
29/07/2025
অষ্টাদশ এবং ঊনবিংশ শতাব্দী ভারতের ইতিহাসের একটি উল্লেখযোগ্য সময়। এই সময়ে, ভারত জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে নতুন আদর্শ, নতুন চিন্তাভাবনা এবং নতুন আকাঙ্ক্ষার সামগ্রিক পুনর্জাগরণ প্রত্যক্ষ করেছিল। ভারতের শিক্ষা-সংস্কৃতিতে পুনর্জন্ম বাংলায় প্রকাশিত হয়েছিল তাই এই পুনরুত্থানকে বঙ্গীয় নবজাগরণ আন্দোলন বলা হয়। আর এই নবজাগরণে যাঁরা প্রতিভূ ছিলেন তাঁদের মধ্যে অবশ্যই একজন ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর। তাঁর প্রখর বুদ্ধিমত্তা ও দূরদর্শিতা বাংলাকে তথা সমগ্র ভারতকে কয়েক ধাপ এগিয়ে দিয়েছিলো। তিনি ব্যক্তি স্বাধীনতা এবং সংবাদপত্রের স্বাধীনতার প্রবক্তা ছিলেন। তিনি নারীদের অধিকার ও সম্মান লড়াইয়ের একজন দৃঢ় যোদ্ধা ছিলেন। তিনি বুঝেছিলেন যে সময়ের সাথে সাথে চেতনার উপর একটি পরিবর্তন এসেছে এবং এটি বাংলার সামগ্রিক পরিবর্তনের ইতিহাসে একটি নতুন যুগ হিসাবে বিবেচিত হতে পারে। বিদ্যাসাগর সমাজে গোঁড়ামির বন্ধন থেকে নারীদের মুক্তির জন্য সচেষ্ট ছিলেন। নারীর ক্ষমতায়নের মাধ্যম হিসেবে শিক্ষা ইতিবাচক মনোভাব পরিবর্তন আনতে পারে, এটাই ছিল তাঁর বিশ্বাস। এছাড়া সমাজের দরিদ্র বঞ্চিত মানুষের জন্য তিনি দীর্ঘদিন কাজ করে গেছেন, তাই তাঁর দুর্বার প্রতিভার সাথে সাথে তাঁর গভীর মনুষ্যত্ব তাঁর চরিত্রের ব্যাপকতাকে প্রকাশ করে
মহান সমাজ সংস্কারককে আমাদের শ্রদ্ধাঞ্জলি 🙏