Moynul short video

Moynul short video LTZ Maju Bhai

বান্ধবীর বিয়েতে গিয়ে দেখি বর আমার প্রেজেন্ট বয়ফ্রেন্ড। আমার বুকটা ধুক করে কেঁপে উঠলো। হৃদপিণ্ডটা থেমে গেলো।আমি বাকরুদ্ধ ...
19/07/2024

বান্ধবীর বিয়েতে গিয়ে দেখি বর আমার প্রেজেন্ট বয়ফ্রেন্ড। আমার বুকটা ধুক করে কেঁপে উঠলো। হৃদপিণ্ডটা থেমে গেলো।আমি বাকরুদ্ধ হয়ে দাঁড়িয়ে আছি।কাল রাতে এই মহানায়ক আমাকে বলেছে সে ট‍্যুরে যাচ্ছে। নেটওয়ার্কের সমস‍্যা থাকলে ফোন বন্ধ দেখাবে। অথচ সে সোজা বিয়ের পিড়িতে। দুই বছর পনেরো দিনের রিলেশন আমাদের। কতো খুনশুটি আর ভালোবাসার স্মৃতি আমাদের।আমার চোখে রাফি সৎ, নম্রভদ্র ছেলে। তারচেয়ে বড় কথা আমাকে নিয়ে ভিষণ সিরিয়াস সে।খুব কেয়ারিং ছেলে।অথচ ছেলেটা না জানিয়ে সোজা অন‍্য মেয়েকে বিয়ে করতে চলে এলো। অথচ আমি টু শব্দটিও জানলাম না।

বিয়েটি যেহুতু ঘরোয়া ভাবে। তাই সবাইকে ড্রয়িং রুমের পাশের রুমটিতে বসানো হয়েছে। অধীর আগ্রহ নিয়ে হবু দুলাভাইকে দেখতে গেলাম। জানালার ফাঁকে চোখ রাখতেই রাফিকে দেখলাম। অনেকগুলো ছেলের মধ‍্যে রাফি ধবধবে সাদা পাঞ্জাবী পড়ে আছে।

রাফি বলেছিলো রাতের গাড়িতেই সে চট্টগ্রাম যাচ্ছে। অথচ সে সিরাজগঞ্জ এ। ভাবলাম বন্ধুর বিয়েতে হয়তো এসেছে। পাশে থাকা নিলিমাকে বললাম বর কোনটারে। নিলিমা অনিমার ছোট বোন। সে হাতের ইশারায় দেখালো রাফিকে। আমি পুরো কনফিডেন্ট ছিলাম যে রাফি বর হতেই পারে না। নিলিমা বললো,

--চলো ভিতরে চলো।

আমি বললাম,
-- আমার ওয়াশরুমে যেতে হবে তুমি যাও। আমি পরে আসছি।

ও চলে গেলো। পায়ের তলাটা যেনো সুপার গ্লু দিয়ে লাগানো হয়েছে আমার।ওখান থেকে সরতে পারছি না।শরীরের সমস্ত শক্তি যেনো কেউ শুষে নিলো।পুরো পৃথিবীটা যেনো ঘুড়তে লাগলো। আমি নড়তে পারছিনা।এতো ভালোবাসার মানুষটা না জানিয়ে বিয়ে করতে চলে এলো।কিন্তু কেনো?

আজ অনিমার বিয়ে। অনিমা আমার স্কুল জীবণের বান্ধবী।খুবই ঘনিষ্ঠ বন্ধুত্ব আমাদের।অনিমার বাবাও আমার বাবার ক্লোজ ফ্রেন্ড।বাবার জব ট্রান্সফারের সাথে আমরা শিফট হতে হয়েছে ঢাকায়। তাই দেখা সাক্ষাৎ কম ই হয়। তবে কথা হয় প্রতিদিন।সকালে ঘুম থেকে উঠে জানতে পারলাম অনিমাকে পাত্রপক্ষ দেখতে আসবে।পছন্দ হলেই বিয়ে। তাই আমরা যেনো এখনি ঢাকা থেকে সিরাজগঞ্জ চলে আসি। বেষ্ট ফ্রেন্ডের বিয়ে বলে কথা না এসে কি পারি। চলে আসলাম। ঐদিকে রাফিকে বলতে পারিনি।কারণ তার ফোন সুইচঅফ ছিলো।

রাফিকে দেখে মন মানছে না আমার। রাফি আমাকে ভিষণ ভালোবাসে। এমন কাজ সে করতেই পারে না। আমি পরপর কয়েকবার ফোন করলাম। কিন্তু ফোন সুইচঅফ বললো। আমি তড়িঘড়ি করে অনিমার কাছে গেলাম। ওর মুখটাতে লাজুক লাজুক ভাব
ফুটে উঠেছে। আমাকে দেখেই মুখটা নিচু করলো। অন‍্যে সময় হলে হাসি ঠাট্টার দুটো কথা বলতাম হয়তো। কিন্তু এই মূহুর্তে আমার অন্তর পুড়ে ছাই ছাই। নিজের চোখকে ভুল প্রমাণিত করতে অধীর আগ্রহে ওকে জিজ্ঞাসা করলাম,
-- তোর বরের নাম কি রে?
অনিমা বললো,
-- তা তো মনে নেই। তুই বর দেখেছিস সিনু?

আমার নাম সিনথিয়া। ও ভালোবেসে সিনু বলে ডাকে।

আমি নিজের যন্ত্রণা, চোখের জল লুকাতে চোরের মতো চাহুনি করছি । আর ঢোক গিলে অনেক কষ্টে কোনো রকমে কথা বলছি,
-- কেনো তুই দেখিস নি?
--ঘরভর্তি মানুষের মধ‍্যে কি তাকানো যায়।
লজ্জা লাগেনা বল?

আমি জানি অনিমা লাজুক স্বভাবের মেয়ে। ওর বোকা কথা, লাজুকতা আমার ভালো লাগলেও আজকে অসয‍্য, অসহনীয় লাগছে। এতো ন‍্যাকামির কি আছে। আমি বিরক্তি নিয়ে বললাম,

-- নিজের বর না দেখেই রেজিস্ট্রি পেপারে সাইন করছিস। পাগল নাকি। যাকগে নাম কি ছেলের?

-- ড্রয়ারে ছেলের বায়োডাটা রাখা আছে দেখ।

আমি তড়িঘড়ি করে উঠে ড্রয়ার খুললাম। মন প্রাণ দিয়ে চাইছি আমার রাফি যেনো না হয়। আমি তখনো ভাবছি রাফির কোনো আত্মীয়র বিয়েতে হয়তো ও এসেছে।নিলিমা ছোট ওর হয়তো বর চিনতে ভুল হয়েছে। কিন্তু আমার ধারণা ভুল প্রমাণিত হলো। ছেলের নাম রায়হান রাফি। আর ওর ই ছবি দেয়া। আমি বরফের মতো জমে গেলাম। সহ‍্য করতে পারছিলাম না। গোসল করার নাম করে ওয়াশরুমে ঘন্টা খানিক কাঁদলাম। চোখ মুখ ফুলে একাকার। রাফির কথা অণুকে বলা হয়নি। কারণ ও প্রেম ভালোবাসা পছন্দ করতো না। ও জানলে আমার সাথে কথা বন্ধ করতো। তাই বলিনি।

পুরো দেড় ঘন্টা পর আমি ওয়াশরুম থেকে বের হলাম। শুনলাম একটু পর বিয়ে পড়াবে। কাজি এসেছে। অনিমার তেমন সাজগোজ পছন্দ না। সাজানোর দায়িত্বটা আমার উপর পড়লো।খুব সাদামাটা ভাবে সাজালাম। মেরুন কালারের জামদানি। হালকা করে লিপষ্টিক আর একটু চিকন কালিতে চোখটা একে দিলাম। গলায় একটা পাতলা চেইন। ডায়মন্ডের লকেট টা সুক্ষ চেইটাকে অবলম্বন করে আকড়ে ধরে আছৈ। ফর্সা গলাটায় মাঝখানে পাথরটা ঝিলিক দিয়ে উঠছে। তবুও অনিমাকে একদম পরীর মতো লাগছে। আমার ভিতরটা তখন আগুনে দগ্ধ। এ যন্ত্রণা যে পায়নি সে কোনো দিন বুঝবে না।

আমি আসার আগেই ওদের কাগজে কলমে বিয়ে হয়ে গেছে। শুধু ধর্মীয় ভাবে বিয়েটা বাকি।
আমি চাইলে রাফির মুখোমুখি হতে পারি।কেনো করলো এমন জানতে চাইতে পারি। কিন্তু ইচ্ছে মরে গেছে। যে ভালোবাসার প্রতিশ্রুতি দিয়ে লুকিয়ে বিয়ে করতে আসে তার মুখোমুখি আমি কোনোদিন হবোনা। আজ অনিমাকে নিয়ে গেলে সকালের গাড়িতেই ঢাকা চলে যাবো। সব ভুলে যাবো। চোখ দুটো ভিষণ যন্ত্রণা করছে। যতোটা পারছি লোকচক্ষুর আড়াল হয়ে থাকছি।

মাগরিবের আযান হলো।নামাজ শেষে সবাই ড্রয়িং রুমে গেলো।একপাশে বসানো হলো বরসহ কয়েকজনকে।মাঝখানে পর্দা টেনে দেয়া হলো। বর বউ মূলত সামনাসামনি বসে আছে। মাঝখানে পর্দা দেয়া। অনেক জোড়জুড়িতে আমাকে বসতে হলো কণের পাশে। বুকের ব‍্যাথায় আমি জর্জরিত। কাজী তখন বিয়ে পরাচ্ছেন। আমার চোখের পানি টুইটম্বুর। চোখের পানি লুকাতে মাথায় কাপড় টেনে নিলাম। ওপাশ থেকে কাজী খুতবা পাঠ করে নিলেন। তারপর বিয়ের নিয়ম অনুযায়ী যখন বললেন,

-- বলো মা কবুল।

অনিমা তখন চুপ করে রইলো।পাশে বসে থাকা অনীমার ভাবি অনিমার মাথায় হাত বুলিয়ে বললো,
-- কবুল বল।
অনিমা হুহু করে কাঁদলো। আমার বুকটা যন্ত্রণায় ক্রমশ ভারী হয়ে উঠছে। হাত পা কাঁপছে। চোখের পানিতে ভিজে উঠছে আমার ওড়না। সবাই ভেবে নিচ্ছে বান্ধবীর জন‍্যে বুক ভাসাচ্ছি। ওর সাথে সবাই আমাকেও শান্তনা দিচ্ছে। কিন্তু কেউ আমার বুকের ব‍্যথা দেখছে না।

অনিমা তিনবার কবুল বলা শেষ করলো।কাজী যখন রাফিকে কবুল বলতে বললো। আমার জানটা মনে হয় বেরিয়েই যাবে এখন।

ওপাশ থেকে কাজী বলে উঠলো,

-- বলো বাবা কবুল।

আমার ভালোবাসার মানুষটা পরপর তিনবার বললো,

-- আলহামদুলিল্লাহ্। কবুল।

আমার ভিতরটা শূন‍্য হয়ে গেলো। হারিয়ে গেলো আমার রাফি। বিষাক্ত তীর যেনো একের পর এক আমার বুকে বিদ্ধ হলো। আমার বুকটা এঁফোড় ওফোড় করে দিলো। আমি চিরদিনের জন‍্যে তাকে হারিয়ে ফেললাম।
অনিমা হুহু করে কাঁদছে। ভাবী, চাচী আম্মা, ওকে বোঝাচ্ছে। ঠিক তখন ই পর্দার ওপাশে গলা খাকারি দিলো। কেউ একজন বললো, বর ওপাশে যাবে।

পর্দা ঠেলে এপাশে কেউ এলো রাফি। আমি মাথায় কাপড়ের সাথে মুখটাও ঢেকে নিলাম। রাফিকে দেখে চাচী আম্মা চলে গেলেন। আমি ও পিছিয়ে গেলাম। নিজেকে ঢেকে ফেললাম রুমের পর্দার আড়ালে।অনিমার ক্রন্দনরত মুখটা তখন পাতলা ফিনফিনে দোপাট্টায় ঢাকা। রাফি সোজাসুজি অনিমার সামনে দাঁড়ালো। অনীমার কান্নার দরুন হেঁচকি উঠে গেছে। রাফি পূর্ণ অধিকারে নির্ধিধায় দুহাতে দোপাট্টা তুলে ধরলো। চাঁদের মতো মুখটা তখন কান্নায় ভেজা। রাফি মনেমনে কিছু বললো। মনে হলো দোয়া পড়ছে। তারপর দুহাতের আজলে অনিমার মুখ রেখে কপালে চুমু খেলো রাফি। অনিমার মুখটা তখন লজ্জায় গোলাপী রঙ ধারণ করেছে। আর আমার মুখ বিষাক্ত ছোবলে হলো নীল। আমি আবার দৌড়ে গেলাম ওয়াশরুমে। ঝর্ণা ছেড়ে বসে রইলাম কতোক্ষণ তা সত‍্যিই জানা নেই।

অনিমাকে বিদায় দেয়া হলো। আমি আর বের হই নি। কারণ রাফির মুখোমুখি হতে চাই না। ভোরের গাড়িতে ঢাকা ফিরতে চাইলাম।কিন্তু অনিমা খবর পাঠিয়েছে আমাকে আর নিলিমাকে যেনো সকাল সকাল পাঠায়। অনেক ছলছুতো দিয়েও বাঁচতে পারলাম না।তাই আমার আর নিলিমা কে সকাল সকাল পাঠানো হলো। না চাইতেই আরেকবার ফেঁসে গেলাম। নিলিমা বোরখা পড়ে তাই ওর একটা বোরখা পড়ে নিলাম। সবাইকে বললাম নিলিমা ছোট তবুও নিকাফ পড়ে যাবে আর আমি ড্রেস পড়ে যাবো। ভালোদেখাবে না বিষয়টা।তারচেয়ে বোরখা পড়েই যাই।

রাফি কখনো বোরখা পড়ে দেখেনি। নিকাফে তো নয় ই। তবুও যদি কথা হয় রাফি ঠিক ই বুঝবে আমি কে।রাফির মুখোমুখি হলে কি হবে এই ভাবতে ভাবতে রাস্তা ফুরিয়ে গেলো। রাফির কাজিন এলো আমাদের অনিমার কাছে নিয়ে যেতে। আমি ঘরে ঢুকলাম। অনিমা আমার দিকে তাকিয়ে রইলো। কখনো বোরখা না পড়ার কারণে অনিমা হয়তো চিনতে পারছে না। আমি নিকাব তুললাম। সে সোজা এসে আমাকে জড়িয়ে ধরলো। অনিমা সালোয়ার কামিজ পড়ে আছে। আমি যাওয়ার সাথে সাথে সে বললো,

-- বোরখা খোল

আমি না করলাম। ও একটু অবাক হলো হয়তো। তারপর অন‍্য কথায় গেলাম।

-- পার্লারে সাজাতে চেয়েছিলো রে সিনু। তুই তো জানিস আমি কেমন। আমার ওতো সাজগোজ পছন্দ না। বলেছি সাজবো না। অন‍্যের কাছে শাড়ি পড়তে লজ্জা লাগে। তুই পড়িয়ে দে।

ও আমাকে নীল রঙের শাড়ি হাতে দিলো। দরজা জানালা বন্ধ করে লাইট জ্বেলে দিলো। ব্লাউজ পেটিকোট পড়ে অনিমা আমার সামনে এলো।

বললো,

-- তাড়াতাড়ি পড়া। সবাই আসার আগে।

আমার প্রথমেই চোখ পড়লো অনিমার গলায়। ধবধবে গলায় পাশে গোল গোল হয়ে রক্ত জমে আছে। অনিমা আমার চোখে চেয়ে লজ্জা পেলো।সাথে সাথে আমার রক্ত ছলকে উঠলো।বুকের মধ‍্যে ঝড় শুরু হলো। আমার একান্ত কাছের মানুষটা অন‍্যেকে স্পর্শ করেছে। আমাকে এটাও দেখতে হচ্ছে।চোখ সরিয়ে নিলাম। শাড়ির কুচি করতে গিয়ে এরকম অসংখ্য দাগ আমার চোখে পড়লো। সে যে তাকে গভীর ভাবে ছুঁয়েছে তা বুঝতে পারলাম। দুচোখ ফেঁটে রক্ত বের হবে যেনো। তবুও চুপচাপ শাড়ি পড়ালাম।

আমি ভালোবাসার মানুষটাকে চোখের সামনে অন‍্যের হতে দেখলাম। কবুল বলতে শুনলাম। ভালোবাসার স্পর্শ দিতে দেখলাম। আবার স্পর্শের চিহ্ন গুলোও দেখলাম। তার বউ দেখলাম। বউয়ের ভেজা চুল দেখলাম। আমার তো হৃদয় পুড়ে ছাড়খাড়। আমার সমস্ত শরীর আগুনের মতো পুড়ছে।

আমি শ্বাস নিতে পারছিলাম না। অনেকক্ষণ পর পুরো অসুস্থ হয়ে গেলাম। অনিমা আমাকে স‍্যালাইন খাওয়ালো।
নিজের শরীরের ভার আমি টানতে না পেড়ে ফুলের সাজানো বিছায়ায় শুয়ে পড়লাম। চোখের পানিতে ভিজলো আমার ভালোবাসার মানুষের বালিস। সে কি কখনো জানবে? জানলেও কি বুঝবে আমার কতো যন্ত্রণা হয়েছে। জেনে বুঝে কেনো এমন করলো সে? কতো স্বপ্ন তো রাফি আমাকে দেখিয়েছিলো। তাহলে সে এতোবড় বিশ্বাসঘাতকতা কেনো করলো? বিয়ে করতে পারবে না। অন‍্যত্র বিয়ে করবে আমাকে জানাতো। কিন্তু লুকিয়ে চুড়িয়ে কেনো বিয়ে করলো। চাইলেই সামনাসামনি হতে পারি। কিন্তু বান্ধবীর সুখের ঘর আমি ভাঙতে চাই না। তাই চুপ করে রইলাম।

এরমধ‍্যে রাফি একবার অনিমার কাছে থেকে ঘুড়ে গেলো। আমি অসুস্থ আর ঘুমিয়েছি ভেবে আর সাক্ষাৎ হলো না। বাড়িভর্তি মানুষের ভীড়ে রাফির আর সময় হলো না উপরের ঘরে আসার। মুখোমুখি হতেও হলোনা।অসুস্থ এই আমাকে নিয়ে বাবা মা দ্রুত ঢাকায় ব‍্যাক করলেন।

আমি সহ‍্য করতে না পেরে জ্ঞান হারালাম। দুদিন হাসপাতালে ভর্তি রইলাম। যেদিন ফিরলাম সেদিন রাতে ফোনের স্ক্রেনে ভেসে উঠলো,

"কলিং রাফি"।

ফোন ধরলাম না। কয়েকবার ফোন বাজলো। রাত দশটায় মেসেজ এলো। মেসেজ ওপেন করে আমি ঘেমে উঠলাম।পরের পর্ব গুলো পোস্ট করার সাথে সাথে পেতে
এই পেইজে ফলো দিয়ে রাখুন 👉 Single-লাইফ

চলবে (২) পাট অবসেই আসবো। গল্পঃ লেখক মইনুল হক তালুকদার। 🙏🙏

তোমার ব্যস্ততা শেষ হলে আমাকে কল দিও আজ সে অনেক ব্যস্ত  # মইনুল হক তালুকদার। 😢😢
11/04/2024

তোমার ব্যস্ততা শেষ হলে আমাকে কল দিও আজ সে অনেক ব্যস্ত # মইনুল হক তালুকদার। 😢😢

এই ঈদ নিয়ে আসুক আপনার জীবনের শান্তি ও সমৃদ্ধি।ঈদ মোবারক  # মোঃ মইনুল হক তালুকদার।
11/04/2024

এই ঈদ নিয়ে আসুক আপনার জীবনের শান্তি ও সমৃদ্ধি।
ঈদ মোবারক # মোঃ মইনুল হক তালুকদার।

18/02/2024
--১ রাতের জন্যে বউ হবি আমার।--হতে পারি, কিন্তু আমার রেট একটু বেশি দিতে পারবি এতো টাকা তুই।--কতো টাকা লাগবে শুধু বল। --সব...
15/02/2024

--১ রাতের জন্যে বউ হবি আমার।

--হতে পারি, কিন্তু আমার রেট একটু বেশি দিতে পারবি এতো টাকা তুই।

--কতো টাকা লাগবে শুধু বল।

--সবার কাছে যেমন টাকা নেই তোর কাছেও তেমনি নিবো। আমি প্রতি রাতের জন্যে ৩ হাজার টাকা করে নেই।

--ঠিক আছে চল আমার সঙ্গে বাসায়।

"তো এর পরে হাসিব মেয়েটিকে বাসায় নিয়ে এসে জিঙ্গেস করে।

হাসিব : তোমার নাম কি জানতে পরি।

--হুমম আমার নাম হলো পৃতি।

হাসিব : চলো খাওয়া দাওয়া করে নেই আমরা।

পৃতি : আমার খিদে নেই। আপনি খেয়ে নেন।

হাসিব : আরে চলো সমস্যা নেই।

"এর পরে হাসিব পৃতিকে নিয়ে খাওয়া দাওয়া করে রুমের ভিতরে চলে আসে "

পৃতি : হুমম এখন শুরু করুন।

হাসিব : হুমম ওয়েট ( কথাটি বলেই হাসিব একটি কুরআন নিয়ে এসে বলতে থাকে ) জানো পৃতি এই কুরআন সম্পর্কে।

পৃতি : হুমম জানি।

হাসিব : জানো এই কুরআনে বলা আছে আমরা যেন খারাপ কাজ থেকে দুরে থাকি। যেনা থেকে দুরে থাকি। পরকীয়া থেকে দুরে থাকি।

পৃতি : জ্বী জানি।

হাসিব : তহালে মানোনা কেনো তুমি।

পৃতি : এই সব কিছু মানে গেলে আমার পেটে ভাত জুটবেনা সাহেব।

হাসিব : কেনো জুটবেনা। চেষ্টা করো অবশ্যই জুটবে।

পৃতি : অনেক চেষ্টা করেছি কিন্তু কাজ হয়নি। তাই এই পথে আসা আমার। এখন শুরু করুন তো যেই জন্যে আমাকে ভারা করে এনেছেন।

হাসিব : আমি তোমাকে এই সব বুঝার জন্যেই নিয়ে এসেছি। যদি বলতাম এই সব বলবো তাহলে কি আমার সঙ্গে আসতে বলো।

পৃতি : ওহ।

হাসিব : আমি তোমাকে বিয়ে করতে চাই। তোমার সঙ্গে সুখের নীর ভাধতে চাই। ধরবে আমার এই হাত।

পৃতি : কিছু সময় কাটালেন তাতেই এতো ভালোবাসা।

হাসিব : আমি তোমাকে অনেক আগে থেকেই ফলো করি কিন্তু কখনো সাহস হয়নি এই সব বলার।

পৃতি : তাই।

হাসিব : তোমাকে নিয়ে অনেক স্বপ্ন বুনেছি আমার এই ছোট্ট ভুবনে।

পৃতি : চলবে আমাকে দিয়ে আপনার। দেখাইতে পারবেই এই সমাজে মুখ।

হাসিব : হুমম তুমি শুধুমাত্র হাতটি শক্ত করে ধরে রাখিও।

পৃতি : কখনো হাতটি ধারবেন নাতো।

হাসিব : নাহ কখনোই না। একবার বিশ্বাস করে হাতটি ধরে দেখো।

"বেশ কিছুক্ষন চিন্তা করার পরে পৃতি বলে"

পৃতি : ঠিক আছে আমি রাজি।

হাসিব : তাহলে চলো যাই কাজির বাড়িতে।

পৃতি : হুমম চলো?

হাসিব : চলো?

"কিছু কিছু ভালোবাসা আছে। যেখানে মানুষটি যতোই খারাপ হোকনা কেনো সেখানে ভালোবাসা স্বর্গরাজ্য গড়ে উঠবেই'

অনু_গল্প : তোমার_পরিবর্তন #গল্পঃ লেখক 📖মইনুল হক তালুকদার📖 # ভালো লাগলে লাইক কমেন্ট শিয়ার করতে ভুলবেন না # আল্লাহ আমাদের সবাইকে হেদায়ত দান করেন আমিন #

-দুপুর ২ টায় স্বামীর 'বুকে মাথা রেখে  ঘুমাচ্ছিলাম। এমন সময় শাশুড়ি বাহির থেকে বলে উঠে।-বিনিতা বিয়ের এক বছর পার হয়ে গেলো ক...
13/02/2024

-দুপুর ২ টায় স্বামীর 'বুকে মাথা রেখে ঘুমাচ্ছিলাম। এমন সময় শাশুড়ি বাহির থেকে বলে উঠে।

-বিনিতা বিয়ের এক বছর পার হয়ে গেলো কবে তোমার বাবা-মা যৌতুক দিবে।

'নিশ্চুপ হয়ে শুনলাম'

-কি হলো উত্তর দিচ্ছোনা কেনো। একটু আগেই তো স্বামীর সঙ্গে ফিস ফিস করে কথা বল্লে।

-ভিতর থেকে উত্তর দিলাম! মা আমাদের পরিবারে একটু সমস্যা চলতেছে। অপেক্ষা করুন দিয়ে দিবে।

-এই অপেক্ষা অপেক্ষা আর ভালো লাগেনা। তোমার বাবা মাকে ফোন দিয়ে বলো এই সপ্তাহের ভিতরে আমাদের টাকা চাই।

-ঠিক আছে মা বলবো।

-এক সপ্তাহের ভিতরে টাকা দিতে না পারলে এই সংসার আর হবেনা।

'শাশুড়ির মুখে এমন কথা শুনে বিনিতা তার স্বামীকে বলে। অভয় তুমি একটু মাকে বুঝাওনা প্লিজজ। আমাদের বাড়িতে বতর্মান অনেক সমস্যা চলতেছে।

-আমি এই সব নেই বিনিতা। তোমার বাবা মা যেই টাকা দিতে চেয়েছে সেইটা দিয়ে দিলেই তো কাহিনী শেষ!

ওহ!

'সবাই যখোন এতো করে বলতেছে, তাই বিনিতা বাসায় ফোন দিয়ে কথা বলে।

-হ‍্যালো বাবা।

-হ‍্যাঁরে মা আমি তোর বাবা বল কি বলবি।

-বাবা আমার শশুর শাশুড়ি যৌতুক চায়। আর যৌতুক না পেলে আমার সংসার হবেনা।

-তাদের একটু বুঝিয়ে বলনা কয়টা মাস দেরি হবে।

-বাবা অনেক বুঝিয়েছি তদের একটি কথা এই সপ্তাহে যদি টাকা না পায় তাহলে সমস্যা হবে।

-ওহ ঠিক আছে আমি দেখতেছি তুই চিন্তা করিশনা মা আমার।

-আচ্ছা বাবা।

'এর ঠিক ২দিন পরে বিনিতার বাবা যৌতুকের সব টাকা নিয়ে মেয়ের বাড়িতে চলে যায়।

'টাকা পেয়ে সবাই বেশ খুশি' কিন্তু বিনিতার মুখে হাসি নেই। কারন সে জানেনা তার বাবা এতো তারা তারি টাকা কোথায় পেলো।

'একটু পরে বিনিতা তার বাবাকে ডাক দেয়'

-বাবা তুমি এতো টাকা কোথায় পেলে সত্যি করে বলবা কিন্তু বললাম।

-আরে তুই এই সব চিন্তা করিশনা।

-প্লিজজ বাবা বলো' আমার প্রশ্নের উত্তর দাও।

-আমাদের বাড়ি ভিটা সব বিক্রি করে দিয়েছি মা এই টাকার জন‍্যে।

-কিইই তোমরা এখন থাকবে কোথায়।

-আমাদের চিন্তা করিশনা। তোই সুখে থাকলেই আমাদের সুখ।

'বাবার মুখে এমন কথা শুনে বিনিতা নিস্তব্ধ' বাবাকে আর কি বলবে ভেবে পাচ্ছেনা'

-এই পাগলি কান্না করিশনা থাক আমি গেলাম।

-বাবা আমার সুখের জন‍্যে তোমার সুখটাই বিক্রি করে দিলে।

'বিনিতার মন কথা শুনে বাবা মুচকি হেসে চলে যায়'

"এটাই বুঝি বাবা মায়ের ভালোবাসা ' এটাই বুঝি তাদের আত্তত‍্যাগ' এটাই বুঝি একটি বট গাছের ছায়' আর এই টাই বাস্তব আমাদের সমাজ

# # # গল্পঃ লেখক 📖 মইনুল হক তালুকদার 📖 # # # ভালো লাগলে লাইক কমেন্ট শিয়ার করতে ভুলবেন না আল্লাহ আমাদের সবাইকে হেদায়ত দান করুক 👍👍👍 যৈতুক অনবত

বাবা মা ঝগড়া করে কথা বলা বন্ধ করে দিয়েছে!  তাদের মুখ দেখাদেখি বন্ধ। একজন কে দেখলে অন্যজন সরে যায়।রাতে দুইজন দুইরুমে ঘুমা...
10/02/2024

বাবা মা ঝগড়া করে কথা বলা বন্ধ করে দিয়েছে! তাদের মুখ দেখাদেখি বন্ধ। একজন কে দেখলে অন্যজন সরে যায়।

রাতে দুইজন দুইরুমে ঘুমায়। দুইজনের সব কথা হয় এখন আমাকে দিয়ে।

আমি দুইজনের পিয়ন হিসাবে কাজ করছি।

মা এসে বলবেন," বাবু তোর বাবা কে গিয়ে জিজ্ঞেস কর, সকালে নাস্তা করবে কি-না?"

মা টেবিলে নাস্তা রেডি করে রেখে দেয়। বাবা এসে খেয়ে চলে যান।

বাবা আমাকে ডেকে বলেন, "বাবু তোর মা কে গিয়ে বল, আমার চা দিতে।"

আমি চা নিয়ে এসে বাবা কে দিয়ে যাই।

সব কিছুই চলছে আমার মাধ্যমে।

বাবার কাছে গিয়ে বললাম, " মা বলছে পাঁচ হাজার টাকা দিতে।"

'বলিস কী! সেইদিন না দশ হাজার টাকা দিলাম সব শেষ! বুঝতে পারছি আমাকে ঘায়েল করার চেষ্টা। কী ভেবেছে তোর মা? টাকা দিয়ে ঘায়েল করবে আমাকে!'

বাবা মানি ব্যাগ থেকে পাঁচ হাজার টাকা দিয়ে বললেন," নে দিয়ে আয়।"

মায়ের রুমি গিয়ে দেখলাম মা কাপড় গুছাচ্ছে। আমি মার কাছে গিয়ে বললাম, "মা, বাবা পাঁচ হাজার টাকা দিতে বলেছেন। "

মা অবাক হয়ে আমার দিকে তাকিয়ে বললেন, 'কী! কখনো তো চায় না। বুঝতে পারছি। টাকা দিয়ে আমাকে ঘায়েল করার চেষ্টা! কী ভেবেছে তোর বাবা। আমি হেরে যাওয়ার মানুষ না।'

আলমারি থেকে পাঁচ হাছার টাকা বের করে, আমার হাতে দিয়ে ঝাঁঝাল কন্ঠে বললেন, "নে দিয়ে আয়!" # গল্পঃ লেখক #📖 মইনুল হক তালুকদার 📖 # ভালো লাগলে লাইক কমেন্ট শিয়ার করতে ভুলবেন না # আল্লাহ আমাদের সবাইকে হেদায়ত দান করুক

ভাতের মধ্যে সাড়ে তিন হাত লম্বা চুল! দেখে গা শিউরে উঠলো। নতুন বউ, এখনো তাকে পুরোপুরি বুঝে উঠতে পারিনি। কিছু বলা উচিত হবে ...
09/02/2024

ভাতের মধ্যে সাড়ে তিন হাত লম্বা চুল! দেখে গা শিউরে উঠলো। নতুন বউ, এখনো তাকে পুরোপুরি বুঝে উঠতে পারিনি। কিছু বলা উচিত হবে কি না বুঝতেছি না। তবুও সাহস করে বলে ফেললাম, 'ভাতের মধ্যে একটা চুল পাইছি।'
বউ তখন সরি, আমি বুঝতে পারিনি বলে চুলটা নিয়ে গেলো। মনে মনে বললাম, মেয়েটা লক্ষ্মী আছে, নিজের ভুল বুঝতে পেরেছে। এক মিনিট পর বেডরুম থেকে একগাদা চুল নিয়ে এসে তরকারীর মধ্যে চুবিয়ে দিয়ে বললো, 'এবার ঠিকাছে?'
আমি হা করে তার দিকে তাকিয়ে তাকলাম। এমন অষ্টম আশ্চর্য মেয়ে আমার বংশের কেউ দেখেনি! একটু অভিমান নিয়ে বেডরুমে চলে গেলাম। রাতের খাবার আর হলো না। বেডরুম থেকে থালা বাসনের মিউজিক শুনতে পাচ্ছি। বোঝাই যাচ্ছে সে রেগে আছে। অথচ রাগ করার মতো আমি কি কিছু বলেছি? কী এক বিপদে পড়লাম! বিয়ে তো নয়, এ যেন এক মধুর জ্বালা!
হঠাৎ বাসন ভাঙার আওয়াজ কানে এলো। পা পিছলে পড়ে গেলো না কি? দৌঁড়ে কিচেনে গেলাম। দিয়ে দেখি সত্যি সত্যি আছাড় খেয়ে পড়ে গেছে। হাত ধরে টেনে তুললাম। প্রশ্ন করা উচিত হবে কি না ভাবছি। অতোশতো না ভেবে জিগাইলাম, 'কেমনে পড়লা?'
সে পাঁচটা প্লেট ও দুইটা গ্লাস হাতে নিয়ে খাড়া থেকে ধুমধাড়াক্কা ফ্লোরে পড়ে গেলো! সব প্লেট ভেঙেচুরে গুড়ো হয়ে গেলো। সে লজ্জিত স্বরে বললো, 'এভাবে পড়ে গিয়েছিলাম। আপনি না বুঝলে স্লো-মোশনে আরেকবার পড়ি? দেন, আরও পাঁচটা প্লেট দেন।'
আমি তব্ধা মেরে তার দিকে তাকিয়ে রইলাম। সে মুচকি হেসে বললো, 'প্লেট-ই তো ভাঙছি, হৃদয় তো আর ভাঙিনি! এতো চিন্তার কিছু নেই। আর হ্যাঁ, আমার মাথার চুল মাথায় থাকলে আপনি যতটা পছন্দ করেন, ভাতে গেলেও ততটা করতে হবে। আমারই তো চুল, ঘৃণার কী আছে!'
চুপচাপ শুয়ে পড়লাম। মাথা ঝিম মেরে আছে। বোধহয় ব্লাড প্রেসার বাড়ছে। মশারি টাঙিয়ে নেবো কি না ভাবছি। যদি না টাঙাই আরেকটা ঝামেলা হয়ে যেতে পারে। আড়মোড়া দিয়ে উঠে মশারি টাঙিয়ে নিলাম। সে এসে ফোঁসফোঁস করে ফুলতে লাগলো। তার তালগোল বাঁধানো ভাবসাব দেখে বললাম, 'আবার কী হয়েছে?'
'সব কাজই যদি তোমাকে করতে হয়, তাহলে আমাকে বিয়ে করলে কেন? আমি কি সামান্য মশারিও টাঙাতে পারি না!'
তার ১৮০ ডিগ্রি এঙ্গেলে পল্টি মারা দেখে আমার যারপরনাই অবস্থা হলো। সে আজ থেকে আর আমার সঙ্গে শুবে না। কিছুতেই না। এক ঘণ্টা আধ্যাত্মিক তেল মারালাম। তারপর পর কিছুটা শান্ত হলো। কী যেন কী মনে করে আমার পাশে এসে শুয়ে পড়লো। নতুন বউ, পাশে শুয়ে আছে। অথচ আমার মাথার মধ্যে কোনোপ্রকার আদর-সোহাগ, ভালোবাসার চিহ্ন-ই নাই, গতকালই মাথা থেকে এসব ঝেড়ে ফেলেছি। তারমতে শাড়ির কুচি যেহেতু খুলছি আমি, পরিয়েও আমাকে দিতে হবে। কী মুসিবত! রাত তিনটা থেকে ভোর পাঁচটা পর্যন্ত কুচিই ধরে গেলাম, কাজের কাজ কিছুই হলো না। আমি অপারগ হয়ে বললাম—
'দেখো, কুচি ভালোভাবে ধরতে না পারা আমার জিন গত সমস্যা। আমার বাপেরও ছিল। তিনিও কুচি ধরতে পারতেন না, আম্মুর বকা খেতে হতো। শুনেছি আমার দাদারও একই সমস্যা ছিল। সমস্যা বেশ পুরনো, বংশগত, আমাকে এবারের মতো ছেড়ে দাও। আর জীবনেও শাড়ি টানাটানি করবো না।'

সকাল ৭টায় ঘুম ভাঙলো। একটু পরে রেডি হবো, অফিসে যাবো। নাস্তার কথা বউকে বলবো কি না ভাবছি। সে দেখি বড়ো ভাবির ছোটো পোলাকে স্কুলে যাওয়ার জন্য রেডি করে দিচ্ছে। বাহ, কী সুন্দর দৃশ্য। কত না লক্ষ্মী বউ আমার। হুদাই তাকে ভুল বুঝি।
বউর কাছে গিয়ে দেখি পোলাটায় চোখ বুজে কাঁদছে। সে-ও হাঁটু গেড়ে কী যেন কী করছে। আমি বললাম, 'কী সমস্যা? ও কাঁদছে কেন?'
বউ আমায় আমতা আমতা করে বললো, 'ইয়ে, না মানে প্যান্টের চেইনে তার ইয়েটা আটকে গেছে।'
আমিও মুখ ফস্কে বলে ফেললাম, 'কীভাবে?'
সে তখন আমার প্যান্টের চেইন নিচের দিকে এক টানে খুলে আবার উপর দিকে আরেক হেঁচকা টান দিয়ে বললো, 'এভাবে।'
জিহবা বের করে দিলাম এক ভয়ংকর চিৎকার। চোখ খুলে দেখি হাসপাতালে ভর্তি। বংশের বাতিঘরে অনেকগুলো ব্যান্ডেজ মারা। অসহ্য ব্যথায় কাতরাচ্ছি। একটু আগে আমার শ্রদ্ধেয় ওস্তাদ ডক্টর কবজ এ হুদা আমাকে দেখতে এসেছেন। মনের দুঃখে ওস্তাদকে জড়িয়ে ধরে অনেক্ষণ কাঁদলাম। কাঁদতে কাঁদতে বললাম, 'ওস্তাদ, মানুষ বিয়ে করে কেন?'
ডক্টর হুদা লম্বা একটা দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে বললেন, 'মানুষ বিয়ে কেন করে, এটা জানার জন্য আমিও একবার বিয়ে করছিলাম। কিন্তু বিয়ের কিছুদিন পরে ভুলে গেছি, বিয়ে কেন করছিলাম!' # গল্পঃ লেখক # 📖মইনুল হক তালুকদার 📖 # ভালো লাগলে লাইক কমেন্ট শিয়ার করতে ভুলবেন না #

বাসর ঘরে ঢুকেই তানভীর নতুন বউকে বললো, চলো, এবার আমরা খেলাধুলা শুরু করি। তানভীরের বউ তরু স্বামীর কথা শুনে লজ্জায় লাল হয়...
09/02/2024

বাসর ঘরে ঢুকেই তানভীর নতুন বউকে বললো, চলো, এবার আমরা খেলাধুলা শুরু করি।

তানভীরের বউ তরু স্বামীর কথা শুনে লজ্জায় লাল হয়ে গেল। বেচারি আর চোখ তুলতে পারে না। এ কী নির্লজ্জ মানুষরে বাবা!! কই বাসর রাতে এসে একটু দুষ্টু মিষ্টি কথা বলবে,রোমান্টিক কথা বলবে, তা না, শুরুতেই খেলাধুলার কথা।

তরু লজ্জা লজ্জা গলায় মিনমিন করে, বাড়িভর্তি মানুষ। আর আজ সারাদিন তো কম ধকল গেলো না।খেলাধুলা না হয় আজ থাকুক। আজ আপনি ঘুমান।

তানভীর হো হো করে হাসতে শুরু করলো। তরু অবাক হয়ে ভাবে, এই লোকটা এতো নির্লজ্জ কেন? নতুন বউয়ের সামনে যে একটু লজ্জা লজ্জা ভাব নিয়ে থাকতে হয়, সেটাও জানে না নাকি?

হাসতে হাসতে তানভীর বলে, আরে বউ,তুমি আমারে টায়ার্ডনেস এর গল্প শোনাও? তুমি জানো, আমার কত এনার্জি? আমার কতো কারেন্ট? একবার আমরা বাকৃবিতে একটা ফিল্ড স্টাডি করতে গেছিলাম। সবাই যখন ফিশ মিউজিয়ামে মাছ দেখছে, আমি তখন তিন তলার ছাদ থেকে দিলাম এক লাফ। আমার কতো কারেন্ট, বুঝতেসো? ওসব টায়ার্ডনেস এর গল্প বাদ, খেলা আজ রাতেই হবে। বাসর রাতে না খেললে বিয়ে করার অর্থ কী? আমি তো খেলার জন্যই বিয়ে করসি।

এবার তরু ভয় ভয় চোখে তানভীরের দিকে তাকায়।

তানভীর তরুকে অভয় দেয়, আরে ভয় পাইওনা। প্রোটেকশন আমি আগেই রেডি করে রাখসি।আজ প্রথম রাত। তোমার সাথে আমি সারারাত টেস্ট ম্যাচ খেলবো না। অতো কারেন্টও নাই আমার। এক ঘন্টার একটা টি টোয়েন্টি ম্যাচই খেলবো।

এসব কথা শুনে তরুর কান গরম হয়। কী ভয়ঙ্কর নির্লজ্জ মানুষের সাথে ওর বিয়ে হলো রে বাবা!! আবার একটু একটু ভালোও লাগে!! ওর বান্ধবী নীলার বিয়ের দুই মাস পরেও ওর বর খেলাধুলার কথা মুখে আনে নাই। এটা নিয়ে নীলার সে কী টেনশন!! সব ঠিকঠাক আছে তো?

যাক, ওকে অন্তত এই টেনশন করতে হচ্ছে না। একেবারে আসল পুরুষের সাথে ওর বিয়ে হয়েছে!!

২.
ইউনিভার্সিটি লাইফে তানভীর ছিলো একেবারে খাঁটি চিরকুমার। তানভীরের ধ্যান এবং জ্ঞান দুটোই ছিলো খেলা। ক্রিকেটে আইপিএল, বিপিএল থেকে শুরু করে ফুটবলের চ্যাম্পিয়নস লীগ, লা লিগা প্রতিটা টুর্নামেন্টের পয়েন্ট টেবিল তানভীর মুখস্থ বলে দিতে পারতো। আমরা শেষমেশ পত্রিকায় খেলার পাতা পড়াই বাদ দিয়ে দিয়েছিলাম। তানভীর ছিলো আমাদের কাছে এক জীবন্ত স্পোর্টস ম্যাগাজিন। কবে কার খেলা, কটার সময়, কোন চ্যানেলে দেখাবে, এসবের জন্য আমাদের পেপার দেখতে হতো না। তানভীরকে জিজ্ঞাসা করলেই চলতো।

সেই তানভীর গ্র্যাজুয়েশনের পর জিদ ধরলো, এই জীবনে ও বিয়ে করবে না। বিয়ের পর বৌ আর ওকে রাত জেগে খেলা দেখতে দেবে না, এই ছিলো তানভীরের যুক্তি।

তানভীরের এই সিদ্ধান্ত শুনে ওর বড় বোন অজ্ঞান হয়ে পড়ে গেলো। আঙ্কেল রাগ করে বাসা থেকে বের হয়ে গেলেন। আন্টি মাথা চাপড়ান আর বলেন, কে আমার এই নিষ্পাপ ছেলেটার মাথা খাইলো? কে? তাঁর এই একটাই ছেলে। এই ছেলে বিয়ে না করলে বংশের বাতি জ্বালাবে কে?

শেষমেশ আমরা তানভীরকে বোঝাতে শুরু করি। আরে ব্যাটা, বিয়ের পর রাত জেগে খেলা দেখবি কেন? বিয়ের পর তো রাত জেগে খেলবি।

তানভীর লজ্জা পায়। ছেলেটা একেবারে ফার্স্ট ইয়ার থেকেই একটু লাজুক। এখনও তাই আছে।

যাই হোক, শেষমেশ তানভীর বিয়ের জন্য রাজি হলো। আমরা সবাই হাফ ছেড়ে বাঁচলাম।

৩.
বিছানায় উঠার আগ মুহূর্তে দরজায় খুট করে শব্দ হলো। তানভীর ভয় পেয়ে বললো, দরজায় কে? ভূত নাকি?

নীলা মিটিমিটি হাসে। বলে, আজ ঘুমান। বাড়িভর্তি লোকজন। দুষ্টু পোলাপান দরজাতেও কান পেতে রেখেছে। আজ রাতে খেলাধুলা করা সম্ভব না। কে না কে দেখে ফ্যালে!!

তানভীরের ভয়ঙ্কর মেজাজ খারাপ হয়। সে তার নিজের বিয়ে করা বৌয়ের সাথে খেলবে। সে কি অন্য মেয়ের সাথে খেলবে যে তাকে চোরের মতো খেলতে হবে? এই দেশের মানুষগুলো এমন কেন?

তানভীর সিদ্ধান্ত নেয়, এই বাড়িতে নতুন বৌকে নিয়ে আর এক মুহূর্তও না। কাল সকালেই ও বৌ নিয়ে হানিমুনে চলে যাবে। এক সপ্তাহ বা তিনদিন না। সে হানিমুন করবে টানা এক মাস। এই একমাস শুধু খেলা হবে। আর কিছু না।

ঘুমানোর আগে ও তরুকে বলে হানিমুনের কথা। তরু খুশি হয়। ইশ, কাল আসতে এতো দেরি কেন? কোনভাবে কাল সকালকে আজকেই এনে ফেলা যায় না?

৪.
হানিমুনে আসছে শুনে হোটেলের ম্যানেজার বললো, না ভাই, আপনারা এখানে থাকতে পারবেন না।

তানভীর অবাক হয়ে বললো, কেন?

তেলতেলে হাসি দিয়ে ম্যানেজার বললো, আমাদের খাটগুলো পুরনো। নতুনদের খেলাধুলার চাপ নিতে পারবে না। আপনি অন্য কোথাও দেখেন প্লিজ। আশেপাশে তো হোটেলের অভাব নাই। আমাদের হোটেল নতুন দম্পতিদের জন্য না। আমাদের হোটেল পুরনো দম্পতিদের জন্য। যারা খেলাধুলার বদলে ঝগড়া করে রাত পার করতে বেশি পছন্দ করে।

তানভীর আর তরু নতুন হোটেল খোঁজা শুরু করলো। তরু লজ্জা লজ্জা মুখে হঠাৎ বললো, প্রোটেকশন নিয়েছো তো? দেখো কোন একসিডেন্ট যেন না হয় প্রথম দিনেই।

তানভীর ৩২ জোড়া দাঁত বের করে হাতের বিশাল একটা ব্যাগ দেখায়। এই যে দ্যাখো, ব্যাগ-ভর্তি প্রোটেকশন।

তরু ভয় পায়। খুশিও হয়। এতো মনে হয় পুরো ফার্মেসিটাই ব্যাগের মধ্যে ভরে নিয়ে আসছে!! অবশ্য এক মাস অনেক সময়।

৫.
হোটেল পাইতে খুব বেশি কষ্ট হলো না।

এই হোটেলের ম্যানেজার লোকটা ভালো। ঝকঝকে হাসি হেসে বললো, স্যার আমাদের হোটেল আমরা বানিয়েছিই নতুন দম্পতিদের হানিমুনের জন্য। খাটগুলো শক্ত। নড়াচড়া করার সম্ভাবনা নাই। রুম সাউন্ডপ্রুফ। কোনো শব্দই বাইরে যাবে না।

তানভীর খুশি হয়। বলে, মেঝেটা ভালো আছে তো? সবসময় তো আর বিছানায় খেলতে ভালো লাগবে না, তাই না?

ম্যানেজার চোখ মেরে বলে, সব ঠিক আছে স্যার। ফোল্ডিং বেড। ইচ্ছামতো পজিশন ঠিক করতে পারবেন।

তানভীর আর তরু রুমের দিকে রওনা হয়। অপেক্ষার পালা বুঝি শেষ হতে চললো!!

৬.
হোটেলের রুমটা তরুর খুব পছন্দ হলো। জানালা খুলে দিতেই আলোর স্রোতে ঝলমল করে উঠলো পুরো ঘর। তানভীর ঝড়ের বেগে গিয়ে জানালা বন্ধ করে দিলো। বললো, পাগল নাকি তুমি? জানালা খোলা রাখলে সাউন্ড যাবে না বাইরে?

তরু অবাক হওয়ার ভান করে বলে, কিসের সাউন্ড?

তানভীর বিরক্ত হয়, কিসের সাউন্ড মানে? খেলাধুলার সাউন্ড। ভার্জিন লোকজন নিয়ে এই এক প্রবলেম। আগে খেলো নাই মানলাম। বাট খেলা দেখার তো কথা। নাকি তুমি ওসব দেখোও না?

তরু মুখ টিপে হাসে। বলে, রেস্ট নেওয়া উচিত না এখন? এতো দূর জার্নি করে আসলাম?

তানভীর বলে, রেস্টের গুষ্টি বেঁচি। কোনো কথা হবে না। আগে খেলা, পরে সবকিছু। আমি কি রেষ্ট নেওয়ার জন্য বিয়ে করেছি? আমি তো খেলার জন্যই বিয়ে করেছি।

তানভীর বিছানা সরিয়ে রুমের এক পাশে নিয়ে যায়। তরু খুব বেশি অবাক হয় না। অস্বাভাবিক কিছু না। একেকজনের একেক অভ্যাস থাকে। ওর বিয়ে হওয়া বান্ধবীদের কাছে শুনেছে এসব। তানভীরও হয়তো রুমের মাঝখানে বিছানা রেখে কম্ফোর্ট ফিল করে না। বিছানায় কী আসে যায়? পারফরম্যান্স ই আসল।

তানভীর বলে, আমার পারফরম্যান্স কিন্তু ভালো। তুমি আমার সাথে তাল মেলাতে পারবা তো?

তরু মুচকি হাসে। মুখে কিছু বলে না। মনে মনে বলে, কার পারফরম্যান্স কেমন সেইটা তো বিছানাতেই প্রমান হবে। তরু হাতের চুরি খোলে, কানের দুল খোলে, গলার হার খোলে। চুল আলগা করে, শাড়ির আচল আলগা করে।

তানভীর তখন প্রোটেকশন এর ব্যাগ খুলতে ব্যস্ত।

ব্যাগ থেকে একে একে হেলমেট বের হয়, হ্যান্ড গ্লাভস বের হয়, প্যাড বের হয়। তানভীর ভালো করে হাত, মাথা আর পায়ে প্রোটেকশন পড়ে নেয়। তরু বারবার জিজ্ঞেস করছিলো প্রোটেকশন এর কথা।

এরপর নিজে ব্যাট হাতে নিয়ে তরুকে বল আগায়া দেয়। তানভীর ছোটবেলা থেকেই আগে ব্যাটিং করে অভ্যস্ত। আজকেও সে আগে ব্যাট করবে। নতুন বউ হলেই আগে ব্যাট করতে দিতে হবে, এই কথা কোথায় লেখা আছে?

তানভীরের এই অদ্ভুত সাজ দেখে তরু অবাক হলো। তানভীর ওর অবাক হওয়ার কোনো তোয়াক্কা করলো না। বল বাড়িয়ে দিলো তরুর দিকে।

তরু বললো, বল নিয়ে কী করবো?

তানভীর বললো, ঢং করো না তরু। এসব ঢং করলেই আমি তোমাকে আগে ব্যাটিং করতে দেবো না। বাসর রাত থেকে আমি এই ক্রিকেট খেলার জন্য ওয়েট করছি। খেলার সঙ্গী পাই না বলেই তো বিয়ে করেছি বৌয়ের সাথে ক্রিকেট খেলার জন্য। যাও বল করো। জোরে করলেও সমস্যা নাই, আমার প্রোটেকশন আছে।

তরু একবার বলের দিকে আরেকবার তানভীরের দিকে তাকায়। পুরো ব্যাপারটা বুঝতে ওর দশ সেকেন্ড সময় লাগলো। তারপর তরু বিকট একটা চিৎকার দিয়ে অজ্ঞান হয়ে মেঝেতে পড়ে গেল।

তানভীর অবাক হয়, একটু ভয়ও পায়। ও শুনেছে অনেক মেয়েরা খেলার পরেই অজ্ঞান হয়। কিন্তু তরু খেলার আগেই অজ্ঞান হয়ে গেলো কেন? অজ্ঞান বৌয়ের মাথায় ঠান্ডা পানি ঢালতে ঢালতে তানভীর ভাবে, তবে কি তরু আসলে ভার্জিন না?

গল্প: বৃষ্টি না হওয়ার পরেও যে ম্যাচ পরিত্যক্ত হয়েছিলো # গল্পঃ লেখক # 📖 মইনুল হক তালুকদার 📖 # ভালো লাগলে লাইক কমেন্ট শিয়ার করতে ভুলবেন না #

অঝড়ে র*ক্ত বমি করছে নুরি। আর তার জন্মদাত্রী মা ঘরে বসে বলছে।- রাস্তায় দারিয়ে দারিয়ে আরো সিংগারা খা। আমার হয়েছে জতো জালা।...
08/02/2024

অঝড়ে র*ক্ত বমি করছে নুরি। আর তার জন্মদাত্রী মা ঘরে বসে বলছে।
- রাস্তায় দারিয়ে দারিয়ে আরো সিংগারা খা। আমার হয়েছে জতো জালা। আল্লাহ সব গজব আমার কপালেই দেয়। ম*রে জায় না কেন। ম*রে গেলে মাটি দিয়ে দুই চার দিন কান্না করতাম।

নুরি এবার ক্লাস ১০ এ পরে। শ্যামলা গায়ের রং কালো চুলের অধিকারী নুরি। নুরিরা তিন বোন বড়ো বোন শারমিন এবং মেঝো বোন আশা। নুরি বাদে বাকি দুই বোন দেখতে খুব সুন্দর। দুই বোনেরি বিয়ে হয়ে গেছে। সংসারে বালতি বোঝা এখন নুরি। ছোট থেকেই নুরি বুঝতে পারে সে এই সংসারের পাপ হয়ে এসেছে।
লোকের মুখে সো*না জায় সৎ মা নাকি খুব অত্যা*চার করে। কিন্তু নুরির আপন মা নুরির সাথে জেই ব্যবহার করে তা দেখলে কেউ বলবে না এটা নুরির আপন মা। নুরির বাবা সেলিম মিয়া খুব কষ্ট করে বাকি দুই টা মেয়ের বিয়ে দিয়েছে। এবং নুরিকেও খুব কষ্ট করে পরায়। মধ্যবিত্ত পরিবারে কষ্ট তো কিছুইনা। ছোট থেকেই বাকি দুই বোনের থেকে বাবা নুরিকে একটু বেশেই আদর করে। কিন্তু নুরির মায়ের চোখের বিষ নুরি। কথায় কথায় কালো কলংক বলে উপহাস করে তাকে। ঘরের কাছ কর্মে ভুল হলে গা*য়ে হাত পযর্ন্ত তুলতে দ্বিধাবোধ করে না।

সকালের কাজ কর্ম সেরে স্কুলে যেতে যেতে প্রায় ১০:৩০ বেজে গেছে। তারাতাড়ি ক্লাসে গিয়ে বসে হাপাতে লাগলো নুরি। কিছু খন পরেই টের পেলো আবার নাক থেকে র*ক্ত পরছে। কি জে হয়েছে বুঝতেই পারছে না কখনো নাক কখনো মুখ থেকে র*ক্ত পরছে।
নুরি একবার ভাবলো বাড়িতে তার মা রুনা বেগম কে জানাবে। আবার ভাবলো না মরে গেলেও না তাকে কিচ্ছু বলবে না সে। জা হবে দেখা জাবে। বিকেল ৪:৩০ এ স্কুল ছুটি হওয়ায় খুব চিন্তায় পরে গেলো আজ নুরি। প্রতিদিন ৩ টা বাজতেই ছুটি হয়ে জায় আর সে বাসায় গিয়ে সব রান্না বান্না করে কিন্তু আজ যে তার খুব বকা সুনতে হবে।। জোজে জোরে হেঠে বাড়ির দিকে রওনা দিলো নুরি। হঠাৎ দেখলো পি*রিয়*ডের র*ক্ত। নুরি খুব অবাক হলো। এইতো তিন দিন আগে পি*রিয়ড শেষ হয়েছে আজকে হঠাৎ আবার শুরু হলো কেন। আবার মনে মনে ভাবলো হয়তো এমনি হচ্ছে। কোনো চিন্তা ভাবনা না করে তারাতাড়ি বাড়ি গেলো নুরি । ঘরে ঢুকতেই শুরু হলো তার মায়ের চেচামেচি।

-পড়ালেখা তো ও একাই করে আর মেয়েরা তো পরা লেখা করে না। এই কালো মেয়েকে পরিয়ে বা কি হবে। শুধুই টাকা নষ্ট করছে ওর বাপ। আর কোনো কথা শুনে এই লোক। বলছি ভালো একটা ছেলে দেখে বিয়ে দিয়ে দিতে না করে না। কয়লা ধুলে কী আর পরিষ্কার হয়। জতোই লেখাপড়া করাক না কেন এই মেয়ে পড়েলেখে কিচ্ছু করতে পারবে না। (নুরির মা রুনা বেগম)

নুরির চোখ থেকে টপ টপ করে পানি পরছে। ড্রেস খুলেই তারাতাড়ি রান্না শুরু করে দিলো নুরি। নুরি রান্না করে গোসল করে এসে দেখে রুনা বেগমের খাওয়া শেষ। কিন্তু তার বাবা বসে আছে নুরির জন্য। নুরি মুচকি হেসে বাবার সাথে খেতে বসলো। হঠাৎ আবার তার বমি শুরু হয়। রুনা বেগম নুরির এমন বার বার বমি হওয়া দেখে খুব নোং*রা কিছু সন্দেহ করে ঘরে বিছানা থেকে উঠে এসেই সজোরে নুরির গালে এলোপাথাড়ি থাপ্প*ড় মারতে থাকে। নুরি কিছু বোঝার আগেই জেনো সব হয়ে গেলে।

-কালি! কার সাথে আ*কাম কু*কাম করে এসেছিস? আমার পবিত্র সংসার টা কী নরক বানাতে চাস? বেহায়া পোনা করেছিস কার সাথে? (নুরি কে মারতে মারতে কথা গুলো বললো রুনা বেগম)

নুরির বাবা সেলিম মিয়া রুনা বেগম কে থামিয়ে বললেন।
-কি সব অবোল তাবোল বলতাছো? আমাদের মেয়ে এমন না। (সেলিম)

-হইছে ! তুমি যদি এই মাইয়া নিয়ে আর একটু নাচানাচি করো তাহলে আমি তোমার সংসার ছেড়ে চলে জাবো। আল্লায় সব গজ*ব আমারে দিছে। আজকে আমার একটা পোলা থাকলে এতো কষ্ট করা লাগতো না। এক একটা মাইয়া বিয়া দিতে দিতে জীবন টা কয়লা হইয়া জাইতাছে।(রুনা)

সেলিম মিয়া চুপ করে আছে। কোনো কথা বলছে না সে। ভালোবেসে বিয়ে করেছিলো রুনা বেগম কে। কিন্তু এই লোকটাকে কখনো বোঝেনি সে। সেলিম বিয়া সব সময় চেয়ে এসেছে একটু শান্তি। কিন্তু রুনা বেগম সব সময় ঘর আগুনের মতো গরম করে রাখে। সেলিম বিয়ার মনে একটাই প্রশ্ন। যারা তার থেকে অল্প টাকা ইনকাম করে তাদের সংসারেও কি বউ এমন করে? যাদের ৫/৭ টা মে*য়ে কোনো ছে*লে নেই তারাও কী মেয়ে কে এভাবে অবহেলা করে। নুরির জন্য তার খুব কষ্ট হয়। কলি*জা টা ফে*টে জায়। যদি পারতো মেয়েটাকে অন্য কোথাও নিরাপদ জায়গায় রাখতে তাহলে হয়তো সে একটু শান্তি পেতো। বাকি দুই টা মেয়েও খুব কষ্ট সহ্য করেছে। কিন্তু নুরির মতো এতো কষ্ট কেউ সহ্য করেনি।
নুরি সেখান থেকে ঘরে চলে গেলো। সেলিম মিয়া চোখের পানি মুছতে মুছতে কাজে চলে গেলো।

চার দিন হলো নুরি স্কুলে জেতে পারছে না। শ*রীর খুব খা*রাপ। দিন দিন জেনো সে শেষ হয়ে জাচ্ছে। হাতের কিছু টাকা নিয়ে টিউশনের কথা বলে বের হয়ে ডাক্তারের কাছে জায় নুরি। ডাক্তার কিন্তু চেকাপ দেয়। চেকাপ ছাড়া ঔষধ দেওয়া জাবেনা। নুরি একবার ভাবলো চেকাপ করাবে আবার ভাবলো করাবে না। আবার ভাবলো যদি মরে টরে জাই তাহলে তো জানবোও না কেনো মরলাম জাই চেকাপ গুলো করাই। চেকাপ করতে ৪ হাজার টাকা লাগলো। সবটাই নুরির টিউশনের জমানো টাকা। নার্স বললো দুই দিন পর রিপোর্ট দিবে আর সেইদিনি সব রিপোর্ট ডাক্তার কে দেখাতে হবে। নুরি মেডিকেল থেকে বের হয়ে বাসার দিকে রওনা দিলো। মেডিকেল টা বেশি দুরে না হওয়ায় তারাতাড়ি চলে আসতে পারলো নুরি।

খুব চিন্তায় আছে নুরি রিপোর্টের আর একদিন বাকি। নুরির অসুস্থতা অনেক দিন থেকেই। আরো একবার র*ক্ত বমি হয় কিন্তু ঔষধ খাওয়ার পরে ঠিক হয়ে জায় তাই ব্যপার টা সিরিয়ালি নেয় নি নুরি। কে জানে আবার হঠাৎ এমন অসুস্থ হয়ে জাবে। এই দিকে দিন দিন নুরির অসুস্থতা বারছে আর তার মায়ের অত্যা*চার ও বারছে। উঠতে বসতে কথা সুনায় নুরিকে।বিকেলে আবার নাক দিয়ে র*ক্ত পরছে নুরির। খুব ক্লান্ত লাগছে তার। তাই বিছানায় গা এলিয়ে দিলো নুরি।নুরিকে সুয়ে থাকতে দেখে নুরির মা বললো।

-কাজ না করার অজুহাত সব। আমি তো কিছুই বুঝিনা। আমাকে তো অবুঝ মনে হয়। এইসব ঢং আমার জানা আছে। কিচ্ছু বলবো না। এই সংসারের কে আমি কেউ না। দুই বাপ মেয়ের চাকর আমি। আমাকে তো দাশী রাখা হয়েছে।(রুনা)
-মা এইসব কি বলছো? কী করা লাগবে আমারে বলো। (নুরি) কথা পেইজ
-থাক আর ঢং করতে হবেনা(রুনা)
কালো মুখ করে চলে গেলো রুনা বেগম।
আজ নুরির রিপোর্ট দিবে। নুরি জতোই মেডিকেলের দিকে জাচ্ছে ততোই তার বুকের মধ্যে ধুক ধুক শব্দ হচ্ছে। খুব ভয় হচ্ছে তার। কে জেনো কি আসে রিপোর্টে। মেডিকেল পৌঁছে রিপোর্ট টা হাতে নিয়ে ডাক্তারের কেবিনের দিকে জায় নুরি। কিন্তু কেবিন বন্ধ। পাশে এক নার্স জানায় আজকে নুরির রিপোর্ট জেই ডাক্তার দেখবে সে আসে নি। তার সব রুগী কে ডাক্তার সায়েদ আলম দেখছে। নুরি দুই তলা থেকে তিন তলা সায়েদ আলোমের কেবিনের সামনে গিয়ে দেখে পাচ জনের পর সে ভিতরে জেতে পারবে।

এক ঘন্টা বসে থাকার পর ভেতর থেকে ডাক আসলো নুর জাহান নুরি আপনার সিরিয়াল এসেছে।
কথা টা সুন্ই নুরির বুক কেপে উঠলো। কাপা কাপা হাতে রিপোর্ট নিয়ে ভেতরে ঢুকলো নুরি।
ডাক্তার সায়েদ কে দেখে নুরি অবাক হয়ে তাকিয়ে আছে।
ডাক্তার সায়েদ উপরে তাকিয়ে নুরিকে দেখে বললো।
-আরে নুরি তুমি?এসো বসো। (ডাক্তার
- আসসালামুয়ালাইকুম স্যার (নুরি)
- ওয়ালাইকুমাসালাম।(ডাক্তার সায়েদ)
-আপনি এখানে স্যার....(নুরি)
-হ্যা! এক মাস আগে চা*করিটা হলো। কমতো কষ্ট করলাম না। তুমি তো সব জানোই।(সায়েদ)
-যাক আলহামদুলিল্লাহ (নুরি)
-এবার বলো তুমি কেমন আছো?(সায়েদ)
-সেটা তো আপনি এখন এই রিপোর্ট দেখে বলবেন আমি কেমন আছি। (নুরি)
-কেনো কী হয়েছে তোমার। দেখি রিপোর্ট গুলো দাওতো।(সায়েদ)
নুরি রিপোর্ট গুলো এগিয়ে দিলো।
নুরির রিপোর্ট গুলো দেখে সায়েদের মুখটা কালো হয়ে গেলো। সায়েদের চোখে পানি ছল ছল করছে।
-কী হয়েছে স্যার?(নুরি)

চলবে...........

গল্পঃলেখক # 📖আমি মইনুল হক তালুকদার 📖 #
রেজওয়ানা আসিফা
সুচনা পর্ব
পরের পর্ব জন্য পাশে থাকবেন।

Address

Kazaikata
Bilasipara
01954837

Telephone

+916374897643

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Moynul short video posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to Moynul short video:

Share