Global 24x7

Global 24x7 News /media

কলকাতা মানেই শুধু সাহিত্য, শিল্প বা সংস্কৃতি নয়—এ শহরের বুকেই জন্ম নিয়েছিল এক মানবিকতার নতুন ইতিহাস।১৯২৯ সালে সেবিকা হ...
27/08/2025

কলকাতা মানেই শুধু সাহিত্য, শিল্প বা সংস্কৃতি নয়—এ শহরের বুকেই জন্ম নিয়েছিল এক মানবিকতার নতুন ইতিহাস।
১৯২৯ সালে সেবিকা হিসেবে কলকাতায় আসা এক তরুণী সিস্টারই পরবর্তীতে সারা বিশ্বের কাছে পরিচিত হন মাদার টেরেসা নামে।

১৯৪৬ সালে দার্জিলিংগামী ট্রেনে বসেই তিনি পান “call within a call”—সব কিছু ছেড়ে সবচেয়ে অসহায় মানুষদের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান। সেই আহ্বানকে কেন্দ্র করেই কলকাতায় গড়ে ওঠে মিশনারিজ অফ চ্যারিটি।

নির্মল হৃদয় থেকে শুরু করে অসংখ্য স্কুল, হাসপাতাল, অনাথ আশ্রম—বাংলার মাটিতেই তিনি গড়ে তুলেছিলেন ভালোবাসা আর সহমর্মিতার আশ্রয়। তাঁর মৃত্যুর পরও আজও কলকাতার মাদার হাউস সেই একই মানবিকতার আলো ছড়াচ্ছে।

মাদার টেরেসা শুধু একজন নোবেলজয়ী নন—তিনি বাংলারই এক চিরন্তন মা, যাঁর হাত ধরে বিশ্ব চিনেছে দয়া ও করুণার আসল অর্থ।

❤️🙏 “প্রেমের ক্ষুদ্র কাজই পৃথিবী বদলাতে পারে”—মাদারের এই বার্তাই আজও আমাদের পথ দেখায়।


#মাদারটেরেসা










জানেন কী? জব চার্নকের স্ত্রী ছিলেন হিন্দু ব্রাহ্মণ এবং সম্ভবত বাঙালী। সতীদাহের চিতা থেকে তুলে নিয়ে এসে চার্নক বিবাহ করে...
27/08/2025

জানেন কী? জব চার্নকের স্ত্রী ছিলেন হিন্দু ব্রাহ্মণ এবং সম্ভবত বাঙালী। সতীদাহের চিতা থেকে তুলে নিয়ে এসে চার্নক বিবাহ করেছিলেন লীলা নামের এক হিন্দু বিধবা নারীকে...!🌻

কলকাতার ডালহৌসি অঞ্চলে অবস্থিত প্রাচীনতম সেন্ট জন চার্চের উত্তর-পূর্ব কোণে একটি বিশালাকৃতি আটকোণা সমাধি সৌধ চোখে পড়ে। এই সমাধিস্থলে শায়িত আছেন কলকাতার তথাকথিত প্রতিষ্ঠাতা জব চার্নক। তবে সৌধটিকে একটি পারিবারিক সমাধিক্ষেত্র বলা যেতে পারে, কারণ জব চার্নকের সঙ্গে এখানে শায়িত আছেন তাঁর হিন্দু স্ত্রী, তাঁদের জ্যেষ্ঠা কন্যা মেরী ও মেরীর এক শিশুপুত্র। সৌধের ভেতরে কতগুলি সমাধি-ফলক রয়েছে, সেখানে জব চার্নক, মেরী সবার কথা উল্লেখ থাকলেও চার্নকের স্ত্রীর কোনও উল্লেখ কিন্তু এখানে পাওয়া যায় না। কেন তাঁর স্ত্রীর নাম এখানে নেই, তার পিছনে রয়েছে এক গোপন ইতিহাস। সেটা জানতে হলে আমাদের ১৬৬৯ খ্রীষ্টাব্দের বিহারের পাটনায় পৌঁছতে হবে।

কলকাতায় আসার আগে, ১৬৫৯ খ্রীষ্টাব্দে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানীর হয়ে প্রথমবার বিহারের পাটনায় এসেছিলেন জব চার্নক। পাটনা থেকে নুন ও মশলা সংগ্রহ করে তা জাহাজে চাপিয়ে ইংল্যান্ডে পাঠানো ছিল তাঁর কাজ। অল্পদিনেই তিনি ভারতবর্ষের প্রেমে পড়ে যান। তিনি নেটিভদের পছন্দ করতেন এবং তাদের সংস্কৃতির সঙ্গে নিজেকে মানিয়ে নিয়েছিলেন। পাটনায় অবস্থানকালে একদিন চার্নক খবর পেলেন নিকটবর্তী গঙ্গাতীরে সতীদাহের আয়োজন করা হয়েছে। তিনি সতীদাহ প্রত্যক্ষ করবার উদ্দেশ্যে কৌতূহলবশত সেই স্থানে পৌঁছে দেখেন, বহু মানুষ সেখানে ভিড় করেছে, চিতায় অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে এবং কিছু মানুষ একটি অল্পবয়সী, অতীব সুন্দরী কিশোরী মেয়েকে জ্বলন্ত চিতার দিক ঠেলে দিতে চেষ্টা করছে। মর্মান্তিক সেই দৃশ্য দেখে চার্নক শিউরে ওঠেন। তিনি সৈন্যদল নিয়ে রুখে দাঁড়ান। সাহেব দেখে ভয়ে সবাই পালিয়ে যায়। সেই বিধবা হিন্দু নারীকে সাক্ষাৎ মৃত্যুর হাত থেকে বাঁচিয়ে তিনি নিজের কুঠিতে নিয়ে যান। চার্নক ভালো করেই জানতেন রক্ষণশীল হিন্দু সমাজে এই মেয়েটির আর কোনদিনও স্থান হবেনা। তিনি অনেক ভেবে অবশেষে সেই হিন্দু কন্যাকে বিবাহ করবার সিদ্ধান্ত নেন..💛

ডি.এল. রিচার্ডসনের লেখা বই "দ্য ওরিয়েন্ট পার্ল" থেকে জানা যায়, পাটনার সেই সতী হতে যাওয়া কিশোরীর নাম ছিল লীলা। সে ছিল কাশীর বাসিন্দা এক বাঙালী ব্রাহ্মণ পন্ডিতের বাগদত্তা। লীলার যখন মাত্র পনেরো বছর বয়স, তখন কাশী থেকে সেই বৃদ্ধের মৃত্যুসংবাদ আসে। আর তখনই লীলাকে অনুমরণের (স্বামীর মৃত্যুকালে স্ত্রী কাছে না থাকলে পরে আলাদা চিতায় স্বামীর ব্যবহৃত কোনো জিনিষ সঙ্গে নিয়ে সতী হওয়া) জন্য প্রস্তুত হতে হয়।

লীলাকে সতী হতে বাধা দিয়ে তাঁকে অপহরণ করে বিবাহ করবার কারণে জব চার্নককে অবশ্য অনেক মূল্য চোকাতে হয়েছিল। অনুমরণে বাধা দিয়ে তিনি হিন্দু সমাজের চক্ষুশূল হয়ে গিয়েছিলেন। ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির কর্তারাও তাঁর এই আচরণ খুব একটা ভালো চোখে দেখেননি। এমনকী চাকরি থেকে তাঁকে বরখাস্তের ভাবনা-চিন্তাও শুরু হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু নিজের সিদ্ধান্ত থেকে সরেননি চার্নক। এদিকে পাটনার নবাবের কাছে এই মর্মে নালিশ যায় যে, চার্নক এক হিন্দু রমণীকে বলপূর্বক রক্ষিতা করে নিজের কাছে রেখেছেন। অভিযোগ শুনে ক্রোধান্বিত নবাব সেপাই পাঠালেন মেয়েটিকে উদ্ধার করে আনতে। চার্নক বুঝলেন আর নিস্তার নেই। শেষমেষ তিনি নগদ তিন হাজার টাকা, পাঁচ থান উৎকৃষ্ট পশমি কাপড় এবং কয়েকটি তরোয়াল নবাবকে উপহার দিয়ে বিষয়টি মিটিয়ে ফেলেন..🌿

বিবাহের পর বেশ কয়েক বছর সুখে শান্তিতে তাঁরা দাম্পত্যজীবন অতিবাহিত করেন। চার্নক লীলার নাম পরিবর্তন করে নতুন নাম রেখেছিলেন মারিয়া। তাঁদের বেশ কয়েকটি সন্তানাদিও হয়। ১৬৯০ খ্রীষ্টাব্দে চার্নক সপরিবারে পাটনা ত্যাগ করে কলকাতায় এসে বসবাস শুরু করেন। নিজের মানসিক উদারতার কারণে চার্নক তাঁর স্ত্রীকে খ্রীষ্টধর্মে দীক্ষিত হতে দেননি, বরং স্ত্রীর প্রভাবে তিনিই হিন্দুধর্মের প্রতি অনুরক্ত হয়ে পড়েন তবে খ্রীষ্টধর্মের প্রতি তাঁর আস্থা অবিচলিত ছিল। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে কলকাতায় আসবার কিছুদিনের মধ্যেই লীলার মৃত্যু হয় (সম্ভবত ১৬৯১ এর মাঝামাঝি)। চার্নক সেন্ট জন চার্চের সমাধিক্ষেত্রে তাঁকে সযত্নে সমাহিত করেন। স্ত্রীর স্মৃতিতে সেখানে একটি স্মৃতিস্তম্ভও নির্মাণ করেন। এরপর চার্নক যতদিন বেঁচে ছিলেন, প্রতি বছর স্ত্রীর মৃত্যুদিনে সেই সমাধিস্থলে একটি করে মোরগ উৎসর্গ করতেন।

বর্তমানে সেন্ট জন চার্চ প্রাঙ্গনে যে সৌধটি আমরা দেখতে পাই, সেটি জব চার্নকের বড় জামাই চার্লস আয়ার ১৬৯৮ খ্রীষ্টাব্দে প্রতিষ্ঠা করেন। সমাধি-ফলকের রচয়িতা ছিলেন বিশপ জন ইভান্স। তিনি কোনো অজ্ঞাত কারণে চার্নকের এদেশীয় স্ত্রীর নামটি বাদ দিয়ে দেন। চার্নকের সমাধি ফলকটি একটি বিশেষ ধরনের পাথর দিয়ে তৈরি, যা নিয়ে আসা হয়েছিল চেন্নাইয়ের পল্লভরম অঞ্চলের সেন্ট থমাস পাহাড় থেকে। পরবর্তীতে জব চার্নকের নামে এই বিশেষ ধরনের পাথরের নামকরণ করা হয় "চার্নকাইট"।

জব চার্নক ১৬৯৩ খ্রীষ্টাব্দে কলকাতায় শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। তিনি ছিলেন এমন একজন সাহেব যাঁকে বেশিরভাগ ইংরেজ ঐতিহাসিকেরা অর্ধশিক্ষিত, একগুঁয়ে, কর্কশ ও রুক্ষ প্রকৃতির মানুষ বলে চিহ্নিত করেছেন। তাঁদের মতে, চার্নক ছিলেন ভারতীয় চিন্তাভাবনা ও আচার-ব্যবহারে অভ্যস্ত একজন ব্যক্তি যিনি তাঁর স্বদেশীয়দের থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে এদেশীয় লোকদের মধ্যেই জীবনের বেশি সময়টা কাটিয়েছেন। তবে তাঁর মধ্যে যে সাহস দেখা গিয়েছে তা কোনো বিপদকেই গ্রাহ্য করেনি, কোনো বাধাই তাঁকে নিজ কর্তব্যে বিরত করতে পারেনি। একটি অসহায়, মৃত্যুপথযাত্রী হিন্দু বিধবা নারীকে উদ্ধার করে, জীবনসঙ্গিনী বানিয়ে তিনি যে মহানুভবতার পরিচয় দিয়েছিলেন তার তুলনা মেলা ভার।

♦️তথ্যসূত্রঃ Alexander Hamilton - A New Account of the East Indies, Desmond Doig - Calcutta: An Artist's Impression, পি. তংকপ্পন নায়ার: কলকাতার সৃষ্টি ও জবচার্নক

We've just reached 1K followers! Thank you for continuing support. We could never have made it without each and every on...
27/08/2025

We've just reached 1K followers! Thank you for continuing support. We could never have made it without each and every one of you. 🙏🤗🎉

🇮🇳
16/08/2025

🇮🇳

11/08/2025

বিচারের বাণী নীরবে নিভৃতে কাঁদে

তবুও রাত দখল...

11/08/2025

এই শিল্পীর নাম নিশামণি হালৈ। তিনি আসামের একজন পালাগান শিল্পী। 'নগরা' নামে অসমিয়া পালাগান দলের সাথে গাণ করেন। গানের পাশাপাশি অসাধারণ অভিনয়ও করেন তিনি। নিশামণি আসামের কিশোরী মোহন সরদার কলেজের একজন ছাত্রী; রাষ্ট্রবিজ্ঞান নিয়ে পড়াশোনা করেন। তার হাত ধরে সনাতন সংস্কৃতি ছড়িয়ে পড়ুক দূর-দূরান্তরে।

11/08/2025

দমদম স্টেশন সংলগ্ন আন্ডারপাসে জল জমে বাস খারাপ হয়ে যাওয়ায় আন্ডারপাস অবরুদ্ধ। গত এক ঘন্টা ধরে রাস্তা অবরুদ্ধ হয়ে রয়েছে। সাইনসিটি থেকে নাগেরবাজার আমি ২০২ রুটের একটি বাস ইঞ্জিনে জল ঢুকে খারাপ হয়ে যায়। তিনটি লেনের মধ্যে মাত্র একটি লেন খোলা রয়েছে। সেই লেন দিয়ে কোনরকমে যানবাহন যাতায়াত করছে। উদ্ধারকারী দল এসে পৌঁছলেও জল জমে থাকায় উদ্ধারকার্য শুরু করা যায়নি।

07/08/2025
06/08/2025

দমদমে পুলিশের উদ্যোগে সাইবার অপরাধ নিয়ে সচেতনতামূলক শিবির

আজ দমদমের সরোজিনী নাইডু ওমেন্স কলেজে ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের উদ্যোগে আয়োজিত হলো একটি সাইবার অপরাধবিরোধী সচেতনতা শিবির। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন দমদম থানার আইসি সুপ্রকাশ পট্টনায়ক, এসিপি পার্থ মন্ডল এবং কলেজের অধ্যক্ষা ড. স্বাগতা দাস মহান্ত।

এসিপি পার্থ মন্ডল তার বক্তব্যে সাইবার অপরাধের বিভিন্ন রূপ, যেমন অনলাইন প্রতারণা, ফিশিং, ব্যক্তিগত তথ্য চুরির মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয় তুলে ধরেন। তিনি জানান, বর্তমান ডিজিটাল যুগে অজ্ঞতা থেকেই সাধারণ মানুষ বারবার প্রতারণার শিকার হচ্ছেন। তাই সচেতনতা গড়ে তোলা জরুরি।

শিবিরে অংশগ্রহণকারী ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে সাইবার অপরাধ সম্পর্কিত লিফলেট বিতরণ করা হয়। পাশাপাশি ভৈরব গাঙ্গুলী কলেজের শিক্ষার্থীরা একটি একাঙ্ক নাটকের মাধ্যমে সাইবার অপরাধের ভয়াবহতা ও প্রতিরোধের বার্তা তুলে ধরে সকলকে সচেতন করে। সমগ্র অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন অনুসূয়া চক্রবর্তী।

জরুরি অবস্থার 50 বছর:রবীন্দ্রনাথ আর কিশোরকুমারকে নিষিদ্ধ করেছিল ইন্দিরা গান্ধীর সরকার
06/08/2025

জরুরি অবস্থার 50 বছর:

রবীন্দ্রনাথ আর কিশোরকুমারকে নিষিদ্ধ করেছিল ইন্দিরা গান্ধীর সরকার

ভারতের উপর কর চাপিয়ে উল্টে ক্ষতির মুখে আমেরিকা !
05/08/2025

ভারতের উপর কর চাপিয়ে উল্টে ক্ষতির মুখে আমেরিকা !

Address

Kolkata
700074

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Global 24x7 posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to Global 24x7:

Share