27/05/2025
২৬ হাজার চাকরি হারা দের বসতে হবে পরীক্ষায়: নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণা
খেজুরী লাইভ, ২৭ মে ২০২৫:
পশ্চিমবঙ্গের প্রায় ২৬,০০০ শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীর চাকরি বাতিলের পর, রাজ্য সরকার নিয়োগ প্রক্রিয়া পুনরায় শুরুর ঘোষণা দিল। নবান্নে আয়োজিত এক সাংবাদিক সম্মেলনে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানালেন, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মেনে নতুন করে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হবে এবং চাকরি হারানোদের পুনরায় পরীক্ষায় বসতে হবে।
নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়ার রূপরেখা
মুখ্যমন্ত্রী জানান, মোট ৪৪,২০৩টি শূন্যপদে নিয়োগ করা হবে। এই পদগুলি নিম্নরূপ:
নবম-দশম শ্রেণির শিক্ষক: ২৩,২১২টি
একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষক: ১২,৫১৪টি
গ্রুপ সি কর্মী: ২,৯৮৯টি
গ্রুপ ডি কর্মী: ৫,৪৮৮টি
এই শূন্যপদের অতিরিক্ত হিসেবে নবম-দশম ও একাদশ-দ্বাদশ স্তরে যথাক্রমে ১১,৫১৭ ও ৬,৯১২টি অতিরিক্ত পদ সংযোজন করা হয়েছে, যাতে আগে চাকরি পাওয়া ব্যক্তিদের জন্য নতুন সুযোগ তৈরি হয়।
নিয়োগের সময়সূচি
বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ: ৩১ মে ২০২৫
অনলাইন আবেদন গ্রহণ: ১৬ জুন - ১৪ জুলাই ২০২৫
কাউন্সেলিং ও প্যানেল প্রকাশ: ২০ নভেম্বর ২০২৫
চাকরি হারা প্রার্থীদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা
মুখ্যমন্ত্রী জানান, যাঁদের বয়স বর্তমানে পরীক্ষার যোগ্যতা সীমা অতিক্রম করেছে, তাঁদের জন্য বয়সের ছাড় দেওয়া হবে। এছাড়া, যাঁরা পূর্বে শিক্ষকতা করেছেন, তাঁদের অভিজ্ঞতাকে পয়েন্ট হিসেবে বিবেচনা করে নিয়োগে বিশেষ সুবিধা দেওয়ার বিষয়টিও বিবেচনা করছে সরকার।
বিকল্প নিয়োগ ও আইনি পদক্ষেপ
সরকার বিকল্প নিয়োগের পথও খোলা রাখছে। যাঁরা নতুন পরীক্ষায় বসতে পারবেন না বা চান না, তাঁদের শিক্ষা দফতরের গ্রুপ সি ও ডি পদে নিয়োগ দেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে। এই জন্য আলাদা বিজ্ঞপ্তি জারি করা হবে।
সরকার ইতিমধ্যেই সুপ্রিম কোর্টে রিভিউ পিটিশন দাখিল করেছে, তবে ছুটির কারণে শুনানি বিলম্বিত হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী স্পষ্ট বলেন, “আমরা সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মান্য করছি। যদি রিভিউতে ইতিবাচক ফল আসে, তাহলে তার আলোকে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।”
মুখ্যমন্ত্রীর বার্তা
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন,
“আমরা চাই, কেউ যেন বঞ্চিত না হন। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী কাজ করছি। চাকরি ফিরে পেতে হলে নতুন পরীক্ষায় বসতেই হবে। সরকার সমস্ত দায়িত্বশীল পদক্ষেপ নিচ্ছে।”
এই প্রক্রিয়া রাজ্যের শিক্ষা ব্যবস্থাকে আইনি জট থেকে মুক্ত করে স্বচ্ছতার পথে এগিয়ে নিয়ে যাবে বলে আশাবাদী রাজ্য প্রশাসন। চাকরি হারা প্রার্থীদের প্রতি আবেদন, তাঁরা যেন নির্দিষ্ট সময়ে আবেদন করে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন।