19/09/2025
*★চরণপুরে খনন প্রকল্পের জেরে ধোবাডাঙ্গায় জলবন্দি ২৫ বিঘা ধানক্ষেত, দিশাহারা কৃষক সমাজ*★
■■■■■■■■■■■■■■■■■■■■■■■■■■■■■■■■■■■■■■■■■■■■
গ্রামাঞ্চল শিল্পাঞ্চলের খবর:-জামুড়িয়া থানার অন্তর্গত ধোবাডাঙ্গা গ্রামে খনন প্রকল্পের ওভারবার্ডেন (ও.বি.) ডাম্পিং-এর কারণে জল জমে নষ্ট হয়ে গেল প্রায় ২০ থেকে ২৫ বিঘা জমির ধানফসল। গ্রামবাসীদের অভিযোগ, ইসিএলের শ্রীপুর সাতগ্রাম এলাকার চরণপুর ওসিপি খনন প্রকল্পের পর ডাম্পিং-এর মাটি ও বর্জ্য ফেলে গ্রামের পাশের প্রাকৃতিক জলনিকাশী পথ সম্পূর্ণ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
বহু বছর ধরে গ্রামের পাশ দিয়ে বয়ে চলা একটি ক্ষুদ্র জলস্রোত ছিল একমাত্র ভরসা। সেখান দিয়েই বর্ষার অতিরিক্ত জল ধানক্ষেত থেকে নিষ্কাশিত হতো। কিন্তু ও.বি. ডাম্পিং-এর ফলে সেই স্রোতের পথ ভরাট হয়ে যাওয়ায় জমির জল আর বেরোতে পারছে না। ফলে ধানক্ষেতে জল জমে থেকে গাছ পচে গেছে, নষ্ট হয়ে গেছে পুরো ফসল। একই সঙ্গে পাশের একটি মুসলিম সম্প্রদায়ের কবরস্থানেও জমেছে জল, ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে অন্তত এক একর জমি।
ক্ষুব্ধ কৃষকদের বক্তব্য, বারবার ইসিএল ও সংশ্লিষ্ট বেসরকারি খনন সংস্থা ‘ওম শারদা প্রাইভেট লিমিটেড’-কে বিষয়টি জানানো হলেও তারা কোনও কার্যকর পদক্ষেপ নেয়নি। কৃষকরা বলেন, “আমরা এখন সর্বস্বান্ত। ধানই ছিল একমাত্র ভরসা—এখন সেই ফসলও নেই। সামনে অনাহারের আশঙ্কা।”
অন্যদিকে খনন সংস্থার এক আধিকারিক জানান, ওই এলাকায় একটি বড়সড় পুলিয়ার নির্মাণকাজ চলছিল। প্রবল বৃষ্টিতে পুরনো হিউম পাইপ ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় তারা তা মেরামতের চেষ্টা করেন, কিন্তু গ্রামবাসীরা বাধা দেন।
গ্রামবাসীদের দাবী, দ্রুত জলনিকাশী ব্যবস্থা পুনঃস্থাপন করে ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা করতে হবে। প্রশাসনের হস্তক্ষেপই এখন একমাত্র আশার আলো।(গ্রামাঞ্চল শিল্পাঞ্চলের খবর)