Knowledge Hub

Knowledge Hub Discover, learn, grow – "Knowledge Hub" makes knowledge simple and powerful. "Knowledge Hub" – Where curiosity meets clarity. Learn smarter, faster, and easier.
(1)

জানা-অজানা
12/09/2025

জানা-অজানা

👉 এমন বিশাল মহাবিশ্বে আমরা কত ছোট!
12/09/2025

👉 এমন বিশাল মহাবিশ্বে আমরা কত ছোট!

মিজোরামের সাইতুয়াল জেলার খাওলেক গ্রামে সম্প্রতি আবিষ্কৃত হয়েছে প্রায় সাতশো বছরেরও বেশি পুরনো মানব কঙ্কাল, যা খুঁজে পেয়েছ...
12/09/2025

মিজোরামের সাইতুয়াল জেলার খাওলেক গ্রামে সম্প্রতি আবিষ্কৃত হয়েছে প্রায় সাতশো বছরেরও বেশি পুরনো মানব কঙ্কাল, যা খুঁজে পেয়েছে ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল ট্রাস্ট ফর আর্ট অ্যান্ড কালচারাল হেরিটেজ (INTACH)-এর মিজোরাম শাখা। স্থানীয় এক শিকারি প্রথমে হাড়গোড় দেখতে পান এবং পরে বিষয়টি জানানোর পর INTACH ও রাজ্যের শিল্প ও সংস্কৃতি দপ্তরের উদ্যোগে জায়গাটি খুঁড়ে দেখা হয়। সেখানে মাটির নিচ থেকে মেলে অন্তত নয়টি মানুষের খুলি, কিছু ফেমার হাড়, অন্যান্য হাড়ের টুকরো, সঙ্গে মাটির হাঁড়ি, ভাঙা পোত, ছুরি ও দাও-এর মতো বস্তু। এই সব নমুনা পাঠানো হয় যুক্তরাষ্ট্রের মায়ামি শহরের বিটা অ্যানালিটিক ল্যাবরেটরিতে কার্বন–১৪ পরীক্ষার জন্য এবং সেখান থেকে জানা যায় হাড়গুলোর বয়স আনুমানিক ১২৬০ থেকে ১৩২০ খ্রিস্টাব্দের মধ্যে, অর্থাৎ সাতশো বছরেরও বেশি পুরনো। এতদিন পর্যন্ত ধারণা ছিল মিজো জনগোষ্ঠী মূলত সতেরো শতকের দিকে এ অঞ্চলে বসতি গড়তে শুরু করে, কিন্তু এই নতুন আবিষ্কার প্রমাণ করছে তারা আরও বহু আগেই এখানে বসবাস করছিলেন। প্রত্নতত্ত্ববিদরা মনে করছেন, এই হাড়গোড় ও বস্তু শুধু প্রাচীন মিজো সমাজের জীবনযাত্রা, খাদ্যাভ্যাস, যুদ্ধসংস্কৃতি ও ধর্মীয় আচার সম্পর্কে নতুন আলোকপাত করবে না, বরং গোটা উত্তর-পূর্ব ভারতের ইতিহাস পুনর্লিখনের সুযোগও এনে দেবে। এখন নমুনাগুলোর ডিএনএ বিশ্লেষণ করা হবে, যাতে বোঝা যায় এরা কারা ছিলেন, কোথা থেকে এসেছিলেন এবং তাদের বর্তমান জনগোষ্ঠীর সঙ্গে কী সম্পর্ক রয়েছে। গবেষণা শেষ হলে এই রহস্যময় কঙ্কাল আবিষ্কার মিজোরামের ইতিহাসে এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা করতে পারে।

মদ নিষিদ্ধকরণের যুগে (Prohibition Era) আঙুর চাষিরা ব্যবসা চালিয়ে যাওয়ার এক বুদ্ধিদীপ্ত উপায় খুঁজে বের করেছিলেন। তারা ...
12/09/2025

মদ নিষিদ্ধকরণের যুগে (Prohibition Era) আঙুর চাষিরা ব্যবসা চালিয়ে যাওয়ার এক বুদ্ধিদীপ্ত উপায় খুঁজে বের করেছিলেন। তারা আধা-ঠাসা আঙুরের নির্যাস তৈরি করতেন, যেগুলোকে বলা হতো “ওয়াইন ব্রিকস”(Wine bricks)। আইনত এগুলো কেবল আঙুরের রস তৈরির জন্যই ছিল বৈধ, কিন্তু এর সঙ্গে থাকত এক রকম ঠাট্টাচ্ছলে লেখা সতর্কবার্তা, যা আসল রহস্যটা ফাঁস করত।

সতর্কবার্তায় লেখা থাকত—
“এক গ্যালন পানিতে ব্রিকটি গলানোর পর দয়া করে তরলটিকে কুঠুরির ভেতর কোনো জগে বিশ দিন ফেলে রাখবেন না, কারণ তাতে সেটা ওয়াইনে পরিণত হয়ে যাবে।”

এই মজার ছলে দেওয়া নির্দেশনা চাষিদের আইন এড়িয়ে চলতে সাহায্য করেছিল, আর ক্রেতাদেরও ইঙ্গিত দিয়েছিল গোপনে কীভাবে ঘরে বসে মদ তৈরি করা যায়। সরকার যেখানে অবৈধ মদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিয়েছিল, সেখানে ওয়াইন ব্রিক হয়ে উঠেছিল জনপ্রিয় এক ফাঁকফোকর। বলা যায়, এটি ছিল নিষিদ্ধ যুগের সবচেয়ে সৃজনশীল ও রসিকতাপূর্ণ কৌশলগুলোর একটি।

২২ জুলাই, ৮৩৮ খ্রিষ্টাব্দ।আধুনিক তুরস্কের দাজিমনের সমতলভূমি সেদিন রক্তে রঞ্জিত হয়েছিল। ইতিহাস জানে এটিকে আনজেন বা দাজিমন...
12/09/2025

২২ জুলাই, ৮৩৮ খ্রিষ্টাব্দ।
আধুনিক তুরস্কের দাজিমনের সমতলভূমি সেদিন রক্তে রঞ্জিত হয়েছিল। ইতিহাস জানে এটিকে আনজেন বা দাজিমনের যুদ্ধ নামে। বাইজান্টাইন সাম্রাজ্যের সম্রাট থিওফিলোস স্বয়ং নেতৃত্ব দিয়েছিলেন তাঁর সেনাদের, মুখোমুখি হয়েছিলেন শক্তিশালী আব্বাসীয় খেলাফত বাহিনীর, যাদের সেনাপতি ছিলেন ইরানীয় ভাসাল রাজপুত্র আফশিন।

এটা শুধু একটা যুদ্ধ ছিল না—এটা ছিল বীরত্ব আর কৌশলের সংঘর্ষ, মর্যাদা আর টিকে থাকার লড়াই। দিনের শেষে বাইজান্টাইনরা শুধু পরাজিতই হয়নি, তাদের হৃদয়ে জন্ম নেয় এক গভীর ক্ষত। সামরিক ব্যর্থতার চেয়ে তা ছিল আরো ভয়ংকর—একটা মানসিক ভাঙন, যা দীর্ঘদিন ধরে আরব–বাইজান্টাইন দ্বন্দ্বের গতিপথ পাল্টে দিয়েছিল।

এই যুদ্ধের ধুলোয় লুকিয়ে আছে এক সাম্রাজ্যের গৌরব ও হতাশার গল্প, আর সেইসঙ্গে বাইজান্টিয়ামের আধ্যাত্মিক ইতিহাসেরও এক মোড় ঘোরানো অধ্যায়।

রোমান সিংহাসনে এক দৈত্য সম্রাট।১৭৩ খ্রিষ্টাব্দের কাছাকাছি জন্ম নেওয়া ম্যাক্সিমিনাস থ্রাক্স ছিলেন এমন এক মানুষ, যাঁর কাহি...
12/09/2025

রোমান সিংহাসনে এক দৈত্য সম্রাট।
১৭৩ খ্রিষ্টাব্দের কাছাকাছি জন্ম নেওয়া ম্যাক্সিমিনাস থ্রাক্স ছিলেন এমন এক মানুষ, যাঁর কাহিনি যেন কিংবদন্তিরও বাইরে। কথিত আছে, মৃত্যুর পর তাঁর কঙ্কালের দৈর্ঘ্য মাপা হয়েছিল দুই মিটারেরও বেশি (প্রায় ২৪০ সেমি)—তাঁকে ইতিহাসের অন্যতম দীর্ঘকায় মানুষ বলা হয়।

২৩৫ খ্রিষ্টাব্দে তিনি রোমান সম্রাটের আসনে বসেন। আশ্চর্যের বিষয়, তিনি ছিলেন প্রথম সম্রাট যিনি সৈনিকদের সাধারণ সারি থেকে উঠে এসেছিলেন। তাঁর বিশাল দেহ ও সামরিক দক্ষতা তাঁকে অদম্য করে তুললেও, তাঁর শাসনকালই শুরু করে দেয় রোমান সাম্রাজ্যের এক অশান্ত যুগ—তৃতীয় শতাব্দীর সঙ্কট।

আরও বিস্ময়কর বিষয়, ম্যাক্সিমিনাস ছিলেন প্রথম সম্রাট যার সম্পূর্ণ বার্বারিয়ান বংশোদ্ভূত। হিস্টোরিয়া অগাস্টা জানায়, তাঁর বাবা ছিলেন গথ জাতির, আর মা ছিলেন অ্যালান জনগোষ্ঠীর—এক জাতি যাদের উচ্চতা ও শক্তির জন্য প্রাচীন বিশ্বে ভয় আর বিস্ময়ের সঙ্গে দেখা হতো।

তিনি শুধু এক সম্রাটই নন, বরং রোমান ইতিহাসের এক ব্যতিক্রমী চরিত্র—এক দানবাকৃতি যোদ্ধা, যিনি সাম্রাজ্যের গৌরব আর পতনের মাঝামাঝি দাঁড়িয়ে ছিলেন এক অবিস্মরণীয় ছায়ার মতো।

📖  প্রথম গুলিটি কে চালিয়েছিল ❓এই প্রশ্নটি আমেরিকান বিপ্লবের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় রহস্যগুলির মধ্যে একটি। ১৯ এপ্রিল, ১৭৭৫ ...
12/09/2025

📖 প্রথম গুলিটি কে চালিয়েছিল ❓

এই প্রশ্নটি আমেরিকান বিপ্লবের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় রহস্যগুলির মধ্যে একটি। ১৯ এপ্রিল, ১৭৭৫ সালে লেক্সিংটন গ্রিনে যে ব্যক্তি প্রথম ট্রিগার টেনেছিল, তার পরিচয় আজও অজানা। উভয় পক্ষই দাবি করে যে অপর পক্ষই প্রথমে গুলি চালিয়েছিল, আর এই পরস্পরবিরোধী দাবিগুলোই এই ঘটনাকে আরও জটিল করে তোলে।

যুদ্ধের মাত্র তিন দিন পর, ম্যাসাচুসেটস অ্যাসেম্বলি এই ঘটনার তদন্তের জন্য একটি কমিটি গঠন করে। কমিটির চেয়ারম্যান এলব্রিজ গেরির কাছে ক্যাপ্টেন জন পার্কার ২৫ এপ্রিল সাক্ষ্য দেন। পার্কার বলেন যে তিনি লেক্সিংটনে তার মিলিশিয়াদের জড়ো করেছিলেন এবং ব্রিটিশ সৈন্যদের সঙ্গে কোনো ধরনের ঝামেলায় না জড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন, যদি না তাদের উসকানি দেওয়া হয়।

পার্কারের ভাষ্য অনুযায়ী, যখন ব্রিটিশ সেনারা তাদের দিকে এগিয়ে আসে, তিনি সঙ্গে সঙ্গে তার মিলিশিয়াদের ছত্রভঙ্গ হতে এবং গুলি না চালাতে নির্দেশ দেন। তার নির্দেশ সত্ত্বেও ব্রিটিশ সৈন্যরা আকস্মিকভাবে আক্রমণ চালায় এবং কোনো উসকানি ছাড়াই তাদের ওপর গুলি চালায়। এর ফলে পার্কারের দলের আটজন সদস্য নিহত হয়। এই সাক্ষ্য অনুযায়ী, ব্রিটিশরাই প্রথম হামলা শুরু করেছিল।

📌 ব্রিটিশদের ভাষ্য: মেজর জন পিটকেয়ার্নের প্রতিবেদন

অন্যদিকে, ব্রিটিশ পক্ষে সর্বোচ্চ পদাধিকারী কর্মকর্তা মেজর জন পিটকেয়ার্ন ২৬ এপ্রিল তার নিজস্ব প্রতিবেদন জমা দেন। পিটকেয়ার্ন জানান যে তিনি তার সৈন্যদের গুলি না চালানোর নির্দেশ দিয়েছিলেন এবং তাদের নিরস্ত্র করার জন্য মিলিশিয়াদের ঘিরে ফেলার আদেশ দিয়েছিলেন।

পিটকেয়ার্নের দাবি অনুযায়ী, তার বারবার নিষেধ সত্ত্বেও, কিছু মিলিশিয়া একটি পাথরের দেয়াল টপকে পালানোর সময় ব্রিটিশ সৈন্যদের দিকে চার-পাঁচটি গুলি চালায়। এই গুলিতে দশম রেজিমেন্টের একজন সৈন্য আহত হয় এবং পিটকেয়ার্নের ঘোড়াও আঘাত পায়। তার ভাষ্যমতে, মিলিশিয়ারাই প্রথম গুলি চালিয়ে ব্রিটিশদের আক্রমণের কারণ হয়েছিল।

এই দুটি পরস্পরবিরোধী সাক্ষ্য থেকে বোঝা যায়, উভয় পক্ষই নিজেদের নির্দোষ প্রমাণ করার চেষ্টা করেছিল। এই ঘটনার কোনো নিরপেক্ষ প্রত্যক্ষদর্শী না থাকায়, কে প্রথম গুলি চালিয়েছিল তা নিশ্চিতভাবে বলা সম্ভব নয়। তবে এই একটি মাত্র গুলিই যে ইতিহাসের গতিপথ বদলে দিয়েছিল, সে বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই। লেক্সিংটনের এই সংঘর্ষের পরই আমেরিকান বিপ্লবের আনুষ্ঠানিক সূচনা হয় এবং এটি সমগ্র উপনিবেশে ব্রিটিশ শাসনের বিরুদ্ধে প্রতিরোধের আগুন জ্বালিয়ে দেয়।



















▼ ক্লিওপাত্রার প্রসাধনীপ্রাচীন মিশরের নারী ফারাও Cleaopatra বিভিন্ন প্রতিকার সুপারিশ করেছিলেন, যার মধ্যে ছিল ইঁদুরের বিষ...
11/09/2025

▼ ক্লিওপাত্রার প্রসাধনী

প্রাচীন মিশরের নারী ফারাও Cleaopatra বিভিন্ন প্রতিকার সুপারিশ করেছিলেন, যার মধ্যে ছিল ইঁদুরের বিষ্ঠা ব্যবহার করে চুল পড়া নিরাময়ের উপায়।

খ্যাতনামা সুন্দরী রাণী (খ্রিস্টপূর্ব ৬৯–৩০) ক্লিওপাত্রার মৃত্যুর এক প্রজন্ম পর তাঁর নামে ‘ক্লিওপাত্রা’ শিরোনামে একটি প্রসাধনী বিষয়ক গ্রন্থ প্রচলিত হয়েছিল। দুর্ভাগ্যবশত, সেই গ্রন্থটি হারিয়ে গেছে, তবে পরবর্তী চিকিৎসকদের লেখায় এর আভাস পাওয়া যায়।এতে ব্যক্তিগত সৌন্দর্য সম্পর্কিত রোগের (যেমন অ্যালোপেশিয়া বা চুল ঝরে যাওয়া) প্রতিকার ছাড়াও সুগন্ধি ও প্রসাধনী প্রস্তুতির নানা রেসিপি ছিল।

যে রেসিপিগুলো টিকে আছে, সেগুলোর অনেকগুলোই বেশ অরুচিকর। অ্যালোপেশিয়ার চিকিৎসায় ক্লিওপাত্রা ইঁদুরের বিষ্ঠা ব্যবহারের সুপারিশ করেছিলেন, হয়তো এই বিশ্বাসে যে তা সার হিসেবে কাজ করবে। আরেকটি রেসিপিতে ছিল চুল গজানোর জন্য ভালুকের চর্বি ও দেবদারু তেল – এমন এক দুর্গন্ধযুক্ত প্রস্তুতি যে ব্যবহারকারীকে এটি মদে মিশিয়ে গন্ধ কমাতে হতো।

প্রসাধনী তৈরির কৌশল সম্ভবত ক্লিওপাত্রার পূর্বসূরি নামসেক রানী ক্লিওপাত্রা বেরেনিসের (খ্রিস্টপূর্ব ১২০–৮০) সময়েও প্রচলিত ছিল। গাত্রবর্ণ উন্নত করার জন্য তাঁর এক রেসিপি আজও সংরক্ষিত আছে, যার মূল উপাদান হলো দুধে গুঁড়ো হরিণের শিং। আশ্চর্যজনকভাবে, ‘হার্টশর্ন’ (হরিণশিং-এর গুঁড়ো) উনবিংশ শতাব্দী পর্যন্ত প্রসাধনীর একটি জনপ্রিয় উপাদান হিসেবে ব্যবহৃত হতো।

মানুষ এক মিনিটে ১৫-২০ বার চোখের পলক ফেলে।মানে বছরে প্রায় ৫ মিলিয়ন বার! 👀
11/09/2025

মানুষ এক মিনিটে ১৫-২০ বার চোখের পলক ফেলে।
মানে বছরে প্রায় ৫ মিলিয়ন বার! 👀

মঙ্গলগ্রহের বুকে নতুন করে জীবন খুঁজে পাবার সম্ভাবনা নিয়ে বিজ্ঞানের জগতে আবারো উত্তেজনা তৈরি হয়েছে। নাসার পারসিভিয়ারেন্স...
11/09/2025

মঙ্গলগ্রহের বুকে নতুন করে জীবন খুঁজে পাবার সম্ভাবনা নিয়ে বিজ্ঞানের জগতে আবারো উত্তেজনা তৈরি হয়েছে। নাসার পারসিভিয়ারেন্স রোভার, যা ২০২১ সালে জেজেরো ক্রেটারে অবতরণ করে, সম্প্রতি নেরেটভা ভ্যালিস নামের এক প্রাচীন নদী উপত্যকায় অদ্ভুত সব শিলা আবিষ্কার করেছে। এই শিলাগুলোতে এমন সব দাগ, দানা ও রাসায়নিক যৌগ পাওয়া গেছে যা পৃথিবীতে সাধারণত অণুজীবের কর্মকাণ্ডের ফলেই সৃষ্টি হয়। নাসার বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, এগুলোকে সরাসরি প্রাণের প্রমাণ বলা না গেলেও এগুলোকে সম্ভাব্য বায়োসিগনেচার বা জীবনের চিহ্ন হিসেবে বিবেচনা করা উচিত।

প্রতিবেদনটি প্রকাশিত হয়েছে Nature সাময়িকীতে, যেখানে গবেষক দল উল্লেখ করেছেন যে উজ্জ্বল অ্যাঞ্জেল ফর্মেশনের শিলায় পাওয়া বৈশিষ্ট্যগুলো—রাসায়নিক গঠন, খনিজ বৈচিত্র্য এবং জৈব যৌগ—সবই এমন ইঙ্গিত বহন করে যা এক সময়ের জীবনের সঙ্গে সম্পর্কিত হতে পারে। রোভারের যন্ত্রপাতি শিলায় কার্বন-ভিত্তিক যৌগ শনাক্ত করেছে এবং ছবিতে দেখা গেছে পৃষ্ঠে দাগ ও নডিউল, যা পৃথিবীতে অণুজীবের কার্যকলাপের সঙ্গে মিলে যায়।

এই শিলায় ভিভিয়ানাইট (এক ধরনের লৌহ-ফসফেট খনিজ) এবং গ্রেইগাইট (লৌহ-সালফাইড খনিজ) পাওয়া গেছে। গবেষক ড. জোয়েল হুরোভিৎজের মতে, এগুলো সম্ভবত কাদার সঙ্গে জৈব পদার্থের রাসায়নিক বিক্রিয়ার মাধ্যমে সৃষ্টি হয়েছে, আর পৃথিবীতে এমন প্রক্রিয়া প্রায়শই অণুজীব দ্বারা পরিচালিত হয়। তবে সমস্যাটা হলো, এসব খনিজ শুধুমাত্র জৈব প্রক্রিয়ায় নয়, সম্পূর্ণ অজৈব রাসায়নিক বিক্রিয়াতেও তৈরি হতে পারে। তাই এটিকে চূড়ান্ত প্রমাণ বলা সম্ভব নয়।

নাসার বিজ্ঞানীরা স্পষ্ট জানিয়েছেন, এটি জীবন নয় বরং জীবনের সম্ভাব্য চিহ্ন। যদি সত্যিই এরা এক সময়ের অণুজীবের অবশিষ্ট চিহ্ন হয়, তবে তা ছিল কোটি কোটি বছর আগে, যখন মঙ্গল ছিল অনেক বেশি আর্দ্র আর প্রাণবান্ধব। আজকের শুকনো, ধূলিমাখা গ্রহ আসলে একসময় নদী ও হ্রদে ভরা ছিল—যা জীবনের জন্য সহায়ক পরিবেশ তৈরি করেছিল।

তবে নিশ্চিত হওয়ার জন্য প্রয়োজন শিলাগুলোকে পৃথিবীতে এনে বিস্তারিত বিশ্লেষণ করা। পারসিভিয়ারেন্স রোভার ইতিমধ্যে নমুনা সংগ্রহ করে সংরক্ষণ করেছে, কিন্তু সেগুলো ফিরিয়ে আনার নাসার পরিকল্পনা বর্তমানে বাজেট সংকটে আটকে গেছে। ট্রাম্প প্রশাসনের বিজ্ঞান বাজেটে “বিলুপ্তি-সমতুল্য কাটছাঁট” হওয়ায় মঙ্গল নমুনা প্রত্যাবর্তন মিশন কার্যত ঝুঁকিতে পড়েছে। নাসার কর্মকর্তারা যদিও নমুনা ফিরিয়ে আনার সম্ভাবনা উড়িয়ে দেননি, তবে এখনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি।

বিজ্ঞানীরা আশা করছেন, এ আবিষ্কার পৃথিবীর ল্যাবরেটরিতে পরীক্ষানিরীক্ষাকে অনুপ্রাণিত করবে, যেখানে একই খনিজ প্রক্রিয়াগুলো জীবজগতের মাধ্যমে ও অজৈব উপায়ে কিভাবে গড়ে উঠতে পারে তা যাচাই করা হবে। একইসঙ্গে পৃথিবীর সেসব প্রাচীন ভূতাত্ত্বিক স্থানেও গবেষণা বাড়ানো হবে, যেখানে এমন বিক্রিয়া ঘটেছিল।

এই আবিষ্কার মানবজাতির সবচেয়ে বড় প্রশ্নের দিকে আরেক ধাপ এগিয়ে দিল—আমরা কি সত্যিই মহাবিশ্বে একা? উত্তর হয়তো এখনও অধরা, কিন্তু মঙ্গলের এই রহস্যময় শিলা নিঃসন্দেহে এক নতুন দরজা খুলে দিয়েছে।

ইজরায়েলের মাউন্ট কারমেলের উঁচু স্থানে প্রত্নতাত্ত্বিকরা একটি জীবাশ্ম আবিষ্কার করেছেন যা মানব ইতিহাসের নতুন দিক উন্মোচন ক...
10/09/2025

ইজরায়েলের মাউন্ট কারমেলের উঁচু স্থানে প্রত্নতাত্ত্বিকরা একটি জীবাশ্ম আবিষ্কার করেছেন যা মানব ইতিহাসের নতুন দিক উন্মোচন করেছে: Skhul Child.
১,৪০,০০০ বছর আগের এই ছোট্ট মাথার খুলিটি দুটি ভিন্ন জগতের ছাপ বহন করে।
বাইরে থেকে এর আকার আধুনিক হোমো স্যাপিয়েন্সের মতো দেখতে। কিন্তু সিটি স্ক্যানে এর অভ্যন্তরীণ অংশ স্ক্যান করার পর কিছু অসাধারণ বিষয় প্রকাশ পায়—দেখা যায় এর রক্তনালীর পথ, চোয়ালের আকৃতি এবং ভেতরের কানের গঠনশৈলীতে নিয়ান্ডারথালদের বৈশিষ্ট্য বিদ্যমান। এই শিশুটি ছিল একটি সংকর, দুটি বংশের এক জীবন্ত মিশ্রণ, যাদের মধ্যে মিলন আরও অনেক পরে ঘটেছিল বলে মনে করা হতো।

এই আবিষ্কারটি আন্তঃপ্রজননের প্রমাণকে প্রায় ৮০,০০০ বছর এগিয়ে নিয়ে এসেছে। এর অর্থ, স্যাপিয়েন্স এবং নিয়ান্ডারথালরা একে অপরের থেকে বিচ্ছিন্ন ছিল না, বরং তাদের সম্প্রদায়ের মধ্যে অনেক আগে থেকেই যোগাযোগ ছিল। তাদের বন্ধন রক্ত, হাড় এবং মন দিয়ে তৈরি হয়েছিল।

স্খুল শিশু শুধু একটি জীবাশ্ম নয়, এটি মানবতার সম্মিলিত উত্তরাধিকারের প্রতীক—এটি আমাদের স্মরণ করিয়ে দেয় যে আমাদের শক্তি কখনও আলাদা থাকার মধ্যে ছিল না, বরং মিশে যাওয়ার মধ্যে ছিল। আমাদের পূর্বপুরুষরা স্থিতিশীল ছিলেন, কারণ তারা আলাদা থাকেননি, বরং তারা একত্রিত হয়েছিলেন এবং এর মধ্যে দিয়ে নতুন কিছুতে পরিণত হয়েছিলেন।

Address

Pecharthal, Babutilla Area
Dharmanagar
799263

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Knowledge Hub posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to Knowledge Hub:

Share