The Cob untold

The Cob untold উত্তরবঙ্গের প্রথম মোটিভেশনাল চ্যানেল The Cob Untold লুকানো প্রতিভাকে পরিচিতি দানই চ্যানেলের মুখ্যকাজ
(4)

21/07/2025

ছোট ঘরেই গড়ে উঠেছে এক শিল্পী, রঙ ছিল না, শিক্ষাগুরু ছিল না, আজ সেই মেয়েটাই পূর্ব মেদিনীপুরের গর্ব !

19/07/2025

ঘোক্সাডাঙ্গার ছেলেটা Dance Bangla Dance মঞ্চে দাঁড়িয়ে
মেগাস্টার মিঠুন চক্রবর্তীর সামনে দাঁড়িয়ে । যার একজোড়া পা বদলে দিল হাজারো স্বপ্নের দিশা ।

শুভ মুক্তি পেল “এক তরুণী” স্বল্পদৈর্ঘ্যের সমাজ সচেতনতামূলক শর্ট ফিল্মটি ! 👇নিচে কমেন্ট বক্সে লিংক দেওয়া রইল, দেখে আসুন ...
18/07/2025

শুভ মুক্তি পেল “এক তরুণী” স্বল্পদৈর্ঘ্যের সমাজ সচেতনতামূলক শর্ট ফিল্মটি !

👇নিচে কমেন্ট বক্সে লিংক দেওয়া রইল, দেখে আসুন এবং আপনাদের মূল্যবান মন্তব্য রাখুন, আর অবশ্যই, লাইক ,কমেন্ট এবং শেয়ার করবেন !

ুণী

18/07/2025

বাবা চায়ের দোকান করে, বাজারে বস্তা টানে সেই ছেলেই আজ Police-এর স্পেশাল ফোর্স RAF ইউনিটে । কলেজ থেকে তাকে ব'হিষ্কার করা হয়েছিল !

আজকের সন্ধ্যা ৬:০০ টায় মাথাভাঙ্গা থানায় মুক্তি পেতে চলেছে বহু আপেক্ষিত স্বল্পদৈর্ঘ্যের ছবি “এক তরুণী” ! এই শর্ট ফিল্মট...
16/07/2025

আজকের সন্ধ্যা ৬:০০ টায় মাথাভাঙ্গা থানায় মুক্তি পেতে চলেছে বহু আপেক্ষিত স্বল্পদৈর্ঘ্যের ছবি “এক তরুণী” !

এই শর্ট ফিল্মটির উদ্দেশ্য, ভার্চুয়াল জগত এবং বাস্তব জগত ঠিক কতটা পার্থক্য ! হুট করে ফেসবুক থেকে পরিচয় হওয়া এক অপরিচিত ছেলের সাথে প্রেম করে বাড়ি থেকে বেরিয়ে গেলে ,এক মেয়ের কতটা ভ'য়ংকর পরিণতি হতে পারে সেই বাস্তব দৃশ্যই তুলে ধরা হয়েছে এই শর্ট ফিল্মটির মাধ্যমে ! আশা রাখছি এই শর্ট ফিল্ম এর মাধ্যমে একটু হলেও ইয়ং জেনারেশন বিশেষ করে মেয়েদের কাছে একটা ইতিবাচক বার্তা যেতে পারে !

সম্ভবত উপস্থিত থাকবেন কোচবিহার জেলা পুলিশ সুপার এবং আরো বড় বড় পুলিশ আধিকারিকরাও ।। উপস্থিত থাকবেন বিভিন্ন সমাজসেবীরাও ।।

রিলিজের শুভক্ষণে আপনাদের সকলের উপস্থিতি কামনা করি, এই শর্ট ফিল্মটির পুরো টিম এবং The Cob Untold এর পুরো পরিবার...

ুণী

16/07/2025

মায়ের সোনার গহনা বন্ধক রেখে, সাউথ এশিয়া গেমস থেকে ভারতের হয়ে ব্রোঞ্জ জয় বাংলা ছেলে ! অথচ আমরা আজও সেই খবরটাও জানলাম না !

আলিপুরদুয়ার মেয়ে নাচ করেই পেলেন “বঙ্গ-রত্ন” !সৌজন্য কালচারাল ডেভলোপেমেন্ট ফাউন্ডেশন, আন্ডার govt. Of Indiaউত্তরবঙ্গের ...
14/07/2025

আলিপুরদুয়ার মেয়ে নাচ করেই পেলেন “বঙ্গ-রত্ন” !
সৌজন্য কালচারাল ডেভলোপেমেন্ট ফাউন্ডেশন, আন্ডার govt. Of India
উত্তরবঙ্গের মুকুটে জুড়ল আরো এক নয়া পালক ।

"যে নাচকে বলা হতো 'ভবিষ্যৎহীন', সেই নাচই আজ এনে দিলো বঙ্গরত্ন — আলিপুরদুয়ারের মোহরের গল্প যেন এক জীবন্ত অনুপ্রেরণা"

"যেখানে মেয়েদের থামিয়ে দেওয়ার চেষ্টা হয়, অনেকেই বলে নাচ ! ওতো ভদ্র সভ্য মেয়ের কাজ নয় ! সেখানেই এক নারী গড়ে তুললেন সাহসের মঞ্চ!"

লোকের কথায় কান না দিয়ে " নিজের নাচ না থামিয়ে জীবনকেই নাচিয়ে দিলেন মোহর সরকার !"
" একটা সময় যে জায়গায় অপমান পেতেন, আজ সেখানেই দাঁড়িয়ে মেয়েটা সম্মান নিচ্ছে — এ শুধু সাফল্য নয়, এটা এক হার না মানা মেয়ের লড়াই করে জিতে যাওয়া । এ এক ইতিহাস!"

সম্প্রতি, কলকাতার সত্যজিৎ রায় অডিটোরিয়ামে ২৮ ও ২৯ জুন অনুষ্ঠিত International Mega Dance and Music Festival । সেখানে যখন দেশের নানা প্রান্ত থেকে শিল্পীরা জড়ো হয়েছিলেন, তখন মঞ্চে উঠে নজর কাড়লেন এক অসম্ভব দৃঢ় মানসিকতার মেয়ে... মোহর সরকার। আলিপুরদুয়ারের এই নৃত্যশিল্পী পেয়েছেন “বঙ্গরত্ন” সম্মান। না শুধু তিনি একা নন, তাঁর নয়জন ছাত্রছাত্রী পেয়েছেন “বঙ্গজ্যোতি” সম্মান। তবে শুধু সম্মান নয়, এই গর্বের মুহূর্তটা যেন ছিল তাঁর জীবনের সমস্ত অপমান, কটাক্ষ ,ব্যঙ্গ, বিদ্রুপ কষ্ট আর লড়াইয়ের জবাবটা ।

ছোটবেলা থেকেই শুনতে হয়েছে—
"নাচ করে কি হবে?"
"ভালো মেয়েরা এসব করে না!"
"বিয়ের পরেও এসব করবি নাকি?"

সমাজ তাকে থামিয়ে দিতে চেয়েছে, চোখরাঙানি, চুপ করিয়ে দেওয়া, এমনকি অনুষ্ঠান থেকে সরিয়ে দেওয়া — এসব যেন জীবনের অভ্যেস হয়ে গিয়েছিল । এমনকি এমনও সময় এসেছে, যখন নিজেরই ছাত্রছাত্রীরা চলে গেছে । অপমান সইতে হয়েছে কেবল মঞ্চে নয়, নিজের কাছেও।

তবু, নাচ ছাড়েননি মেয়েটা ।
কারণ নাচ ছিলো তাঁর জীবনের ধ্যান, জ্ঞান, প্রার্থনা, তাঁর অস্তিত্ব তার বেঁচে থাকার অবলম্বন ! না শুধু নাচেই যে তিনি পারদর্শী তেমনটা নয়, নাচের সাথে সাথে তিনি দেশের বিভিন্ন জায়গায় সঞ্চালনার দায়িত্ব পালন করেছেন ! এমনকি তিনি বেস্ট এংকার এর অ্যাওয়ার্ড ও পেয়েছিলেন !

আলিপুরদুয়ারের নিউ টাউন পার্ক রোডে এক মধ্যবিত্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেছিলেন মোহর সরকার ।
মোহর সরকার একসময় ভেবেছিলেন চাকরি করবেন । এম.এ এবং বি.এড শেষ করে এক স্কুলে কাজও শুরু করেন। সেখানেই কিছু বাচ্চা তাঁর কাছে নাচ শিখতে আসে। প্রথমে শখ, তারপর ধীরে ধীরে সেই শখটাই হয়ে ওঠে পেশা। বুঝতেই পারেননি, কখন তিনি হয়ে উঠলেন নৃত্যশিল্পী থেকে এক নৃত্যগুরু ।

কিন্তু তাঁর এই সাফল্যের পথ ছিল অজস্র কাঁটায় ভরা। অনুষ্ঠানে সুযোগ না পাওয়া, গসিপ, তির্যক মন্তব্য — এক সময় ভেবেই ফেলেছিলেন, সব ছেড়ে দেবেন । তবে ভিতরের সেই জেদ থামতে দেয়নি। আবার নতুন করে শেখা শুরু করেন, নিজেকে আরও শক্ত করে গড়ে তোলেন ।
ধীরে ধীরে আবারো ছাত্রছাত্রীরা ফিরে আসতে তাকে , সমাজের চোখেও আসে বদল ।

আজ তাঁর কাছে ৩০০-র বেশি ছাত্রছাত্রী নিয়মিত নাচ শেখে, না শুধু নাচ শেখেনেই না, তার একাডেমীর ছাত্রছাত্রীরা বিভিন্ন বড় বড় মঞ্চ থেকে পুরস্কার অর্জন করেন ।। এখন অনলাইনে যুক্ত হয়েছে দেশের নানা প্রান্তের শিক্ষার্থীরাও । শুধুমাত্র তার কাছ থেকে নৃত্য শিখবে বলেই ।

এই সাফল্যের মূল স্তম্ভগুলোর মধ্যে আছেন তাঁর গুরু দীপঙ্কর দত্ত। মোহরের কথায়, “ওঁর আশীর্বাদ না থাকলে আমি এতদূর আসতেই পারতাম না।”
সাথে ছিলেন মা, মামনি, এবং তাঁর স্বামী, যিনি সবসময় পাশে থেকেছেন। এখন মোহর এমন শ্বশুরবাড়ি পেয়েছেন, যাঁরা প্রতিটি পদক্ষেপে তাকে প্রেরণা জুগিয়েছেন এখন যোগাচ্ছেন পাশে থাকছেন সাহস দিচ্ছেন আরো এগিয়ে যাওয়ার । হ্যাঁ এটাই তো হওয়া প্রয়োজন, একজন আর্টিস্ট কে কখনো বেঁধে রাখতে নেই তাকে খোলা মঞ্চে স্বাধীনতা দিয়ে রাখতে হয়, তবেই হয়তো একজন আর্টিস্ট স্বাধীনভাবে বেঁচে থাকার রসদ ফিরে পাবে । আর এটা বুঝেছিলেন তার শ্বশুরবাড়ির লোকেরাও ! তাই ওরা এখন তার সাহস !

তবে, এই আনন্দময় মুহূর্তে মোহরের চোখে জল এনেছে একটাই কথা— এখন আমার বাবা নেই।
"উনি থাকলে আজ সবচেয়ে বেশি খুশি হতেন । এখনো বিশ্বাস করি, উনি ওপর থেকে আশীর্বাদ করছেন আমায়।"

মোহরের জীবন আজ শুধু একটি মেয়ের সাফল্য নয়, এটি হাজার হাজার মেয়ের কাছে এক বার্তা — যারা নিজের স্বপ্নকে কখনো হারতে দেয় না । যারা সমাজের বাঁকা চোখকেও অপেক্ষা করে নিষ্ঠার সাথে এগিয়ে যায় ।
যে সমাজ বলেছিল “নাচ কোনো ভবিষ্যৎ নয়, নাচ কখনোই ভদ্র সভ্য মেয়েদের কাজ হতে পারে না”, সেই সমাজই আজ মোহরের হাতে বঙ্গরত্ন সম্মান পেতে দেখে উঠে দাঁড়িয়ে হাততালি দিচ্ছে ! গর্ব করছে, হ্যাঁ এই আমাদের ঘরের মেয়ে মোহর ! আমাদের বাংলার গর্ব !

মোহরের এই আরো একবার সাফল্য প্রমাণ করে দেয়,
“পরিশ্রমের কোনো বিকল্প নেই। যা শিখো, তাই মন দিয়ে শেখো। সময় নাও, ধৈর্য ধরো, তবেই তুমি নিজের জায়গা তৈরি করতে পারবে। মোহর আরো বলে, আমি চাই, নাচের মধ্যেই আমার জীবন কাটুক, আর সেই নাচের মধ্যেই আমার অন্তিম বিদায় হোক।’’

এ গল্প শুধু মোহরের নয় — এ গল্প সেইসব স্বপ্নদেখা মেয়েদের, যারা জীবনের বাধাগুলোকে সিঁড়ি বানিয়ে উঠে যেতে জানে । এ গল্প শেখায়, নাচ কখনো শুধু তাল-লয় নয়, এটি জীবনের শক্তিশালী উত্তর — যারা বলেছিলো “হবে না”, তাদের মুখের ওপরে জয় লেখা এক তীব্র চাবুক!

The Cob Untold টিমের পক্ষ থেকে মোহরের এই সাফল্যের জন্য রইল অনেক অনেক শুভেচ্ছা ও শুভকামনা আপনার আগামী দিন আরো সাফল্যে ভরে উঠুক এই কামনাই করি।

14/07/2025

উত্তরবঙ্গের পাহাড় নদীকে নিয়েই, তৈরি হয়েছে টলিউডে সিনেমা ‘সেলাই’ ! তবুও উত্তরবঙ্গের কোনো সিনেমাহলে শো পাচ্ছে না সেলাই ।

#সেলাই

13/07/2025

দুই মাসের সন্তানকে কোলে নিয়ে, পুরুলিয়ার অযোধ্যা পাহাড়ের বুকে প্রাথমিক শিক্ষার পাঠ দেন মালতী দিদিমনি ! যিনি বিশ্বাস করতেন — স্বপ্ন দেখাও এক ধরণের সাহস ।

ঘোকসাডাঙ্গার গরিব দিনমজুরের রাজবংশী মেয়ে এবার রাজ্যে গিয়ে সেনা জিতল ।হ্যাঁ এই কৃষক পরিবারের মেয়েটাই, রাজ্যের মঞ্চ থেক...
12/07/2025

ঘোকসাডাঙ্গার গরিব দিনমজুরের রাজবংশী মেয়ে এবার রাজ্যে গিয়ে সেনা জিতল ।

হ্যাঁ এই কৃষক পরিবারের মেয়েটাই, রাজ্যের মঞ্চ থেকে কোচবিহার তথা উত্তরবঙ্গকে গর্বিত করল ।

একটা সময় ছোট পোশাকে প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়া নিয়ে কটাক্ষ, অপমান, লাঞ্ছনা সহ্য করতে হয়েছিল ।। আজ সেই মেয়েটাই রাজ্যের সোনার মেয়ে !!

এইদিকে এইসব ভিডিও কখনো ভাইরাল হয় না , আসলে ভাইরাল তো এইসব ভিডিও হওয়া দরকার।
এবার করুন ভাইরাল বাংলার এই সোনার মেয়ের সাফল্যের ভিডিওটি ।।

লড়াইয়ের ময়দানে উত্তরবঙ্গের রাজবংশী ঘরের সোনার মেয়ে কোয়েল বর্মন !

কঠিন বাস্তবতা, সীমাহীন বাধা, কিন্তু হার মানেনি কোয়েল,

সমাজের চোখ রাঙানি উপেক্ষা করেও রাজ্য মঞ্চে স্বর্ণপদক !

ঘোকসাডাঙ্গা বাঘমারা সুখানদীঘি এলাকাযর একজন কৃষক পরিবারের মেয়ে কোয়েল বর্মন , ছোটবেলা থেকেই দারিদ্র্যের সাথে লড়াই। বাবা রতেশ্বর বর্মন কৃষিকাজ করেন, মা চম্পা বর্মন গৃহবধূ । ঘোকসাডাঙ্গা প্রামানিক হাই স্কুল থেকে উচ্চমাধ্যমিক পাস করে এখন ঘোকসাডাঙ্গা বীরেন্দ্রনাথ মহাবিদ্যালয়ের প্রথম বর্ষের ছাত্রী।

কিন্তু কোয়েল বর্মনের পরিচয় শুধু এখানেই সীমাবদ্ধ নয়। উশু কুং-ফু’র আঙিনায় সে আজ এক উজ্জ্বল নক্ষত্র ! খেলো ইন্ডিয়া মহিলা উশু লীগ ২০২৫-এ সিনিয়র বিভাগে ৪৫ কেজি ওজন শ্রেণিতে স্বর্ণপদক অর্জন করেছে। পাশাপাশি, ২০তম পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য উশু চ্যাম্পিয়নশিপেও একই বিভাগে সোনা জিতেছে মেয়েটা । রাজ্য মঞ্চে, কোচবিহার তথা উত্তরবঙ্গকে গর্বিত করেছে ।।

সংসারে অর্থকষ্ট নিত্যসঙ্গী, বাবার কৃষিকাজই পরিবারের একমাত্র অবলম্বন। ছোটবেলা থেকেই খেলাধুলার প্রতি আগ্রহ থাকলেও আর্থিক প্রতিবন্ধকতা ছিল চরমে । অনুশীলনের জন্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী কেনার সামর্থ্য ছিল না। অনেক সময় নিজেকে প্রস্তুত করতে হয়েছে পুরোনো ও অপ্রতুল সরঞ্জাম ব্যবহার করে। কিন্তু না, হাল ছাড়েনি মেয়েটা । প্রতিদিন নিয়মিত রাতদিন কঠোর অনুশীলন আর আত্মবিশ্বাসের জোরে নিজেকে তৈরি করেছে সে ।

মেয়ে হয়ে উশুর মঞ্চে পা রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর থেকেই চারপাশ থেকে বাধা আসতে থাকে। ছোট পোশাকে প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়া নিয়ে কটাক্ষ, অপমান, লাঞ্ছনা পেরিয়ে এগিয়ে গেছে। আত্মবিশ্বাস, কঠোর পরিশ্রম আর পরিবারের অটুট সমর্থনে সব বাঁধা পেরিয়ে একের পর এক সাফল্যের সিঁড়ি চড়েছে মেয়েটা ।।

অনেকে বলেছিল, এই খেলা মেয়েদের জন্য নয়। কিন্তু কোয়েল তার প্রতিটা অপমান এবং প্রতিটা কটাক্ষের জবাব দিয়েছে সাফল্যের মাধ্যমে । দিনের পর দিন অনুশীলনের ফলে নিজের দক্ষতা নিজেকে আরও খানিকটা উন্নত করেছে। কখনও স্কুলের মাঠ, কখনও গ্রামের ফাঁকা জমিতে অনুশীলন চালিয়ে গেছে কখনো বা বাড়ির উঠানেই । তার অধ্যবসায়ই আজ তাকে এই উচ্চতায় পৌঁছে দিয়েছে ।।

বর্তমানে এই বাংলার মেয়ে কোয়েলের ঝুলিতে রয়েছে মোট ১৩টি পদক – যার মধ্যে ১১টি স্বর্ণ, ১টি রৌপ্য ও ১টি ব্রোঞ্জ। উশু কুং-ফুতে তার দক্ষতা তাকে এনে দিয়েছে রাজ্য ও জাতীয় পর্যায়ের অসংখ্য স্বীকৃতি ।।

এখন কোয়েলের স্বপ্ন এ রাজ্য এবং তারপর দেশের হয়ে আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় দেশের জন্য সোনা জেতার । কঠোর পরিশ্রম করে নিজেকে আরও দক্ষ করে তুলতে চায় সে । সমাজের সব বাধা, টিপ্পনী, দারিদ্র্য—সবকিছুকে পেছনে ফেলে এগিয়ে যাওয়ার সংকল্প নিয়েছে মেয়েটা ।।

সারা ভারতের বহু ক্রীড়াবিদ যারা দারিদ্র্য থেকে উঠে এসে নিজেদের নাম উজ্জ্বল করেছেন, কোয়েল তাদের মধ্যে একজন হতে চায়। আন্তর্জাতিক মঞ্চে ভারতের পতাকা উড়িয়ে গর্বিত করতে চায় নিজের দেশকে ।। দেশের মানুষদের ।।

কোয়েলের এই সাফল্যের পেছনে অনেক বড় ভূমিকা রয়েছে তার পরিবারের । বাবা-মা কখনও বাধা দেননি, বরং সকলের সব সমালোচনার সব কটাক্ষকে উপেক্ষা করে সবসময় মেয়ের পাশে থেকেছেন । শিক্ষকরাও তার প্রতিভা বুঝে তাকে উৎসাহ দিয়েছেন । গ্রামের অনেকেই একসময় তার খেলার বিরুদ্ধে কথা বললেও, এখন সবাই তাকে নিয়ে গর্ব অনুভব করে।

কোয়েল বিশ্বাস করে, প্রতিটি মেয়ের স্বপ্ন দেখার অধিকার আছে । সমাজের বাঁধা উপেক্ষা করে, আত্মবিশ্বাস আর কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে যে কেউ নিজের লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারে । তার গল্প নতুন প্রজন্মের মেয়েদের জন্য এক অনুপ্রেরণা,

কোয়েলের এই লড়াই আমাদের শেখায় যে , প্রতিকূলতাকে জয় করে এগিয়ে যাওয়াই প্রকৃত বিজয়। আজকের তার এই প্রত্যেকটি সাফল্যই তার এগিয়ে যাওয়ার শুধুমাত্র এক একটা ধাপ । সামনের পথ আরও কঠিন হতে পারে, কিন্তু কোয়েল জানে—ইচ্ছাশক্তি এবং হার না মানা মনোভাবের সামনে কোনও বাধাই স্থায়ী নয় ।

The cob Untold এর পক্ষ থেকে বাংলার সোনার মেয়ে কোয়েলের জন্য রইল অনেক অনেক শুভেচ্ছা এবং শুভকামনা ।। তোমার আগামী জীবন আরও উজ্জ্বল হয়ে উঠুক এই কামনাই করি ।

12/07/2025

বাবা পেশায় দর্জি, সেই দর্জির বাবার ছেলেই আজ ভারতীয় সেনাবাহিনীর SSB জওয়ান ! করছেন দেশ র'ক্ষা !

Address

Cooch Behar

Telephone

+916295286636

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when The Cob untold posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to The Cob untold:

Share

Category