Deb variety page

Deb variety page motivational story , funny story, story

একটি নীতিমূলক গল্প একজন বয়স্ক মহিলার দুটি বড় পাত্র ছিল, যা তার কাঁধের বাকের দুই প্রান্তে ঝোলানো ছিল। একটি পাত্রের মধ্য...
03/05/2025

একটি নীতিমূলক গল্প
একজন বয়স্ক মহিলার দুটি বড় পাত্র ছিল, যা তার কাঁধের বাকের দুই প্রান্তে ঝোলানো ছিল।

একটি পাত্রের মধ্যে সূক্ষ্ম একটি ফাটল ছিল কিন্তু অন্য পাত্রটি ছিল নিখুঁত এবং নদী থেকে জল আনার সময় একটি পাত্র পুরোপুরি জলে ভর্তি থাকতো অপরটি অর্ধেক জল পূর্ণ থাকত।

পুরো দুই বছর ধরে,এভাবেই ভদ্রমহিলা দেড় পাত্র জল নিয়ে ঘরে ঢুকতেন।

অবশ্যই, নিখুঁত পাত্র তার পূর্ণতার জন্য গর্বিত ছিল কিন্তু বেচারা পটকা পাত্র নিজের অপূর্ণতার জন্য লজ্জিত ছিল এবং তার মনে দুঃখ ছিল যে পুরো জল কখনোই বহন করতে পারে না।

দুই বছর পর খুঁত যুক্ত পাত্রটি বৃদ্ধার কাছে খুব দুঃখ করে বলল-আমি সত্যি সত্যি নিজে নিজের অক্ষমতার জন্য লজ্জিত। আমার যা করা উচিত ছিল আমি সেটা কখনোই করে উঠতে পারি না। আমার ভেতর একটা ফাটল আমাকে আমার কাজ করতে দেয় না।

বৃদ্ধা মুচকি হেসে বললেন, 'আচ্ছা খেয়াল করেছ,তোমাকে যে রাস্তা দিয়ে নিয়ে আসা হয় সেই রাস্তার পাশে কত ফুলের সারি!আমি তোমার ত্রুটি জানি, যে স্থান দিয়ে তোমাকে আনা হয় সেখানে আমি কিছু ফুলের বীজ ছড়িয়ে দিয়েছি, সেখান থেকে গাছ হয়ে ফুল জন্মেছে। পথের পাশের ওই ফুল গুলিকে তুমি নিজের অজান্তে প্রতিদিন যখন আমরা ফিরে যাই,
তুমি তাদের জল দাও।
আমি দু'বছর ধরে ওখান থেকে ফুল তুলে এনে আমার টেবিলের সাজিয়ে রাখি।তুমি অপূর্ন না হতে তাহলেই ফুল ফুটতো না, এ ফুল আমি পেতাম না

গল্পের নৈতিক:
আমাদের প্রত্যেকের নিজস্ব স্বতন্ত্র ত্রুটি রয়েছে।এগুলি নিয়ে খুব বেশি ভাবার প্রয়োজন নেই।জীবনকে নিজের ছন্দে, নিজের মতো করে চলতে দেয়া উচিত।এতে জীবনের স্বাভাবিক সৌন্দর্য ফুটে ওঠে।ত্রুটিযুক্ত মানুষের ভেতরে যে সৎ গুনাবলী আছে, সেগুলোর সদব্যবহার যদি আমরা করতে পারি তাতে সুন্দর হয় সমাজ,সমৃদ্ধ হয় দেশ।

#সংগৃহীত


🌀 "বৃদ্ধা ঠাকুমার শেষ ইচ্ছা"ছেলে প্রায়ই তাঁর স্ত্রী পুত্রকে নিয়ে বাইরে খেতে যায়। কিন্তু বৃদ্ধা মাকে ঘরে রেখে যায়, ছে...
27/04/2025

🌀 "বৃদ্ধা ঠাকুমার শেষ ইচ্ছা"
ছেলে প্রায়ই তাঁর স্ত্রী পুত্রকে নিয়ে বাইরে খেতে যায়। কিন্তু বৃদ্ধা মাকে ঘরে রেখে যায়, ছেলে মনে করেছে মা বুড়ো মানুষ,হোটেলে খেতে যাওয়ার ইচ্ছে নেই, তাই কোনোদিন সেধেও দেখেনি।

একদিন নাতি বায়না ধরলো, ঠাকুমাকেও আজ সাথে নিয়ে যেতে হবে। অনিচ্ছাসত্ত্বেও বুড়ো মাকে সাথে নিতে হলো।
হোটেলে খেতে গিয়ে মায়ের খুশি আর ধরে না! নাতির সাথে মিলে খুবই আনন্দের সাথে সবকিছু চেটেপুটে খেলেন। ছেলেকে এক ফাঁকে জিজ্ঞেস করলেন হ্যাঁরে খোকা, একবার হোটেলে খেলে কতো টাকা বিল আসে? ওটা জেনে তোমার কী লাভ? তবুও বল না শুনি, ওটা নির্ভর করে খাওয়ার ওপর। এই ধরো আজ বিল এসেছে প্রায় বারোশ টাকা।
কিছুদিন পর মা মারা সময় মৃত্যুশয্যায় একদিন ছেলে বউমা আর নাতিকে ডেকে বললেন। আলমারিতে একটা ছোট বাক্স পাবে, আমি মারা যাওয়ার পর সেটার মালিক হবে আমার দাদুভাই,আর কেউ নয়।
ঘরের সবাই কৌতূহলী হয়ে বাক্সটা খুলে দেখলো,বেশ কিছু টাকা আছে,আর একটা চিরকুট। তাতে লেখা দাদুভাই, "তুমি যখন এইটা পড়বে,তখন আমি তোমাদের ধরা ছোঁয়ার বাইরে, কিছু টাকা রেখে গেলাম,আরো বেশ কিছু টাকা আমি আর তোমার দাদুভাই তোমার জন্যে আলাদা করে রেখেছি, তুমি যখন বড় হবে,সেগুলো দিয়ে তোমার বৃদ্ধ বাবা মায়ের সেবা করবে। ফাঁকে ফাঁকে তাদেরকে বেড়াতে নিয়ে যাবে,মাঝেমধ্যে বাইরে কোথাও খেতে নিয়ে যাবে, তোমার কারণে আমি এই বৃদ্ধ বয়েসেও একদিন মনের আনন্দে ঘুরতে পেরেছি,বাইরে খেতে পেরেছি৷ আমার খুবই ভাল লেগেছে, আমাকে যেমন আনন্দ দিয়েছো,বাবা মাকেও তেমন আনন্দ দিও কেমন, মনে থাকবে তো?
( সংগৃহীত )



সোজা চলে গেছে রাস্তাটি, সামনেই আছে বাঁক।
23/04/2025

সোজা চলে গেছে রাস্তাটি, সামনেই আছে বাঁক।


যিনিই লিখুন, নাম পাইনি। অসম্ভব ভালো লিখেছেন। আমাদের ছেলেবেলার কথা-ছোটবেলায় আমি অনেক ধনী ছিলাম। হালকা বৃষ্টির জমে থাকা জ...
31/01/2025

যিনিই লিখুন, নাম পাইনি। অসম্ভব ভালো লিখেছেন। আমাদের ছেলেবেলার কথা-

ছোটবেলায় আমি অনেক ধনী ছিলাম। হালকা বৃষ্টির জমে থাকা জলে, আমারও তিন-চারটে নৌকা, জাহাজ জলে ভেসে বেড়াতো।

কাগজের হলে কি হবে? আকাশে আমারও বিমান উড়ে বেড়াতো। ছোটখাটো দূরত্বগুলো কাগজের প্লেনেই যাত্রা করতাম।

প্রাসাদ, অট্টালিকা আমিও বানিয়েছিলাম। হয়তো সেগুলো মাটি বা পাটকাঠি দিয়ে তৈরি ছিল, কিন্তু একেবারেই আমার ছিল।

ব্যবসা আমারও ছিল। নারকেলের মালা দিয়ে দাঁড়িপাল্লা বানিয়ে কাঁটায় কাঁটায় জিনিস কেনাবেচা করতাম।

তখন, আমিও বিজ্ঞানী ছিলাম। ফেলে দেওয়া পুরনো ইনজেকশনের সিরিঞ্জে জল ভরে বিভিন্ন গাছের শাখা-প্রশাখায় ইনজেকশন দিয়ে পরীক্ষা নিরীক্ষা করতাম।

এখন আর কোথায় পাব সেই বড়লোকী চাল?
শৈশবটাকে বড্ড বেহিসেবি খরচা করে ফেলেছিলাম।
তাই আজ গরীব বড়ো।

©

সেকালটাই ছিল মজার কাল। সবেতেই মজা। বাড়িতে চোর পড়লেও মজা। চোরেরাও ছিল অন্যরকম। প্রকৃতই অভাবী ভালো মানুষ। পেটের দায়ে চো...
07/11/2024

সেকালটাই ছিল মজার কাল। সবেতেই মজা। বাড়িতে চোর পড়লেও মজা। চোরেরাও ছিল অন্যরকম। প্রকৃতই অভাবী ভালো মানুষ। পেটের দায়ে চোর। ছিচকে চোর। ঘটি, বাটি, গামছা, জামা, লোহার বালতি, তোলা উনুন, কেরোসিন তেলের বোতল, হাতের কাছে যা পাওয়া যায় তাইতেই সন্তুষ্ট। কোনওক্রমে রান্নাঘরে ঢুকতে পারলে সেই মাঝরাতেই হাপুসহুপুস করে খানিক পায়েস খেয়ে নিলে। কোনও ইজ্জত ছিল না তাদের। চরিত্রে আত্মসম্মান বোধটাই অনুপস্থিত। সেকালের চোর ধরা পড়লে গণপিটুনিতে মরত না। ভোর হওয়ার আগেই চড়চাপড় দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হত। সে ছিল শান্তির কাল।

একদিন মাঝরাতে চোর এসেছে! জ্যাঠামশাইয়ের ঘরে। খাটের কাছে গিয়ে ঝুঁকে পড়ে দেখছে, ঘুম কতটা গভীর! জ্যাঠামশাইয়ের ভরাট মুখে অসাধারণ এক জোড়া গোঁফ ছিল, ইংরেজিতে। যাকে বলে, ‘।হ্যান্ডলবার মুস্ট্যাশ।’ গোঁফ জোড়া দেখে চোর মুগ্ধ। আলতো করে টেনেছে। জ্যাঠামশাই ঘুমোতে-ঘুমোতেই বলছেন—আসল, আসল। বিরক্ত না করে ডিবেতে কাশীর জর্দা দেওয়া পান আছে, দুটো খিলি মুখে পুরে চলে যা।

চোর বললে—কত্তা, রাতে খাওয়াই জোটেনি। শুধু-শুধু পান খেয়ে কী করব!

খুব রেগে গিয়ে জ্যাঠামশাই বলছেন—হতচ্ছাড়া! রাতের খাবারটাও জোটাতে পারিস না, চুরি করতে এসেছিস! বালিশের তলা থেকে একটা পাঁচ টাকার নোট বের করে চোরকে দিয়ে বললেন—নে ধর। পুরো ব্যাপারটাই হচ্ছে চোখ বুজিয়ে।

চোর বললে কত্তা, মাথাটা একটু তুলুন না, দেখি বালিশের তলায় আর কী আছে!

জ্যাঠামশাই বললেন—সমান দুভাগ করেছি। বউয়ের তবিল থেকে দশ ঝেড়েছিলুম, তোর পাঁচ আমার পাঁচ। একেবারে ন্যায়বিচার। ওই পাঁচ-ও দিতে পারি যদি আমার পা-দুটো টিপে দিস!

সে আমি দিচ্ছিখন। তোমার ঘরে খাবারদাবার কিচ্ছু নেই?

গাছপাকা দুটো আতা আছে তাকে। খবরদার ঘরের মেঝেতে বিচি ফেলবি না।

রাত আড়াইটের সময় আতা খেয়ে চোর পা টিপতে বসল। আবার জিগ্যেস করল কাল কী এই টাইমে আসব?

দুঃখ মেশানো গলায় জ্যাঠামশাই বললেন—সুখের দিনের আজই শেষ রাত্তির। কাল সকালেই ফিরে আসছেন বাপের বাড়ি থেকে। তুই বরং একটা কাজ করতে পারিস, এক ফাঁকে এসে বলে যেতে পারিস, টাকা দশটা তুই নিয়েছিস।

চোর বলল—মাপ করো কত্তা। মা ঠাকুরুনকে আমরা খুব চিনি। টাকা তুমি ফিরিয়ে নাও।

আর আতা!

কত্তা! সে তো খেয়ে ফেলেছি। এই লাইটারটা কাল চুরি করেছিলুম। তুমি রাখো। যা হয় কোরো।

আর একদিন এক চোর মাঠের ওপর দিয়ে দৌড়োচ্ছে, পেছন-পেছন আমার বলশালী কাকাবাবু ছুটছেন, ব্যায়ামবীর। তার পেছনে আমরা। ওপাশে চোর মুখ ঘুরিয়ে থমকে দাঁড়িয়েছে, এপাশে আমার কাকাবাবু। মাঝখানের ব্যবধান হাত পঞ্চাশ। এতক্ষণ হচ্ছিল দৌড়ের অলিম্পিক। এবার রেস্টলিং। দুজনেই দুজনকে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ছে।

চোর বলছে–কী হল! হিম্মত থাকে এসে ধরো।

কাকাবাবু বললেন—হিম্মত থাকে তো তুই আয় না।

চোর বললে—কোনও দিন শুনেছ, চোর এসে সাধ করে ধরা দিচ্ছে! চোর সবসময় পালায়, আর চোর পালালে তোমাদের বুদ্ধি বাড়ে।

- তা পালা, থামলি কেন হঠাৎ! চোর আর ছুঁচো এই দুটোকে আমি ধরি না। আমার ঘেন্না করে। নে নে, ছোট-ছোট।

- আর কত ছুটব! প্রায় এক মাইল হল, সেই গজার মোড় থেকে দৌড় শুরু হয়েছে।

কাকাবাবু বললেন—তুই তো ব্যাটা আচ্ছা অধার্মিক। চোরের ধর্মই হল পালানো।

- এতক্ষণে এটা তো বুঝেছ, আমি তোমার চেয়ে জোরে দৌড়োই। ইচ্ছে করলে পালাতে পারি।

- তা পালাচ্ছিস না কেন?

- কী করে পালাব? তোমাদের বাগানে কৃষ্ণকলির ঝোপে আমার মাল পড়ে আছে যে!

- তোর চোরাই মাল আমাদের বাগানে! নিয়ে যা, নিয়ে যা।

চোর আর কাকাবাবু দুজনে গল্প করতে-করতে ফিরে এলেন, যেন হলায়-গলায় বন্ধু। দাওয়ায় বসে কাকাবাবু বললেন—আয় বোস, একটু জিরিয়ে নেওয়া যাক। দৌড়টা বেশ ভালোই হল কী বল? তামাক সাজতে পারিস?

- তা আর পারি না!

- যা, ওইধারে সব আছে। টিকে, দেশলাই, দুটো-কো, অম্বুরি তামাক। ভালো করে সেজে আন।

দুজনে আয়েস করে তামাক খেতে লাগলেন। ওদিকে ভোর হতে শুরু করেছে। এই চোর কালু কিছুদিনের মধ্যেই কাকাবাবুর ব্যবসায় কাকাবাবুর ডান হাত হয়ে গেলেন। আরামবাগে। কাকাবাবুর বিরাট কাপড়ের আড়ত। কালীবাবু বিশ্বাসী ম্যানেজার। ভীষণ খাঁটিয়ে।

বেশ কিছুদিন পরে কাকাবাবু বললেন কালু, এইবার একটি ভালো মেয়ে দেখে তোর বিয়ে দেবো।

কালু বলল—আবার! ওই চক্করে আর পা দিচ্ছি না।

- সে কী রে! বিয়ে করিছিলি? বউ কোথায়?

- চুরি হয়ে গেছে।

এখন তাই ভাবি, এই হাইটেক যুগে এইরকম সৎ চোর আর দেখতে পাওয়া যাবে না। আর রসিক গৃহস্থ! আমার দাদু, চোরের কাঁঠাল কাঁধে করে চোরের বাড়িতে পৌঁছে দিয়ে এসেছেন !!!!

লেখক-- সঞ্জীব চট্টোপাধ্যায়।
#সংগৃহীত

ইচ্ছা থাকলে উপায় হয়।।
23/09/2024

ইচ্ছা থাকলে উপায় হয়।।

18/09/2024
মুছে যাক সব কলুষতা দূর হোক অন্ধকার ফিরুক আলোকময় সকাল।
17/09/2024

মুছে যাক সব কলুষতা
দূর হোক অন্ধকার
ফিরুক আলোকময় সকাল।

Address

Labpur
Bolpur

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Deb variety page posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share