27/07/2025
আসানসোলে ছিনতাই কাণ্ডে প্রাক্তন তৃণমূল যুব নেতা গ্রেফতার,রাজনৈতিক তরজা ও জনমনে আতঙ্ক:-
■■■■■■■■■■■■■■■■■■■■■■■■■■■■■■■■■■■■■■■■■■■■■■■■■■
গ্রামাঞ্চল শিল্পাঞ্চলের খবর:-
পশ্চিম বর্ধমানের আসানসোলের সাতাইসা জিটি রোডে প্রকাশ্য দিবালোকে আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে ১১ লক্ষ ৬ হাজার টাকা ছিনতাইয়ের ঘটনায় এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে। এই ঘটনায় গ্রেফতার হওয়া সারওয়ান মণ্ডলের নামের পাশে কুলটি ব্লক যুব তৃণমূল কংগ্রেসের সম্পাদকের তকমা থাকলেও, দলের তরফে দাবি, তিনি দেড় বছর আগেই পদ থেকে সরানো হয়েছেন।এই ঘটনা ঘিরে রাজনৈতিক তরজা তুঙ্গে উঠেছে, যেখানে কংগ্রেস তৃণমূলের বিরুদ্ধে চুরি-ছিনতাইয়ের মতো অপরাধে জড়িত থাকার অভিযোগ তুলেছে, আর তৃণমূল পালটা দাবি করছে এটি তাদের ইমেজ নষ্ট করার ষড়যন্ত্র।জনমনে প্রশ্ন, আইন শৃঙ্খলার অবনতি নিয়ে কে দায়ী?ঘটনার বিবরণ অনুযায়ী, নিয়ামতপুরের আটা-চাল ব্যবসায়ী রাকেশ জুলানিয়ার কর্মচারীরা আসানসোলের দিক থেকে টাকা সংগ্রহ করে ফিরছিলেন। হঠাৎ দুষ্কৃতীরা আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে তাদের পথ আটকে টাকার ব্যাগ ছিনিয়ে পালায়। আসানসোল সাউথ থানার সাউথ পিপির পুলিশ তৎক্ষণাৎ তদন্ত শুরু করে, সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে চারজনকে গ্রেফতার করেছে। এর মধ্যে সারওয়ান মণ্ডলের নাম সামনে আসায় রাজনৈতিক বিতর্ক তৈরি হয়েছে। তার ফেসবুক প্রোফাইলে তৃণমূল নেতাদের সঙ্গে ছবি এবং যুব তৃণমূলের সম্পাদক হিসেবে পরিচয় থাকায় বিরোধীরা এটিকে হাতিয়ার করেছে।কুলটি ব্লক যুব তৃণমূলের সভাপতি বিমান দত্ত জানিয়েছেন, “সারওয়ান দেড় বছর আগে দল থেকে বহিষ্কৃত হয়েছেন।তার সাথে দলের বর্তমানে কোনো সম্পর্ক নেই। এই ঘটনায় দলের নাম জড়ানো ষড়যন্ত্র।” তৃণমূলের দাবি, বিরোধীরা এই ঘটনাকে রাজনৈতিক রঙ দিয়ে তাদের ইমেজ ক্ষুণ্ন করতে চাইছে। তবে, কংগ্রেসের বক্তব্য সম্পূর্ণ বিপরীত। পশ্চিম বর্ধমান জেলা কংগ্রেসের প্রসেনজিৎ পুঁইতন্ডী নেতা বলেন, “তৃণমূলের ছত্রছায়ায় চুরি-ছিনতাইয়ের মতো অপরাধ বেড়ে চলেছে। সারওয়ানের মতো ব্যক্তিরা দলের নাম ব্যবহার করে অপকর্ম চালাচ্ছে, আর দল তাদের আড়াল করছে। বাংলার মানুষ এই ‘চোর মানে তৃণমূল’ সংস্কৃতির বিরুদ্ধে ২০২৬-এ রায় দেবে।”এই ঘটনায় স্থানীয় ব্যবসায়ী মহলে আতঙ্ক ছড়িয়েছে। এক ব্যবসায়ী নাম প্রকাশ না করে বলেন, “প্রকাশ্যে আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে ছিনতাই হলে আমরা কীভাবে নিরাপদ বোধ করব? পুলিশের তৎপরতা সত্ত্বেও এমন ঘটনা বারবার ঘটছে।” সাধারণ মানুষের মধ্যেও ক্ষোভ প্রকাশ পাচ্ছে। স্থানীয় বাসিন্দা রমেশ মণ্ডল বলেন, “আইনশৃঙ্খলা এভাবে ভেঙে পড়লে আমরা কোথায় যাব? রাজনৈতিক দলগুলো শুধু একে অপরকে দোষারোপ করছে, কিন্তু সমাধান কী?”তবে, এই ঘটনা আইনশৃঙ্খলার পাশাপাশি রাজনৈতিক দলগুলোর দায়িত্ব নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে। তৃণমূলের অভ্যন্তরীণ শৃঙ্খলা এবং বিরোধীদের অভিযোগের মধ্যে সত্য কোথায়? ২০২৬-এর নির্বাচনের আগে এই ঘটনা কি রাজনৈতিক সমীকরণে প্রভাব ফেলবে? জনমনে এই প্রশ্নই ঘুরছে।(গ্রামাঞ্চল শিল্পাঞ্চলের খবর)।।।