Nazrul shsik

Nazrul shsik Unknown to known and unseen to seen. always published original. always say truth.

Valobaser Golpo – ও আমায় ভালোবাসেনি (সিজন ২)— আমার বিয়ে ঠিক হয়েছে ফয়সাল ভাই।— হ্যাঁ শুনেছি । মা বললো কাল । ছেলে নাকি সেন...
21/08/2023

Valobaser Golpo – ও আমায় ভালোবাসেনি (সিজন ২)

— আমার বিয়ে ঠিক হয়েছে ফয়সাল ভাই।
— হ্যাঁ শুনেছি । মা বললো কাল । ছেলে নাকি সেনাবাহিনীতে আছে?
— হু কিন্তু আমি বিয়ে করতে চাই না ।- Valobaser Golpo
— কেনো?
— আপনি জানেন না কেনো?
— এসব পাগলামি বাদ দাও মিথি । ছেলের সম্পর্কে খোঁজ নিয়েছি আমি । অনেক ভালো ছেলে , ফ্যামিলি স্ট্যাটাসও হাই ।
— আপনি বুঝতে পারছেন না আপনাকে ছাড়া আর কাউকে ভালোবাসা আমার পক্ষে সম্ভব না!
— এসব তোমার আবেগ । আবেগের বসে বলছো..
— সারা দুনিয়ার মানুষ জানে আমি আপনাকে ভালোবাসি আর আপনার কাছে এটা আবেগ মনে হয়?
উত্তরে মুচকি একটা হাসি দিলো ফয়সাল ।

— মিথি আমার বাবা মায়ের লাভ ম্যারেজ । আবেগে পড়ে খুব কম বয়সে মা বাবার হাত ধরে পালিয়ে এসেছিলো ঢাকা শহরে । খুব কষ্ট করে সংসার চালাতো বাবা কিন্তু সুখ ছিলো আমাদের সংসারে ।- valobaser golpo
যখন আমি অষ্টম শ্রেণীতে পড়ি তখন হঠাৎ বাবা মারা যায় । বাবা মারা যাওয়ায় তো চোখে অন্ধকার দেখতে থাকি আমরা , টাকা আসার আ্যাসেট নেই । অভুক্ত থাকতে হয় । আমরা যখন দুশ্চিন্তায় দিন পার করছি তখন হঠাৎ কোথা থেকে আমাদের দায়িত্ব নিতে চলে এলো আমার বড় খালারা । আমার মা কে তারা প্রচন্ড ভালোবাসতো যার ফলে ঐ সময়ে আবেগের বশে দায়িত্ব নিয়ে নেয় । কিন্তু অন্য একটা ফ্যামিলি কে স্রেফ আবেগের বশে টানা সম্ভব নয় । টাকা পয়সার কাছে সব সম্পর্ক ফিঁকে । এক বছরের মধ্যেই তা আমরা খুব করে উপলব্ধি করতে পারলাম । খালা-খালু’র আমাদের প্রতি ঐ টান টা আর নেই । আমার মায়ের খুব আত্মসম্মান । টাকার জন্য সম্পর্ক খারাপ করতে সে রাজি নয় । আমাকে নিয়ে বেরিয়ে আসলো ঐ বাড়ি থেকে , মানুষের বাড়িতে কাজ করে খাবে তবুও কোনো আত্মীয়ের বাসায় নয় ।
তো সেদিন আমরা রাস্তায় রাস্তায় মা ছেলে ঘুরছি স্যুটকেস ভর্তি কাপড় নিয়ে । সকাল গড়িয়ে দুপুর পেটে দানা পানি পড়ে নি । আমি ক্লান্ত হয়ে মা কে বললাম “আমার ক্ষুধা পেয়েছে”

মায়ের হাতে কোনো টাকা ছিলো না । মা তবুও একটা চায়ের দোকানে আমায় নিয়ে গেলো । রুটি আর চা খাওয়ার পর বিল দেয়ার সময় দেখলাম মা তার স্বর্ণের কানের দুল গুলো খুলে দিচ্ছে ।- valobaser golpo
আমি নিষেধ করতে যাবো তার পূর্বেই কেউ একজন মায়ের নাম করে ডাকলো “আরে রাহেলা ভাবী কি করছেন?”
দেখলাম বাবা’র বন্ধু সিকদার চাচা । মা হঠাৎ তাকে দেখে লজ্জায় পড়ে গেলো । হাত গুটিয়ে নিলেও সিকদার চাচা ঠিকই দেখেছিলেন মায়ের হাতে স্বর্ণের কানের দুল গুলো

উনি আমাদের কিছু বলতে না দিয়ে পকেট থেকে টাকা বের করে চা ওয়ালা কে দিলেন এবং আমাদের হাত থেকে লাগেজ নিয়ে অশ্রুসিক্ত নয়নে বললেন_”ভাবী একসময় রাফিউলের জন্য আমার জীবন বেঁচে গেছিলো । আজ আমি বাড়ি গাড়ি নিয়ে ঘুরতে পারছি স্রেফ ওর কারণে । আমার পরম প্রিয় বন্ধুর বিয়োগের পর তার স্ত্রী সন্তান রাস্তায় রাস্তায় ঘুরবে আর একটা শুকনো রুটির জন্য কানের দুল বেচবে এটা আমি দেখতে পারবো না । আপনি আর বাবু আমার বাসায় উঠবেন চলুন?
মা সাথেসাথেই না করে দেয় কিন্তু উনিও নাছোড়বান্দা , শেষ অবধি আমাদের বাসায় তুললেন । দ্বিতীয় তলায় আমাদের থাকার বন্দোবস্ত করা হলো । আমরা সংকীর্ণ গণ্ডিতে থাকতাম সবসময় । মা বুঝিয়ে দিয়েছিল পরের বাড়িতে থাকতে হলে কিছু সীমাবদ্ধতা থাকে , সেগুলো পার করতে নেই ।
আমরা কখনোই সীমাবদ্ধ পার করিনি তবে চাচার পরিবার সীমাবদ্ধতার এই দেয়াল কে ভেঙে দিয়েছিল তক্ষুনি । মায়ের বারণ শুনে চাচা আমায় লেখাপড়া করিয়েছে , আমাদের আর্থিকভাবে সাহায্য করেছে সবসময় । বিনিময়ে শুধু চেয়েছে তার অন্ধ মেয়েকে যেন বিয়ে করি । ওনারা আমাদের চরম দুঃসময়ে সাহায্য করেছেন তার বদৌলতে ওনাদের এই চাওয়াটা কে অস্বীকার করতে পারিনি ।- Valobaser Golpo

মা তখন কথা দিয়েছিল চাচার মেয়ের সাথেই আমার বিয়ে হবে এবং আমিও মেনে নিয়েছিলাম।
আমি কলেজ লাইফ থেকে টিউশনি কিংবা অন্য উপায়ে উপার্জন করে আলাদা বাসা নিতে চেয়েছি কিন্তু চাচা কখনো দেননি হয়তোবা এই ভয়ে যে ওনাকে করা ওয়াদা ভুলে যাবো! ওনাকে করা প্রতিজ্ঞা যে ভুলে যাই নি তার প্রমাণ দিতেই এখানে থাকতে হলো আমাদের । চারুলতার সাথে সখ্যতা করতে হলো । ও আমায় মাঝেমধ্যে বলতো ওর বাবা’র পাগলামি কথা শুনে যাতে জীবন নষ্ট না করি কিন্তু আমি বা মা কখনো ওসব কানে তুলিনি ।
একটা সময় ঘোর আপত্তি ছিলো বিষয়টা নিয়ে কিন্তু যখন আমি বুঝতে পারলাম চারু আমাকে ভালোবাসে আমাকে নিয়ে স্বপ্ন দেখে কিন্তু নিজের প্রতিবন্ধকতার কারণে কখনো প্রকাশ করতে পারেনা ঠিক তখন আমার মন ওকে নিয়ে ভাবতে বাধ্য করলো ।- Valobaser Golpo
আমার মনে হলো ভালোবাসার জন্য পারফেক্ট হওয়ার দরকার নেই । ওর কেবল দৃষ্টিশক্তি নেই কিন্তু আমাকে ভালোবাসার শক্তি প্রবল ।
আমি কিন্তু নিজ অজান্তেই ওকে ভালোবেসে ফেলেছি । মিথ্যে বলবো না কিন্তু একটা সময় ভেবেছিলাম এমন জীবন আমার চাই না , পালাতে চেয়েছিলাম ওর থেকে । এজন্য তোমাদের বাসায় উঠেছিলাম । তানভীরের কথায় তোমাকে পড়াতে রাজি হয়েছিলাম । আমার উদ্দেশ্য ছিলো চারু’র থেকে দূরে যাওয়া কিন্তু অবিশ্বাস্য হলেও সত্যি যে তোমাদের বাসায় একটা রাত শান্তিতে কাটাতে পারিনি । খুব করে বুঝতে পেরেছি আমার সুখ শান্তি ঐ মেয়েটার মধ্যেই। আমি তোমাকে পূর্বেও বলেছিলাম তোমাকে নিয়ে চিন্তা করার সুযোগ আমার নেই । সময় আছে , নিজের মনের কথা শোনো । আমি স্রেফ তোমার আবেগ একটু চিন্তা করলেই বুঝতে পারবে ।

— মেয়েটা খুব লাকি ফয়সাল ভাই ।
— উঁহু আমি খুব লাকি ।
— আমি হয়তো আপনাকে কখনো ভুলতে পারবো না তবে আপনাকে কখনো ক্ষমাও করবো না । কেনো ভালোবাসলেন না আমায়! আজকের পর থেকে ঐ মেয়েটাকে নিয়ে কখনো আমার সামনে আসবেন না ফয়সাল ভাই , নিজ অজান্তেই অভিশাপ দিশে ফেলবো হয়তো..
— ভালো থেকো মিথি , অনেক ভালো থেকো । মুচকি হেসে ছাদ থেকে নেমে গেলো ফয়সাল ।- Valobaser Golpo
ক্ষোভে রক্তজবা গাছের টব টা ধাক্কে ফেলে দিয়ে হাঁটু মুড়ে বসলো মিথি । ও আজ কাঁদবে ,খুব কাঁদবে । ফয়সাল কি কখনো জানতে পারবে ওর প্রতি মিথির আবেগ নয় ভালোবাসা কাজ করে! সর্বস্ব দিয়ে ভালোবাসে ও ফয়সাল কে ।

অফিস থেকে মাত্র ফিরেছে শব্দ । বিয়ে উপলক্ষে বেশ ঝামেলা পোহাতে হচ্ছে । মা আবার বলেছে হবু বউয়ের সাথে দেখা সাক্ষাৎ করতে যাকে ইংরেজি তে বলে ডেট করতে । শব্দ এসবে মোটেই কমফোর্টেবল না । মেয়েটার সামনে গেলেই কেমন বুকের ভেতর টা কাঁপতে থাকে , সব কথা গুলিয়ে যায় । তবে মানতে হবে মেয়েটা বেশ সুন্দরী । শ্যামবর্ণের মায়াবতীর ফোলা ফোলা গাল আর ডাগর ডাগর চোখ গুলো সবচাইতে বেশি নজরকাড়া ।
আপন মনে হাসলো শব্দ । কি অদ্ভুত দু’দিন আগে যাকে চিনলো তাকে নিয়ে কত জল্পনা কল্পনা!- Valobaser Golpo
হবু বউয়ের খেয়ালে ডুবে থাকা শব্দ’র চিন্তার জাল বোনা বন্ধ হলো ফোনের ভাইব্রেশনের শব্দে ।
“রাইদ ইনকামিং কল”
স্ক্রিনে ভাসা নামটা দেখে চমৎকার হাসি ফুটে উঠলো শব্দ’র ঠোঁটে । রিসিভ করে উৎফুল্ল হয়ে এঙ্গেজমেন্টের খবর জানালো ।

রাইদ বেশ খুশি হয়ে বললো_
— ভালোই তো । নব বধূর নাম কি?
— মিথিলা । মিথিলা শেখ
— মরহুম মেজর নাদিম শেখে’র মেয়ে?
— হ্যাঁ তুই চিনিস নাকি?
— চিনি তো বেশ ভালো করেই ।- valobaser golpo
— আগে বলিস নি তো!
— ছোটবেলার পরিচিত । বাবা’র কলিগ ছিলো ।
— এখনো নাম মনে আছে?
— তাকে আবার ভোলা যায় নাকি!
— আচ্ছা যাই হোক তুই কিন্তু অবশ্যই আসবি আমার বিয়েতে ।
— আমি না আসলে আবার বিয়ে হয় নাকি!
— ইয়েস । সো কবে আসবি বল?
— আসবো । তোকে সারপ্রাইজ দিতেই আসছি ।
— জলদি আয় অপেক্ষায় আছি আমি ।
— হু আসবো ।
— তোর শুটিং কেমন চলছে?
— বেশ ভালো । তা নব বধূকে দেখাবি না?
— আজ বিকেলে দেখা করতে যাবো । ভিডিও কল দেবো তোকে ।
— দিস । চমকে হার্ট আ্যাটাকই না করে বসে!
— হ্যাঁ তুই এতবড় সেলেব্রেটি কি না!
— ধুর ব্যাটা আমি তোর চাইতে বেশি হ্যান্ডসাম ।
— তা যা বললি হিরো সাহেব ।
দুই বন্ধু হেসে উঠলো।

— আচ্ছা চল বাই । পরে কথা হবে প্রোডিউসারের সাথে মিটিং আছে ।
— ওকে ব্রো ।- valobaser golpo
বন্ধুর সাথে ফোনালাপ শেষে ফোনটা রাখতেই যাবে তক্ষুণি আবার মেসেজ আসলো একটা তাতে লেখা “স্যার visored টিমের হেড এবার দেশে আসছে । মিশন কমপ্লিট করার অর্ডার এসেছে ওপর মহল থেকে । আপনার সাথে মিটিং করতে চাইছে”
শব্দ রিপ্লাই না দিয়ে ফোনটা সুইচড অফ করে রাখলো ।
আলমারি খুলে একটা ব্লু প্রিন্ট , দুটো ল্যাপটপ এবং একটা ক্যামেরা ব্যাগে ভরে একটা গোপন জায়গায় রাখলো । চাবিটা লকেটের ভেতর ঢুকিয়ে লকেট টাতে গাঢ় ঠোঁটের স্পর্শ দিয়ে বললো “এই মিশনের সঙ্গী আজ থেকে তুমিও হয়ে যাবে মিথি”
নিশ্চয়ই আমরা সফল হবো এই কাজে ।

ফোন রেখে পকেটে ঢুকিয়ে বিস্তর হাসলো রাইদ । ওর পিএ রফিকুল বেশ নম্র ভাবে প্রশ্ন করলো_
“স্যার হাসছেন কেনো?”
রাইদ পিএ’র দিকে তাকিয়ে জিজ্ঞেস করলো_
— আচ্ছা রফিক আমাকে হিরো মনে হয় নাকি ভিলেইন?
— স্যার আপনাকে দু’টোই মনে হয় । কর্মক্ষেত্রে দু’টোই স্যুট করে আপনাকে ।
— আর বাস্তব জীবনে?
— বাস্তবে! স্যার আপনাকে আমি বুঝিনা । বাস্তবেও আপনি দ্বৈত সত্বা নিয়ে চলেন । একবার হিরো মনে হয় একবার ভিলেইন ।
— রফিক তোমাকে আমি কেনো এত পছন্দ করি জানো?
— জানিনা স্যার ।- valobaser golpo
— কারণ তুমি অন্যদের মত হ্যাঁ তে হ্যাঁ মেলাও না । তুমি সবসময় সত্যি কথা বলো । আমি আবার সত্যবাদীদের খুব পছন্দ করি ।
— জ্বী স্যার ।
— বাই দ্য ওয়ে গেট রেডি । সামনে সারপ্রাইজিং কিছু ডে আসতে চলেছে রফিক ।
,
চলবে?

ড্রাকুলা পর্ব ১
https://youtu.be/_BIXlPNr7Oc
ড্রাকুলা পর্ব ২
https://youtu.be/gOiMHYvbW7Y
ড্রাকুলা পর্ব ৩

দুজনে দুজনার।। পর্ব - ১
https://youtu.be/lK4lJhHeZSk
দুজনে দুজনার।। পর্ব - ২
https://youtu.be/Y_fgJ3a-A9M
অন‍্যরকম ভালোবাসা
https://youtu.be/ju7uTz-0sbs
দুজনে দুজনার।। পর্ব - ৩
https://youtu.be/Mfshg4S2jRQ
দুজনে দুজনার।। পর্ব - ৫
https://youtu.be/uEQK7zNu7Jc
দুজনে দুজনার।। পর্ব - ৬
https://youtu.be/vSlxmXewhzE
দুজনে দুজনার।। পর্ব - ৭
https://youtu.be/I6pCNx-GgwI
দুজনে দুজনার।। পর্ব - ৮
https://youtu.be/Amd6PnY-MhU
পিচ্চি মেয়ে যখন বউ
https://youtu.be/yOo-3i10Z2s
বেস্ট ফ্রেন্ড যখন বউ
https://youtu.be/h8lVuwYx_FM
https://fb.watch/fcPaGUzaGp/
আমার কল্পনায় তুমি(1)
https://youtu.be/J5dR3BUJrEQ
আমার কল্পনায় তুমি(3)
https://youtu.be/8Q0PD_GFyGk
Dangerous Meye1
https://youtu.be/kCFeTwxYPaA

Facebook link
https://www.facebook.com/profile.php?id=100011494218374

ভালোবাসার পরীক্ষা ১
https://youtu.be/-JJUApPg7Kk

21/08/2023

Celebrated

20/08/2023

রোমান্টিক ভালোবাসার গল্প
ও আমায় ভালোবাসেনি

স্যরি মিথি পারলে মাফ করবে আমাকে ।
আমি আসলে চারুকে ভালোবাসি তোমাকে না , সেই স্কুল লাইফ থেকেই আমাদের সম্পর্ক ছিল কিন্তু মাঝখানে একটা তিক্ত সময় না চাইতেও চলে আসে ..
চারু আমাকে ছেড়ে যাওয়ার পর আমি কিছুতেই মেনে নিতে পারছিলাম না ব্যাপারটা!
আর এ কারণেই…
I hope তুমি বুঝতে পারবে আর please পারলে মাফ করবে আমাকে?

এতটুকু বলেই থামলো ফয়সাল ।
আমার চোখ ফেটে কান্না আসতে চাইছে , হৃদয় ভেঙে চুরমার! কিন্তু তবুও নিজেকে সামলে রেখেছি বড্ড কষ্ট করে ।
দু’টো ভালোবাসার মানুষকে আলাদা করার অধিকার আল্লাহ আমাকে দেননি আর ভালোবাসা জোর করে আদায় করে নেবার শক্তিও দেননি!
এই ব্যাপারে আমি কি বলবো খুঁজে পেলাম না ।
কান্নাগুলি গলার মাঝে এসে আটকে গেছে , আমিই আটকে রেখেছি জোর করে ।
বহু কষ্ট নিজেকে সামলে একটু হাসলাম আমি ।
হেসেই ফয়সালকে বললাম_ যাক প্ল্যান কাজে লাগলো তাহলে?
— প্ল্যান?
ফয়সাল আর চারু আপু দু’জনেই একসাথে বলে উঠলো আমাকে ।- ও আমায় ভালোবাসেনি
— হুউউ , প্ল্যানই তো ।
আপনাকে আর চারু আপুকে মেলাবার জন্য কত্ত পরিশ্রম করতে হলো আমাকে , অভিনয় করলাম ভালোবাসার যাতে আপু জেলাস হয় আর আপনার কাছে ফিরে আসে ।
উফফ আমার পরিশ্রমের ফল পেলাম তাও আবার এত্ত মিষ্টি একটা!
উচ্ছ্বাস প্রকাশ করতে হলো আমাকে জোর করেই..
আমার কথা শুনে ফয়সাল আর চারু আপু দু’জনেই হেসে ফেললো ।
একসাথে বললো_বাচ্চাই রয়ে গেলে তুমি!
আমিও মাথা নাড়িয়ে বললাম_তা তো অবশ্যই!
তারপর আমিই আগে বললাম_ উহুম উহুম আমার কিন্তু জলদি খুশির খবর চাই।
চারু আপু একটু লজ্জা পেলো আর ফয়সাল মাথা চুলকে বললো _পাবে পাবে!
তারপর আরো কিছু বলতে চাইলো কিন্তু তার আগেই আমার ফোনটা বেঁজে উঠল ।
ফোনটা পেয়ে যেন হাফ ছেড়ে বাঁচলাম মনে হলো ।
excuse me বলে উঠে সাইডে চলে আসলাম ।
বাবা কল করেছেন , কিন্তু আমি আসলে রিসিভ করলাম না ।বাবার কন্ঠ শুনলে আমি মোটেই কান্না আটকাতে পারবো না তাই বেশ কিছু সময় ব্যায় করে ফোন কেটে ওদের কাছে গেলাম ।

ব্যাগ নিতে নিতে তাড়াহুড়ো করে বললাম_ আমার আসলে এক্ষুণি বাসায় যেতে হবে , বাবা কল করেছিলেন ।
ফয়সাল বললেন_আরেহ্ বসে যাও খানিকটা আঙ্কেলকে আমিই বুঝিয়ে বলবো ।
আমি বললাম_নাহ্ রেজাল্ট খারাপ হয়েছে বাবা বেশ রেগে আছেন! আমি বরং যাই…
তল্পিতল্পা করে ওদের থেকে বিদায় নিয়ে বাইরে আসলাম ।
আসার সময় বলে আসলাম_খুব ভালো থাকবেন আপনারা!
বিনিময়ে ওরা হাসলো । আপু বললো তুমিও ভালো থেকো ।- ও আমায় ভালোবাসেনি
মনে মনে শুধু বলে উঠলাম_ আমার ভালো থাকাটাই আপনাকে দিয়ে দিচ্ছি এখন কি আর ভালো থাকতে পারবো?
,
রিকশা করে যাওয়ার সময় ঠিক করে ফেললাম আমি আজই লন্ডন চলে যাব ।
ফয়সালকে মিথ্যে বলেছি আমি , আমার রেজাল্ট খারাপ হয়নি বরং এতটাই ভালো হয়েছে যে আমাকে ল-নিয়ে বিদেশে পড়বার সুযোগ দেয়া হয়েছে ।
৪ বছরের কোর্স , ভেবেছিলাম মানুষটাকে ছাড়া এতদিন থাকতে পারবো না তাই যেতে চাইছিলাম না কিন্তু আজ মানুষটার থেকে দূরে যাওয়া বড্ড প্রয়োজন মনে হচ্ছে ।
জীবনটা বড়ই অদ্ভুত , আমরা যা চাই তা পাইনা


এই চিরন্তন সত্যটি আমি একদম ছোট থেকেই পদে পদে টের পেয়েছি ।
ছোট থেকেই আমি সবসময় চাইতাম অন্য সবার মত একটা নরমাল লাইফ , নরমাল ফ্যামিলি ।
পুরো পৃথিবীর কাছে আমার পরিবার নরমাল হলেও আমার কাছে মোটেই নরমাল ছিলো নাহ ।
কারণ আমি ছোট থেকেই আমার মায়ের ভালোবাসা পাইনি ।
এর কারণ হলো মা মনে করেন তার একটা সন্তানকে আমি খুন করেছি । আচ্ছা এমনও কি হয়? কেউ নিজেরই ভাই/বোনকে খুন করতে পারে কখনো?
পারেনা । এটা সবাই জানে শুধু মা বিশ্বাস করেনা ।
মা যখন চার মাসের গর্ভবতী তখন বয়স আমার সাত ।
একদিন স্কুল থেকে ফেরার পর মেলায় যাব বলে বায়না করছিলাম ।
বাবা তখন অফিসিয়াল কাজে চট্টগ্রাম গেছেন ।
মা বলছিল আমায় বিকেলে নিয়ে যাবে কিন্তু আমার তক্ষুনি যাওয়া চাই!
আমি রেগে , কান্নাকাটি করে অবস্থা খারাপ করে ফেললাম ।
মা খাবার দিয়েছিলেন সেগুলো ছুঁড়ে ফেলে একাকার করে দিয়েছিলাম ।
মা যখন ঘরে আসলেন আমাকে থামাতে তখন খাবারের সাথে যে পানি পড়েছিল ফ্লোরে, সেই পানিতে স্লিপ কেটে উপুড় হয়ে পড়ে গেলেন ।
পেটে আঘাত লেগে মিসক্যারেজ হয়ে গেলো আর তারপর থেকে হয়ে গেলাম আমি খুনি ।
অদ্ভুত ভাবে সেইদিনের পর থেকে আমার জীবনে রাগ আর জিদের কোনো জায়গা থাকলো না ।
হয়ে গেলাম নরম সরম , শান্তশিষ্ট অবহেলিত একটি মেয়ে ।

মা আমাকে দেখতে পারতেন না বলে বাবা ফুপির বাসায় রেখে আসলেন ।
ফুপি আমাকে প্রচন্ড ভালোবাসতেন , তিনি চেষ্টা করতেন মায়ের অভাব পূরণ করার কিন্তু মা তো মা ই হয় । ফুপি কি মা হতে পারে??
ফুপির বাসায় আমার দিনগুলো ভালোই যাচ্ছিলো কিন্তু সেখানকার ঠিকানাটাও স্থায়ী হলো না আমার ।
ও লেভেল শেষ করার পরপরই ফুপির ছেলে রাইদ ভাই আসলেন বিদেশ থেকে ।
আর এরপরই আমার জীবনের আরেকটা অধ্যায়ের সূচনা হলো ।
যার সমাপ্তি হয়তো ফয়সালের কাছে এসে ঠেকলো..
,
চলবে...........

19/08/2023

Childhood marriage !!


ছোঁয়া : কাকিয়া আমি গেলাম…
কাকিয়া : গেলাম মানে!রাতে না বললি তোদের আজকে অফডে,তাহলে এই সাত সকালে কই যাচ্ছিস?
ছোঁয়া : কোথায় আবার ভার্সিটিতেই যাচ্ছি।আরে বাবা কাল আমাদের Excursion(study tour)না?তুমিতো জানোনা এত্ত এত্ত কাজ পড়ে আছে।সবার চেস্ট কার্ড,টি শার্ট,ক্যাপ সব আমাকে ডিস্ট্রিবিউশন করতে হবে আর সবাই নিজ নিজ দ্বায়িত্ব ঠিকমত পালন করল কিনা সেটাওতো দেখা লাগবে তাইনা?
কাকিয়া : হয়েছে হয়েছে আর এত এক্সকিউজ দেখাতে হবে না,কোথায় যাবি যা…
ছোঁয়া : এইতো আমার লক্ষ্মী কাকিয়া
(কাকিয়ার গালে একটা পাপ্পি দিয়ে দিল)
কাকিয়া : আহ্ ছোঁয়া কি যে পাগলামি করিস না..এখন চুপচাপ টেবিলে গিয়ে বসতো আমি এক্ষুণি নাস্তা দিচ্ছি…
ছোঁয়া : না না না হাতে একদমই সময় নেই আমি গেলাম টা টা
কাকিয়া : তাই বলে না খেয়েই
(ছোঁয়া টেবিল থেকে একটা আপেল তুলে নিয়ে ওটাতে একটা কামড় বসিয়ে দিল)
ছোঁয়া : কি এবার হলতো?আরতো খালি পেটে যাচ্ছি না এবারতো একটু হাসো
কাকিয়া :
ছোঁয়া : হায় মে মারযাবা,এই রকম কিলার হাসি দিয়েইতো আমার কাকাইটাকে ঘায়েল করছো।তাইতো বলি আমার অত্ত সুন্দর কাকাইটা কেন এখনও এই বুড়িটার প্রেমে পাগল
কাকিয়া : (এই মাইয়া কয় কি )ওই তুই যাবি নাকি আমি ঝাঁটা নিয়ে আসবো
ছোঁয়া : (এই রে মনে হয় বাড়াবাড়ি করে ফেললাম,আমি বাবা পালাই)টা টা কাকিয়া…
কাকিয়া : ওই পালাচ্ছিস কোথাও এদিকে আয় বলছি
ছোঁয়া : আমি কি পাগল যে তোমার কাছে যাব
কাকাই : আরে এ আমি কি দেখছি,তুমি হঠাৎ আমার ছোঁয়া মার উপর এত রাগলে কেন?
ছোয়া : দেখ না কাকাই,তোমার রাক্ষসী,রণচণ্ডী,বদমেজাজী বউ আমাকে ঝাঁটা দিয়ে পিটাতে চাইছে
কাকাই : কি তোমার এত বড় সাহস..
কাকিয়া : এই তুমি চুপ করবে!এই ছোঁয়া এদিকে আয় বলছি,আমাকে রাক্ষসী বলা!আজ তোর একদিন কি আমার একদিন…
ছোঁয়া : (এই রে মিষ্টি কাকিয়া এবার সত্যি সত্যি রাক্ষসী হয়ে গেছে,নাহ্ এবার পালানো ছাড়া কোন উপায় নেই দেখছি )টা টা রাক্ষসী,আর এই যে কাকাই আমার তোমার রাক্ষসী বউটাকে দেখে শুনে রাখবে কিন্তু… (Childhood marriage)
কাকিয়া : তবে রে
ছোঁয়া : এক ছুটে বাড়ির বাইরে চলে এলাম,আসার সময় শুনলাম কাকিয়া হুংকার দিয়ে উঠল!তাতে আমার কি আমিতো ঠিক ঠাক বের হতে পেরেছি এতেই শান্তি
কাকিয়া : পাগলি একটা
কাকাই : এই তুমি হঠাৎ মেয়েটার উপর রাগলে কেন বলতো
কাকিয়া : আরে আমি রাগ করতে যাব কেন?
কাকাই : তাহলে?
কাকিয়া : আমার অনেক লজ্জা লাগছিল তাই…
কাকাই : ও হো হো তোমার ঐ লজ্জারাঙা মুখটা দেখেইতো পাগল হয়েছিলাম
কাকিয়া : এই সরো তো,বুড়ো হয়ে গেল তবুও ঢং গেল না
কাকাই : কে বুড়ো আমি আমিতো এখনও ইয়াংম্যান।এখনতো দেখছি ছোঁয়ার কথাই ঠিক,তোমাকে আসলেই চোখের ডক্টর দেখাতে হবে দেখছি
কাকিয়া : হুহ তোমরা বাপ-বেটিতো আছোই আমার পিছে লাগার জন্য।ঠিক আছে তাহলে তোমরাই থাকো এ বাড়িতে আমি আজই আমার বাপের বাড়ি চলে যাব
কাকাই : এই আসমা,রেগে যাচ্ছো কেন?আমিতো মজা করছিলাম…
ছোঁয়া : যাক বাবা এইবারের মত বাঁচা গেল,কিন্তু একটা জিনিসতো বুঝলাম না কাকিয়া হঠাৎ এমন রেগে গেল কেন?আমি কি রাগার মত কিছু বলেছিলাম?ওহ্ হো এইবার বুঝছি রাগ না আমার স্যুইট কাকিয়াটা লজ্জা পাইছে বাব্বাহ বুড়ি হয়ে গেল তাও লজ্জা গেল না,একেবারে লজ্জাবতী লাজুকলতা
এই দেখুন কখন থেকে একমনে বকবক করে যাচ্ছি,আপনাদেরকে যে এখনও আমার পরিচয়টা দেয়া হয়নি সেদিকে তো আমার খেয়ালই নেই!আচ্ছা বাবা আর রাগ করতে হবে না,আমি এক্ষুণি আমার পরিচয় দিচ্ছি আর হ্যাঁ দেরিতে পরিচয় দেওয়ার জন্য সরি…
আমি ছোঁয়া,সবে কলেজের গণ্ডি পেরিয়ে ভার্সিটিতে ভর্তি হয়েছি।আগামীকাল আমাদের ডিপার্টমেন্ট থেকে স্টাডিট্যুরে নিয়ে যাবে,পুরো দশদিনের ট্যুর তাই এক্সাইটমেন্টের সাথে সাথে টেনশনটাও একটু বেশি আর সবচেয়ে বড় কথা ট্যুরটা হচ্ছে কক্সবাজার,রাঙামাটি,বান্দরবান আর সেন্টমার্টিনে।সবগুলোই আমার পছন্দের জায়গা তাই এত এক্সাইটেড
আর ঐ যে একটু আগে যাদের কথা শুনলেন,উনারা হলেন আমার কাকাই আর কাকিয়া।কাকাই আমার বাবার বাল্যকালের বন্ধু,আমার বাবা যখন মাররা যান তখন আমি খুব ছোট তাই উনার কথা ঠিকমত মনেও পড়ে না।বাবা মারা যাওয়ার পর কাকাই আর কাকিয়া আমাকে এ বাড়িতে নিয়ে আসেন আর তারপর থেকে আমি এখানেই আছি।আমার মা আর ছোট বোন দিয়া আমাদের বাড়িতেই থাকে,আমি অনেকবার চেয়েছি ওদের কাছে গিয়ে থাকতে কিন্তু ওরা কখনই রাজি হয়নি আর কাকাই-কাকিয়াতো কিছুতেই আমাকে ছাড়বে না তাই মা-বাবার আদর ছাড়াই আমাকে বড় হতে হয়েছে
এবার আসি কাকিয়া আর কাকাইয়ের কথায়,উনাদের মত ভাল মানুষ আমি খুব কমই দেখেছি।উনারা ছোট থেকেই আমাকে নিজের সন্তানের মত ভালোবেসেছেন,কোনদিন কোনকিছুর অভাব বুঝতে দেননি।এমন না যে উনারা নিঃসন্তান,উনাদের একটা ছেলে আছে নাম সায়ন,এখন কানাডাতে আছে লেখাপড়ার উদ্দেশ্যে।গত ১০ বছর ধরেই সে ওখানে আছে,উনার ছোট মামার পরিবার ওখানে সেটেল্ড তাই ওখানেই থাকে,এই ১০ বছরে সে একবারও এ বাড়িতে আসেনি।আমার খুব জানতে ইচ্ছে হয় মানুষ এত কঠোর কিভাবে হতে পারে!উনার কি একটা বারও নিজের মা-বাবার কথা মনে হয়না?
সায়ন আমার থেকে ৫/৬ বছরের বড় হবে কিন্তু কোন এক অজানা কারণে আমাকে কেউই উনাকে ভাইয়া বলে ডাকতে দিত না তাই ছোট হলেও আমি উনার নাম ধরেই ডাকতাম তবে সবসময় উনাকে বড় ভাইয়ের মতই সম্মান করে এসেছি।উনি যখন ক্লাস নাইনে উঠলেন তখনই উনি এখান থেকে চলে যান,তারপর থেকে আর উনার সাথে আমার দেখা হয়নি।এখন উনি দেখতে কেমন হয়েছেন তাও জানিনা…(Childhood marriage)
এই যে দেখেছেন আপরাদের সাথে বক বক করতে করতে ভার্সিটিতে চলে এসেছি,এখন আর না অনেক কাজ বাঁকি আছে ঝটপট করে ফেলতে হবেতো…
(রাত ১১টা)
কাকাই : কই রে মা,তোর হল?তাড়াতাড়ি কর নাহলেতো তোর স্যারেরা তোকে রেখেই রওনা দিয়ে দিবে
ছোঁয়া : এ্যাহ্ বলল আর হয়ে গেল!আমাকে রেখে কেমনে যায় আমিও দেখে নিব হুহ্
কাকাই : আচ্ছা দেখিস,এখনতো চল…
ছোঁয়া : হ্যাঁ তাই চল
কাকিয়া : তোর কি ওখানে গেলেই না?আমার কিন্তু মন সাই দিচ্ছে না
ছোঁয়া : আহ্ কাকিয়া এমন করছো মনে হচ্ছে যেন আমি চিরতরে চলে যাচ্ছি!আচ্ছা কাকিয়া,তুমি এমন করলে আমি কি করে যাই বলতো
কাকাই : ও তো ঠিকই বলেছে,দেখি এবার একটু মুচকি করে হাসো তো…
মা রে তুই চলতো আমার সাথে,এখানে যতক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকবি ততক্ষণ তোর কাকিয়া এমন বক বক করতে থাকবে…
কাকিয়া : কিহ্ আমি শুধু বক বক করি
কাকাই : এই না না তুমি বকবে কেন বকবে তোমার দুশমন।ছোঁয়া মা চল চল দেরি হয়ে যাবেতো…
(কাকাই ছোঁয়াকে নিয়ে বেরিয়ে গেল)
কাকিয়া : ঠেলা দেখে বেরিয়ে গেলে তো,যাও যাও ফিরেতো তোমাকে এখানেই আসতে হবে তখন ঠিক দেখে নিব
লোপা : কি রে তোর আবার কি হল?
ছোঁয়া : মানে?
লোপা : না মানে তুই হঠাৎ এমন চুপসে গেলি যে…
ছোঁয়া : আসলে কাকাই-কাকিয়াকে ছেড়ে কখনও একা একা কোথাও যাইনি তাই…
লোপা : হুম বুঝলাম
ছোঁয়া : কি বুৃঝলি?
লোপা : না মানে ভাবছিলাম ট্যুরটা দিয়ে ভালই হল
ছোঁয়া : কিভাবে?
লোপা : কারণ এই ১০ দিন বাইরে থাকতে একটা জিনিস প্র্যাক্টিস হয়ে যাবে
ছোঁয়া : কেন জিনিস?
লোপা : আরে বাবা দুদিন পরে বিয়ে করবি তখনতো বাবা-মাকে ছেড়ে থাকতেই হবে তাইনা?
ছোঁয়া : তুই না আসলেই একটা…
লোপা : কি?
ছোঁয়া : ফাযিল আর ইচড়ে পাকা আর আর শেয়াল পণ্ডিত আর… (Childhood marriage)
লোপা : থাক,আর কিছু বলতে হবে না
ছোঁয়া : আচ্ছা যা এইবারের মত অল্পতেই ছেড়ে দিলাম
লোপা : তবে যাই বলিস তোর এই চুপচাপ গোমড়া মুখ করে বসে থাকাটা কিন্তু তোর ক্যারেক্টারের সাথে যায় না…
ছোঁয়া : এটা অবশ্য তুই ঠিকই বলেছিস…আমি গোমড়া মুখে থাকলে তোর পেছনে লাগবে কে রে বান্দরনী?
(দুজনেই উচ্চস্বরে হেসে উঠল)
(সকাল ১০ টা,শাহজালাল ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্ট)
কিছু্ক্ষণ আগেই একটা বিমান ল্যাণ্ড করেছে।এক্সিট ডোর দিয়ে খুব হ্যাণ্ডসাম একটা ছেলে বেরিয়ে আসলো,ওকে দেখেই আরেকটা ছেলে ছুটে গিয়ে জড়িয়ে ধরল।ছেলেটার নাম মারুফ আর ও সায়নের ফ্রেণ্ড প্লাস ফুফাতো ভাই…
মারুফ : আরে সায়ন কেমন আছিস তুই?এতদিন পর আমাদের কথা মনে পড়ল তাহলে…
সায়ন : তোদের কথা আবার মনে পড়বে না?তোদেরকে তো আমি অলয়েজ মিস করি
মারুফ : রিয়েলি?
সায়ন : অফকোর্স ইয়ার
মারুফ : আচ্ছা শোন,আজকে কিন্তু তোকে বাড়ি যেতে দিচ্ছি না,আজকে আমাদের এখানে থাকবি কয়েকদিন তারপর বাড়িতে যাওয়ার চিন্তা।
সায়ন : বাড়ি,কে যাবে বাড়িতে?কোন বাড়ি টাড়ি হবে না
মারুফ : মানে?তুই বাড়ি যাবি না?
সায়ন : যাব তবে এখন না,আগে কয়েকদিন তোদের সবার সাথে ঘুরব তারপর ওসব ভাবা যাবে
মারুফ : মানে কি সায়ন,মামা-মামী কিছু বলবে না?
সায়ন : কেউ কিছু জানলেতো বলবে
মারুফ : মানে
সায়ন : মানেটা খুব পরিষ্কার,সবাই জানে আমি দেশে ফিরব আরো প্রায় সপ্তাহ খানেক পর
মারুফ : What
সায়ন : তোর অবাক হওয়ার পালা শেষ হলে চল যাওয়া যাক
মারুফ : ও হ্যাঁ,তাহলে চল আমাদের বাড়ি…
সায়ন : আবে ইয়ার,তোর মাথায় কি গোবর পোরা আছে
মারুফ : কেন?
সায়ন : ওই গাধা তোর বাসায় গেলে তো সবাই জেনেই যাবে যে আমি দেশে ফিরে এসেছি
মারুফ : তাইতো…তাহলে এখন কি করবি?
সায়ন : ভাবছি আমার কোন ফ্রেণ্ডের বাসায় উঠব আর কাল সকালেই কক্সবাজার…
মারুফ : কক্সবাজার
সায়ন : হুম ভাবছি এবারে দেশের সব পর্যটন স্পটগুলো ঘুরে ফিরে দেখব তারপর ফিরে গিয়ে ঐ সাদা চামড়ার মানুষগুলোকে দেখাব আমাদের দেশটা কত সুন্দর…
মারুফ : হুম That’s a good idea
সায়ন : এই সায়নের কোন আইডিয়া কখনও ফ্লপ হয়েছে যে এবার হবে?বরাবরের মতই এবারেও সব হিট হবে দেখিস
মারুফ : হিট না সুপার হিট হবে
সায়ন : yah then let’s go for it baby
To be continued….

19/08/2023

কি দারুণ খিচুড়ি?

Childhood marriage 2 !! [ Season- 2 ]সায়নঃ না কিছুতেই না,তোমরা যা বলছো তা কিছুতেই হতে পারে নামাঃ কেন হতে পারে না খোকা?সা...
19/08/2023

Childhood marriage 2 !!
[ Season- 2 ]

সায়নঃ না কিছুতেই না,তোমরা যা বলছো তা কিছুতেই হতে পারে না
মাঃ কেন হতে পারে না খোকা?
সায়নঃ এটা তুমি বলছো মা!বাবার মত কি তুমিও পাগল হয়ে গেলে?
বাবাঃ সায়ন!মুখ সামলে কথা বল,বাবার সাথে কিভাবে কথা বলতে হয় সেটুকুও কি ভুলে গেছো?
মাঃ এসব কি ধরণের কথা খোকা! আমরা কি তোমাকে সেই শিক্ষা দিয়েছি?
সায়নঃ তো আর কি বলব মা?তোমরা যা শুরু করেছো তাতেতো মনে হচ্ছে সত্যি সত্যিই তোমাদের মাথা খারাপ হয়ে গেছে
বাবাঃ সায়ন!
সায়নঃ থেমে গেলে কেন বাবা?হাতটা যখন তুলেই ফেলেছো তাহলে থাপ্পড়টা দিয়েই দাও।তবে একটা কথা কান খুলে শুনে রাখো আমাকে মেরে ফেললেও তোমাদের এই পাগলামীতে আমি কিছুতেই সাথ দিব না
বাবাঃ সায়ন…সায়ন…কোথায় যাচ্ছো?আমার কথা কিন্তু এখনও শেষ হয়্নি…সায়ন…সায়ন…
মাঃ সায়নের বাবা,তুমি একটু শান্ত হও প্লিজ,তুমি কোন চিন্তা কর না,ওকে আমি বুঝিয়ে বলছি (Childhood marriage 2)
বাবাঃ হ্যাঁ হ্যাঁ তাই কর,ওকে বোঝাও যে বিয়েটাতো ওকে করতেই হবে,আজ হোক বা কাল আর এটা ও যত তাড়াতাড়ি বুঝবে ওর জন্য ততই ভাল হবে
(সায়নের রুমে)
সায়নঃ কি,বাবা-মা পেয়েছেটা কি?ওদের যখন যা ইচ্ছে হবে আমাকে তাই করতে হবে!এটা কি মগের মুল্লুক নাকি?আমার লাইফ,আমার বিয়ে আর ডিসিশনটা নেবে ওরা!নাহ এ কিছুতেই হতে পারে না
মাঃ একা একা কি বিড়বিড় করছিস বাবা?
সায়নঃ মা প্লিজ বিয়ের ব্যপারে আমি আর কোন কথা শুনতে চাই না
মাঃ কিন্তু বাবা,মেয়েটা না অনেক ভাল
সায়নঃ উফ মা,তোমরা কেন বুঝতে চাইছো না আমি এখন বিয়ে করব না,সো মেয়েটা ভাল কি মন্দ সেটা নিয়ে আমার কোনই মাথাব্যথা নেই
মাঃ কিন্তু খোকা তোর বাবাতো ছোঁয়ার বাবার কাছে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ
সায়নঃ তো আমি কি বাবাকে বলেছিলাম এই রাবিশ প্রতিজ্ঞাটা করতে?
মাঃ সায়ন!!!
সায়নঃ সরি মা বাট আমি বিয়েটা করতে পারব না
মাঃ কিন্তু কেন বাবা?মেয়েটাকে আমাদের সবার এত পছন্দ আর তুইওতো বলেছিলি মেয়েটা অনেক সুন্দর
সায়নঃ হ্যাঁ বলেছিলাম কিন্তু কাউকে সুন্দর বললেই যে বিয়ে করতে হবে এটা কোন ডিকশনারীতে লেখা আছে?
মাঃ প্রবলেমটা কি বলবিতো
সায়নঃ সেটাও কি আমাকেই বলে দিতে হবে!কেন তোমরা বুঝতে পারছো না?এতটা অবুঝ তোমরা কবে থেকে হয়ে গেলে!
দাদীঃ কি হয়েছে বৌমা?
মাঃ আরে মা,আপনি আবার এই অসুস্থ শরীর নিয়ে এখানে আসতে গেলেন কেন?কিছু লাগলে আমাকে বলতেন
দাদীঃ কিছু লাগবে না বৌমা,কিন্তু তোমরা আমার দাদুভাইটার উপর এত রেগে আছো কেন বলতো
মাঃ দেখেন না মা,আপনার নাতি কিছুতেই বিয়েতে রাজি হচ্ছে না
দাদীঃ কেন রে দাদুভাই,তোর কি মেয়েটাকে পছন্দ হয়নি?
সায়নঃ ঠিক তা না আসলে…
দাদীঃ তার মানে পছন্দ হয়েছে?
সায়নঃ হ্যাঁ কিন্তু আমি এখন বিয়ে করতে পারব না (Childhood marriage 2)
দাদীঃ কিন্তু কেন?
সায়নঃ তোমরা কেন বুঝতে পারছো না আমি এখনও অনেক ছোট,সবেমাত্র ক্লাস নাইনে উঠলাম আর যেই মেয়ের সাথে তোমরা আমার বিয়ে ঠিক করেছো সেতো আরো ছোট,শুনেছি এবার ক্লাস সিক্সে উঠেছে।এত অল্প বয়সে তোমরা আমাদের বিয়ের কথা ভাবলে কিভাবে!
দাদীঃ তোর দাদুর সাথে যখন আমার বিয়ে হয় তখন আমি ক্লাস টু তে পড়তাম আর তোর দাদু এইটে
সায়নঃ সেটা অন্য যুগ ছিল,এখনকার সাথে তার আকাশ-পাতাল ব্যবধান
মাঃ আমি মানছি যে আমরা অনেক তাড়াহুড়ো করে ফেলছি কিন্তু তুই একবার আমাদের দিকটাওতো ভেবে দেখ।আশরাফ ভাইয়ের অবস্থা খুবই খারাপ,ডক্টররা বলে দিয়েছে আর কোন আশা নেই।মরার আগে উনি মেয়ের বিয়েটা দেখে যেতে চান বলতে পারিস এটাই উনার শেষ ইচ্ছা…
সায়নঃ এইটা কোন ধরণের ইচ্ছা?আরে ভাই তুই মরবি মর,আমাদের জীবনটা নষ্ট করার জন্যে কেন উঠে পড়ে লেগেছিস?
মাঃ সায়ন…
(সায়নকে থাপ্পড় মেরে দিল)
সায়নঃ (অবাক হয়ে)মা…তুমি আমার গায়ে হাত তুললে!
মাঃ বেশ করেছি,তোকে আদর দিয়ে দিয়ে যে মাথায় তুলে ফেলেছি সেটা যদি আগে বুঝতে পারতাম…একটা মানুষ মরতে বসেছে আর তুই!ছি ছি ছি আমার ভাবতেও অবাক লাগছে যে তুই আমার পেটের সন্তান…
(সায়ন রেগে মেগে বেরিয়ে গেল)
দাদীঃ বৌমা,তুমি একটু বেশিই বাড়াবাড়ি করে ফেললে নাতো?
মাঃ আপনি একথা বলছেন মা!আপনি দেখলেন না আপনার নাতি দিন দিন কেমন বেয়াদপ হয়ে যাচ্ছে,এখনও যদি ওকে একটু শাসন না করি তাহলেতো সবকিছুই হাতের বাইরে চলে যাবে…
(কিছুক্ষণ পরে)
বাবাঃ সায়নের মা,তুমি আর মন খারাপ করে থেকো না।এতেতো তোমার কোন দোষ নেই
মাঃ না গো সব দোষ আমার,ছেলেটাকে যদি আগে থেকেই একট আধটু শাসন করতাম তাহলে হয়তো এই দিনটা আর দেখতে হত না
বাবাঃ সে যা হবার হয়েছে কিন্তু এখন আশরাফকে কি বলব তাই ভাবছি
মাঃ আমি বলি কি ভাইসাহেবকে এখনই কিছু বলার দরকার নেই,এমনিতেই উনার যে অবস্থা তার উপর যদি এমন একটা খবর শোনেন তাহলে আরো কষ্ট পাবেন
বাবাঃ ঠিকই বলেছো,ওকে কিছু বলা যাবে না
মাঃ আর তাছাড়া আমাদের হাতে এখনও সময় আছে,ছেলেটাকে আরো একটু সময় দেয়া দরকার।আসলে এত ছোট বয়সে এত্ত বড় একটা ডিসিশন…
বাবাঃ আমি জানি আসমা,ছেলেটার সাথে আমরা অন্যায় করছি,আমাদের ইচ্ছেটা অর উপর চাপিয়ে দিচ্ছি কিন্তু কি করব বল আমিও যে নিরুপায়,আমার সামনে যে আর কোন রাস্তা খোলা নেই
মাঃ আমি জানি তুমি এসব ইচ্ছে করে করছো না।আমি জানি অন্য কোন উপায় থাকলে তুমি কখনই এতটা কঠোর হতে না
বাবাঃ আমাকে প্লিজ ভুল বুঝো না
মাঃ কখনও না।আচ্ছা আশরাফ ভাই কি সত্যিই…(Childhood marriage 2)
বাবাঃ (দীর্ঘশ্বাস ফেলে)হুম
মাঃ আমাদের হাতে আর কত সময় আছে?
বাবাঃ বেশি সময় নেই,যখন তখন খবর আসতে পারে
মাঃ বল কি! আর এই জন্যেই তুমি রত তাড়াহুড়ো করছো?
বাবাঃ হুম।তুমিতো জানো ছোঁয়ার জন্মের পরপরই আশরাফকে আমি কথা দিয়েছিলাম যে ওর মেয়েকে আমি আমার ছেলের বউ করব।আজ আমার বন্ধুর এই শেষ সময়ে ও আমাকে কিছু না বললেও আমি জানি ও ছোঁয়াকে বধুবেশে দেখে যেতে চায় তাই যত তাড়াতড়ি সম্ভব…
মাঃ আমি বুঝতে পারছি,তুমি কোন চিন্তা কর না যেভাবেই হোক সায়নকে আমি রাজি করাবোই
বাবাঃ করতে পারলেতো ভাল তবে একটা কথা শুনে রাখো এই বিয়েতো হবেই তোমার ছেলে রাজি হোক বা না হোক
(সন্ধ্যায়)
বাবাঃ আসমা,সায়ন কি এখনও বাড়ি ফেরেনি?
মাঃ না মানে…
বাবাঃ আর মানে মানে করতে হবে না আমার যা বোঝার বোঝা হয়ে গেছে।রহিম…রহিম…
রহিমঃ জ্বি চাচাজান?
বাবাঃ তোর সায়ন ভাইজানকে যেখান থেকে পারিস খুঁজে নিয়ে আয়
রহিমঃ জ্বি চাচাজান,এক্ষুণি যাচ্ছি
(তক্ষুণি ফুলি,বাড়ির কাজের মেয়েটা ছুটতে ছুটতে আসলো)
ফুলিঃ চাচাজান…চাচাজান…
বাবাঃ কিরে ফুলি কি হয়েছে?
ফুলিঃ চাচাজান,খবর শুনছেন?
মাঃ কি খবররে ফুলি?
ফুলিঃ আশরাফ চাচার অবস্থা নাকি খুব খারাপ,সেই বিকাল থেইকা নাকি ফিট হইয়া রইছে।খানিক আগে নাকি জ্ঞান ফিরছে কিন্তু কাইরেই নাকি চিনবার পারতাছে না
মাঃ বলিস কি!
বাবাঃ আমি এক্ষুণি রওনা দিচ্ছি,আসমা তুমি বরং মাকে নিয়ে আস্তে আস্তে আসো
মাঃ আচ্ছা ঠিক আছে
বাবাঃ আর ফুলি
ফুলিঃ জ্বি চাচাজান?
বাবাঃরহিম সায়নকে নিয়ে ফিরলে যেভাবেই পারিস ওকে ঐ বাড়িতে নিয়ে আসবি।যেতে না চাইলে জোর করে নিয়ে আসবি ঠিক আছে?
ফুলিঃ জ্বি চাচাজান
(ছোঁয়াদের বাড়িতে)
বাবাঃ আশরাফ…আমাকে চিনতে পারছিস?
আশরাফঃ কে?
বাবাঃ চিনতে পারছিস না?আমি মহসিন,তোর দোস্ত
আশরাফঃ দোস্ত তুই এসেছিস?আমিতো ভাবলাম তোর সাথে আর দেখাই হবে না
বাবাঃ আর একবার এমন কথা বললে না থাপ্পড় দিয়ে তোর বাবার নাম ভুলিয়ে দিব
আশরাফঃ সেটাতো আমি এখনই ভুলে গেছি
বাবাঃ আচ্ছা শোন,এখন ঝটপট উঠে বসতো,আমাদের এখন অনেক কাজ বাঁকি আছে
আশরাফঃ শুধু শুধু মিথ্যে কেন বলছিস বলতো,আমি জানি আমার হাতে আর বেশি সময় নেই
বাবাঃ কে বলেছে?শোন আর একটু পরেই সায়ন আর ছোঁয়ার বিয়ে।আমরা বন্ধু থেকে বেয়াই হয়ে যাব তাই বলছি অনেক কাজ বাকি তাড়াতাড়ি উঠে বসতো দুই বন্ধু মিলে সব গুছিয়ে নেই কি বলিস?
আশরাফঃ বিয়ে মানে?
বাবাঃ বিয়ে মানে বিয়ে,কেন তুই চাস না তোর মেয়েকে আমার বাড়ির বউ হয়ে যেতে দেখতে?
আশরাফঃ কেন চাইব না?আমার মেয়েটা তোর বাড়ির বউ হয়ে যাবে এটাইতো আমার সবচেয়ে বড় চাওয়া
বাবাঃ ব্যাস তাহলে আর কোন কথা নেই,ভাবীসাব এক্ষুনি সব ব্যবস্থা শুরু করেন আপনার মেয়ের জামাই এলো বলে।
(সায়নের বাড়িতে)
সায়নঃ What is this রহিম ভাই?করছোটা কি!ছাড় বলছি নাহলে কিন্তু খুব খারাপ হয়ে যাবে বলে দিচ্ছি
রহিমঃ আপনের যা ইচ্ছে হয় আপনে পরে কইরেন কিন্তু এখন আমার লগে ঐ বাড়িত চলেন
সায়নঃ কিছুতেই না
রহিমঃ দেখেন ভাইজান আমারে আপনে জোর করতে বাধ্য কইরেন না
সায়নঃ তুমি এসব কেন করছো রহিম ভাই?
রহিমঃ চাচাজানের আদেশ
সায়নঃ উফ!অসহ্য তোমার চাচাজানকে গিয়ে বল আমি কিছুতেই ও বাড়িতে যাব না
রহিমঃ ফুলি…
ফুলিঃ আইতাছি…
সায়নঃ আবার ফুলিকে ডাকছো কেন?
রহিমঃ আইলেই দেখবার পাইবেন
ফুলিঃ কইছিলাম না,ভাইজান কিছুতেই রাজি হইব না।তাইতো আগের থেইকাই সবকিছু রেডি কইরা রাখছিলাম।এই লন ধরেন
সায়নঃ আরে…এটা কি!রহিম ভাই,ফুলি তোমাদের কি মাথার ঠিক আছে?
রহিমঃ মাথাতো আপনের খারাপ হইছে
সায়নঃ মানে?
রহিমঃ মানে দেখতেইতো পাইতাছেন ফুলি দড়ি আনছে তাও জিগাইতাছেন এইডা কি!
সায়নঃ দড়ি দিয়ে কি করবে তোমরা?Don’t tell me তোমরা আমাকে…
রহিমঃ ঠিকই ধরছেন,যা ভাবতাছেন আমরা তাই করুম।ওই ফুলি তাড়াতাড়ি কর নাইলে কিন্তু ভাইজান আবার ভাইগা যাইব
সায়নঃ করছোটা কি,আমাকে এভাবে বাঁধার মানেটা কি?ছাড় বলছি নাহলে কিন্তু একদম ভাল হবে না
ফুলিঃ আহ ভাইজান চুপ কইরা খাড়ানতো,নাইলে কিন্তু আপনেরই লাগব
সায়নঃ Are you guys gone crazy?আমারতো মনে হচ্ছে তোমাদের সাথে সাথে আমিও পাগল হয়ে যাচ্ছি
রহিমঃ ভাইজান আপনে না একটু বেশিই কথা কন,একটু চুপ কইরা থাকতে পারেন না?
সায়নঃ এর জন্যে কিন্তু তোমাদের পস্তাতে হবে,এখনও সময় আছে ভালই ভালই আমাকে ছেড়ে দাও বলছি
রহিমঃ হেইডাতো হইব না,চাচাজান কইছে যেমনে পারি আপনেরে ঐ বাড়িত নিয়া যাওন লাগব তাই…
সায়নঃ তাই তোমরা আমাকে বেঁধে নিয়ে যাবে!
রহিমঃ আপনেতো আর এমনে এমনে যাবেন না তাই…
সায়নঃ আচ্ছা ঠিক আছে আমি তোমাদের সাথে যাব কিন্তু তার আগে আমার বাঁধনটা খুলে দিতে হবে
রহিমঃ খুইলা দিলে আপনে যদি আবার ভাইগা যান…
সায়নঃ বললামতো পালাবো না,তোমাদের সাথেই যাব।এবারতো খুলে দাও প্লিজ…
ফুলিঃ রহিম ভাই খুইলেন না,ভাইজান ভাইগা গেলে কিন্তু খালুজান আমাগো আর আস্ত রাখব না
সায়নঃ আরে বাবা বললামতো পালাবো না,একবার ভেবে দেখ এভাবে আমাকে বেঁধে নিয়ে গেলে সবাই কেমন হাসাহাসি করবে…
রহিমঃ কথাটাতো ঠিকই কইছেন,তাতে চাচাজানেরও মান-সম্মানের প্রশ্ন
সায়নঃ তাই বলছি খুলে দাও
রহিমঃ আচ্ছা ঠিক আছে দিতাছি,তয় আমরা কিন্তু আপনের লগে লগেই থাকুম,ভুলেও পালানোর চিন্তা করবেন না,তাইলে কিন্তু আবার বান্ধুম…
সায়নঃ আচ্ছা তাই হবে

চলবে…

Address

Kolkata

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Nazrul shsik posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share

Category