
20/12/2024
#জন্মের_পর_কে ওয়ান(K-One) ইঞ্জেকশন
#দেওয়া_জরুরি_কেন?
শিশুর জন্মের পর প্রথম কয়েক দিনের মধ্যে হঠাৎ শরীরের যেকোনো স্থান দিয়ে রক্তক্ষরণ হতে পারে।সাধারণত রক্তক্ষরণ ছাড়া শিশুর অন্য কোনো শারীরিক সমস্যা থাকে না।এটিকে বলে হেমোরেজিক ডিজিজ অব নিউবর্ন (নবজাতকের রক্তক্ষরণ)।
শরীরে ভিটামিন 'কে'-এর অভাবে এ রোগ দেখা দেয়।
#যেসব_রক্তক্ষরণ_হতে পারে-
নানা কারণে জন্মের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে,দ্বিতীয় দিন থেকে এক সপ্তাহের মধ্যে বা পরে রক্তক্ষরণ হতে পারে।
◑এ সময় নাভি দিয়ে,
◑পায়খানার সঙ্গে,
◑নাক দিয়ে রক্তপাত হতে দেখা যায়।
◑অনেক সময় চামড়ার নিচে রক্তপাতের কারণে লাল লাল দাগ দেখা দিতে পারে।
◑এ ছাড়া বিপজ্জনক হলো মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ।
#কে_ওয়ান_ব্যবহারে_যা_হয়-
নবজাতকের এই রক্তক্ষরণ প্রতিরোধে সহজ একটি চিকিৎসা পদ্ধতি হলো ভিটামিন 'কে' ইনজেকশন প্রয়োগ।
জন্মের পর কয়েক ঘণ্টার মধ্যে এ ইনজেকশন দিতে হয়। ইনজেকশন মাংসপেশিতে একবার প্রয়োগ করলেই যথেষ্ট। তবে মুখে খাওয়ালে তিন ডোজ নিতে হবে।
প্রথম ডোজ নিতে হবে জন্মের চার ঘণ্টার মধ্যে।দ্বিতীয় ডোজ চতুর্থ দিনে এবং তৃতীয় ডোজ ২৮তম দিনে।
ইনজেকশন নেওয়ার পরও রক্তক্ষরণের কোনো লক্ষণ দেখা দিলে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।
এছাড়াও ভিটামিন "কে" শিশুর হাড়ের স্বাস্থ্য ভালো রাখে।এটি হাড়ের ফ্র্যাকচার কমাতে সাহায্য করে।ভিটামিন-কে শিশুর হৃৎপিণ্ডের স্বাস্থ্যের জন্য ভালো। ভিটামিন-কে কার্ডিওভাসকুলার ডিজিজ ও হার্ট অ্যাটাক প্রতিরোধে সাহায্য করে।
সর্বোপরি বলব,ভিটামিন "কে" নবজাতকের জন্য অত্যন্ত জরুরি।
#সংগৃহীত