
14/10/2024
খাঁচার ভিতর অচিন পাখি কেমনে আসে যায়
ও, তারে ধরতে পারলে মনবেড়ি
দিতাম পাখির পায়......:
বাঁশির মাচার উপর আষ্টেপিষ্টে বাঁধা প্রতিমা, মা-এর প্রতিমা। মুখে ঠুসে দেওয়া সন্দেশ আর মুখ থেকে গড়িয়ে পড়া জলে বিবর্ণ মুখ আর জলে বিসর্জন করে দেওয়ার পর মুখের ওপর আছড়ে পড়া এলোমেলো চুলে অর্ধ নিমজ্জিত করুন মুখ। জ্ঞান হওয়ার পর থেকে এই দৃশ্য আমরা দেখে অভ্যস্ত হয়ে গেছি। এটাই হলো শুভ বিজয়া। এক শুভ বিজয়া থেকে আরেক বিজয়া, বছরের পর বছর আমরা পার করে আসছি। আর এই সময় ব্যবধানের মধ্যে পৃথিবীর কাল বিবর্তনে আমাদের জীবন পরিবর্তিত হচ্ছে। আর ব্যবধানের মধ্যেই কত ভালোবাসা, সুসম্পর্ক, চাওয়া পাওয়া দুমড়ে মুচড়ে পড়ে থাকছে এখানে ওখানে, তার হিসাব মিলানো দায়। কত আপনজন ভিনদেশী তারা হয়ে রাতের আকাশে মিট মিট করে জ্বলছে। যখন এইসব স্মৃতি মস্তিষ্ক থেকে বাঁশের মাচার মত আমাদের বুকের পাঁজর দিয়ে চুইয়ে চুইয়ে এসে হৃদপিন্ডে ভিড় করে আর সেই ব্যথাতে যখন এইসব স্মৃতি চোখের জলে বিসর্জন হয়, তখন? এটাও কি বিজয়া নয়?
তাও আমাদের বেঁচে থাকার লড়াই চালিয়ে যেতে হয়, আর এই লড়াইটাই যাতে চালিয়ে যেতে পারি তারই উৎসাহের জন্য বোধ হয় বিজয়াকে শুভ করা হয়। তাই কি? ঠিক জানি না। তাই সুস্থ থেকে আমাদের জীবন যুদ্ধকে যাতে বুদ্ধি বিবেচনা দিয়ে সংগঠিত ভাবে চালিয়ে যেতে পারি এই কামনা করে আমিও সকলকে শুভ বিজয়ার অনেক অনেক শুভেচ্ছা জানালাম।
শুভ বিজয়া🙏🙏🙏🙏