ...
19/06/2025

বাংলা সাহিত্যে নক্ষত্রপতন

সিদ্ধার্থ সিংহ Siddhartha Singha

২০১২ সালে নীরেনদা, মানে নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী আর আমি ছোটদের একটি সংকলন, 'ছোটদের সেরা ৫১'-র যুগ্ম সম্পাদনার কাজ করছি, কার কার লেখা রাখব তালিকা তৈরি হয়ে গেছে। মোটামুটি সবারই পারমিশন পেয়ে গেছি। কিন্তু প্রফুল্ল রায়েরটা!
তাঁর 'শশীকান্ত দারোগা ও ফকিরা' গল্পটা তো নিয়ে নিয়েছি, কিন্তু অনুমতি না পেলে ছাপি কী করে! ঘনিষ্ঠতা না থাকলেও প্রফুল্লদাকে আমি চিনতাম। আমি যখন স্কুলের গণ্ডি সবেমাত্র ছেড়েছি, তখন যুগান্তর পত্রিকার বাগবাজারের অফিসে আমি প্রায়ই যাই। অমিতাভ চৌধুরীর হাতে লেখা দিয়ে আসতাম। ছোটদের পাতার জন্য গল্প দিতাম কৃষ্ণ ধরের হাতে। সেই কৃষ্ণ ধরই একদিন আলাপ করিয়ে দিয়েছিলেন প্রফুল্ল রায়ের সঙ্গে।‌ তখনই জেনেছিলাম উনি বিনোদন বিভাগের সম্পাদক। আমি বিনোদন নিয়ে কখনও কিছু লিখিনি, তবু তারপর থেকে যখনই যুগান্তরে যেতাম, আশুতোষ মুখোপাধ্যায়, মণীন্দ্র রায়, কমল চৌধুরী, শ্যামল গঙ্গোপাধ্যায়ের সঙ্গে সঙ্গে প্রফুল্ল রায়ের সঙ্গেও এক ঝলক দেখা করে আসতাম।
সেই ভরসাতেই একদিন তাঁর আজাদগড়ের রিজেন্ট পার্কের 'হেমন্ত অ্যাপার্টমেন্ট'-এর থ্রি-ডি ফ্ল্যাট গিয়ে হাজির।
তখন ভরদুপুর। দরজা খুললেন ‌প্রফুল্লদা। এর আগে যত বারই তাঁকে দেখেছি, ধুতি-পাঞ্জাবি পরা। পায়ে চপ্পল। এই প্রথম দেখলাম লুঙ্গি আর ফতুয়া পরা। দেখেই চিনতে পারলেন।
ঘরে ঢুকে দেখি শুধু বই আর বই। যখন বললাম, আমি আর নীরেনদা একটা সংকলন সম্পাদনা করছি। আপনার একটি লেখা রাখতে চাই। আপনার পারমিশন দরকার। আমি সব লিখে নিয়ে এসেছি। আপনি শুধু সই করলেই হবে।
প্রফুল্লদা কাগজটা হাতে নিয়ে শুধু সইই করলেন না, তাতে লিখে দিলেন, শুধু এই সংকলনেই নয়, তুমি যতগুলো সংকলন সম্পাদনা করবে আমার যে কোনও লেখা রাখতে পারো।
তারপর নানান কথা। রমাপদ চৌধুরীর সঙ্গে আমার কি সম্পর্ক উনি তা জানতেন। খবর নিলেন রমাপদ বাবুর সম্পর্কেও। দেখতে দেখতে তখন বেলা গড়িয়ে গেছে। বাসবী বৌদি বললেন, অনেক বেলা হয়ে গেছে তো! দুটো খেয়ে যান। প্রফুল্লদাও সায় দিলেন। ফলে ডাল ভাত তরকারি আর দু'রকমের মাছ। বৌদির কাছেই শুনলাম, প্রফুল্লদা ডিম, মুরগি, মাংস খান‌ না। তবে মাছের খুব ভক্ত। নিজের হাতেই বাজার করে নিয়ে আসেন।
প্রফুল্লদার বয়স যে খুব বেশি হয়েছিল তা কিন্তু নয়। ৯১-ও ছোঁননি। এর চেয়েও বেশি বয়সে রমাপদবাবু আমার সঙ্গে পড়ার দোকানে চা খেতে যেতেন। তবে প্রফুল্লদা দীর্ঘ দিন ধরে বার্ধক্যজনিত অসুস্থতায় ভুগছিলেন। গত কয়েক মাস ধরে তাঁর চিকিৎসা চলছিল দক্ষিণ কলকাতার একটি হাসপাতালে।
প্রফুল্লদা লিখতে শুরু করেছিলেন খুব অল্প বয়সে। সেই পাঁচের দশক থেকেই তাঁর গল্প বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় প্রকাশিত হতে। শুরু করে। পাঁচের দশকের মাঝামাঝি সময়ে 'দেশ' পত্রিকায় তাঁর ধারাবাহিক উপন্যাস পূর্ব-পার্বতী বেরোনোর সঙ্গে সঙ্গেই বেশ হইচই ফেলে দিয়েছিল।
তাঁর লেখায় ধরা পড়ত মধ্যবিত্ত বাঙালি আর ভারতের নানা জায়গার মাটির গন্ধ। বিহারের জনজীবনকে ভিত্তি করে ১৩টি উপন্যাস-সহ প্রায়‌‌ দেড়শোরও বেশি বই লিখেছেন তিনি। তাঁর 'কেয়া পাতার নৌকো', 'শতধারায় বয়ে যায়', 'উত্তাল সময়ের ইতিকথা', 'নোনা জল মিঠে মাটি',‌ 'মন্দ মেয়ের উপাখ্যান', 'পিতৃভূমি', 'আঁধারে ধূপের গন্ধ', 'জলের রেখা', 'শতবর্ষের যুদ্ধ', 'অদ্বিতীয়া', 'রণসজ্জা', 'রথযাত্রা' পাঠকদের মনে এখনও গেঁথে আছে।
তাঁর গল্প ও উপন্যাস অবলম্বন করে বহু টেলিফিল্ম, টেলি-ধারাবাহিক, সিনেমা তৈরি হয়েছে। তার মধ্যে রয়েছে 'এখানে পিঞ্জর' (১৯৭১), 'বাঘবন্দি খেলা' (১৯৭৫), 'মোহনার দিকে' (১৯৮৪), 'আদমি আউর আউরত' (১৯৮৪), 'একান্ত আপন'(১৯৮৭), 'চরাচর'(১৯৯৪), 'টার্গেট' (১৯৯৭), 'মন্দ মেয়ের উপাখ্যান' (২০০৩), 'ক্রান্তিকাল' (২০০৫) ইত্যাদি। তাঁর ‘কেয়া পাতার নৌকো’র কাহিনি অবলম্বনে নির্মিত বাংলা ধারাবাহিকটি ভীষণ জনপ্রিয় হয়েছিল।
এই লেখালেখির জন্যই বহু পুরস্কার পেয়েছেন এই লেখক। 'আকাশের নেই মানুষ' উপন্যাসের জন্য তিনি পেয়েছেন বঙ্কিম পুরস্কার, পাবলিশার্স এন্ড বুক সেলার্স গিল্ড-এর 'লাইফ টাইম অ্যাচিভমেন্ট' পুরস্কার। 'ক্রান্তিকাল' উপন্যাসের জন্য ২০০৩ সালে পেয়েছেন সাহিত্য অ্যাকাডেমি পুরস্কার। এ ছাড়াও তাঁর ঝুলিতে রয়েছে বেশ কয়েকটি বড়সড় পুরস্কার।
১৯৩৪ সালে ১১ সেপ্টেম্বর অবিভক্ত বাংলার বিক্রমপুরের আটপাড়ায় প্রফুল্ল রায় জন্মগ্রহন করেন। তাঁর বেড়ে ওঠাও সেখানে। দেশভাগের পর ১৯৫০ সালে চলে তিনি চলে আসেন ভারতে। তার পর থেকে কলকাতাতেই থাকতেন। দেশভাগের যন্ত্রণা, উদ্বাস্তুদের কথা তাঁর লেখনিতে মূর্ত হয়ে উঠেছিল। নিজের অভিজ্ঞতা দিয়ে একের পর এক বইতে সেই যন্ত্রণার ছবি এঁকেছেন তিনি। বেশ কিছু দিন ছিলেন নাগাল্যান্ডে। ছিলেন মধ্যপ্রদেশ, আন্দামান, বিহারেও। আর যখন যেখানে গিয়েছেন সেখানকার জনগোষ্ঠীর সঙ্গে একেবারে নিবিড় ভাবে মিশে গেছেন। তাঁদের সুখ দুঃখ যন্ত্রণা তুলে এনেছেন তাঁর লেখায়।
প্রফুল্লদা নিজেই বলতেন, আমার চাকরিবাকরি করতে ভাল লাগে না। আমি লিখে যে রয়‍্যালটি পাই। আর আমার উপন্যাস থেকে গড়ে বছরে যে দুটো সিনেমা, টিভি সিরিয়াল হয়, ওতেই আমার চলে যায়।'
আসলে প্রফুল্লদা পার্থিব জগৎ নিয়ে অনেকটাই উদাসীন ছিলেন।
মহানায়ক উত্তমকুমারের 'এখানে পিঞ্জর' সিনেমাটি প্রফুল্লদার উপন্যাস থেকেই তৈরি। লেখকের কাছ থেকে একদিন কাহিনি স্বত্ব কিনতে এলেন প্রযোজক দিলীপ মুখোপাধ্যায়। তিনি জানালেন, তিনি ১০ হাজার টাকা দেবেন আর অগ্রিম বাবদ তার অর্ধেক।
কিন্তু প্রফুল্ল রায় বললেন, 'আপনার মুখ দেখে তো মনে হচ্ছে, আপনি এখন টাকা দেওয়ার মতো অবস্থায় নেই।' দিলীপ মুখোপাধ্যায় তখন জানালেন, 'ঠিকই ধরেছেন আপনি, এর আগের দুটো ছবি ফ্লপ হয়েছে।' তখন দিলীপ মুখোপাধ্যায়কে প্রফুল্লদা বলে দিলেন, 'তা হলে আপনাকে এখন একটা পয়সাও দিতে হবে না। আগে ছবিটা হোক।'
ছবিটা সুপারডুপার হিট হয়েছিল। ওটাই তাঁর উপন্যাস থেকে তৈরি প্রথম ছবি।
তাঁর 'প্রথম তারার আলো' উপন্যাস থেকেই তৈরি হয়েছিল উত্তমকুমারের 'বাঘবন্দি খেলা' ছায়াছবিটি।‌ সেই ছবির কাহিনি স্বত্ব কিনতে কত টাকা তিনি নেবেন, খোদ মহানায়কের মুখে এই প্রশ্ন শুনে প্রফুল্ল রায় বলেছিলেন, 'আমি কিছু বলব না। আপনি যেটা ঠিক বলে মনে করবেন, সেটাই দেবেন।'
শুধু গল্প-উপন্যাস লেখাই নয়, 'যুগান্তর' পত্রিকায় তাঁর নেওয়া সত্যজিৎ রায়ের একটি দীর্ঘ সাক্ষাৎকার সে সময় ব্যাপক আলোড়ন ফেলে গিয়েছিল।
প্রফুল্লদার 'চরিত্র' নামের থ্রিলারটি বেরোনোর পর প্রেমেন্দ্র মিত্র একদিন তাঁকে ফোন করে জানতে চেয়েছিলেন, এই 'চরিত্র' নামের থ্রিলারটির লেখক যে প্রফুল্ল রায়, সে কি তুমি?
প্রফুল্লদা হ্যাঁ বলার সঙ্গে সঙ্গে ফোন কেটে দিয়েছিলেন প্রেমেন্দ্র মিত্র।
প্রফুল্লদার 'রামচরিত' উপন্যাসটি বের হওয়ার পর চারিদিকে যখন হইহই কাণ্ড, সবার মুখে প্রশংসার ঝড় বইছে, তখন প্রফুল্লদা অপেক্ষা করছিলেন প্রেমেন্দ্র মিত্রের‌ ফোনের।
অবশেষে সেই ফোন এল। প্রেমেন্দ্র মিত্র জিজ্ঞেস করলেন, আচ্ছা, 'রামচরিত্র'র লেখক যে প্রফুল্ল রায়, সে কি তুমি?
এ বারও প্রফুল্লদা হ্যাঁ বলায়, প্রেমেন্দ্র মিত্র বলেছিলেন, যে 'রামচরিত্র' লেখে, সে কেন 'চরিত্র'র মতো থ্রিলার লিখবে?
তার উত্তরে প্রফুল্লদা বলেছিলেন, যিনি 'তেলেনাপোতা আবিষ্কার'-এর মতো গল্প লেখেন, তিনি কেন ঘনাদা, পরাশর বর্মা লেখেন?
তখন প্রেমেন্দ্র মিত্র খুব হেসে বলেছিলেন, ঠিকই বলেছ, লেখকদের বেঁচে থাকার জন্য অনেক কিছুই লিখতে হয়।
১৯৯২ সালে সংবাদ প্রতিদিন-এর সাহিত্য বিভাগের প্রথম সম্পাদক হয়েছিলেন তিনি।
তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়েছিল। শ্বাসকষ্ট বেড়ে গিয়েছিল। পরিস্থিতি ক্রমশ সঙ্কটজনক হয়ে উঠজিল। তাই তাঁকে দক্ষিণ কলিকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেই হাসপাতালেই বৃহস্পতিবার বেলা ৩টে ১৫ মিনিট নাগাদ বাংলা সাহিত্যের ইন্দ্রপদন ঘটে। ৯১ বছর পূর্ণ হওয়ার মাস তিনেক আগেই কিংবদন্তি কথাসাহিত্যিক প্রফুল্ল রায়‌ চিরদিনের জন্য ঘুমিয়ে পড়েন।

আমেদাবাদ বিমান দুর্ঘটনার পরে সোশ্যাল মিডিয়া জুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে একটি ছবি—মাঠজুড়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে শত শত আধপোড়া টাকা...
18/06/2025

আমেদাবাদ বিমান দুর্ঘটনার পরে সোশ্যাল মিডিয়া জুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে একটি ছবি—মাঠজুড়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে শত শত আধপোড়া টাকা। পাঁচশো,একশো টাকার বান্ডিল—জ্বলন্ত ছাই হয়ে মিশে গেছে ঘাসে। অর্ধপোড়া পাসপোর্ট, ছিন্নভিন্ন পরিচয়পত্র, অচেনা মুখগুলোর ছবি, কিছু হাহাকার মাখা দলিল—সব মিলেমিশে এক গভীর আর্তনাদ। এক মুহূর্তে যেন সব থেমে গেল। যে টাকাকে ঘিরে এত আকুলতা, এত যুদ্ধ—তা আজ নিঃশব্দ, জ্বলে-পোড়ে ধূসর। কী নিঃসঙ্গ সে মৃত্যু, কী নির্মম সে পরিণতি!

প্রতিদিন আমরা টাকার জন্য ছুটে চলি। কেউ ঘুম ভেঙে প্রথম ট্রেন ধরেন, কেউ রাত জেগে ফাইল সাজান, কেউ নিজের আনন্দগুলো বন্ধক রেখে ভবিষ্যতের সুরক্ষায় বিনিয়োগ করেন। কেউ ভালোবাসাকে সময় দিতে পারেন না, কেউ ছেলেমেয়ের মুখ থেকে হাসি ছিনিয়ে নেন ‘স্ট্যাটাস’-এর জন্য, কেউ সম্পর্কের ওপরে ফেলে দেন হিসেবের ছায়া। জীবনের প্রতিটা বাঁকে আমরা ভাবি—‘আরও একটু পেলে হয়তো জীবনটা পূর্ণ হবে’। অথচ, সেই ‘পূর্ণতা’ পৌঁছনোর আগেই আমাদের থামিয়ে দেয় সময়ের গাড়ি।

সত্যি বলতে কি, আমরা যত টাকা জমাই, জীবন ততটা সময় দেয় না তাকে ছুঁয়ে দেখার। কেউ যেতে পারেন না সেই পাহাড়ে, যেখানে বলেছিলেন—‘একদিন যাবো’, কেউ হাতে তুলতে পারেন না সেই প্রিয় খাবারের প্লেট, কারণ আজ ডায়েট। আর কেউ সাহস পান না মনের মানুষটিকে বলতে—‘ভালোবাসি তোকে’। আমেদাবাদের সেই পোড়া নোটগুলো যেন সেই না-বলা কথাগুলোর গোপন চিঠি, যা আগুনের আঁচে আজ চিরতরে নিশ্চিহ্ন।

জীবনের আসল সম্পদ কী—টাকা, না ভালোবাসা? ICU-তে শুয়ে থাকা এক মানুষ ভাবেন না, ‘আরও একটা প্রজেক্ট নিতাম’। ভাবেন, ‘শেষবারের মতো যদি মায়ের মুখটা দেখতে পেতাম…’ টাকা দিয়ে ওষুধ কেনা যায়, জীবন নয়। টাকা দিয়ে বাড়ি কেনা যায়, ঘর নয়। টাকা দিয়ে জামা কেনা যায়, ভালোবাসা নয়। টাকায় সুরক্ষা মেলে, সম্পর্ক নয়।

তাই আজ,এখানেই থেমে একটু নিঃশ্বাস নিন। খেয়ে ফেলুন প্রিয় খাবারটা, ভুলে যান ক্যালোরির হিসেব। ফোন করে বলুন মাকে—‘ভালোবাসি’, বাবাকে—‘তুমি ছাড়া কিছু হতো না আমার’। পুরোনো বন্ধুকে টেক্সট করুন—‘তুই ছিলি বলেই পারলাম’। প্রেমে থাকলে বলেই ফেলুন—‘তুই ছাড়া আমি অসম্পূর্ণ’। হয়তো আগামী সেকেন্ডটাই শেষ সেকেন্ড, কে জানে!

আমেদাবাদের সেই ছাই হয়ে যাওয়া টাকাগুলো, সেই অন্ধকারে ঢেকে যাওয়া যাত্রাপথ, আমাদের সামনে রেখে গেল একটা কঠিন প্রশ্ন—শেষে থেকে যায় কী? টাকা নয়, মানুষ। সম্পর্ক। ভালোবাসা। তাই, প্রাণ খুলে বাঁচুন। সর্বস্ব দিয়ে ভালোবাসুন।দুঃখ পেলে কেঁদে নিন, ইচ্ছে করলে হাসুন,মন চাইলে জড়িয়ে ধরুন প্রিয় মানুষটাকে। কারণ মৃত্যু তো আর খবর দিয়ে আসে না ...
Collected

16/06/2025

Address

Bhadreswar

Telephone

+918583060384

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when ভাবনায় ভদ্রেশ্বর Bhabnay Bhadreswar posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to ভাবনায় ভদ্রেশ্বর Bhabnay Bhadreswar:

Share

Category