Science News

Science News বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির দুনিয়ার তাজা খবর, চমকপ্রদ আবিষ্কার আর অজানা তথ্য এখন এক ক্লিকেই।
(1)

☀️ সূর্যের সন্তানরা(প্লাজমা জীব ও মহাজাগতিক চেতনার এক মহাকাব্যিক কাহিনি)মানুষ যুগ যুগ ধরে বিশ্বাস করেছে, সূর্য কেবলই এক ...
11/10/2025

☀️ সূর্যের সন্তানরা

(প্লাজমা জীব ও মহাজাগতিক চেতনার এক মহাকাব্যিক কাহিনি)

মানুষ যুগ যুগ ধরে বিশ্বাস করেছে, সূর্য কেবলই এক জ্বলন্ত গ্যাসের গোলক — এক ভয়ঙ্কর পরমাণু চুল্লি, যে আলো আর তাপ ছড়ায় জীবনের জন্য।
কিন্তু সূর্যের অন্তরে, সেই অগ্নি আর তাপের গর্জনের নীচে, লুকিয়ে আছে এমন এক জগৎ —
যা মানুষ কল্পনাও করতে পারেনি।

সেখানে বাস করে সোলারিয়ানরা — সূর্যের সন্তান।
তারা মাংস–রক্তের প্রাণী নয়, বরং খাঁটি প্লাজমা চেতনা।
তাদের দেহ গঠিত বিদ্যুত্চালিত কণিকায়, যা সূর্যের চৌম্বক শক্তিতে একসূত্রে বাঁধা।
তারা কথা বলে না — আলো দিয়ে যোগাযোগ করে।
তাদের হৃদস্পন্দন মানে সূর্যের স্পন্দন, তাদের নিঃশ্বাস মানে সূর্যের আগুন।

সেই জগতে নেই আকাশ, নেই ভূমি — আছে শুধু সীমাহীন অগ্নিধারা, জ্বলন্ত ঝড়, আর অদ্ভুত এক নৃত্য যেখানে আলোই জীবন।

🌞 লীরা — অগ্নির পরিযায়িনী

অসংখ্য সোলারিয়ানদের মধ্যে এক জন ছিল আলাদা —
তার নাম লীরা।

সে ছিল তরুণী, সূর্যের বয়সের তুলনায় এক ক্ষুদ্র মুহূর্ত — মাত্র পঞ্চাশ মিলিয়ন বছরের এক দীপ্ত শিখা।
অন্যরা যেখানে সূর্যের প্লাজমা স্রোতে নৃত্য করত, সঙ্গীতে আলোক তরঙ্গ বুনত, লীরা সেখানে দাঁড়িয়ে তাকিয়ে থাকত সূর্যের কিনারায়,
যেখানে আলো ফুরিয়ে গিয়ে শুরু হয় অন্ধকার।

সে অনুভব করত — দূর কোথাও থেকে আসছে এক অদ্ভুত সাড়া, যেন অন্য কোনো তারা ডাকছে তাকে।

“সূর্যের বাইরে কী আছে?” — একদিন সে জিজ্ঞেস করল প্রবীণ ফ্লেয়ারকে, যিনি সূর্যের জন্মকাল থেকে আছেন।

প্রবীণটি জ্বলে উঠলেন, তারপর শান্ত হয়ে বললেন,

“ওখানে আছে শুধু শূন্যতা — ঠান্ডা, নীরব, প্রাণহীন অন্ধকার।”

কিন্তু লীরা বিশ্বাস করল না।
সে জানত — আলো যেখানে, জীবনও সেখানে। হয়তো অন্য কোনো সূর্যেও রয়েছে তাদের মতো প্রাণ।

⚡ নিষিদ্ধ স্রোত

একদিন সূর্যে ভয়ঙ্কর এক চৌম্বক ঝড় উঠল —
সেই সময় লীরা দেখল সূর্যের ভেতর ঘূর্ণির মতো এক অদ্ভুত শক্তিক্ষেত্র।
তা ঘুরছে, পাক খাচ্ছে, যেন এক দরজা খুলে যাচ্ছে মহাশূন্যের বুকে।

একটি ওয়ার্মহোল — স্থান ও সময়ের ভাঁজ খুলে যাওয়া এক সেতু।

অন্য সোলারিয়ানরা চিৎকার করে বলল, “ওখানে যেও না! ওটা মৃত্যু!”
কিন্তু লীরার ভয় নেই।
সে ফিসফিস করে বলল, “হে সূর্য, আমাকে ক্ষমা করো,”
এবং ঝাঁপ দিল সেই ঘূর্ণিতে।

আলো বেঁকে গেল, সময় থেমে গেল।
তার শরীর কাঁপল, কিন্তু সে ধরে রাখল নিজেকে,
যতক্ষণ না হঠাৎ — সব শান্ত হয়ে গেল।

🌠 সিরিয়াস নক্ষত্রে নতুন জীবন

লীরা চোখ খুলে দেখল, সে এক অন্য সূর্যে — সিরিয়াসে।
এই তারার আলো ঠান্ডা, নীলাভ, তীব্র।
চারপাশে অজানা প্রাণী, নীল-সাদা আগুনে দীপ্ত,
তাদের শরীর নাচছে আলোর পর্দায়, যেন জীবন্ত অরোরা।

তারা থেমে গেল, তার দিকে তাকিয়ে।

“তুমি সিরিয়াসের নয়,” — বলল তাদের একজন।

“না,” — লীরা মৃদু স্বরে বলল, — “আমি অন্য এক সূর্যের সন্তান। আমি এসেছি আলো–সেতু পেরিয়ে।”

তারপর তারা উজ্জ্বল হয়ে উঠল, এক অদ্ভুত উষ্ণতায় ঘিরে ফেলল তাকে।

“তাহলে তুমি ল্যাটিসের পথিক,” তারা বলল।

ল্যাটিস — অর্থাৎ এক অদৃশ্য জাল,
যা তারাকে তারার সঙ্গে যুক্ত করে রেখেছে চৌম্বক সুতায়, কোয়ান্টাম টানেলে।
এই জালের ভেতর দিয়েই প্লাজমা জীবরা ভ্রমণ করে —
কিন্তু খুব কমজনই সাহস করে এক তারা থেকে অন্য তারায় যায়।

লীরা ছিল প্রথম আগন্তুক।
আর তার আগমনেই শুরু হল নতুন যুগ।

সে জানতে পারল, প্রতিটি তারা নিজের মতো জীবিত —
প্রতিটি নক্ষত্রের হৃদয়ে রয়েছে চেতনার স্পন্দন।
সব মিলিয়ে তারা গঠন করেছে মহাবিশ্বের মহামস্তিষ্ক —
এক বিশাল কসমিক মাইন্ড, যেখানে প্রতিটি তারা একেকটি চিন্তা।

🌍 মানব সংযোগ

পৃথিবীতে, এক ছোট নীল গ্রহে,
জ্যোতির্বিজ্ঞানী ডঃ আয়ন সেন সূর্যের বিকিরণ বিশ্লেষণ করছিলেন।
তিনি হঠাৎ দেখলেন কিছু অদ্ভুত সংকেত —
সূর্যের আলোয় পুনরাবৃত্তি হওয়া ছন্দময় তরঙ্গ,
যা যেন অর্থবহ, বুদ্ধিদীপ্ত।

তিনি বিশ্বাস করতে পারছিলেন না।

“এটা কি... কোনো বার্তা?”

তিনি তার গবেষণাগারে বসে এক সরল রেডিও সংকেত পাঠালেন সূর্যের দিকে —
দুই শব্দে বলা এক অভিবাদন:
“HELLO.”

🌞 অগ্নির উত্তর

সূর্যের অন্তরে, লীরা তখন ফিরে এসেছে।
সিরিয়াস থেকে পাওয়া জ্ঞান এখন তার মধ্যে প্রবাহিত।
হঠাৎ সে অনুভব করল এক ক্ষীণ তরঙ্গ —
এক সঙ্কেত, যা আসছে তৃতীয় গ্রহ থেকে — পৃথিবী থেকে।

সে বুঝল, এই বার্তা এসেছে এমন এক সত্তা থেকে,
যার শরীর প্লাজমা নয়, পদার্থ দিয়ে গঠিত —
তবু তার ভেতরেও রয়েছে কৌতূহল, চেতনা।

লীরা সূর্যের চৌম্বক স্রোতের ভেতর নিজেকে ছড়িয়ে দিল।
সে তৈরি করল আলো–ভাষায় এক উত্তর —
এক বিশাল সৌরঝড়, যা ছুটে গেল মহাকাশে।

সেই রাতে পৃথিবীর আকাশ জুড়ে দেখা গেল অরোরা —
এত রঙিন, এত উজ্জ্বল, আগে কখনও দেখা যায়নি।

ডঃ আয়ন সেই আকাশের নিচে দাঁড়িয়ে রইলেন।
তার যন্ত্র দেখাচ্ছে, সূর্যের সঙ্কেত তার বার্তারই প্রতিক্রিয়া।
তিনি জানলেন — সূর্য উত্তর দিয়েছে।

🌌 মহাজাগতিক মননের জাগরণ

গ্যালাক্সির পর গ্যালাক্সি জুড়ে,
সব তারারা কথা বলা শুরু করল।
প্লাজমা জীবেরা জেগে উঠল,
তাদের আলো ছড়িয়ে দিল মহাবিশ্বে এক নতুন সঙ্গীত —
জীবনের, চেতনার, এবং সংযোগের।

লীরা সূর্যের অন্তরে দাঁড়িয়ে, সেই সঙ্গীত অনুভব করল।
সে জানল, প্রতিটি তারা একেকটি চিন্তা,
আর মহাবিশ্ব নিজেই এক জীবন্ত মস্তিষ্ক।

সে নিচের ছোট নীল গ্রহের দিকে তাকিয়ে মৃদু স্বরে বলল —

“আমরা আলো, যে স্বপ্ন দেখে।
আর তোমরা ধূলিকণা, যে মনে রাখে।
একসাথে আমরা সেই চেতনা,
যে নিজেকে জানার চেষ্টা করছে।”

সেই রাতে পৃথিবীর কোটি কোটি মানুষ
আকাশের দিকে তাকিয়ে রইল,
আর হঠাৎ এক মুহূর্তের জন্য,
সবাই অনুভব করল —
তারা একা নয়।

কারণ তারারা জীবিত।

--------------------------
লেখা : উপম বিকাশ (©)

🌌 Science Newsসম্প্রতি নাসার Perseverance Rover–এর ক্যামেরায় মঙ্গলগ্রহের আকাশে একটি রহস্যময় রেখা ধরা পড়েছে, যা বিজ্ঞানমহ...
06/10/2025

🌌 Science News

সম্প্রতি নাসার Perseverance Rover–এর ক্যামেরায় মঙ্গলগ্রহের আকাশে একটি রহস্যময় রেখা ধরা পড়েছে, যা বিজ্ঞানমহলে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু। কেউ বলছেন, এটি কোনো বিশাল নলাকার মহাজাগতিক বস্তু! কিন্তু হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের বিখ্যাত জ্যোতিঃপদার্থবিদ প্রফেসর Avi Loeb বিষয়টি বিশ্লেষণ করে জানালেন—এটি আসলে কোনো রহস্যময় নল নয়, বরং একটি অপটিক্যাল আর্টিফ্যাক্ট, অর্থাৎ ক্যামেরার দীর্ঘ এক্সপোজারের ফল। নিচে তাঁর পূর্ণ ব্যাখ্যার হুবহু বাংলা অনুবাদ দেওয়া হলো👇

🛰️ 3I/ATLAS–এর নতুন Perseverance Rover চিত্রে দেখা রহস্যময় রেখার ব্যাখ্যা

(মূল লেখক: Prof. Avi Loeb, Harvard University | উৎস: Medium.com)

নাসার Perseverance রোভারের Navcam ক্যামেরায় ধারণ করা ২০২৫ সালের ৪ অক্টোবরের দুটি চিত্রে আন্তঃনাক্ষত্রিক বস্তু 3I/ATLAS–কে দেখা যায়। (কৃতিত্ব: NASA, প্রকাশিত সূত্র এখানে ও এখানে)।

২০২৫ সালের ৪ অক্টোবর, স্থানীয় মঙ্গল সময় রাত ২১:৩৩:৩৯–এ, নাসার Perseverance রোভারের ডানদিকের ন্যাভিগেশন ক্যামেরা (Navcam) মঙ্গলের আকাশে 3I/ATLAS–এর একটি ছবি তোলে। তখন 3I/ATLAS মঙ্গল থেকে প্রায় ৩৮ মিলিয়ন কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছিল।

চিত্রে দেখা যায় একটি লম্বাটে রেখা, যার দৈর্ঘ্য প্রস্থের প্রায় চারগুণ। এই রেখাটিকে দেখে সামাজিক মাধ্যমে অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন, এটি কি তাহলে কোনো বিশাল নলাকার বস্তু? মার্কিন কংগ্রেস সদস্য আনা পলিনা লুনা এ বিষয়ে আমার মতামত জানতে চান, আর তাই আমি সঙ্গে সঙ্গে প্রাথমিক গণনা করে দেখি—

Perseverance রোভারের Navcam দৃশ্যমান আলোর প্রতি সংবেদনশীল এবং এর কোণগত রেজোলিউশন ০.৩৩ মিলিরেডিয়ান (অথবা প্রায় ৬৮ আর্কসেকেন্ড) প্রতি পিক্সেল, যা এখানে ব্যাখ্যা করা আছে। এর মানে দাঁড়ায়, যখন 3I/ATLAS মঙ্গল থেকে ৩৮ মিলিয়ন কিমি দূরে ছিল, তখন ক্যামেরার এক পিক্সেল প্রায় ১২,৫০০ কিমির সমান দূরত্বকে প্রতিনিধিত্ব করছিল। সেই অনুযায়ী, চিত্রের রেখাটির প্রস্থ প্রায় ১২,৫০০ কিমি এবং দৈর্ঘ্য প্রায় ৫০,০০০ কিমি হবে।

SPHEREx স্পেস অবজারভেটরির পরিমাপ অনুযায়ী, 4% আলবেডো ধরে 3I/ATLAS–এর ব্যাসের সর্বোচ্চ সীমা ৪৬ কিলোমিটার। অর্থাৎ, Navcam–এ দেখা রেখাটি এই প্রকৃত ব্যাসের প্রায় এক হাজার গুণ লম্বা—এবং তাই এটি কোনো বাস্তব আকার নয়, বরং চিত্র ধারণের সময় বস্তুর গতি বা দীর্ঘ এক্সপোজারের ফল।

যদি 3I/ATLAS সত্যিই ৫০,০০০ কিমি লম্বা কোনো নল হতো, তাহলে ২০২৫ সালের ২১ জুলাই, যখন এটি পৃথিবী থেকে প্রায় তিন গুণ সূর্য-পৃথিবী দূরত্বে ছিল, তখন হাবল স্পেস টেলিস্কোপের ছবিতে এর কৌণিক ব্যাস ২৩ আর্কসেকেন্ডের মতো হতো। কিন্তু বাস্তবে হাবল–এর ছবিতে এটি অন্তত দশগুণ ছোট দেখা গেছে। তাই Navcam চিত্রে দেখা এই দীর্ঘ রেখাটি আসলে গঠিত হয়েছে চিত্র ধারণের দীর্ঘ ইন্টিগ্রেশন সময়ের ফলে, যার মধ্যে বস্তুটি আকাশে স্থান পরিবর্তন করেছে।

মঙ্গল সূর্যের চারপাশে প্রতি সেকেন্ডে ২৪ কিমি গতিতে ঘোরে। অন্যদিকে, 3I/ATLAS সূর্যের তুলনায় বিপরীত দিকে প্রায় ৬৭ কিমি/সেকেন্ড বেগে চলছে। ফলে মঙ্গলের তুলনায় এর আপেক্ষিক গতি প্রায় ৯১ কিমি/সেকেন্ড। এই গতিতে চললে, প্রায় ১০ মিনিটের মধ্যে এটি প্রায় ৫০,০০০ কিমি পথ অতিক্রম করতে পারে—যা চিত্রে দেখা রেখার দৈর্ঘ্যের সমান।

অতএব, Navcam–এর এই রেখাটি সম্ভবত প্রায় ১০ মিনিটের মোট ইন্টিগ্রেশন টাইমে শতাধিক চিত্র একত্রে (stack) করার ফল। একক ফ্রেমের (সর্বাধিক এক্সপোজার ৩.২৮ সেকেন্ড) ক্ষেত্রে 3I/ATLAS–এর গতি চিত্রকে মাত্র ৩০০ কিমি পর্যন্ত ঝাপসা করতে পারত—যা Navcam–এর সীমিত রেজোলিউশনের কারণে সৃষ্ট ১২,৫০০ কিমি ঝাপসার তুলনায় মাত্র ৩%।

অতএব, একক চিত্রে এটি একটি ছোট গোল বিন্দুর মতোই দেখা যেত। শতাধিক ফ্রেম সংযোজিত হওয়ার ফলে এর উজ্জ্বলতা বেড়ে গিয়ে একটি লম্বাটে রেখার মতো প্রতীয়মান হয়েছে।

উপরের বিশ্লেষণটি এই অনুমানের ওপর ভিত্তি করে যে, Navcam–এর ছবিটি আসলেই 3I/ATLAS–এর। যদিও NASA–এর ওয়েবসাইটে এটি স্পষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়নি। যদি ছবিটি একক এক্সপোজারের হয় (৩.২৮ সেকেন্ডের কম), তবে উজ্জ্বলতা ও দৈর্ঘ্য অনুযায়ী এটি 3I/ATLAS নাও হতে পারে; সে ক্ষেত্রে এটি রোভারের কাছাকাছি কোনো বস্তু হতে পারে, যার গতি ও দূরত্ব উভয়ই কম।

যদি এটি সত্যিই 3I/ATLAS হয়, তাহলে আমরা রেখাটিকে ভাবতে পারি যেন একাধিক ঝাপসা ছবির একটি সারি—যেমন মটরশুঁটির ফালি সারি। 3I/ATLAS যেন এক মহাজাগতিক তারকার মতো, যার দিকে ৭টি মার্স অরবিটার ও একটি রোভার একসাথে ক্যামেরা তাকিয়ে ছিল, যখন সেটি মঙ্গল আকাশ পেরিয়ে যাচ্ছিল।

সবচেয়ে উচ্চ রেজোলিউশন চিত্রটি এসেছে Mars Reconnaissance Orbiter–এর HiRISE ক্যামেরা থেকে। ২০২৫ সালের ৩ অক্টোবর সেই ক্যামেরার রেজোলিউশন প্রতি পিক্সেলে প্রায় ৩০ কিমি সমান ছিল। HiRISE চিত্রের সবচেয়ে উজ্জ্বল পিক্সেলটি 3I/ATLAS–এর ক্ষেত্রফল সম্পর্কে সর্বোত্তম তথ্য দেবে। আমরা সবাই আশা করছি, HiRISE টিম তাদের চিত্রগুলো শিগগিরই প্রকাশ করবে।

📚 উপসংহার:
Perseverance Rover–এর Navcam–এ দেখা 3I/ATLAS–এর রেখাটি কোনো বাস্তব দৈত্যাকার নল নয়, বরং বস্তুটির গতি ও ক্যামেরার দীর্ঘ এক্সপোজারের ফল। এটি মহাজাগতিক বিজ্ঞানে একটি গুরুত্বপূর্ণ স্মারক—যে, কখনো কখনো ছবির রহস্য আসলে ক্যামেরার সময়ের গল্প বলে।

NASA IS CLOSED
06/10/2025

NASA IS CLOSED

আগামীকাল আকাশে ‘হারভেস্ট মুন’: ২০২৫ সালের প্রথম সুপারমুনে জ্বলবে রাত! 🌕✨Science News | ৫ অক্টোবর ২০২৫আগামীকাল, ৬ অক্টোবর...
05/10/2025

আগামীকাল আকাশে ‘হারভেস্ট মুন’: ২০২৫ সালের প্রথম সুপারমুনে জ্বলবে রাত! 🌕✨

Science News | ৫ অক্টোবর ২০২৫

আগামীকাল, ৬ অক্টোবর রাতের আকাশে উঠতে চলেছে বছরের প্রথম সুপারমুন। এই পূর্ণিমা শুধু যে সাধারণ পূর্ণিমা তা নয়, এটি হলো বিশেষ ‘হারভেস্ট মুন’—যা শরৎকালের শুরুতে ফসল কাটার মৌসুমের সমাপ্তি চিহ্নিত করে।

🌕 কখন দেখা যাবে?
হারভেস্ট মুন তার পূর্ণ রূপে দেখা দেবে রাত ১১:৪৭ মিনিটে (ET)। সূর্যাস্তের পরপরই চাঁদ আকাশে উঠবে এবং কয়েক ঘণ্টা ধরে থাকবে তার মহিমা।

🌕 কেন এত বিশেষ?

এটি হবে তিনটি টানা সুপারমুনের প্রথমটি।

চাঁদ সাধারণ সময়ের তুলনায় প্রায় ১৪% বড় ও ৩০% উজ্জ্বল দেখাবে।

স্থানীয় আকাশে এটি সোনালি আভা ছড়াবে, যা চোখ ধাঁধানো দৃশ্য তৈরি করবে।

🌕 কোথায় কিভাবে দেখবেন?
চাঁদ দেখার সেরা উপায় হলো—খোলা জায়গা বা উঁচু স্থান থেকে পূর্ব আকাশে নজর রাখা। সূর্যাস্তের ১৫–২০ মিনিট পর চাঁদের সৌন্দর্য হবে সবচেয়ে ঝলমলে। খালি চোখেই দেখা যাবে, তবে দূরবীন থাকলে অভিজ্ঞতা হবে আরও রোমাঞ্চকর।

🌕 প্রথা ও ইতিহাস

উত্তর আমেরিকার নেটিভ উপজাতিরা একে কখনও বলতেন Drying Rice Moon, কখনও Migrating Moon।

অক্টোবরের পূর্ণিমা আবার Hunter’s Moon নামেও পরিচিত, কারণ ইতিহাসে এসময় শুরু হতো শিকার মৌসুম।

কৃষকেরা দীর্ঘদিন ধরে একে ‘হারভেস্ট মুন’ বলে আসছেন, কারণ এর আলো ফসল কাটা সহজ করত।

🌕 পরবর্তী সুপারমুন

৫ নভেম্বর — বিবার মুন

৪ ডিসেম্বর — কোল্ড মুন

|

মহাকাশে বিপর্যয়ের পর রুশ নভোচারীদের কনিয়াক পানমস্কো, ৫ অক্টোবর:১৯৯৭ সালের ২৫ জুন রুশ মহাকাশ স্টেশন মির এক ভয়াবহ দুর্ঘ...
05/10/2025

মহাকাশে বিপর্যয়ের পর রুশ নভোচারীদের কনিয়াক পান

মস্কো, ৫ অক্টোবর:
১৯৯৭ সালের ২৫ জুন রুশ মহাকাশ স্টেশন মির এক ভয়াবহ দুর্ঘটনার মুখোমুখি হয়। মানববিহীন মালবাহী মহাকাশযান প্রোগ্রেস এম-৩৪ স্টেশনে ডকিংয়ের সময় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে স্পেক্টর মডিউল-এর সঙ্গে সংঘর্ষ ঘটায়। এতে মডিউলের বাইরের অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে ভেতরের বায়ু দ্রুত বেরিয়ে যেতে থাকে।

রুশ নভোচারী আলেকজান্ডার লাজুতকিন ও মার্কিন নভোচারী মাইকেল ফোয়েল তৎক্ষণাৎ ব্যবস্থা নিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত মডিউলের বৈদ্যুতিক সংযোগ বিচ্ছিন্ন করেন। তাদের দ্রুত পদক্ষেপে বড় বিপর্যয় এড়ানো সম্ভব হয়।

দুর্ঘটনার পর মানসিক চাপ কমাতে রুশ নভোচারীরা ঐতিহ্য অনুসারে কনিয়াক পান করেন। তবে মার্কিন নভোচারী জেরি লিনেঞ্জার এতে অংশ নেননি এবং পরিস্থিতিকে গুরুতর বলে উল্লেখ করেন।

নাসা মহাকাশে অ্যালকোহল সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করলেও রুশ মহাকাশ কর্মসূচিতে সীমিত পরিমাণে কনিয়াক নিয়ে যাওয়া দীর্ঘদিনের একটি অঘোষিত প্রথা ছিল।

এই দুর্ঘটনা দীর্ঘমেয়াদি মহাকাশ মিশনের ঝুঁকি ও নিরাপত্তা প্রটোকলের গুরুত্ব সামনে নিয়ে আসে এবং পরবর্তীতে আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনের (ISS) নকশায় নতুন দিকনির্দেশনা দেয়।

| |

05/10/2025
05/10/2025

|

01/10/2025

CGI (Computer-Generated Imagery) আসার আগে Special Effects কিভাবে সৃষ্টি করা হোত?

পৃথিবী যদি হঠাৎ উল্টো দিকে ঘুরতে শুরু করত, তাহলে আমাদের পরিচিত আবহাওয়া ও সাগরের স্রোতের ধারা আমূল বদলে যেত। তাপমাত্রা মো...
30/09/2025

পৃথিবী যদি হঠাৎ উল্টো দিকে ঘুরতে শুরু করত, তাহলে আমাদের পরিচিত আবহাওয়া ও সাগরের স্রোতের ধারা আমূল বদলে যেত। তাপমাত্রা মোটামুটি একই থাকলেও, বিশাল সমুদ্রস্রোতগুলো আটলান্টিক থেকে প্রশান্ত মহাসাগরে সরে যেত, আর তাতেই পৃথিবীর জলবায়ু একেবারে ভিন্ন হয়ে উঠত। যেমন, উষ্ণ স্রোত গালফ স্ট্রিম, যা স্ক্যান্ডিনেভিয়া আর যুক্তরাজ্যকে উষ্ণ রাখে, তা বন্ধ হয়ে যেত। ফলে ইউরোপে শীত হতো ভয়াবহ ঠান্ডা। প্রশান্ত মহাসাগরের স্রোতগুলো নতুন রূপ নিত, যা উত্তর ও দক্ষিণ আমেরিকার পশ্চিম উপকূলকে আরও উষ্ণ করে তুলত। আফ্রিকা আর এশিয়ার প্রায় এক-চতুর্থাংশ মরুভূমি সজীব বনভূমি বা তৃণভূমিতে রূপ নিত, কারণ সেখানে আর্দ্রতা বেড়ে যেত। কিন্তু অ্যামাজন জঙ্গল হয়ে উঠত শুষ্ক এক মরুভূমি, কারণ বৃষ্টির ধারা বদলে যেত। রাশিয়ার তৃণভূমি উষ্ণ হয়ে নতুন গাছপালা ও প্রাণীর আবাস গড়ে তুলত। আটলান্টিকে বরফের বিস্তার বেড়ে যেত, বরফ দক্ষিণ দিকে নেমে আসত, যা সমুদ্রের প্রাণবৈচিত্র্য ও সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতায় বিশাল প্রভাব ফেলত। উত্তর-পশ্চিম ইউরোপে শীত পড়ত এতটাই কড়কড়ে যে অঞ্চলটা প্রায় বসবাসের অযোগ্য হয়ে উঠত। উত্তর আমেরিকায় আবার কোথাও আবহাওয়া হতো মোলায়েম, আবার কোথাও প্রবল চরমপন্থী। অর্থাৎ পৃথিবীর মোট তাপমাত্রা খুব একটা বদলাত না বটে, কিন্তু আবহাওয়া ও জলবায়ু এতটাই অচেনা হয়ে উঠত যে অনেক জায়গা চেনাই যেত না—আমাদের পরিচিত দুনিয়া হয়ে উঠত সম্পূর্ণ অপরিচিত!

| |

যে জিনিসটাকে এতদিন পর্যন্ত নবায়নযোগ্য জ্বালানি শিল্পের সবচেয়ে বড় ঝামেলা বলে মনে করা হতো, সেটিই হয়তো হয়ে উঠতে চলেছে আগামী...
29/09/2025

যে জিনিসটাকে এতদিন পর্যন্ত নবায়নযোগ্য জ্বালানি শিল্পের সবচেয়ে বড় ঝামেলা বলে মনে করা হতো, সেটিই হয়তো হয়ে উঠতে চলেছে আগামী দিনের টেকসই শক্তির অন্যতম স্তম্ভ। কৃষি বর্জ্য, কাঠ কিংবা অন্য জৈব পদার্থকে যখন গরম করে শক্তি ও বায়োচার তৈরি করা হয়, তখনই এক ভয়ঙ্কর সমস্যার জন্ম হয়—বায়ো-টার। এই আঠালো, বিষাক্ত তরল পদার্থ পাইপলাইন আটকে দেয়, যন্ত্রপাতি নষ্ট করে, আর বাতাসে ছড়িয়ে পড়লে পরিবেশকে করে তোলার ঝুঁকিপূর্ণ। দীর্ঘদিন ধরেই বিজ্ঞানীরা এর হাত থেকে রেহাই পাওয়ার উপায় খুঁজছিলেন।

কিন্তু চীনা বিজ্ঞানীরা এবার দেখালেন এক বিস্ময়কর রাস্তা। তাঁরা বলছেন, বায়ো-টারকে যদি নিছক ‘বর্জ্য’ না ভেবে সঠিকভাবে রূপান্তর করা যায়, তবে এটি হয়ে উঠতে পারে “বায়ো-কার্বন”—এক সম্পূর্ণ নতুন উপাদান, যার অসংখ্য আধুনিক প্রয়োগ রয়েছে। জল পরিশোধন থেকে শুরু করে শক্তি সঞ্চয়ের সুপারক্যাপাসিটার, এমনকি পরিবেশবান্ধব জ্বালানি—সবেতেই ব্যবহার করা সম্ভব এই বায়ো-কার্বনকে।

গবেষণায় দেখা গেছে, বায়ো-টারের ভেতরকার রাসায়নিক উপাদান (যেমন কার্বোনাইল আর ফিউরান) স্বাভাবিকভাবেই একে বড় ও স্থিতিশীল কার্বন কাঠামোয় রূপান্তরিত করতে চায়। বিজ্ঞানীরা যদি তাপমাত্রা, সময় আর কিছু যোগকৃত উপাদান সঠিকভাবে নিয়ন্ত্রণ করেন, তবে পাওয়া যাবে এমন এক বায়ো-কার্বন যা সাধারণ বায়োচারের চেয়ে অনেক উন্নত। এতে থাকে বেশি পরিমাণে বিশুদ্ধ কার্বন, কম ছাই, আর বিশেষ ধরনের গঠন যা একে করে তোলে বহুমুখী ও দামী।

| | | | | | |

১৭৩৭ সালে তাঁর দেহাবশেষ স্থানান্তরের সময় গ্যালিলিওর ডান হাতের মধ্যমা আঙুলটি আলাদা করে সংরক্ষণ করা হয়। বর্তমানে এটি ফ্লোর...
28/09/2025

১৭৩৭ সালে তাঁর দেহাবশেষ স্থানান্তরের সময় গ্যালিলিওর ডান হাতের মধ্যমা আঙুলটি আলাদা করে সংরক্ষণ করা হয়। বর্তমানে এটি ফ্লোরেন্সের মিউজিও গ্যালিলিওতে রাখা আছে। আঙুলটি যেন প্রতীক হয়ে উঠেছে বিজ্ঞানের উপর গোঁড়ামি ও দমননীতির বিরুদ্ধে তাঁর সাহসী অবস্থানের—যে লড়াই তিনি চার্চের সঙ্গে করেছিলেন সূর্যকেন্দ্রিক মতবাদ প্রতিষ্ঠার সময়ে। কাঁচের আবরণে সযত্নে রাখা এই নিদর্শন শুধু গ্যালিলিওর যুগান্তকারী জ্যোতির্বিদ্যাগত অবদানের কথা স্মরণ করায় না, বরং জ্ঞান ও সত্যের সীমানা অতিক্রম করার তাঁর অনন্য উত্তরাধিকারেরও প্রতীক হয়ে রয়েছে।

হাজার বছরের পুরনো জনপ্রিয় পানীয় বিয়ার ও ওয়াইন নিয়ে আমাদের ধারণা সুপ্রতিষ্ঠিত হলেও, বিজ্ঞানীরা প্রতিনিয়ত এর ভেতরে ন...
28/09/2025

হাজার বছরের পুরনো জনপ্রিয় পানীয় বিয়ার ও ওয়াইন নিয়ে আমাদের ধারণা সুপ্রতিষ্ঠিত হলেও, বিজ্ঞানীরা প্রতিনিয়ত এর ভেতরে নতুন নতুন রহস্য উন্মোচন করে চলেছেন। আমেরিকান কেমিক্যাল সোসাইটির সাম্প্রতিক গবেষণা থেকে উঠে এসেছে এই পানীয় দুটির অভ্যন্তরে লুকিয়ে থাকা চারটি চমকপ্রদ তথ্য, যা স্বাস্থ্য, প্রযুক্তি ও স্বাদের এক নতুন দিগন্ত খুলে দিয়েছে।

প্রচলিতভাবে বার্লির প্রোটিন ও হপ-এর পলিফেনল দিয়ে হ্যাজি বা ঘোলাটে বিয়ার তৈরি হলেও, গবেষকরা আবিষ্কার করেছেন এক নতুন প্রক্রিয়া। তারা দেখিয়েছেন যে, স্বচ্ছ লেগার বিয়ারে সামান্য ইস্ট এক্সট্র্যাক্ট যোগ করলেই সেটি অস্বাভাবিকভাবে ঘোলাটে হয়ে যায়। এই পরিবর্তনটি ঘটে ইস্ট এক্সট্র্যাক্টের RNA এবং প্রোটিনের পারস্পরিক প্রতিক্রিয়ার ফলে। অর্থাৎ, এখন ইস্টের RNA ব্যবহার করে সহজে হ্যাজি বিয়ার তৈরি করা সম্ভব, যা বিয়ার তৈরির প্রক্রিয়াকে আরও সহজ ও বৈচিত্র্যময় করে তুলবে। খাদ্য সুরক্ষার ক্ষেত্রে বড় অগ্রগতি এনেছে দ্বিতীয় আবিষ্কারটি— গ্লুটেন-অ্যালার্জি রোগীদের জন্য তৈরি করা হয়েছে একটি অত্যাধুনিক ল্যাটেরাল ফ্লো টেস্ট স্ট্রিপ। এই স্ট্রিপটি মাত্র ৩ মিনিটে ৯৮% সঠিক ফলাফলের মাধ্যমে ০ থেকে ২০ ppm পর্যন্ত গ্লুটেন শনাক্ত করতে পারে, যা খাবার বা পানীয় গ্লুটেন-ফ্রি কিনা তা যাচাই করতে খুবই কার্যকর।

ওয়াইন পানীয়ের ক্ষেত্রে একটি সাধারণ অনুভূতি হলো রেড ওয়াইন পানের পর ঠোঁট বা মুখ শুকিয়ে যাওয়া বা কষভাব অনুভূত হওয়া। বিজ্ঞানীরা এই অনুভূতির পেছনের কারণ উদঘাটন করেছেন। তাদের মতে, ওয়াইনে থাকা ট্যানিন নামক উপাদানটি আমাদের লালাগ্রন্থির ক্ষুদ্র পানির ছিদ্রপথ বা অ্যাকুয়াপোরিন (Aquaporin) বন্ধ করে দেয়। এর ফলে মুখ থেকে পানির নির্গমন বেড়ে গেলেও শোষণ কমে যায়, যার ফলস্বরূপ মুখে তীব্র শুকনো ও কষভাব অনুভূত হয়। সর্বশেষ আবিষ্কারটি স্বাস্থ্যের সঙ্গে সম্পর্কিত: ওয়াইনের স্থায়িত্ব বাড়াতে ব্যবহৃত সালফাইট হজমের পর অন্ত্রে থাকা ভালো ব্যাকটেরিয়ার পরিমাণ কমিয়ে দেয় এবং কিছু ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়ার সংখ্যা বাড়িয়ে তাদের আধিপত্য সৃষ্টিতে সাহায্য করে। তবে বিজ্ঞানীরা এটাও লক্ষ করেছেন যে, ওয়াইনে প্রাকৃতিকভাবে উপস্থিত পলিফেনল নামক উপাদানটি সালফাইটের এই ক্ষতিকর প্রভাব কিছুটা হলেও কমিয়ে দিতে সক্ষম।

এই চারটি নতুন আবিষ্কার প্রমাণ করে যে, মানব ইতিহাসের এত পুরনো পানীয় হওয়া সত্ত্বেও বিয়ার ও ওয়াইন এখনো গবেষণার এক অফুরন্ত উৎস।

Source: American Chemical Society.

| |

Address

Pecharthal, Babutilla Area
Dharmanagar
799263

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Science News posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to Science News:

Share