মন্ডা মিঠাই - Monda Mithai

মন্ডা মিঠাই - Monda Mithai আমাদের সবই মন্দ।

এই একটাই দুঃখ!😊© Shreya
06/05/2025

এই একটাই দুঃখ!😊
© Shreya

-"আই থিঙ্ক ইউ আর রাইট...! একদম ঠিক ই বলেছিলে তুমি কাল ফোনে!... সত্যিই তোমার আর আমার মধ্যে সবতেই কেমন একটা তালমিলের অভাব!...
23/11/2024

-"আই থিঙ্ক ইউ আর রাইট...! একদম ঠিক ই বলেছিলে তুমি কাল ফোনে!... সত্যিই তোমার আর আমার মধ্যে সবতেই কেমন একটা তালমিলের অভাব!"
-"এটলাআআআস্ট....উফ্! বুঝেছো তাহলে! সত্যি রিম্ ...তোমাকে বোঝানোর সাধ্য এই বিশ্ব ব্রহ্মাণ্ডের কারো পক্ষে সম্ভব নয়!"
-"কি কি কি...বিশওও বর্ম... ওই সব কঠিন বাংলা শব্দ একদম আমার সামনে বলবেনা বলেছি না আরিয়া!"
-"আরিয়া নয় আর্য...দ্য ফার্স্ট এভার ব্রাক্ষ্মিণ অরিজিন অফ দি ইন্ডিয়া। ঠিক করে নামটাই বলতে পারো না তো সেখানে আবার তালমিল!"
( রিমের ফর্সা গাল আর নাক গুলো রাগে লাল হয়ে উঠতে দেখে, খিলখিলিয়ে ওঠা হাসিটা প্রানপনে চেপে ধরে আর্য।)
-" তো আব কেয়া? তুমি থাকো তোমার বেঙ্গলি নিয়ে...আমি তো কিছুতেই এইসব বলতে পারবো না। এত তামঝাম আমি বুঝতে পারি না।"
হাওয়ায় একট শীতের ছোঁয়া লাগতেই বিকালটা হুশ করে উধাও হয়ে গেছে দুপুরের পরই এখন ঝুপ করে সন্ধ্যা নেমে আসে। এই সময় এই মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানির পশ কফিশপের থেকেও গেটের বাইরের স্ট্রিট স্টলের ধোঁয়া ওঠা চা আর তার সাথে কিছু "টা" টাই প্রানের আমেজ খুঁজে পায় দুজনে। ইমিডিয়েট আপার বস আর্য আর অধস্তন রিমের তু তু ম্যায় ম্যায় সেই ট্রেনিং পিরিয়ড থেকে শুরু। হাজারো ভুলভাল কাজ, চূড়ান্ত নাটকীয় অভিব্যক্তির আড়ালে এই আদ্যোপান্ত সহজ সরল পাঞ্জাবী মেয়েটিকে খুব খুব ভালোবাসে আর্য। ফলাও করে প্রকাশ না করলেও গোটা ডিপার্টমেন্ট তথা রিম্ নিজেও জানে একদিন সেই সাত পাকে বাঁধা পড়বে লাল বেনারসীতেই। তবুও রিম্ প্রতিজ্ঞা করেছে যতদিন না পর্যন্ত আর্য প্রপোজ করছে, ততদিন সেও কিছুতেই লাজুক লতা হবে না! তাই সবসময় খন্ডযুদ্ধ লেগেই আছে! দেবীর পছন্দ কড়াপাকের দুধচা তো দেবার মন সুবাসিত দার্জিলিং চায়ে। দিনের মধ্যে অসংখ্যবার ব্রেকাপ আর প্যাচাপ হয়েই চলে। এই এখন যেমন প্যাচাপ পিরিয়ড। তবে আজ আর্য মনে মনে ঠিক করে এসেছে প্রপোজ করেই ছাড়বে। এই আগামী শীতের মরসুমে সে আর একলা থাকতে চায় না....হোক না কলকাতার কৃপন শীত... তবুও তার কম্বলের "ওম" বাড়নোর একটা মানুষ তার এবার লাগবেই। দৃশ্যপট কল্পনা করে রক্তিম হয়ে উঠল আর্যর মুখ। আর এই অপার্থিব দৃশ্যটি মিস করে গেল এই মুহূর্তে রাগে ফুলতে থাকা এক পাঞ্জাবী শেরনী)
-" তাহলে কি হবে রিম্!? আমি যে সারারাত ভেবে দেখলাম তোমার সাথে আড়ি আর ভাব ছাড়া আমি তো থাকতেই পারবো না,তাই এবারে একটা পাকাপাকি বন্দোবস্ত করতেই হবে...তাই আজ এলাম সব কিছু মিটিয়ে নিতে..?"
-'ক্যেয়া...ক্যেয়া....ক্যেয়া! (এইসব শুনে একটু ভয় পেয়ে থতমত খেয়ে যায়) তাহলে তুমি কি আমাদের রিস্তা খতম করতে চাও?!"
ভয়ার্ত রিমের মুখের দিকে তাকিয়ে হঠাৎ করেই তার খুব পছন্দের সাদা লিলি আর অর্কিডের তোড়া দিয়ে আর্য বলে ওঠে -"উইল ইউ ম্যারি মি?!"
ঘটনার আকস্মিকতায় হতভম্ব রিম্।যেন উত্তর দিতেও ভুলে ওঠে। কিন্তু তার মুখের ওপরে ছড়িয়ে পড়া অনুরাগের গোধূলি আলোই আর্যকে বলে দেয় যে তাদের এই পথচলা অনন্তকালের। কিছু কিছু মুহূর্ত কেবলই সুখের জোয়ারে ভেসে যাওয়ার থাকে, সেখানে থাকেনা কথায় প্রকাশের প্রয়োজনীয়তা। ঠিক যেমন এই মুহূর্তে দুধচা আর দার্জিলিং চায়ের মাঝে সেতুবন্ধন হয়ে গেছে এই অপূর্ব ফুলের তোড়াটি। এই সেতু পেরিয়ে শুরু হয়েছে একটি নতুন পথচলার।

কলমে- #ইন্দ্রাণী
ছবি- সংগৃহীত (Dm for credit)

শনিবার রাতের তুমুল বৃষ্টি সঙ্গে ঝোড়ো হাওয়ায় চারিদিকে বেশ কয়েকটা জায়গাতে জল জমেছে। তবে সকালটা বেশ ঝলমলে, রোদ উঠেছে হ...
21/11/2024

শনিবার রাতের তুমুল বৃষ্টি সঙ্গে ঝোড়ো হাওয়ায় চারিদিকে বেশ কয়েকটা জায়গাতে জল জমেছে। তবে সকালটা বেশ ঝলমলে, রোদ উঠেছে হালকা। জলের ওপর সূর্যের আলো পড়ে বেশ চিকচিক করছে।
অর্ক সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখে রিমির 3টে মিসকল। ও আবার ফোন করে, ওপাশ থেকে রিমি বলে ওঠে,

- এই যে কুম্ভকর্ণ, সকাল 7:30 বাজে কখন বেরোবি শুনি?
- আরে হ্যাঁ আসলে....
- আসলে তুই ভুলেই যাস যে আমাদের মর্নিং ওয়াকে বেরোনোর কথা।
- আমাকে 5মিনিট দে আমি বেরোচ্ছি।
- আমি বাইরে দাঁড়িয়ে আছি তাড়াতাড়ি আয় তুই নাহলে আমি কিন্তু কাকীমাকে ডেকে বলবো ...
- আরে আরে আসছি আমি মেরি মা
- হ্যাঁ আয়।

অর্ক তাড়াতাড়ি রেডি হয়ে নিয়ে বেরিয়ে যায়।দেখে রিমি দাঁড়িয়ে আছে।

- এসে গেছি এবার চল।
- হ্যাঁ চলুন স্যার।

দুজনে গল্প করতে করতে হাঁটতে থাকে। একটা মাঠের কাছে এসে ওরা দেখে কয়েকটা বাচ্চা ছেলে জল কাদার মধ্যে ফুটবল খেলছে ওই সকালে। অর্ক দেখে দাঁড়িয়ে যায়। আসলে ও একটা সময়ে ফুটবল খেলত কিন্তু এখন সেসব অতীত, ২৫ বছর বয়সী অর্ক এখন কর্পোরেটে চাকুরীরত। রিমি ওর দিকে তাকিয়ে সবটা বুঝতে পারলো। ও অর্কর হাতটা ধরতেই ওর হুস ফিরল।

- মিস করছিস এসব তাই না?
- হ্যাঁ রে, বড্ড.. আসলে বড়ো হয়ে যাবার পর বুঝতে পারছি ছোটবেলাটাই ভালো ছিল রে।
- হ্যাঁ সেটা কিন্তু ঠিক, আসলে এখন আমাদের কাঁধে অনেক দায়িত্ব কর্তব্য কিন্তু তার মধ্যেও নিজেদের জন্য সময় বের করাটাও দরকার জানিস; তোকে সকালে বের করাটাও এই রকমই একটা কারণ বলতে পারিস।
- এতটা ভাবিস তুই আমার জন্য?
- হ্যাঁ ভালবাসি যখন ভাবতে তো হবেই তাই না!
- তাই নাকি ম্যাডাম?
- হ্যাঁ, এবার ধর দেখি আমাকে!
- এই রিমি না, ছুটবি না একদম পড়ে যাবি কিন্তু
- না না না, আয় আয় ধর আমাকে!

রিমির পেছনে ছুটতে ছুটতে ওকে ধরে ফেলে অর্ক।

- এবার কি করবি বল?
- দেখ সামনের পুকুরের জলটাতে রোদ পড়ে কি সুন্দর লাগছে।

এগিয়ে যায় ওরা, সত্যি বড্ড সুন্দর লাগছে। সেই দিকে দেখতে দেখতে অর্ক হটাৎ রিমির দিকে তাকালো। ওর মুখে হাসি ফুটে উঠল। রিমি ওর দিকে তাকাতেই ওর ঠোঁটে ঠোঁট ছুঁয়ে দিলো অর্ক।

ঝড় বৃষ্টি শেষে একবার দেখা দিয়ে যেও,
ঠাণ্ডা বাতাস মেখে ভালবেসে ছুঁয়ে দেবো তোমায়।

লেখা - #অন্বেষা
ছবি- সংগৃহীত (Dm for credit)

"দিদুন??ওরা ঠাকুরকে নিয়ে কোথায় যাচ্ছে? পুজো হবে না আর?!"-"দিদিভাই...মা কালী তো এবার বিসর্জনে যাচ্ছে।‌আবার সামনের বছর ত...
04/11/2024

"দিদুন??ওরা ঠাকুরকে নিয়ে কোথায় যাচ্ছে? পুজো হবে না আর?!"
-"দিদিভাই...মা কালী তো এবার বিসর্জনে যাচ্ছে।‌আবার সামনের বছর তিনি আসবেন। বুঝলে সোনা দিদু।"
-"বিসর্জন মানে ওই দূর্গা পূজার পর যেমন জলে ফেলে দিয়েছিলো,এই ঠাকুরকেও কি ওমন ভাবেই জলে ফেলে দেবে সবাই?! কেন দিদুন?!
-"দুর পাগল!ওটা হল ভাসান দেওয়া...যেই দূর্গা সেই তো আবার কালী মা।‌তো মা এসেছেন বাপের বাড়ি। ওদিকে তার ছেলে মেয়ে শিব ঠাকুর বর সবাই যে একা। তাই দু দিন থেকেই মা ফিরে যাবে তার স্বামীর ঘরে। আমরা তো তাকে ওই আকাশের মধ্যে থাকা তাঁর স্বর্গে পৌঁছে দিতে পারবো না,তাই জলে ভাসিয়ে দিয়ে মনে করা হয়, ঠাকুর ঠিক অদৃশ্য হয়ে তার স্থান এ ফিরে গেছেন। বুঝলে দিদিভাই?!"
-"হ্যাঁ বুঝেছি, কিন্তু এটা খুব বাজে একটা বিষয়। মানে ঠাকুর পুজো হলে কত আনন্দ হয়, স্কুলে ছুটি থাকে বলে আমি তোমার কাছে আসতে পারি,কত আদর খাই...হিহিহিহি(দিদুনকে জড়িয়ে ধরে ছোট্ট তিতির)"
-"ওরে দুষ্টু সোনা। পড়াশোনা করতে হবে না বলে খালি ফন্দি আঁটলে হবে?! রোজ রোজ বিরিয়ানি খেলে যেমন খেতে ভালো লাগে না আর, তেমনি রোজ রোজ উৎসব হলে আর কি ভালো লাগবে বলোতো!? এই যে বছরের মধ্যে এই কয়েকটা দিন উৎসব,এর জন্য গোটা একটা বছরের অপেক্ষা...এইটা আছে বলেই উৎসবের আনন্দই আলদা হয় বুঝলে সোনামনি।"
-"বুঝেছি গো বুঝেছি আমার লক্ষী দিদুন। এইবার তো মাম্মাম কাল সকালেই মামাকে ফোঁটা দিয়েই বাড়ি ফেরার গোছানো শুরু করবে। ওও দিদুন ভালো লাগে না যে যেতে!"
-"লক্ষী সোনা আমার। আমার ও তো তোমাদের জন্য কত মন খারাপ করে, কিন্তু এই উৎসব রোশনাই সব আনন্দ তো তোমাদের সবাইকে নিয়ে,তাই দেখবে এই আনন্দের মুহূর্ত গুলো মনে করতে করতেই কখন যেন একটা বছর মায়ের আশীর্বাদ এ পার হয়ে যাবে।"
-"ঠিকাছে বাবা ঠিকাছে। তবে কথা দাও , জগদ্ধাত্রী পূজার সময় তুমি আমাদের চন্দননগরের বাড়িতে আসবেই আসবে... আমি আর তুমি দুজন মিলে ঝাল ফুচকা আর আইসক্রিম খাবো খুব।"
-"ওরে বাবা! আইসক্রিম খেলে যদি তোমার ঠান্ডা লাগে?! আচ্ছা ঠিক আছে আমি চেষ্টা করবো যাওয়ার।"
-"উঁহু। ওসব শুনবো না।(বেশ করে চেপে ধরে)আসতে তোমাকে হবেই।"
-"আচ্ছা ঠিকাছে। যে পথ দিয়ে, গিয়েছিল উমা,সেই পথেই এখন চলেছে শ্যামা, আবার আসবে জগৎমাতা জগদ্ধাত্রী। শুধু নামেই আলাদা...এক দেবীনারীর শতরূপের মহিমা।"

কলমে- #ইন্দ্রাণী
ছবি- সংগৃহীত (Dm for credit)

-ভাই দেখ তো মায়ের মুখটা কী মিষ্টি লাগছে না ? -ঠিক যেন মনে হচ্ছে আমাদের দিকে তাকিয়ে হাসছে,তাই না দিদি ?-হুঁউউ।-আচ্ছা দি...
31/10/2024

-ভাই দেখ তো মায়ের মুখটা কী মিষ্টি লাগছে না ?
-ঠিক যেন মনে হচ্ছে আমাদের দিকে তাকিয়ে হাসছে,তাই না দিদি ?
-হুঁউউ।
-আচ্ছা দিদি,কালী মাকে সবাই এতো ভয় পায় কেন ?
-সবাই না তো,যারা দুষ্টু তারাই ভয় পায়। যারা ভালো তাদের মা সবসময় ভালোবাসে।
-দেখ দিদি পাশ দিয়ে আবার জগু দাদা উঁকি মারছে।
-তোর চোখে পড়েও তাই না ? নে চল বাড়ি যাই।
দু ভাইবোন ঝুমি আর তোতা মন্দির থেকে বেরিয়ে কিছুটা হেঁটে নিজেদের ঝুপড়িতে পৌঁছল। বাবাকে ওরা কোনোদিন চোখেই দেখেনি। থাকার মধ্যে ছিল মা। সেও মাস ছয়েক আগে হঠাৎ জ্বরে মারা যাওয়াতে দুই ভাই বোন অথৈ জলে পড়ে। স্থানীয় মন্দিরের পুরোহিতের ওদের দেখে মায়া হওয়াতে দুবেলা খাবারের ব্যবস্থাটা ওদের মন্দির থেকেই হয়ে যায়।সেই থেকেই এই ভাবেই চলছে।
-দিদি খুব খিদে পেয়েছে রে।
-আজ তো ঘরে কিছুই নেই ভাই। পুজো না হলে তো প্রসাদ পাবো না, আর আজ পুজো তো সেই রাতে। তুই বরং এখন ঘুমো। প্রসাদ দিয়ে গেলে আমি তোকে ডেকে দেবো।
-খিদে পেলে ঘুম আসে না দিদি।
হঠাৎ ঝুপড়ির দরজায় আওয়াজ হওয়াতে ঝুম উঠে দেখতে গেল। সে ফিরে আসতেই তোতা জিজ্ঞেস করল, কে রে দিদি?
-মন্দির থেকে প্রসাদ দিয়ে গেল।
-পুজো হয়ে গেল এত তাড়াতাড়ি?
-জানি না, সুকু দাদা তো আসেনি দিতে।এক দিদিকে দিয়ে পাঠিয়েছে।সে বলল মন্দির থেকে পাঠিয়েছে।
-ওরা আজ ব্যস্ত বলে হয়তো আসেনি।
-তাই হবে হয়তো।

পরের দিন দুপুরে মন্দিরে যেতেই ওদের সুকু দাদা এগিয়ে এসে বলল, কাল অনেক রাতে পুজো শেষ হয়েছে বলে তোদের আর প্রসাদ দিতে যেতে পারি নি। খিদে পেয়েছে না ? বসে পড়।খেতে দিই।
ঝুম অবাক হয়ে বলল, কাল যে একটা দিদি গিয়ে প্রসাদ দিয়ে এল,বলল মন্দির থেকে পাঠিয়েছে।
-তাহলে হয়তো অন্য কোথাওর প্রসাদ।নে বোস বোস।আমি আসছি।
ঝুম আর তোতা বসে পড়ল। হঠাৎ ঝুমের চোখ মায়ের মুখের দিকে যেতেই সবটা ওর কাছে পরিষ্কার হয়ে গেল।কাল দেখা দিদিটার মুখের হাসিটা একেবারে মায়ের মতো যে!

কলমে - #জিনিয়া
ছবি- সংগৃহীত (Dm for credit)

এ ভাই ভাইইইইইইইই -কে কে ?? -উফ্ফ্ফ্ আস্তে কথা বল না গাধা মা উঠে পড়বে যে...- আমি কি করব তুই ওমন‌ ভূতের মতো দাঁড়িয়ে থাক...
30/10/2024

এ ভাই ভাইইইইইইইই
-কে কে ??
-উফ্ফ্ফ্ আস্তে কথা বল না গাধা মা উঠে পড়বে যে...
- আমি কি করব তুই ওমন‌ ভূতের মতো দাঁড়িয়ে থাকলে , ভয় লাগে না বুঝি !
হয়েছে হয়েছে চল চল মাটি আনতে হবে তো।
প্রদীপ তৈরি করবো বলে রেখেছিলাম না তোকে ,
আজ তো ভূত চতুর্দশী !!
অন্ধকার হলেই তেনারা সব ঘুরে বেড়ান।
প্রদীপ না জ্বালালে দেখবি সত্যি কারের ভূত এসে তোর ঘাড়ে বসবে।
ও মা গো না না না না এখুনি যাচ্ছি।
রাম রাম রাম রাম ....
-উম্ম হচ্ছে না মুখের কাছটা আরও সরু কর ভাই।
- এই দেখ।
- হ্যাঁ এবারে এগুলো সব জ্বালাবো মা ভীষণ খুশি হয়ে যাবে দেখিস ভাই।
- হ্যাঁ রে দিদি আর ভূত মামা ও আসবে না, হি হি।
- ভূত আবার কবে তোর মামা হল রে??
- সরি সরি।
"ভূত আমার পুত
পেত্নী আমার ঝি ........ "
- হা হা হা।
ওমা দেখবে এসো কি সুন্দর উঠোনখান সাজিয়েছি ..

কলমে- #তিয়াসা
ইলাস্ট্রেশন- সংগৃহীত (Dm for credit)

স্লোগান, চিৎকার আর উন্মত্ত জনসমুদ্রের জনগর্জনে রক্ত ফুটছে টগবগিয়ে। লক্ষ লক্ষ মোমবাতি আর মোবাইলের স্ক্রেনের ফ্ল্যাস লাইট...
18/10/2024

স্লোগান, চিৎকার আর উন্মত্ত জনসমুদ্রের জনগর্জনে রক্ত ফুটছে টগবগিয়ে। লক্ষ লক্ষ মোমবাতি আর মোবাইলের স্ক্রেনের ফ্ল্যাস লাইটের আলোয় রাতটাকে দিন মনে হচ্ছে! ধুয়ে যাচ্ছে রাজনৈতিক রঙের পরত...জেগে উঠেছে একটাই ত্রাস... সন্তানের নিরাপত্তা...গনতান্ত্রিক অধিকার...! আমার এই জন্মভূমি বীর সুভাষ, মহামানব বিবেকানন্দ আর বিদ্যাসাগর - রামমোহনের মাতৃভূমি। তবে কেন আজ এত অসহায় লাগছে নিজেকেই!? বারবার মনে মনে বিবেকের কাছে এই কথাটাই ফিরে ফিরে আসছে নূর মোহাম্মদ এর। নিজের আত্মজার নরম তুলতুলে শরীরটাকে বুকের ভিতরে আঁকড়ে ধরেও নূরের বারবার বুকটা ভারাক্রান্ত হয়ে যায়,সেই হতভাগ্য বাবা-মায়ের কথা ভেবে। নিজের প্রাণাধিক প্রিয় সন্তানের জন্য কি বিভৎস এক পৃথিবী রেখে যাচ্ছেন,এটাই ভেবে শিউরে উঠেছেন প্রতিদিন প্রতিক্ষণ। এক বাবা হয়ে তিনিও চান নিজের সন্তানের জন্য স্বাধীনতা...তাকে একটা খোলা আকাশের নিচে নিজের ইচ্ছায় বাঁচার অবকাশ দিতে। জাতি ধর্মের ভেদাভেদ ভুলে শুধু সন্তানের বাবা হিসাবে এগিয়ে এসেছে নূর ওই হতভাগ্য বাবার পাশে দাঁড়াতে। অন্যায় যে করে আর অন্যায় যে সহে,দুজনেই সমান অপরাধী। তাই আর কিছুতেই বসে থাকলে হবে না ঘরে। নিজের একরত্তি ঘুমন্ত শিশুকন্যাকে বুকে আঁকড়ে ধরে নূর চলেছে প্রতিবাদের লড়াইয়ে সামিল হতে... এ যে এক সুন্দর পৃথিবী গড়ার লড়াই, অপরাধ আর আপরাধীকে উৎপাটন করার লড়াই... মিথ্যার উপর সত্যের জয় এর লড়াই... অধর্মের নাশ করে ধর্মের প্রতিষ্ঠার লড়াই।

কলমে- #ঈন্দ্রাণী
ছবি- সংগৃহীত ( Dm for credit)

- তোর আর কটা ঠাকুর দেখতে হবে রে ?- দেখি আর কটা দেখা যায় ।- উফফফফ !- এমন করছিস ?- কি করলাম ?- পরের বছর তো বউ এর সাথে ঠাক...
12/10/2024

- তোর আর কটা ঠাকুর দেখতে হবে রে ?
- দেখি আর কটা দেখা যায় ।
- উফফফফ !
- এমন করছিস ?
- কি করলাম ?
- পরের বছর তো বউ এর সাথে ঠাকুর দেখতে বেরোবি ,তখন তো আর ..
- কি আর ?পরের বছর বউ এর সাথে বেরোবো মানে কি ?
- পরের বছর তো এমন সময় আমদের বিয়ে হয়ে যাবে ।তখন তো আর প্রেমিকা থাকবো না , বউ হয়ে যাবো ।
- ও তাই বল ।
- কেন বাবুমশাই কি ভাবলেন আপনি ?
- না ভাবলাম তোর মাথা পাগল হয়ে গেছে ,তাই ভুলভাল বকছিস।
- তাই রে তাই ।
- যাই হোক শোন না ।
- হুম বল ..
- থেকে যাবি তো রে সারাজীবন?
- কথা দেবো না ,থেকে দেখিয়ে দেবো ।
- সত্যি?
- অতীতের ১৪ বছরে যখন ছেড়ে যাই নি ,সব রকম পরিস্থিতে যেমন পাশে পেয়েছিলি, বর্তমানে পাচ্ছিস আর ভবিষ্যতেও থাকবো।
- হয়েছে আর বলতে হবে না বুঝে গেছি ।
- দশমীর খাওয়া দাওয়া তে স্যার এর কাছে আমদের প্রথম দেখা ,আর এত গুলো বছরের এ দশমী গুলো যেমন আমরা শত ব্যস্ততার মধ্যেও একসাথে কাটিয়েছি ,ভবিষ্যতেও কাটাবো।
- হ্যাঁ রে ।তুই তো বলেছিলি , দিনের শেষে যেমন মানুষ একটু শান্তি খোঁজে ঠিক তেমনি আমারও এ পুজোর পাঁচটা দিনের মধ্যে ,এই দশমী টা বেছে নিয়েছি নিজেদের সময় কাটানোর জন্য ।
- হ্যাঁ বাবা বাচ্চা মেয়েটা কত বুঝে গেছে ।
- চুপ ভোঁদড় আমাকে বাচ্চা বলবি না ।
- তাহলে বুড়ি বলি ?
- দাড়া তোর হচ্ছে ।
- ছাড় ছাড় লাগছে ।
- ছেড়ে দেবো ?
- ওই ছাড়তে বলিনি ,মারা টা বন্ধ কর । আর তুই যে ছাড়ার কথা ভাবলি ওটা ভেবে থাকলেও আমি তো ছাড়বো না তোকে । যা করার করে নে
- হুম সেই....

রাই আর দীপ্ত দুজনেই হেসে ফেললো এ মিষ্টি ঝগড়া করতে করতে , স্কুল জীবনের কিছু কিছু প্রেম সত্যি টিকে যায় বলুন ? যদিও তার জন্য দুজনের ইচ্ছা , ভালোবাসা টা সঠিক ভাবে থাকতে হয় ।

কলমে- #মৌ
ছবি- সংগৃহীত (Dm for credit)

-এই আস্তে, শাড়ির আঁচল সামলাতে গিয়ে একটা হোঁচট খেতেই অরূপ এগিয়ে এসে তিয়াসাকে ধরল।-আরে ঠিক আছি।-সে তো দেখতেই পাচ্ছি।শা...
12/10/2024

-এই আস্তে, শাড়ির আঁচল সামলাতে গিয়ে একটা হোঁচট খেতেই অরূপ এগিয়ে এসে তিয়াসাকে ধরল।
-আরে ঠিক আছি।
-সে তো দেখতেই পাচ্ছি।শাড়ি সামলাতে পারিস না,তবু পরবি!
-কেন ভালো লাগছে না, তিয়াসা মুখ ফোলালো।
-সেটা কখন বললাম।
-এক্ষুনিই তো বললি।
-উফফ ভগবান, আমি বললাম শাড়িতে যখন কমফোর্টেবল নোস, তখন না পড়লেই তো পারিস।
-কে বলল তোকে আমি কমফোর্টেবল নই! একবার হোঁচট খেয়েছি বলে কত কথা শুনিয়ে দিলি!
-আচ্ছা বাবা ঠিক আছে, ভুল হয়ে গেছে মা আমার।
-হুউউ।আর শাড়ি পরবো না মানে!! অষ্টমীর দিন শাড়ি না পড়লে মা দুগ্গা পাপ দেবে।
-তা এই নিয়মটা আবার কে বানাল শুনি ?
-যেই বানাক, নিয়ম ইজ নিয়ম।
অরূপ হেসে ফেলল , পাগলী একটা।
-তিয়াসাও হাসল, পাগলামিগুলো না করলে তুই হাসতি ? মুখটা তো হুতুমপেঁচার মতো করে রেখেছিলি।
-আমি হুতুমপেঁচা?
-কম বললাম? আচ্ছা তাহলে তুই রামগরুড়ের ছানা। ঠিক আছে ?
-হয়েছে।
-তা বাবুর গোমড়া মুখের কারণ কি ?
অরূপ একটু থেমে বলল, সেই একই মন কষাকষি বাবার সাথে।বাবা কিছুতেই বুঝতে চাইছে না আমি কেন চাকরি ছেড়ে ব্যবসা করতে চাইছি।
তিয়াসা অরূপের হাতটা ধরল, চিন্তা করিস না। সব ঠিক হয়ে যাবে।তুই শুধু যেটা করবি মনে করেছিস সেটাই কর। একদিন না একদিন কাকু ঠিক বুঝবে যে তুই সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছিস।
-হোপ সো।
-এটাই হবে দেখবি।
অরূপ জড়িয়ে ধরল তিয়াসাকে, আমি ঠিক পারব দেখিস। পারতে হবে, অন্তত তোর বিশ্বাসটাকে ঠিক প্রমাণ করার জন্য।
তিয়াসা হাসল, হয়েছে।এবার আমরা এগোই? ঠাকুরই দেখা হল না তোর জ্বালায় ঠিক করে।চল চল।
তিয়াসা পা বাড়াতেই অরূপ ডাকল, আচ্ছা শোন..
তিয়াসা ঘুরে তাকাল, আবার কি হল ?
-তোকে না আজকে খুব মিষ্টি লাগছে।
-ধ্যাঅ্যাঅ্যাত।

কলমে - #জিনিয়া
ছবি- সংগৃহীত ( Dm for credit)

বাঙালিকে আপাদমস্তক ল্যদখোর প্রজাতির মানুষ বলে দাবি করা হলেও,  পুজোর এই কটাদিন তাদের এনার্জি লেভেল নাইন্থ ক্লাউডে থাকে বল...
11/10/2024

বাঙালিকে আপাদমস্তক ল্যদখোর প্রজাতির মানুষ বলে দাবি করা হলেও, পুজোর এই কটাদিন তাদের এনার্জি লেভেল নাইন্থ ক্লাউডে থাকে বললেই ভালো । নিয়ম টিয়ম সিন্দুক বন্ধ করে বাঙালি মেতে ওঠে মাঝ রাতের বিরিয়ানি এবং হোলনাইট ঠাকুর দেখাতে ।
তবে পুজো মানে কি শুধুই হইচই, পুজো মানে তো পুরনো সর্ম্পকের পাতা উল্টে দেখা তাই না ?

- আবার টাওয়েল টা খাটে রেখেছো !
- আহ্ রূপ সারাক্ষণ এমন খিটখিট করিস, পুজোর সময় ও ছাড়বি না?
- পুজোর সময়ের সাথে বাড়ির নিয়ম গুলোর কি সম্পর্ক ঠিক বুঝলাম না!
- অসহ্যকর একদম, তোর সাথে না,থাকাই ইমপসিবল।
- সেই তো, এখন যে আরো কতো কিছু বেরোবে মুখ দিয়ে...

এই বলেই ঘরের দরজা টা বন্ধ করে বেরিয়ে গেলো রূপসা, রূপসা আর অনিরুদ্ধর প্রেমটা ওদের স্কুল জীবন থেকেই, এক্কেবারে লাভ বার্ডস যাকে বলে। সবাই আইডিয়ালিস করতো ওদের সম্পর্ক টাকে। তবে আজ সময়ের চাকা ঘুরেছে, স্কল জীবনের প্রেম পরিণতি পেয়েছে তিন বছরের বিবাহ বন্ধনে।
তবে আজ কেমন যেন তাদের দুজনের মনেই ডানা বেঁধেছে একে চিন্তা ,' বিয়ে টা বোধয় না হলেই ভালো হতো'।
বিয়ের পর ওদের কেমিস্ট্রির পাঠ উঠে এখন রোজ রাম-রাবণের যুদ্ধ লাগে, প্রেমালাপের স্থান পরিবর্তন হয়ে আজ সেই জায়গায় স্থান নিয়েছে টোন টিটকিরি।
বিয়ের পর একে অপরের প্রতি জন্ম নিয়েছে প্রবল বিরক্তি। তবে কি আর সত্যি ওদের মধ্যে প্রেমের লেশমাত্র নেই?

এই সব চিন্তা ভাবনা করতে করতেই রুপসা নিজের ঘরের দরজায় খট- খটের শব্দ শুনতে পাই।

- আসবো?
- নিজের ঘরে নিজেই জিজ্ঞেস করে ঢুকতে হচ্ছে?
- না মানে...
- বল কি বলবি , আবার কি নিয়ে লাগবি আমার সাথে?
- তুই কি সোজা মুখে কথা বলতে পারিস না?
- তুই আমার সাথে শেষ কবে সোজা মুখে কথা বলেছিস তোর মনে আছে?
- আচ্ছা শোন, আজকে কি বলতো?
- ...
- বল, কি রে?
- তোর কি বলার আছে সোজাসুজি বল তো?
- রূপ আই অ্যাম রিয়েলি সরি!
- বাবা হঠাৎ?
- আজকে সপ্তমী।
- তো?
- তোর কি আমাদের পুরনো কথা কিছুই মনে নেই ?
- পুরোনো কথার স্মৃতিচারণ করে কি কোনো লাভ আছে ?
- নেই বলছিস? তোর মনে আছে আমাদের সেই প্রথম একসাথে ঠাকুর দেখতে যাওয়ার কথা , বাড়িতে সেই টিউশন পড়তে যাওয়ার নাম করে , আর সেই বার সপ্তমীর দিন যখন তোর বাবার কাছে ধরা পড়লাম , আর আর...
- আগের মতন আর কিছুই নেই অনি।
- কেন আমরা কি আর আগের মতন সব টা শুরু করতে পারিনা ? জানিস তো এই নতুন চাকরিটা আমার দ্বারা আর হচ্ছে না , রোজ রোজ বসের মুখ ঝামটা আর এক্সেসিভ ওয়ার্ক প্রেসারের রাগটা যে দিনের পর দিন আমাদের একে অপরের থেকে দূরে নিয়ে যাবে আমি বুঝতে পারিনি। তখন তোর এত নিয়মকানুন আমার অসহ্য লাগতো । মনে হতো তুই আমাকে বুঝতে পারছিস না!
- আমি তো তোকে বার বার জিজ্ঞেস করেছি আমি, তোর কোথায় সমস্যা হচ্ছে, কেন তুই এমন বিহেভ করছিস...
- কিন্তু এতো কিছুর মাঝে বিশ্বাস কর আমার তোর প্রতি ভালোবাসা এক ফোঁটাও কমেনি, বেশ পরিস্থিতি দায়...
- কী অদ্ভুত তাই না , কেমন হঠাৎ করেই আমাদের মধ্যে কতো অমিল দেখা দিলো !
- আমরা কি সবটা নতুন করে শুরু করতে পারিনা?
- তার আগে যে সমস্যাটাকে গোঁড়া থেকে উপড়ে ফেলতে হবে! জব টা চেঞ্জ কর অনি , আমি তো আছি তুই ছবি আঁকাটা আবার শুরু কর বাবু। তোর স্বপ্নের দিকে তুই এগিয়ে যা ।
- বেশ বেশ সেই সব নহয় হবে , তবে আজ সপ্তমীর বিকেলে আমার প্যান্ডেল হপিংয়ের পার্টনার হবি?
- নিশ্চই স্যার!
- আবার শেই আগের মতন, হোল নাইট ঘুরে ঠাকুর দেখব, মাঝরাতে বিরিয়ানি খাবো!
- হ্যাঁ আর সাথে হজমের ওষুধ ।
- উফ তুইও না, রূপ সেই নীল রঙের শাড়িটা পড়বি?
- কোনটা?
- যেটাতে দেখে আমি প্রথম তোর প্রেমে ধপ্পাস করে পড়েছিলাম।
- জো হুকুম জান ।

পুজো মানে শুধুই হইচই না , পুজো মানে ভাঙনের মুখে থাকা সম্পর্ক কে পুনর্জীবিত করা । একে অপরের সাথে থেকে যাওয়া আদরে যত্নে ভালোবাসায়।

কলমে- #মহুল
ছবি- সংগৃহীত (Dm for credit)

- কি হলো ফোন ধরছিলি না কেন?- ভালো লাগছিলো না তাই।- কেন কী হয়েছে কি?- জানি না ভালো লাগছেনা ফোন রাখছি।- নাহ  দাঁড়া কথা আ...
11/10/2024

- কি হলো ফোন ধরছিলি না কেন?
- ভালো লাগছিলো না তাই।
- কেন কী হয়েছে কি?
- জানি না ভালো লাগছেনা ফোন রাখছি।
- নাহ দাঁড়া কথা আছে।
- আমার ভালো লাগছে না...
- কি হয়েছে সেটা তো বলবি?
- তুই কি তার খবর রাখিস কী হয়েছে?
- মানে বুঝলাম না।
- বোঝার চেষ্টা করলে সব বোঝা যায়। চেষ্টা করলে তো বুঝবি তাই না।
- জানিস তো এই পুজোর সময় কত চাপ দোকানে সবসময় থাকতে হয়।
- তার মাঝেও তো একটু আমার কথা ভাবা যায় ।
- আমার কথাটা শোন একবার।
- কি বলবি সেই তো এক কথা । সবাই প্রথমা দিন থেকে ঠাকুর দেখা শুরু করেছে আমার ভাগ্য খারাপ।
- আমি তো তোর সাথে যাব বলেই এখন ফোন করেছি । এমন বকছিস আমায় তো বলতেই দিচ্ছিস না ।
- সত্যি নিয়ে যাবি ?
- হ্যাঁ ওই জন্য ফোন করছিলাম যে এখন বাবা বললো তুই যা দোকানে আমি থাকছি তাই ভাবলাম তোকে নিয়ে যাব ।
- আচ্ছা আচ্ছা দাঁড়া আমি সাজুগুজু করেনি তুই আয় ।
- ঠিক আছে তুই রেডি থাক আমি যাচ্ছি।
- হুম।
-------------- সমাপ্ত ----------------

কলমে- #সুপ্রিয় ঘোষ
ছবি- সংগৃহীত ( Dm for credit)

ঘন মেঘে ঢাকা আশ্বিনের এই শারদ মুখরিত কন্ঠ‌ বারবার যেন ভেসে আসছে ভিজে থাকা ওই কোমল কাশের দোলায় , কোথাও বা টুপটাপ খসে পড়...
08/10/2024

ঘন মেঘে ঢাকা আশ্বিনের এই শারদ মুখরিত কন্ঠ‌ বারবার যেন ভেসে আসছে ভিজে থাকা
ওই কোমল কাশের দোলায় ,
কোথাও বা টুপটাপ খসে পড়া শিউলির ভাঁজে
আবার কোথাও সেই নরম মাটি যা
কুমোরটুলিতে রঙের সাজ গড়ছে ।

মা আসছে...

সারা শহর যা নিস্তব্ধতায় ঘিরে গিয়েছিল তা এখন ব্যস্ত খুশির আমেজে । সেজে উঠেছে অলি-গলি,
পথ মুড়েছে রঙিন আলপনায় , চেনা ভিড় ও অচেনা খাতায় নাম লিখিয়েছে .. যেন বিস্তর একখানি ফারাক ঘটে গেছে এই ক্ষনের আগমনে ।

তবে মা কেমন যেন উদাসীন !!
নিজের মূর্তি খানি অপলক দৃষ্টিতে দেখছেন তবু এবারে তার ঘরখানি তার আপন নয় ।
সময়সূচী যেন তিনি নিজেই বদলে ফেলেছেন...
যেন রাতের বন্দনা চান‌ তিনি !

~"মুছে যাক সব গ্লানি, মুছে যাক সব অন্ধকার
রাতের অঞ্জলী শেষে সূচনা হোক নবজন্মের"~

কলমে- #তিয়াসা
ইলাস্ট্রেশন- সংগৃহীত ( Dm for credit)

Address

Bishnupur, Bankura
Bishnupur

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when মন্ডা মিঠাই - Monda Mithai posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share