BOOKS JUNCTION

BOOKS JUNCTION CAREER & COMPETITION BOOKS ........
Novels & Short Stories / BIOTECHNOLOGY & BIO-SCIENCES/ MEDICINE

IAS / WBCS / BANKING / RAILWAY/
NTA - NET/ GATE / SSC /POLICE EXAMS / MEDICAL /JEE - NEET / ENGLISH LITERATURE /BENGALI NOVELS / ENGLISH NOVELS AND OTHER GENERAL BOOKS........� ...�

বিশ্বের শীর্ষ ধনীরা নিয়মিত বই পড়েনবিশ্বের সেরা ধনীরা সামাজিক দৃষ্টিতে সফল মানুষ হিসেবে সমাদৃত। শত ব্যস্ততার মধ্যেও তাঁরা...
04/06/2025

বিশ্বের শীর্ষ ধনীরা নিয়মিত বই পড়েন

বিশ্বের সেরা ধনীরা সামাজিক দৃষ্টিতে সফল মানুষ হিসেবে সমাদৃত। শত ব্যস্ততার মধ্যেও তাঁরা নিয়মিত বই পড়েন। তাঁরা বইয়ের জ্ঞান বাস্তবে প্রয়োগ করেই হয়েছেন পৃথিবীর শীর্ষ সম্পদশালী। শীর্ষ ধনীদের বই পড়ার এমন অভ্যাস নিয়ে লিখেছেন এম এম মুজাহিদ উদ্দীন

বিল গেটস:

বিল গেটস নামটি সারা বিশ্বে সবার কাছে পরিচিত। এ মানুষটিও প্রচুর বই পড়েন। তিনি প্রতি সপ্তাহে অন্তত একটি বই শেষ করেন। বছর শেষে তিনি পড়ে ফেলেন ৫০টির মতো বই। তিনি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি-সম্পর্কিত নন-ফিকশন বই থেকে শুরু করে উপন্যাস ও আত্মজীবনী পড়েন। শুধু নিজে বই পড়ে ক্ষান্ত থাকেন না, বই পড়া শেষে বইয়ের রিভিউ দেন তাঁর নিজস্ব ওয়েবসাইটে। প্রতিবছর তিনি প্রকাশ করেন ওই বছরে তাঁর পঠিত সেরা ১০টি বই। বই পড়া নিয়ে বিল গেটস দ্য নিউইয়র্ক টাইমসকে বলেছেন, ‘ছোট থেকেই আমার শেখার অন্যতম প্রধান উপায় হলো বই পড়া।’

ইলন মাস্ক:

ইলন মাস্ক বিশ্বের শীর্ষ ধনীদের একজন। কে না চেনেন তাকে! ইলন মাস্কের নিয়মিত অভ্যাসগুলোর মধ্যে অন্যতম বই পড়া। এক সাক্ষাৎকারে তিনি জানিয়েছেন, ছোটবেলা থেকে নিয়মিত দিনে ১০ ঘণ্টা বই পড়তেন। তবে ব্যস্ততা বাড়ার কারণে ১০ ঘণ্টা বই পড়া সম্ভব না হলেও প্রতিদিন তিনি নির্দিষ্ট সময় বই পড়েন। তিনি একজন মনোযোগী পাঠক। তিনি মনে করেন, বিশ্বকে নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য জ্ঞানার্জন অত্যাবশ্যক। তাঁকে একবার জিজ্ঞেস করা হয়েছিল, কীভাবে তিনি রকেট বানানো শিখলেন? উত্তরে বলেছিলেন, ‘আই রিড বুকস।’

মার্ক জাকারবার্গ:

ফেসবুকের কথা উঠলেই যে নামটি মনে ভেসে ওঠে, তিনি হলেন প্রতিষ্ঠানটির প্রতিষ্ঠাতা মার্ক জাকারবার্গ। তিনি সারা বিশ্বে অসংখ্য মানুষকে স্ক্রিনে আসক্তি করালেও তাঁর সন্তানদের ডিজিটাল গ্যাজেট থেকে দূরে রেখেছেন। এসবের বদলে তিনি সন্তানদের হাতে দিয়েছেন বই। মার্ক জাকারবার্গও বিল গেটসের মতো বইপড়ুয়া মানুষ, যিনি প্রযুক্তি ও যোগাযোগের পেছনে বেশি সময় ব্যয় করলেও প্রতি দুই সপ্তাহে একটা করে বই শেষ করেন। তিনি বই পড়ার জন্য ২০১৫ সালে একটি ক্লাব খুলেছেন। সেখানে তিনি বই নিয়ে আলোচনা করেন।

ওয়ারেন বাফেট:

ওয়ারেন বাফেট গোগ্রাসে বই পড়েন। তিনি ১১ বছর বয়স থেকে সংবাদপত্র, বার্ষিক প্রতিবেদন, অর্থ ব্যবস্থাপনা, বিনিয়োগ, ব্যবসা ও অর্থনীতি প্রভৃতি বই পড়া শুরু করেন। তাঁর জ্ঞানের তৃষ্ণা ব্যাপক। তিনি এত বেশি বই পড়তেন যে তাঁর শহরের যত লাইব্রেরি ছিল, সেগুলো তাঁর কাছে কম মনে হতো। শুধু তা-ই নয়, ৯৪ বছর বয়সী ওয়ারেন বাফেট এখনো প্রতিদিন গড়ে ৫০০ পৃষ্ঠা পড়েন। তিনি প্রতিদিন প্রায় ৬ ঘণ্টা বই পড়ার পেছনে ব্যয় করেন; যেখানে যুক্তরাষ্ট্রে প্রাপ্তবয়স্করা দিনে মাত্র ২০ মিনিট পড়ার পেছনে ব্যয় করেন। তিনি মনে করেন, বই পড়া হলো চক্রবৃদ্ধি সুদের মতো; যত পড়বেন তত জ্ঞান বাড়বে। তিনি বই পড়ার অভ্যাসকে তাঁর সাফল্যের রহস্য হিসেবে মনে করেন।

জ্যাক মা:

আলিবাবার সহপ্রতিষ্ঠাতা জ্যাক মাকে অনেকে অনুপ্রেরণাদানকারী হিসেবে চেনেন। তিনি জীবনে অনেক সমস্যা মোকাবিলা করে সফল হয়েছেন। তাঁর প্রতিদিনের অন্যতম অভ্যাস হলো বই পড়া, নতুন কিছু শেখা। তিনি প্রতিদিন বই পড়েন আরও স্মার্ট হতে এবং নতুন কোনো আইডিয়া খুঁজে পেতে। জ্যাক মা বলেছেন, ‘প্রচুর বই পড়ার ফলে আপনি যেকোনো বিষয়ে ভালো একটি সূচনা করতে পারবেন; যা প্রায় সময় আপনার সহকর্মীরা পারবে না। যাঁরা প্রচুর বই পড়েন, তাঁদের বিভিন্ন বিষয়ে জানার সম্ভাবনা বেশি। আপনি যদি শুরুতে প্রতিদিন ১ ঘণ্টা বা তার বেশি পড়ার অভ্যাস করতে না পারেন, তাহলে ২০ বা ৩০ মিনিট হলেও বই পড়ুন।’
-দৈনিক আজকের পত্রিকা
এম এম মুজাহিদ উদ্দীন
লেখক: ভাইভা বোর্ডের মুখোমুখি,
মুজাহিদ'স ভাইভা সাজেশন,
ব্যাংকার'স ভাইভা বোর্ড।

মধ্যমগ্রাম বইমেলা
05/04/2025

মধ্যমগ্রাম বইমেলা

19/03/2025
 ্যানুয়াল  #নীতিন_সিংহানিয়া
18/03/2025

্যানুয়াল
#নীতিন_সিংহানিয়া

 #মানবাধিকারের_রূপরেখা মূল্য ২০০
17/03/2025

#মানবাধিকারের_রূপরেখা
মূল্য ২০০

15/03/2025

14/03/2025

শুভ বসন্ত উৎসব

কিংবদন্তি স্বাধীনতা সংগ্রামী, ‘দেশনায়ক’নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু (জন্মঃ- ২৩ জানুয়ারি, ১৮৯৭ – শেষ দর্শনঃ- ১৮ অগস্ট, ১৯৪৫) "...
23/01/2025

কিংবদন্তি স্বাধীনতা সংগ্রামী, ‘দেশনায়ক’
নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু (জন্মঃ- ২৩ জানুয়ারি, ১৮৯৭ – শেষ দর্শনঃ- ১৮ অগস্ট, ১৯৪৫)

"সুভাষচন্দ্রকে নিয়ে বাঙালির গর্ব ছিল, আছে এবং থাকবে। এই গর্ববোধ রবীন্দ্রনাথ অনুপম ভাষায় ব্যক্ত করেছিলেন সুভাষচন্দ্রের প্রতি তাঁর মানপত্রে। কবি লিখেছিলেন, “বাঙালি কবি আমি, বাংলাদেশের হয়ে তোমাকে দেশনায়কের পদে বরণ করি। গীতায় বলেন, সুকৃতের রক্ষা ও দুষ্কৃতের বিনাশের জন্য রক্ষাকর্তা বারংবার আবির্ভূত হন। দুর্গতির জালে রাষ্ট্র যখন জড়িত হয়, তখনই পীড়িত দেশের অন্তর্বেদনার প্রেরণায় আবির্ভূত হয় দেশের অধিনায়ক।” রবীন্দ্রনাথ ‘রাষ্ট্রের দুর্গতির অবসানে’র জন্যে, দেশের অন্তর্বেদনার প্রেরণায় আবির্ভূত ‘দেশনায়ক’ সুভাষচন্দ্রের রূপ প্রত্যক্ষ করেছিলেন।"

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর সুভাষচন্দ্রকে 'দেশনায়ক' আখ্যা দিয়ে তাসের দেশ নৃত্যনাট্যটি তাঁকে উৎসর্গ করেন। উৎসর্গপত্রে লেখেন: "স্বদেশের চিত্তে নূতন প্রাণ সঞ্চার করবার পূণ্যব্রত তুমি গ্রহণ করেছ, সেই কথা স্মরণ ক’রে তোমার নামে ‘তাসের দেশ’ নাটিকা উৎসর্গ করলুম।"

১৯৩৮ খ্রীস্টাব্দের ফেব্রুয়ারি মাসে হরিপুরায় অনুষ্ঠিত কংগ্রেসের বার্ষিক অধিবেশনে সভাপতির ভাষণে সুভাষ বসু প্রস্তাবিত যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামো প্রবর্তনের তীব্র সমালোচনা করেন এবং এই প্রচেষ্টা কার্যকরী করা হলে তা সর্বশক্তি দিয়ে প্রতিহত করার আবেদন করলেন। এছাড়া সুভাষ বসু কংগ্রেসকে একটি ব্যাপক গণসংগঠনে পরিণত করে জাতীয় আন্দোলনকে শক্তিশালী করার আহ্বান জানালেন। কংগ্রেস সভাপতি পদে আসীন থাকার সময় সুভাষ বসু যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামো বর্জন ও আপোষহীন সংগ্রামের সপক্ষে বলিষ্ঠ মতামত প্রকাশ করতে লাগলেন। জুলাই মাসে (১৯৩৮ খ্রীঃ) এক বিবৃতিতে তিনি ঘোষণা করলেন–কংগ্রেসের অধিকাংশ সদস্য যদি ফেডারেশন সম্পর্কে কোনো আপোষরফায় রাজি হয় তাহলে কংগ্রেস দলে গৃহযুদ্ধের সূচনা হবে।"
"করাচী কংগ্রেস উদ্বোধনের ঠিক আগে ২৩ মার্চ ভগৎ সিং, শুকদেব ও রাজগুরুর ফাঁসির ঘটনায় তীব্র হয় র্যা ডিকাল জাতীয়তাবাদীদের হতাশা ও ক্রোধ।"
"ভাইসরয় আরউইন গোলটেবিল বৈঠকের প্রস্তাব করে প্রথম যে ঘোষণা করেন তাকে সুভাষচন্দ্র প্রথম থেকেই খুব সন্দেহের চোখে দেখেছিলেন। তাঁর মনে হয়েছিল আসলে এটি ব্রিটিশ সরকারের একটি ফাঁদ মাত্র। প্রথমে মতিলাল নেহরু, মদনমোহন মালব্য, সর্দার প্যাটেল প্রমুখ নেতারা ও গান্ধীজি নিজে আরউইনের প্রস্তাবকে স্বাগত জানিয়ে একটি বিবৃতিতে সই দেন। সুভাষচন্দ্র, জওহরলাল ও আরও কয়েকজন এর বিরোধিতা করে পৃথক এক ইস্তাহার প্রচার করার মনস্থ করেন। কিন্তু... জওহরলাল গান্ধীজির কথায় তাঁর মত পরিবর্তন করেন।"
"রাজনৈতিক গুরু হিসাবে সুভাষচন্দ্র গান্ধীজির তুলনায় দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাসকেই গণ্য করেছিলেন এবং জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত দেশবন্ধু নির্দেশিত পথই অনুসরণ করে গেছেন।"

"বিবেকানন্দের আদর্শকে যে-সময়ে জীবনে গ্রহণ করেছিলাম তখন আমার বয়স বছর পনেরও হবে কিনা সন্দেহ। বিবেকানন্দের প্রভাব আমার জীবনে আমূল পরিবর্তন এনে দিল।" -নেতাজী

প্রথম জীবন
বর্তমান ওড়িশা রাজ্যের কটক শহরে (ওড়িয়া বাজার) জন্মগ্রহণ করেন সুভাষচন্দ্র বসু। তিনি ছিলেন কটক-প্রবাসী বিশিষ্ট বাঙালি আইনজীবী জানকীনাথ বসু ও প্রভাবতী দেবীর চোদ্দো সন্তানের মধ্যে নবম। ষষ্ঠ শ্রেণী পর্যন্ত সুভাষচন্দ্র একটি কটকের ইংরেজি স্কুলে পড়াশোনা করেন; বর্তমানে এই স্কুলটির নাম স্টিওয়ার্ট স্কুল। এরপর তাঁকে ভর্তি করা হয় কটকের রর্যাভেনশ কলেজিয়েট স্কুলে। সুভাষচন্দ্র ছিলেন মেধাবী ছাত্র। ১৯১১ সালে ম্যাট্রিকুলেশন পরীক্ষায় কলকাতা থেকে প্রথম স্থান অধিকার করেন তিনি। ১৯১৮ সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত স্কটিশ চার্চ কলেজ থেকে দর্শনে সাম্মানিক সহ বি.এ. পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন।

এরপর সুভাষচন্দ্র কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিজউইলিয়াম হলে উচ্চশিক্ষার্থে ভর্তি হন। সিভিল সার্ভিস পরীক্ষায় ভাল নম্বর পেয়ে তিনি প্রায় নিয়োগপত্র পেয়ে যান। কিন্তু বিপ্লব-সচেতন দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে সেই নিয়োগ প্রত্যাখ্যান করেন। এই প্রসঙ্গে তিনি বলেছিলেন, "কোনো সরকারের সমাপ্তি ঘোষণা করার সর্বশ্রেষ্ঠ পন্থা হল তা থেকে [নিজেকে] প্রত্যাহার করে নেওয়া"। এই সময় অমৃতসর হত্যাকাণ্ড ও ১৯১৯ সালের দমনমূলক রাওলাট আইন ভারতীয় জাতীয়তাবাদীদের বিক্ষুদ্ধ করে তুলেছিল। ভারতে ফিরে সুভাষচন্দ্র স্বরাজ নামক সংবাদপত্রে লেখালিখি শুরু করেন এবং বঙ্গীয় প্রদেশ কংগ্রেস কমিটির প্রচার দায়িত্বে নিযুক্ত হন। তাঁর রাজনৈতিক গুরু ছিলেন বাংলায় উগ্র জাতীয়তাবাদের প্রবক্তা দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাশ। ১৯২৪ সালে দেশবন্ধু যখন কলকাতা পৌরসংস্থার মেয়র নির্বাচিত হন, তখন সুভাষচন্দ্র তাঁর অধীনে কর্মরত ছিলেন। ১৯২৫ সালে অন্যান্য জাতীয়তাবাদীদের সঙ্গে তাঁকেও বন্দী করা হয় এবং মান্দালয়ে নির্বাসিত করা হয়। এখানে তিনি যক্ষ্মায় আক্রান্ত হয়েছিলেন।

তিনি ধ্যানে অনেক সময় অতিবাহিত করতেন। স্বামী বিবেকানন্দের ভাবাদর্শ তাঁকে উদ্বুদ্ধ করেছিল। ছাত্রাবস্থা থেকে তিনি তাঁর দেশপ্রেমিক সত্ত্বার জন্য পরিচিত ছিলেন।

কর্মজীবন ও রাজনীতিতে প্রবেশ

প্রায় বিশ বছরের মধ্যে সুভাষ চন্দ্র মোট ১১ বার গ্রেফতার হয়েছিলেন তাকে ভারত ও রেঙ্গুনের বিভিন্ন জায়গায় রাখা হয়েছিল। ১৯৩০ সালে তাকে ইউরোপে নির্বাসিত করা হয়। ১৯৩৪ সালে তিনি তাঁর প্রথম প্রেম এমিলি সেচঙ্কল এর সাথে পরিচিত হন ভিয়েনায়তে। ১৯৩৭ সালে তারা ব্যাড গ্যাস্টিনে বিয়ে করেন।
তাঁর পিতার মৃত্যুর পর ব্রিটিশ সরকার তাকে শুধু মাত্র ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান পালনের উদ্দ্যেশ কিচ্ছুক্ষণের জন্য কলকাতা আসার অনুমতি দেয়। ১৯৩৮ সালে তিনি গান্ধির বিরোধীতার মুখে ভারতীয় কংগ্রেসের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন। ১৯৩৯ সালে তিনি দ্বিতীয়বারের জন্য ত্রিপুরা সেসনে কংগ্রেসের প্রসিডেন্ট নির্বাচিত হন। এ নির্বাচনে গান্ধি পট্টভি সিতারামায়াকে সমর্থন দেন; নির্বাচনের ফলাফল শোনার পর গান্ধি বলেন "পট্টভির হার আমার হার"। কিন্তু জয়যুক্ত হলেও তিনি সুষ্ঠু ভাবে কার্য সম্পাদন করতে পারছেলেন না। গান্ধীর অনুগামীরা তার কাজে বাধা সৃষ্টি করছেলেন। গোবিন্দ বল্লভ পন্থ এইসময় একটি প্রস্তাব পেশ করেন যে, "কার্যনির্বাহক পরিষদকে পুনর্গঠন করা হোক"। এভাবে সুভাষ চন্দ্র বসু এ নির্বাচনে জয় লাভ করলেও গান্ধির বিরোধীতার ফল স্বরুপ তাকে বলা হয় পদত্যাগ পত্র পেশ করতে নইলে কার্যনির্বাহি কমিটির সকল সদস্য পদত্যাগ করবে। এ কারণে তিনি নিজেই কংগ্রেস থেকে পদত্যাগ করেণ এবং অল ইন্ডিয়া ফরওয়ার্ড ব্লক (All India Forword Block) গঠন করেন। ১৯৩৮ সালে তিনি জাতীয় পরিকল্পনা পরিষদের প্রস্তাবনা দেন।

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু হলে সুভাষ চন্দ্র বসু প্রস্তাব করলেন, কবে ব্রিটিশরা ভারতীয়দের স্বাধীনিতার অনুমোদন দেবে তার জন্য বসে না থেকে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের রাজনৈতিক অস্থিরতা থেকে সুবিধা নেওয়া উচিত। তিনি বিশ্বাস করতেন ভারতবর্ষের স্বাধীনতা নির্ভর করে অন্য দেশের রাজনৈতিক, সামরিক ও কুটনৈতিক সমর্থনের উপর। তাই তিনি ভারতের জন্য একটি সামরিক বাহিনী গড়ে তোলার উদ্দ্যেগ গ্রহণ করেণ।

তিনি সে সময় গৃহ বন্দি ছিলেন। তিনি বুঝতে পারলেন ব্রিটিশরা তাঁকে যুদ্ধের আগে ছাড়বে না। তাই তিনি আফগানিস্তান ও সোভিয়েত ইউনিয়ন হয়ে জার্মানী পালিয়ে যাবার সিদ্ধান্ত নেন। কিন্তু আফগানিস্তানের পশতু ভাষা না জানা থাকায় তিনি ফরওয়ার্ড ব্লকের উত্তর-পশ্চিম সিমান্ত প্রদেশের নেতা মিয়া আকবর শাহকে তার সাথে নেন। যেহেতু তিনি পশতু ভাষা জানতেন না তাই তাঁর ভয় ছিল, আফগানিস্তানবাসীরা তাকে ব্রিটিশ চর ভাবতে পারে। তাই মিয়া আকবর শাহের পরামর্শে তিনি অধিবাসীদের কাছে নিজেকে একজন কালা ও বোবা বলে পরিচিত করেণ। সেখান থেকে সুভাষ বসু মস্কো গমন করেন একজন ইতালির কাউন্ট অরল্যান্ডো মাজ্জোট্টা" নামক এক নাগরিকের পরিচয়ে। মস্কো থেকে রোম হয়ে তিনি জার্মানী পৌছেন। তিনি বার্লিনে মুক্ত ভারতীয় কেন্দ্র (Free India Center) গড়ে তোলেন। ভারতের স্বাধীনতার জন্য তিনি জার্মান চ্যান্সেলর এডলফ হিটলারের সাহায্য প্রার্থনা করেণ। কিন্তু ভারতের স্বাধীনতার ব্যাপারে হিটলারের উদাসিনতা তার মনোবল ভেঙ্গে দেয়। ফলে ১৯৪৩ সালে সুভাষ বসু জার্মান ত্যাগ করেণ। একটি জার্মান সাবমেরিন তাকে সমুদ্রের তলদেশে একটি জাপানি সাবমেরিনে পৌছিয়ে দেয়, সেখান থেকে তিনি জাপান পৌছন।

ভারতীয় জাতীয় সেনাবাহিনী (INA=Indian National Army) মূলত গড়ে উঠেছিল জাতীয়তাবাদী নেতা রাসবিহারী বসুর হাতে, ১৯৪৩ সালে রাসবিহারি বসু এই সেনাবাহিনীর দ্বায়িত্ব সুভাষ চন্দ্র বসুকে হস্তান্তর করেণ । একটি আলাদা নারী বাহিনী (রানি লক্ষ্মীবাঈ কমব্যাট) সহ এতে প্রায় ৮৫,০০০ হাজার সৈন্য ছিল। এই বাহি্নীর কর্তৃত্ব ছিল প্রাদেশিক সরকারের হাতে, যার নাম দেওয়া হয় "মুক্ত ভারতের প্রাদেশিক সরকার" (আরজি হুকুমাত-ই-আজাদ হিন্দ)। এই সরকারের নিজস্ব মুদ্রা, আদালত ও আইন ছিল। অক্ষ শক্তির ৯ টি দেশ এই সরকারকে স্বীকৃতি দান করে। আই.এন.এ.-র সৈন্যরা জাপানিজদের আরাকান ও মেইক্টিলার যুদ্ধে সাহায্য করে।
সুভাষ চন্দ্র বসু আশা করেছিলেন, ব্রিটিশদের উপর আই.এন.এ.-র হামলার খবর শুনে বিপুল সংখ্যাক সৈন্য ভারতীয় সেনাবাহিনী থেকে হতাশ হয়ে আই.এন.এ.-তে যোগ দেবে। কিন্তু এই ব্যাপারটি তেমন ব্যাপকভাবে ঘটল না। বিপরীতদিকে, যুদ্ধে পরিস্থিতির অবনতির সাথে সাথে জাপান তার সৈন্যদের আই.এন.এ. থেকে সরিয়ে নিতে থাকে। একই সময় জাপান থেকে অর্থের সরবরাহ কমে যায়। অবশেষে, জাপানের আত্মস্বমর্পন এর সাথে সাথে আই.এন.এ. ও আত্মসমর্পন করে।(অতীব সংক্ষেপিত)।...................
লেখা
তথ্য সংগৃহীত -
ধন্যবাদ।.........

➡️সফলতা আসে না।  🗣জোর করে নিয়ে আসতে হয় ।😇👉↔️শচীন টেন্ডুলকার জীবনে যতবার আউট হয়েছেন আপনি হয়তো ততবার ক্রিকেট খেলাও খেলেননি...
12/12/2024

➡️সফলতা আসে না।
🗣জোর করে নিয়ে আসতে হয় ।
😇
👉↔️শচীন টেন্ডুলকার জীবনে যতবার আউট হয়েছেন আপনি হয়তো ততবার ক্রিকেট খেলাও খেলেননি।
কিন্তু দিন শেষে আজ শচীনকে ক্রিকেট নক্ষত্র হিসাবেই জানেন।

👉↔️মার্ক জুকারবার্গকে তার গার্লফ্রেন্ড যখন সকল সোশ্যাল সাইট থেকে ব্লক করে দেয়, তখন সে জেদ করে সবচেয়ে বড় সোশ্যাল সাইট ফেসবুক বানিয়ে ফেলে, যার মাধ্যমে সে ওয়ার্ল্ড এর টপ ফাইভ রিচম্যানদের একজন।
আর আপনি হলে কি করতেন..?

👉↔️টমাস আলভা এডিসন একটা বৈদ্যুতিক বাতি আবিষ্কার করতে গিয়ে যতবার ব্যর্থ হয়েছেন এই পৃথিবীর ইতিহাসে কেউ তত বছর বাঁচেওনি।
৯৯৯ বার ব্যর্থ হয়েছেন তিনি।
আর আপনি...?
সফল হওয়ার আগে প্রশ্ন করুন নিজেকে কতবার চেষ্টাটা করতে পারবেন...?

👉↔️সাইকেল গ্যারেজে কাজ করা রাইট ভ্রাতৃদ্বয় প্ল্যান করে যতবার চেষ্টা করে করে বিমান উড়াতে ব্যর্থ হয়েছেন।
তবু তিনি বিমান টা আবিষ্কার করেই ছাড়লেন।

👉↔️সাকসেস আসার আগ পর্যন্ত আপনি থামবেন না,হেরে গেলেও না, বারবার ব্যর্থ হলেও না।
ছোট বেলায় যেভাবে হাঁটতে না পারলে আবার চেষ্টা করতেন, পড়ে গিয়ে বেথা পেয়ে ও আবার দেয়াল ধরে হাঁটতে চাইতেন, এখন সময় এসেছে আবার নাছোড়বান্দার মতো চেষ্টা করতে থাকার।

👉↔️যে যাই বলুক......
আপনি শুধু লক্ষ্য লেগে থাকুন...
বাকিটা সিস্টেম্যাটিক্যালি আপনাকে পৌঁছে দেবে আপনার গন্তববে💯

09/11/2024


Address

Calcutta Bara Bazar

Opening Hours

Monday 11am - 8pm
Tuesday 11am - 8pm
Wednesday 11am - 8pm
Thursday 11am - 8pm
Friday 11am - 8pm
Saturday 11am - 8pm
Sunday 12pm - 5pm

Telephone

+918013994107

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when BOOKS JUNCTION posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to BOOKS JUNCTION:

Share

Category