
13/06/2025
বিমান দুর্ঘটনার পর পরই অনেক কিছুই পড়ছিলাম। তবে এই ঘটনাটি বেশ মনকে নাড়া দিয়ে উঠলো তাই তোমাদের সাথে ভাগ করে নিতে চাই।
লোকটির নাম প্রতীক জোশি। কর্মসূত্রে একজন সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার। প্রায় ছয় বছর ধরে লন্ডন-এ থাকতো ছেলেটা। স্ত্রী এবং ছেলে মেয়েরা ইন্ডিয়াতে থাকতো। প্রায় ৩ বছরের বেশি ধরে সমস্ত প্ল্যানিং সেরে তারা আজকে লন্ডন যাবে এবং সেখানে গিয়েই থাকবে বলে বিমানে ওঠে।
তাঁর স্ত্রী কোমি ব্যাস পেশায় একজন ডাক্তার ছিলেন। দুজনেই রাজস্থানের বাঁশওয়াড়া এলাকার বাসিন্দা। তাঁদের এক মেয়ে এবং দুই ছেলে (যমজ)। পরিবার নিয়ে লন্ডন-এ গিয়ে থাকবে বলে মাত্র ২ দিন আগে তাঁর স্ত্রী কাজ থেকে ইস্তফা দেন।
নাহ তাঁদের আর লন্ডন যাওয়া হলো না। স্বপ্নের বাড়ি ফাঁকা হয়ে পড়ে রইলো...
ওপরের ছবিটা তারা বিমানে উঠে আত্মীয়দের পাঠিয়েছিলেন।
কে জানতো এটাই তাঁদের শেষ ছবি হবে?
রাজনীতির চোখে এই পরের লেখাটি দেখবেন না কারণ লেখাটি আমাদের নয়। সোশ্যাল মিডিয়া থেকেই পড়ছিলাম তাই সেটাও ভাগ করে নিচ্ছি।
জীবনটা বড়ো অনিশ্চিত
ঘুরতে গেলে, সেখানে সন্ত্রাসীরা এসে হা*মলা করে দিলো
প্রিয় দল জেতার পরে ভিকট্রি প্যারেড-এ গেলে সেখানে পদ*পিষ্ট হয়ে গেলে
কাজের সূত্রে বা ঘুরতে যাওয়ার জন্যে বিমানে উঠলে, সেটা ভে*ঙে পড়লো
কলেজের হোস্টেল-এ বসে খাবার খাচ্ছ, মাথার ওপর ছাদ ভে*ঙে পড়লো
---
কেউই বলতে পারে না কখন কী হতে চলেছে। তাই মানুষ হিসাবে আমাদের একটু সহানুভূতিশীল হলে কি খুব ক্ষতি হয়ে যাবে?
Collected