28/11/2025
উদ্যোক্তা সৃষ্টির লক্ষ্যে ফুড কার্নিভাল কলেজে
মুগবেড়িয়া গঙ্গাধর মহাবিদ্যালয়ের পুষ্টিবিজ্ঞান বিভাগ এবং ইনস্টিটিউট অফ ইনোভেশন কাউন্সিলের যৌথ উদ্যোগে মঙ্গলবার মুগবেড়িয়া গঙ্গাধর মহাবিদ্যালয় কলেজ ক্যাম্পাসে অনুষ্ঠিত হল ৩য় ফুড কার্নিভাল। এবছর ছাত্র-ছাত্রীদের নানা পদের মোট ৪০টি স্টল বসে। খাদ্য তালিকায় নতুন নতুন বেশি-বিদেশি থেকে চাইনিজ এবং ভারতীয় খাওয়ারের শতাধিক পদে সেজে উঠে কলেজ মাঠের ফুড ফেস্টিভ্যাল প্রাঙ্গণ। যা ছাত্রছাত্রীরা নিজেদের উদ্যোগ ও সৃজনশীলতায় সাজিয়ে তোলে। অনুষ্ঠানের শুভ উদ্বোধন করেন ভগবানপুর-২ ব্লকের বিডিও শুভদীপ চট্টোপাধ্যায়, ভগবানপুর ২ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি শ্যামলী গিরি এবং মহাবিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ ডঃ স্বপন কুমার মিশ্র।উপস্থিত ছিলেন বিভাগের প্রধান ডঃ অপূর্ব গিরি এবং আই আই সি এর আহ্বায়ক ডঃ বিধান চন্দ্র' সামন্ত। অতিথিবৃন্দ ছাত্রছাত্রীদের উদ্যম, সৃজনশীলতা এবং বাস্তব শিক্ষার প্রতি আগ্রহকে সাধুবাদ জানান। এই ফুড কার্নিভালের মূল লক্ষ্য ছিল ছাত্রছাত্রীদের মাঝে উদ্যোক্তার মানসিকতা
গড়ে তোলা। আয়োজকদের মতে, এই কর্মসূচির উদ্দেশ্য "শুধু চাকরি প্রার্থী নয়, বরং চাকরি প্রদানকারী হিসেবে নিজেদের তৈরি করা। "বিভিন্ন খাদ্যপদে পুষ্টিকর ও সৃজনশীল খাদ্য সাজানোর মাধ্যমে প্রতিটি স্টলই আকর্ষণীয় পরিবেশ তৈরি করে। ছাত্রছাত্রী, শিক্ষক-শিক্ষিকা ও দর্শনার্থীদের ভিড়ে পুরো ক্যাম্পাস ছিল উৎসবমুখর। পুষ্টিবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষকদের মতে, এ ধরনের আয়োজন ছাত্রছাত্রীদের মার্কেটিং, বাজেট তৈরি,
যোগাযোগ দক্ষতা, গ্রাহক ব্যবস্থাপনা প্রভৃতি বাস্তব অভিজ্ঞতা অর্জনের সুযোগ দেয়, যা ভবিষ্যতে উদ্যোক্তা হওয়ার পথে অত্যন্ত সহায়ক। দিনের শেষে সকলের প্রশংসা কুড়িয়ে সফলভাবে সমাপ্ত হয় এ বছরের ফুডও কার্নিভাল। এই উদ্যোগ ছাত্রছাত্রীদের আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে ভবিষ্যতে নতুন উদ্যোক্তা হিসেবে এগিয়ে যেতে অনুপ্রেরণা জোগাতে সাহায্য করবে বলে আশাবাদী উদ্যোক্তারা। পুষ্টি বিজ্ঞান বিভাগের প্রধান ডঃ অপূর্ব গিরি বলেন, বিশেষ করে চাকরির পাশাপাশি ছাত্র-ছাত্রীদের উদ্যোগপতি গড়ে তুলতে এই ফুড কার্নিভাল। মুগবেড়িয়া গঙ্গাধর মহাবিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ ডক্টর স্বপন কুমার মিশ্র বলেন, চাকরির মন্দার বাজারে ছাত্র ছাত্রীটা যাতে স্বনির্ভরতার মাধ্যমে নিজেদের যোগ্যতাকে প্রমাণ করতে পারে সেই লক্ষ্যেই কলেজের এই ধরনের ফুড ফেস্টিভ্যালের মাধ্যমে ছাত্র-ছাত্রীদের হাতে-কলমে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়। যাতে ছাত্রছাত্রীরা চাকরি মুখী না থেকে স্বনির্ভরমুখী হয়।