Satsangee_vlogger

Satsangee_vlogger satsang song, satsang kirtan, anukul thakur song,
satsang bhajan , kirtan, gaan
satsang related post

02/08/2025
পরমারাধ্যা জগজ্জননী শ্রীশ্রীবড়মার শুভ ১৩২তম আবির্ভাব দিবসে জানাই কোটি কোটি প্রনাম 🙏🙏
30/07/2025

পরমারাধ্যা জগজ্জননী শ্রীশ্রীবড়মার শুভ ১৩২তম আবির্ভাব দিবসে জানাই কোটি কোটি প্রনাম 🙏🙏

জগজ্জননী শ্রীশ্রীবড়মার আবির্ভাব দিবস উদযাপনের প্রস্তুতি চলছে 🙏🙏🙏
29/07/2025

জগজ্জননী শ্রীশ্রীবড়মার আবির্ভাব দিবস উদযাপনের প্রস্তুতি চলছে 🙏🙏🙏

 #ইষ্টভৃতি_করতে_আমার_ভাল_লাগেনা" আচ্ছা,- ইষ্টভৃতি করলে আমার জীবনে উন্নতি ও মঙ্গল কিভাবে সম্ভব?"আজ ডিপি ওয়ার্কে গিয়ে এক গ...
28/07/2025

#ইষ্টভৃতি_করতে_আমার_ভাল_লাগেনা
" আচ্ছা,- ইষ্টভৃতি করলে আমার জীবনে উন্নতি ও মঙ্গল কিভাবে সম্ভব?"

আজ ডিপি ওয়ার্কে গিয়ে এক গুরুভাইয়ের এই প্রশ্নের সম্মুখীন হলাম। সেই গুরুভাইটি দীক্ষা নিয়েছিল অনেক বছর পূর্বে। কিন্তু ইষ্টভৃতি নিবেদন করা ছেড়ে দিয়েছে বহুদিন হল ।

জিজ্ঞেস করলাম,-" এতদিন ইষ্টভৃতি করে হঠাৎ ছেড়ে দিলে কেন?"

-" এমনিতেই। ইষ্টভৃতি করতে ভাল লাগেনা,- তাই।"
বেশ স্পষ্ট ও সহজভাবে ভাইটি উত্তর দিল।
আমার খুব ভাল লাগল তার এই স্পষ্ট সহজ কথা। কোন নাটকীয়তা ও জড়তা নেই।

আমি তাকে বললাম,-" আমার কোন কাজ করতে ভাল লাগেনা বলেই সেই কাজটা করব না,- তা ঠিক নয়। যে কাজটা করলে আমার জীবনে মঙ্গল নিশ্চিত, - ভাল না লাগলেও সেই কাজটা নিত্য পালন করাই বুদ্ধিমানের কাজ। একেই সাধনা বলে।

অধিকাংশ ছাত্রছাত্রীদের পড়াশোনা করতে ভাল লাগেনা, পরীক্ষার আগের দিন রাত জেগে পড়া মূখস্ত করতে ভাল লাগেনা। তবুও সবাই পড়ে, পরীক্ষাও দেয়। কারন এতেই যে ভবিষ্যতে মঙ্গল হবে,- সেটা তারা জানে।

ইঞ্জেকশন নিতে, বিস্বাদ ঔষধ খেতে কারো ভাল লাগেনা। কিন্তু রোগমুক্ত হতে সবাই ঔষধ খায়, ইঞ্জেকশন নেয়।

যারা পুলিশে বা মিলিটারিতে চাকরি করে,- তারা চাকরির শুরুতে কঠিন ট্রেনিং করে। অত্যন্ত কষ্টকর ও বিরক্তিকর এই ট্রেনিং। তবু তারা নিষ্ঠাসহকারে এই ট্রেনিং করে,- কারন এতেই তাদের শরীর যুদ্ধের উপযোগী হবে।

যারা সংগীত শেখে তারা ভোরবেলা উঠে রেওয়াজ করে। অত্যন্ত বিরক্তিজনক এই রেওয়াজ। ভোরের ঘুম নষ্ট হয়, একই বিরক্তিকর সুর ঘন্টার পর ঘন্টা সাধতে হয়,- তবুও তারা নিত্য রেওয়াজ করে। কারন,- তার ফলেই তারা একদিন সংগীতে দক্ষ হবে জানে।

সাধারণত: যে কাজ বা অভ্যাসগুলি মানুষের জীবনকে উর্ধমুখে নিয়ে যায়,- সেই কাজগুলো করতে মানুষের ভাল লাগেনা। এটাই নিয়ম।

আবার,- যে কাজ বা অভ্যাসগুলো মানুষের জীবনকে ধ্বংসমুখে নিয়ে যায়,- সেগুলো করতে খুব ভাল লাগে। যে মানুষটি আজকাল মদের নেশায় আসক্ত সে শুরুর দিন থেকেই মদ খেতে ভালবাসে। কেউ তাকে জোর করে মদ খেতে অভ্যস্ত করেনি। যে লোকটি বর্তমানে ঘুষ নেওয়ার অপরাধে জেল খাটছে,- তার ঘুষ খেতে কোনদিন খারাপ লাগেনি। যেসকল মানুষ পরকীয়ায় আসক্ত তাদেরও কোনদিন এই কাজে খারাপ লাগেনি। এইসব কাজের জন্য কাউকে যাজন করতে হয়না, বার বার ঘরে গিয়ে সাধাসাধি করতে হয়না।

উচ্চে অবস্থিত কোন জলের পাত্র থেকে জল নীচে ফেলতে হলে বল প্রয়োগ করতে হয়না। শুধুমাত্র জলের টেপটা ছেড়ে দিলেই হয়। কিন্তু নীচের কোন পাত্র থেকে জল উপরে তুলতে হলে মোটর পাম্প দিয়ে বল প্রয়োগ করতে হয়। জলকে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে উপরে উঠাতে হয়। একই ব্যাপার ঘটে আমাদের জীবনেও।

তাই ইষ্টভৃতি করতে প্রথম প্রথম ভাল না লাগারই কথা। ভোর বেলা ঘুম থেকে উঠে নিজের পকেটের টাকা বিনা স্বার্থে আরেকজনকে দিয়ে দিতে কেন ভাল লাগবে? তবুও ইষ্টভৃতি নিত্য করতে হয়,- যেহেতু তা গুরুর নির্দেশিত সাধনপদ্ধতি, যেহেতু এই ইষ্টভৃতি আমার জীবনে পরম মঙ্গল বয়ে আনে। "

এই কথার পরই সেই ভাইটি জিজ্ঞেস করল,-
"আচ্ছা,- ইষ্টভৃতি করলে আমার জীবনে উন্নতি ও মঙ্গল কিভাবে সম্ভব?"

আমি বললাম,-" ইষ্টভৃতি করলে মানুষের জীবনে মঙ্গল কিভাবে সম্ভব,- তা হয়ত তুমি বুঝতে পারছ না। কিন্তু শ্রীশ্রীঠাকুরের আদর্শ, তাঁর কথা, তাঁর নির্দেশ পালন করে চললে যে মানুষের জীবনে মঙ্গল নিশ্চিত,- তা বুঝতে পারো তো?"

সে দৃঢ়তার সাথে বলল-" অবশ্যই। সেই ব্যাপারে কোন সন্দেহ নেই। "

" তাহলে তুমি শ্রীশ্রীঠাকুরের নির্দেশ ও আদর্শ পালন করে তোমার জীবন পরিবর্তন করছ না কেন? ইষ্টভৃতি না করে তুমি শ্রীশ্রীঠাকুরের বানী-কথা-উপদেশগুলি পালন কর। তবেই তো হল। "

সে চুপ করে আছে। কোন যুতসই উত্তর হয়ত খুঁজে পাচ্ছে না। তাই আমি আবার বলতে শুরু করলাম,-
"শুধু নীতিবাক্য, উপদেশ ও বানী শ্রবন- পঠন কারো জীবন পরিচালিত করতে পারেনা, আমাদের জীবনচলনায় কোন পরিবর্তন আনতে পারেনা, - যদি'না সেই বানীকারক মহাপুরুষের প্রতি আমাদের সক্রিয় ভালবাসা ও টান থাকে।

সিগারেটের প্যাকেটের গায়ে লেখা " ধূমপান ক্যান্সারের কারন" সতর্কবার্তাটি লক্ষ করে কোন ধূমপানে আসক্ত ব্যাক্তি ধূম্রপানের কুঅভ্যাস বর্জন করতে পেরেছে বলে আমার মনে হয় না। বরং যারাই দীর্ঘদিনের ধূমপানের অভ্যাস বর্জন করতে সক্ষম হয়েছে তাদের জিজ্ঞেস করলেই জানা যাবে তাদের কোন প্রিয় ভালবাসার মানুষ, যেমন মা- বাবা- স্ত্রী- প্রেমিকা- বন্ধু- শুভানুধ্যায়ী, তাদের কথায়, তাদের অভিমানের কারনেই এই কুঅভ্যাস বর্জন করেছে।

পরমপ্রেমময় শ্রীশ্রীঠাকুরের হাজার-হাজার বানী -উপদেশ দেওয়া আছে আমাদের বাঁচা- বাড়ার জন্য। কিন্তু সেইসব বানী-উপদেশ আমাদের জীবনে কোন কাজেই লাগেনা যদি না তাঁর প্রতি আমার সক্রিয় ভালবাসা ও টান জন্মায়। কিন্তু যখন আমি তাঁর দীক্ষা নেই,- সেই মুহুর্তে শ্রীশ্রীঠাকুর অনুকূল চন্দ্র আমার কাছে একজন সম্পূর্ণ অপরিচিত অজ্ঞাত ব্যাক্তি। আমি তাঁকে কিভাবে ভালবাসব, তাঁর প্রতি টান কিভাবে সৃষ্টি হবে,- আর আমি তাঁর কথা কেনই বা মেনে চলব? সেই টান ও ভালবাসা জন্মানোর প্রক্রিয়া শুরু হয় দীক্ষান্তে ইষ্টভৃতি পালনের মধ্য দিয়ে। প্রতিদিন প্রত্যুষে আমার গুরু, আমার প্রিয়পরমের ভোগের জন্য প্রত্যাশাহীন নিষ্ঠানন্দিত অর্ঘ্য নিবেদনই হল ইষ্টভৃতি।

মনোবিজ্ঞান অনুসারে আমি যখন কারো জন্য নিঃস্বার্থভাবে কিছু করি তখন সেই করার ফলস্বরূপ সেই ব্যাক্তিটি আমায় ভালবাসবে কিনা তা নিশ্চিত নয়,- কিন্তু সেই ব্যাক্তিটির প্রতি আমার ভালবাসা জন্মিয়ে যায়,- তা নিশ্চিত। যার জন্য আমার করা যত বেশী,- তার প্রতি আমার ভালবাসা - টান ও তত বেশী। রাস্তার একটি অপরিচিত কুকুরকে যদি আমি রোজ একটি বিস্কিট খেতে দেই,- তাহলে সেই কুকুরটির প্রতিও আমার টান সৃষ্টি হয়ে যায়। হঠাৎ কোন একদিন যদি কুকুরটিকে দেখতে না পাই,- তবে মন খারাপ হয়ে যায়।

রাতে বাচ্ছা ছেলেটি যখন জ্বরে আক্রান্ত তখন মা ঘুমাতে পারে না,- সারা রাত জেগে ছেলের সেবা- শুশ্রুষা করতে থাকে। যদি ও বাবা কোন কোন সময় ঘুমিয়ে পড়ে- মা কিন্তু ঘুমাতে পারেনা। কারন, ছেলের জন্য বাবার চেয়ে মা'র করা অনেক বেশী। দশ মাস গর্ভে ধারন করেছেন, প্রসব বেদনা সহ্য করে জন্ম দিয়েছেন, রাতে কাঁচা ঘুম ভেঙ্গে বারে বারে দুধ দিয়েছেন কত কি!!! তাই ছেলের প্রতি মা'র টান অনেক বেশী। তাই কথায় বলে " কুপুত্র যদি বা হয়, কুমাতা কভু নয়।"

সাধারনতঃ আমাদের মত জাগতিক- সাংসারিক মানুষদের কাছে অর্থই হল সর্বাধিক প্রিয় বস্তু। দীক্ষান্তে যখন আমি আমার সেই কষ্টার্জিত, সর্বাধিক প্রিয় অর্থ থেকে সামান্য কিছু অংশ প্রতিদিন প্রত্যুষে প্রত্যাশাহীনভাবে-ভক্তিভরে আমার গুরুর ভোগের জন্য নিবেদন করতে থাকি তখন অজান্তেই ধীরে ধীরে গুরুর প্রতি আমার ভালবাসা জন্মাতে শুরু করে। তাঁর প্রতি টান জন্মায়। তাঁর প্রতি ভালবাসা সৃষ্টি হলে তখন ইচ্ছে হয় তাঁকে জানার, তাঁর কথা শুনার। তাঁর প্রতি সৃষ্ট টান আমায় প্ররোচিত করে নিজের জীবনচলনাকে তাঁর ইচ্ছানুসারে পরিচালিত করতে,- শুরু হয় বাঁচা- বাড়ার উদ্দেশ্যে আমার পথচলা। তাই দীক্ষান্তে ইষ্টভৃতি এত আবশ্যক এবং অবশ্যকরনীয় প্রক্রিয়া। ইষ্টভৃতিই আমাদের মনে দীক্ষাকে চেতন রাখে। নতুবা দীক্ষা নেওয়াই সার,- আমার জীবনে তার কোন প্রভাব ফেলে না। "

সে আমার কথাগুলো কতটুকু বুঝতে পারল জানিনা। কিছু কথা বলছে না।

আমি আবার বললাম-
" গুরুর সকল নির্দেশের কার্যকারণ বুঝার মত IQ তথা বুদ্ধিমত্তা শিষ্যের থাকেনা। থাকেনা বলেই আমি শিষ্য,- তিনি গুরু।

ছোটবেলায় স্কুলে আলোর গতিবেগ মূখস্ত করেছি, সৌরজগতের গঠন পড়েছি, অংকের কত সূত্র মূখস্ত করেছি। কোন কার্যকারণ না জেনেই মূখস্ত করেছি। যদি তখন শিক্ষককে জিজ্ঞেস করতাম,- " স্যার,- আলোর গতিবেগ যে সেকেন্ডে তিন লক্ষ কিলোমিটার, - তা আমায় প্রমান করে দেখান। তা নাহলে আমি তা মানব না।"
তবে কি আমার আর পড়াশোনা হত?

যদি শচীন তেন্ডুলকর ছোটবেলায় তার কোচকে বলত,-" ঘন্টার পর ঘন্টা রোদে দাঁড়িয়ে একইভাবে ব্যাট করা আমার ভাল লাগেনা। কি লাভ হবে তাতে?" তাহলে কি তেন্ডুলকর ক্রিকেটের ভগবান হয়ে উঠতেন?

তাই শাস্ত্র বলে,- গুরুর কাছে নিজেকে সমর্পন করতে হয়, সম্পূর্ণ বিশ্বাস ও নির্ভর করতে হয়। গুরুর প্রতি প্রশ্নহীন আনুগত্য নিয়ে চলতে হয়।"
তবেই গুরুর দীক্ষা নিয়ে আমার জীবনে আধ্যাত্মিক চেতনা জাগা সম্ভব। আমার জীবন উর্ধগামী হওয়া সম্ভব।

প্রশ্ন করে, যুক্তি দিয়ে, বই পড়ে ধর্ম হয়না। " ধর্ম অনুভূতির উপর।" করতে করতেই অবুভূতি জন্মায়। "

********************
ডা: রাজেশ চৌধুরী
আগরতলা
২৭-০৭-২৫

🙏একজন নবাগত দাদা এসে জিজ্ঞাসা করলেন- আমার করণীয় কী?শ্রীশ্রীঠাকুর--সামাজিক জীব আমরা, সমাজের       বুকে জন্ম নিয়েছি, সমাজে...
28/07/2025

🙏একজন নবাগত দাদা এসে জিজ্ঞাসা করলেন- আমার করণীয় কী?

শ্রীশ্রীঠাকুর--সামাজিক জীব আমরা, সমাজের বুকে জন্ম নিয়েছি, সমাজের মধ্যে বাস করছি, তাই আমাদের প্রধান করণীয় হ'লো প্রাণপণে অপরের ভাল করা-যত দিক দিয়ে যত লোকের যতখানি পারা যায়। এর মধ্যেই নিহিত আছে আমাদের কল্যাণ। আর, কল্যাণের প্রতীক হলেন ইষ্ট। তাই সব চলাটা, সব করাটা হওয়া চাই ইষ্টার্থে সুসংহত। নইলে করাগুলি দানা বেঁধে উঠে স্থায়ী সুফল প্রসব করতে পারে না, বিচ্ছিন্নতায় বিলীন হ'য়ে যায়। কথা প্রসঙ্গে- ⚪
শ্রীশ্রীঠাকুর- বললেন-আমার পা দু'খানা, হাত দু'খানার সঙ্গে আমার যে সম্পর্ক, আমার পরিবেশের সঙ্গেও সেই সম্পর্ক। হাত-পা বাদ দিয়ে যেমন আমার চলে না, ⚪ ⚪ পরিবেশকে বাদ দিলেও আমার জীবন তেমনি অচল হ'য়ে ওঠে। তাই পরিবেশকে সুস্থ, স্বচ্ছ ও উন্নত করা আমার জীবনচয্যারই অঙ্গীভূত। এমনতর চলনই হ'লো ধর্ম, যা ব্যষ্টি ও সমষ্টির সত্তাকে ধরে রাখে। তাই, পরিবেশের স্বার্থের কথা বাদ দিয়ে নিজের একক স্বার্থের কথা ভাবাটাই একটা বেকুবী। এই বেকুব যার বিদায় নেয়নি, সে কখনও শিষ্ট বা শিক্ষিত মানুষ বলে পরিচিত হবার যোগ্য নয়।

🙏এরপর দেওঘর সহর থেকে কয়েকজন ভদ্রালোক বেড়াতে অসলেন। সেবাধৰ্ম্ম-সম্বন্ধে কথা উঠলো।

শ্রীশ্রীঠাকুর-মানুষের আশ্রয় মানুষ। এই কথাটা সর্বদা স্মরণ রেখে সাধ্যমত মানুষের সেবাযত্ন ও উপকার করতে হয়। সামর্থ্য সত্বেও এই করাটা যার যত খতম হ'য়ে আসে, সে তত নিরাশ্রয় হ'য়ে উঠতে থাকে। ফলকথা, প্রত্যেকটা মানুষ যদি প্রত্যেকটা মানুষের স্থিতি ও উন্নতির জন্য suffer (কষ্ট) ও sacrifice (ত্যাগ) করতে রাজী না থাকে, তবে ব্যক্তিই বা দাঁড়ায় কি ক'রে আর সমাজই বা দাঁড়ায় কি ক'রে? পারস্পরিক সেবাবুদ্ধি তাই ব্যক্তি ও সমাজের সংস্থিতির মূল ভিত।

(আলোচনা প্রসঙ্গে, নবম খণ্ড, পৃঃ ২)

 #সৎসঙ্গ অমরধামে একজন দাদা নিজের বিয়ের প্রস্তাব নিয়ে এলে পূজ্যপাদ শ্রী শ্রী অবিনদাদা তাকে বলেন...?*"দেখ , বিয়ে করবি ভ...
26/07/2025

#সৎসঙ্গ অমরধামে একজন দাদা নিজের বিয়ের প্রস্তাব নিয়ে এলে পূজ্যপাদ শ্রী শ্রী অবিনদাদা তাকে বলেন...?

*"দেখ , বিয়ে করবি ভেবেচিন্তে । ক্রিকেট খেলায় যেভাবে 5 দিনের test ম্যাচ মাত্র একটা session এ ঘুরে যায় , সেভাবেই জীবন মাত্র ওই একটা session এ হয় এগিয়ে যায় নাহলে চিরতরে জলাঞ্জলিতে যায় । মেয়ে দীক্ষিত / অদীক্ষিত হোক ক্ষতি নাই , আগে দেখবি মেয়েটা ঠাকুরের চরণের প্রতি নিজেকে মিলিয়ে দেওয়ার সামর্থ্য রাখে কি না । পরিবার কেমন ! মা বাবা কেমন ! ........ আসলে বিয়ের প্রাক্কালে বউকে জোর করে দীক্ষা দেওয়াতে পারবি কিন্তু তার মধ্যে যদি ঠাকুরের প্রতি সেই টান না জাগ্রত হয় তাহলে তোর বিয়ের পরের কতকগুলো বছর তুই দয়ালের কাজে পিছিয়ে পড়বি ওকে দয়ালের বিষয়ে বোঝাতে বোঝাতে । কিন্তু সে যদি আদিকাল থেকে সপরিবারে দীক্ষিত হয় তাহলে তুই কয়েকশো ধাপ এগিয়ে যাবি জীবনে একসাথে দয়ালকে নিয়ে , সারাদিন দয়ালের কাজে বেরোলে বাড়িতে ঝগড়ার কারণ এটা হবে না যে কেনো এতক্ষণ বাইরে ছিলি, বরং এটা হবে যে ওই মেয়ে তোকে বলবে যে তুমি এত দয়ালের কাজ করছো, আমাকেও নিয়ে চলো । নিজেদের personal time হয়ে উঠবে দয়ালের কাজ & প্রত্যেকদিনের আহার হয় উঠবে আনন্দবাজার । আর এটা তখনই সম্ভব যদি পরমপ্রেমময় এর প্রেম কি জিনিস সেটা সে বুঝতে পারে । আচ্ছা বলতো তোর বউ হঠাৎ যদি জিজ্ঞেস করে "আচার্য্য" কে হন , কী বলবি ?"*

_সেই দাদা_ - *" আজ্ঞে , আমার জীবনের সবকিছু "*

_শ্রী শ্রী অবিনদা_ - *" জীবজগত জীবন কারণ যিনি তার ভব লীলাকে তুই শুধু তোর জীবনের সবকিছু বলে ব্যাখ্যা দিলে হবে ! ওকে শেখাবি যাকে চিনলে এ জগৎ চেনা হয়ে যায় , যাকে জানলে আর কিছু জানার বাকি থাকে না , যাকে ভালবাসলে আর মিথ্যে ভালোবাসাতে বিশ্বাস হয় না , যার প্রেমে শুধু প্রেমবিনা আর কিছু নেই তিনি আমার দয়াল , আর যাকে চিনলে দয়ালকে চেনা হয়ে যায় তিনিই আচার্য্য। বুঝলি ! ( বলেই সেই অপরূপ হাসি ) সুখে সংসার কর একমাত্র একটা জিনিস কে মাথায় নিয়ে যে ঘরের কর্তা - পরমাদয়াল এবং গিন্নি হলেন - তারই স্ত্রী স্বরূপ মোদের বড়মা । ব্যাস দেখবি কতসুন্দর এক জীবন উপহার পাস । ভালো থাকিস এবং যে আসবে তাঁকে নিয়ে দেওঘর যাস অন্তত মাসে একবার বিয়ের প্রথমদিকে এতে ওই মেয়েটার সুবিধা হবে বুঝলি 😊( বলেই উনি এক অপরূপ হাসি মুখ নিয়ে বললেন )
জয়গুরু ।"*

© লেখায় - অরিজিৎ মাজী

★★★সহিত্যিক তারাশঙ্কর বন্দোপাধ্যায় ও ঠাকুর অনুকূল চন্দ্রের কথপোকথন ★★********************************************       ...
25/07/2025

★★★সহিত্যিক তারাশঙ্কর বন্দোপাধ্যায় ও ঠাকুর অনুকূল চন্দ্রের কথপোকথন ★★
********************************************

➡️ #দেশ_গঠন_সম্পর্কে_শ্রীশ্রীঠাকুর
•••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••
দেশ গঠনে মানুষের ভূমিকা সম্পর্কে শ্রীশ্রী ঠাকুর ও সাহিত্যিক তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায় এর কথোপকথন :::

#তারাশঙ্করবাবু — ঋষিরা ভগবানের সাথে যোগাযোগ রেখে কাজ করেন। কিন্তু সমাজ-সংস্কারকরা আলাদা, তাঁরা অঙ্ক কষে কষে কাজ করেন। আমি নেতাদের বলেছি, আপনারা ভারত গড়বেন। সেখানে কোন্ ধরণের মানুষ থাকবে ঠিক করেছেন? জড়বস্তুকে আপনারা আয়ত্ত করলেন। কিন্তু চিৎশক্তি? তা' আয়ত্ত করার বিজ্ঞান আলাদা।

#শ্রীশ্রীঠাকুর— সমাজ সংস্কারই চাই বা রাষ্ট্রনিয়ন্ত্রণই চাই, আগে আমাদের দরকার বৈশিষ্ট্যপালী আপূরয়মাণ অবতার পুরুষ। তিনি কখনও কারো বৈশিষ্ট্য নষ্ট করেন না। জাতিগঠন করতে যেয়ে যদি বৈশিষ্ট্যকে খতম ক'রে দেওয়া হয়, তাহ'লে যাকে দিয়ে যে-কাজ পাওয়ার সম্ভাবনা ছিল তা' আর পাওয়া যাবে না। বৈশিষ্ট্যের মধ্যেই নিহিত থাকে প্রকৃতি। সদৃশ বিবাহের মধ্য দিয়ে ঐ বৈশিষ্ট্য ফুটে ওঠে, আর প্রতিলোম করলে তা' নিকেশ হ'য়ে যায়। আবার যদি কোথাও সদৃশ বিবাহ হবার পরে ব্যত্যয়ী রকম দেখা যায়, তাহলে বুঝতে হবে, ঐ বিবাহের মধ্যেই গোলমাল আছে। একটা হলদে পাখী ধ'রে তার শরীরে অন্য রং ক'রে দেন। তার যে বাচ্চা হবে, সে কিন্তু ঐ নতুন রং পাবে না, বাচ্চাটা হলদে পাখীই হবে। আবার দেখবেন, হলদে পাখী কখনও শালিককে বিয়ে করে না। বিয়ে করে নিজেদের মধ্যেই। এ তাদের বৈশিষ্ট্য। আবার শালিকের মধ্যেই দ্যাখেন কত ভাগ-গাংশালিক, ভাটশালিক, ঝুটিবাঁধা শালিক। কিন্তু কখনও কি দেখেছেন একরকমের একটা আর একরকমের সাথে mate করে (জোড় বাঁধে)? বকগুলি দেখলে হয়। কালো, হলদে, সাদা, কত রঙের বক আছে। একসাথেই চরছে, খাচ্ছে। কিন্তু উড়ে যখন যাবে তখন ঝাঁকের কই ঝাঁকে। সাদা বক কখনও কালো বকের দলে যাবে না। এদের একদলের বক আর একদলের কোন বকের সঙ্গে কখনও mate করেনা (জোড় বাঁধে না)। এই হ'ল প্রকৃতি। প্রকৃতিতে ভাঙ্গা মানেই trail (ধারা)-টাকে নষ্ট করা। এসব শুনে আজকাল আমরা কই, ওসব old fool (বোকা বুড়ো)-দের কথা।

#সুত্র :- (দীপরক্ষী— ৭ম খণ্ড, ১১/০৮/১৯৬০)।।

★★★★★★★★★★★★★★★★★★★★★★★★★★

➡️ #বিঃদ্রঃ -> প্রখ্যাত সাহিত্যিক "তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়" *শ্রীশ্রীঠাকুরের ভক্ত ও শিষ্য ছিলেন। *তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায় 👉>বিজ্ঞানী ঋত্বিক আচার্য *কৃষ্ণপ্রসন্ন ভট্টাচার্য-এর কাছ থেকে শ্রীশ্রীঠাকুরের আদর্শে সৎমন্ত্রে *দীক্ষিত ছিলেন।।
Copied

Please follow this page..

√|| মানুষের সমস্ত রোগের মূল উৎস্য— মন ||___________________________________________✍️ পরিমল চন্দ্র দাস (সৎসঙ্গী)।  ২৪ জু...
25/07/2025

√|| মানুষের সমস্ত রোগের মূল উৎস্য— মন ||
___________________________________________
✍️ পরিমল চন্দ্র দাস (সৎসঙ্গী)। ২৪ জুলাই ২০২৫। ৯ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ১৩৭ অনুকূলাব্দ | বৃহস্পতিবার। তিথি: চতুর্দশী তিথি (শুক্লপক্ষ)।
___________________________________________

শ্রীশ্রীঠাকুর বললেন— "মনটা দুষ্ট হলেই জানিস্ রোগের আথাল হয় ঐটাকে তুই এড়িয়ে চলিস্ করবি ব্যাধি জয়।" (অনুশ্রুতি)

বাণীর ভাবার্থ এই—যখন মন দুষ্ট হয়—অর্থাৎ কুপ্রবণতা, কুটচিন্তা, হিংসা, লোভ, কাম, ক্রোধ প্রভৃতি বিকার মনকে গ্রাস করে—তখন শরীর-মন দুই-ই দুর্বল হয়ে পড়ে। মন আর দেহের গভীর যোগাযোগ থাকায় মনের দুষণেই রোগের জমাটি (আথাল) তৈরি হয়।
শ্রীশ্রীঠাকুরের উপদেশ অনুযায়ী, কুপ্রবৃত্তি থেকে নিজেকে বিরত রাখা, মনকে ইষ্টভক্তিতে স্থিত করা, সদ্ব্যবহার ও সদাচরণে নিজেকে চালিত করা, প্রকৃতির নিয়মে চলা, নিয়মিত নাম-জপ ও নীরব-সাধনা করা—এই সবই মনকে নির্মল রাখে এবং রোগের উৎপত্তিকে প্রতিহত করে।
সুতরাং, ঠাকুরের এই বাণী এক গভীর স্বাস্থ্যনীতির ঘোষণা— মন ও চরিত্র পবিত্র হলে, শরীরও সুস্থ থাকবে; আর মন দুষ্ট হলে, ব্যাধি হবেই— তাই মনকে কুপ্রবণতা থেকে বাঁচিয়ে রাখলেই, ব্যাধির উপর জয় সম্ভব। এই কারণে ঠাকুর বলেন, মনটাকে সুস্থ রাখাই হল রোগজয় করার প্রথম পদক্ষেপ।

একজন দাদা জানতে চাইলেন— “মনের চিন্তা দিয়ে নাকি শরীর গঠিত হয়। তা' যদি ঠিক হয়, তাহ'লে তো আমাদের অসুস্থতার কারণও আমাদের মন।”

প্রশ্নটির সারকথা: শরীর কি কেবল জৈবিক নয়, মনস্তাত্ত্বিক উপাদানেও গঠিত? অসুস্থতার মূল কি শারীরিক নয়, বরং মানসিক?

শ্রীশ্রীঠাকুর— "তা' অনেকটা ঠিকই। আমরা কষ্টে পড়ি, মানুষের কাছে অনাদর পাই, প্রত্যাশা পরিপূরিত হয় না, shock (দুঃখ) পাই, ভাবি মরাই ভাল। এইটেই মৃত্যুকে, রোগকে আমন্ত্রণ ক'রে আনে।"

বিশ্লেষণ: ঠাকুর এখানে মানসিক আঘাতকে রোগ ও মৃত্যুর অন্যতম উৎস বলে চিহ্নিত করেছেন। আধুনিক সাইকোসোমেটিক চিকিৎসাবিদ্যার সঙ্গেও এটি মিল রাখে—মানসিক দুঃখ, অপমান, প্রত্যাখ্যান বা অবসাদ শরীরের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল করে, রোগ তৈরি করে। ঠাকুর বলেন, “ভাবি মরাই ভাল” — এই ধ্বংসপ্রবণ মানসিকতা দেহে মৃত্যুর বাসা বাঁধে।

“তারপর একজন হয়তো খেতে দিল তোমাকে। সে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন নয়, অথচ refuse (প্রত্যাখ্যান) করতে পারলে না। মনে সূঁচের মত লাগল। মস্তিষ্কের ওই ছাপ নার্ভের মধ্য দিয়ে হয়ত পাকস্থলীতে গোলমাল ক'রে দিল।”

বিশ্লেষণ: এই উদাহরণে ঠাকুর দেখাচ্ছেন, অসন্তোষ বা বিতৃষ্ণা বোধ—যদিও তা সামান্য—স্নায়ু-মস্তিষ্কের মাধ্যমে শারীরিক গোলযোগে রূপ নিতে পারে। মনে সূচের মতো লাগা মানেই: স্নায়ুর ক্ষণিক উত্তেজনা পাকস্থলী বা হজমক্রিয়ায় প্রতিবন্ধকতা তৈরি করে। এমন ঘটনার পেছনে আবার শারীরিক নয়, বরং মনস্তাত্ত্বিক ট্রিগার কাজ করে।

“তুমি হয়ত তোমার বউকে খুব ভালোবাস। সে নিষ্ঠুর ব্যবহার করে তোমার সাথে, দুঃখ দেয়। তুমি হয়ত স্নায়ু রোগগ্রস্ত হ'য়ে গেলে।”

বিশ্লেষণ: প্রেম ও প্রত্যাশার জগতে আঘাত পেলে, তার প্রভাব শুধু হৃদয়ে থাকে না, স্নায়ুতে পৌঁছায়। মানসিক নিপীড়ন, দাম্পত্য অবমাননা, অবসাদ—এসব থেকে জন্ম নেয় নিউরোসিস, ইনসমনিয়া, এমনকি দীর্ঘমেয়াদি স্নায়বিক রোগ।
ঠাকুর এখানে অত্যন্ত বাস্তব মনস্তাত্ত্বিক বিশ্লেষণ দিচ্ছেন, যা আজকের মনোরোগবিদ্যায়ও গৃহীত। “এইরকম ছোট-ছোট অনেক ব্যাপারেই রোগের সৃষ্টি হয়।”

বিশ্লেষণ: এই বাক্যে ঠাকুর জানান—রোগের উৎপত্তি অনেক সময় চেতনার গভীর ক্ষত, উপেক্ষিত মানসিক আঘাত বা অপূর্ণ সম্পর্ক থেকে হয়। প্রতিদিনকার অদৃশ্য মানসিক চাপই একসময় বড় রোগে রূপ নেয়।

প্রশ্ন: ওষুধের কাজ কী?

শ্রীশ্রীঠাকুর— “ওষুধ হ'ল counter-acting agent (প্রতিকারমূলক বস্তু)। Physiological stimulus("জৈব-শারীরবৃত্তীয় উদ্দীপনা") দিয়ে psychological deficiency make-up (শারীরিক উদ্দীপনা ‌যুগিয়ে মানসিক খাঁকতি পূরণ) করা। তা স্থূলভাবে, সূক্ষ্মভাবে, নানাভাবে হ'তে পারে।” (আলোচনা-প্রসঙ্গে, খণ্ড ২১, ইং: ১১.১.১৯৫৩)

বিশ্লেষণ: এই বাণীতে ঠাকুরের চিকিৎসাতত্ত্ব অনন্যভাবে ফুটে উঠেছে। ওষুধ মানে শুধু শরীরের রোগ সারানো নয়—বরং মনোজাগতিক ঘাটতি পূরণ করাও। উদাহরণস্বরূপ, কারও শরীর দুর্বল, মন বিষণ্ন। তাকে শক্তিদায়ক খাদ্য বা স্নেহ দিলে তার মনও সজীব হয়ে উঠবে। এটি কেবল physiology নয়, psycho-physiological healing। তাই ঠাকুর বলেন—ওষুধের কাজ, “শারীরিক উদ্দীপনা দিয়ে মানসিক ঘাটতি পূরণ” করা।

শ্রীশ্রীঠাকুর অনুকূলচন্দ্রের এই বিশ্লেষণ নিছক আধ্যাত্মিক নয়—এটি আধুনিক সাইকোসোমেটিক (psychosomatic) চিকিৎসাবিদ্যার গভীর নির্যাস। তিনি বলেন, মন যদি কুপ্রবণ হয়, দুঃখে ডুবে থাকে, অপরিণত থাকে—তবে শরীর ততটাই রোগাক্রান্ত হয়। আর সঠিক ওষুধের কাজ, শুধু দেহ নয়—মনকেও সজীব করা।
তাই ঠাকুরের এই কথাগুলি আজকের মেডিকেল-সাইকোলজির জন্যও এক অমূল্য দিশা।

তথ্যসূত্রঃ অনুশ্রুতি/আলোচনা-প্রসঙ্গে, খণ্ড ২১, ইং তারিখ: ১১.১.১৯৫৩
Copied

Address

Dharmanagar

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Satsangee_vlogger posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share