The Cob untold

The Cob untold উত্তরবঙ্গের প্রথম মোটিভেশনাল চ্যানেল The Cob Untold লুকানো প্রতিভাকে পরিচিতি দানই চ্যানেলের মুখ্যকাজ
(4)

লোকে বলতো, একটা গ্রাম্য মেয়ে সে কি বা পড়তে পারবে ? আজ তার কাজ পৌঁছে গেছে বিদেশের মাটিতে !অন্যরা যখন ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়...
10/10/2025

লোকে বলতো, একটা গ্রাম্য মেয়ে সে কি বা পড়তে পারবে ?
আজ তার কাজ পৌঁছে গেছে বিদেশের মাটিতে !
অন্যরা যখন ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, বড় চাকরির স্বপ্ন দেখেছে,
তখন এই মেয়েটা নিজের মনকে বলেছিল,
“আমি বড় চাকরি করব না, আমি একজন শিল্পী হবো!”
আজ তার হাতের কাজ শুধু বাংলাতেই নয়, দেশের সীমানা ছাড়িয়ে পৌঁছে গেছে বিদেশের মাটিতেও !

এই সমাজে যখন কেউ বলে — “একটা গ্রাম্য মেয়ে, সে কীইবা করতে পারবে?”
তখন সেই কথাটাকেই ভুল প্রমাণ করে এক মেয়ে উঠে দাঁড়ায়
তার নাম অন্বেষা সামন্ত।

নেতাজী মহাবিদ্যালয়ের এডুকেশন তৃতীয় বর্ষের অনার্সের ছাত্রী ছিল। সবে গ্র্যাজুয়েশন শেষ হলো।
একেবারে সাধারণ এক মধ্যবিত্ত পরিবারের মেয়ে —
যার বাবা একজন কৃষক, মা একজন গৃহবধূ।
দিদি সাংবাদিকতায় এম.এ করেছে, ভাই এখনো স্কুলে পড়ে,
আর অন্বেষা? সে নিজের স্বপ্নের রঙে গড়ছে ভবিষ্যৎ!

ছোট থেকেই ওর মনে ছিল একটা বিশেষ টান —
রঙ, তুলি, কাগজ আর সৃষ্টির প্রতি এক অদ্ভুত টান।
যখন অন্যরা ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, বড় চাকরির স্বপ্ন দেখেছে,
অন্বেষা তখন নিজের মনে বলেছে —
“আমি বড় চাকরি করব না, আমি একজন শিল্পী হবো!”

কিন্তু জীবনের পথ তো এত সহজ নয়। ছোটবেলায় ভর্তি হয়েছিল ছবি আঁকার ক্লাসে, কিন্তু পড়াশোনার চাপ, সংসারের দায়িত্ব — সবকিছুই তাকে সেই স্বপ্ন থেকে কিছুটা দূরে সরিয়ে দেয়। তবু সে হার মানেনি। নিজের সাহস, নিজের ইচ্ছেশক্তিকে সঙ্গী করে আবার শুরু করেছিল আঁকা —একজন ছবি আঁকার শিক্ষক কাছে ভর্তি হয় । পরে সেটাও ঠিক হলো
না । এখন তারই নিজের হাতে, নিজের চেষ্টায়, কারও শেখানো নয় —
পুরোপুরি নিজের ভালোবাসা থেকে জন্ম নেওয়া শিল্প।

সোশ্যাল মিডিয়ায় যখন দেখত অন্যরা কেমন সুন্দর কাজ করছে, তখন ওর মনে হতো, “ওরা পারে, আমি কেন পারব না?” এই একটুখানি বিশ্বাসই ছিল অন্বেষার সবথেকে বড় শক্তি। সেই বিশ্বাস থেকেই শুরু তার Crafty Anu নামের শিল্পযাত্রা।

আজ তার হাতের কাজ শুধু বাংলাতেই নয়, দেশের সীমানা ছাড়িয়ে পৌঁছে গেছে বাংলাদেশ, সিকিম, দার্জিলিং, ঝাড়খণ্ড, শান্তিনিকেতন, কলকাতা, এমনকি বিদেশেও! আর এই সাফল্যের পিছনে আছে এক অনুপ্রেরণাদায়ক মানুষ —
শ্রীকান্ত বধূক।
সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে পরিচয়, আর সেখান থেকেই শুরু এক নতুন অধ্যায়। শ্রীকান্ত বাবু অন্বেষাকে শুধু স্বীকৃতি দেননি,
বিশ্বাস দিয়েছেন, ভালোবাসা দিয়েছেন, বলেছেন — “আমি তোমার পাশে আছি।”

অন্বেষা বলে —
“আমি চাই, আমার মা-বাবা যেন একদিন গর্ব করে বলতে পারেন, ‘আমাদের মেয়েও পারে, মেয়েরাও পারে মা-বাবার মুখ উজ্জ্বল করতে।’

10/10/2025

মোটা হওয়ায় হাসির পাত্র থেকে আজ পাওয়ার লিফটিংয়ের গর্ব ! এক সাধারণ গৃহবধূ থেকে Strong Woman - সেরা পাওয়ার লিফটার !

অসহায় মানুষদের সাহারা তিনি, জঙ্গলমহলের ‘কোর্টের দিদি’!যিনি শুধু নিজের জীবনের লড়াইই জিতেননি, বরং অন্যের জীবনের পথও আলোক...
09/10/2025

অসহায় মানুষদের সাহারা তিনি, জঙ্গলমহলের ‘কোর্টের দিদি’!
যিনি শুধু নিজের জীবনের লড়াইই জিতেননি, বরং অন্যের জীবনের পথও আলোকিত করেছেন।

ঝাড়গ্রামের এক প্রান্তে, গোপীবল্লভপুরের এক ছোট গ্রাম — ঘুঁটিয়া। মাটির ঘর, আলোর অভাব, কিন্তু আশার আলো ছিল এক মেয়ের চোখে। নাম — রীতা দাস দত্ত। আজ তাঁকে সবাই চেনে — “কোর্টের দিদি” নামে। জঙ্গলমহলের মানুষের কাছে যিনি পরিচিত ‘কোর্টের দিদি’ হিসেবে। রাজ্যের সেরা “অধিকার মিত্র” তিনি, কিন্তু এই জায়গায় পৌঁছানোর পথটা ছিল কণ্টকাকীর্ণ, সংগ্রামের, আর চোখের জলের।

রীতা জন্মেছিলেন এক দরিদ্র বৈষ্ণব পরিবারে। বাবার ছোট্ট তেলে ভাজার দোকানেই চলত সংসার। শৈশবে মা-বাবার ভালোবাসা থাকলেও, ভাগ্য যেন একটু বেশিই কঠিন ছিল তাঁর জন্য। একাদশ শ্রেণীতে পড়ার সময়ে দাদাকে হারান এবং দ্বাদশ শ্রেণীতে মাকে হা'রান। দারিদ্র‍্য, অভাব, একাকীত্ব — সব মিলিয়ে জীবনের প্রতিটি দিন যেন এক যুদ্ধ।

কিন্তু হাল ছাড়েননি রীতা। দিনের বেলা কলেজের ক্লাস, রাতে টিউশন পড়িয়ে — নিজের খরচে পড়াশোনা শেষ করেন। গোপীবল্লভপুর সুবর্ণরেখা মহাবিদ্যালয় থেকে বাংলায় সাম্মানিক ডিগ্রি অর্জন করেন। এরপর ২০১৫ সালে বিয়ে হয়, আর ২০২১ সালে মেদিনীপুর কলেজ থেকে করেন ‘রুরাল ডেভেলপমেন্ট অফ পঞ্চায়েতি রাজ’-এর ডিপ্লোমা কোর্স — যা তাঁর জীবনের মোড় ঘুরিয়ে দেয়।

এই কোর্স শেষ করেই রীতা যোগ দেন PHE দফতরের জল জীবন মিশন প্রজেক্টে ব্লক প্রজেক্ট ম্যানেজার হিসেবে। তারপর ২০২২ সালের নভেম্বর মাসে, যোগ দেন ঝাড়গ্রাম জেলা আইনি পরিষেবা কর্তৃপক্ষের ‘অধিকার মিত্র’ পদে।
আর সেখান থেকেই শুরু হয় এক নতুন গল্প — মানুষের অধিকার পাইয়ে দেওয়ার গল্প।

রীতা আজ শুধুই এক কর্মী নন — তিনি সাধারণ মানুষের ভরসা। কেউ তাঁকে বলে "কোর্টের দিদি", কেউ বলে “অধিকারের কণ্ঠস্বর”।
তিনি গিয়েছেন গ্রামের পর গ্রাম, স্কুল থেকে স্কুলে, গৃহবধূ থেকে বৃদ্ধ — সকলকে শেখাতে যে “আইন দূরের কিছু নয়, আইন তোমার সঙ্গী”।

বেলডিহির সত্তর বছর বয়সের বৃদ্ধা বনলতা সিং — যিনি ছেলেকে হারিয়ে পোস্ট অফিসে পড়ে থাকা টাকাটা তুলতে পারেননি — রীতার সাহায্যে ফিরে পান তাঁর প্রাপ্য।
কালিঞ্জা গ্রামের ঝুমা পালোই — যার আধার না থাকার কারণে পরীক্ষায় বসা অনিশ্চিত হয়ে পড়েছিল — রীতা দেবীর চেষ্টায় সে আজ উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করা এক আত্মবিশ্বাসী মেয়ে।
এমন ছোট ছোট অলৌকিক গল্পে ভরা রীতার প্রতিটি দিন, প্রতিটি নিঃশ্বাস।

কাজে যুক্ত হওয়ার এক বছরের মধ্যেই রাজ্য আইনি পরিষেবা কতৃপক্ষের শ্রেষ্ঠ স্বীকৃতি পান তিনি — “বেস্ট PLV অ্যাওয়ার্ড – ২০২৩” — জাস্টিস আই.পি. মুখার্জির হাত থেকে।
এই পুরস্কার শুধু রীতার নয় — এটা প্রতিটি সেই নারীর জয়যাত্রা, যিনি সমাজের বাঁধা ডিঙিয়ে নিজেকে গড়তে চান।

কাজের বাইরেও রীতা মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন — কখনও স্বেচ্ছায় রক্ত দিয়ে এক প্রসূতি মায়ের প্রাণ বাঁচিয়েছেন, আবার কখনও অসুস্থ মানুষকে আর্থিক সাহায্য করেছেন, আবার প্রতিবন্ধী মানুষের জন্য প্রতিবন্ধী সার্টিফিকেটের এবং পেনশনের ব্যবস্থা করেছেন।
জীবনের প্রতিটি কাজেই তিনি রাখেন মানবতার ছোঁয়া।

আজ কোর্টের দিদি, রীতা দাস দত্ত — জঙ্গলমহলের গর্ব, গোটা বাংলার প্রেরণা। The Cob Untold টিমের পক্ষ থেকে রিতা দিদিকে জানাই অনেক অনেক শুভেচ্ছা ও শুভকামনা ।

09/10/2025

লোকে হাসতে হাসত বলেছিল ‘চাষার ছেলে শিক্ষক হবে’, আজ সেই চাষার ছেলেই দু’দুটি সরকারি চাকরিতে সফল!

দিনহাটার  গ্রামের এই দুই বোন  আজ, কলকাতার বুকে রমরমিয়ে ব্যবসা করছে । নিজেদের ডিজাইন, নিজস্ব ভাবনা দিয়ে তৈরি করেন এমন প্...
08/10/2025

দিনহাটার গ্রামের এই দুই বোন আজ, কলকাতার বুকে রমরমিয়ে ব্যবসা করছে । নিজেদের ডিজাইন, নিজস্ব ভাবনা দিয়ে তৈরি করেন এমন প্রোডাক্ট যা দেশ তো বটেই, বিদেশেও প্রতি মাসে ডেলিভারি হচ্ছে ।

"গ্রামের মেয়েরা যখন শহরের আকাশ ছুঁয়েছে — দুই বোনের স্বপ্ন আজ এক ব্র্যান্ডনাম!"
"বিয়ের সাজে নয়, ব্যবসার সাফল্যে ঝলমল করছে দিনহাটার দুই বোন,
উত্তরবঙ্গের দিনহাটার এক ছোট্ট গ্রামে জন্ম তাঁদের । ছোট থেকেই বাবার আদর এবং বাবাকে কাছে পাননি ।। বাবা ছিলেন বাইরে, ভিন রাজ্যে প্রাইভেট কোম্পানির চাকরিতে। সারা বছর কাজের চাপে বাড়িতে সময় দিতে পারতেন না । সংসারের সমস্ত দায়িত্ব এসে পড়ে মায়ের উপর। একা হাতে দুই মেয়েকে বড় করেছেন মা, শুধু বড় করা নয়—তাঁদের স্বপ্ন দেখতে শেখানোই ছিল মায়ের সবচেয়ে বড় কীর্তি ।
ছোটবেলা থেকেই দুই বোন দেখত কীভাবে তাঁদের মা কোনও অভিযোগ না করে, হাসিমুখে একাই লড়ে যাচ্ছেন । সেই লড়াই দেখে তাঁদের মনে জন্ম নেয় এক অদ্ভুত শক্তি—"মা যেন একা না থাকেন, আমরাও দাঁড়িয়ে থাকব পাশে । আমরা দুজনেই মায়ের সপ্ত খুটি হয়ে থাকবো ।

পড়াশোনার প্রতি ছিল গভীর টান। মাধ্যমিক, উচ্চমাধ্যমিকে ভালো রেজাল্ট করে দুই বোনই স্কুল পেরিয়ে যায়। দেবযানি সিদ্ধান্ত নেয় জলপাইগুড়ি পলিটেকনিক কলেজে পড়ার। কিন্তু তখনই শুরু হয় সমাজের প্রশ্ন—"মেয়েকে শহরে পড়তে পাঠাবে?" আত্মীয়স্বজনের আপত্তি, গ্রামের লোকের কটাক্ষ—তবে এই সবটা ছাপিয়ে মা বলেছিলেন, "আমি থাকব পাশে। তুই শুধু এগিয়ে যা।"

প্রথমে দেবযানি যায় পরে দু’বছর পর তনুশ্রীও নিজের স্বপ্নকে বাস্তব রূপ দিতে ভর্তি হয় কলকাতার এক সরকারি কলেজে । তবে এইবার আর মাকে কাউকে জিজ্ঞাসা করতে হয়নি। কারণ মা জানতেন, মেয়েরা পড়লে শুধু নিজের নয়—পরিবার, সমাজ—সবকিছুর ভবিষ্যত পাল্টে যেতে পারে।
কিন্তু সাফল্যের পথ কবেই বা সহজ কিংবা মসৃণ ছিল । পড়াশোনার মাঝেই লড়তে হয়েছে আরেকটা সামাজিক চাপে— সেটা হলো “বিয়ে”। না এটা শুধুই একটা শব্দ নয়, এটা নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করার মেয়েদের কাছে একটা আতঙ্ক !

গ্রামের ছেলেমেয়েরা মাধ্যমিকের পরেই যেখানে বিয়ে নিয়ে আলোচনা শুরু করে, সেখানে দেবযানি ও তনুশ্রী বুঝে গিয়েছিল—যোগ্য পাত্র চাইলে, আগে নিজেকেই যোগ্য হতে হবে। তাঁরা চান এমন একজন সঙ্গী, যার সঙ্গে সমানভাবে জীবন ও দায়িত্ব ভাগ করে নেওয়া যায়।
কলেজ শেষে দেবযানি চাকরি পান পুনের একটি নামী কোম্পানিতে । তবে এনগেজমেন্টের কারণে কিছুদিন কলকাতায় থাকতে হয় তাঁকে। তখনই ঘটে জীবনের আসল বাঁকবদল।
শুরু হলো লকডাউন । বন্ধ হয়ে গেল সবটা । ক্যারিয়ারের স্বপ্ন, চাকরি—সব যেন থমকে যায় ।
কিন্তু ঠিক তখনই আসে নতুন ভাবনা । দেবযানি শুরু করেন অনলাইনে শাড়ি বিক্রি । সাথে বোন তনুশ্রীও যোগ দিল কারণ তাঁর গ্র্যাজুয়েশন শেষ । এরপর গয়নার পেজ চালু করেন তাঁরা—shreecollection ও tiyasjewel নামে ।
ধীরে ধীরে বাড়ে কাস্টমার, বাড়ে বিশ্বাস। নিজেদের ডিজাইন, নিজস্ব ভাবনা দিয়ে তৈরি করেন এমন প্রোডাক্ট যা দেশ তো বটেই, বিদেশেও প্রতি মাসে ডেলিভারি হচ্ছে ।

The Cob Untold টিমের পক্ষ থেকে তনুশ্রী ও দেবযানীর জন্য রইল অনেক অনেক শুভেচ্ছা ও শুভকামনা ।। আপনাদের আগামী দিন আরও অজস্র সাফল্যে ভরে উঠুক। এই কামনাই করি ।

08/10/2025

লোকে বলতো, একটা গ্রাম্য মেয়ে কি বা করতে পারে ? আজ সেই মেয়ের কাজই পৌঁছে গেছে বিদেশের মাটিতে !

বাবা ছিলেন দীর্ঘদিন অ'সুস্থ, আত্মীয়-স্বজনের কাছেও ঠাঁই ছিল না ! আজ সেই মেয়েটাই প্রতিষ্ঠিত বাউল শিল্পী !নাম, তিথী সরকার...
07/10/2025

বাবা ছিলেন দীর্ঘদিন অ'সুস্থ, আত্মীয়-স্বজনের কাছেও ঠাঁই ছিল না ! আজ সেই মেয়েটাই প্রতিষ্ঠিত বাউল শিল্পী !

নাম, তিথী সরকার, বাড়ি আলিপুরদুয়ারে ।
তার জীবনের শুরুটা ছিল কণ্টকাকীর্ণ। ছোট্টবেলায় যখন অন্যরা স্কুল, খেলাধুলো আর রঙিন শৈশবে ডুবে ছিল, তখন তিথীর পৃথিবীটা ভরে উঠেছিল অভাব, অসুস্থ বাবা-মা আর অগণিত উপহাসে,বাবা ছিলেন দীর্ঘদিন অসুস্থ, মায়ের কাঁধেই সংসারের সব দায়িত্ব, আত্মীয়-স্বজনের কাছে ঠাঁই ছিল না কোনো সহানুভূতির, বরং তারা বলত—“এই মেয়ে দিয়ে কিছুই হবে না, সংসারের বোঝা ছাড়া আর কিছু নয়।”

কিন্তু এক মা এবং মামা-ই ছিলেন আলোর প্রদীপ। তারা মেয়েকে বলতেন, “যেভাবেই হোক পড়াশোনা শেষ করতে হবে, নিজের পায়ে দাঁড়াতে হবে।” মায়ের সেই অনুপ্রেরণা থেকেই শুরু হয় সংগ্রামের পথচলা। ক্লাস এইট থেকে শুরু হয় প্রকৃত লড়াই। মা টিউশনি করাতেন, আর সেই সামান্য টাকায় মেয়ের পড়াশোনার খরচ চালাতেন। নাচ-গান শেখানোর ফি, স্কুলের খরচ—সবই মায়ের ঘামের ফসল,

কিন্তু সমাজ কি কখনও সহজ করে দেয়? আশেপাশের মানুষরা বলত—“মেয়ে মানুষ হয়ে আবার গান-নাচ শিখবে? ওসব করে জীবনে কিছু হয়?” এমনকি কেউ কেউ মায়ের কাছে বিয়ের প্রস্তাবও আনত, যেন মেয়ের স্বপ্ন চিরতরে থেমে যায়। কিন্তু তিনি হাল ছাড়েননি।

বাবা জানতেন জীবন মানে শুধু অর্থ নয়, ভালোবাসা ও সম্মানের দরকার। তিনি চেয়েছিলেন মেয়ে যেন প্রতিষ্ঠিত হয়। সেই স্বপ্নকেই আঁকড়ে ধরে তিনি মেয়েকে বাউল ও ভাওয়াইয়া গান শেখাতে শুরু করলেন মাত্র 3 বছর বয়স থেকে।
রেকর্ডারে গলা তুলে, শিখিয়ে গেলেন গান। বাবার সেই হাত ধরেই তিথীর শুরু হলো নতুন অধ্যায়।

ক্রমে ক্রমে স্থানীয় অনুষ্ঠান, তারপর দূরদর্শন ও রেডিওতে জায়গা পেতে লাগল তার গান। মানুষের বেশি বেশি ভালোবাসা পেতে শুরু করল তিথি । কিন্তু আনন্দের মাঝেই একদিন এলো অন্ধকার—বাবার মৃ'ত্যু। তখন ভেঙে পড়েছিল পুরো সংসার। কিন্তু এই হার মানা নয়, বরং নতুন ল'ড়াইয়ের সূচনা হয়ে উঠল।
বাবার স্বপ্নকে বুকে নিয়ে তিথি গাইতে থাকল গানটা । গ্রাম থেকে শহর, তারপর রাজ্যজুড়ে এবং ভিন্ন রাজ্যে ও বাউল গানের আসরে বাজতে লাগল তার কণ্ঠ। যেসব মানুষ একদিন বলত—“এ মেয়ে দিয়ে কিছু হবে না”—তারাই আজ ভিড় জমায়, তার গান শোনার জন্য । মুগ্ধ হয়ে হাততালিও দেন !

আজ তিথি শুধু এক শিল্পী নন, হাজারো তরুণ-তরুণীর জন্য এক জীবন্ত অনুপ্রেরণা। The Cob Untold টিমের পক্ষ থেকে তিথির আগামী জীবনের জন্য রইল অনেক অনেক শুভেচ্ছা ও শুভকামনা !

07/10/2025

জঙ্গলমহলের ‘কোর্টের দিদি’ ! রাজ্যের সেরা ‘অধিকার মিত্র’ তিনি ! অ'সহায় মানুষের কাছে তিনি ভগবান !

আন্তর্জাতিক মঞ্চ থেকে ভারতের হয়ে সোনা আনলেন ধুপগুড়ির গীতাঞ্জলি সাহা !একটা সময়, যে মেয়েটাকে পণ এর জন্য শশুর বাড়ি থেক...
06/10/2025

আন্তর্জাতিক মঞ্চ থেকে ভারতের হয়ে সোনা আনলেন ধুপগুড়ির গীতাঞ্জলি সাহা !

একটা সময়, যে মেয়েটাকে পণ এর জন্য শশুর বাড়ি থেকে প্রতিদিনই অ'ত্যা'চা'র সহ্য করতে হয়েছিল ! এমনকি নিজের স্বামী বলতেন —“তুমি কুৎসিত, আমার যোগ্য নও।”
সেই মেয়েই আজ নিজের যোগ্যতার আসল সংজ্ঞা দিলেন বিশ্বমঞ্চে ভারতের পতাকা উঁচিয়ে ধরে ।

জলপাইগুড়ির ধুপগুড়ি বাসিন্দা গীতাঞ্জলি সাহা, বাবা রুহিদাস সাহা । গ্রাজুয়েশনের ফাইনাল পরীক্ষার সাথেসাথেই পরিবার তাকে বিয়ে দেয়। বাবার জমানো টাকা আর জমি বিক্রি করে অনেক ধুমধামের বিয়ে দেয় গীতাঞ্জলির !

গীতাঞ্জলির অভিযোগ,
স্বামী এবং তার পরিবারের কাছ থেকে অ'পমান, মানসিক অ'ত্যা'চার, এমনকি ক্ষুধার য'ন্ত্র'ণাও সহ্য করতে হয় তাকে । এমনকি তার স্বামী তাকে সরাসরি বলতো,—“তুমি কুৎসিত, তুমি আমার যোগ্য নও।”
গীতাঞ্জলির আরও অভিযোগ করেছে,
স্বামী জানায়—“যদি বাবার কাছ থেকে বিশ লাখ টাকা আর বাড়ি লিখে দাও, তবেই ভালোবাসা পাবে।”

তবুও গীতাঞ্জলি মুখ বুজে সব সহ্য করেছিল পরিবারের সম্মানের জন্য। শেষে যখন অত্যাচার চরমে পৌঁছালো, ডিভোর্স হলো। কিন্তু বিয়েতে দেওয়া গয়না, ফার্নিচার, কিছুই ফেরত পাননি তিনি । কোর্টে কেস এখনো চলছে। একদিকে আইনের লড়াই, অন্যদিকে ভেঙে পড়া শরীর আর মন।

কিন্তু ঠিক এখানেই জীবনের মোড় ঘুরে যায়। ডাক্তাররা বললেন—মানসিক ও শারীরিক অবস্থা ভালো করার জন্য ব্যায়াম শুরু করতে হবে। মা তাকে একটি জিমে ভর্তি করে দেন। কিন্তু ভাগ্য যেন তখনও পরীক্ষা নিচ্ছিল। ভুল প্র্যাকটিসের কারণে বাম হাতে গুরুতর ইনজুরি—দুটো হাড়ের মাঝখানে বড় গ্যাপ। এতটাই খারাপ অবস্থা যে এক গ্লাস জলও তুলতে পারতেন না।

ধুপগুড়ির ডাক্তাররা কিছু করতে পারলেন না। শিলিগুড়ির ডাক্তারের কাছে গিয়ে পেলেন নতুন আশা—“ওষুধে কিছু হবে না, শুধু এক্সারসাইজেই ঠিক হতে পারে।” আর তখনই জীবনে আসেন তার গুরু—Mr. Sonu Sharma। তিনি শুধু হাতের শক্তিই ফেরাননি, বরং তাকে তৈরি করেছেন এক পাওয়ার লিফটার হিসেবে।

হাতের ইনজুরি ভুলে গীতাঞ্জলি শুরু করলেন কঠোর অনুশীলন। একদিন ডিসট্রিক্ট চ্যাম্পিয়নশিপ, তারপর বেঙ্গল চ্যাম্পিয়নশিপ—একটার পর একটা গোল্ড তার হাতে উঠতে লাগল। তখন অনেকেই কটাক্ষ করেছে, বাধা দিয়েছে, কোচকে হুমকি পর্যন্ত দিয়েছে। কিন্তু কোচ শুধু বলেছিলেন—“আমার গুরুদক্ষিণা হবে যেদিন তুমি আন্তর্জাতিক মঞ্চে ভারতের পতাকা উড়িয়ে দেবে।”

এরপর শুরু হলো আসল যুদ্ধ। ন্যাশনাল চ্যাম্পিয়নশিপে একের পর এক পদক—গোল্ড, সিলভার, ব্রোঞ্জ। এমনকি রেকর্ডও ভেঙে দিলেন তিনি। সিলেকশন পেলেন আন্তর্জাতিক মঞ্চের জন্য।

কিন্তু সমস্যার শেষ কোথায়? আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় যেতে প্রচুর টাকা লাগে। কোনো জায়গা থেকে সাহায্য পাওয়া গেল না। কোন উপায় না পেয়ে, মা তখন তার নিজের সোনার বালা বিক্রি করলেন, মেয়ের হাতে সেই অর্থ তুলে দিলেন,
আর বললেন, “যাও মা দেশের নাম উজ্জ্বল কর, সোনার বালা তো পরেও নেওয়া যাবে,আগে তো দেশ ”!
মায়ের দেশ এই প্রেম, মায়ের এই ত্যাগ, সন্তানের স্বপ্নের সিঁড়ি হয়ে ওঠে। আর সেই অর্থেই গীতাঞ্জলি রওনা দিলেন নেপালের কাঠমান্ডুতে । আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায়।
সেই মঞ্চে, শারীরিক ব্যথা, কাঁধের টেন্ডন ছিঁড়ে যাওয়া, চোখের জল—সবকিছুকে পেছনে ফেলে তিনি লড়লেন।আর ফলাফল?
গীতাঞ্জলি সাহা ভারতের জন্য জিতলেন একটি গোল্ড এবং একটি সিলভার মেডেল।

06/10/2025

ভ'য়ঙ্কর অবস্থা উত্তরবঙ্গের ! আজ উত্তরবঙ্গ কাঁদছে ! প্রকৃতি যেন রু'দ্ররূপ ধারণ করেছে ! দুর্যোগে তছনছ উত্তরবঙ্গ !

জনস্বার্থে সতর্কতা বার্তাWARNING!উত্তরবঙ্গবাসী — বিশেষ করে কোচবিহার ও আলিপুরদুয়ার জেলার মানুষরা, দয়া করে এখনই সতর্ক হোন,...
05/10/2025

জনস্বার্থে সতর্কতা বার্তা

WARNING!
উত্তরবঙ্গবাসী — বিশেষ করে কোচবিহার ও আলিপুরদুয়ার জেলার মানুষরা, দয়া করে এখনই সতর্ক হোন, সাবধান থাকুন!

ভূটান সরকারের তরফে জরুরি বার্তা এসেছে —
ভূটানের পাহাড়ি নদীগুলিতে অতিরিক্ত জল জমে বি'পজ্জনক মাত্রায় পৌঁছেছে।
যে কোনও মুহূর্তে সেই জল প্রবল বেগে নামতে পারে সমতলে —
আর তার দিকনির্দেশ এখনই নির্দিষ্ট করে বলা যাচ্ছে না!

সবচেয়ে ভ'য়'ঙ্ক'র অবস্থা ভুটানের টালা গেটের,
যা এখন বি'প'দসীমায়, এবং যেকোনো মুহূর্তে ভেঙে পড়তে পারে।
যদি এমনটা ঘটে —
তবে আলিপুরদুয়ার ও কোচবিহারের বিস্তীর্ণ এলাকা, এমনকি দুই জেলা শহরও পড়বে ভ'য়া'ব'হ ব'ন্যার কবলে!

সবাইকে অনুরোধ —
গুজব ছড়াবেন না,
ভয় নয় — সতর্কতা ও প্রস্তুতিই এখন সবচেয়ে বড় শক্তি।

আপনার ঘরে পর্যাপ্ত খাবার, পানীয় জল ও ওষুধ মজুত রাখুন।
শিশু ও বয়স্কদের নিরাপদ স্থানে রাখুন।
এবং প্রশাসনের নির্দেশ কঠোরভাবে মেনে চলুন।

জনস্বার্থে প্রচারিত।
আপনার নিরাপত্তাই এখন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।

ভ'য়ঙ্কর পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যাচ্ছে আমাদের প্রিয় উত্তরবঙ্গ। দার্জিলিং, কালিমপঙ, আলিপুরদুয়ার, কুচবিহার, জলপাইগুড়ি – সর্বত...
05/10/2025

ভ'য়ঙ্কর পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যাচ্ছে আমাদের প্রিয় উত্তরবঙ্গ। দার্জিলিং, কালিমপঙ, আলিপুরদুয়ার, কুচবিহার, জলপাইগুড়ি – সর্বত্র বৃষ্টি যেন হাহাকার বইয়ে দিয়েছে। পাহাড় ভেঙে পড়ছে, নদী ফুলে উঠছে, মানুষের ঘরবাড়ি ভেসে যাচ্ছে। অসহায় মানুষগুলো তাকিয়ে আছে সরকারের দিকে, প্রশাসনের দিকে, আমাদের দিকেও। এখনই সময় একসাথে দাঁড়াবার, সাহায্যের হাত বাড়াবার। সরকারের উচিত দ্রুত ত্রাণ ও সহায়তা পৌঁছে দেওয়া প্রতিটি দুর্গত এলাকায়।

আসুন, আমরা প্রার্থনা করি – বৃষ্টি থেমে যাক, পাহাড় আবার সেরে উঠুক, হাসি ফিরুক মানুষের মুখে।

Let’s pray for our beloved North Bengal. 🙏

Address

Cooch Behar
DINHATA

Telephone

+916295286636

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when The Cob untold posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to The Cob untold:

Share

Category