রুদ্ধ নারীর মুক্ত কথা

রুদ্ধ নারীর মুক্ত কথা কোনো কালে একা হয়নিকো জয়ী , পুরুষের তর? কোনো কালে একা হয়নিকো জয়ী , পুরুষের তরবারি ; প্রেরণা দিয়েছে, শক্তি দিয়েছে , বিজয়ালক্ষী নারী।

25/07/2025

জীবনের প্রতি কোনায় কোনায় স্মৃতির আলাপন আঁকা।বড়ই অদ্ভুত এই জীবনের পাতাগুলি ।
আমরা যখন আগমন করি তখন আমরা ছিলাম অপরের মুখাপেক্ষী,তারপর সবকিছু পাওয়ার জন্য লড়াই শুরু করি, ময়দানে নেমে নিজস্বতার অস্তিত্ব খুঁজে পাই। চলে চলমান জীবনের চাওয়া পাওয়া। সুখ দুঃখ , আনন্দ বেদনার বেড়াজালে ঘেরা এক অস্তিত্বের ছন্দময় এই পার্থিব জগতের মাঝে নিজেকে বিলিয়ে দিতে হয় প্রতিটি মূহুর্তকে। চলে হিসাব মেলানোর পালা। মিল অমিলের পাতায় অঙ্ক কষে কাটাকুটি জীবনটাকে মিলিয়ে নিতে হয় পরকালের হিসাবের খাতায়। নিশ্চয়ই ধরা পড়ে জীবনের প্রতিটি ছবি। এখন কী আর করবে? সৎ কর্মের জন্য আনন্দ অশ্রু ঝরিয়ে আর ভুলের জন্য অনুশোচনার আগুন জ্বালিয়ে অনুতাপের অশ্রুতে ভাসিয়ে দিয়ে জীবন তরী পরপারের দিকে এগিয়ে চলতে গুছিয়ে নিতে হবে। এই তো ছিল জীবনের ছবি।
তারপর এক সময় কাউকে না জানিয়েই সবকিছু ছেড়ে অনন্তের পথে চলে যাই। সেদিন শুধু রবের ডাকে সাড়া দিয়ে চোখের কোণে দুফোঁটা পানি ঝরিয়ে বলব,ইয়া আল্লাহ তোমার প্রেমের ছোঁয়াতে তোমার ডাকে সাড়া দিয়ে এসেছি তোমার কাছে!
"নতুন করে নাও ওগো চির পুরাতন মোরে
নতুন বেশে এসেছি গো নতুন জীবন ডোরে!"
সেরিনা বেগম
২৫/০৭/২৫

24/07/2025

তোমার সেরা শিক্ষক হলো—তোমার শেষ ভুলটি⁉️

প্রত্যেকটা ভুল আমাদের কিছু না কিছু শেখায়।
শেষ যেটা করেছিলে ভুল, সেটাই আসলে দেখিয়ে দেয়—কোথায় উন্নতি দরকার, কোথায় থামা উচিত ছিল, আর কীভাবে সামনে এগোলে ভালো হয়।
ভুল করাটা সমস্যা না—ভুল থেকে না শেখাটাই আসল ব্যর্থতা।

📝 তুমি কী শেষ ভুল থেকে কিছু শিখতে পেরেছো?

24/07/2025

দুনিয়ায় আসক্ত মানুষগুলোর সাথে কিছুক্ষণ কথা বললে- না পাওয়ার বেদনা মন ভারাক্রান্ত হয়ে উঠে, লোভ লালসা নামক লোলুপ জিহ্বা লক লক করে। দুনিয়ার সরঞ্জাম এর কমতি উপলব্ধি হয়! চরকীর মতো ঘুর পাক খায় জীবনের প্রতিটি মূহুর্ত।

আর পরকালের ভয়ে ভীত মানুষগুলোর সাথে কথা বললে-নিজের আমলের কমতি,আখলাকের অবনতি উপলব্ধি হয়! পরকালের জন্য নিজেকে উৎসর্গ করার প্রবণতা আরও বেড়ে উঠে, জীবনের প্রতিটি পর্বে নতুনের জানালা খুলে যায়। জীবন হয়ে উঠে রবের দেয়া জীবন্ত সুতিমালা।
সেরিনা বেগম
২৪/০৭/২৫

23/07/2025

"তিনি তোমাদেরকে মাতৃ গর্ভে তিন-তিনটি অন্ধকার পর্দার অভ্যন্তরে একের পর এক আকৃতি দান করে থাকেন। (যিনি এ কাজগুলো সম্পাদন করেন) সেই আল্লাহই তোমাদের স্রষ্টা, পালনকর্তা, বিধানদাতা। তিনিই প্রভৃত্ব ও সার্বভৌমত্বের একচ্ছত্র অধিকারী। তিনি ব্যতীত কোনো উপাস্য নেই।” (কুরআন ৩৯:৬)

22/07/2025

আমার রবের কাছে প্রিয় হতে চাও?সে তো খুব খুবই সহজ ব্যাপার। ঈমানের খাজানা ভরে নাও দেহ ও মনে। মানুষকে ডাকো আল্লাহর রাস্তায়। প্রাণভরে সিজদাহ দাও,আর চেয়ে নাও তোমার হৃদয়ের আকুতি ভরা যত কাজ ও কথা। জমা হোক তোমার আমলনামার পাতা। সে পাতা শুধু তোমার রবের কাছেই জমা হতে থাকে।পার্থিব জগতের মাঝে তোমার নাই বা থাকুক বড়ো মর্যাদা।তার জন্য তুমি মনে এতটুকু কষ্ট পেয়ো না,হতাশ হয়োনা। তোমার জন্য উত্তম পুরস্কার তোমার রবের কাছে জমা আছে। আমার রব বলেন,"ঐ ব্যক্তি অপেক্ষা কথায় কে উত্তম যে আল্লাহর দিকে মানুষকে আহ্বান করে, সৎকর্ম করে এবং বলে: আমি তো আত্মসমর্পণকারীদের অন্তর্ভুক্ত।"(সূরা হামীম সিজদাহ, আয়াত ৩৩)
সেরিনা বেগম
২২/০৭/২৫

21/07/2025

🪙আল্ল-হ্ তা'আ-লা ক্বিয়ামাতে যাদের বাদী হবেন🪙
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
প্রিয় নাবী ﷺ বলেছেন: আল্ল-হ্ তা‘আ-লা ঘোষণা করেছেন:
ক্বিয়ামাতের দিনে আমি নিজে তিন ব্যক্তির বিরুদ্ধে বাদী হব।
🔸এক ব্যক্তি, যে আমার নামে ওয়াদা করে তা ভঙ্গ করল।
🔸আরেক ব্যক্তি, যে কোন আযাদ মানুষকে বিক্রি করে তার মূল্য ভোগ করল।
🔸আর এক ব্যক্তি, যে কোন শ্রমিক নিয়োগ করে তার থেকে পুরো কাজ আদায় করে এবং তার পারিশ্রমিক দেয় না। {বুখারী:২২২৭}

20/07/2025

🌹তুমি বেশি বেশি সিজদাহ্ করে আমাকে সাহায্য করো।🌹
আমরা কি জানি যে ব্যক্তি নাফল নামায পড়ে এবং নাফল নামায পড়ে না তার মধ্যে তফাৎ কি? আসুন দেখে নিই।
দৈনিক অন্তত সুন্নাতে মুয়াক্কাদাহ্ ১২ রাক'আত, ইশর-ক্বের নামায ২ রাক'আত এবং তাহাজ্জুদ নামায ১১ রাক'আত।
এভাবে বছরে সুন্নাতে মুআক্কাদাহ্ নামায ৪৩৮০ রাক'আত, ইশর-ক্বের নামায ৭৩০ রাক'আত এবং তাহাজ্জুদ নামায ৪০১৫ রাক'আত। সর্বমোট ৯১২৫ রাক'আত।
ধরে নিন আপনি সাবালক হওয়ার পর থেকে ৫০ বছর ধরে নিয়মিত এই নাফল নামায পড়লেন, তাহলে বছরে ৯১২৫ রাক'আত × ৫০ বছরে হবে= ৪৫৬২৫০ রাক'আত।
প্রতি রাক'আতে আছে ২ সিজদাহ্। তাহলে ৪৫৬২৫০ রাক'আত ×২= ৯২২৫০০০ টি সিজদাহ্।
প্রিয় নাবী ﷺ ইরশাদ করেছেন:
"তুমি আল্ল-হর জন্য অবশ্যই বেশি বেশি সাজদাহ্ করবে। কেননা তুমি যখন আল্ল-হ্‌র জন্য একটি সাজদাহ্ করবে, আল্ল-হ্‌ তা’আ-লা এর বিনিময়ে তোমার মর্যাদা একধাপ বাড়িয়ে দিবেন এবং তোমার একটি গুনাহ মাফ করে দিবেন।"
{মুসলিম:৯৮০,ই.ফা:৯৭৫, ই.সে:৯৮৬}

19/07/2025

প্রতিশোধের আগুন জ্বালিয়ে কোনো লাভ নেই, বরং ক্ষমার চোখ খুলে দাও। তাতে হৃদয়ে একটা হিমেল বাতাস বয়ে যাবে। একটা আনন্দের স্ফুরণ জীবনের উপর প্রলেপ বুলিয়ে দেবে।

কাউকে কটু কথার বদলে কটু কথা বলো না বরং মিষ্টি কথার সম্ভাষণের অভ্যাস করো, লজ্জার বদলে লজ্জা দিও না, কষ্টের বদলে কষ্ট দিও না, মানুষকে ভালোবাসতে শেখো।
যদিও তুমি প্রতিশোধ নিতে পারো, কিন্তু এই প্রতিশোধ প্রয়োগের চেয়ে মাফ করে দেওয়া উত্তম।
তুমি যদি চুপ করে থাকো, কোন উত্তর না দাও এবং এর ফলে তোমার ভিতরে কষ্ট হয়, ক্রোধের সৃষ্টি হয়, আর তা তুমি হজম করো, ধৈর্য্য ধারন করো, তাহলে এ সম্পর্কে আল্লাহ তাআলা ওয়াদা করেছেন,

❝ধৈর্য্য ধারনকারীদের আল্লাহ তা'আলা বেহিসাব পুরুষ্কার দিয়ে থাকেন!❞
—আল কুরআন (সূরা আয-যুমারঃ ১০)
নিজেকে প্রস্তুত করো রবের স্মরণে, হৃদয়কে সাজিয়ে তোলো রবের খুশির জন্য। শেষ বিচারের দিনে সসম্মানে রবের সাক্ষাতের আশায় দিন গুনতে থাকো।

সেরিনা বেগম
১৯/০৭/২৫

18/07/2025

💥গীবাত করার পরিণতি💥
~~~~~~~~~~~~~~~~
নামায পড়া, রোযা রাখা, দান খয়রাত করা, ক্বুরআন মাজীদ খতম করা, তাহাজ্জুদ নামায আদায় করা, মানুষকে আল্ল-হর দ্বীনের পথে ডাকা এবং তাদের প্রয়োজন পূরণ করায় তৎপর থাকা প্রভৃতি নেকির কাজ গুলো করে সেই ব্যক্তিকে দান করা হবে, যার গীবত করা হবে অথচ সে এ নেকীর কাজ গুলো করেনি।
🔹রসূলুল্ল-হ্ ﷺ বলেছেন, সুদ (খাওয়ার পাপ হল) ৭২ প্রকার। যার মধ্যে সবচেয়ে ছোট পাপ হল মায়ের সাথে ব্যভিচার করার মত!
আর সবচেয়ে বড় সুদ হল নিজ (মুসলিম) ভাইয়ের সম্ভ্রম নষ্ট করা।
{হাদীস সম্ভার:২৯৭৪}
🔸গীবাত বা পরনিন্দা: ব্যক্তির অনুপস্থিতিতে তার খারাপ আলোচনা করা।
🔸নামীমাহ্ বা পরচর্চা: মানুষের মধ্যে মতবিরোধ সৃষ্টির জন্য কথাবার্তা স্থানান্তর করা।
🔸বুহতান বা মিথ্যাচার: কোনও ব্যক্তিকে এমন কিছু করার জন্য অভিযুক্ত করা যা সে করেনি বা করতে সক্ষম নয়
🔸ইফতিরা- বা অপবাদ: মিথ্যা রচনা করা।
💠এগুলো সব কাবীরাহ্ গুনাহ এবং এর পাপ অত্যন্ত ভয়ানক। সুতরাং নিজের এবং নিজের প্রিয়জনের জন্য দ্রুত তাউবাহ্ করা, শিক্ষা নেওয়া এবং সতর্ক করা একান্ত জরুরী।

17/07/2025

লুকমান হাকিম (রহ.)-কে জিজ্ঞাসা করা হলো, তিনি কীভাবে হেকমত অর্জন করলেন?

তিনি বললেন, সত্য কথা বলা, আমানত রক্ষা করা, এবং অহেতুক বিষয় পরিত্যাগ করার মাধ্যমে।

[মুয়াত্তা ১৮৫৯]

16/07/2025

ক্ষণিকের আস্তানায় কতটুকু সময় কাটাবে? তার জন্য কতই না প্রয়াস চলে অহরহ।
দুনিয়ার এই জীবনটা সাজাতে ব্যস্ত মানুষ। এই সামান্য সময়ের অর্ধেকটা যায় ঘুমে আর বাকিটা যায় গাফিলতিতে। আখিরাতের জীবনের তুলনায় দুনিয়ার জীবন তো সিন্ধুতে বিন্দু মাত্র। সচেতনতা ফিরিয়ে আনতে রুহের খোরাক জোগানো হোক জীবনের একমাত্র অভীপ্সা।
সেরিনা বেগম
১৬/০৭/২৫

Address

Calcutta Bara Bazar

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when রুদ্ধ নারীর মুক্ত কথা posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to রুদ্ধ নারীর মুক্ত কথা:

Share

Category

রুদ্ধ নারীর মুক্ত কথা

জন্ম লগ্ন থেকে বাস্তবতার হাত ধরে আর পাঁচটা মানুষের মতো স্বপ্নের সিঁড়ি বেয়ে পথ চলা শুরু হয়। সমাজের কঠিন অধ্যায়ের পথ চলতে চলতে কত নারীর স্বপ্ন ঝরে যায়। থেমে যায় তার স্বাভাবিক বিকাশ। নীরব হয়ে পড়ে প্রতিভা। ধর্মীয় কুসংস্কার, সমাজ, পুরুষতান্ত্রিকতায় রুদ্ধ নারী। ইতিহাস থেকে আজ প্রত্যেকের সুবিধা অনুযায়ী নারীকে তারা ব্যবহার করেছে একটি নির্জীব উপাদান হিসেবে। তার মনন সত্ত্বাকে তেমন কেউ যৌবনের মত গুরুত্ব দেয়নি। একদল নারীর অধিকার আর স্বাধীনতার কথা বলে, নারীকে পণ্য বানানোর কৌশলী চক্রান্তে লিপ্ত। আর অপর দল ধর্মের দোহাই দিয়ে স্তম্ভিত করতে চায় নারীর সৃজনশীলতা, রুদ্ধ করতে চায় তার পথ।

বর্তমান ধর্মীয় নেতাদের ফতোয়া যদি ধর্ম হয়ে থাকে তাহলে মনে হয় সত্যিই ইসলাম নারীদের বঞ্চিত করেছে। কিন্তু বাস্তবিক বিষয় হলো, ইসলাম কোন অজ্ঞ ধর্মীয় নেতা বা পীরের উপর নির্ভরশীল নয়। এটি স্বতন্ত্র ধর্ম যার নিয়মাবলি নিয়ে রচিত হয়েছে কুরআন এবং হাদিস। কুরআন এবং হাদিসের আলোকে নারীর অধিকার কোন সংক্ষিপ্ত পরিসরে নয়। বরং তার ব্যাপ্তি সুদূরপ্রসারী এবং নিয়ন্ত্রিত।

কিন্তু আজ তথাকথিত নারীবাদী বুদ্ধিজীবী (!) ও অজ্ঞ ধর্মীয় নেতাদের দলাদলিতে গিনিপিগ হয় নারীরাই। সমাজে নারী সর্বস্তরে সমান অধিকারীনি। কিন্তু একটু ভিন্ন ভূমিকায় (উদা:- কোন নারী কখনোই পিতা হওয়ার দাবী জানাতে পারে না)।