
20/08/2025
#ধূমকেতু ছবির লেখক কৌশিক গাঙ্গুলি কলম ধরলেন...
এই ছবিটা আমার কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ । মন দিয়ে দেখুন ও লেখাটা পড়ুন। এটা ধূমকেতুর একটা দৃশ্যের শট্ । যেখানে নৈনিতালের একটা ক্যাফেতে দেব ও শুভশ্রীর দেখা হয়, কিন্তু শুভশ্রী চিনতে পারেনা বৃদ্ধ দেবকে। লক্ষ্য করবেন টেবিলে বসে আছেন দুজন ব্যক্তি । তাঁদের সামনের টেবিলে দুটো খালি জলের বোতল রাখা। সেই দুটো বোতলের পিছনে টুপি মাথায় একজন ও উল্টোদিকে বসে হাল্কা দাড়িমুখে আরেকজন। নিজেদের কাজে ব্যস্ত। এঁরা দুজনেই আমাদের ইউনিট মেম্বার ছিলেন নৈনিতালে। বাইরে কোথাও শুটিং করতে গেলে হামেশাই ফ্রেমের প্রয়োজনে ইউনিটের সহকর্মীদের অনুরোধ করে বসতে বা হেঁটে যেতে বলা হয়। এটাও তেমনি। টুপি মাথায় যিনি তাঁর নাম সঞ্জয় ভট্টাচার্য, প্রোডাকশন ডিপার্টমেন্টের বন্ধু ও উল্টোদিকে বসা ভদ্রলোক বিখ্যাত মেকআপ আর্টিস্ট বিক্রম গায়কোয়াড়জী। ১০ বছর পর যখন ধূমকেতু মুক্তি পেয়েছে, তখন ঐ টেবিলে বসা দুজন মানুষই আর আমাদের মধ্যে নেই।অন্যান্য টেবিলে আরো অন্য ইউনিট মেম্বার ফ্রেম ভরাট করতে বসেছিলেন। কিন্তু কেন যে ঐ দুজনকেই বেছে ঐ একই টেবিলে বসিয়েছিলাম তার কোনো উত্তর পাচ্ছিনা! ছবির ফাইনাল প্রিভিউ করতে গিয়ে এটা ধরা পড়ে আমার চোখে।সত্যি গায়ে কাঁটা দিয়ে ওঠে। আরো অস্বস্তি হয় সামনে রাখা দুটো খালি জলের বোতল দেখে।ওটা রূপক নাকি কাকতালীয়! আমরা তো আমাদের দৃশ্য সাজিয়েছিলাম আমাদের সিনেমার জন্য! কিন্তু অলক্ষ্যে কেউ কি টেবিল সাজিয়ে নিয়েছিলো তাঁর নিজের চিত্রনাট্য অনুযায়ী! নইলে ঐ একই টেবিলে বসা দুজনেই আজ কেন নেই আমাদের মধ্যে? দুটো খালি বোতল কেন ওখানেই রাখা? যতদিন সিনেমা বানাবো, এই ফ্রেমটা তাড়িয়ে নিয়ে বেড়াবে।
কাহিনী বলতে আমরা ঠাকুরমার ঝুলি থেকে যে কাঠামো চিনে এসেছি, তার বাইরেও প্রতিটা মুহূর্তও গল্প বলতে থাকে, প্রতিটা সাধারণ পরিস্থিতিও গল্প বলতে থাকে। কেউ বুঝতে পার, কেউ টেরই পায়না।
ধূমকেতুর প্রতিটা শোতে চিরকাল তোমাদের মিস্ করবো বিক্রমজী ও সঞ্জয়। প্রণাম 🙏🏼🙏🏼🙏🏼
Subhashree Ganguly Satadeep SahaAnupam RoyIndraadip Das GuptaDev Entertainment VenturesRudranil GhoshSubhajit Singha & Dev