Santiniketan - আমাদের শান্তিনিকেতন

  • Home
  • India
  • Bolpur
  • Santiniketan - আমাদের শান্তিনিকেতন

Santiniketan - আমাদের শান্তিনিকেতন Santiniketan (Santiniketôn) is a small town near Bolpur in the Birbhum district of West Bengal, It

ভোজনবিলাসী রবীন্দ্রনাথ...রান্না নিয়ে পরীক্ষানিরীক্ষায় তাঁর সঙ্গী ছিলেন স্ত্রী মৃণালিনী দেবী। আর বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই রবীন...
05/06/2025

ভোজনবিলাসী রবীন্দ্রনাথ...

রান্না নিয়ে পরীক্ষানিরীক্ষায় তাঁর সঙ্গী ছিলেন স্ত্রী মৃণালিনী দেবী। আর বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই রবীন্দ্রনাথের ভূমিকা ছিল নির্দেশকের, হাতে কলমে রাঁধিয়ের নয়। রানী চন্দকে রবীন্দ্রনাথ বলেছিলেন, “জানো সবরকম কলার মতো রন্ধনকলাতেও আমার নৈপুণ্য ছিল। একদা মোড়া নিয়ে রান্নাঘরে বসতাম এবং স্ত্রীকে নানাবিধ রান্না শেখাতাম।” এ ভাবেই তৈরি হয়েছিল মানকচুর জিলিপি। শান্তিনিকেতনে থাকার সময় তিনি স্ত্রীকে মানকচুর জিলিপি তৈরি করতে বললেন। মৃণালিনী প্রথমে হেসে আপত্তি করেছিলেন। কিন্তু খেয়ে দেখা গেল সেটা জিলিপির চেয়ে ভালো হয়েছে। কবি বললেন, “দেখলে তোমাদের কাজ তোমাদেরই কেমন শিখিয়ে দিলুম।” কবিপত্নী হেসে বললেন। “তোমাদের সঙ্গে পারবে কে? জিতেই আছ সকল বিষয়ে।”

স্বাস্থ্যসচেতন কবি নিজের খাদ্যাভাস নিয়েও পরীক্ষানিরীক্ষা চালিয়েছিলেন। একবার এক বিদেশি বন্ধু এসে বললেন, ডিম হচ্ছে আসল খাদ্য। ওতে সব রকমের গুণ আছে। এরপর কী হল? রানী চন্দ লিখেছেন, “গুরুদেব কাঁচা ডিম ভেঙে পেয়ালায় ঢালেন, একটু নুন-গোলমরিচ দেন, দিয়ে চুমুক দিয়ে খেয়ে ফেলেন। রাতের খাবার, দিনের খাবার এই একভাবে চলে।” একবার এক আয়ুর্বেদজ্ঞ বললেন নিমপাতার রস সর্বরোগনাশক। ব্যস, শুরু হয়ে গেল নিমপাতার রস খাওয়া। রানী চন্দকে বললেন, “বেশি ডিম খাওয়া ভাল নয়। বেশি কেন, ডিম একেবারেই খাওয়া উচিত নয়। বরং নিমপাতার রস খাবি রোজ কিছুটা করে।”

বন্ধুবান্ধবের নিয়ে গানবাজনা ও সাহিত্যের আসর বসাতে খুবই ভালোবাসতেন কবি। প্রথম দিকে তাঁদের গানের আসর বসত পার্ক স্ট্রিটে সত্যেন্দ্রনাথ ঠাকুরের বাড়িতে। তারপর সে আসর ভেঙে যেতে তাঁরা শুরু করলেন খামখেয়ালি সভা। সে সভার সদস্যবন্ধুদের যত্ন করে খাওয়ানোর দায়িত্ব নিতে হত কবিপত্নীকে। ঠাকুরবাড়িতে কেউ নতুন বউ হয়ে এলে প্রথমেই তাঁকে শেখানো হত পানসাজা, তারপর একে একে শিখতে হত বড়ি দেওয়া, কাসুন্দি-আচার তৈরি করা, আর শিখতে হত ঝুনি-রাইয়ের ঝালকাসুন্দি, আমসত্ত্ব, নারকেল-চিনি তৈরির পদ্ধতি। ক’দিনেই এ সবে বেশ দক্ষ হয়ে উঠেছিলেন কবিপত্নী। তাঁর রান্নার সুখ্যাতি ছড়িয়ে পড়ল অচিরেই। খামখেয়ালি সভার দিন কবি স্ত্রীকে ফরমাশ দিতেন সম্পূর্ণ নতুন পদের ব্যবস্থা করতে। প্রত্যেকটি পদের বৈশিষ্ট্য থাকা চাই। কবিপত্নী কখনও কবির পরামর্শমতো, কখনও বা নিজের মতো করে রেঁধে নিত্যনতুন পদ সৃষ্টি করতেন।

সংগৃহীত

চিত্র - রবীন্দ্রনাথ ও মৃণালিনী দেবী।

অবনীন্দ্রনাথ-রবীন্দ্রনাথ : খামখেয়ালের যুগলবন্দি...ঠাকুরবাড়ির কাকা-ভাইপো--রবি ঠাকুর আর অবন ঠাকুর। দশ বছরের ছোট-বড়। যে সময়...
03/06/2025

অবনীন্দ্রনাথ-রবীন্দ্রনাথ : খামখেয়ালের যুগলবন্দি...

ঠাকুরবাড়ির কাকা-ভাইপো--রবি ঠাকুর আর অবন ঠাকুর। দশ বছরের ছোট-বড়। যে সময়ের কথা বলছি, তখন বয়সের কোঠায় অবন সবে সাতের ঘরে পা দেবেন, আর রবি শেষ করবেন সাতের ঘর। অবন তখন কলকাতায় আর রবীন্দ্রনাথ শান্তিনিকেতনে। সে-বার তাঁর খেয়াল হল, অবনের জন্মদিন করতে হবে--"অবন কিছু চায় না, জীবনে চায়নি কিছু। কিন্তু একটা লোক যে শিল্পজগতে যুগপ্রবর্তন করেছে, দেশের রুচি বদলে দিয়েছে। সমস্ত দেশ যখন নিরুদ্ধ ছিল, এই অবন তার হাওয়া বদলে দিলে। তাই বলছি, আজকের দিনে এঁকে যদি বাদ দাও তবে সবই বৃথা।" সুতরাং, ঠিক হল বেশ ঘটা করে অবনের জন্মদিন করতে হবে। ব্যস, অবন-শিষ্য নন্দলাল আর স্নেহধন্যা রাণী চন্দকে আয়োজনের ভার দিলেন রবীন্দ্রনাথ। জন্মদিন আসতে তখনও মাস খানেক বাকি। কিন্তু, বুড়ো বয়সে জন্মদিনের ঘটা!--এ কিছুতেই অবনের মনে সায় দিল না। তিনি তখন নিজস্ব খামখেয়াল কুটুম কাটাম পুতুল গড়ায় মজেছেন, তাই নিয়েই মগ্ন থাকেন সারাদিন। জন্মদিনের প্রস্তাবে তাঁর 'নেতি' কিছুতেই 'ইতি' হয় না। অবশ্য তাঁকে সাধে সাধ্য কার! শিষ্য নন্দলাল ঘুর ঘুর করেন, স্নেহধন্য রাণী বুঝিয়ে বলতে যান--কিন্তু, কে শোনে কার কথা! বেশি বলতে গেলে এমন ধমক লাগান যে, তাঁরা আর পালাবার পথ পান না। ওদিকে রবীন্দ্রনাথও তাড়ায় কমতি দিলেন না। সমানে রাণী সকাশে তাঁর খোঁজ চলতে লাগল, "অবনের জন্মোৎসব কতদূর কী এগোল?" জন্মদিন যত ঘনিয়ে আসতে লাগল, রাণী ততই বুঝলেন অবনকে বাগে আনা অন্তত তাঁদের কম্মো নয়। সে-কথা কবুলও করলেন। রবীন্দ্রনাথের মাথায় কিছু একটা চাপলে--আর সবাই হাল ছাড়লেও তিনি যে সে-পাত্র নন--এ তো আর কারও জানতে বাকি নেই! ফলে, যা হওয়ার হল। তিনি সশরীরে সটান হানা দিলেন ভাইপোর দরবারে--"অবন, তোমার এতে আপত্তির মানে কী। দেশের লোক চায় কিছু করতে তোমার তো তাতে হাত নেই।" আর সবার কাছে হম্বিতম্বি করলেও কাকার কাছে সেটি করার জো নেই। কাকার কথার ওপর কথা কোনদিন বলেননি অবন। বুড়ো বয়সেও পারলেন না। বরং, বাধ্যবালকের মতো লজ্জিত হয়ে বললেন, "তা আদেশ যখন করেছ মালাচন্দন পরব, ফোঁটানাটা কাটব, তবে কোথাও যেতে পারব না কিন্তু।" বলেই তড়িঘড়ি প্রণাম করে খেয়ালি কাকার পাল্লা থেকে যেন পড়িমরি করে কেটে পড়ে বাঁচলেন। ভাইপোর সেই কাণ্ড দেখে রবীন্দ্রনাথও হেসে ফেললেন, "পাগলা বেগতিক দেখে পালালো।" পাগলামিই হোক বা খামখেয়ালি কাণ্ডকারখানা--কাকা-ভাইপোর কেউই কম যান না। সে এসরাজে সুর তোলাতেই হোক, স্বদেশিয়ানার হুজুগেই হোক, রাখী-বন্ধনেই হোক কিংবা শিল্প-সাহিত্য-নাটকচর্চাতেই হোক। সবেতেই কাকার দোসর ভাইপো।

জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়িতে তখন নাটকচর্চার ধুম লেগেছে। দ্বিজেন্দ্রনাথ ও জ্যোতিরিন্দ্রের কাল পেরিয়ে নাট্যচর্চার রাশ ধরেছেন রবীন্দ্রনাথ। আগেই গড়ে উঠেছিল 'ড্রামাটিক ক্লাব'। চেয়েচিন্তে তার জন্য ফান্ডও তৈরি হয়েছিল। তা, একদিন রবীন্দ্র-প্রস্তাবে সে ক্লাবের মৃত্যু হল, এবং অবনের প্রস্তাবে ফান্ডের টাকায় সেই ক্লাবের শ্রাদ্ধ হয়ে গেল। কাকা দিলেন নতুন সভাগঠনের প্রস্তাব, ভাইপো নাম দিলেন, "খামখেয়ালী সভা"। এ-ওর বাড়িতে ভোজসভা করাই ছিল মূলত এ-সভার কাজ। বলাবাহুল্য, সাহিত্যপাঠও হত। রবীন্দ্রনাথের 'বৈকুণ্ঠের খাতা'-নাটকটি এই সবারই ফসল। তা একদিন ঠিক হল, নাটকটি অভিনয় করতে হবে। রবীন্দ্রনাথ নিলেন 'কেদার'-এর পার্ট, আর অবন হলেন 'তিনকড়ি'।

বলাবাহুল্য, নাটকে অভিনয় করতে গিয়ে মাঝে মাঝেই রবীন্দ্রনাথ অদ্ভুত সব কাণ্ড ঘটিয়ে বসতেন। তার মধ্যে একটি বিশিষ্ট বিষয় ছিল, পার্ট ভুলে যাওয়া। নিজেরই লেখা নাটক, তবুও বিপত্তি যেন তাঁর সঙ্গে সঙ্গে ফিরত। 'বৈকুণ্ঠের খাতা' অভিনয়ের সময় একবার তো মঞ্চে ঢুকে তিনি ভুলে একটা গোটা সিন বাদ দিয়ে ডায়লগ ধরে ফেললেন; অবন ভাগ্যিস ছিলেন স্টেজে, তিনি ফিসফিস করে সেটা ধরিয়ে দিতে নিজেই নাটকের লেখক কি না--তাই সামলে নিলেন। ব্যাপারটা সে-যাত্রা তেমন কেউ টের পেল না বলে লোকহাসাহাসির হাত থেকে রক্ষা পেলেন।

তবে আর এক মজার ঘটনা ঘটেছিল এই নাটকের অভিনয়েই। সেবার নাটক দেখতে এসেছিলেন স্বয়ং গিরিশ ঘোষ। নাটকে অবন ঠাকুরের চ্যাংড়া ছোঁড়ার রোল। রংদার পোশাক। বুকে পানের পিকের দাগ। হাতে সন্দেশের হাঁড়ি। খেতে খেতে ডায়লগ। কিম্ভুতকিমাকার বেশে চরিত্রে তিনি এমন জমে গেলেন যে, কাকার লেখা ডায়লগ তো বললেনই সেইসঙ্গে এনতার বাই-ডায়লগ দিতে শুরু করলেন। চরিত্রে ঢুকে গেলে যা হয় আর কী! এদিকে রবীন্দ্রনাথ তো মহামুশকিলে পড়লেন, কিছুতেই ধরাছাড়ার খেই খুঁজে পান না! অথচ ভাইপোকে থামানোও যায় না। সে যাত্রায় টরেটক্কায় ভাইপোকে টেক্কা দিয়ে বেরোতে রবীন্দ্রনাথকে বেশ বেগ পেতে হয়েছিল। তবে, ব্যাপারটা এত স্বতঃস্ফূর্ত হয়েছিল যে, অভিনয় জমে একেবারে ক্ষীর হয়ে গিয়েছিল। নাটক শেষে গিরিশ ঘোষ তো ঘোষণাই করে বসলেন : "এ-রকম অ্যাকটার সব যদি আমার হাতে পেতুম তবে আগুন ছিটিয়ে দিতে পারতুম।"

"শারদোৎসব"-নাটকের সময় অবন আর রিস্ক নিতে চাইলেন না। দু'জনেরই বেশ বয়স হয়েছে তখন। ডায়লগ মনে থাকছে না কিছুতেই। তাই অবন প্রস্তাব দিলেন যে, এবার দু'জন প্রম্পটারকে স্টেজে তোলা হবে। তারা ডায়লগ এনতার কানে দিয়ে যাবে--তাহলেই ডায়লগ ভুলবার আর জো থাকবে না। কিন্তু, দু'দুটো লোক নাটকের খাতা হাতে স্টেজে পিছন পিছন ঘুরে বেড়াবে শুধুমাত্র ডায়লগ ধরিয়ে দেওয়ার জন্য--এটা কি ভালো দেখাবে? শেষ পর্যন্ত লোকে না হাসাহাসি করে! অবন কাকাকে অভয় দিলেন। তারপর ভেবে ভেবে বের করলেন এক দৃষ্টিনন্দন উপায়। ব্যাকগ্রাউন্ডের সঙ্গে মিলিয়ে দুই প্রম্পটারের জন্য মোটা কালো ও নীল কাপড়ের আগাপাশতলামোড়া পোশাক তৈরি করালেন। শুধু চোখের আর মুখের ফোঁকরটুকু রাখলেন। ভেতরে লোকগুলো নাটকের খাতা নিয়ে যাতে পড়ে যেতে পারে, তার ব্যবস্থা রাখলেন।

শুরু হল নাটক। স্টেজের দুপাশে কাকা ও ভাইপোর পেছন পেছন ঘুরে নীল-কালো কাপড়মোড়া দুই প্রম্পটার ফিস ফিস করে ডায়লগ ধরিয়ে যেতে লাগল। ফলে, ডায়লগ ভুল হল না, অভিনয়ে সমস্যা হল না, ডায়লগ ধরিয়ে দেওয়ার ফিকিরটিও কেউ বুঝল না; উপরন্তু দর্শক দেখল দুই ছায়ামূর্তি যেন দুটো চরিত্রকে যমদূতের মতো অনুসরণ করছে--এটা নাট্যপরিস্থিতির সঙ্গে এমন খাপ খেয়ে গিয়েছিল যে, নতুন এক ব্যঞ্জনা তৈরি করল।

এক শ্রাবণে জন্ম অবনীন্দ্রনাথের; আর এক শ্রাবণে রবীন্দ্রনাথের মৃত্যু। শুধু খামখেয়ালে নয় , শুধু সৃষ্টিশীলতায় নয়; শ্রাবণসূত্রেও এই দুই কৃতি দোসর...

তথ্যঋণ: ঘরোয়া- অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর ও রাণী চন্দ।

ডাক্তার রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর...সাহিত্যচর্চার পাশাপাশি রবীন্দ্রনাথ ছিলেন শখের চিকিৎসক। তাঁর লেখার টেবিলে সাজানো থাকতো বায়োকে...
01/06/2025

ডাক্তার রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর...

সাহিত্যচর্চার পাশাপাশি রবীন্দ্রনাথ ছিলেন শখের চিকিৎসক। তাঁর লেখার টেবিলে সাজানো থাকতো বায়োকেমিক ওষুধের নানারকম শিশি। রামগড়ের কাঠের মিস্ত্রির আজন্মের স্নায়বিক ব্যাধি কয়েকদিন রবি ঠাকুরের ওষুধ খেয়ে সেরে গেলে তিনি নিজেকে অব্যর্থ খ্যাতিমান ডাক্তার হিসেবে গন্য করতে লাগলেন। সেযুগের বিখ্যাত ডাক্তার নীলরতন সরকার পর্যন্ত প্রায় আশা ছেড়ে দিয়েছিলেন যে রোগীর ক্ষেত্রে, সেই টাইফয়েড আক্রান্ত রোগী রানী মহলানবিশকে একান্ত নিজের চিকিৎসায় পুরোপুরি সারিয়ে তুললেন শখের হোমিও ডাক্তার রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।

 #রবীন্দ্রনাথের_জামাই_ষষ্ঠী চারবেলাই চর্ব্য চোষ্য লেহ্য পেয় এর আয়োজন- তবে তার মধ্যেও দুপুর বেলার খাবারটাই তো আসল খাওয়...
31/05/2025

#রবীন্দ্রনাথের_জামাই_ষষ্ঠী

চারবেলাই চর্ব্য চোষ্য লেহ্য পেয় এর আয়োজন- তবে তার মধ্যেও দুপুর বেলার খাবারটাই তো আসল খাওয়া, সেই খাওয়া খেতে বসেছে জামাতা বাবাজীবন। তত্ত্বাবধানে স্বয়ং শ্বশ্রুমাতা।
ভাতটা ভেঙে ডাল ঢালবার আগে শাশুড়ি মৃদু আপত্তি করে উঠলেন- আগে তেতো দিয়ে খাও।
তেতো? কোথায় তেতো? জামাই বাবাজীবন অবাক।
প্রথম বাটিটা শাশুড়ি আঙুল দেখিয়ে দিকনির্দেশ করলেন।
ওহো, আমি বুঝতে পারিনি। একটু মেখে মুগ্ধ হয়ে বললেন- উচ্ছে আছে বুঝতে পারছি, তেতো ভাবটাও আছে- কিন্তু বেশ অন্যরকম হয়েছে তো।
আর একটা তেতোও আছে। ঘি করলা।
ঘি করলা?
ওই যাকে তোমরা কলকাতার লোক কা৺করোল বলো।
তিক্ত পর্ব শেষ হলে জামাই খেলেন নারকেল দিয়ে সোনামুগের ডাল আর ভাত, সঙ্গে কয়েকপদ ভাজা। আলু ভাজা, কুমড়ো ভাজা, পটল ভাজা, বেগুন ভাজা।

এরপরে তরকারির পালা।
এটা তো মোচা মনে হচ্ছে।
হ্যাঁ, মোচাই তো? তুমি খাবে না?
কেন খাব না, আমি তো এখন নিরামিষ খেতেই ভালোবাসি।
বড় তৃপ্তির সঙ্গে জামাতা মোচা ভক্ষণ সমাপ্ত করলেন।
এইটা ?
ওটা তো লাউ দিয়ে ছানা দিয়ে একটা নতুন রকমের তরকারি।
তাই নাকি? সাগ্রহে জামাতা বাবাজীবন সামান্য ভাত দিয়ে মেখে খেয়ে মুগ্ধ হয়ে বললেন- বাহ্, এটাও ভারী সুন্দর হয়েছে, বড় তৃপ্তি পেলাম।

দীর্ঘ দেহের অধিকারী জামাতা বাবাজীবন কিন্ত পরিমাণে খুবই স্বল্পাহারী। ভাতের পরিমাণ দেখলে কোন ছোট পাখির আহার বললেই ভুল হবে,কিন্তু বেশ কয়েক রকম পদ রান্না না হলে তার মন ভরে না। আজ তার মুখ দেখেই বোঝা যাচ্ছে সে অনেকদিন পরে ভারী তৃপ্তি করে খাবার খাচ্ছে!

আচ্ছা, এটা?
এটাতো চৈ দিয়ে কৈ মাছ।
মাছ ? কিন্তু- আমি তো, আমি তো এখন একদম আমিষ খাই না।
খাবে না? শাশুড়ি মায়ের মুখ কালো হয়ে গেল। আমি কত কষ্ট করে বানালাম চৈ দিয়ে কৈ মাছ, আর তুমি খাবে না? ওই জিনিসটা তো তোমাদের শহরে পাওয়া যায় না। আচ্ছা, থাক তাহলে- আমি সরিয়ে নিচ্ছি।

জামাতা একটু চুপ করে রইলেন, মাথানিচু করে কী যেন ভাবলেন তারপর বললেন- থাক। সরানোর দরকার নেই, আমি খেয়ে নিচ্ছি।
খেতে খেতে অস্ফুটে বললেন -হ্যাঁ ,এই রান্নাটা আমি আগে ওর কাছে খেয়েছি। ঠিক এমনটিই।

একটু দূরে দাঁড়িয়ে ছিল জামাতার ভৃত্য উমাচরণ। সে বড়ই অবাক হয়ে গেলো। মনে মনে ভাবলো- দ্যাখো দেখি বাবামশাই এর কান্ডখানা। মা ঠাকরুণ চলে যাওয়ার পরে আমরা এত সাধ্যিসাধনা করেও ওনাকে একফোঁটা আমিষ খাওয়াতে পারতাম না, আর আজকে যেই শাশুড়ি বলেছে অমনি মাছটা খেয়ে নিলেন!

সময়টা উনিশশো তিন।
অবিভক্ত বাংলাদেশ।
শাশুড়ি দাক্ষায়ণী দেবী।
জামাতা রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।

31/05/2025

আংবাং বুটিক শান্তিনিকেতন 🪡
Bolpur Santiniketan Theke wholesale dhamaka niea Monimala Bairagya
9883962537 wp no

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এবং আলবার্ট আইনস্টাইন বিংশ শতাব্দীর দুই জিনিয়াস। এই দুই বিস্ময়-প্রতিভার প্রথম সাক্ষাৎ(১৪ই সেপ্টেম্বর, ...
31/05/2025

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এবং আলবার্ট আইনস্টাইন বিংশ শতাব্দীর দুই জিনিয়াস। এই দুই বিস্ময়-প্রতিভার প্রথম সাক্ষাৎ(১৪ই সেপ্টেম্বর, ১৯২৬)‍ সকলের কৌতুহলের বিষয়। প্রাচ্য ও পাশ্চাত্যের প্রতিনিধিস্বরূপ দুই মনীষীর মোলাকাতজনিত মত-বিনিময়, যা কি না ৯৪ বছর আগের ঘটনা, তা আজও যে-কোনও চিন্তাশীল মনের খাদ্য। এখনও তা উঠে আসে আলোচনায়। নানা প্রসঙ্গে বারবার।
কী কী বিষয়ে আলোচনা করেছিলেন দুজনে? এক কথায় গূঢ়, কূট নানা প্রশ্নে আবর্তিত হয়েছিল ওঁদের বার বারের কথালাপ। প্রাথমিক পরিচয়ে দুজনে কবি ও বিজ্ঞানী হতে পারেন, কিন্তু মূলত ওঁরা দার্শনিক। ওঁদের খোঁজ রীতিমত গভীরে। জার্মান যুব আন্দোলনের উত্‍স সন্ধান, প্রযুক্তির অগ্রগতি মানবজীবনে আশীর্বাদ না অভিশাপ, প্রাচ্য ও পাশ্চাত্য সঙ্গীত ও চিত্রশিল্পে শব্দ সুর সঙ্গতি রেখা ও রঙের ভূমিকা - এ রকম সব প্রশ্নে ওঁরা চিন্তিত। তবে, যে বিষয়ে ওঁদের তর্ক এগিয়েছিল বহু দূর, যে বিষয়টা গত ৯৪ বছরে ভাষ্যকারদের নজর কেড়েছে প্রভূত পরিমাণে, তা হল সত্যের স্বরূপ। এই বিশ্বব্রহ্মাণ্ডে বাস্তব অবস্থা। তা কি মানুষের চেতনা-নিরপেক্ষ হিসেবে বিরাজমান? না কি সেই বাস্তবতা ওই চেতনারই নির্মাণ মাত্র?
কথালাপে সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছিল ভাষা। 'মাই মেমরিজ অব আইনস্টাইন' প্রবন্ধে রবীন্দ্রনাথ লিখেছেন, 'ইংরেজি ভাষায় তাঁর দখল কথাবার্তা চালিয়ে যাওয়ার পক্ষে যথেষ্ট নয়, আর আমি জার্মান ভাষা জানি না। দোভাষীর পক্ষে কাজটা মোটেই সহজ ছিল না।' এ কারণে কারও কারও মতে, আইনস্টাইন-রবীন্দ্রনাথ আলাপ যেন দুই গ্রহের কথোপকথন। কেউ কারও বক্তব্য বোঝেননি।
তবু ওঁদের বাক্য-বিনিময় আকর্ষণীয়। দুটি কারণে। কথাবার্তায় ওঁরা দাঁড়িয়ে নিজ নিজ মেরুতে। যেন ঘোষণা করছেন জাতি-ধর্ম। কবির দাবি, সত্য চেতনা-নিরপেক্ষ নয়। তা মানুষের নির্মাণ। এ ছাড়া আর কী-ই বা বলতে পারেন কবি? তিনি যে স্রষ্টা। শব্দে-শব্দে নির্মাণ করেন সত্য। আর বিজ্ঞানী? অন্তত আইনস্টাইন মনে করেন, তিনি স্রষ্টা বই কিছু নন। নিজস্ব গুণাবলি নিয়ে বিশ্বব্রহ্মাণ্ড আপনি বিরাজমান। গবেষকের কাজ সে সব গুণের সন্ধান। হায়, আইনস্টাইনের এই বিশ্বাস যে ভ্রান্ত প্রমাণ করেছে বিজ্ঞানের নতুন শাখা কোয়ান্টাম মেকানিক্স। তা যে বলে দিয়েছে, দৃশ্য থেকে দর্শক আলাদা নয়। দর্শক শনাক্ত না করলে দৃশ্য অবাস্তব। এ হেন বক্তব্য যে গ্রহনযোগ্য মনে হয়নি আইনস্টাইনের, তা বলাই বাহুল্য। কবি আর বিজ্ঞানীর তর্কের দ্বিতীয় আকর্ষণ ঠিক এইখানে।

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর নিজের অটোগ্রাফ দেওয়ার জন্য এক টাকা নিতেন ।আর সেই অটোগ্রাফের টাকা তোলা নিয়ে হয়ে গেল এক ধুন্ধুমার কাণ্ড!...
29/05/2025

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর নিজের অটোগ্রাফ দেওয়ার জন্য এক টাকা নিতেন ।
আর সেই অটোগ্রাফের টাকা তোলা নিয়ে হয়ে গেল এক ধুন্ধুমার কাণ্ড! নোবেল পুরস্কার পাওয়ার পর ভক্তদের কাছে কবির জনপ্রিয়তা এমন জায়গায় গিয়ে পৌঁছেছিল, বলার নয়।

নিজের অটোগ্রাফ দেওয়ার জন্য প্রতিদিন অসংখ্য ভক্ত কবির অটোগ্রাফ নিতে আসতে শুরু করল।

প্রতিদিন অসংখ্য অটোগ্রাফের খাতা আসত কবির কাছে।শুধু নাম সই করলে চলবে না, সঙ্গে দু'এক লাইন কবিতাও চাই। প্রতিদিন কবিকে প্রচুর অটোগ্রাফের খাতায় সই করতে হত।এছাড়া আরো অনেক আবদার মাখানো চিঠি আসত প্রতিদিন।
যেমন, আমার ছেলে বা মেয়ের একটা নাম দিন দয়া করে। সামনে মেয়ের বিয়ে, একটু আশীর্বাণী লিখে দিন।
ছেলের অন্নপ্রাশন, দু'এক লাইন লিখে দিন আশীর্বাণী।
কার্ডে ছাপা হবে।

অদ্ভুত সব চিঠি আসত। কেউ একটা কবিতার বই ছাপিয়েছে। সেই কবি আবদার করে লিখছে, আপনি নোবেল কমিটির কাছে সুপারিশ করে একটা চিঠি লিখে দিন যাতে এ বছরের নোবেল প্রাইজটা আমি পেতে পারি। কবি এইসব পড়ে কাঁদবেন না হাসবেন, ভেবে পেতেন না।

একটা সময় ব্যাপারগুলো কবির কাছে অসহ্য হয়ে গেল। কবি ঠিক করলেন এবার থেকে আমি এক টাকা করে নেব অটোগ্রাফের জন্যে। এতে ভিড় কিছুটা কমবে। আর এই টাকা শান্তিনিকেতনের দরিদ্র ভান্ডারের জন্য জমা হবে। দরিদ্র ভান্ডারের উপকারও হবে।

রবীন্দ্রনাথ এ কাজের দায়িত্ব দিলেন আশ্রমের একজন আলু নামের কর্মীকে। ভিড় তো কমলোই না উল্টে
এই আলুর জন্যে কবিকে কত বিড়ম্বনায় যে পড়তে হল, তা বলার নয়। আলুকে অটোগ্রাফের জন্য টাকা তোলার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। আলু টাকা তুলতে লাগল।
কিন্তু মুশকিল হল আলু একটু বাড়াবাড়ি শুরু করে দিল। আলু শেষে আশ্রমের ছেলেমেয়েরা অটোগ্রাফের জন্যে এলেও, তাদের কাছ থেকেও টাকা নিত।
এমনকি কবির পরিচিত মানুষদের কাছ থেকে অটোগ্রাফের জন্য টাকা নিত।
কবি বললেন,
আরে আলু করছো কি?
ওদের কাছ থেকে টাকা নিচ্ছো কেন?
আলু বলে, আপনিই তো নিয়ম করেছেন, আমি কি করবো?

শেষে কবি বললেন,
থাক অনেক হয়েছে বাবা, আর তোমাকে টাকা তুলতে হবে না।
এবার থেকে অটোগ্রাফের জন্যে কাউকে টাকা দিতে হবে না।

কবি হয়'ত মনে মনে বলেছিলেন কেন যে মরতে নোবেল প্রাইজটা পেলাম!
এজন্য কবি কি মনের দুঃখে গান লিখেছিলেন?
" এ মণিহার আমায় নাহি সাজে। "

কে জানে?

তথ্য সূত্রঃ
কবির স্নেহধন্যা রাণী চন্দের বই, "গুরুদেব " থেকে নেওয়া ।

Address

Santiniketan
Bolpur
731204

Telephone

+913463262751

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Santiniketan - আমাদের শান্তিনিকেতন posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to Santiniketan - আমাদের শান্তিনিকেতন:

Share

SANTINIKETAN

At Santiniketan the environment is always present in one"s consciousness. It becomes a part of one"s being here, more than anywhere else, which is why it grows on you and having lived here once it is difficult to forget. The Santiniketan environment has changed, grown and evolved with its community.

Santiniketan is situated at an elevation of 200 feet above sea-level giving it a slight bulge in an otherwise flat landscape. The ground slopes gradually to 100 feet above sea-level near the Ajay river about 3 miles to the south and the Kopai stream some 2 miles to the north. The southern boundary of Santiniketan merges into a vast plain of rice fields. On its northern fringes were the khoai lands with deeply indented gullies caused by erosion over denuded land. The District Gazetteer of Birbhum records that in pre-British days, Birbhum had an extensive forest cover. Progressive denundation of forests played havoc with the porous laterite soil. During the hot months, fierce dust storms scattered the loose soil far and wide. During the rains heavy erosion took place as after every downpour water rushed through undulating land creating gullies and gorges in its relentless march.

In the middle of the 19th century, Maharshi Devendranath Tagore found solace and serenity in this barren land. He purchased the land and started the construction of a house rightaway. This house, named, Santiniketan, was built in the early 1860s; the name later came to denote the entire area. A beautiful garden was laid out on all sides of the house. The top-layer of gritty dry soil was removed and filled with rich soil brought from outside. Trees were planted for fruit and shade. Change in the environment had begun.