The Cob untold

The Cob untold উত্তরবঙ্গের প্রথম মোটিভেশনাল চ্যানেল The Cob Untold লুকানো প্রতিভাকে পরিচিতি দানই চ্যানেলের মুখ্যকাজ
(4)

22/11/2025

কোচবিহারের ভা'ঙা ঘর থেকে মুম্বাইয়ের India's Got Talent মঞ্চে রিজু–রাজদীপ! তাদের নাচ দেখে অবাক গোটা দেশ!

21/11/2025

বাবার মৃ/ত্যুর পর ভে'ঙে পড়েনি, টোটো চালিয়ে দুই বোন মা ভাইয়ের মুখে খাবার তুলে দিচ্ছে! মেয়ে হয়ে টোটো চালানো ল'জ্জার নয়, এটা আমার গর্ব!

20/11/2025

বন্ধুরা বলত, রো'গা চেহারায় পুলিশ অফিসার হবে! সেই ছেলেই আজ এডিশনাল এসপি! ৫ বছর বয়সে বাবাকে হারিয়েছিল পার্থ ঘোষের ল'ড়াই হার মানাবে সিনেমাকেও!

19/11/2025

১৫ বছরের তিতলির বাবা নেই, ক্লাসের মেধাবী হয়েও মায়ের সাথে ভি'ক্ষা করে ! ক্লাসের বন্ধু বান্ধবীরা তাকে বলে ’ভি'কারির মেয়ে, আমাদের বান্ধবী হওয়ার যোগ্য নস’!

18/11/2025

নিঃস্বার্থ শিক্ষক, অদম্য কোচ — সমাজের আসল হিরো সমরেশ নাগ! অন্যরা চাকরি করে নিজের জন্য, কিন্তু তিনি করেছেন সমাজের জন্য! এই মানুষটি আজ গোটা কোচবিহারের গর্ব।

17/11/2025

পাঁচ বছর আগের স্বামী ডিভোর্স দিয়েছে, সন্তানকে বাঁ'চাতে এক মা হাত জোর করে সাহায্য চাইছেন! গিলিয়ান ব্যারি সিন্ড্রোমে আ'ক্রান্ত, চিকিৎসার জন্য ৬ লাখ টাকা প্রয়োজন !

16/11/2025

মা ধূপ-বাতাসা বিক্রি করত, বাড়িটুকু ছাড়া কিচ্ছু ছিল না, সেই ছেলেই পুলিশ হয়ে মায়ের ক'ষ্ট ঘুছিয়েছে ! নাপিতের ছেলে বলে ঠা'ট্টা করত, আজ সেই ছেলেই পুলিশের ইউনিফর্মে !

১৩ বছর বয়সে বা'ল্যবিবাহ হয়েছিল, আজ সেই মেয়েটাই ১০০রও বেশি বা'ল্যবিবাহ রুখে দিয়েছে! সাজিদা পারভিন… কোচবিহারের দক্ষিণ ব...
15/11/2025

১৩ বছর বয়সে বা'ল্যবিবাহ হয়েছিল, আজ সেই মেয়েটাই ১০০রও বেশি বা'ল্যবিবাহ রুখে দিয়েছে!

সাজিদা পারভিন… কোচবিহারের দক্ষিণ বালাসি গ্রামের এক সাধারণ মেয়ে। মাত্র ১৩ বছর বয়সে, যখন সে ক্লাস সেভেনে পড়ে, তখন তার জী'বনে নেমে আসে এক ভ/য়/ঙ্ক/র ঝড়।
একটা বিকলে — স্কুলে পড়াশোনা শেষ করে বাড়ি ফিরেছিল সাজিদা , মনে বড় বড় স্বপ্ন। কিন্তু সেদিনই সেই ছোট্ট না'বালিকা মেয়েটির কানে এল এক খবর —
“কাল আর স্কুলে নয়, কালই তাকে স্কুলের পরিবর্তে যেতে হবে শ্বশুরবাড়িতে !” এবারে ওইটুকু বয়সেই তার হাতে বইয়ের পরিবর্তে উঠবে সংসারের ভার।
বাবা-মায়ের কাছে কেঁদে অনুরোধ করেছিল, “আমায় পড়তে দাও, আমায় মানুষ হতে দাও।” কিন্তু কে শুনবে তখন এক কি'শোরীর আকুল আ'র্ত'না'দ ?
সেই রাতেই, নাকে ফুল পরিয়ে, সাজিদার শৈশবকে বন্দি করে দেওয়া হয় বিয়ের শিকলে।

কিন্তু সাজিদা হেরেনি! দু’টি সন্তানের মা হওয়ার পরও, ২০০৯ সালে,আবার স্কুলে ভর্তি হল সে। বাড়ির কাজ সামলে, সন্তান সামলে, রাত জেগে বই পড়ল। আর অবশেষে পাশ করল মাধ্যমিক, তারপর উচ্চমাধ্যমিকও! তারপর একদিন, গীতালদহ বিকাশ সমিতির ও অ্যা'কশন এইড এক সভায় অংশ নিয়ে বুঝল— তার মতো আরও কত মেয়ের জী'বন থেমে আছে অ'ন্ধকারে। সেই দিনই সে শপথ নিল— আর কোনো সাজিদার শৈশব যেন না হারায়। শুরু হল এক নতুন লড়াই— অন্যের জন্য, সমাজের জন্য।
তিনি প্রমীলা বাহিনী সংগঠনে যুক্ত হয় এবং বিস্তার লাভ করে—হয়ে ওঠে নারী শক্তির কণ্ঠস্বর। যারা বাল্যবিবাহ, নারী পা'চার আর নি'র্যা'ত'নে'র বি'রুদ্ধে লড়ে যাচ্ছে প্রতিদিন। নিজের হাতে ১০০-রও বেশি বা'ল্যবিবাহ বন্ধ করেছেন সাজিদা। যেখানে কেউ সা'হস পায় না কথা বলতে, সেখানেই সাজিদা দাঁড়িয়ে বলেন —
"না! এই অন্যায় আর চলবে না!"

একজন মু'স'লি'ম পরিবারের নারী হয়ে সমাজের নানা ক'টূ কথা শুনতে হয়েছে তাকে !
কেউ বলেছে — “ঘরের বউ বাইরে কেন?”
কেউ বলেছে — “নারীর কাজ সংসার সামলানো, সমাজ বদলানো নয়।” কিন্তু সাজিদা উত্তর দিয়েছেন তার কাজ দিয়ে, তার অর্জন দিয়ে।

২০১৮ সালে প্রমীলা বাহিনীর জেলা সম্পাদক হিসেবে নির্বাচিত হন তিনি।
২০১৯ সালে গঠন করেন মহিলা ফার্মার্স প্রডিউসার কোম্পানি, যেখানে ৪৫৫ জন নারী আজ নিজের পায়ে দাঁড়াচ্ছে কৃষিকাজে।
২০২১ সালে দিল্লিতে অ্যা'কশন এইড ইন্ডিয়া তাঁকে সম্মানিত করে।
২০২৩ সালে কোচবিহার কৃষিবিজ্ঞান কেন্দ্র তাঁকে ঘোষণা করে
“বেস্ট মহিলা কৃষক” হিসেবে!

আজ সাজিদার স্বপ্ন আরও বড় —
নারীর ক্ষমতায়নের আন্দোলনকে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে নিয়ে যাওয়া। শ্রীলঙ্কাসহ বিভিন্ন দেশের সংগঠনের সঙ্গে ইতিমধ্যেই চলছে আলোচনা।

তাই বলতেই হয় — যে নারী থামে না, তাকেই বলে সাজিদা।
যে নারী হার মানে না, তাকেই বলে আসল দশভূজা।

14/11/2025

পকোড়ার দোকান থেকে সরকারি স্কুলের ক্লাসরুমে। একজন স্বপ্নবাজ মাস্টারমশাইয়ের গল্প! বহু অটিজম আ'ক্রান্ত শিশুকে স্বাভাবিক জী'বনে ফিরিয়েছেন!

বৌদির অ/ত্যাচার নি/র্যাতন সহ্য করে অন্যের বাড়িতে গিয়ে বই পড়তো, সেই মেয়েই আজ পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের গর্ব !ছোট থেকেই বৌদির...
13/11/2025

বৌদির অ/ত্যাচার নি/র্যাতন সহ্য করে অন্যের বাড়িতে গিয়ে বই পড়তো, সেই মেয়েই আজ পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের গর্ব !

ছোট থেকেই বৌদির অ/ত্যাচারে মেয়েটির জীবন দু/র্বিষহ হয়েছিল! তুফানগঞ্জ থানার ছোট্ট এক গ্রাম — আমলাগুড়ি। সেই গ্রামে জ'ন্মেছিল এক মেয়ে — নাম মিঠু চন্দ।
মিঠুর বয়স যখন মাত্র নয় বছর, হঠাৎই বাবা চলে গেলেন না ফেরার দেশে। চোখের সামনে ভে/ঙে পড়ল পুরো সংসার।
কিন্তু দাদা তখন বলেছিলেন — “আমি তোর বাবা, আমি তোর দাদা।” সেই কথা যেন এক প্রতিজ্ঞা হয়ে গিয়েছিল।
অভাবের সংসারে দাদা চাকরি পেয়ে সংসারে সুখের হাওয়া বইতে শুরু করেছিল। সেই সময় দাদা এমন এক মেয়েকে বিয়ে করলেন, যার বয়স তাঁর চেয়ে অনেক বেশি। এবং দাদা ঘর জামাই হয়ে গেলেন শ্বশুরবাড়িতে। মা কাঁদতেন দিনরাত, মিঠু তখন ক্লাস নাইন । সংসারে শুরু হলো অভাব । তবে কখনো কখনো চুপি চুপি মা বোনের জন্য বাজার করে দিতেন, কিছু টাকা দিতেন — কিন্তু সেগুলোরও দাদা শা/স্তি পেতেন মা/র/ধ/র খেয়ে।
মিঠুর অভিযোগ,
মিঠু তখন মাধ্যমিকের প্রস্তুতি নিচ্ছে। টিউশন করে সংসার চালাত, নিজের খরচ আর মায়ের ওষুধের ব্যবস্থা করত। দাদার বৌ বলেছিল, “এই মেয়েকে আর পড়াতে হবে না, বিয়ে দিয়ে দাও।” কিন্তু মিঠু হার মানেনি । এভাবেই সে মাধ্যমিক পাস করল, উচ্চমাধ্যমিক পাস করল, কলেজে ভর্তি হলো। সেই সময় বই জামার নিচে লুকিয়ে অন্যের বাড়ি গিয়ে পড়ত ।
এই সময় মায়ের অ/সু/স্থতা বাড়ছিল । দাদা ফিরে এলেন নিজের মা আর বোনের কাছে । তবে তাৎক্ষণিক বৌও এসে পড়ল, শুরু হলো নতুন করে অ/ত্যা/চা/র । মা, মিঠু, দাদা — তিনজনই অ/সহায়। দাদা ভয় পেতেন, কারণ বৌ হু/মকি দিত — “বধূ নি/র্যা/ত/নের কে'স করব, জেলে প/চবে সবাই।”
এই সময় মিঠু তার BA Final Exam দিচ্ছিল । কিন্তু সেই পরীক্ষার দিনগুলোতেও তাকে ইচ্ছে করে বাধা দেওয়া হতোবা । এমনকি একদিন ভয়ানক দু/র্ঘ/টনায় আ/হত হলো মিঠু। দাদা হা/সপাতালে ভর্তি করালেন, কিন্তু বাড়ি ফিরে আসা মাত্রই — শুরু হলো ন/র/ক/য/ন্ত্র/ণা।
দাদার বৌ মিঠুকে মাটিতে ফেলে মা/রতে লাগল, এমনকি মাকে ধরেও মা/র/ধ/র করল । কারণ দাদা নিজের টাকা দিয়ে বোনের চি/কিৎসা করিয়েছিল । সেদিনই মিঠুর জ্ঞা/ন হারাল।
মা আর পাড়ার মানুষ মিঠুকে হা/সপাতালে নিয়ে গেলেন। দুদিন ভর্তি থেকে ফিরে এল। কিছুদিন পর দাদা মা/ন/সি/ক/ভা/বে ভে'ঙে পড়লেন।
আর তারপর একদিন...
একদিন মিঠুর দাদা নিজেই শে'ষ করে ফেললেন নিজের জী/ব/ন। সেই মুহূর্তে পৃথিবী যেন থেমে গেল মিঠুর জন্য। তার মৃ/ত্যু/র পর শুধু মা আর মেয়ে রয়ে গেলেন, অ'নিশ্চয়তা আর অভাবের অ'ন্ধকারে। তবুও থেমে যায়নি মিঠু। টিউশন বাড়িয়ে দিল, দিনে টিউশন, রাতে নিজের পড়া, মায়ের ও'ষুধের খরচ — সব কিছু নিজের কাঁধে তুলে নিল।
অনেক সময় না খেয়েই দিন কে/টে/ছে, তবু মাকে বলেছে — “বাইরে খেয়ে নিয়েছি।”
2013 সালে দাদা যে ফর্মটা পূরণ করেছিলেন, সেটিই একদিন হয়ে গেল আশীর্বাদের দরজা।
2018 সালে মাঠে ডাকা হলো — মিঠু গেল, পরীক্ষায় প্রথম হলো। ধাপে ধাপে সব পেরিয়ে 2020 সালে সে পেল নিজের পরিচয় — পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের একজন মহিলা হোমগার্ড হিসেবে । এই পুরো ঘটনাটাই, মিঠু আমাদের জানিয়েছে !

আজ মিঠু ভালো আছে, বিয়ে করেছে একটা ফুটফুটে সন্তান ও আছে, মায়ের মুখে হাসি আছে। কিন্তু একটা শূ'ন্যতা থেকে গেছে — দাদা সেটা দেখতে পারলেন না।

13/11/2025

যাকে ১৩ বছর বয়সে বা'ল্যবিবাহ দিয়েছিল, সেই মেয়েই ১০০রও বেশি বা'ল্যবিবাহ রুখে দিয়েছে ! বা'ল্যবিবাহ, নারী পা'চারের বিরুদ্ধে এক নাম সাজিদা পারভিন !

12/11/2025

যাদের হাতে তৈরি হয় কোচবিহারের ঐতিহ্যের রাসচক্র তারা নিজেরাই থাকে অ'ভাবের অ'ন্ধকারে । একটি রিয়েলিটি শো'র মঞ্চে সে কথাই বললেন !

Address

Cooch Behar
DINHATA

Telephone

+916295286636

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when The Cob untold posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to The Cob untold:

Share

Category