17/05/2024
জীবনের অন্ধকারে হারিয়ে ফেলেছি
নিজেকে, নাহলে কবেই তোমাকে ভালোবেসে ফেলতাম!
এতো এতো বিকেল বৃষ্টিহীন, বেরঙিন,
ভালবাসা কিভাবে বাঁচে এতো অল্প মায়ায়?
সকাল থেকে শূন্যতা ভর করে আসে মাথায়।
শব্দের ঘেরাটপে নিজেকে আটকে রেখেও উদ্দেশ্যহীন এই শব্দবাজির অভিপ্রায় জানতে পারিনি আমি!
সময়ের গলি ঘুঁজি শেষে হারিয়ে ফেলেছি
নিজেকে, নাহলে কবেই তোমার বাড়ির রাস্তা ধরতে পারতাম!
ট্রামের তারে বসে থাকা একলা শালিক,
আমাদের মধ্যবিত্ত জীবনে ভরদুপুরে কালবৈশাখীর মতো গাঢ় হয়ে আসে
অন্য শালিকের খবর পেলেই!
আমাদের প্রেমে ঝড় ওঠে না কেনো?
কেন গাছের পাতাগুলো ঝরে পড়ার আগেও মুছে দিয়ে যেতে চায় তোমার চোখের জল?
আমি জানতে পারিনি!
মুক্তির আনন্দে ভাসিয়ে দিতে পারিনি
নিজেকে, নাহলে কবেই তোমার শুকনো ঠোঁট ভিজিয়ে দিতাম উষ্ণতায়!
একলা থাকার ইছা ছিল বহুদিন,
ঘর ভেঙে ভেঙে ইট-বালি-সিমেন্টের ভিড়ে আমি খুঁজে চলেছি সংসার নামের এক অদ্ভুত ইকুয়েশন।
তোমাকে বুকের মাঝে আটকে রাখতে বাঁধন লাগে বুঝি?
কিশোরবেলার আমি হলে না–
সাহস দিয়েই আটকে দিতাম!
চোখের উপর ছুঁইয়ে যেতাম অবাধ্য সব প্রেমের রেণু!
আমার কথায় সন্ধ্যে হতো,
আমার কোলে রাখতে মাথা,
বিলি কেটে দেওয়ার আঙুল নিয়ে তুমি বলতে,
“এতো এতো মায়া বুঝি বুকের মাঝে জমিয়ে রাখো?”
মিথ্যে বলতে চোখ কাঁপে, সত্যি বলতে বুক!
তাই মুখের পাশে অমলিন হাসি টেনে তোমার কথার জবাব দিতাম।
প্রেমে মানুষ সব পারে!
আমি অকারণ ভালোবাসে ফেলেছি
নিজেকেই, নাহলে কবেই এ জীবন তোমাকে দিয়ে যেতে পারতাম!
~অঙ্কন