The Cob untold

  • Home
  • The Cob untold

The Cob untold উত্তরবঙ্গের প্রথম মোটিভেশনাল চ্যানেল The Cob Untold লুকানো প্রতিভাকে পরিচিতি দানই চ্যানেলের মুখ্যকাজ
(4)

কোচবিহারের এক গ্রামের মাটির গন্ধ থেকে CSIR -UGC NET - এ অল ইন্ডিয়া ১১১ র‍্যাঙ্ক করে আইআইটি খড়গপুরের গবেষণাগারে— আরিফ উ...
13/09/2025

কোচবিহারের এক গ্রামের মাটির গন্ধ থেকে CSIR -UGC NET - এ অল ইন্ডিয়া ১১১ র‍্যাঙ্ক করে আইআইটি খড়গপুরের গবেষণাগারে— আরিফ উজ জামানের এই এক অবিশ্বাস্য স্বপ্নযাত্রা !

কোচবিহারের সুকটাবাড়ি—প্রকৃতির শান্ত স্নিগ্ধতা আর গ্রামীণ সরলতার আবরণে ঢাকা একটি ছোট্ট গ্রাম। সেখানকার একটি প্রাচীন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, সুকটাবাড়ি স্টেট হাই মাদ্রাসা (তৎকালীন সুকটাবাড়ি স্টেট জুনিয়র হাই মাদ্রাসা), থেকেই শুরু হয়েছিল এক অসাধারণ স্বপ্নযাত্রা।
২০১৫ সাল ছিল তাঁর জীবনের প্রথম বড় মোড়। মাধ্যমিক পরীক্ষায় অসাধারণ কৃতিত্ব অর্জন করে তিনি পান পশ্চিমবঙ্গ সরকারের হাজি মহসিন এন্ডাওমেন্ট স্কলারশিপ। সেই সাফল্য যেন একদিকে ছিল তাঁর মেধার স্বাক্ষর, অন্যদিকে সামনে এগিয়ে যাওয়ার প্রেরণা। এরপর তিনি ভর্তি হন কোচবিহারের সুপ্রসিদ্ধ এবিএন সিল কলেজ-এ এবং সেখান থেকে প্রাণীবিজ্ঞানে স্নাতক সম্পন্ন করেন,

২০২০ সালে আসে আরেকটি গর্বের অধ্যায়—কোচবিহার পঞ্চানন বর্মা বিশ্ববিদ্যালয়-এ প্রথম শ্রেণীতে দ্বিতীয় স্থান অধিকার করে তিনি পান ইউনিভার্সিটি সিলভার মেডেল।
বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়-এ, সেখানে মলিকুলার বায়োলজি ও জেনেটিক্স-এ বিশেষায়িত হয়ে সম্পন্ন করেন প্রাণীবিজ্ঞানে স্নাতকোত্তর (M.Sc.) এবং সাফল্যের সঙ্গে উত্তীর্ণ হন প্রথম শ্রেণীতে, ২০২২ সালে তিনি CSIR-UGC NET-এ অর্জন করেন অল ইন্ডিয়া র‍্যাঙ্ক ১২০। পরের বছরই সেই সাফল্যকে আরও এক ধাপ উঁচুতে নিয়ে গিয়ে অর্জন করেন অল ইন্ডিয়া র‍্যাঙ্ক ১১১। একইসঙ্গে দেশের অন্যতম কঠিন প্রতিযোগিতা GATE-এ সাফল্য পেয়ে সুযোগ পান ভারতের শীর্ষস্থানীয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আইআইটি খড়গপুর-এ। সেখানে তিনি সম্পন্ন করেন বায়োটেকনোলজি ও বায়োকেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং-এ এম.টেক !

এর মাঝেই ২০২২ সালে পাশ করেন West Bengal State Eligibility Test (SET), যা তাঁকে পশ্চিমবঙ্গের কলেজে অধ্যাপনার যোগ্য করে তোলে, এম.টেকের শেষ বছরে তিনি বসেন CAT (Common Admission Test)-এ এবং ২০২৪ সালে উজ্জ্বল সাফল্য অর্জন করে আমন্ত্রণ পান মর্যাদাপূর্ণ IIM Sirmaur-এ এমবিএ কোর্সে ভর্তির জন, তবে পারিবারিক কারণে তিনি সেই সুযোগ গ্রহণ করতে পারেননি, কিন্তু হাল না ছেড়ে, গবেষণার পথ বেছে নেন,

নিজের আলমা মেটার আইআইটি খড়গপুর-এর প্রস্তাব গ্রহণ করে শুরু করেন বায়োফিজিক্স ও মলিকুলার বায়োলজি-তে পিএইচডি। আজ তিনি সেই পথেই নিরন্তর এগিয়ে চলেছেন, নতুন নতুন আবিষ্কারের স্বপ্ন বুকে নিয়ে ।

13/09/2025

বাবা রিটায়ার্ড আর্মি, ২৬ বার ব্য'র্থতার পর আজ ত্রিপুরা পুলিশ ইউনিফর্মে ! প্রেমিকাও ছেড়ে চলে গিয়েছিল তাকে আলোর হয়ে পাশে ছিলেন দুই বন্ধু !

চার সন্তান তবুও, ৭০ বছর বয়সে এসে জী'বন যু'দ্ধে একা ল'ড়াই করে যাচ্ছেন যো'দ্ধা মা !বয়স পেরিয়েছে সত্তরের কোটা ।। বয়সের...
12/09/2025

চার সন্তান তবুও, ৭০ বছর বয়সে এসে জী'বন যু'দ্ধে একা ল'ড়াই করে যাচ্ছেন যো'দ্ধা মা !
বয়স পেরিয়েছে সত্তরের কোটা ।। বয়সের তাগিদে ।। চুল পাক ধরেছে বেশ খানিকটা ।। তবুও জলের বোতল, পান, সুপারি এবং চকলেট নিয়ে বাসস্ট্যান্ডের এক কোণে বসে আছে ।।

জানা যায়, তার নাম গীতা শীল ।। বাড়ি মাথাভাঙ্গার দক্ষিণপাড়াতে ।। গীতা দেবীর দুই মেয়ে এবং দুই ছেলে ।। দুই ছেলের বিয়ে হয়েছে , নিজেদের আলাদা আলাদা সংসার নিয়ে আলাদা আলাদা জায়গায় বাড়ি করেছে ।। এবং দুই মেয়েরও বিয়ে হয়েছে ।। বর্তমানে তার ছোট মেয়ে এবং তার এক নাতি সাথে গীতা দেবীর সাথেই থাকেন ।। ২৪ বছর আগে হাঁপানি কারণে গীতা দেবীর স্বামী গত হয়েছিলেন ।। আর তারপর থেকেই সংসার এবং চার চার জন সন্তানকে একা হাতেই মানুষ করেছেন ।। তাদের বিয়ে দিয়ে দিয়েছেন ।। তারপরেও এই বয়সে এসে মা আজও একা স্টেশনে বসে জীবন যুদ্ধে লড়াই করে যাচ্ছে ।।

আসলে গীতা দেবী জানেন, তার সংসার চালানোর উপার্জনের একমাত্র মাধ্যম এটাই ।। তাই তাকে শেষ মুহূর্ত অব্দি দাঁতে দাঁত চেপে ময়দানে থেকে যেতেই হবে ।। বয়সের ভারে শারীরিকভাবে বেশ খানিকটা দুর্বল হয়ে পড়লেও, এই ৭০ এর গীতা দেবী মানসিকভাবে আজও দৃঢ় ।। তিনি জানেন তার জীবনের লড়াইটা তাকে নিজেকেই লড়তে হবে ।

ভালো থাকুন গীতা দেবী আপনি ।। সুস্থ থাকুন The Cob Untold এই কামনাই করে ।।

12/09/2025

৩১ টি চাকরির পরীক্ষায় ব্যর্থতার পর সাফল্যের জায়গাথা বালুরঘাটের মঞ্জিলের ! হা'র মানা তাঁর অভিধানে ছিলো না !

এক হকার বাবার ছেলে পুরাতন মালদাকে গর্বিত করে রাজ্যস্তরের স্কুল গেম তাইকোন্ডো থেকে সোনা জয়ী !বাবা প্রতিদিন সকালে ঝোলা কা...
11/09/2025

এক হকার বাবার ছেলে পুরাতন মালদাকে গর্বিত করে রাজ্যস্তরের স্কুল গেম তাইকোন্ডো থেকে সোনা জয়ী !

বাবা প্রতিদিন সকালে ঝোলা কাঁধে নিয়ে বেরিয়ে পড়েন বিস্কুট ফেরি করতে ! আর ছেলে ভাঙ্গা ঘর থেকে স্বপ্ন দেখছে, একদিন আন্তর্জাতিক মঞ্চে গলায় সোনার পদক ঝুলিয়ে দেশের পতাকা তুলে ধরতে !

পুরাতন মালদা তৈল মুমন্ডির এক ছোট্ট, অন্ধকার ঘরে জন্মেছিল এক স্বপ্নযোদ্ধা। তার নাম অঙ্কুশ রায়। বয়স মাত্র ১৬ ! অঙ্কুশ পুরাতন মালদা কালাচাঁদ হাই স্কুলের দশম ফেনীতে পাঠরত ।
বাবা অভিজিৎ রায় প্রতিদিন সকালে ঝোলা কাঁধে নিয়ে বেরিয়ে পড়েন বিস্কুট ফেরি করতে। সারাদিন রোদে, বৃষ্টিতে, ধুলোয় ঘুরে যা আয় হয়, তা দিয়েই চলে সংসার। মা পদ্মাবতী রায়, সাধারণ গৃহবধূ। সংসারের নিত্য অভাব-অনটনের মাঝেও ছেলেকে হাসিমুখে রাখার জন্য প্রাণপণ চেষ্টা করেন ।

একদিন স্কুল প্রাঙ্গণে অঙ্কুশ হঠাৎ দেখল—Taekwondo শেখানো হচ্ছে। সেদিনই তার মনে জন্ম নিল এক নতুন স্বপ্ন। কিন্তু স্বপ্ন দেখাই সহজ, বাস্তবায়ন করা কঠিন। ভর্তি ফি দেওয়ার মতো টাকাও ছিল না তার কাছে, ঠিক তখনই তার জীবনে আলো হয়ে এলেন Old Malda Taekwondo Club-এর কোচ কৃষ্ণ বসফোর। তিনি অঙ্কুশের চোখে দেখলেন আগুন। বুঝলেন, এই ছেলেটি শুধু প্রতিভাবানই নয়, লড়াই করার মানসিক শক্তিও রাখে। তাই তিনি বললেন—
“টাকা নিয়ে ভাবিস না, মন দিয়ে শিখ। বাকি সব আমি দেখব,
ড্রেস কেনার টাকাও ছিল না অঙ্কুশের কাছে। সেখানেও পাশে দাঁড়ালেন কোচ। দিলেন বিনামূল্যে ড্রেস। সেই থেকেই শুরু হলো অঙ্কুশের যুদ্ধ। অভাব, ক্ষুধা, অপমান—সব উপেক্ষা করে প্রতিদিন অনুশীলন চালিয়ে যেতে লাগল সে। কখনো শুধু বাদাম, কখনো কেবল কলা খেয়ে দিন কাটিয়েছে। কিন্তু স্বপ্ন থেকে একচুলও সরেনি, তিন বছর ধরে কঠোর অনুশীলন করেও ন্যাশনাল খেলার যোগ্যতা অর্জন করতে পারেনি অঙ্কুশ।

সম্প্রতি ৬৯তম রাজ্য স্কুল গেমসে (Under-55kg, 17yrs) সে জিতল স্বর্ণপদক। এই পদক কেবল ধাতব টুকরো নয়—এ হলো তার প্রতিটি ক্ষুধার্ত দিন, প্রতিটি ছেঁড়া স্যান্ডেলের পথচলা, প্রতিটি চোখের জলের ফলাফল। এই জয়ের হাত ধরেই সে সুযোগ পেল SGFI National Games-এ খেলার।
যে ছেলেকে অনেকেই দারিদ্র্যের কারণে অবহেলা করেছিল, আজ সেই অঙ্কুশ রায় মালদার গর্ব।

The Cob Untold টিমের পক্ষ থেকে অঙ্কুশ এর জন্য রইল অনেক অনেক শুভেচ্ছা ও শুভকামনা !

11/09/2025

IIT খড়গপুরে গবেষক কোচবিহারের সুকটাবাড়ির আরিফ উজ জামান ! কোচবিহারের এক গ্রামের মাটির গন্ধ থেকে IIT - তে অল ইন্ডিয়া ১১১ র‍্যাঙ্ক !

ঘোকসাডাঙ্গার গরিব দিনমজুরের রাজবংশী মেয়ে এবার রাজ্যে গিয়ে সেনা জিতল ।হ্যাঁ এই কৃষক পরিবারের মেয়েটাই, রাজ্যের মঞ্চ থেক...
10/09/2025

ঘোকসাডাঙ্গার গরিব দিনমজুরের রাজবংশী মেয়ে এবার রাজ্যে গিয়ে সেনা জিতল ।

হ্যাঁ এই কৃষক পরিবারের মেয়েটাই, রাজ্যের মঞ্চ থেকে কোচবিহার তথা উত্তরবঙ্গকে গর্বিত করল ।
লড়াইয়ের ময়দানে উত্তরবঙ্গের রাজবংশী ঘরের সোনার মেয়ে কোয়েল বর্মন !

ঘোকসাডাঙ্গা বাঘমারা সুখানদীঘি এলাকাযর একজন কৃষক পরিবারের মেয়ে কোয়েল বর্মন , ছোটবেলা থেকেই দারিদ্র্যের সাথে লড়াই। বাবা রতেশ্বর বর্মন কৃষিকাজ করেন, মা চম্পা বর্মন গৃহবধূ । ঘোকসাডাঙ্গা প্রামানিক হাই স্কুল থেকে উচ্চমাধ্যমিক পাস করে এখন ঘোকসাডাঙ্গা বীরেন্দ্রনাথ মহাবিদ্যালয়ের প্রথম বর্ষের ছাত্রী।

কিন্তু কোয়েল বর্মনের পরিচয় শুধু এখানেই সীমাবদ্ধ নয়। উশু কুং-ফু’র আঙিনায় সে আজ এক উজ্জ্বল নক্ষত্র ! খেলো ইন্ডিয়া মহিলা উশু লীগ ২০২৫-এ সিনিয়র বিভাগে ৪৫ কেজি ওজন শ্রেণিতে স্বর্ণপদক অর্জন করেছে। পাশাপাশি, ২০তম পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য উশু চ্যাম্পিয়নশিপেও একই বিভাগে সোনা জিতেছে মেয়েটা । রাজ্য মঞ্চে, কোচবিহার তথা উত্তরবঙ্গকে গর্বিত করেছে ।

সংসারে অর্থকষ্ট নিত্যসঙ্গী, বাবার কৃষিকাজই পরিবারের একমাত্র অবলম্বন। ছোটবেলা থেকেই খেলাধুলার প্রতি আগ্রহ থাকলেও আর্থিক প্রতিবন্ধকতা ছিল চরমে । অনুশীলনের জন্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী কেনার সামর্থ্য ছিল না। অনেক সময় নিজেকে প্রস্তুত করতে হয়েছে পুরোনো ও অপ্রতুল সরঞ্জাম ব্যবহার করে। কিন্তু না, হাল ছাড়েনি মেয়েটা। প্রতিদিন নিয়মিত রাতদিন কঠোর অনুশীলন আর আত্মবিশ্বাসের জোরে নিজেকে তৈরি করেছে সে ।

বর্তমানে এই বাংলার মেয়ে কোয়েলের ঝুলিতে রয়েছে মোট ১৩টি পদক – যার মধ্যে ১১টি স্বর্ণ, ১টি রৌপ্য ও ১টি ব্রোঞ্জ। উশু কুং-ফুতে তার দক্ষতা তাকে এনে দিয়েছে রাজ্য ও জাতীয় পর্যায়ের অসংখ্য স্বীকৃতি ।।
এখন কোয়েলের স্বপ্ন এ রাজ্য এবং তারপর দেশের হয়ে আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় দেশের জন্য সোনা জেতার । কঠোর পরিশ্রম করে নিজেকে আরও দক্ষ করে তুলতে চায় সে । সমাজের সব বাধা, টিপ্পনী, দারিদ্র্য—সবকিছুকে পেছনে ফেলে এগিয়ে যাওয়ার সংকল্প নিয়েছে মেয়েটা ।।

The cob Untold এর পক্ষ থেকে বাংলার সোনার মেয়ে কোয়েলের জন্য রইল অনেক অনেক শুভেচ্ছা এবং শুভকামনা ।। তোমার আগামী জীবন আরও উজ্জ্বল হয়ে উঠুক এই কামনাই করি ।

10/09/2025

৩৯ বয়সের এক সাধারণ গৃহবধূ আন্তর্জাতিক মঞ্চে গড়লেন ইতিহাস ! UYSF যোগা স্পোর্টস চ্যাম্পিয়নশিপে দেশের হয়ে রৌপ্য পদক জয়ী !

গ্রামের ভাঙ্গাচোরা খড়ের ঘর থেকে Dance Bangla Dance- এর মঞ্চে চ্যাম্পিয়ন ! রিজু-রাজদীপ দুই ভাই আজ গোটা উত্তরবঙ্গের গর্ব...
09/09/2025

গ্রামের ভাঙ্গাচোরা খড়ের ঘর থেকে Dance Bangla Dance- এর মঞ্চে চ্যাম্পিয়ন ! রিজু-রাজদীপ দুই ভাই আজ গোটা উত্তরবঙ্গের গর্ব !
ছোট্ট একটা গ্রাম থেকে জাতীয় মঞ্চে, আর তারপর উত্তরবঙ্গের মুকুটে যুক্ত করল আরো এক নয়াপালক ! উত্তরবঙ্গ পেল গর্বের দুই সন্তান ঋজু এবং রাজদীপ !
কোচবিহার জেলার মাথাভাঙ্গা মহকুমার অন্তর্গত ছোট্ট গ্রাম ঘোক্সাডাঙ্গা। অচেনা, অজানা এই গ্রামকেই আজ চিনছে গোটা বাংলা। কারণ এখান থেকে উঠে এসেছে দুই ক্ষুদে প্রতিভা—রিজু সরকার ও রাজদীপ সরকার, যারা তাদের নাচের জাদুতে মাতিয়ে তুলেছে এই বাংলা থেকে গোটা দেশ !

অভাব-অনটনের সংসারে জন্ম নিয়েও স্বপ্ন দেখার সাহস হারায়নি দুই ভাই। বাবা রাসেন্দ্র সরকার, পেশায় একজন পরিযায়ী শ্রমিক, যিনি পরিবারের অন্ন জোগাড় করতে বছরের পর বছর ঘরছাড়া জীবন কাটান। মা সুমিত্রা সরকার, গৃহবধূ হলেও সংসারের অভাব-অভিযোগকে পাশে সরিয়ে রেখে ছেলেদের স্বপ্নকে বাঁচিয়ে রাখার লড়াই চালিয়েছেন। সংসারের প্রতিটি টানাপোড়েনের মাঝেও এই দুই ভাই পড়াশোনা এবং নাচ দু’টিতেই সমানতালে নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করেছে ।
কিছুদিন আগে ভাইরাল হয়েছিল তাদের নাচ। বলিউডের জনপ্রিয় গান “তেরা ইয়ार হুঁ ম্যায়”-তে রিজু-রাজদীপের পরিবেশনা মুহূর্তের মধ্যে দেশজুড়ে আলোড়ন তোলে,কোটি কোটি দর্শক দেখেছিল দুই ক্ষুদে শিল্পীর প্রতিভা। দেখেছিলেন, মেগাস্টার, মিঠুন চক্রবর্তীও ! সেই ভিডিও থেকেই শুরু হয়েছিল তাদের জাতীয় মঞ্চে ওঠার যাত্রা,

স্বপ্নের দরজা খুলে গেল যখন তারা সুযোগ পেল বাংলার সবচেয়ে বড় ও জনপ্রিয় নৃত্য রিয়ালিটি শো—Dance Bangla Dance Season 13-তে। আর প্রথম দিন থেকেই Zee Bangla-র এই অনুষ্ঠানে মঞ্চ কাঁপিয়ে দিয়েছে দুই ভাই। প্রতিটি এপিসোডেই বিচারকদের প্রশংসা কুড়িয়েছে তাদের অনবদ্য পারফরম্যান্স । অবশেষে এলো সেই ঐতিহাসিক মুহূর্ত । গ্র্যান্ড ফিনালে-তে রিজু-রাজদীপ হল যুগ্ম চ্যাম্পিয়ন, সঙ্গে আদিত্য কর্মকার। বিচারকের আসনে ছিলেন গ্র্যান্ড মাস্টার মিঠুন চক্রবর্তী, সঙ্গে আরও ছিলেন যিশু সেনগুপ্ত, অঙ্কুশ হাজরা, কৌশানি মুখার্জি, শুভশ্রী গাঙ্গুলি, দেবশ্রী রায় ও টোটা রায়চৌধুরী। বিচারকের মন্তব্যেই পরিষ্কার—এই দুই ভাইয়ের প্রতিভাই উত্তরবঙ্গের নতুন পরিচয় ।
গ্রামের প্রত্যেক মানুষ আজ এই দুই ভাইয়ের জন্য গর্বে উজ্জ্বল।

আজকের এই দুই ক্ষুদে শিল্পী কোচবিহার তো থাক গোটা উত্তরবঙ্গের গর্ব ! তারা আগামী প্রজন্মের কাছে প্রেরণা। কারণ তারা প্রমাণ করেছে—
“নাচ শুধু শরীরের ছন্দ নয়, এটা জীবনের ছন্দও বটে !
The Cob Untold টিমের পক্ষ থেকে রিজু-রাজদীপের জন্য রইল অনেক অনেক শুভেচ্ছা ও শুভকামনা ! তোমাদের আগামী জীবন আরও সাফল্যে ভরে উঠুক !

09/09/2025

স্কুলে পড়াতে গিয়ে অ'পমানিত হয়েছিলেন, আজ তিনি ৩০০ ছাত্রছাত্রীর শিক্ষক ! ছেলে হয়ে লিপস্টিক পড়তেন বলে, ধেয়ে আসতো কো'টাক্ষ !

08/09/2025

বাবা বিস্কুটের হকার, ছেলে রাজ্যস্তর থেকে সোনা জয়ী ! স্বপ্ন দেখছে, একদিন আন্তর্জাতিক মঞ্চে গ'লায় সোনার পদক ঝুলিয়ে দেশের পতাকা তুলে ধরতে !

07/09/2025

তেতুল-লঙ্কা-লবণ দিয়ে ভাত খেয়ে বড় হওয়া ছেলেটিই আজ পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের অনুপ্রেরণার প্রতীক ! কাজ করেছিলেন বিয়ে বাড়িতে সিকিউরিটি গার্ডও !

Address


DINHATA

Telephone

+916295286636

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when The Cob untold posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to The Cob untold:

  • Want your business to be the top-listed Media Company?

Share