09/09/2025
সালটি ১৯১৫।পুলিশ ধরপাকড় শুরু করেছে গুপ্তসমিতির সদস্যদের।।বাঘাযতীন তখন বালেশ্বরের গোপন ডেরায়।সঙ্গী ছিলেন বিপ্লবী চিত্তপ্রিয় রায় চৌধুরী, জ্যোতিরিন্দ্র পাল, মনোরঞ্জন সেনগুপ্ত এবং নীরেন্দ্রনাথ দাশগুপ্ত।যখন তাঁরা বুঝতে পারলেন যে ব্রিটিশ পুলিশ তাদের কে গ্ৰেপ্তারের জন্য তৈরী হচ্ছে সেই সময় তাঁরা সিদ্ধান্ত নিলেন সসস্ত্র সংগ্ৰামে লিপ্ত হবেন।৮ই সেপ্টেম্বর ১৯১৫ রাতের আঁধারে বুড়িবালাম নদী পার হয়ে তাঁরা যুদ্ধের জন্য প্রস্তুতি নিলেন।৯সেপ্টেম্বর,১৯১৫ তারিখ ব্রিটিশ পুলিশ চার্লস টেগার্টের নেতৃত্বে ভোরের আলো ফোটার সঙ্গে সঙ্গে শুরু করলেন গুলির আক্রমণ।শুরু হল অসম লড়াই।চিত্তপ্রিয় রায়চৌধুরী ঐদিন প্রথম শহীদ হন ।মারাত্মক ভাবে জখম হন বিপ্লবী বাঘাযতীন।সাঁজবেলায় বুড়িবালাম এর বুকে ঠিকরে পড়া আলোর অপসৃয়মানতার সঙ্গে যুদ্ধের ও অবসান ঘটে।১০ই সেপ্টেম্বর বাঘাযতীন এর মৃত্যু ঘটে।আজ ৯ই সেপ্টেম্বর,২০২৫ বালেশ্বরের বুড়িবালাম নদীর তীরে ভারত মাতার সুসন্তানদের আত্মত্যাগকে স্মরণে রেখে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের পক্ষ থেকে হেদুয়া পার্কে শহীদ দের স্মৃতি স্তম্ভে এবং বাঘাযতীন এর আবক্ষমূর্তিতে মাল্যার্পণ ও পুষ্পার্ঘ্য নিবেদন করে আন্তরিক শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করলেন শিশু ও নারী উন্নয়ন এবং সমাজ কল্যাণ এবং শিল্প পুনর্গঠন বিভাগের মাননীয়া মন্ত্রী শশী পাঁজা ।