Sumanta Ganguly

Sumanta Ganguly New Show & Movies Related

ফেসবুক খুললেই বর্তমানে দেখি অধিকাংশ ইউজার বিশেষ করে মহিলা ইউজাররা --- আমার পরিবারে আসুন (মেয়েকে বিয়ে করে নয়, ফলো দিয়...
29/01/2025

ফেসবুক খুললেই বর্তমানে দেখি অধিকাংশ ইউজার বিশেষ করে মহিলা ইউজাররা ---

আমার পরিবারে আসুন (মেয়েকে বিয়ে করে নয়, ফলো দিয়ে),
একটু ভালোবাসা দিয়ে যান(জড়িয়ে ধরে নয়, স্টার দিয়ে) 😃,
আমার বাড়িতে আসুন ( সত্যি সত্যি বাড়িতে নয়, ফেসবুকের ফ্রেন্ড লিস্টে বা ফলোয়ার লিস্টে)

ইত্যাদি ইত্যাদি বলে হা পিত্যেস করছেন একটা স্টারের জন্য। নিজেকে আকর্ষণীয় করতে কেউ কেউ ছোট অশ্লীল পোশাক পরছেন ঠিক অন্ধকার গলিতে রং চং মেখে দাঁড়িয়ে থাকা মহিলাদের মত। এসব দেখে সত্যিই খুব খারাপ লাগে। কতটা নির্লজ্জ হলে এসব করা যায়? এর থেকে তো কৌটা নিয়ে ট্রেনে বা ফুটপাতে ভিক্ষা করতে পারেন। সেটা অনেক সন্মানের। কোনো ভদ্র ঘরের বৌ চেনা অচেনা সকলকে বলতে পারেন না -- আমাকে একটু ভালবাসা দিয়ে যান।

একটা অপসংস্কৃতি গ্রাস করে ফেলেছে আমাদের সমাজকে। আমাদের অস্থি মজ্জায় ঢুকে গেছে অপসংস্কৃতির জারক রস। গল্পে রাজা একা ল্যাংটা ছিল ভয়ে কেউ তাকে ল্যাংটা বলতে পারেনি। এখানে ল্যাংটাদের সংখ্যা অনেক বেশি তাই যারা ল্যাংটা নয় তারা ও ভাবছে ল্যাংটা হওয়াটাই হয়তো স্বাভাবিক। আর ল্যাংটা গুলো দুহাত তুলে ধেই ধেই নেচে নিজেদের জয়গান গাইছে।

কী খুব রাগ হচ্ছে আমার উপর? আচ্ছা আপনি বলুন তো কীভাবে আয় হয় ফেসবুক থেকে? কত স্টার হলে টাকা তোলা যায়? স্টার কারা দেয়, কেন দেয়? অনেক কিছুই জানেন না, অথবা ভুল জানেন। তাহলে শুনুন বেশিরভাগ স্টার দেয় কিছু লম্পট লুচ্চামি করার জন্য। আর কিছু দেয় নিজেকে সময়ের সঙ্গে মানিয়ে রাখতে , বন্ধু বান্ধবীদের সামনে নিজের স্টাটাস বজায় রাখার জন্য। আবার কিছু মহিলা দেয় অন্যদের লোভ দেখানোর জন্য। একটা স্টার গিফট করতে দেখলেই কারো কমেন্ট বক্সে দেখবেন কত মহিলা সেখানে গিয়ে লাভ রি-অ্যাক্ট দেয়, রিপ্লাই দেয়। অন্যের কমেন্ট বক্সে গিয়ে রিপ্লাই দেওয়া ও তো এক ধরনের নির্লজ্জতা। কিন্তু স্টার এখনের অমৃত ভান্ডার, তা পাওয়ার জন্য ছুটছে সবাই। তাতে কাপড় খুলে যায় যাক।

১০০০০ স্টার হলে আপনি টাকা তুলতে পারবেন। হ্যাঁ দশ হাজার! যে সমাজ ১ টাকা ভিক্ষা দেওয়ার ভয়ে কপালে হাত ঠেকায়, সেই সমাজ আপনাকে ফ্রীতে স্টার দেবে?

আপনি যদি কাউকে দেন তবেই আপনাকে তারা দেবে। হয় আপনাকে স্টার দিতে হবে নয়তো ইনবক্সে মজা। মজা দিলে আপনি অনেক কিছুই পাবেন। সেটা নিয়ে আমার কিছু বলার নেই। কিন্তু যদি স্টার দিয়ে আপনাকে স্টার নিতে হয়? তাহলে জেনে রাখুন -- একটা স্টার আপনাকে প্রায় ৩ টাকা দিয়ে কিনতে হবে, কিন্তু আপনি ভাঙালে একটা স্টার থেকে পাবেন মাত্র ৮০ পয়সা। ফেসবুকের এটা একটা লুট করার পলিসি ছাড়া আর কিছু নয়।

তাই দয়াকরে এসবের থেকে দূরে থাকুন। অবসর সময়ে ফেসবুক করুন, আত্মীয় স্বজনদের খোঁজ খবর নিন, স্বামী সন্তানের যত্ন নিন। উইকলি চ্যালেঞ্জ পূরণ না করে সন্তানের হোম টাস্কের খেয়াল করুন।

আপনার গুন থাকলে তার এমনিই সবাই জানবে। সময়ের অপেক্ষা শুধু 💕

ভালো থাকবেন। আমার কথায় কষ্ট পেলে আনফলো করে দিতে পারেন। কিন্তু আমি যেটা বলেছি ভেবে দেখুন, চারিদিকে তাকিয়ে দেখুন -- এক বর্ণ ও মিথ্যা নয়।
©copied

09/12/2024

*জীবনের Success টা কি !! অসাধারণ।*

*এক মৃত ব্যক্তির পকেট থেকে পাওয়া চিঠি :*

যখন জন্মালাম বাবা মা ভাবল এটা তাঁদের *"Success"*, যখন হাঁটতে শিখলাম মনে হল এটাই *success* ।

যখন কথা বলতে শিখলাম মনে হল এটাই *success*।

এরপর স্কুলে গেলাম, শিখলাম first হওয়াটা বা সবার চেয়ে বেশি নম্বর পাওয়াই *success*।

এরপর বুঝলাম না আসলে মাধ্যমিকে স্টার পাওয়াটাই *success*।

ভুল ভাঙল, বুঝলাম উচ্চমাধ্যমিকে এই রেজাল্টটা ধরে রাখাই *success*।

এখানেই শেষ নয়, এরপর বুঝলাম ভালো সাবজেক্ট নিয়ে ভালো কলেজে চান্স পাওয়াটাই *success*, যেটা পড়লে একটা ভালো চাকরি পাওয়া যাবে।

আরো পরে বুঝলাম না কলেজ শেষে ভালো চাকরী পাওয়া এবং অনেক রোজগার করাটাই *success*।

এরপর বুঝলাম না, নিজের টাকায় একটি ভালো ফ্ল্যাট কেনাটা *success*।

পরে বুঝলাম সেটাও নয়, নিজের টাকায় এরপর গাড়ি কেনাটাই আসল *success*।

আবার ভুল ভাঙল, এরপর দেখলাম ভাল দেখে বিয়ে করে সুখে সংসার করাটাই আসল *success*।

বছর ঘুরলো, দেখলাম আসলে বিয়ে করে বংশধর এনে তাকে ভালো ভাবে বড় করাটাই *success*, ছেলে হলে তাকে প্রতিষ্ঠিত করাটাই *success*, মেয়ে হলে একটা ভালো ফ‍্যামিলীর ভালো চাকুরীওয়ালা ছেলের সাথে বিয়ে দেওয়াটাই *success*।

এরপর এলো আমার রিটায়ারমেন্ট, সারা জীবনের জমানো টাকার সঠিক investment করে utilization করতে পারাই *success*...

এরপর যখন সবাই মিলে চিতায় উঠিয়ে দিল। মড়ার একটু আগেই বুঝলাম পৃথিবীতে *success* বলে কোন কিছুই স্থায়ী লক্ষ নেই, পুরোটাই একটা এগিয়ে যাওয়ার জন্য নিজের তৈরী করা competition, যার মূলে আছে আকাশ ছোঁয়া আকাঙ্ক্ষা, যা কখনো পূর্ণ হবার নয়।

*তখন বুঝতে পারলাম এর থেকে জীবনের প্রতিদিন বা প্রতি মূহুর্ত আনন্দের সঙ্গে সুস্থ থাকা ও অন্যের জন্য কাজ করতে পারাই success* এর মূল লক্ষ্য হলে অনেক ভালো হত। কিন্তু এটা বুঝতে অনেক দেরী করে ফেলেছি ।

*জীবনকে খোঁজো, জীবনকে বোঝো .....নিজেকে ভালোবাসো, অন্যদের সন্মান দাও আর ভালোবাসো*🤔😟

সংগৃহীত।

দেরাদুনের গাড়িদুর্ঘটনার বীভৎসতা জাস্ট নেওয়া যাচ্ছে না। পাঁচ-পাঁচটা তরুণের প্রাণ কী ভয়ংকরভাবে চলে গেল। জীবিত একজন মৃত্যুর...
17/11/2024

দেরাদুনের গাড়িদুর্ঘটনার বীভৎসতা জাস্ট নেওয়া যাচ্ছে না। পাঁচ-পাঁচটা তরুণের প্রাণ কী ভয়ংকরভাবে চলে গেল। জীবিত একজন মৃত্যুর সঙ্গে এখন পাঞ্জা লড়ছে। জন্মদিনের পার্টিতে প্রথমে মত্ত হওয়া তারপর নতুন দামী ইনোভা গাড়িতে সবাই মিলে নাইট রাইড। পাশ দিয়ে যেই হুশ করে চলে গেল আরও দামী গাড়ি বিএমডব্লু অমনই ইনোভার রেসপ্যাডেলে চাপ। তবে রে দামী গাড়ি বলে কি মাথা কিনে নিয়েছে, দাঁড়া দেখাচ্ছি মজা!
যেভাবেই হোক ওই বিএমডব্লুকে পিছনে ফেলতেই হবে নইলে এই মনুষ্যজন্ম বৃথা, সব ব্যর্থ।
তারপর মুখোমুখি লরি, পাঁচটি ছিন্নভিন্ন দেহ, যার ভিডিও ফুটেজ কোনও সুস্থ মানুষের পক্ষে দেখা সম্ভব না। বিএমডব্লু চলে গেল, রাস্তায় পড়ে রইল নিথর শরীরগুলো। পৃথিবীর অধিকাংশ পথদুর্ঘটনা এইভাবেই হয়। ইগো। ও কেন আমাকে ছাড়িয়ে চলে যাবে? একবারও ভাবি না, রাস্তা তো সেম, গন্তব্যও আলাদা, কী হবে ওভারটেক করে? যে আগে যেতে চায় তাকে সানন্দে জায়গা দিয়ে নিজের মত যাই। কিন্তু ওই যে ইগো। আমার গাড়ি কমদামের বলে বেশি দামের গাড়ির কাছে হেরে যাব? কিম্বা আমার গাড়ি বেশি দামী কমদামের কাছে হেরে যাব? কভি নেহি। সুতরাং রেসপ্যাডলে আরও চাপ। রেসে যদি জিততে চান রেসপ্যাডেল কেন ময়দানে দৌড়ে হারান। শরীর ভাল থাকবে, আর নিজের যোগ্যতায় জিতবেন। কিন্তু ওতে পরিশ্রম বেশি, দেখনদারি কম। সুতরাং যায় যদি যাক প্রাণ আমার গাড়ি ভগবান। নিরাপত্তা বোধ যদি নিজের ভেতরে না থাকে তাহলে গাড়ির সেফটি র‍্যাঙ্ক ফাইভ বা টেন যত স্টারই হোক না কেন আসলে জিরো।
ইগোর স্পিড কমান বন্ধুরা, আপনি ভাল থাকবেন আপনার গাড়ি ভাল থাকবে। আপনার পরিবার পথচারী নিশ্চিন্ত থাকবে। যে ইগোর জন্য আপনি সবাইকে পিছনে ফেলে দিতে চাইছেন সেই ইগো আসলে আপনাকে সবার পিছনেই নিয়ে যাবে।
ইতিহাস সাক্ষী ইগোর লড়াইতে আসলে কেউ জেতে না, সবাই হারে।

🍻🚗

13/11/2024

Hi everyone! 🌟 You can support me by sending Stars – they help me earn money to keep making content that you love.

Whenever you see the Stars icon, you can send me Stars.

13/11/2024
29/10/2024

আমার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা হলো- মানুষের জীবনে মুভি দারুণ প্রভাব ফেলে। মুভি আপনাকে হাসাবে, কাদাবে,
আ ত্ম হ ত্যা থেকে ফিরিয়ে আনবে, নতুন করে স্বপ্ন দেখাবে..

✅ আত্মহত্যা করতে ইচ্ছে করছে? আপনার জন্য..
Its a wonderful life
Shawshank Redemption
Life is Beautiful

✅ জীবনসঙ্গী খুজতে চান? আপনি দেখুন..
Midnight in Paris
Mucise
Vivah

✅ মনকে আবিস্কার করতে চান? দেখুন
তিতলী
বাড়িওয়ালী
অপরিচিত
Raincoat

✅ জীবনে হারতে হারতে ক্লান্ত? দেখুন...
Revenant
Fall
Survival Family

✅ ভাংচুর প্রেমে পড়তে ইচ্ছে করছে? দেখুন-
Dilwale Dulhaniya Le jayenge
Mohabbatein
Before Sunrise
The Notebook

✅ স্কুল/কলেজ/ভার্সিটি লাইফ মিস করছেন? দেখুন...
96
Three Idiots
Chichoree

✅ তুমুল প্রতিশোধপরায়ন মুভি দেখতে চান? দেখুন...
No Mercy
City of God
Orphan (সাইকো থ্রিলার)

✅ ব্যক্তিত্ব কাকে বলে জানতে চান? দেখুন...
অগ্নীশ্বর

✅ আপনি মেডিকেল প্রফেশনাল হলে দেখুন-
সাগরিকা
সপ্তপদী
অগ্নীশ্বর

✅ শিক্ষকতা ভাল লাগলে দেখুন...
Dead Poet Society
Madam Gita Rani
Tare Zamin par

✅ মুভির কল্পনায় হারিয়ে যেতে ইচ্ছে করছে? দেখুন..
Apocalypto
Perfume

✅ আপনার বিদ্রোহ মন যুদ্ধ সংঘাত পছন্দ করে? দেখুন...
Braveheart
Troy

✅ টাইম ট্রাভেলে (ব্যাকওয়ার্ড) হারিয়ে যেতে চান? দেখুন...
Casablanca
Lagaan

✅ আপনি চেইন অব কমান্ড পছন্দ করেন? দেখুন...
Down*fall

✅ পোষাপ্রাণী পছন্দ করেন? আপনার জন্য..
Hachi
Charlie 777

✅ রাতে ঝড় বৃষ্টি হচ্ছে, ভয়ের ফিল নিতে চান? দেখুন...
Woh Kaun Thi

✅ এনিমেশন ভাল লাগে? দেখুন...
Coco
Finding Nimo
Up

✅ মুসলিম কালচার মুভি দেখতে চাইলে...
Children of Heaven
The messege
Baren

✅ ২য় বি*শ্ব*যু*দ্ধ নিয়ে মুভি দেখতে চাইলে..
The Pianist
Parl Harbour
Down*fall

✅ বাংলা ভাল সিনেমা নাই মনে হলে, দেখুন...
সীমানা পেরিয়ে
সূর্যকন্যা
মেঘের অনেক রঙ
আয়নাবাজি
জীবন থেকে নেয়া

আপাতত আর মনে পড়ছে না। এরপর মনে পড়লে..
আরও ক্যাটাগরি ও চলচ্চিত্রের নাম যুক্ত করবো।
মুভি লাভার হলে পোস্টটি শেয়ার করে রাখুন 🙂

25/10/2024

প্রথমজন - ফাঁকা না আজ দোকানগুলো ?

দ্বিতীয়জন - হুম রে , খুব ফাঁকা, পুজোর পর স্টকও প্রায় শেষের মুখে সেখান থেকেই বেছে মায়ের শাড়ি আর বাবার শার্টটা কিনলাম।

প্রথমজন -ভালোই করেছিস , পুজোর ওই ভিড়ে সত্যি দেখে কেনা যায় না

দ্বিতীয়জন - সেটাই তো ! আর আমার মা বাবাকে তো জানিস বেরোবেই না বাড়ি থেকে।আমি যা এনে দেব কিনে,সেটাই পরবে,দায়সারা জীবন !বড় ছেলের দুঃখে হেদিয়ে মরছে।ছোটো ছেলের প্রতি উদাসীন।

অটোতে বসে থাকা আমার পাশের দুজনের কথাতে একটু অবাক হয়ে গেলাম। পুজো শেষ , আজ বাদে কাল লক্ষী পুজো এখন কেনাকাটা ! ঘাড় ঘুরিয়ে দেখতে ইচ্ছে করলো কিন্তু লজ্জার খাতিরে পারলাম না অগত্যা কান খাড়া করলাম, কলম ধরার পর থেকে আজকাল যেখানে সেখানে আমি যে আড়ি পাতি সেটা অস্বীকার করে লাভ নেই।

প্রথমজন : তোর দাদা আসে না পুজোতে ?
দ্বিতীয়জন : না না , পুজোর দিন এমনি দিন কোনোদিনই আসেনা !না হলে বলনা আমার দাদা যা ইনকাম করে আমার বাবা মায়ের এরকম হয় অবস্থা! আরে শালা আমায় না দেখলি! যে বাপ্ মা জন্ম দিলো তাকে অন্তত দেখ!আমার একটা পেট ঠিক এখান সেখান থেকে চলে যাবে।আর বাবা তো বেকার না পেনশন পায়! খুব বেশী কিছু না কিন্তু চলে যায় দুজনের,একটু ভালোভাবে রাখা শেষ বয়সে এই যা!

প্রথমজন : এ কেমন কথা, তোর চলে যাবে, এবার বিয়ে কর সংসার কর!হোলো তো নয় নয় করে ত্রিশ একত্রিশ বছর । আমার বাড়িতে তো রোজ বিয়ে বিয়ে চলছে।

দ্বিতীয়জন বললো : ভাই তুই একটা ভালো চাকরি করিস লোকে চোখ বন্ধ করে মেয়ে দেবে তোকে! কিন্তু আমায়?

চোখ নাচিয়ে হেসে বললো ছেলেটি , ভাবটা এমন যেন বিষয়টা বেশ গর্বের ওর কাছে।

প্রথমজন বললো : এবার একটা ভালো কাজের খোঁজ কর!

দ্বিতীয়জন : কাজ আর মেয়ে, উপযুক্ত না হলে কেউ দেবে না। বস! আমি উচ্চ মাধ্যমিক ব্যাক পাওয়া ছেলে, ইংরিজি টা বুঝি না ভাই!

প্রথমজন : জানিস তো আমরা আজও বুঝে পাই না যে ছেলেটা অংকে, ফিজিক্স, কেমিস্ট্রি তে এতো ভালো নাম্বার পেলো সে ইংলিশে কিভাবে ব্যাক পেলো? আরও একবার দিতে পারতিস ভাই পরীক্ষাটা তুই! শুধু শুধু জেদ করলি,!

প্রথমজন : ধুস ধুস পাগল হলি, অংক ফিজিক্স কেমিস্ট্রি এগুলো হলেও দিতাম, ইংরেজি টা ছোটো থেকেই বড্ড জ্বালিয়েছে। আজও অতীত বর্তমান ঝাঁপসা লাগে!ওটা আবার দিলে আবার ফেল মারতাম!

বলেই আবার ফিকফিক করে হেসে দিলো। আর না পেরে ঘুরে দেখলাম। চুলটা উস্কখুস্ক, বোকা বোকা একটা সরল মুখ। কিন্তু চোখ দুটো বেশ বুদ্ধিদীপ্ত।বোঝা যায় এ ছেলে বেশ মেধাবী।

প্রথমজন বুঝলো আমি ওদের দেখছি। বন্ধুর লজ্জাটা বোধহয় ও নিতে পারলো না তাই বললো তুই ছোটো থেকেই ইংলিশে কাঁচা তাই সাইন্সে ওতো ভালো মার্কস পেয়েও কাজে লাগলো না।

প্রথমজন বললো : ধুর পড়াশোনার সিস্টেম টাই খারাপ ক্লাস ফাইভ থেকেই পছন্দের বিষয় নিতে দেওয়া উচিত। কি হবে অতদিন অপছন্দের সাথে লড়ে! আমার যে আর তোদের মতো পড়া হোলো না তাতে আমার দুঃখ নেই।

কারণ ওটা টানতে গেলে ইংরেজির কঠিন বানানগুলো , গল্প পড়ে তার উত্তরগুলো, প্রেসি, লেটার এই মাথায় ঢোকাতে হতো! রক্ষা করো তার থেকে এই ভালো।যা কাজ পারি করি লজ্জা নেই। টাকার গরম নেই, বাবা মায়ের সেবা করতে খারাপ লাগে না।

এইতো পুজোর পাঁচদিন একটা বড় প্যান্ডেলে সিকিউরিটি কাজ করলাম। বাড়ি আসতে দেয়নি। ওখানেই ছিলাম।দিন পিছু নশো, বাবা মাকে বললাম দীঘা যাচ্ছি। তেঁনারা আবার লজ্জা পেতেন, সরকারি চাকুরের ছেলে প্যান্ডেলে দড়ি ধরে বাঁশি বাজাচ্ছে। বড় ছেলে আরও আসা বন্ধ করে দিতো। মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার হয়ে ভাই প্যান্ডেলে লোকজনকে হাটাচ্ছে!

এই যে সাড়ে চার হাজার ইনকাম করলাম এটা কম? বাবা মাকে পুজোর জামা কিনে দিলাম বাকি টাকায় কাল জমিয়ে লক্ষী পূজো হবে। আসিস ভাই খিচুড়ি খেয়ে যাস।

বলতে বলতে দুই বন্ধুতে নেমে গেলো অটো থেকে।আমি একদৃষ্টে দেখে যাচ্ছি ছেলেটাকে, আমার নামতে বেশ খানিকটা বাকি।

আমি অবাক হয়ে ভাবছি এতো ব্যর্থতা নিয়েও কিভাবে এতো বেঁচে থাকার রসদ পায় এই ছেলেটা!

মানুষ এতো পেয়েও খুশি হয়না এই ছেলেটা কি করে এতো অল্পে খুশি হয়ে যায়! যে ছেলেটা সাইন্সে এতো ভালো সে শুধু ইংলিশ পারে না বলে আর পড়াশোনাই করলো না! এ কি কম ব্যর্থতা!

পুজোয় আনন্দ করবো বলে সারাবছর মুখিয়ে থাকি আমরা সেই পুজোর কটাদিন প্যান্ডেলে ভিড় সামলাতে ব্যস্ত ছিল উচ্চ মাধ্যমিক ফেল করা ছেলেটা!তাও মাত্র নশো টাকার বিনিময়ে!

কিন্তু কি খুশি ওর চোখ মুখে!ওর থেকে কত কিছু শেখার আছে।হেরে গিয়েও ছেলেটি যেন অনেকের থেকে বেশী সফল।

ওকে দেখে মনটা সত্যি খুশি হয়ে গেলো। জীবন যেমনই হোক তাকে নিয়ে এগিয়ে যাওয়াই আসল সফলতা। তাহলে কোনো কিছুই টলাতে পারবে না। মনটা সত্যি কেমন ফুরফুরে হয়ে গেলো।

এই জন্যই আজকাল আড়ি পাততে ভালো লাগে। নিজের অজান্তেই অনেক কিছু শিখে ফেলি। কোনো কাজই ছোটো নয়, আড়ি পাতাও না😃।

22/10/2024

কত ধরনের লোকাল ট্রেন হয় এবং সেই সব লোকাল ট্রেন গুলো কোন কোন অঞ্চলে চলে আজ আমরা জানবো মূলত সেই সব বিষয়ে,

আপনারা লোকাল ট্রেন তো অনেক চড়েছেন বিশেষ করে যারা শহরতলী এলাকায় থাকেন তারা কিন্তু তাদের যাতায়াতের জন্য সবচেয়ে স্বচ্ছন্দ্যদায়ক বাহন হিসেবে আজও লোকাল ট্রেনকেই ব্যবহার করে থাকেন।

মেমু (MEMU) , ইএমইউ (EMU), এবং ডেমু (DEMU) ট্রেনগুলোর মধ্যে মূলত তাদের ব্যবহৃত প্রপালশন সিস্টেমের ভিত্তিতে পার্থক্য করা হয়।

1. মেমু (MEMU - Mainline Electric Multiple Unit):

মেমু ট্রেনের স্টপেজ ইএমইউর তুলনায় কম, এবং এটি সাধারণত প্রধান লাইনের ট্রেন সার্ভিসে ব্যবহৃত হয়।

এই ধরনের ইঞ্জিনগুলি হল উন্নত এবং উচ্চ প্রযুক্তির। এই ধরনের ইঞ্জিন ব্যবহার করা হয়ে থাকে ২০০ কিলোমিটারের বেশি দূরত্বের ক্ষেত্রে। এই ধরনের ইঞ্জিন যে সকল ট্রেনে ব্যবহার করা হয় সেই সকল ট্রেনগুলিতে চারটি কোচ অন্তর অন্তর একটি করে পাওয়ার কার ব্যবহার করা হয়ে থাকে।

মেমু ট্রেন ইএমইউর মতই বিদ্যুৎচালিত, তবে এগুলো লম্বা দূরত্বে চলাচলের জন্য ডিজাইন করা হয়েছে, যেখানে লোকাল এবং শহরতলির বাইরে যাত্রী পরিবহনের প্রয়োজন হয়।

এই ধরনের ট্রেনে ৮ থেকে ১২ টি কোচ ব্যবহার করা হয়ে থাকে। এইসব ট্রেনগুলিতে এয়ারকন্ডিশন, ওয়াশরুম ইত্যাদির সুবিধা পাওয়া যায়। আবার এই সকল ট্রেনের ভাড়াও অনেক কম হয়।

2. ইএমইউ (EMU - Electric Multiple Unit):

ইএমইউর জন্য আলাদা ইঞ্জিনের প্রয়োজন হয় না, কারণ শক্তি সরবরাহের জন্য এটি ওভারহেড ক্যাটেনারি থেকে বিদ্যুৎ সংগ্রহ করে।

ইএমইউ ট্রেন পুরোপুরি বৈদ্যুতিক শক্তিতে চালিত হয় । এই ট্রেন কলকাতা, দিল্লি, মুম্বই, চেন্নাইয়ের মতো বড় বড় শহরগুলির মেট্রো শহরে ব্যবহার করা হয়ে থাকে। এই সকল ট্রেনের সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৬০ থেকে ১০০ কিলোমিটার। বিদ্যুতের সাহায্যে চালানোর জন্য এই সকল ট্রেনগুলিতে এক ধরনের প্যানটোগ্রাফ থাকে। এইসব ট্রেনগুলিতে ১২ থেকে ১৬টি কোচ ব্যবহার করা হয়।

এটি মূলত শহুরে ও শহরতলির যাত্রীদের পরিবহনের জন্য ব্যবহৃত হয়, যেমন মেট্রো বা লোকাল ট্রেন।

ইএমইউ ট্রেন দ্রুত গতি এবং বারংবার স্টপেজের জন্য উপযুক্ত, যা লোকাল বা কম দূরত্বের যাতায়াতের জন্য জনপ্রিয়।

3. ডেমু (DEMU - Diesel Electric Multiple Unit):

DEMU-হল ডিজেল ইলেকট্রিক মাল্টিপল ইউনিট। এদের আবার তিনটি ভাগ রয়েছে, ডিজেল বৈদ্যুতিক ডেমু, ডিজেল হাইড্রোলিক ডেমু এবং ডিজেল মেকানিক্যাল ডেমু। এই সকল ট্রেনের প্রতিটি তিনটি কোচ অন্তর অন্তর একটি করে পাওয়ার কোচ অন্তর্ভুক্ত করা হয়। যে কারণে এগুলিকে শক্তি সাশ্রয়ী ট্রেনও বলা হয়।

ডেমু ট্রেনের বড় সুবিধা হলো এটি বিদ্যুৎবিহীন এলাকায় চলতে পারে, যেখানে বিদ্যুতের ওভারহেড ক্যাটেনারি সিস্টেম নেই।

ডেমু ট্রেন বিদ্যুৎ নয়, বরং ডিজেল ইঞ্জিন দ্বারা চালিত হয়। এর ইঞ্জিনটি ডিজেলকে বৈদ্যুতিক শক্তিতে রূপান্তরিত করে ট্রেনের প্রপালশন সিস্টেমে সরবরাহ করে।

ডেমু সাধারণত ছোট এবং মাঝারি দূরত্বের ট্রেন হিসাবে ব্যবহৃত হয়, যেখানে বৈদ্যুতিক লাইনের সুবিধা নেই।

সংক্ষেপে, ইএমইউ ও মেমু বৈদ্যুতিক শক্তিতে চলে এবং ব্যবহারের ধরণে পার্থক্য রয়েছে, আর ডেমু ডিজেল-চালিত এবং বিদ্যুৎবিহীন এলাকায় ব্যবহৃত হয়।

Ice cream price
21/10/2024

Ice cream price

18/10/2024

Sumanta Ganguly

Address

Bishnupur
722157

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Sumanta Ganguly posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to Sumanta Ganguly:

Share