02/09/2024
তিমি মাছ, বা তিমি, হলো পৃথিবীর সবচেয়ে বড় জলজ প্রাণী। যদিও আমরা তিমিকে "মাছ" বলে থাকি, এটি আসলে একটি স্তন্যপায়ী প্রাণী, যার অর্থ হলো তারা তাদের শ্বাস ফুসফুসের মাধ্যমে নেয় এবং বাচ্চাদের দুধ পান করায়। তিমির কিছু গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য
১,প্রকারভেদ: তিমির দুটি প্রধান প্রকার আছে: বেলিন তিমি এবং দাঁতযুক্ত তিমি। বেলিন তিমি (যেমন ব্লু হোয়েল) সাধারণত ছোট ছোট জলজ প্রাণী যেমন ক্রিল খায়, এবং দাঁতযুক্ত তিমি (যেমন স্পার্ম হোয়েল, ডলফিন) বড় মাছ ও অন্যান্য সামুদ্রিক জীব খায়।
২. আকার: ব্লু হোয়েল পৃথিবীর সবচেয়ে বড় প্রাণী, যা প্রায় ৩০ মিটার (৯৮ ফুট) পর্যন্ত লম্বা হতে পারে এবং ওজন ১৫০ টন পর্যন্ত হতে পারে। এর হৃদপিণ্ডের আকার প্রায় একটি গাড়ির সমান।
৩. শ্বাসপ্রশ্বাস: তিমির শ্বাস নেওয়ার জন্য নাক বা "ব্লোহোল" থাকে, যা তাদের মাথার উপরে থাকে। যখন তারা শ্বাস ছাড়ে, তখন জলীয় বাষ্প এক ধরণের ফোয়ারা হিসেবে বের হয়ে আসে।
৪. প্রজনন: তিমি সাধারণত এক সন্তান প্রসব করে, এবং মায়েরা তাদের বাচ্চাদের দুধ পান করায়। তিমির বাচ্চারা মায়ের সাথে ঘনিষ্ঠভাবে থাকে এবং শিকারি ও অন্যান্য বিপদ থেকে রক্ষা পায়।
৫. জীবনকাল: তিমির জীবনকাল অনেক লম্বা হয়। কিছু তিমি প্রজাতি ৭০ থেকে ৯০ বছর বা তারও বেশি বাঁচতে পারে।
৬. অবস্থান: তিমি সাধারণত সমুদ্রের গভীর অংশে বাস করে। তারা দীর্ঘ দূরত্বে ভ্রমণ করতে পারে, প্রজনন ও খাদ্যের অনুসন্ধানে।
৭. শব্দ ব্যবহার: তিমি বিভিন্ন ধরণের শব্দ তৈরি করে যা যোগাযোগ ও নেভিগেশনের জন্য ব্যবহার করা হয়। এই শব্দগুলোকে "হোয়েল সঙ" বলা হয়, যা বিভিন্ন প্রজাতির তিমির ক্ষেত্রে ভিন্ন ভিন্ন হয়।
তিমি মাছের সংখ্যা দিন দিন হ্রাস পাচ্ছে কারণ তাদের শিকার, জলবায়ু পরিবর্তন, এবং সমুদ্র দূষণ। তাদের রক্ষা করার জন্য বিভিন্ন আন্তর্জাতিক চুক্তি ও সংরক্ষণ কার্যক্রম চালু রয়েছে। #তিমি #মাছধরারভিডিও