Arup Ojha

Arup Ojha Musings of Life

কভি আলিভিদা না কহেনার শেষের দিকের সেই দৃশ্যটার কথা মনে আছে, যেখানে শাহরুখ প্রীতির ডিভোর্স হয়ে গেছে, শাহরুখ রানী মুখার্জি...
14/09/2024

কভি আলিভিদা না কহেনার শেষের দিকের সেই দৃশ্যটার কথা মনে আছে, যেখানে শাহরুখ প্রীতির ডিভোর্স হয়ে গেছে, শাহরুখ রানী মুখার্জির থেকে দূরে আছেন, মনোকষ্টে ডিপ্রেশনে এদিক ওদিক ঘুরে বেড়াচ্ছেন, সেই খেলার গ্রাউন্ডের পাশে বেঞ্চে বসলেন। সেখানে একজন মোটা লোক পেপার পড়তে এলেন। শাহরুখকে দেখেই চমকে উঠে পড়লেন, কারণ এর আগে বারবার শাহরুখ নিষ্ঠুর ব্যবহার করেছেন, তাড়িয়ে দিয়েছেন। এবার সেটা করলেন না, বরং বসতে ইশারা করলেন। প্রত্যুত্তরে লোকটি কী করলেন জানেন, তাকে জড়িয়ে ধরলেন। এই দৃশ্যটা দু-তিন সেকেন্ডের। কিন্তু এর ব্যপ্তিকে সময় দিয়ে বাঁধা যাবেনা।

লোকটি বসতে নাও পারতেন, বা বসলে অন্যদিকে ঘুরে বসতেন, বা আগের খারাপ ব্যবহারের জন্য ঝগড়াও করতে পারতেন বা দুর্ব্যবহার ফিরিয়ে দিতে পারতেন। কিন্তু শাহরুখের মনের অবস্থা দেখে যা করলেন, তা অনেক বড়ো মানবিকতার পরিচয় দেয়।

আমরা জানিনা আমাদের আশেপাশের চেনা অচেনা মানুষজন কেমন অবস্থায় আছে, মানসিক অবস্থা কেমন, তবু আমরা কারোর মনখারাপ দেখে যদি অন্তত তার হাতে হাত রাখতে পারি, দু-একটা হাসি মজা করতে পারি, বা নিদেন পক্ষে জড়িয়ে ধরতে পারি, তাহলে সেই মানুষের মনটা কিছুক্ষণের জন্যও ভালো হয়ে যায়।
এতে সে ভাবে, না সে একা নয়, তার পাশে কেউ একজন অন্তত আছে, হোক না সে অচেনা।
শক্তি চট্টোপাধ্যায় সেই লাইনটা তাই বারবার মনটাকে নাড়া দেয়-

“এসে দাঁড়াও, ভেসে দাঁড়াও এবং ভালবেসে দাঁড়াও
মানুষ বড়ো কাঁদছে, তুমি মানুষ হয়ে পাশে দাঁড়াও
মানুষ বড়ো একলা, তুমি তাহার পাশে এসে দাঁড়াও।”

একটা প্রবাদ ছিল ভাবের ঘরে চুরি, এখন শোনা যাচ্ছে আর জি করের মর্গেও ঘটেছে চুরি। মানে মরেও মানুষের শান্তি নেই। কারণ মর্গেও ...
31/08/2024

একটা প্রবাদ ছিল ভাবের ঘরে চুরি, এখন শোনা যাচ্ছে আর জি করের মর্গেও ঘটেছে চুরি।
মানে মরেও মানুষের শান্তি নেই। কারণ মর্গেও যে দুর্নীতি হতে পারে তা বোধহয় আমাদের কল্পনার বাইরে ছিল। এখন যা অবস্থা, কোন মৃত মানুষের কোন অঙ্গপ্রত্যঙ্গ পাচার হয়েছে, কী কেলেঙ্কারি হয়েছে, তার সঠিক তথ্য হয়ত ঐ মানূষের আত্মাই দিতে পারবে। চুরি ছাড়া কাজ নেই- এই গানটা কবে বানানো হয়েছিল, আর দেখুন গানটা নিয়ে যতই হাসাহাসি হোক না কেন সেটা এখনও প্রযোজ্য। গানে মন চুরির কথা বলা হয়েছে, আর এখন…। যাকগে চুরির আর স্থান কাল পাত্র বলেও কিছু রইল না।

🟢‘বিগলু’ নামের বিড়ম্বনা🟢রীতিমতো আমাকে রেসিস্ট তকমা দিয়ে দিল।  করেছিটা কী আমি? যে চা বেচে তাকে চাওয়ালা বলিনি, যে হাওয়াই চ...
10/03/2024

🟢‘বিগলু’ নামের বিড়ম্বনা🟢

রীতিমতো আমাকে রেসিস্ট তকমা দিয়ে দিল। করেছিটা কী আমি? যে চা বেচে তাকে চাওয়ালা বলিনি, যে হাওয়াই চটি পরে তাকে চটিওয়ালা বলিনি কিংবা যে সব হারিয়ে বিদ্রোহ করছে তাকে সর্বহারা বিপ্লবী বলিনি। কেবল আমার পোষ্য, যে কিনা বিগেল প্রজাতির, তার নাম দিয়েছি বিগলু। এটা জানাজানির পর গেল গেল রব উঠেছে, কেন জাত তুলে নাম রাখব, আমি জাতিভেদ সমর্থন করছি, ওই নিরীহ জাতের প্রাণীর বংশকে অপমান করছি, এই একবিংশ শতকেও আমি জাতপাত নিয়ে পড়ে আছি, আমি নিশ্চিত আমার বিরুদ্ধে এরপর মানবাধিকার কমিশন বসতে চলেছে।

মানুষের হিপোক্রেসি দেখার মতো। এই পাশের বাড়ির কাকিমার কথাই ধরুন। আমি কুকুর আনার আগে শুনতাম ঐ কাকিমা কুকুরদের নামে দিনরাত গালাগালি দিচ্ছে, রাস্তার কুকুরদের হেঁটা করছে, যেই আমি ঘরে নিয়ে এলাম, অমনি দেখি রিল বানাচ্ছে, হ্যাজ নামাচ্ছে মানুষ বিদেশি কুকুর কেন পুষবে, রাস্তার কুকুরদের অ্যাডপ্ট তো করতে পারত, তাতে তারা অন্তত পরিবার পেত। তারপর যেই বিগলু নামটা শুনেছে, কুকুরদের প্রতি ভালোবাসা যেন উথলে পড়েছে, এমন ভাব করছে যেন আমার জন্য আবার মধ্যযুগীয় বর্বরতা ফিরে আসবে, আবার কোনো মহাপুরুষ এসে মানুষ এবং কুকুরকে উদ্ধার করবে।
এদের দেখে মনে হয় এই নাম রাখা নিয়ে এরা এত কষ্ট পাচ্ছে অত দুঃখ মানুষ পরম-পিয়ার বিয়েতে অনুপমের জন্য পায়নি।

ব্যাপারটা এমন জায়গায় চলে গেছে, আমি আজ বাজার গেছি, একজন এসে গান্ধীজীর আত্মজীবনী আমায় ধরিয়ে দিল, বলল “জাতপাতের আঁধার থেকে বেরোতে মহাত্মা গান্ধীকে জানতে হবে।” মাইরি বলছি তখন নিজেকে ‘রকি রানী কি প্রেম কাহানি’র রণভীর রণভীর ফিল হচ্ছিল। তবু ভাবলাম বেঁচে গেছি, থাপ্পড় তো আর বসায়নি।

কিন্তু তারপর যে ঘটনাটা ঘটল ভয়ে তো আমার শিরদাঁড়া দিয়ে ঠান্ডা একটা স্রোত বয়ে গেল। বাজার থেকে গান্ধীজীর আত্মজীবনী নিয়ে ফিরছি, সেদিন এক বিশ্ববিখ্যাত মন্দিরের উদ্বোধন, তাই অনুরাগীরা আনন্দ করতে করতে ফিরছে, আমার হাতে বইটা দেখে কটমট করে তাকাল। আমি ভাবলাম, আমি তো গেলাম। দরদর করে ঘামতে ঘামতে দিদিকে স্মরণ করলাম, কাজও দিল তাতে, আমার গায়ে একটা আঁচড়ও পড়ল না। কারণ এটা পশ্চিমবঙ্গ, আর এখানে ডান্ডা হাতে ঠান্ডা করার ফ্রি লাইসেন্স একমাত্র শাসকের আছে।

এখন ভাবি, ভুলটা কী করেছি আমি। আগে যে নামগুলো ঘরে পোষ্যদের দেওয়া হত সেগুলো রাখলে অসুবিধে আছে, কারণ মানুষ জাতে ওঠার জন্য সেই বিদেশি নামগুলো নিজের ছেলেমেয়েদের রেখে দিয়েছে। এখন টমি ডাকলে পাশের বাড়ির কোনো ছেলে এসে যদি হামি দেয় তো বিপদের তাইনা। নাম নিয়ে তাই ভাবনা চিন্তার শেষ নেই, ভাবতে ভাবতে গরম চাকে সরবত ভেবে খেয়ে মুখ পুড়িয়ে ফেললাম, পোড়ামুখে এটা ভেবেই গর্ববোধ করলাম, অন্য কিছু করে তো মুখ পোড়েনি। ছাত্রাবস্থায় পড়ার সময় যদি এত ভাবতাম তাহলে নির্ঘাৎ আজ মঙ্গলগ্রহে ইসরোর মাধ্যমে ধান রোপণ করতাম।

এই ডগির নাম রাখা নিয়ে আমার উপরে ওঠা অভিযোগের ভিত্তিতে আমার একটা অভিযোগ আছে। একটা বিশেষ কাজের বিশেষ পজিশনের নাম মানুষ আবিষ্কার করে ফেলেছে, ঐ অবলা প্রাণীগুলো জানলই না মানুষ ওদের নাম দিয়ে দিব্যি এনজয় করে যাচ্ছে। ওরা যদি জানত যে এরকম নাম ওদের নামে রাখা হয়েছে তাহলে প্রথমেই ওদের হার্ট অ্যাটাক আসত, কারণ ওদের বায়োলজিকাল প্রক্রিয়াটা তো আলাদা, তাছাড়া ওরকম পজিশন প্রায় সব চতুষ্পদ প্রাণীর ক্ষেত্রে দেখা যায়। তাই প্রশ্ন তুলত কেন কেবল ওদের নামেই এরকম পজিশনের নামকরণ করবে মানুষ, তাছাড়া মানুষ কেনই বা ওই পজিশন নেবে, মানুষ তো দুপেয়ে প্রাণী, প্রাইভেসি বলে ব্যাপার আছে তো।

কিন্তু দুঃখের কথা ওই অবোলা প্রাণীদের নিয়ে কেউ লড়াই করার কথা ভাবেনা, ওদের ভাবনা কেবল আমার বিগেলকে বিগলু নাম রাখা নিয়ে।

🔸(বিগলু বাদে বাকি সব চরিত্র এবং ঘটনা কাল্পনিক)🔸

শীতের বিকেল, তবু হেমন্তের মতোই বিষণ্ণ। সন্ধ্যে হতে ঢের বাকি। সূর্যের গায়ে লালরঙ জমা শুরু হয়নি। কিন্তু জানি সন্ধ্যে ঠিক ন...
02/02/2024

শীতের বিকেল, তবু হেমন্তের মতোই বিষণ্ণ। সন্ধ্যে হতে ঢের বাকি। সূর্যের গায়ে লালরঙ জমা শুরু হয়নি। কিন্তু জানি সন্ধ্যে ঠিক নামবে, যেমন প্রতিদিন নামে, অন্ধকারে ঢেকে যাবে চারিদিক, লাখ লাখ আলো জ্বালিয়েও যে অন্ধকার ঢাকা যাবেনা।
সামনে দেখি পাখিরা এখনও উড়ছে, ফেরার তাড়া নেই। নিশ্চিন্তে চোখ বন্ধ করলাম।

তারপর তাকাতেই দেখি আলোর ছিটেফোঁটা নেই, দিন পেরিয়ে গেছে। এত তাড়াতাড়ি সন্ধ্যে নামার কথা ছিলনা। এ সন্ধ্যের জন্য কোনো প্রস্তুতি তো নেওয়া হয়নি। এক পলকে কত কী পাল্টে যায়। যেমন করে অকস্মাৎ মৃত্যু আসে। যে মৃত্যুর জন্য কোনো প্রতীক্ষা থাকেনা, অযাচিত অতিথির মতোই চলে আসে। কোনোকিছু বুঝে ওঠার আগে একযুগ পাল্টে দিয়ে যায়।

অসময়ে আঁধার নামলে যেমন মনে আশঙ্কা ভিড় করে, চারিদিক নিস্তব্ধ হয়ে যায়, তেমন আপনজন হঠাৎ চিরতরে ছেড়ে গেলে জীবনের পথ যেন হারিয়ে যায়, যে রাস্তাগুলো আমরা তিল তিল করে নির্মাণ করি , সেগুলোর মুখ যেন বন্ধ হয়ে যায়, সে রাস্তা এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার শক্তি থাকেনা, আর নতুন রাস্তা তৈরি করার উৎসাহ পাইনা।

যাঁকে হাত বাড়ালে এক মুহুর্ত আগে স্পর্শ পেতাম, মুখে না বললেও যে বুকের গন্ধ নেওয়ার ইচ্ছে পুষে চলতাম, সে গন্ধ আর স্বপ্নেও পাইনা।

বারবার এটাই মনে হতে থাকে এরকম হতে পারেনা। যে রাতের প্রস্তুতি থাকেনা, সে রাত এলে তার প্রতিটা মুহূর্ত অসহ্য হয়ে ওঠে, এক সেকেন্ড বছরের সমান প্রতিপন্ন হয়।

তবু সে আঁধারকে মেনে নিতে হয়, ভগবানকেও দোষ দিতে ইচ্ছে করেনা, চারিদিক আঁধারের ভেতর শুধুই শূন্যতা থাকে, সে আঁধারে পথ না পেলেও এগিয়ে যাওয়ার কথা ভাবতে হয়, এছাড়া আর কোনো উপায় থাকেনা।

✍️ অরূপ

একটা সময় মানুষ একলা হয়ে যায়,একলা থাকতে থাকতে সে জমিয়ে ফেলে নি:সঙ্গতার পাহাড়,রাস্তায় কাজের দিনে ছুটে চলা মানুষের ভিড়ে সে ...
20/12/2023

একটা সময় মানুষ একলা হয়ে যায়,
একলা থাকতে থাকতে সে জমিয়ে ফেলে নি:সঙ্গতার পাহাড়,
রাস্তায় কাজের দিনে ছুটে চলা মানুষের ভিড়ে সে স্থাণুবৎ দাঁড়িয়ে থাকে,
ফেলে আসা অতীত, হারিয়ে যাওয়া মানুষের স্মৃতি তাকে তাড়া করে বেড়ায়,
অঝোরে কাঁদতে চাইলেও তার আর চোখ ভেজেনা,
ঘরের ফাঁকা ছাদে দুহাত নিক্ষেপ করে চিৎকার করতে চায়, কিন্তু পারেনা
নতুন পথ খুঁজে পায়না, উল্লাসে মেতে উঠতে মন চায়না, বন্ধুদের ঠেকে যেতে ইচ্ছে করেনা, জীবনের লক্ষ্য খুঁজে পায়না
তখন কোনো মানুষকে আপন মনে হয়না, পাশে বসতে ইচ্ছে করেনা, কাউকে জড়িয়ে ধরে কাঁদতে ইচ্ছে করেনা,
একাকীত্বে আচ্ছন্ন হয়ে সে কেবল মানুষের সঙ্গ থেকে মুক্তি চায়।

#আমসত্ত্ব

পুত্রশোকে ভগ্ন পিতাই জানে ছেলে হারানোর যন্ত্রণা,গঙ্গার গ্রাসে ভিটেমাটি হারানোর হাহাকার কেবল সেই মানুষ করে,যে একদিন ভেবেছ...
15/12/2023

পুত্রশোকে ভগ্ন পিতাই জানে ছেলে হারানোর যন্ত্রণা,
গঙ্গার গ্রাসে ভিটেমাটি হারানোর হাহাকার কেবল সেই মানুষ করে,
যে একদিন ভেবেছিল ভালোবাসার মানুষটাকে নিয়ে জীবনে বহু নকশিকাঁথা আঁকবে, সেই জানে ভালোবাসা না পাওয়ার শূন্যতা,

তখন সেই মানুষের নিজেকে সর্বহারা মনে হয়, বেঁচে থাকাটা প্রতি পদক্ষেপে কাঁটার জুতোর পরে হেঁটে চলার মতো লাগে, অদ্ভুত উদাসীনতায় ডুবে যায়।
সে ভাবে-
যা ঝড় আসে আসুক,
যা পরীক্ষা নেয় নিক,
যা চলছে চলতে থাকুক
হারিয়ে যাওয়া এ সময় আর ফিরে না আসুক

এরপর হারানোর আর কোনোকিছু বেঁচে নেই,
“গেছে যে দিন” একবারেই চলে গেছে,

তার কাছে এখন কেবল দীর্ঘশ্বাস পড়ে থাকে, মুখোমুখি বসবার কোনো বনলতা সেন থাকেনা।

#আমসত্ত্ব

সময় যখন বশে নেই, জীবন কঠিন পরীক্ষা নিয়ে যাচ্ছে, কোনোকিছুই ইচ্ছেমতো হচ্ছেনা, ঘরে বিছানায় শুয়েও শান্তির ঘুম আসছেনা, ভবিষ্য...
14/12/2023

সময় যখন বশে নেই, জীবন কঠিন পরীক্ষা নিয়ে যাচ্ছে, কোনোকিছুই ইচ্ছেমতো হচ্ছেনা, ঘরে বিছানায় শুয়েও শান্তির ঘুম আসছেনা, ভবিষ্যতের রাস্তা কালো মেঘে ঢেকে আছে, একটা আশা মানুষকে বাঁচিয়ে রাখে- "একদিন সব ঠিক হয়ে যাবে"।

অমাবস্যার রাতে পথহারা পথিক দূরে আলোর বিন্দু দেখতে পেলে যে সাহসে এগিয়ে যেতে থাকে,
খরায় সব ফসল নষ্ট হতে দেখেও যে আশায় চাষী আকাশের দিকে তাকিয়ে থাকে,
মারণরোগে ভুগতে ভুগতে রোগী যে আকাঙ্ক্ষায় প্রাণবায়ু ধরে রাখে-

"কোনো একদিন সব ঠিক হয়ে যাবে"-
এ কেবল আশার আলো দেখায় না, ভেঙে টুকরো টুকরো হয়ে যাওয়া জীবনকে পুনরায় গড়ে তোলার দিশা দেখায়।

#আমসত্ত্ব


যে মানুষটা তোমাকে আঘাত দিয়ে চলে যায়, একবার পিছন ফিরেও তাকায় না, ত্যাগ করার পর তুমি কেমন আছো জানতে চায়না, বহুদিন পর যখন ফ...
13/12/2023

যে মানুষটা তোমাকে আঘাত দিয়ে চলে যায়, একবার পিছন ফিরেও তাকায় না, ত্যাগ করার পর তুমি কেমন আছো জানতে চায়না, বহুদিন পর যখন ফিরে আসে, তখন তাকে গ্রহণ করার প্রবৃত্তি থাকেনা।

কারণ, তার প্রতি তোমার ভালোবাসা আর বেঁচে নেই, চলে যাওয়ার পর যে রাগ হয়েছিল, সে রাগ সময়ের সঙ্গে মিলিয়ে গেছে, যে কষ্ট পেয়ে তুমি ঘরের কোণে গুমরে কেঁদেছ, ঘুমহীন রাতের পর রাত পার করেছ, সেই কষ্টটা চোখের জলের মতো শুকিয়ে গেছে, তুমি নতুনভাবে বাঁচার অভ্যাসটুকু করে নিয়েছ।

তার প্রতি তোমার ভালোবাসা নেই, কষ্ট নেই, নেই কোনো অভিমান যাকে ভালোবাসায় পরিবর্তন করা যায়।

আছে শুধু অবজ্ঞা, যা কেবল দূরত্ব বাড়ায়
ভাঙা কাচ জোড়া লাগলেও দাগ থেকে যায়।

#আমসত্ত্ব


🔷ঘটোৎকচ🔷যে যোদ্ধা প্রবল বীরত্ব প্রদর্শন করেও যুদ্ধের ময়দানে আত্মবলি দেয়, তাদের আমরা ট্র‍্যাজিক নায়কের আসনে বসাই। যেমন, অ...
12/12/2023

🔷ঘটোৎকচ🔷

যে যোদ্ধা প্রবল বীরত্ব প্রদর্শন করেও যুদ্ধের ময়দানে আত্মবলি দেয়, তাদের আমরা ট্র‍্যাজিক নায়কের আসনে বসাই। যেমন, অর্জুনতনয় অভিমন্যু। চক্রব্যূহ রচনা করেও যাঁর পরাক্রমের কাছে নতিস্বীকার করে কর্ণকে পর্যন্ত যুদ্ধের রীতি লঙ্ঘন করে হত্যা করতে হয়েছিল। তাই অভিমন্যুর বীরত্বের কথা এখনও আমরা স্মরণ করি।
কিন্তু এর মাঝে আরও এক গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রের কথা ভুলে যাই, কুরুক্ষেত্র যুদ্ধে যার অবদান একজন নায়কের থেকে কোনো অংশে কম নয়। ভীমসেন ও হিড়িম্বার পুত্র ঘটোৎকচ। যাঁকে মহাভারতের এক উপেক্ষিত নায়ক বলা যায়।

সেই ঘটোৎকচ, যাঁকে ভীমসেন যখনই স্মরণ করেছেন, বিনা বাক্যব্যয়ে চলে এসেছেন, যুদ্ধে অবতীর্ণ হয়েছেন। প্রয়োজনে দ্রৌপদী সহ পান্ডবদের কাঁধে চাপিয়ে জঙ্গলের মধ্যে বয়ে বেড়িয়েছেন। পিতার নিকট নিজের জন্য কখনো কিছু প্রার্থনা করেননি। কৃষ্ণের পরামর্শে যখন ভীমসেন ঘটোৎকচকে যুদ্ধে অবতীর্ণ হতে নির্দেশ দেন, তখনই সেখানে হাজির হয়ে যুদ্ধক্ষেত্রে কুরুসেনাদের উপর তান্ডব চালাতে থাকেন। ইন্দ্রজালের সাহায্যে রথ রচনা করে ঘটোৎকচ অলায়ুধকে নিহত করে কর্ণের দিকে অগ্রসর হতে থাকেন।
প্রবল পরাক্রমী কর্ণও তাঁর সঙ্গে পেরে ওঠেন না। কর্ণ ও ঘটোৎকচ পরস্পরের দিকে অজস্র তীরনিক্ষেপ করতে থাকেন। ঘটোৎকচ মন্ত্রোচ্চারণ করে কর্ণের দিকে তীর নিক্ষেপ করেন যাতে কর্ণের রথের সারথি এবং ঘোড়াগুলো নিহত হয়। এরপর শুরু হয় ঘটোৎকচের বিক্রম। ইন্দ্রজাল রচনা করেন, প্রবল গর্জন করে সেই ইন্দ্রজালের মধ্য দিয়ে বিপুল সংখ্যক তীর, বর্শা, ভারী দণ্ড, কুঠার, তলোয়ার, গদা, বল্লম, কাঁটাযুক্ত গদা, শতঘ্নী ও অন্যান্য নানাবিধ অস্ত্রশস্ত্র কর্ণ সহ কুরুসেনাদের দিকে নিক্ষেপ করতে থাকেন। প্রচুর সেনা তাতে মারা যায়। বলাবাহুল্য কোনো পান্ডবের মাধ্যমে এর আগে এত কুরুসেনার সংহার হয়নি। ইন্দ্রদেবের কাছ থেকে প্রাপ্ত যে অস্ত্র কর্ণ অর্জুনের জন্য সংরক্ষিত করে রেখেছিলেন, তা বাদ দিয়ে বাকি অস্ত্র প্রয়োগেও ঘটোৎকচকে পরাস্ত করতে সক্ষম হলেননা। অবশেষে সেই বাসুকি অস্ত্র প্রয়োগ করতে বাধ্য হলেন, ঘটোৎকচ নিহত হলেন, এবং সে সময়েও বহু কুরুসেনার প্রাণ নিলেন।

ঘটোৎকচের কথা মহাভারতে এখানেই শেষ।
এরপর আর উল্লেখ পাওয়া যায়না। ঘটোৎকচের মৃত্যুর পর ভীমের মধ্যে ক্রোধের সঞ্চার হলেও তা পর্যাপ্ত ছিল কী? যেমন দেখা গিয়েছিল অভিমন্যুর মৃত্যুর সময়, অর্জুন সহ পান্ডবরা যেভাবে উদ্যত হয়ে কৌরবদের নিধনের জন্য এগিয়ে গিয়েছিলেন তেমনটা ঘটোৎকচের সময় দেখা যায়নি।
অভিমন্যুর তাও নিজেকে পিতাসমান বীর প্রমাণ করার দায় ছিল, কিন্তু ঘটোৎকচের সেই বাসনা ছিলনা। তিনি এসেছিলেন নি:স্বার্থভাবে, মাতা হিড়িম্বা রাক্ষসী হয়েও যাঁকে ভীমসেনের আদর্শে দীক্ষিত করেছিলেন।
এছাড়া ঘটোৎকচ যে বীরত্ব দেখিয়েছিলেন, সেই বিক্রম যদি কুরুক্ষেত্র যুদ্ধের শুরু থেকে দেখা যেত হয়ত যুদ্ধের ফল অনেক আগেই নির্ধারিত হয়ে যেত।
ঘটোৎকচ জানতেন কর্ণের সামনে গেলে মৃত্যু হয়ত অবধারিত, তা সত্ত্বেও তিনি এগিয়ে এসেছিলেন কোনো চাওয়া পাওয়া ছাড়াই।
তিনি জানতেন পান্ডবদের জয়ে তিনি কোনো রাজত্ব পাবেন না, যেহেতু রাক্ষস বংশে জন্ম।

রাক্ষস হওয়ার জন্য ঘটোৎকচকে নিয়ে স্তুতিবাক্য রচিত হয়না, পরে মহাভারতে উল্লেখ পাওয়া যায়না। তাঁর বীরত্বের বদলে বিশালাকার শরীরের নীচে কৌরবসেনার চাপা পড়ার ঘটনায় আমরা পুলকিত বোধ করি, তাঁর আত্মবলিদানে ব্যথিত হইনা, অশ্রুপাত করিনা, যেমনটা করি অভিমন্যুর ক্ষেত্রে।
আসলে যুগে যুগে জাতপাতের শিকার নিচু জাতের মানুষেরাই হয়ে এসেছে, তাদের কৃতিত্ব খাটো করে দেখা হয়েছে, তারা ইতিহাসে স্থান পায়না, তাদের বীরগাথা, শৌর্য রচিত হয়না।
তারা এক ক্ষুদ্র পার্শ্বচরিত্র হিসেবেই আমাদের মননে বেঁচে থাকে।

ঋণ -নৃসিংহপ্রসাদ ভাদুড়ীর “কথা অমৃতসমান” (সংবাদ প্রতিদিন, রোববার),
https://roar.media/bangla/main/myth/ghatotkacha-vadha-parva-5



পুষে রাখা শখ আর অপূর্ণ সব ইচ্ছেকরে নতিস্বীকার দায়িত্বভারের কাছে। একটা সময়ের পর নিজের শখ ভুলে কেবল প্রয়োজনের জন্য বাঁচার ...
11/12/2023

পুষে রাখা শখ আর অপূর্ণ সব ইচ্ছে
করে নতিস্বীকার দায়িত্বভারের কাছে।

একটা সময়ের পর নিজের শখ ভুলে কেবল প্রয়োজনের জন্য বাঁচার অভ্যাস করে নিতে হয়।

তখন নিজের আনন্দ বলে কিছু থাকেনা, আপনজনের খুশিতে আনন্দ খুঁজে নিতে হয়। কর্তব্যের বোঝায় শখের কথা ভুলে যেতে হয়। পরিস্থিতির চাপে নিজের সবকিছু ত্যাগ করে পরিবারের জন্য নিজেকে নিয়োজিত করতে হয়। তখন নিজের বলে কিছু থাকেনা, “নিজস্ব”এই শব্দটাই অলীক মনে হয়।

তবু যে ইচ্ছেগুলো আমরা এতদিন লালন পালন করে আসি, চেষ্টা চলে নিরন্তর, সেই অপূর্ণ ইচ্ছেগুলো বাঁচিয়ে রাখার, টুকরো টুকরো শখগুলো পূরণ করার, কিন্তু “বড়ো” হওয়ার দায়িত্বভারে ধীরে ধীরে চাপা পড়ে মিলিয়ে যায়, বাঁচিয়ে রাখা সম্ভব হয়না।
#আমসত্ত্ব

"রোজ কত কী ঘটে যাহা তাহাএমন কেন সত্যি হয় না আহা!"রূপকথা যে কেবল বইয়ের পাতায় থাকেনা, বাস্তবেও রূপকথার জন্ম হয় তা আজ আফগান...
07/11/2023

"রোজ কত কী ঘটে যাহা তাহা
এমন কেন সত্যি হয় না আহা!"
রূপকথা যে কেবল বইয়ের পাতায় থাকেনা, বাস্তবেও রূপকথার জন্ম হয় তা আজ আফগানিস্তান অস্ট্রেলিয়া ম্যাচের ক্লাইম্যাক্সে ম্যাক্সওয়েলের ইনিংস না দেখলে বিশ্বাস হতনা। এই ম্যাক্সওয়েল যেন সেই রূপকথার নায়ক যে রক্তাক্ত হয়েও একা এক সৈন্যবাহিনীর বিরুদ্ধে লড়াই করে অসাধ্যসাধন করে দেশকে বাঁচায়। ৯১/৭ থেকে একা হাতে দলকে টেনে ডাবল সেঞ্চুরি করে ২৯১ রানের গণ্ডি টপকে জয় করা যে সম্ভব তা ম্যাক্সওয়েল প্রমাণ করে দিলেন। এই জয় হাসিল করতে তাঁকে কী কী বাধা পেরোতে হয়েছে? ইনিংসের মাঝপথে হাঁটতে পারছিলেন না, সিঙ্গেল রান নিয়ে এত বড় লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করা সম্বব নয়। সাত উইকেট পড়ে গেছে, পাশে কেউ ব্যাটার নেই। সঙ্গে আছে সেমিফাইনালে ওঠার ভয়ঙ্কর চাপ।
সেখানে তাঁর হাতিয়ার ছিল দৃঢ়সংকল্প, প্রবল আত্মবিশ্বাস এবং সর্বোপরি হার না মানা মনোভাব। ক্রিকেটে অসিদের এই মনোভাবের জন্য তারা অনেক অসম্ভবকে সম্ভব করেছে। এই ইনিংসটা হয়ত কেবল অসিদের নয় পৃথিবীর ওয়ানডে নিয়ে ইতিহাস রচনা হলে তার প্রথম সারিতে থাকবে।
আফগানিস্তানের হয়ত এই হার হজম করতে অনেকদিন লেগে যাবে। তারা হেরে গেল ম্যাক্সওয়েলের ঐ মানসিকতার কাছে। ম্যাড ম্যাক্স প্রমাণ করে দিলেন
“The difference between the impossible and the possible lies in a person's determination.”


20/10/2023

শত সংগ্রামের মধ্যেও দুর্গারা হাল ছেড়ে দেয়না, ঝুঁকি নিতে পিছিয়ে যায়না।
দুর্গারা রাঁধে আবার চুলও বাঁধে। মাতৃরূপে দুর্গা আসে, সন্তানদের যেকোনো মূল্যে আগলে রাখে। সেই দুর্গাই পরিবারকে রক্ষা করতে প্রয়োজনে অস্ত্র ধরতে পারে, জীবনযুদ্ধে পরিবারের মুখে হাসি ফোটানোর জন্য নিজের কোনো তোয়াক্কা না করে এগিয়ে যেতে পারে।
মা দশভুজার কাছে প্রার্থনা করি আশেপাশের সব দুর্গা সারাজীবন"যেন থাকে দুধেভাতে" এবং তাদের প্রাপ্য সম্মানটুকু পেয়ে হাসিমুখে বাঁচতে পারে।

এক দুর্গা রিক্সা চালায় কুচবিহারের হাটে
এক দুর্গা একশো দিনের কাজে মাটি কাটে |
এক দুর্গা রাস্তা বানায় পিচ ও পাথর ঢালে
এক দুর্গা রোজ চুনো মাছ ধরছে বিলে – খালে।
এক দুর্গা করছে মাঠে দিনমজুরের কাজ
এক দুর্গা খিদেয় কাঁদে, পায়নি খেতে আজ।
সবাই জানি, এদের কারো হয়না কোনও পূজো
এরা তো মা তোমার মতো নয়কো দশভুজো।
সব দুর্গার চোখে-মুখেই ফুটবে হাসি কবে?
মাগো, তোমার পুজো সেদিন সত্যি সফল হবে।
(সব দুর্গাই থাকুক সুখে -ভবানীপ্রসাদ মজুমদার)

Address

Contai
721401

Telephone

+919732877133

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Arup Ojha posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to Arup Ojha:

Share