IndiaVerse

Home
India
Canning
IndiaVerse

WELCOME 🤗
এখানে কারেন্ট অ্যাফেয়ার্স, ইতিহাস, রহস্য, রাজনৈতিক বিষয় বাংলায় আলোচনা করা হয়।
(2)

03/02/2024

উড়োজাহাজ আপনাকে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় পৌঁছে দেয় , সেটাতো ঠিক আছে কিন্তু আপনি কি একটা প্লেনকে টেনে কিছু দূরে নিয়ে যেতে পারবেন? গালাগালি করার আগে এই মানুষ টাকে দেখুন যিনি একটা আস্ত প্লেন দড়ি দিয়ে টেনেছেন। এই ব্যক্তিটির নাম কেভিন ফাস্ট। ২০০৯ সালের সেপ্টেম্বর মাসের ১৭ তারিখ কেভিন ফাস্ট কানাডায় একটি CC-177 গ্লোবমাস্টার III টেনে 8.8 মিটার দূরে নিয়ে গেছেন যার ওজন ছিল 188.83 টন (416,299 পাউন্ড)।🤯

03/02/2024

আপনি যদি ভেবে থাকেন সূর্যের শুধু তাপের তেজ আছে কিন্তু কোনো গর্জন নেই তাহলে আপনি ভুল। যদি মহাকাশ না সাউন্ড প্রুফ হতো তাহলে সূর্যের আওয়াজ আপনি পৃথিবীতে শুনতে পেতেন যার মাত্রা ১০০ ডেসিবেল এরও উপরে থাকতো।🤯

19/11/2023

ভারতীয় ক্রিকেটের ইতিহাস !! Looser To Winner ! IndiaVerse |

01/11/2023

💥আরাউন্ড 47 BC তে রোমান সিনেট জুলিয়াস সিজার এবং Pharnaces ii এর সাথে Battle Of Zela যুদ্ধ হয়। খুব অল্প সময়ের মধ্যেই জুলিয়াস সিজার সেই যুদ্ধে জয়লাভ করেন। সেই যুদ্ধের বর্ণনা দিতে তিনি তার চিঠিতে লেখেন ভিনি ভিডি ভিসি। ল্যাটিন ভাষায় লেখা এই কথাটা বাংলায় মানে করলে হয় আসিলাম , দেখিলাম , জয় করিলাম।
বর্তমান সময়ে কথাটি সিনেমা জগতে যদি কারোর সাথে মেলাতে পারেন তাহলে সে আর কেউ না শুধু মাত্র শাহরুখ খানের সাথেই মেলাতে পারবেন। তিনি দিল্লী থেকে মুম্বাই আসলেন, মুম্বাইয়ের সিনেমা জগতের সব কিছু দেখলেন আর কয়েকদিনের মধ্যে জয়ও করে নিলেন। আগেকার রাজাদের প্রাসাদ গুলো এখন যেমন এক একটা ট্যুরিস্ট স্পট হয়ে আছে, মুম্বাইয়ের বান্দ্রায় সমুদ্র মুখী মান্নতও একটা জনপ্রিয় ট্যুরিস্ট স্পট। মুম্বাই থেকে দিল্লী আসার সময় টাকার অভাবে বিনা টিকিটে ট্রেইনে করে মুম্বাই আসা সেই শাহরুখ খান বর্তমানে বিশ্বের চার নম্বর ধনী অভিনেতা। এমনকি টম ক্রুজ, Iron Man খ্যাত রবার্ট ডাউনি জুনিয়রের থেকেও এগিয়ে।
একসময় যার নামে বদনাম না করে বলিউড ইন্ডাস্ট্রির কারোর পার্টি শুরু হতনা আজ ভারতের বাইরে তার নামেই বলিউডকে চেনে।
BBC থেকে শুরু করে বিভিন্ন বড় নিউজ চ্যানেল তাকে বিশ্বের সেরা মভিস্টার বলে। তিনি নিজেই বলেছিলেন তিনি লাস্ট অফ দা স্টারস।
কিন্তু কোনো গড ফাদার ছাড়াই একজন আউটসাইডার হয়েও এত বড় স্টার হওয়ার তার এই জার্নি কি এতটাই সহজ ছিল??
আজ তার জন্মদিনে আসুন এই পোস্টের মাধ্যমে শাহরুখ খানের বিষয়ে জানার চেষ্টা করি। বোঝার চেষ্টা করি সত্যিই কি তিনি লাস্ট অফ দা স্টার ?

✅- Birth Of SRK

শাহরুখ খান ১৯৬৫ সালের নভম্বর মাসের ২ তারিখে দিল্লিতে জন্ম গ্রহণ করেন। বাবার নাম মীর তাজ মহম্মদ খান এবং মায়ের নাম লতিফ ফাতিমা খান। স্বাধীনতার পর তার বাবা অনেক বিজনেস করার চেষ্টা করেছিলেন যার মধ্যে রেস্টুরেন্টের ব্যাবসা ঠিক মতো চলে। ন্যাশনাল স্কুল অফ ড্রামাতে তিনি একটি ক্যান্টিন চালাতেন।
ছোট বেলায় শাহরুখ খানের স্পোর্টসের প্রতি প্রচুর ইন্টারেস্ট ছিল। তিনি হকি , ক্রিকেট খেলায় অত্যন্ত ভালো ছিলেন । তিনি হয়তো খেলাটাকেই নিজের ক্যারিয়ার হিসেবে গড়ে নিতেন কিন্তু ইনজুরির কারণে ডাক্তার তাকে যেকোনো ধরনের খেলা থেকে বিরত থাকার কথা বলেন। এরপরে তিনি আর্মি হতে চাইলেও তার মা চায়নি। তাই তিনি পড়াশোনায় মন দেন এবং ইকোনমিকসে ব্যাচেলর ডিগ্রি অর্জন করেন।

✅ - Entry To The Cinema Industry

যেহেতু শাহরুখ খানের বাবা ন্যাশনাল স্কুল অফ ড্রামাতে ক্যান্টিন চালাতেন তাই ছোট বেলা থেকেই থিয়েটারে কাজ করা বড় বড় অভিনেতার সাথে তার পরিচয় হয়।
কিন্তু আমরা spiderman Charecter থেকে এটুকু শিখেছি যে Spiderman আদর্শ superhero হওয়ার জন্য অনেক কিছুই হারাতে হয়েছে।
১৯৮১ সালে শাহরুখ খানের জীবনের প্রথম বড় ধাক্কা লাগে। তার বাবা ক্যান্সারে মারা যান। যার ফলে পরিবারের দায়িত্ব তার কাঁধে এসে পড়ে যখন শাহরুখ খান মাত্র ১৫ বছর বয়সের ছিল। সেই সময় তিনি বাবার ক্যান্টিন চালানোর সাথে সাথে Hansraj College থেকে graduation complete করে। ঠিক এই সময় তিনি থিয়েটার অ্যাকশন গ্রুপ নামের একটি গ্রুপের সাথে যুক্ত হন যেখানে তিনি তার শিক্ষক বা মেন্টর হিসাবে পান থিয়েটার ডিরেক্টর ব্যারি জনকে। তার কাছ থেকেই তিনি অভিনয়ের সব কিছু শেখেন। এরপরে শাহরুখ খান National School Of ড্রমাতে যোগ দেয়। এখানেই তার সাথে বন্ধুত্ব হয় মনোজ বাজপেয়ীর মত অভিনেতার সাথে।
এই সময়ই প্রথম টিভি সিরিয়ালে কাজ করেন শাহরুখ খান। ১৯৮৮ সালে ফৌজি নামের এক সিরিয়ালে প্রথমবারের জন্য শাহরুখ খানকে টিভির পর্দায় দেখা যায়। এর পরে দিল দরিয়া , Wagle ki duniya , umeed এর মত সিরিয়ালে তিনি কাজ করেন। এরপরে ১৯৮৯ সালে প্রথম বারের মতো সার্কাস সিরিয়ালে তিনি লিড রোলে অভিনয় করেন।
এই সময়েই হেমা মাইলিনির নজরে পড়ে শাহরুখ খান। ফৌজি সিরিয়ালে তাকে দেখে নিজের প্রথম ডিরেক্ট করা সিনেমাতে কাস্ট করার কথা ভাবেন। এবং শাহরুখ খানকে কলও করেছিলেন কিন্তু শাহরুখ খান বিশ্বাসই করে উঠতে পারেনি যে হেমা মালিনী তাকে ফোন করে নিজের সিনেমাতে কাজ করার কথা বলবে। কিন্তু এর মধ্যেই শাহরুখ খানের জীবনে সব থেকে বড় ধাক্কাটা লাগে। ১৯৯১ সালে তার মা লতিফ ফাতিমা ডায়াবেটিসে মারা যান। এর ফলে তার পরিবারে শোকের ছায়া নেমে আসে। পরিবার সামলাতে শাহরুখ সেসময়ে সিদ্ধান্ত নেয় যে মুম্বাইতে এক বছরের জন্য যাবে। শাহরুখ যখন মুম্বাইতে গিয়েছিলেন Dewaana সিনেমার আগেই 5 টা সিনেমার জন্য চুক্তিবদ্ধ হয়েছিলেন। হেমা মালিনী তার কাজে মুগ্ধ হয়ে দিল আসনা হে সিনেমা অফার করেন। এই সিনেমার সাথে আগে যুক্ত হলেও শাহরুখ খানের প্রথম বড় পর্দায় অভিষেক ঘটে ঋষি কাপুরের সাথে দিওয়ানা সিনেমাতে। ১৯৯২ সালের ২৫ সে জুন এই সিনেমাটি রিলিজ হয়।

❤️✨গৌরী খান:-

১৯৮৪ সালে প্রথম শাহরুখ খানের সাথে গৌরী খানের দেখা হয় একটি পার্টিতে । সেখান থেকেই তাদের পরিচয়। তখন গৌরী খানের বয়স মাত্র চোদ্দো বছর ছিল। গৌরী খানের বিয়ের আগে নাম গৌরী চিববার। ইন্ডিয়ায় আর দশটা ফ্যামিলির মত তাদের সম্পর্কও প্রথমে তাদের পরিবার মেনে নিতে চায়নি। কারণ শাহরুখ খান একজন মুসলিম আর গৌরী একজন হিন্দু। ১৯৯০ সালে পরিস্থিতি এমন হয় যে গৌরী খান তখন frasteted হয়ে শাহরুখ কে না বলে মুম্বাইয়ে চলে যায়। শাহরুখ খান মায়ের কাছ থেকে টাকা নিয়ে মুম্বাইয়ে গিয়ে পাগলের মত খোঁজ করে এবং পেয়েও যায় কিন্তু যখন গৌরী খানকে বিয়ের জন্য প্রস্তাব দেয় গৌরী তখনও না বলে দেয়। সেজন্য শাহরুখ দিল্লী ফিরে যায়। তারপরের বছর শাহরুখ খানের মা মারা গেলে গৌরী খানের খারাপ লাগে। এবং বিয়ের জন্য রাজি হয়। ১৯৯১ সালের ২৫ সে October তাদের বিয়ে হয়। বর্তমানে তাদের তিন সন্তান আছে।

✅Birth Of A super star :-

শাহরুখ খান প্রথম সিনেমার মাধ্যমে সবার নজর নিজের দিকে ঘুরিয়ে নেয়। সেই সময়ের বলিউডের নায়করা নিজেদের ফ্যান বেজ ধরে রাখতে নিজেদের ইমেজের কথা ভেবে নেগেটিভ রোল করতে চাইতোনা। কিন্তু শাহরুখ খান সেই চলে আসা নিয়মকে পাল্টে বাজিগর, ডার এর মত কাল্ট সিনেমাতে ভিলেন চরিত্রে অভিনয় করেন। কিন্তু এর পরে যেটা হয় তা শাহরুখ খানকে পুরো ভারতের হার্টথ্রব বানিয়ে দেয়। ১৯৯৫ সালে আদিত্য চোপড়া শাহরুখ খানকে DDLJ অফার করেন। কিন্তু শাহরুখ খান প্রথমে রাজি হননি কারণ তিনি অ্যাকশন সিনেমা করতে চাইছিলেন। কিন্তু আদিত্য চোপড়া বোঝাতে শাহরুখ খান রাজি হন। এবং সেই সিনেমা অল টাইম ব্লকবাস্টার হয়। এমনকি মুম্বাইয়ের মারাঠা মন্দির সিনেমা হলে এই মুভি এখনও চলছে। আর এটিই পৃথিবীর সব থেকে লং রানিং সিনেমা।
একজন আউট সাইডার হয়েও , ইন্ডাস্ট্রিতে কোনো গড ফাদার না থাকা সত্ত্বেও কয়েক দিনের মধ্যেই শাহরুখ খান বলিউডের কিং হয়ে ওঠে , এখনকার মতো তখনও নেপটিজম ছিল। এমন কোনো পার্টি হতনা যেখানে শাহরুখকে গালাগালি করা হয়না। এরকম স্বার্থপর, হিংসুটে ইন্ডাস্ট্রিতে সে একাই লড়েছে, আর বর্তমানে সে গ্লোবাল স্টার। তার ফ্যান শুধু ভারতে না বিশ্বের প্রতিটা জায়গায়ই ছড়িয়ে আছে।

🏢Mannat -
শাহরুখ খানের বিষয়ে কথা বলছি আর মান্নতের বিষয়ে না বললে হয়? শাহরুখ খানের মান্নত আর সালমান খানের ব্রেসলেট । এই দুটো জিনিসের জনপ্রিয়তা অনেক সো কল্ড স্টারের থেকেও বেশি।
শাহরুখ খানের জন্মদিনে তো লাখ লোকের ভিড় হয়ই কিন্তু এছাড়াও তার বাড়ির সামনে মানুষ ছবি তুলছেনা এমন দিন আপনি দেখতে পাবেননা। মান্নাত ভারতের মুম্বাইতে অবস্থিত একটি বিলাসবহুল বাংলো, যেটি বিখ্যাত বলিউড অভিনেতা শাহরুখ খানের। "মান্নাত" নামের অর্থ "ইচ্ছা" বা "প্রার্থনা" । Yes Boss সিনেমার একটি গানে এই বাংলোটি দেখা যায়। তখনও শাহরুখ খান এটি কেনেননি। তখন, এটিকে ভিলা ভিয়েনা বলা হত এবং এর মালিক ছিলেন নরিমান দুবাশ। 2001 সালে, শাহরুখ অবশেষে মালিকের সাথে দেখা করার সিদ্ধান্ত নেন এবং অনেক বোঝানোর এবং আলোচনার পর অবশেষে তিনি 13.32 কোটি টাকায় ভিলা ভিয়েনা কিনে নেন। যার মূল্য এখন প্রায় 200 কোটি টাকা।

✅Business Man -

একজন পারফেক্ট অভিনেতার সাথে সাথে একজন দক্ষ বিজনেস ম্যান ও তিনি। বলিউডের বর্তমানে যে মার্কেটিং স্ট্র্যাটেজি আপনি দেখেন তার বেশিরভাগই শুরু শাহরুখ খান করেছিলেন। PR, প্রমোশন, ঘন ঘন অ্যাড করার মাধ্যমে টাকা অর্জন সব কিছু শাহরুখ খানের দেখা দেখি অন্য হিরোরাও শুরু করেছিল।
তিনি ড্রিমজ আনলিমিটেড নামে একটি প্রযোজনা সংস্থা চালু করেছিলেন। এতে সহ-মালিক হিসেবে জুহি চাওলা এবং আজিজ মির্জাও ছিলেন। তবে, কোম্পানিটি শীঘ্রই বন্ধ হয়ে যায়।
কিন্তু তারপরে আবার 2002 সালে স্ত্রী গৌরী খানের সাথে রেড চিলিজ এন্টারটেইনমেন্ট চালু করেন। যেটি একটি সফল প্রোডাকশন হাউস। শুধু শাহরুখ খানের হিট সিনেমা নয় আরো অনেক হিট সিনেমা প্রডিউস করেছে এই হাউস। মজার কথা হলো অনেকেই অভিযোগ করে যে Dharma productions মানে করন জোহর, আর YRF এর জন্য সুপারস্টার হতে পেরেছে কিন্তু শাহরুখ খান নিজেরই প্রোডাকশন হাউজের মাধ্যমে দুটো ইন্ডাস্ট্রি হিট দিতে চলেছে এক চেন্নাই এক্সপ্রেস আর একটা জওয়ান। যা অন্য স্টারদের জন্য ড্রিম।
এছাড়া কোম্পানিটির ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের ক্রিকেট দল কলকাতা নাইট রাইডার্স এবং ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগের ট্রিনবাগো নাইট রাইডার্সের সাথে আন্তর্জাতিক লীগ টি-টোয়েন্টির আবুধাবি নাইট রাইডার্সের 55 শতাংশ শেয়ার রয়েছে।
এছাড়াও এর একটি VFX company আছে। যা ভারতের এই মুহূর্তে বেস্ট VFX company। Raone, Zero , ক্রিস, জওয়ান এর মত সিনেমা ছাড়াও অনেক ইন্টারন্যাশনাল সিনেমাতে VFX এর কাজ করেছে।

কলকাতা নাইট রাইডার্স (KKR) হল ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে একটি ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেট দল। 2008 সালে, SRK, জুহি চাওলা এবং তার স্বামী জয় মেহতার সাথে শেয়ারে এই টিম কেনেন।2022 সালে ফোর্বস অনুসারে দুবার IPL Cup জয়ী , কলকাতা নাইট রাইডার্সের মূল্য দাঁড়ায় $1.1 বিলিয়ন।

এছাড়াও 'কিডজানিয়া'-এর ইন্টারন্যাশনাল ফ্র্যাঞ্চজির 26% আন্তর্জাতিক শেয়ার তিনি কিনে নেন।
শাহরুখ খান বিভিন্ন কোম্পানির থেকে শুরু করে বিভিন্ন দেশের ও ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর। যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো অ্যাপেল, DishTV থেকে শুরু করে দুবাইয়ের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর তিনি। প্রতি অ্যাড পিছু তিনি প্রায় 6 থেকে 10 কোটি টাকা চার্জ করলেও এটা শোনা যায় যে দুবাইয়ের বুর্জিল হোল্ডিংস অ্যাড এর জন্য তিনি 33 কোটি টাকা চার্জ করেছেন। অনেকে বলে থাকেন প্রতি সিনেমার জন্য তিনি 80 থেকে 100 কোটি টাকা চার্জ করে কিন্তু তার সাথেও তিনি প্রফিট পার্সেন্টেজ নেয়।
এতরকমের বিজনেস থাকার কারণেই ভারতীয় সিনেমা হলিউডের সিনেমার থেকে এত কম বক্স অফিস কালেকশনের পরেও শাহরুখ খান বিশ্বের চতুর্থ ধনী অভিনেতা।

✅The Man SRK- 👑 শাহরুখ খান - রিয়েল লাইফ হিরো ❤️

শাহরুখ খান তার থেকে বড় হোক বা ছোট প্রত্যেককেই সম্মান দিয়ে চলে। তার বাড়িতে কেউ অতিথি হয়ে গেলে ফেরার সময় নিজে গাড়ি পর্যন্ত ছেড়ে আসে, বিশেষ করে তার মহিলা কো স্টারদের খুব সম্মান করে সেজন্য যেকোনো অভিনেত্রী তার সাথে কাজ করতে সচ্ছন্দ বোধ করে । এমনকি নারীদের প্রতি সম্মানে তিনি তার সিনেমার কাস্টিংয়ে হিরোর উপরে হিরোইনের নাম রাখেন। তার থেকে অত্যন্ত জুনিয়র আর্টিস্ট দেরও স্যার বলে ডাকতে, তাদের কাজকে সম্মান জানাতে একটুও দ্বিধা বোধ করেনা।
শুধু রিল নয় রিয়েল লাইফের হিরোও তিনি।
আমি এই বিষয়ে একটু বলতে চাইবো কারণ অনেকে মনে করে শাহরুখ খান তেমন দান করেনা , সেবামূলক কোনো কাজ করেনা, অনেকে এই প্রশ্ন ও তোলে যে কি করেছে দেশের জন্য ?

🔰2013 সালে উত্তরাখণ্ডে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য 33 লাখ টাকা দিয়েছিলেন। 2015 সালে চেন্নাই বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত দের জন্য 1 কোটি এছাড়াও, 2018 সালে কেরালার বন্যা ক্ষতিগ্রস্ত দের সহায়তা করার জন্য MEER ফাউন্ডেশন টাকা দিয়েছিল। আপনি যদি মির ফাউন্ডেশন কি না জানেন তাহলে বলি। 2013 সালে, শাহরুখ খান তার প্রয়াত পিতা মীর তাজ মোহাম্মদ খানের স্মরণে MEER ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠা করেন। ফাউন্ডেশনের লক্ষ্য হল মহিলাদের সাহায্য করা, বিশেষ করে যারা অ্যাসিড আক্রমণের শিকার হয়েছেন।
2014 সালে, শাহরুখ খানের ক্রিকেট দল কলকাতা নাইট রাইডার্স ইন্ডিয়ান প্রিমিয়াম লিগ সিজন জিতেছিল। ইন্ডিয়া টাইমস অনুসারে, কলকাতা এবং মুম্বাইতে ক্যান্সার রোগীদের জন্য প্রাইজ মানির পুরোটাই মানে 15 কোটি টাকা দান করেছিলেন। যেহেতু তার বাবা ক্যান্সারে মারা গিয়েছিলেন তাই তিনি ক্যান্সারে আক্রান্ত রোগীদের সাহায্য করে থাকেন।

এই সব কাজের জন্য 2018 সালে, ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম তাকে ভারতে নারী ও শিশুদের অধিকারকে উৎসাহিত করার জন্য তার স্টুয়ার্ডশিপের জন্য অ্যানুয়াল ক্রিস্টাল পুরস্কারে সম্মানিত করেছে।

🔰 2009 সালে, একটি সৌর বিদ্যুৎ প্রকল্পে বিনিয়োগ করে শাহরুখ খান ওডিশার সাতটি গ্রামে বিদ্যুৎ পৌঁছাতে সাহায্য করেছিলেন। ওড়িশার গ্রামে বসবাসকারীরা স্বাধীনতার 61 বছর পর বিদ্যুৎ পেয়েছিলেন।
10 নভেম্বর, 2011-এ, শাহরুখ খান তার দানের কাজের জন্য একটি বিশেষ UNESCO পুরস্কার, Pyramide con Marni পুরস্কার জয়ী প্রথম ভারতীয় হয়ে ওঠেন। অনেকেই অভিযোগ করেন যে শাহরুখ খান টাকা দিয়ে অ্যাওয়ার্ড কেনে। এত ইনকাম সত্বেও দেশের জন্য কিছু করেনা। তাহলে কি সে UNESCO থেকেও টাকা দিয়ে অ্যাওয়ার্ড কিনেছে ?

2019 সালে, ফাউন্ডেশনের সাথে শাহরুখ খানের কাজের স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য, লা ট্রোব শাহরুখ খানকে সম্মানসূচক ডিগ্রী, ডক্টর অফ লেটার্স প্রদান করে।

🔰2020 সালে, তিনি PM CARES-এ দান করেছিলেন, যা COVID-19 গবেষণার জন্য তহবিল সরবরাহ করার পাশাপাশি চিকিৎসার উন্নতি করে। এছাড়াও তিনি মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ, রোটি ফাউন্ডেশন, ওয়ার্কিং পিপলস চার্টার, এক সাথ: দ্য আর্থ ফাউন্ডেশন এবং স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারীদের জন্য ব্যক্তিগত সুরক্ষামূলক সরঞ্জাম দান করেছেন। এক সাথ ফাউন্ডেশনের সাথে, শাহরুখ খান 5,500 পরিবারকে খাবার সরবরাহ করেছিলেন যারা দিনমজুর ছিলেন। ইন্ডিয়া টুডে অনুসারে, মহারাষ্ট্র এবং পশ্চিমবঙ্গের স্বাস্থ্যসেবা কর্মীদের জন্য, MEER ফাউন্ডেশন 50,000 কিট দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন।
তার বিশ্বাস চ্যারিটি লুকিয়ে করতে হয়, কাউকে দেখিয়ে চ্যারিটি হয়না। তাই তার সব চ্যারিটির সম্বন্ধে কেউই জানে না। তিনি নিজেও অন্যদের মত কোনোদিনও টুইট বা ফেসবুকে পোস্ট করেননি যে এই জায়গায় ওই যায়গায় দান করেছেন। যতটুকু জানা যায় তার বেশির ভাগই ধন্যবাদমুলক পোস্ট থেকে। মানে যারা দান পেয়েছেন তারা যখন ধন্যবাদ জানিয়েছেন সামাজিক মাধ্যমে পোস্ট করে সেখান থেকেই।শুধুমাত্র COVID টাইমে তিনি অফিসিয়াল ভাবে জানান কি কি তিনি ডোনেট করেছেন কারণ সেই মুহূর্তে তাকে নিয়ে প্রচুর ট্রল করা হয় যে সবাই দান করলেও তিনি কিছুই দেননি। অথচ তার তথ্য প্রকাশ করার পরে দেখা যায় অভিনেতাদের মধ্যে সব থেকে বেশি ডোনেট করেছিলেন।
তিনি ইউনেস্কো থেকে হিডেন চ্যারিটির জন্য পুরস্কার পান যা ভারতীয় হিসাবে প্রথম।

✅The Last Of The Star -

জওয়ান সিনেমা মুক্তির পরে আপনি নিজেই নিশ্চয় বুঝে গেছেন কেন তাকে লাস্ট অফ দা স্টার বলা হয়। ক্যারিয়ারের শুরুর 5 বছরের মধ্যেই শাহরুখ খান দিওয়ানা ,ডার, বাজিগর, DDLJ এর মত আইকনিক ব্লকবাস্টার সিনেমা দিয়েছিলেন যা আপনি নিউ জেনারেশনের আর কারোর মধ্যে পাবেন না। যার জন্য বলিউড এখনও হয়তো নেক্সট শাহরুখ খুঁজছে।
ঋত্বিক রোশন যখন কাহো না পেয়ার হে র মত রোমান্টিক ব্লকবাস্টার সিনেমা নিয়ে সিনেমা জগতে পা রাখল তখন সবাই বললো যে সেই নেক্সট শাহরুখ, তারপরে আবার যখন রনবীর কাপুর আসলো তখনও সবাই বললো, যখন রণভীর সিং এনেরজেটিক হিরো হিসেবে আসলো তখনও সবাই বললো নেক্সট SRK তো এই হবে। তাও যখন হলোনা তখন কার্তিক আরিয়ান নিজে ইউটিউবার, নিউজ চ্যানেলকে টাকা খাইয়ে নিজেকে নেক্সট শাহরুখ দাবি করলো তখনও দর্শক মুখ ফিরিয়ে নিলো। এই মুহূর্তে দাড়িয়ে শাহরুখ , সালমান, সানি দেওল দিলীপ কুমার, অমিতাভ বচ্চন, ধর্মেন্দ্র, এদের মত জনপ্রিয় আর কেউই নেই যাদের পিছনে দর্শক পাগল ছিল। আর এদের মধ্যে সবার শেষে সিনেমা জগতে পা রাখেন শাহরুখ খান। তাই লাস্ট অফ দা স্টার একমাত্র শাহরুখ খানের নামের পাশেই মানায়।
2018 থেকে 23 সাল পর্যন্ত কোনো সিনেমা ছিলনা। তার আগের সিনেমা গুলো ফ্লপ হচ্ছিল তার পরেও জনপ্রিয়তায় একটুও ভাটা পড়েনি তার।
বাজে সময় সবারই আসে। শাহরুখ খানের ও এসেছিল। 2010 থেকে 2022 পর্যন্ত। সবাই এই টাইমটাকে শাহরুখ খানের বাজে সময় বলে, কিন্তু মজার কথা হলো এই টাইমেও তিনি চেন্নাই এক্সপ্রেস এর মত ইন্ডাস্ট্রি হিট সিনেমা দিয়েছিলেন, কিন্তু আসলে যে শাহরুখ খানকে সবাই চিনত তার দেখা এই টাইমে পাওয়া যায়নি। তুলনামূলক ক্লীন ইমেজের শাহরুখ খান এই সময় নানা বিতর্কে জড়িয়ে পড়ে। ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে 5 বছরের জন্য ব্যান হওয়া থেকে শুরু করে ভারতে অসহিষ্ণুতা প্রসঙ্গে তার মন্তব্য । সব দিক মিলিয়ে সবাই বলতে শুরু করলো এবারে হয়তো শাহরুখ খানের দিন শেষ। কিন্তু খোকা বাবু বলেছিল - আর সত্যিই সে ফিরেছে। 2000 সালেও বলিউডের খুব বাজে সময় যাচ্ছিল, সেখানে প্রত্যেকের সিনেমা ফ্লপ হচ্ছিল , কিন্তু সে সময়ও শাহরুখ একাই পর পর হিট সিনেমা দিয়েছিলেন। আর কোভিডের পর থেকে বলিউডের কেমন হল ছিল আপনারা সবাই জানেন। প্রত্যেক সিনেমা বয়কট হচ্ছিল। প্রায় 5 বছর গ্যাপ নিয়ে শাহরুখ এ বছরের প্রথমে পাঠান আনলেন যেটা ইন্ডাস্ট্রি হিট। এই সিনেমাও প্রচুর বয়কট হচ্ছিল। কিন্তু তারপরেও 1000 কোটির উপরে কালেকশন আনলো পাঠান। তারপর থেকে বয়কট গ্যাংয়ের আর দেখাই পাওয়া যাচ্ছেনা। জওয়ান ও সেই পথেই চলছে। অনেকে বলতো শাহরুখ খান ফ্লপ স্টার। এই কথা দিয়ে শাহরুখ খান যেনো তাদেরকেই আসলে বোঝাতে চাইলো তার Stardom যারা বোঝেনি তারা আসলে আব্রামের বয়সের, বাচ্চা, আরিয়ান সুহানার বয়সের বা তাদের থেকে বেশি বয়সের লোকেরা জানে যে শাহরুখ খান আসলে কি। আর সত্যিই একই বছরে পর পর দুটো 1000 কোটি ইনকামের সিনেমা দিল। সামনে ডানকি আসছে আর আপনারা রাজকুমার হিরানির সিনেমার ধরন আর মান নিশ্চয় জানেন। আশা করি সেটাও বক্সঅফিসে ভালো করবে। আজ সকাল এগারোটায় আসতে চলেছে তার টিজার। দেখে জানাবেন কেমন লাগলো।

সাধারণ স্টার আর মেগাস্টারের মধ্যে এটাই হয়তো পার্থক্য , যে এক বা দুই বছর না 5-10 বছর পরেও সিনেমা আনলে প্রথম দিনের কালেকশন রেকর্ড ব্রেক করবে, ব্যালকনিতে দাঁড়িয়ে হাত তুললে মানুষের ভিড় উপচে পড়বে।

Happy Birthday King - Shah Rukh Khan

23/10/2023

📌ইনকিলাব জিন্দাবাদ!! এই শব্দ দুটি শুনলে কেমন গায়ে কাঁটা দিয়ে ওঠে তাই না? এই শব্দ দুটি জনপ্রিয় করেন আমাদের স্বাধীনতা সংগ্রামী ভগৎ সিং। ১৯৩১ সালের ২৩শে মার্চ নির্ধারিত সময়ের আগেই বিপ্লবী ভগৎ সিংএর ফাঁসি হয়। আপনি কি জানেন তাঁর এই ফাঁসি বেআইনি ছিল? শুনে অবাক হলেন? যে ব্রিটিশ সরকারের আমলেও ফাঁসি কি করে বে আইনি হয়? তাহলে আরো একটা কথা শুনলে আরো অবাক হবেন যে মহাত্মা গান্ধী ভগৎ সিং এর ফাঁসি রোধ করার জন্য চেষ্টা করেছিলেন শেষ দিন পর্যন্ত। অথচ তাদের মধ্যে মতাদর্শের প্রচুর অমিল ছিল। মহাত্মা গান্ধী ছিলেন অহিংসা বাদী, আর ভগত সিং ছিলেন সহিংস বিপ্লবী। আসুন আজকের এই পোস্টে হোয়াটসঅ্যাপ এ ফরোয়ার্ড হওয়া ভুয়ো গল্পঃ বাদ দিয়ে ভগৎ সিং এর আসল ইতিহাস ও রহস্য জানা যাক।

🔵ভগৎ সিং 27 সেপ্টেম্বর 1907 সালে একটি পাঞ্জাবী শিখ পরিবারে জন্মগ্রহন করেছিলেন পাঞ্জাবের বাঙ্গা নামের একটি গ্রামে যেটি তখনকার ব্রিটিশ ভারত এবং বর্তমানে পাকিস্তান। ভগৎ সিং- এর বাবা কিষান সিং এবং তার চাচা অজিত সিং তখনকার সময়ে রাজনীতিতে সক্রিয় ছিলেন। 1907 সালে Canal Colonization Bill এবং পরে 1914 সালের গদর আন্দোলনেও তারা যোগ দিয়েছিলেন।

🔥4ই সেপ্টেম্বর ১৯২০ সাল। মহাত্মা গান্ধী অসহযোগ আন্দোলন শুরু করেন। 1923 সালে ভগৎ সিং লাহোরের ন্যাশনাল কলেজে যোগদান করেন, যা দুই বছর আগে অসহযোগ আন্দোলনের অংশ হিসাবে লালা লাজপত রায় তৈরি করেছিলেন, এটি ভারতীয় ছাত্রদের ব্রিটিশ ভারত সরকার কর্তৃক ভর্তুকি দেওয়া স্কুল ও কলেজগুলি পরিত্যাগ করার ডাক দেয়। ভগৎ সিং, চন্দ্রশেখর আজাদের মত বিপ্লবীরা মহাত্মা গান্ধীর সাথে এই অসহযোগ আন্দোলনে অংশগ্রহণ করেন। কিন্তু 1922 সালের ফেব্রুয়ারিতে, চৌরিচৌরা ঘটনা হিংসাত্মক রূপ নেয়। সহিংসতার এই ঘটনার কথা শুনে, মহাত্মা গান্ধী অবিলম্বে এই আন্দোলন বন্ধ করার আহ্বান জানান।" কারণ তিনি হিংসার বিরুদ্ধে ছিলেন। কিন্তু এটা করার ফলে অনেক বিপ্লবী হতাশ হয়ে পড়েন। অনেক স্বাধীনতা সংগ্রামী আলাদা আলাদা দল তৈরি করেন। 1926 সালে, ভগত সিং নওজওয়ান ভারত সভা প্রতিষ্ঠা করেন। এটি ছিল ভারতের প্রথম দিকের বামপন্থী সংগঠনগুলির মধ্যে একটি।
পরে তিনি হিন্দুস্তান রিপাবলিকান অ্যাসোসিয়েশনে যোগ দেন। 1928 সালে এটি হিন্দুস্তান রিপাবলিকান সোশ্যালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনে পরিনত হয়।

💥সেই বছরই মানে 1928 সালে, সাইমন কমিশনের বিরুদ্ধে সত্যাগ্রহ চলছিল। সত্যাগ্রহের সময়ে পুলিশ সুপার জেমস স্কট, লাঠিচার্জের নির্দেশ দেন। সেখানে একজন ছিলেন স্বাধীনতা সংগ্রামী লালা লাজপত রায়। সেখানে তিনি আহত হন। আর পরে সেই ক্ষতের কারণেই তিনি শহীদ হন। এই ঘটনা নিজের চোখে দেখেছিলেন ভগৎ সিং। হত্যার বদলা নিতে 1928 সালের ডিসেম্বরে, তিনি এবং তার কমরেডরা স্কটকে হত্যা করার সিদ্ধান্ত নেন। কিন্তু এখানে তাদের একটু ভুল হয়, তারা ভুল করে সহকারী পুলিশ সুপারকে হত্যা করে। তিনি ছিলেন 21 বছর বয়সী, জন স্যান্ডার্স। এই ঘটনার সময় একজন ভারতীয় পুলিশ কনস্টেবল চরণ সিং যিনি ব্রিটিশদের হয়ে কাজ করতেন রাজগুরু ও ভগৎ সিংকে ধরতে ছুটে যায় কিন্তু চন্দ্রশেখর আজাদ আত্মরক্ষা হিসাবে তাকেও গুলি করে। এই পুরো ঘটনাটিকে লাহোর ষড়যন্ত্র মামলা বলা হয়।

💥এরপরে 1929 সালের এপ্রিল মাসে আরো একটি ঘটনা ঘটে।ভগৎ সিং ও বটুকেশ্বর দত্ত সেন্ট্রাল অ্যাসেম্বলিতে বোমা ফেলে। সরকার সে সময় কেন্দ্রীয় পরিষদে দুটি বড় বিল পাস করছিল। জননিরাপত্তা বিল এবং বাণিজ্য বিরোধ বিল। সরকারের বিরুদ্ধে যেকোনো ধরনের প্রতিবাদ আন্দোলন বৃটিশ সরকার বেআইনি করে দেওয়ার জন্য এই বিল। সেই সভায় ভগত সিং এবং বটুকেশ্বর দত্ত আসেন এবং সভার মাঝখানে একটি বোমা ফেলে। এবং স্লোগান দেয়। ইনকিলাব জিন্দাবাদ। সেখানে তারা বোমা ফেলার পরও পালিয়ে না গিয়ে সারেন্ডার করে। তারা এই বোমা ফেলে কাউকে হত্যা করতে চায়নি।বোমার আঘাতে ছয়জন সামান্য আহত হয়েছিল।আর কেউ নিহত হয়নি । গ্রেফতারের পর ১৯২৯ সালের ৭ মে তাদের বিচার শুরু হয়। সরকার ভগৎ সিং কে ফাঁসাতে তার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ আনেন।
আদালতে ভগৎ সিং কিছু আইনি পরামর্শ নিয়ে নিজের প্রতিনিধিত্ব করেন। আর বটুকেশ্বর দত্তের প্রতিনিধিত্ব করেন কংগ্রেস সদস্য ও বিশিষ্ট আইনজীবী আসিফ আলী। প্রায় 1 মাস পরে, ব্রিটিশ আদালত তাদের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়। 14 বছরের জেল। এর সাথে সাথে স্যান্ডার্স হত্যার জড়িত প্রমাণ ও পাওয়া যায়। শিব ভার্মা, জয়দেব কাপুর, রাজগুরু এবং অন্যান্য বিপ্লবীদের গ্রেফতার করা হয়।" ভগৎ সিং যখন জেলে ছিলেন, ব্রিটিশরা লাহোর এবং সাহারানপুর বোমা কারখানা খুঁজে পায়। এই কারখানা Hindustan Socialist Republican Association এর সাথে যুক্ত বিপ্লবীরা তৈরি করেছিলেন। যে বিপ্লবীদের গ্রেফতার করা হয়েছিল তাদের মধ্যে কয়েকজন ব্রিটিশ সরকারের চাকরে পরিণত হয় এবং সবকিছু বলে দেয়।

ভগৎ সিং যিনি আগে থেকেই জেলে ছিলেন সেন্ট্রাল আসেম্বলির বোমা হামলার জন্য, তিনি আবার স্যান্ডার্স হত্যার জন্য আবার দোষী সাব্যস্ত হন এবং তাঁকে অন্য কারাগারে স্থানান্তর করা হয়।
সেই জেলে থাকাকালীন তাকে যেনো রাজনৈতিক বন্দী হিসেবে দেখা হয় আর সব বন্দীর প্রতি সমান আচরণের দাবি জানান তিনি। ভালো খাবার, ভালো পোশাক, বই এবং তাদের সবাইকে দৈনিক সংবাদপত্র দেওয়া উচিত, এমন দাবিও জানান তিনি। কিন্তু ব্রিটিশরা চেয়েছিল ভগৎ সিংকে একজন সাধারণ হিংস্র অপরাধী ও দেশদ্রোহী হিসেবে বিবেচনা করা হোক। যেমন করে এখন করা হয় , কেউ সরকারের বিরুদ্ধে কিছু বললেই তাকে দেশ দ্রোহী বানিয়ে দেওয়া হয়, আর সঙ্গ দেয় মিডিয়াও। যাই হোক এই দাবি না মানায় জন্য ভগৎ সিং আমরণ অনশন শুরু করেন । এই খবর সংবাদ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে এবং তিনি হয়ে ওঠেন দেশের জাতীয় আইকন। দিন দিন, অনশন দীর্ঘ হওয়ার সাথে সাথে, ভগৎ সিং-এর জনপ্রিয়তা বাড়তে থাকে।
ভাইসরয় আরউইন এই বিষয়টা খুব তাড়াতাড়ি মেটাতে চাইছিল। এই কারণেই সন্ডার্স হত্যার বিচার শুরু হয়েছিল 1929 সালের জুলাই মাসে।বিপ্লবীরা নিজেদের বিচার বয়কট করার সিদ্ধান্ত নেন।১৯২৯ সালের ১৩ই সেপ্টেম্বর অনশনের ৬৩ দিন পর যতীন্দ্রনাথ দাস শহীদ হন। সুভাষ চন্দ্র বসু তাঁর মরদেহ কলকাতায় নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করেন। সেখানে তার শেষ কৃত্যে 500,000 মানুষ অংশ নিয়েছিল।" কিন্তু এর পরেও লাহোর বন্দীদের সাথে অমানবিক আচরণের বিরুদ্ধে ভগৎ সিং অনশন চালিয়ে যান। অনশনের 116 দিন পর, 1929 সালের 5ই অক্টোবর তিনি তার ধর্মঘট শেষ করেন। এটি বিশ্বের দীর্ঘতম অনশন ।এর ফলে ভগৎ সিংয়ের গল্প ভারত ছেড়ে সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ে।
কিন্তু চার বিপ্লবী জয় গোপাল, হংস রাজ ভোহরা, ফনীন্দ্র নাথ ঘোষ এবং মনমোহন ব্যানার্জি ব্রিটিশ সরকারের দেখানো লোভে পড়ে বিচারে সবাই ভগৎ সিংয়ের বিরুদ্ধে কথা বলে। ভাইসরয় বিচারের জন্য বিশেষ ট্রাইব্যুনাল গঠন করে।

🔵এরপরেই 1930 সালের 4 মে মহাত্মা গান্ধী ভাইসরয়কে চিঠি লিখে এই বিচার প্রক্রিয়ার সমালোচনা করেন। কিন্তু সেই সমালোচনা মূলক চিঠির কোনো গুরুত্ব না দিয়েই তিন দিন পর ১৯৩০ সালের ৭ই অক্টোবর জন সন্ডার্স এবং চরণ সিং হত্যা মামলায় ভগৎ সিং, রাজগুরু ও সুখদেবকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয় এবং বটুকেশ্বর দত্তকে সভায় বোমা হামলার ঘটনায় 14 বছরের জন্য কালা পানিতে পাঠানো হয়েছিল। এই মৃত্যু দণ্ডের রায়ের সপক্ষে ব্রিটিশ পার্লামেন্টের সমর্থন ছিলনা। তাই এই রায় অনেকটাই বেআইনি ছিল। ভগৎ সিং একজন বিপ্লবী হিসাবে সারা বিশ্বে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছিল। তার মৃত্যু দণ্ডের আদেশের বিরুদ্ধে জীবন বাঁচানোর দাবি জানিয়ে শুধু ভারতই নয় ,বিদেশ থেকেও ভাইসরয়ের কাছে আবেদন আসে । 31শে জানুয়ারী 1931 সালে মহাত্মা গান্ধী এলাহাবাদে আবার এই মৃত্যু দণ্ডের বিরুদ্ধে ভাষণ দেন। 18ই ফেব্রুয়ারি মহাত্মা গান্ধী আরউইনের সাথে দেখা করেন এবং তাকে বলেছিলেন যে তিনি যদি চান দেশের পরিস্থিতি তার অনুকূলে থাকুক, তাহলে তার উচিত ভগত সিংয়ের ফাঁসি স্থগিত করা। আরউইন এর সেক্রেটারি এ বিষয়ে বলেছিলেন মহাত্মা গান্ধী প্রথমে ফাঁসি স্থগিত করার চেষ্টা করেছিলেন এবং যখন পরিস্থিতি ঠিক হবে তখন আর যাতে সময় পাওয়া যায় ফাঁসির আদেশ বাতিল করার।তাই প্রথমে এটি স্থগিত করা ছিল সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। মহাত্মা গান্ধী আসিফ আলীকে লাহোরে পাঠান যাতে তিনি ভগৎ সিং এর সাথে কথা বলে তাদের অঙ্গীকার করাতে পারেন যে তারা মানে ভগৎ সিং এবং তার কমরেডরা সহিংসতা ত্যাগ করে। কিন্তু ভগৎ সিং নিজেই চাইতেন যাতে তাকে সব থেকে বড় শাস্তিই দেওয়া হয়। তিনি আসিফ আলীকে না বলে ফিরিয়ে দেন। ১৭ই মার্চ নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসু আজাদ ময়দানে এক বিশাল সমাবেশে বক্তব্য রাখেন।জনগণের সামনে তিনি সেই দাবি তুলে ধরেন ভগৎ সিং-এর ফাঁসি স্থগিত করা হোক। পরের দিন ১৮ই মার্চ ভগৎ সিং-এর পক্ষের আইনজীবী প্রাণ নাথ মেহতা ভগত সিং, রাজগুরু এবং সুখদেবকে অনুরোধ করেন যাতে তারা ক্ষমার আবেদন লেখে । ভগৎ সিং দরখাস্ত লেখেন। কিন্তু ক্ষমা চাওয়ার বদলে যাতে তাকে ফাঁসিতে ঝুলানোর বদলে গুলি করে মৃত্যু দণ্ড দেওয়া হয় এমন দাবি জানালেন।
পরের দিন ১৯শে মার্চ, মহাত্মা গান্ধী আবার আরউইনের সাথে দেখা করলেন ভগৎ সিংয়ের ফাঁসি বন্ধ করার জন্য। কিন্তু ভাইসরয় কোনো ভাবেই রাজি হননি। পরের দিন বিশে মার্চ, মহাত্মা গান্ধী স্বরাষ্ট্র সচিব হার্বার্ট এমারসনের সাথে দেখা করেন। কিন্তু সেই চেষ্টাও ব্যর্থ হয়। পরের দিন ২১শে মার্চ আবার তিনি ভাইসরয় আরুইনের সাথে দেখা করেন। কিন্তু এবারেও ভাইসরয় রাজি হননি। 23শে মার্চ সকালে মহাত্মা গান্ধী আবার আরউইনের কাছে চিঠি লিখেছিলেন। এবারেও তিনি ব্যর্থ হন।

✨যে জায়গায় এই ফাঁসির অর্ডার 24 তারিখে হওয়ার কথা ছিল, সেটা 11 ঘণ্টা আগিয়ে নিয়ে আসা হয়, 23শে মার্চ সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায় লাহোর জেলে রাজগুরু, সুখদেব এবং ভগৎ সিংকে ফাঁসি দেওয়া হয়। তারা ভারতের জন্য শহীদ হয়ে যান। ব্রিটিশ সরকার আশঙ্কা করেছিলো যে , ভগৎ সিং এর সমর্থকেরা ফাঁসির দিন জেলের সামনে আন্দোলন করতে পারে। তাই ব্রিটিশ সরকার আগের দিন সন্ধ্যায় এই মৃত্যু দন্ড কার্যকর করে।

অনেকেই মনে করেন যেহেতু মহাত্মা গান্ধী আর ভগৎ সিং এর মতাদর্শের পার্থক্য ছিল, তাই হয়তো তিনি ভগৎ সিংকে বাঁচানোর কোনো চেষ্টাই করেননি। কিন্তু সুভাষ চন্দ্র বসু, মহাত্মা গান্ধী থেকে শুরু করে জহরলাল নেহেরু প্রত্যেকেই চেষ্টা করেছিলেন। যারা আসলেই দেশ স্বাধীন করতে চেয়েছিলেন তাদের মধ্যে মতাদর্শের পার্থক্য থাকলেও একে অপরের প্রতি সম্মান ছিল প্রচুর। তাই আজকের সময়ের হোয়াটস অ্যাপে ফরোয়ার্ডেড ম্যাসেজের উপরে ভরসা না করে বই পড়ুন।

এরকম আরো তথ্যমূলক পোস্ট নিয়মিত দেখতে আমাদের পেজটি ফলো করুন। IndiaVerse ।

আমরা এমন তথ্যমূলক ভিডিও ইউটিউবে পোস্ট করে থাকি। আপনারা সাবসক্রাইব করতে পারেন।
Link- https://youtube.com/-?si=fdZCSqdrl1OxubPS

#ইতিহাস #শিক্ষা #শিক্ষা #বিপ্লবী #স্বাধীনতা #ইতিহাসেরঘটনা #রহস্য

12/10/2023

ইসরায়েল প্যালেস্টাইনের রাজনৈতিক ইতিহাস! HAMAS কি ?

ইজরায়েল প্যালেস্টাইনে এই মুহূর্তে যুদ্ধের পরিস্থিতি। কয়েক হাজার বছর ধরে চলে আসা এই সমস্যার সমাধান পুরো পৃথিবীর সব দেশ মিলেও এখনও করতে পারেনি। জেরু সালেম এমন এক জায়গা যা তিন ধর্মের মানুষেরা নিজের করে রাখতে চায়। তাদের ধর্মীয় বিশ্বাস ও ইতিহাস আমি আগের ভিডিওতে আলোচনা করেছি সেটি আপনি না দেখে থাকলে প্লিজ সেটা আগে দেখুন এই i বাটনে ক্লিক করে, বা লিংক description বক্সে আছে। এই ভিডিওটিতে এবারে আলোচনা করা হবে ইহুদীদের নিজেদের আলাদা দেশের দাবি, প্যালেস্টাইন দখল, যেকোনো যুদ্ধে তাদের অপরাজিত থাকার ইতিহাস এবং ভারতের স্ট্যান্ড কি সে বিষয়ে।

১৮৯১ সালে "লিওন পিন্সকার" একটি বই লিখেছিলেন যেখানে তিনি ইউরোপে ইহুদীদের উপরে অত্যাচারের কথা বলেন । তিনি লেখেন যে ইহুদিদের নিজেদের ভাগ্য নিজেদেরই লিখতে হবে
এবং ইহুদিদের জন্য স্বাধীন রাষ্ট্র তৈরি করতে হবে।
এসব নিয়ে ইহুদিরা একটি আন্দোলন শুরু করে যা "Zionism" নামে পরিচিত ছিল।
কিভাবে ভাগ হয়েছিল প্যালেস্টাইন?

° ইসরায়েল প্যালেস্টাইনের ধর্মীয় ইতিহাস! আল্ আকসা মসজিদ।
লিংক - https://youtu.be/8w9U47ZyZ8M?si=Kc_c1GOpxIIIjsSb

° দেশ ভাগ ১৯৪৭! কেনো ও কিভাবে ?
লিংক - https://youtu.be/Xh3rhwpiCCI?si=VJi8gKy5G6Jtrz1g

° G20 বা G7 SUMMIT এর ইতিহাস !
লিংক - https://youtu.be/kwjkCD8wZp4?si=gSdqohh68sRNrKzJ

° প্রথম বিশ্ব যুদ্ধের কালো ইতিহাস
লিংক - https://youtu.be/nrwyxUVlSGY?si=mwlikUNF0yAiQMvt

✓এই ভিডিওতে প্রচারিত সকল তথ্য ওয়েবসাইট / বই / জার্নাল / ম্যাগাজিন / জাতীয় ও আন্তর্জাতিক মিডিয়া / প্রামাণ্যচিত্র থেকে সংগৃহীত।

✓এই ভিডিওতে কিছু ছবি দেওয়া ব্যক্তি, সময় বা স্থানকে বোঝায় না, শুধু মাত্র দৃশ্যের শূণ্যতা পূরন করতে ব্যবহার করা হয়েছে।

✓Video credits:
I frankly admit that in this video some photos and clips are used, which are not mine. These are all taken for educational purpose only, under YouTube fair use policy. So thanks to all respected owners!

Follow On Facebook - https://www.facebook.com/IndiaVerse2?mibextid=ZbWKwL

Subscribe - https://youtube.com/-?si=2tAmoFwqPPbtbnp1

#ইসরাইল #ফিলিস্তিন #ইতিহাস #রাজনীতি

11/10/2023

ইসরায়েল প্যালেস্টাইন দ্বন্দ্বের ধর্মীয় ইতিহাস ! আল্ আকসা মসজিদ।

7ই অক্টোবর 2023, শনিবার ইজরায়েলে ইহুদিদের সব থেকে পবিত্র দিনে হামাস 5000 রকেট নিক্ষেপ করেছে যার উত্তরে ইসরায়েল "যুদ্ধ অবস্থা" ঘোষণা করেছে। যদিও ইজরায়েলের সুরক্ষা ব্যবস্থা সব থেকে উন্নত। তাদের "Iron Dome " অনেক শত্রুরকেট আকাশেই নষ্ট করে দেয় তবুও এখনো পর্যন্ত ১০০০ এরও বেশী নিহত হয়েছে এবং কয়েক হাজারেরও বেশি আহত হয়েছে। হামাস এই হামলার নাম দিয়েছে আল আকসা স্টর্ম। এটা শুধূ আজকে নয় প্রায় সময়েই ইজরায়েল প্যালেস্টাইনের মধ্যে এমন উত্তেজনাপূর্ণ পরিস্থিতি তৈরি হয়, 2 বছর আগেও এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। শুধু 2 বছর বা 75 বছর না এটি প্রায় কয়েক হাজার বছরের একটি সমস্যা যা এই 2023 সালে এসে পুরো পৃথিবীর সব দেশ মিলেও সমাধান করতে পারেনি। তাহলে আপনি নিশ্চয় বুঝতে পারছেন এটি ঠিক কতটা জটিল সমস্যা? আসুন আজকের এই ভিডিওর মাধ্যমে একটু সহজে তা বোঝার চেষ্টা করি, এর ইতিহাস কি? কিজন্য তিনটি ধর্মের মানুষ এই একটা জায়গায় জন্য এত বছর ধরে লড়াই করছে? সাথে এটাও বোঝার চেষ্টা করি যে ইজরায়েল ভারতের প্রায় প্রতিটা যুদ্ধ অস্ত্র দিয়ে সাহায্য করলেও কেনো ভারতসরকার ইজরায়েল কে সমর্থন না করে প্যালেস্টাইনকে সমর্থন করে? শুনে অবাক হলেন ? তাহলে ভিডিওটি পুরো দেখুন।What is AL AQSA MOSQUE? কি ভাবে তৈরি করা হয়েছিল আল আকসা মসজিদ? ইসরায়েল প্যালেস্টাইন এর ধর্মীয় ইতিহাস।কেনো জেরুজালেম খ্রিস্টান, মুসলিম ও ইহুদীদের কাছে এত গুরুত্বপূর্ণ?

✓এই ভিডিওতে প্রচারিত সকল তথ্য ওয়েবসাইট / বই / জার্নাল / ম্যাগাজিন / জাতীয় ও আন্তর্জাতিক মিডিয়া / প্রামাণ্যচিত্র থেকে সংগৃহীত।

✓এই ভিডিওতে কিছু ছবি দেওয়া ব্যক্তি, সময় বা স্থানকে বোঝায় না, শুধু মাত্র দৃশ্যের শূণ্যতা পূরন করতে ব্যবহার করা হয়েছে।

✓Video credits:
I frankly admit that in this video some photos and clips are used, which are not mine. These are all taken for educational purpose only, under YouTube fair use policy. So thanks to all respected owners!

Subscribe - -

#ইজরায়েল #ইতিহাস #শিক্ষা

09/10/2023

🇮🇱 ইজরায়েল - প্যালেস্টাইনের সমস্যার কারনে আজ পর্যন্ত যেসব যুদ্ধ hoyeche-

• War of Independence (1947-1949) 🇮🇱 - 🇪🇬 🇮🇶 🇯🇴 🇸🇾 🇱🇧 🇸🇦 🇾🇪 🇵🇸
• Sinai War (1956) 🇮🇱 🇬🇧 🇫🇷 - 🇪🇬
• Six-day War (1967) 🇮🇱 - 🇪🇬 🇸🇾 🇯🇴 🇮🇶
• War of Attrition (1967-1970) 🇮🇱 - 🇪🇬 ☭ 🇵🇸 🇯🇴
• Yom Kippur War (1973) 🇮🇱 - 🇪🇬 🇸🇾 🇯🇴 🇮🇶 🇩🇿 🇲🇦 🇸🇦
• Operation Litani (1978) 🇮🇱 🇱🇧 FLA - 🇵🇸
• First Lebanon War (1982-1985) 🇮🇱 🇱🇧 SLA - 🇵🇸 🇸🇾 🇱🇧 Jammoul, Amal
• Security Zone Campaign (1985-2000) 🇮🇱 🇱🇧 SLA - 🇱🇧 Jammoul, Amal, Hezbollah
• First Intifada (1987-1993) 🇮🇱 - 🇵🇸 UNLU, Hamas
• Second Intifada (2000-2005) 🇮🇱 - 🇵🇸 PA, Hamas
• Second Lebanon War (2006) 🇮🇱 - 🇱🇧 Hezbollah
• Operation Cast Lead (2008-2009) 🇮🇱 - 🇵🇸 Hamas
• Operation Pillar of Defense (2012) 🇮🇱 - 🇵🇸 Hamas
• Operation Protective Edge (2014) 🇮🇱 - 🇵🇸 Hamas
• Israel-Palestine crisis (2021) 🇮🇱 - 🇵🇸 Hamas
• Israel-Palestine crisis (2023-) 🇮🇱 - 🇵🇸 Hamas

08/10/2023

ছবিটিতে দেখা যাওয়া অর্ধ শুয়ে থাকা ব্যক্তিটি হলেন ঈশ্বর চন্দ্র বিদ্যাসাগর। আপনি কি জানেন ছবিটি তার মৃত্যুর পরে তোলা হয়েছিল ? কি এমন হয়েছিলো যে মৃত্যুর পরেও এমন ভাবে ছবি তুলতে হল ! তার শেষ জীবন অত্যন্ত কষ্টে কেটেছিল। বাবা কাশীতে চলে গিয়েছিলেন অভিমানে। মা সেখানেই কলেরায় মারা গিয়েছেন। একমাত্র ছেলেকে ত্যাজ্য পুত্র করেছেন।। কিন্তু দয়ার সাগর যাকে বলা হয় তারই পরিবারে এত সমস্যা ছিল? কিন্তু কেনো ? আজকের এই পোস্টের মাধ্যমে ঈশ্বর চন্দ্র বিদ্যাসাগরের শেষ জীবন , তার পারিবারিক সমস্যা এবং এই ছবির রহস্যটা কি তা সব কিছু আলোচনা করবো।।

প্রথমেই ঈশ্বর চন্দ্র বিদ্যাসাগরের পরিবার সম্পর্কে একটু বলে নেওয়া যাক। ঈশ্বরচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়
২৬ সেপ্টেম্বর ১৮২০ সালে হুগলী জেলার বীর সিংহ গ্রামে জন্ম গ্রহণ করেন। বাবা ঠাকুরদাস বন্দ্যোপাধ্যায় এবং মা ভগবতী দেবী। এছাড়াও বিয়ে করেছিলেন দীনময়ী দেবীকে এবং একমাত্র পুত্র সন্তান নারায়ণচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়।
এরপরে তার সমাজ সেবামূলক কাজের বিষয়ে আপনার জানা দরকার।
রাজা রামমোহন রায়ের পরে তিনিই নিজের সব কিছু উৎসর্গ করেছিলেন নারী শিক্ষা, নারী অধিকার , আর গরীব মানুষদের সাহায্যের উদ্দেশ্যে।

ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর গ্রামে নারি শিক্ষা বিস্তারের জন্য নিজে ১৮৫৭ খ্রীস্টাব্দে বর্ধমান জেলার জৌগ্রামে একটি বালিকা বিদ্যালয় স্থাপন করে।
ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের একটি স্মরণীয় কাজ হল বালিকাদের জন্য বেথুন বিদ্যালয় গড়ে তোলা। তৎকালীন শিক্ষা কাউন্সিলের সভাপতি মি: ডি ডব্লিউ বেথুনের সাহায্য নিয়ে ১৮৪৯ সালে মেয়েদের একটি অবৈতনিক – ধর্মনিরপেক্ষ বিদ্যালয় স্থাপন করেন। যার নাম দেন ‘কলিকাতা বালিকা বিদ্যালয়’ পরবর্তী কালে বেথুন সাহেবের নামানুসারে এই বিদ্যালয়ের নামকরণ করেন ‘বেথুন বালিকা বিদ্যালয়’।
১৮৫০ সালে বিদ্যাসাগর মহাশয় নিজে স্কুলটির সম্পাদকের দায়িত্ব নেন। ওই সময় তাঁর অনুরোধে সেই সময়ের অভিজাত ব্যক্তি মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুরের মেয়ে সহ তারানাথ বাচস্পতি ও শম্ভুনাথ পন্ডিতের মেয়েরা ভর্তি হন।
১৮৫৭ সালের প্রথমাংশে বাংলার প্রথম ছোটলাট হয়ে হ্যালিডে সাহেব আসেন। হ্যালিডে সাহেবের সাথে কথা বলে বিদ্যাসাগর ঠিক করেন, যে গ্রামের অধিবাসীরা বিদ্যালয়ের জন্য স্থান দিতে পারবে সে গ্রামে বিদ্যালয় স্থাপন করা হয়।
এ পরিকল্পনা অনুযায়ী ১৮৫৮ সালে মেদিনীপুর জেলায় ৩টি, বর্ধমান জেলায় ১১টি, হুগলী জেলায় ২০টি, নদীয়া জেলায় ১টি সহ মোট ৩৫টি বালিকা বিদ্যালয় স্থাপন করেন তিনি।
তিনি আশা করেছিলেন যে এই বিদ্যালয় গুলি আর্থিক সাহায্য পাবে। কিন্তু বছর ঘুরতো না ঘুরতে তিনি বুঝতে পারলেন যে, ভারত সরকার আর্থিক সাহায্য নিয়ে এগিয়ে আসতে অনিচ্ছুক। তখন তিনি বিদ্যালয় গুলির আর্থিক সমস্যা সমাধানের জন্য ‘নারী শিক্ষা ভান্ডার’ নামে একটি অর্থ ভান্ডার গঠন করেছিলেন।

ঈশ্বর চন্দ্র বিদ্যাসাগরের সব থেকে গুরুত্বপূর্ন কাজের মধ্যে একটি হলো বিধবা বিবাহ। ১৮৫৬ সালে বিধবা বিবাহ প্রস্তাব বের হওয়ার পর থেকে বিদ্যাসাগরের বিরুদ্ধে কট্টর পন্থীরা ঘোর আন্দোলন আরম্ভ করে। কিন্তু তারপরেও অনেক সময়ই নিজের খরচে তিনি অনেক বিধবাদের বিয়ে দিয়েছিলেন। তখনকার সময়ে তিনি প্রায় 82 হাজার টাকা খরচ করেছিলেন শুধু মাত্র বিধবাদের বিয়ে দেওয়ার জন্য।
এবারে তার পারিবারিক সমস্যার বিষয়ে বলা যাক। সমাজ সেবার পাশাপাশি তিনি অত্যন্ত জেদী মনোভাবের ছিলেন , একটুপরে এর অনেক প্রমাণই পাবেন।
ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের দুই ভাই হরচন্দ্র ও হরিশ্চন্দ্র পর পর দু'বছরে কলকাতায় থাকাকালীন কলেরা রোগে মারা যান। হরিশ্চন্দ্র মারা যাওয়ার পরেই অনেকটা ভয়েই বিদ্যাসাগরের বাবা ঠাকুরদাস , নাতি নারায়ণকে আর কখনো কলকাতায় পাঠাবেন না বলে ঠিক করেন। বিদ্যাসাগরের স্ত্রী দীনময়ী দেবীও থাকতেন গ্রামের বাড়িতেই। কিন্তু ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর চাইতেন যাতে ছেলে গ্রামে না থেকে কলকাতায় এসে ভালোভাবে পড়াশোনা করুক। তাই বাবাকে অনেক বোঝালেন কিন্তু তারপরেও বাবার সিদ্ধান্তের পরিবর্তন করতে পারলেন না।
ষোলো বছর বয়সেও নারায়ণ চন্দ্র গ্রামের পাঠশালায় পড়াশোনা করতেন। দাদুর অতিরিক্ত ভালোবাসায় ছেলে ঠিকমত পড়াশোনা করছে না, মানুষ ও হচ্ছেনা দেখে রাগে তিনি বাবা ঠাকুরদাস বন্দোপাধ্যায়কে চিঠি লিখেছিলেন “আপনি ঈশান ও নারায়ণের মাথা খাইতেছেন, তথাপি আপনি লোকের নিকট কিরূপে আপনাকে নিরামিষাশী বলিয়া পরিচয় দেন?”
এরপরে নারায়ণকে তিনি এক রকম জোর করেই কলকাতায় নিয়ে এসে সংস্কৃত কলেজের ভর্তি করে দেন। কিন্তু নারায়ণ সেখানে পড়েছিলেন মাত্র কয়েক মাস। কিছু দিন পরেই পালিয়ে গ্রামে ফিরে যান।

১৮৬৬ সালের শেষ দিকে মিস মেরি কলকাতায় এসেছিলেন। মেরি স্ত্রীশিক্ষা নিয়ে খুবই আগ্রহী ছিলেন। সেই সূত্রে বেথুন স্কুলে পরিচয় হল বিদ্যাসাগরের সঙ্গে। সেই সময়ে বিদ্যাসাগরকে সঙ্গে নিয়েই বিভিন্ন স্কুল ঘুরে দেখতেন তিনি। ১৮৬৬ সালের ১৬ ডিসেম্বর উত্তরপাড়ায় মেয়েদের একটি স্কুল দেখে ফিরছেন বিদ্যাসাগর। অন্য গাড়িতে আছেন মেরি, এবং ইন্সপেক্টর অব স্কুলস উড্রো সাহেব। বালি স্টেশনের কাছে যে গাড়িতে বিদ্যাসাগর ছিলেন সেটা হঠাৎ উলটে গেল। অজ্ঞান হয়ে গেলেন তিনি। কলকাতায় আনা হলে ডা. মহেন্দ্রলাল সরকার জানালেন, লিভারে প্রচণ্ড আঘাত লেগেছে ও অ্যাবসেস দেখা দিয়েছে। দীর্ঘ চিকিৎসার পর ব্যথা কিছু কমলেও তিনি কোনও দিনই আর সুস্থ হননি।

বাবা ১৮৬৫ সালে কাশীতে চলে গিয়েছিলেন। আর তার কিছু বছর পরেই তিনিও পুরোপুরিভাবে বাড়ি ছেড়ে চলে যান অভিমানে।
সালটা ১৮৬৯। ক্ষীরপাই গ্রামের মুচীরাম বন্দ্যোপাধ্যায়ে র সাথে বিধবা মনমোহিনীর বিয়ে। এই বিয়ের খবরে গ্রামে এলেন ঈশ্বরচন্দ্র। ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের সঙ্গে, দেখা করে হালদারেরা অনুরোধ করলেন, যাতে এ বিয়ে না হয়। ঈশ্বরচন্দ্র কথা দিলেন, এ বিয়ে হবে না। যিনি নিজেই বিধবা বিবাহ শুরু করেছিলেন সে নিজেই এই বিয়ে না হওয়ার জন্য কথা দিয়েছিলেন? কিন্তু কেনো? সে উত্তর পাওয়া যায় না।
কিন্তু তাঁর নিজের ভায়েরাই, বিশেষত দীনবন্ধু ও তাঁর পুত্র নারায়ণচন্দ্র তাদেরকে বিয়ে দেয় ।এমনকি মা ভগবতী দেবী ও স্ত্রী দীনময়ীরও সমর্থন ছিল বলে জানা যায়।
পরের দিনই সবাইকে ডাকলেন বিদ্যাসাগর। সবাইকে বললেন, “আমি আমার কথা রাখতে পারলাম না। লোকের কাছে অপদস্থ হলাম। গ্রাম ছেড়ে চলে যাচ্ছি। আর কখনও এ গ্রামে ফিরবো না।” এই সময়েই তার ভাই শম্ভুচন্দ্র এই ঘটনাকে বিদ্যাসাগরের ‘পশ্চাৎপদতা’ ও ‘কাপুরুষতার পরিচয়’ বলেছিলেন।
আর কারও কোনও কথাই শুনলেন না। এর পরেও বাইশ বছর বেঁচে ছিলেন বিদ্যাসাগর, কিন্তু কোনও দিন আর গ্রামে ফিরে যাননি।
কিন্তু সব থেকে বড় আঘাত পাওয়া হয়তো এখনো বাকি ছিল। ১৮৭০ সালে নিজের সমস্ত পরিবার, স্ত্রী ও নিজের মায়ের মতের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে নারায়ণের বিয়ে দিয়েছেন বিধবা কন্যা ভবসুন্দরীর সঙ্গে । নারায়ণ বিধবা বিয়ে করে যে তাঁর মুখ উজ্জ্বল করেছেন, সে কথা নিজেই জানিয়েছেন বাবা।
কিন্তু একসময় তার উপরে এতটাই রেগে গিয়েছিলেন যে সব সম্পর্ক ছিন্ন করেছিলেন। আসলে মধুসূদন ভট্টাচার্য নামে এক ব্যক্তি মারা যাওয়ার পর তার স্ত্রী বিন্ধ্যবাসিনী দেবীকে তাঁর স্বামীর সম্পত্তির ‘উপস্বত্ত্বভোগ’ থেকে বঞ্চিত করার চেষ্টা চলছিল।
বিদ্যাসাগর জানতে পারেন সেই চেষ্টার প্রধান এক মাথা হলো তারই পুত্র নারায়ণচন্দ্র! এই ঘটনায় তিনি এতটাই দুঃখ পেয়েছিলেন যে ১৮৭২ সালে তিনি একমাত্র পুত্র সন্তান কে ত্যাজ্য ঘোষণা করেন।

১৮৭৫ সালে অভিমানে ক্ষতবিক্ষত হয়ে তিনি আমহারস্ট স্ট্রিটের ৬৩ নম্বর বাড়িতে দোতলার একটি ঘরে বসে নিজের হাতে লিখছেন তাঁর উইল। মাত্র পঞ্চান্ন বছর বয়সেই উইল লিখছেন তিনি। পঁচিশটি অনুচ্ছেদে সম্পূর্ণ এই উইল। নিজের সম্পত্তি থেকে পঁয়তাল্লিশ জনকে প্রতি মাসে টাকা দেওয়া থেকে শুরু করে মায়ের নামে স্কুল ও নানা সমাজ সেবামূলক নির্দেশ ছিল এই উইলে। সব থেকে বিস্ময়কর পঁচিশ নম্বর অনুচ্ছেদ।
“আমার পুত্র বলিয়া পরিচিত শ্রীযুক্ত নারায়ণ বন্দ্যোপাধ্যায় যারপরনাই যথেচ্ছাচারী ও কুপথগামী এজন্য, ও অন্য অন্য গুরুতর কারণবশতঃ আমি তাহার সংশ্রব ও সম্পর্ক পরিত্যাগ করিয়াছি। এই হেতু বশতঃ বৃত্তিনির্বন্ধসথলে তাঁহার নাম পরিত্যক্ত হইয়াছে এবং এই হেতুবশতঃ তিনি চতুর্বিংশধারা নির্দিষ্ট ঋণ পরিশোধকালে বিদ্যমান থাকিলেও আমার উত্তরাধিকারী বলিয়া পরিগণিত অথবা... এই বিনিয়োগ পত্রের কার্যদর্শী নিযুক্ত হইতে পারিবেন না।”
এরপরে বিদ্যাসাগর ষোলো বছর বেঁচেছিলেন, কিন্তু উইলের একটি শব্দও পরিবর্তন করেননি তিনি।

ঈশ্বর চন্দ্র বিদ্যাসাগর যাকে সবাই দয়ার সাগর বলে তার শেষ জীবন কাটছে এভাবেই।
১৮৯১ সালের জুন মাসে বাদুড়বাগানের বাড়িতে থাকা শুরু করলেন তিনি । সেখান থেকে আর তিনি কোথাও বার হতেন না। তখন তার শরীর খুবই খারাপ ছিল।ডাক্তার বার্চ ও ম্যাকনেল ক্যান্সার সন্দেহ করে চিকিৎসার ভার নিতে রাজি হলেন না। চিকিৎসার ভার নিলেন ডা. মহেন্দ্রলাল সরকার। বিদ্যাসাগরকে বাচানোর সব রকমের চেষ্টা তিনি করেছিলেন।
২৯শে জুলাই, ১৮৯১ রাত দু'টো বেজে আঠেরো মিনিটে ঈশ্বর চন্দ্র বিদ্যাসাগর শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেছিলেন।
কারণ হিসাবে বলা হলো লিভারে ক্যান্সার। মনে করুন আমি বলেছিলাম তার অ্যাক্সিডেন্টের কথা, লিভারে আঘাত পেয়েছিলেন। সেই থেকে হয়ত ক্যান্সার আক্রান্ত হয়েছিলেন।
এরপরে আসা যাক শুরুতেই আমি যে ছবিটার কথা বলেছিলাম।
ঈশ্বর চন্দ্র বিদ্যাসাগর মারা যাওয়ার পরে তাঁর শেষ কৃত্য পালনের জন্য শসানে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই মুখে অগ্নি দেওয়ার আগে বিদ্যাসাগরের শেষ ছবি তোলা হয়। ছবিটি তুলেছিলেন শরৎ চন্দ্র সেন। ছবিটি তোলার সময় যাতে মুখ টা ভালোভাবে দেখা যায় তার জন্য শব যাত্রীরা বিদ্যাসাগরকে এমনভাবে উচুঁ করে ধরে। শরৎ চন্দ্র সেন যখন প্রথম ছবি তোলার কাজ শুরু করেছিলেন তখন তার কাজ ভালো চলছিলনা। কিন্তু এই ছবিটি তোলার পর তার ভাগ্য ফিরে যায়। তখনকার সময় এই ছবিটি প্রায় অভিজাত পরিবার তাদের ঘরে এই ছবিটি রাখার জন্য কিনেছিল। তাই শরৎ চন্দ্র সেন বলেছিলেন বিদ্যাসাগর মহাশয় জীবিত থাকা কালীন অনেক মানুষকেই সাহায্য করেছিলেন। কিন্তু মৃত্যুর পরও আমার উপকার করলেন। দিল্লিতে যা লস হয়েছিলো তার চার গুণ লাভ হয়ে গেছে।

এই হলো ঈশ্বর চন্দ্র বিদ্যাসাগরের শেষ জীবনের গল্পঃ ও শেষ ছবির রহস্য। তার বিষয়ে বলতে গেলে মনে পড়ে রবীন্দ্রনাথের সেই উক্তি, “বাঙ্গালী গড়তে গড়তে, বিধাতা যে কি করে একটা ঈশ্বরচন্দ্র বানিয়ে ফেললেন, সেটা অতীব আশ্চর্যের”।

যাই হোক আজকের এই পর্যন্ত। এরকম তথ্যমূলক ভিডিও পোস্ট দেখতে ভালো লাগলে চ্যানেলটি সাবসক্রাইব করবেন এবং পেজটি ফলো করুন ধন্যবাদ।
এই পোস্টটি আরো ভালোভাবে বুঝতে এই ভিডিওটি পুরো দেখুন https://youtu.be/Wf3NieFmmUg?si=SUss-RQv4yfuCGb9

#ইতিহাস #বিদ্যাসাগর #শিক্ষা

Address

Canning
743329

Website

https://youtube.com/@indiaverse-

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when IndiaVerse posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to IndiaVerse:

IndiaVerse

03/02/2024

03/02/2024

19/11/2023

01/11/2023

23/10/2023

12/10/2023

11/10/2023

09/10/2023

08/10/2023

Address

Website

Alerts

Contact The Business

Shortcuts

Share

Category