Bijay

Bijay যিনি তৃণাপেক্ষা আপনাকে ক্ষুদ্র জ্ঞান করেন, যিনি তরুর মত সহিষ্ণু হন, নিজে মানশূন্য হয়ে অপর লোককে সম্মান প্রদান করেন, তিনিই সর্বদা হরিকীর্তনের অধিকারী।

ভাদ্র পূর্ণিমা"আজ ভাদ্র পূর্ণিমা, শ্রীমদ্ভাগবতের উপাসনা করার বিশেষ দিন। শ্রীমদ্ভাগবত হলো অমল পুরাণ- বিশুদ্ধ পুরাণ, কেননা...
07/09/2025

ভাদ্র পূর্ণিমা

"আজ ভাদ্র পূর্ণিমা, শ্রীমদ্ভাগবতের উপাসনা করার বিশেষ দিন। শ্রীমদ্ভাগবত হলো অমল পুরাণ- বিশুদ্ধ পুরাণ, কেননা এই গ্রন্থ সম্পূর্ণভাবে ভগবান শ্রীকৃষ্ণের মহিমা, তাঁর নানা অবতার এবং তাঁদের দ্বারা উদ্ধারপ্রাপ্ত মহান ভক্তদের মহিমা কীর্তনে সমর্পিত। আজ আমরা তাই শ্রীমদ্ভাগবতের কথা স্মরণ করতে চাই, যা এই পৃথিবীর মহান সম্রাট পরীক্ষিৎ মহারাজের নিকট কীর্তিত হয়েছিল।"

~শ্রীল জয়পতাকা স্বামী,
ভাদ্র পূর্ণিমা প্রবচন, ১৩ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯,
দামোদরদেশ

06/09/2025

বিদ্যানগর

শ্রীল হরিদাস ঠাকুরের তিরোভাব তিথি! "হরিদাস ঠাকুরের বপুকে স্নান করানোর পর ভগবান শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভু হরিদাস ঠাকুরকে নিজ হা...
06/09/2025

শ্রীল হরিদাস ঠাকুরের তিরোভাব তিথি!

"হরিদাস ঠাকুরের বপুকে স্নান করানোর পর ভগবান শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভু হরিদাস ঠাকুরকে নিজ হাতে করে বালির গর্তে নিয়ে এলেন এবং নিজ হাতে তাঁর বপুকে বালি দিয়ে আবৃত করলেন। ভগবান শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভু নৃত্য করছিলেন, প্রসাদ বিতরণ করছিলেন এবং তাঁর ভক্তের জন্য সর্বপ্রকারের দিব্য সেবা করছিলেন। যদিও শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভু ছিলেন সর্বশ্রেষ্ঠ সন্ন্যাসী, হরিদাস ঠাকুরের সাথে যেসব দিব্য ভাব-বিনিময় তিনি করেছেন, তা ছিল অতুলনীয়, যা তাঁর ভক্তদের এই দৃষ্টি প্রদান করে যে, তিনি তাঁর ভক্তদের কতটা ভালোবাসেন এবং তাঁর ভক্তদের সাথে তাঁর সম্বন্ধ কতটা অন্তরঙ্গ।

শ্রীল হরিদাস ঠাকুরের সঙ্গ হারিয়ে শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভু কষ্ট অনুভব করছিলেন, কিন্তু হরিদাস ঠাকুরকে এইভাবে তাঁর জীবন সার্থক করতে দেখে এবং অত্যন্ত মহিমান্বিতভাবে হরিনাম জপ করতে করতে পূর্ণ কৃষ্ণচেতনায় দেহ রাখতে দেখে, ঠিক যেমনভাবে ভীষ্মদেবের সময়ও হয়েছিল, সেটি ছিল আনন্দের বিষয়। তো এই প্রকারের মিশ্র অনুভবে প্রত্যেকে মহোৎসবে অংশ নিয়েছিল। সেখানে কোন জড় শোক ছিল না। হরিদাস ঠাকুরের মতো দেহত্যাগ করায় কোন জড় শোক নেই। সেটি হলো জীবনের সিদ্ধি। একমাত্র দুঃখ হলো অন্যান্য সমস্ত ভক্তরা এখন এমন এক মহান ভক্তের সঙ্গ বঞ্চিত হবেন।

তাই এটিই আমাদের সারা জীবনের মূল কেন্দ্রবিন্দু হওয়া উচিত। অবশ্যই আমরা হরিদাস ঠাকুরকে অনুকরণ করতে পারি না, কিন্তু আমাদের তাঁর পদাঙ্ক অনুসরণ করার চেষ্টা করা উচিত প্রতিদিন হরেকৃষ্ণ মহামন্ত্র জপ করার মাধ্যমে এবং পূর্ণ কৃষ্ণভাবনায় ও ভগবান শ্রীকৃষ্ণচৈতন্যের চিন্তায় নিমগ্ন অবস্থায় দেহত্যাগের জন্য প্রস্তুত হওয়ার মাধ্যমে।"

~শ্রীল জয়পতাকা স্বামী
২১শে সেপ্টেম্বর, ১৯৮৩

আজ সচ্চিদানন্দ শ্রীল ভক্তিবিনোদ ঠাকুরের আবির্ভাব তিথি মহা মহোৎসব! "আজ কৃষ্ণকৃপাশ্রীমূর্তি শ্রীল ভক্তিবিনোদ ঠাকুরের আবির্...
05/09/2025

আজ সচ্চিদানন্দ শ্রীল ভক্তিবিনোদ ঠাকুরের আবির্ভাব তিথি মহা মহোৎসব!

"আজ কৃষ্ণকৃপাশ্রীমূর্তি শ্রীল ভক্তিবিনোদ ঠাকুরের আবির্ভাব তিথি। তিনি অত্যন্ত ধনী পরিবারে জন্মগ্রহণ করেছিলেন এবং তিনি ইংরেজি ও বাংলা ভাষায় শিক্ষা লাভ করেন। তিনি ইংরেজি ভাষায় বিভিন্ন গ্রন্থের প্রকল্প নিয়েছিলেন এবং শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভুর আন্দোলনকে সমগ্র বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে দিতে চেয়েছিলেন।

শ্রীল ভক্তিবিনোদ ঠাকুর প্রথমে একজন স্কুল শিক্ষক ছিলেন কারণ তিনি মনে করেছিলেন যে, এটি তাঁর পরিবার নির্বাহ করার একটি আদর্শ পন্থা। ১২ বছর বয়সে তিনি বিবাহ করেছিলেন। তিনি দ্রুত বিভিন্ন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হন এবং ওড়িয়া ও ইংরেজিতে কিছু গ্রন্থ রচনা করেন। পরবর্তীতে ব্রিটিশরা তাঁকে ভারতীয় প্রশাসনিক সেবায় রাখার সিদ্ধান্ত নেয়। এবং তিনি জগন্নাথ পুরী মন্দিরের প্রথম প্রশাসক হন।

তিনি শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভুর প্রকৃত জন্মস্থান খুঁজে বের করতে চেয়েছিলেন এবং তাই তিনি নদীয়া জেলায় স্থানান্তরিত হন। তিনি তখন শ্রী মায়াপুর থেকে একটি আলো দেখেন এবং বুঝতে পারেন যে এটি শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভুর জন্মস্থান। শ্রীল ভক্তিবিনোদ ঠাকুর শ্রীল জগন্নাথ দাস বাবাজীকে মাথায় একটি ঝুড়িতে করে নিয়ে আসেন এবং তিনি যেখানে আলো দেখেছিলেন সেখানে যান। তিনি স্থানীয় লোকজনকে জিজ্ঞেস করলেন এটা কোন জায়গা। তারা বললো, “এই জায়গাটা অভিশপ্ত, আমরা যা বপন করি তাতেই তুলসী জন্ম নেয়। বেগুন, টমেটো কিছুই হয় না; শুধু তুলসী।" এরপর তিনি শ্রীল জগন্নাথ দাস বাবাজীকে মাথায় নিয়ে তুলসী বাগানের মধ্য দিয়ে হেঁটে যান। শ্রীল জগন্নাথ দাস বাবাজী প্রায় ১৩০ বছর বয়সী ছিলেন, তিনি খুব বৃদ্ধ ছিলেন এবং তাঁর চোখের পাতা শুধুমাত্র দিয়াশলাইয়ের কাঠি দিয়ে খোলা রাখা হত। তিনি একেবারেই হাঁটতে পারতেন না। এবং একটি ঝুড়িতে করে তাঁকে বহন করা হত। কিন্তু সেই নির্দিষ্ট স্থানে এসে তিনি লাফাতে শুরু করলেন, হরিবোল! হরিবোল! সেটিই ছিল শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভুর জন্মস্থান!

যেহেতু শ্রীল ভক্তিবিনোদ ঠাকুর একজন ম্যাজিস্ট্রেট ছিলেন, তাই তিনি বৃহৎ অনুদান গ্রহণ করতে চাননি। তাই তিনি ৩০,০০০ লোকের কাছে গিয়ে প্রত্যেকের কাছ থেকে ১ রূপি করে সংগ্রহ করেন এবং মহাপ্রভুর জন্মস্থানে প্রথম মন্দির তৈরি করেন এবং জগন্নাথ মিশ্র ও শচীমাতার জন্য একটি কুটির তৈরি করেন।

শ্রীল ভক্তিবিনোদ ঠাকুর তাঁর জীবনকে খুব নিয়মতান্ত্রিকভাবে নির্বাহ করেছেন। প্রতিদিন তিনি তাঁর পরিবারকে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ সময় দিতেন, বিভিন্ন লোকজনের সাথে সাক্ষাৎ করতেন, জপ করতেন, গ্রন্থ লিখতেন, ভক্তিগীতি রচনা করতেন, ভক্তদের সাথে দেখা করতেন, তিনি কখন কী করবেন সবকিছুই নির্ধারিত ছিল। আপনি যদি তাঁর সময়সূচী দেখেন, তবে আপনি দেখতে পাবেন যে তিনি আধুনিক সময় ব্যবস্থাপনাকারী সমস্ত গুরুদের অতিক্রম করেছেন। তাঁর সময়সূচী অবিশ্বাস্যভাবে নিখুঁত ছিল।

আমাদের প্রচার আন্দোলনও তিনি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। সেই সময় তিনি উপলব্ধি করেছিলেন যে, নিত্যানন্দ প্রভু নামহট্ট শুরু করেছিলেন এবং তাই তিনি আবার নামহট্ট শুরু করেছিলেন। শ্রীল ভক্তিবিনোদ ঠাকুর সারা বাংলা ও ওড়িশা জুড়ে এই নামহট্ট প্রতিষ্ঠা করেছিলেন।"

~শ্রীল জয়পতাকা স্বামী
৩১শে আগস্ট, ২০২০

31/08/2025

ভগবান তো সব জায়গায় আছে তবু সবাই মন্দিরে যায় কেন? 🤔🙏

31/08/2025

কে কি করছে কিভাবে করছে কেন করছে যত কম জানবে জীবনে তত ভালো থাকবে 🤔💭👀💬

31/08/2025

শুভ রাধা অষ্টমী 🙏🙏🙏🙏❤️❤️❤️❤️♥️♥️♥️🥳🥳🎉🎉

31/08/2025

শুভ রাধা অষ্টমী সবাইকে শুভেচ্ছা 🚩🚩❤️❤️❤️🏵️🏵️🏵️🙏🙏🙏

Address

Budge Budge
Budge Budge

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Bijay posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to Bijay:

Share