Satsangee_vlogger

Satsangee_vlogger satsang song, satsang kirtan, anukul thakur song,
satsang bhajan , kirtan, gaan
satsang related post

অবিশ্বাস্য অলৌকিক কাহিনী: পূজনীয় অবিন দাদার এক আশ্চর্য লীলাসৎসঙ্গ, দেওঘর—এক পবিত্র সন্ধ্যা। পূজনীয় অবিন দাদা একনিষ্ঠ ভক্...
28/02/2025

অবিশ্বাস্য অলৌকিক কাহিনী: পূজনীয় অবিন দাদার এক আশ্চর্য লীলা

সৎসঙ্গ, দেওঘর—এক পবিত্র সন্ধ্যা। পূজনীয় অবিন দাদা একনিষ্ঠ ভক্তদের সাথে বসে আছেন, চারপাশে নিবেদনের বিশাল লাইন। কেউ দোয়া করছে, কেউ প্রশ্ন করছে, কেউ আবার শুধু দাদার মুখের দিকে তাকিয়ে অশ্রুসজল চোখে প্রার্থনা করছে।

হঠাৎই, এক বৃদ্ধা ছেঁড়া শাড়িতে, নতমুখে এসে দাঁড়ালেন। তাঁর চোখে কান্না, কণ্ঠ কাঁপছে।

“দাদা, আমার একমাত্র ছেলেটা তিনদিন ধরে নিখোঁজ! পুলিশ খুঁজে পাচ্ছে না! ঠাকুর ছাড়া আমার আর কে আছে?”

সমস্ত জনতা স্তব্ধ। অবিন দাদা ধীর চোখে বৃদ্ধার দিকে তাকালেন, চোখ বন্ধ করলেন কিছুক্ষণের জন্য। যেন কিছু দেখছেন, যেন কোথাও কিছু ঘটছে। কয়েক মুহূর্ত পর চোখ খুলে বললেন, “তোমার ছেলে বেঁচে আছে, পূর্বদিকে নদীর ধারে আছে, ঠাকুর তাকে রক্ষা করেছেন। যাও, এখনই তাকে খুঁজে পাবে।”

বৃদ্ধা হতবাক! পুলিশ যেখানে ব্যর্থ, সেখানে দাদার কথা তার একমাত্র আশ্রয়। সে ছুটে চলে গেল।

অলৌকিক ঘটনা

এক ঘণ্টা পর, সেই বৃদ্ধা ফিরে এলেন, সাথে তার হারিয়ে যাওয়া ছেলে! সবাই অবাক!

“দাদা, আপনি কীভাবে জানলেন? আমার ছেলে ঠিক সেখানেই ছিল, যেখানেই আপনি বললেন! এক দুষ্টলোক ওকে অপহরণ করেছিল, কিন্তু ঠিক তখন বজ্রপাত হয়, আর সেই দুষ্টলোক ভয় পেয়ে পালিয়ে যায়!”

দাদার মুখে মৃদু হাসি, যেন কিছুই হয়নি। “ঠাকুর যখন আছেন, তখন চিন্তা কিসের?”

আরও এক অলৌকিক শক্তির প্রকাশ

ঠিক তখনই এক লোক ছুটে এসে চিৎকার করে উঠল, “দাদা, আমার মেয়েটা মরতে বসেছে! জলঢাকা নদীতে পড়ে গেছে!”

অবিন দাদা শান্ত গলায় বললেন, “যাও, নদীর ধারে দাঁড়িয়ে বলো – ‘অবিন দাদা আছেন, ভয় নেই। ঠাকুরের ইচ্ছায় সব ঠিক হয়ে যাবে।’”

লোকটি বিশ্বাস করলো না প্রথমে, কিন্তু ভক্তরা সবাই বলল, “দাদার বাক্য সত্য হয়, যাও!”

লোকটি ছুটে গেল নদীর ধারে, আর যা ঘটলো তা অবিশ্বাস্য!

প্রচণ্ড স্রোতের মধ্যে এক অদৃশ্য শক্তি মেয়েটাকে ভাসিয়ে তুললো! কেউ দেখলো না কে তাকে ঠেলে উপরে তুললো, কিন্তু নদীর ধারে দাঁড়িয়ে থাকা এক বৃদ্ধা কাঁপতে কাঁপতে বলল, “আমি দেখেছি… আমি দেখেছি… যেন এক অদৃশ্য হাত মেয়েটাকে তুলে দিল!”

জেলেরা দৌড়ে গিয়ে মেয়েটাকে টেনে তুলল, একটুও আঁচড় লাগেনি!

সবার সামনে দাদার আসল রূপের আভাস

সৎসঙ্গ প্রাঙ্গণে আবার ফিরে এলো সেই পিতা, কাঁদতে কাঁদতে দাদার চরণে পড়ল, “আপনি যদি না থাকতেন, আমার মেয়ে আজ থাকত না!”

অবিন দাদা মৃদু হেসে বললেন, “আমি তো কিছুই করি না, সব ঠাকুরের কৃপা।”

একজন বৃদ্ধা হঠাৎ বলে উঠল, “না, এটা ঠাকুরের কৃপা নয়, এটা দাদারই লীলা! আমরা বোঝার ভুল করি!”

দাদা চুপ রইলেন। মুখের হাসিটা যেন গভীর হয়ে উঠলো।

একজন ভক্ত ভয়ভরা কণ্ঠে বলল, “দাদা, আপনি কি ঠাকুরের পঞ্চম পুরুষ?”

দাদা হাসলেন, কিন্তু কিছু বললেন না।

সেই মুহূর্তে এক শিশু দাদার পায়ের কাছে এসে বলল, “দাদা, আমি জানি! আপনি ঠাকুরের মধ্যমূর্তি! আমার মা বলে আপনিই ঠাকুর!”

দাদা এবার একটু গভীর দৃষ্টিতে শিশুটির দিকে তাকালেন। ধীরে ধীরে বললেন, “আমি কিছু নই, ঠাকুরই সব। কিন্তু আমি জানি, আমার মধ্যে ঠাকুর আছেন। তিনি আমার মধ্যে, আমি তার মধ্যে। তুমি একদিন বুঝবে।”

তারপর?

ঠিক সেই মুহূর্তে আকাশে এক আশ্চর্য ঘটনা ঘটলো! একটা বিশাল নীলাভ আলো চকচক করতে লাগলো, যেন আকাশ নিজেই সাক্ষ্য দিচ্ছে যে দাদার মধ্যে কিছু আছে যা সাধারণ নয়। ভক্তরা স্তব্ধ হয়ে গেল, কেউ শিউরে উঠলো, কেউ কেঁদে ফেললো।

দাদা ধীরেস্থিরে উঠে দাঁড়ালেন, চারপাশে তাকিয়ে বললেন, “ঠাকুর আছেন, ভয় কিসের? আজ থেকে আর সন্দেহ কোরো না। যে ঠাকুরের উপর বিশ্বাস রাখে, ঠাকুর তার সাথে থাকেন।”

📅 তারিখ: ১৭ই মার্চ, ২০২৪

(এই ঘটনা প্রত্যক্ষ করেছেন শ্রীমতী কল্পনা দাস, শ্রী কমলকান্ত ভট্টাচার্য এবং আরও বহুজন)

✍️ লেখক: বিভাসচন্দ্র দাশ

 #পরমপদকমলেআপনি কি জানেন শ্রীশ্রীঠাকুর অনুকূলচন্দ্র প্রথম কাকে দীক্ষা দিয়েছিলেন? জানেন কি ঠাকুর কাকে প্রথম দীক্ষা দেওয়...
25/02/2025

#পরমপদকমলে

আপনি কি জানেন শ্রীশ্রীঠাকুর অনুকূলচন্দ্র প্রথম কাকে দীক্ষা দিয়েছিলেন? জানেন কি ঠাকুর কাকে প্রথম দীক্ষা দেওয়ার অনুমতি দিয়েছিলেন? আজকের এই সুবিশাল সৎসঙ্গ, তার আন্দোলনের সূত্রপাত কোথায় এবং কাদের হাত ধরে শুরু হয়েছিল? আসুন জেনে নিই।
মহাপ্রভু চৈতন্যদেবের একান্ত পার্ষদ অদ্বৈতাচার্যের পঞ্চদশ পুরুষ ছিলেন শ্রীসতীশচন্দ্র গোস্বামী। শ্রীশ্রীঠাকুর অনুকূলচন্দ্রের সান্নিধ্যে এসে তাঁর বংশগৌরবের ধারা পুরুষোত্তম পরম্পরা কে সার্থকভাবে বহন করেছিলেন। অধুনা বাংলাদেশের শালগাড়িয়ার ঠাকুর বাড়ির কনিষ্ঠ সন্তান ছিল সতীশচন্দ্র গোস্বামী। শিক্ষা জীবনে প্রথমে ইংরেজি স্কুলে এবং পরবর্তীতে চতুষ্পাঠীতে শিক্ষালাভ করে শাস্ত্রজ্ঞ পন্ডিত হয়ে 'বিদ্যারত্ন' উপাধি লাভ করেন।

শ্রীসতীশচন্দ্র গোস্বামী ছিলেন বংশপরম্পরায় বৈষ্ণব সমাজের গুরু। পারিবারিক শিষ্য সংখ্যা ছিল প্রায় পনেরো হাজার। তিনি বেশিরভাগ সময়ই শিষ্যদের অনুরোধের ডাকে এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় ঘুরে বেড়াতেন এবং শ্রীকৃষ্ণের নাম ও বিগ্রহ সেবায় নিয়োজিত থাকতেন। ১৩১৯ বঙ্গাব্দে প্রিয় শিষ্যের অনুরোধে বাজিতপুরে পুলিন ঘোষের বাড়িতে সেবা আমন্ত্রণ রক্ষা করতে এসেন। শিষ্যের বাড়িতে প্রবেশ করতেই চোখে পড়ল দেওয়ালের গায়ে টাঙানো একটা বাণী-

'ভোগের দ্রব্য সম্মুখে রাখিয়া
ত্যাগই ত্যাগ,
নতুবা ত্যাগ ভ্রান্তিমাত্র।'

বিস্মিত হয়ে পুলিন কে জিজ্ঞাসা করলেন এ বলা কার? গুরুদেব ব্যতীত অন্য কারো প্রতি অনুরক্তির কথা জানলে গুরুদেব যদি অসন্তুষ্ট হন, মনে এই সংশয় নিয়ে পুলিন নীরবে অপ্রতিভ হয়ে পড়লেন। এমনসময় বাড়িতে প্রবেশ করলেন চব্বিশ বছরের তরঙ্গিত উজ্জ্বল দেহের এক তরুণ কিশোর। প্রবেশ করতেই সতীশচন্দ্র গোস্বামী কে জড়িয়ে ধরে জিজ্ঞাসা করেন- দাদা, এটা আমার বলা; কথাটা কি ভুল বলেছি? এই ছিল শ্রীশ্রীঠাকুর অনুকূলচন্দ্রের সাথে তার প্রথম সাক্ষাত। তারপর চলতে থাকে শ্রীশ্রীঠাকুরের সঙ্গ সুখের আনন্দ এবং একের পর এক ঈশ্বরত্বের পরীক্ষা।

অবশেষে ১৩ শে জৈষ্ঠ্য, ১৩২১ শ্রীশ্রীঠাকুর অনুকূলচন্দ্র স্বয়ং আনুষ্ঠানিক ভাবে সতীশচন্দ্র গোস্বামী কে দীক্ষা দিলেন। এটাই ছিল শ্রীশ্রীঠাকুরের প্রথম দীক্ষাদান।
দীক্ষা গ্রহণের পরবর্তী সময়ে গোঁসায় ফিরে এলেন তাঁর নিজের গ্রাম শালগাড়িয়ায়। তৎপর ধ্যান, জপ, কীর্তন, ধর্ম প্রচার চলতে থাকে তীব্রগতিতে। গোঁসাই এর অভূতপূর্ব অনুভূতিতে ব্যাকুল হয়ে উঠলো গ্রামের মানুষজন। শালগাড়িয়ায় এবং তার পার্শ্ববর্তী অঞ্চলে বিরাট আলোড়ন সৃষ্টি করল- অগণিত মানুষ শ্রীশ্রীঠাকুরের ভাবে ভাবান্বিত হয়ে গোঁসাই এর চরণে আশ্রয় নিতে লাগল। কিন্তু গোঁসাই ঠাকুরের কাছে মিনতি করে- 'পরম সৌভাগ্যে আমি তোমাকে লাভ করেছি তুমিই আমার ব্রজের সেই কৃষ্ণ, এবার থেকে আমি তোমার নামে দীক্ষা দেবো, আমাকে অনুমতি দিন।' ঠাকুর বললেন, প্রথম প্রচারের ভার বড় কঠিন দাদা, সইতে হবে আমৃত্যু কঠোর যন্ত্রনা। গোঁসাই দা বললেন-

রোগ-শোক-দারিদ্র্য যন্ত্রণা,
আজীবন এ মোর উপাসনা।
তথাপি প্রচার তব আমার কামনা।

শ্রীশ্রীঠাকুর এবার অনন্ত মহারাজ ও শ্রীসতীশচন্দ্র গোস্বামী কে দীক্ষা দেওয়ার অনুমতি দিলেন। এতদিন গোঁসাই ছিলেন শত শত মানুষের স্বয়ং নিজেই গুরু, এখন হয়েছেন তিনি গুরু মুখ। গুরুর প্রতিনিধি হিসেবে এখন দীক্ষা দেন তাঁরই আদেশে। গোঁসাই তার পূর্বের সকল শিষ্যদের পুনরায় দীক্ষা দিলেন শ্রীশ্রীঠাকুরের সৎনামে। এখান থেকেই শুরু হলো সৎসঙ্গ আন্দোলন। এই আন্দোলনের living ideal ছিলেন শ্রীশ্রীঠাকুর অনুকূলচন্দ্র এবং তাঁরই আদর্শে প্রথম living leader ছিলেন শ্রীমৎ আচার্য সতীশচন্দ্র গোস্বামী।

আজ ১১ই ফাল্গুন শুক্রবার। ১২৮১ বঙ্গাব্দে আজকের দিনেই শ্রীশ্রীঠাকুরের বিশিষ্ট লীলা পার্ষদ্ ভক্তপ্রবর শ্রীমৎ আচার্য সতীশচন্দ্র গোস্বামীর জন্ম দিবস। আসুন, শ্রীশ্রীঠাকুরের ভাগবত জীবন ইতিহাসে ভক্তপ্রবর পরমপূজ্যপাদ এই মানুষটি কর্মচাঞ্চল হয়ে বেঁচে থাকুক আমাদের ইষ্টপথের অনুপ্রেরণায়।

ফলো করুন Satwata Katha/সাত্বত কথা
Do not copy-paste to share. Please share directly from the page.

16/12/2024

Monuj jha dada #ত্রিপুরাউৎসব #সৎসঙ্গ

26/08/2024
 #সৎসঙ্গ  "পড়শীরা তোর নিপাত যাবে, তুই বেঁচে সুখ খাবি বুঝি?যা ছুটে যা তাদের বাঁচা তারাই যে তোর বাঁচার পুঁজি" -শ্রীশ্রী ঠা...
24/08/2024

#সৎসঙ্গ "পড়শীরা তোর নিপাত যাবে, তুই বেঁচে সুখ খাবি বুঝি?যা ছুটে যা তাদের বাঁচা তারাই যে তোর বাঁচার পুঁজি" -শ্রীশ্রী ঠাকুর

ত্রিপুরার প্রায় প্রত্যেকটি মন্দিরের ক্ষুদ্র প্রচেষ্টা।

সৎসঙ্গ বিহার ঊষাবাজারের পক্ষ থেকে বন্যায় বিপর্যস্ত মানুষদের খাদ্য বস্ত্র দেওয়া হল
22/08/2024

সৎসঙ্গ বিহার ঊষাবাজারের পক্ষ থেকে বন্যায় বিপর্যস্ত মানুষদের খাদ্য বস্ত্র দেওয়া হল

ত্রিপুরা রাজ্যে ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতিতে ঊনকোটি জেলার ফটিকরায় এলাকায় বন্যা দুর্গত মানুষদের ১৩টি ত্রাণ শিবিরে আজ রাতের ...
22/08/2024

ত্রিপুরা রাজ্যে ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতিতে ঊনকোটি জেলার ফটিকরায় এলাকায় বন্যা দুর্গত মানুষদের ১৩টি ত্রাণ শিবিরে আজ রাতের খাবার বিতরণ করা হয় ফটিকরায় সৎসঙ্গ বিহারের পক্ষ থেকে। ২১/০৮/২৪

Satsang Vihar Fatikroy distributed food(dinner)to 13 relief camps of flood victims in Unakoti dist. Fatikroy area today. 21/08/24

Dr.Manik Saha

মাতৃসম্মেলন
16/08/2024

মাতৃসম্মেলন

Address

Dharmanagar

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Satsangee_vlogger posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share