আপনি কি জানেন?

14/06/2025

আহমেদাবাদ বিমান দুর্ঘটনার পর এই ভদ্রলোক কে একা একা হসপিটালের ওয়েটিং রুমে বসে কান্না করতে দেখা যায়। তার গার্লফ্রেন্ড ও সেই বিমানেই ছিলো। সেখানকার একজন তাকে জিজ্ঞেস করেছিলো
'Who are you waiting for?''
লোকটা রিপ্লাই দিয়েছিলেন ''My love!''

হাহ! পুরুষ মানুষের ব্যাপারে অভিযোগ এর শেষ নেই, অভিযোগ গুলোও মিথ্যা না আসলে। অনেকেই ঠকায় কিন্তু যে মেয়ে পুরুষ মানুষের সত্যিকারের ভালোবাসা পেয়েছে,সে-ই জানে এটা কতো শান্তির!

সবার ভালোবাসা মিথ্যা না৷ সবাই অভিনয় করে না। সবাই ঠকায় না। কিছু মানুষ এত্ত বেশি ভালোবাসে যে সেটার কোনো তুলনা হয়না!

পুরুষ মানুষের সত্যিকারের ভালোবাসা মারাত্মক সুন্দর ❤️

✒️Shahinur Jannat

14/06/2025

“লন্ডনে পৌঁছে ফোন করব বাবা…” — সেই শেষ কথা, এরপর শুধুই দীর্ঘ নীরবতা…

বৃদ্ধ বাবার কানে আজও বাজছে ছেলের শেষ কথা —
"লন্ডনে পৌঁছে আবার ফোন করব, বাবা…"
সেই প্রতিশ্রুতি আর রাখা হলো না।
লন্ডনের আকাশে পৌঁছনোর আগেই, বিধ্বস্ত হল সেই বিমান। ছিন্নভিন্ন হয়ে গেল পাইলট সুমিত সভরওয়ালের দেহ, আর চিরদিনের জন্য ভেঙে পড়ল ৮৮ বছরের এক অসহায় পিতার জগৎ।

চোখে ছিল ছেলের সাফল্যের গর্ব, মুখে ছিল মৃদু হাসি।
বয়সের ভারে নত দেহ এখন কাঁপছে কান্নার ঝড়ে।
"তিন দিন আগেই বলেছিল, এবার চাকরি ছেড়ে দেব, তোমার দেখভাল করব…"
সে কথা আজ বিষ হয়ে বুক চিরে যাচ্ছে।

একজন পিতা তাঁর সন্তানের জন্য যা সবচেয়ে ভালো, সেটাই চায়। কিন্তু কোনও পিতা তো এভাবে ছেলের বিদায় দেখতে চায় না।

একটা ছেলে, যে হাজার হাজার যাত্রীর জীবন রক্ষা করতে শিখেছিল,
আজ নিজেই রক্ষা করতে পারল না নিজের জীবন।

গলায় ধরে আসা কান্না আর দু'চোখ বেয়ে পড়া জল—
বৃদ্ধ পিতা বলছেন, “আমার সুমিত আর ফোন করবে না... আর কখনও নয়…”

একটা ফোনকলের অপেক্ষায় আরেকটা জীবনও থেমে গেল…

14/06/2025

কিছু বলা যাবেনা। ওরা তো কন্টেন্ট ক্রিকেটার ! বলতে গেলে ওদের একটাই বক্তব্য .... আপনি নিজে কিছু করতে পারছেননা তাই আমাদের কে হিংসা করছেন । এইতো বর্তমান সমাজ।

13/06/2025

গতকাল রাত থেকে একটা অদ্ভুত টুইট ঘুরছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। একজনের এক্স হ্যান্ডল, নাম Sarah Adams। ফেক নয়, ভেরিফায়েড আইডি, লক্ষ লক্ষ ফলোয়ার, তাঁর লেখা একাধিক সন্ত্রাসসম্পর্কিত বই, আর টুইটের ভাষা শুনলে গায়ের রোম খাড়া হয়ে যায়।

চারদিন আগে তিনি সরাসরি লিখেছেন, “India will get the biggest attack on its soil, being planned in Afghanistan. Good luck with that! And go f*** yourself!”

কে এই Sarah Adams? জানা যাচ্ছে, তিনি নাকি আমেরিকার প্রাক্তন CIA অফিসার। অতীতে আফগানিস্তানে মার্কিন অভিযানের সময় field operations এ যুক্ত ছিলেন। কিছু প্রতিবেদন বলছে, তিনি আফগান গোয়েন্দাদের সঙ্গে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন। আরও ভয়ঙ্কর ব্যাপার হল, এর আগেও তিনি ভারতবিরোধী বহু মন্তব্য করেছেন, কিন্তু এইবার সরাসরি এক ভয়াবহ সন্ত্রাসবাদী ষড়যন্ত্রের আভাস দিয়ে দিয়েছেন চারদিন আগেই!

আর সেই টুইটের মাত্র তিনদিনের মাথায় আহমেদাবাদের আকাশে ঘটে গেল শতাব্দীর অন্যতম ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনা। এতটা কাকতালীয় ঘটনা?

এটা কি নিছক দুর্ঘটনা? নাকি কোনও বৃহত্তর পরিকল্পনার শুরু? সত্যিই কি আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসের কোনো সংযোগ নেই? নাকি আমাদের চোখ ধাঁধানো মিডিয়া বিভ্রান্তির আড়ালে কেউ যেন চুপচাপ নিজের কাজ সেরে ফেলছে!

আজকের বিশ্ব রাজনীতিতে, সন্ত্রাসের চরিত্র পাল্টেছে। তারা আর বন্দুক হাতে পাহাড়ে বসে নেই। তারা এখন ক্লাউড সার্ভারে, টুইটারে, কোডওয়ার্ল্ডে। তারা কখনো জিহাদ বলে, কখনো জাস্টিস, কখনো নিছকই দুর্ঘটনা!

আজ আহমেদাবাদ, কাল কলকাতা, দিল্লি, বা মুম্বই?

নাকি আমাদের সাহস আজ এতটাই কমে গেছে যে যতক্ষণ না নিজের বাড়ির জানলায় আগুন, ততক্ষণ আমরা এটাকে “অন্যের সমস্যা” ভাবব?

Sarah Adams কে? কেন তিনি এমন কথা বললেন? তাঁর সঙ্গে কোন আন্তর্জাতিক মদতকারীদের যোগ আছে কি? তাঁর টুইটের কয়েক দিনের মাথায় ভারতের মাটিতে এমন দুর্ঘটনা কেন?

এই প্রশ্নগুলো এখনই তোলা দরকার, নইলে ইতিহাসে আমরা আবারও সেই জাতি হয়ে থাকব, যারা সতর্কবার্তা পেয়েও কান বন্ধ করে ঘুমিয়েছিল!

13/06/2025

Arjunbhai Manubhai Patoliya, a native of Vadiya in Gujarat, had been living in London for the past few years.

Life had already dealt him a cruel blow; his wife had recently passed away in London. Fulfilling her last wish, Arjunbhai returned to his hometown to perform her final rites, leaving behind their two children in London.

In Vadiya, surrounded by grieving relatives, he completed the besnu and other rituals with a heavy heart. With memories weighing him down and duty fulfilled, he boarded Air India flight AI171 on 12 June 2025 to return to his children, but fate had other plans.

The aircraft crashed, and the man who had come to bid farewell to his beloved, never returned to the children they once raised together.

13/06/2025

প্রতীক জোশী ছয় বছর ধরে লন্ডনে থাকতেন। তিনি একজন সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার। বহুদিন ধরেই স্বপ্ন দেখতেন—স্ত্রী আর তিনটি ছোট সন্তানকে নিয়ে লন্ডনে সুন্দর জীবন গড়বেন। তখন তার পরিবার ছিল ভারতে।

বহু বছরের কষ্ট, কাগজপত্রের ঝামেলা আর অপেক্ষার পরে অবশেষে সেই স্বপ্ন পূরণের সময় এসেছিল। মাত্র দুই দিন আগে, তার স্ত্রী ডা. কোমি ভারতে থাকা চাকরি ছেড়ে দেন। সব ব্যাগ গুছিয়ে ফেলা হয়, প্রিয়জনদের বিদায় জানানো হয়। নতুন জীবনের পথে যাত্রা প্রস্তুত।

আজ সকালে, আনন্দ আর আশা নিয়ে প্রতীক, তার স্ত্রী এবং তিন সন্তান এয়ার ইন্ডিয়া ফ্লাইট ১৭১-এ ওঠেন লন্ডনের উদ্দেশে। তারা একটি সেলফি তোলে, আত্মীয়দের পাঠায়। নতুন জীবনের শুরু।

কিন্তু তারা আর পৌঁছাতে পারেনি। মাঝ আকাশে বিমানটি দুর্ঘটনায় পড়ে। পাঁচজনের কেউই বেঁচে থাকেনি।

মাত্র কয়েক সেকেন্ডে সব শেষ। একটা জীবনভর স্বপ্ন মুহূর্তেই ছাই হয়ে যায়। এটা আমাদের কঠিনভাবে মনে করিয়ে দেয়—জীবন ভীষণ ভঙ্গুর। আমরা যা গড়ি, যাকে ভালোবাসি, সবই এক সুতোয় ঝুলে থাকে। তাই যতদিন বাঁচি, বাঁচার মতো বাঁচি, ভালোবাসি, যতটা পারি সুখ খুঁজি। কারণ কাল কী হবে, কেউ জানে না।

13/06/2025

আমার ধারনা ছিল May Day শব্দটা হয়ত সবাই জানে । এখন দেখছি প্রায় ৫০% ফলোয়ার এটা জানে না। অনেকেই লিখছেন মে ডে কি?জাহাজের নাবিকরাও একই কল দেয় বিপদের সময় ।

“May Day” হলো একটি আন্তর্জাতিক জরুরি সংকেত, যা বিমানের পাইলটরা জীবনের জন্য মারাত্মক হুমকি দেখা দিলে ব্যবহার করেন। এটি তিনবার বলা হয়: “May Day May Day May Day” — যেন ভুল বোঝাবুঝি না হয়। সংকেতটি এসেছে ফরাসি শব্দ “m’aider” থেকে, যার অর্থ “আমাকে সাহায্য করুন।” এটি কেবলমাত্র গুরুতর বিপদের সময়, যেমন ইঞ্জিন ব্যর্থতা, আগুন, বা ক্র্যাশের সম্ভাবনায় ব্যবহৃত হয়। সংকেত পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোল ও আশপাশের ইউনিটগুলো তাৎক্ষণিকভাবে জরুরি সহায়তা শুরু করে।

পাইলট “May Day” কল দেন যেসব কারণে:
• ইঞ্জিন ফেইলিওর (Engine Failure): একটি বা একাধিক ইঞ্জিন কাজ না করলে।
• ককপিট বা বিমানে আগুন লাগা (Fire on board)।
• ক্যাবিনে প্রেসার কমে যাওয়া (Cabin decompression): অক্সিজেন স্বল্পতা দেখা দিলে।
• ফ্লাইট কন্ট্রোল লস (Loss of flight controls): যেমন, বিমানের নিয়ন্ত্রণযোগ্যতা হারানো।
• জ্বালানি ফুরিয়ে যাওয়া বা খুব কমে যাওয়া (Fuel exhaustion or emergency fuel)।
• পাখির সঙ্গে সংঘর্ষ (Bird strike) যা ইঞ্জিনে ড্যামেজ করে ফেলতে পারে।
• টেরর থ্রেট বা হাইজ্যাকিং (Terror threat or hijacking)।
• কড়া আবহাওয়া বা বজ্রঝড়ের মধ্যে পড়া (Severe weather) এবং তাৎক্ষণিক সহায়তা প্রয়োজন হলে।

12/06/2025

আজ আমেদাবাদে যে বিমানটি ভেঙে পড়েছে সেই বিমানটি Boeing কোম্পানির বিমান। Boeing 787-8 ড্রিমলাইনার।
Boeing আমেরিকার কোম্পানি, পুরো নাম "The Boeing Company".

এই কোম্পানিতে ৩২ বছর ধরে কোয়ালিটি কন্ট্রোল ম্যানেজার হিসেবে কাজ করেছিলেন এই লোকটি।
জন বার্নেট।
ইনি ২০১৭ সালে বোয়িং 787 Dreamliner প্রজেক্টে কাজ করার সময় ভয়াবহ অনিয়ম দেখতে পান এবং তা চেপে না রেখে সাহসিকতার সাথে ফাঁস করেন।
এই কাজের জন্য উনি "হুইসেলব্লোয়ার" হিসেবে পরিচিত।
Boeing 787 তে ত্রুটিপূর্ণ পার্টস ব্যবহার,অক্সিজেন সরাবরাহের সমস্যা এবং প্ল্যান্টের ভেতরের কিছু সমস্যা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের Federal Aviation Administration (FAA) এবং OSHA (Occupational Safety and Health Administration)-তে লিখিত অভিযোগ জানান। এমনকি কোর্টেও যান।

তদন্ত হয়। জন বার্নেটের অভিযোগ সঠিক প্রমাণ হয়। FAA Boieng কোম্পানিকে সংশোধনের নির্দেশ দেয়।

শুরু এখানেই৷
এরপর কোম্পানি স্বাভবিকভাবেই লাগে জন বার্নেটের পিছনে। সে চাকরি ছাড়তে বাধ্য হয়।
তারপর বেশ কিছু বছর কেটে গিয়ে আসে ২০২৪ সাল।
৯ই মার্চ। উনি সমস্ত প্রমাণ সহ আদলতে Boeing এর বিরুদ্ধে সাক্ষী দিতে গিয়েছিলেন। উঠেছিলেন দক্ষিণ ক্যারোলিনা'র চার্লসটনের একটি হোটেলে। কিন্তু ঠিক সেদিনই হোটেলের পার্কিং লটে তার ট্রাকের ভেতরে তাকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় পাওয়া যায়।
স্বাভাবিকভাবেই পুলিশ আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দেয়।

এভাবেই পুঁজিবাদ এগিয়ে যায়। দৌড়াতে দৌড়াতে। Boieng ড্রিমলাইনে উড়তে উড়তে।
আর বেসরকারিকরণের সাথে পুঁজিবাদের সম্পর্ক নিবিড়।
এয়ার ইন্ডিয়া,আমেদাবাদ এয়ারপোর্টে দুটোই বেসরকারি।

বেসরকারী হলে পরিষেবা ভালো অবশ্যই হয়।
সেটা পুঁজিবাদের পরিষেবা। মানুষের নয়।

12/06/2025

12/06/2025

যখন গেরুয়া ধ্বজের অবমাননা হচ্ছিল তখন পুলিশ দর্শক ছিল।

বাপবেটাকে যখন কোপানো হচ্ছিল তখনও পুলিশ তখন পুলিশ নিষ্ক্রিয় ছিল।

আজ তুলসীমঞ্চ যখন উৎপাটন করা হচ্ছিল তখনো পুলিশ বৃহন্নলাদের মতো দাঁড়িয়ে ছিল।

তেমন কিছুনা, আপনাকে ঘাবড়াতেও হবেনা আপনাকে মাগরবে বাঙ্গাল মে স্বাগত জানাই।

11/06/2025

প্রত্যেক বছর শুধু যৌতুকের জন্য ৬০০০ এর বেশি মেয়েদের মেরে ফেলা হয় (2022 NCRB DATA)। আর আমরা মাঝে মাঝে দু একজন হাজবেন্ডের মৃত্যু দেখলে শিউরে উঠি, বিয়ে না করার ডিসিশন নেই। ভাবুন তো মেয়েরা কিসের ভরসায় বিয়ে করে !!