04/09/2025
ফের রাজ্যের একমাত্র কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের র্যাঙ্কিং -এ অবনমন। ন্যাশনাল ইনস্টিটিউশন র্যাঙ্কিং ফ্রেমওয়ার্ক বা এনআইআরএফের তালিকায় এবারেও পিছিয়ে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়.......
বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রকের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউশন র্যাঙ্কিং ফ্রেমওয়ার্ক ওয়েবসাইটে বিশ্বভারতী স্থান পেয়েছে ১৫১-২০০ মধ্যে।মন্ত্রকের র্যাঙ্কিং অনুযায়ী এক দশক আগে যে প্রতিষ্ঠান ১১ নম্বরে ছিল, গত কয়েক বছরে সেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শুধুই অবনমন ঘটেছে। ২০২০ সালে ৫০ নম্বরে ছিল বিশ্বভারতী। পরের বছর আরও নীচে নেমে হয় ৬৪। ২০২২-এ ৯৮ নম্বরে এবার ২০২৩ সালেও ৯৭ -এ ঠাঁই হয় বিশ্বভারতীর। ২০২৪ সালে ১৫০ নম্বরে নামে। ২০২৫ সালে প্রকাশিত হওয়া র্যাঙ্কিং নিয়েই প্রশ্ন ওঠে, তবে কি বিশ্বভারতীর ঐতিহ্য ধাক্কা খাচ্ছে বিশ্বকবির পরম যত্নে গড়ে তোলা এই আশ্রমের কৃষ্টি। যা বাংলাকে বিশ্বের দরবারে গৌরবান্বিত করে। পৃথিবীজুড়ে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃতীরা রয়েছেন। কেন সেখানে শিক্ষার মানের অবনমন হচ্ছে। তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন প্রবীণ আশ্রমিক থেকে প্রাক্তনীরা। প্রসঙ্গত,শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পরিকাঠামোগত মানের উন্নয়ন, দৈনন্দিন পড়াশোনার মানোন্নয়ন কতটা হয়েছে, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের গবেষকদের গবেষণার উৎকর্ষ কেমন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কতটা পেশাদারিত্ব রয়েছে, সমাজের সব স্তরের পড়ুয়াদের শিক্ষার মূলস্রোতে নিয়ে আসার চেষ্টায় কেমন ভূমিকা সংশ্লিষ্ট শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের, পরীক্ষায় উত্তীর্ণ পড়ুয়াদের বর্তমান অবস্থা ইত্যাদি। অর্থাৎ পেশাদার জীবনে বা কর্মক্ষেত্রে প্রাক্তনীরা কতটা সফল, সেটিও মানদণ্ড হিসেবে বিবেচনা করে দেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলির ক্রমতালিকা প্রকাশিত হয়।এনআইআরএফের ওয়েবসাইটের তথ্য অনুযায়ী প্রায় সব ক্ষেত্রেই পিছিয়েছে বিশ্বভারতী। ওয়েবসাইটে প্রকাশিত হওয়া র্যাঙ্কিং-এ নিরিখ প্রথম স্থানে ৮৫.০৫ শতাংশ পেয়ে বেঙ্গালুরু কর্ণাটকের ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ সায়েন্স বিশ্ববিদ্যালয়। দ্বিতীয় স্থানে ৭১ শতাংশ পেয়ে দিল্লির জহরলাল নেহেরু বিশ্ববিদ্যালয়। রাজ্যে ৬৫.৪২ শতাংশ পেয়ে নবম স্থানে রয়েছে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় অবশ্য ৫৫.১৭ শতাংশ পেয়ে ৩৯ স্থানে। উল্লেখযোগ্যভাবে ১ থেকে ১০০টি বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকা দেওয়া হয়। এরপরে আর দেওয়া হয় না। স্বাভাবিক ভাবেই বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের মানের এই ক্রম অবনমনে দুশ্চিন্তা বাড়িয়েছে পড়ুয়া, অভিভাবক ও বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষকেও। যদিও কর্তৃপক্ষের দাবি, দীর্ঘদিন স্থায়ী উপাচার্য না থাকায় গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিতে পারিনি বিশ্ববিদ্যালয়। এবছর স্থায়ী উপাচার্য নিয়োগ হওয়ায় গুরুত্বপূর্ণ পদগুলি নিয়োগ হওয়া সহ বিভিন্ন ভবনের কাজের গতি এসেছে। পরের বছর অর্থাৎ ২০২৬ সালে এনআইআরএফের তালিকায় সফলতা পাবে বিশ্ববিদ্যালয়।