16/08/2024
হয়তো সবকিছুই শান্ত হয়ে যাবে খুব শীঘ্রই, মোমবাতি ও গলে যাবে, মানুষের ভিতরের জ্বলতে থাকা আগুন ধুকতে ধুকতে নিভে যাবে।
ওই মেয়েটির বাবা মা কেবলমাত্র চাতক পাখির ন্যায় তাকিয়ে থাকবে দোষীর শাস্তির আশায়।
হয়তো কেউ একজন ধরাও পড়বে, হয়তো আসলেই সে দোষী কিংবা সেও শীকার হবে ক্ষমতাধর ব্যক্তির।
কিছুদিন শ্রীঘরে থাকা, সেখানে আবার কাজেরও ব্যাবস্থা আছে, পারিশ্রমিক আছে, অনেকদিন থাকলে নাকি ছুটিও পাওয়া যায় , তার উপর যদি মানসিক ভারসাম্যহীনতা যুক্ত করা যায়, তাহলে সোনায় সোহাগা।
কিন্তু ওই হসপিটাল ঠিক আগের মতোই চলতে থাকবে, দ্বিতীয় বর্ষের ওই ছাত্রীর কথা আসতে আসতে সবাই ভুলে যাবে, ওই সেমিনার রুম আগের মতোই চলতে থাকবে।
আবার কোন এক রাস্তায় একা একটা মেয়ের সাথে একই ঘটনা ঘটবে।
স্কুল কলেজ টিউশন অফিস বাস ট্রেন হাসপাতাল কোনটা সুরক্ষিত স্থান তা আর জানা নেই।
মৃত্যুর পরেও প্রশ্ন উঠেছে সে কেন একা গিয়েছিল, বেঁচে থাকলে জানিনা তাকে কতবার মৃত্যুযন্ত্রণা ভোগ করতে হতো।
হাসপাতাল কে মানুষ মন্দিরের সঙ্গে তুলনা করে, ডাক্তার কে ভগবান সর্বপরি মেয়েদের কে মা লক্ষী।
যে মন্দিরের ভগবান অসুরক্ষিত সেখানে ন্যায়বিচার বিলাসিতা মাত্র।
তুমি একজন ডাক্তার, নার্স, শিক্ষিকা, উকিল পুলিশ কিংবা একজন গৃহিণী , বয়ষ্ক মহিলা হও কি একটা বয়স পাঁচেক এর বাচ্চা।
তোমার পরিচয় তুমি একটা মেয়ে,
তুমি ভোগ্য বস্তু, তোমার পরিচয় তুমি একটা মাংসপিন্ড।
কোন মাতৃগর্ভে আর কন্যা সন্তানের জন্ম না হোক, কোন প্রসূতি বিভাগে আর যেন কন্যা সন্তানের কান্না না শোনা যায়,প্রতিটা কন্যা ভ্রুণ শেষ হয়ে যাক মাতৃগর্ভে,কোন মা যেন আর একটা মা লক্ষীর স্বপ্ন না দেখে।
এই পৃথিবী মেয়ে মুক্ত হলে তবেই হয়তো এই পাপ মুছে ফেলা সম্ভব।
লেখা:- সংগৃহিত