Life Changing Words

Life Changing Words Contact information, map and directions, contact form, opening hours, services, ratings, photos, videos and announcements from Life Changing Words, Digital creator, Farakka.

05/01/2024
28/12/2023

- আপনাকে অনেক ভালোবাসি ইয়া রাসুলুল্লাহ (সাঃ)।~😍🥀

- মোস্তাক ফয়েজী পীর সাহেব।~❤️

বন্ধু সে নয়,যে তোমাকে Gift দেয়।:বন্ধু হলো সে,যে তোমার টি-শার্টটি নিয়ে আর ফেরত দেয় না।ভালবেসে রেখে দেয়।: বন্ধু সে নয়...
21/09/2023

বন্ধু সে নয়,যে তোমাকে Gift দেয়।
:
বন্ধু হলো সে,যে তোমার টি-শার্ট
টি নিয়ে আর ফেরত দেয় না।
ভালবেসে রেখে দেয়।
: বন্ধু সে নয়,যে তোমাকে Invite
করে।
:
বন্ধু হলো সে,যে তোমার বাড়িতে
এসে বলবে,"কি রান্না
হয়েছে,খেতে দে"। :
বন্ধু সে নয়,যে তোমাকে Phone করে
দেখা করতে বলবে।
:
বন্ধু হলো সে,যে তোমার বাসার
সামনে এসে বলবে,"দোস্ত কইরে তুই"?
:
বন্ধু সে নয়,যে তোমার বিপদের
খবর শুনে ঘরে বসে থাকবে।
:
বন্ধু হলো সে,যে তোমার বিপদে তোমার
পাশে এসে দাড়িয়ে বলবে,"চিন্ত
করিস না দোস্ত,আমি আছি তো"।
:
বন্ধু সে নয়,যে অন্যের কথা শুনে
তোমাকে সন্দেহ করবে।
:
বন্ধু হলো সে,যে তোমার উপর
সন্দেহ করা তো দূরের কথা,কেউ
তোমার নামে কিছু বললে,সে
তোমার পক্ষ নিয়ে প্রতিবাদ করবে।
:
বন্ধু সে নয়,যে তোমার মৃত্যুর পর
তোমাকে ভুলে যাবে।
:
বন্ধু হলো সে,যে তোমার মৃত্যুর পর তোমার
কবরের পাশে গিয়ে কাঁদবে এবং
বলবে, "এইনে তোর 'টি- শার্ট',আর
ফিরিয়ে দে আমার বন্ধুত্ব"

20/09/2023

ছাদে দাঁড়িয়ে আরেক ছাদের মেয়েকে হাত দিয়ে মাঝে মাঝে সিগনাল দিচ্ছি। মেয়েটা মাঝে মাঝে হাত দিয়ে চড় ঘুষি মারার ইশারা করে, কিন্তু তবুও আমি তাকিয়ে থাকি। মেয়েটা রোজ পড়ন্ত বিকেল বেলা ছাদে এসে ৩০ মিনিট হাঁটাহাটি করে, আমি সেই ৩০ মিনিট তার জন্য অপেক্ষা করি।

কিন্তু আফসোস, আজ পর্যন্ত তার স্পষ্ট চেহারা দেখার ভাগ্য হলো না। দুরত্ব কম নয় তাই চেহারা স্পষ্ট বোঝা যায় না, কিন্তু অন্যরকম অনুভূতি হয় আমার। মাঝে মাঝে ওই বিল্ডিংয়ের নিচে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করি কিন্তু কখনো ছাদের মেয়েটার মতো কাউকে পাইনি।

একটু আগেই ছাদ থেকে নামলাম, সন্ধ্যা পেরিয়ে অন্ধকার নামছে আস্তে আস্তে। বাবুল ভাইয়ের হোটেলে গিয়ে দুটো ডালের পুরি আর এক কাপ চা খেতে হবে, নিত্যকার রুটিন। হোটেলে ঢুকেই দেখি আনোয়ার আঙ্কেল বসে আছে, তিনি এখানকার স্থানীয় মানুষ। আমার সঙ্গে দিন পনের ধরে বেশ খাতির জমেছে, কারণ তিনি একদিন এই হোটেলে বসে আর্জেন্টিনা আর ব্রাজিল নিয়ে তর্ক করছিল। তখন তার দলীয় কেউ ছিল না, আর আমি হুট করে তার পক্ষ নিয়ে কথা বলেছিলাম। তখন থেকে আমি তার কাছে বন্ধুর মতো, সবসময় সে আমাকে পেলেই খেলার বিষয় গল্প করে।

আমাকে দেখে আঙ্কেল বললো, কি খবর প্রেমিক পুরুষ, তোমার সিগনাল শেষ হয়েছে?

আঙ্কেলের সঙ্গে আমার এতটাই বন্ধুত্ব সৃষ্টি হয়েছে যে আমি এখন সবকিছুই তাকে শেয়ার করি। তবে তিনিও তার নিজের অনেক কিছু আমার কাছে বলেন, যুবক বয়সে কি কি করেছেন ইত্যাদি।

- বললাম, আঙ্কেল আর ভালো লাগে না। সবসময় হাত নাড়াতে নাড়াতে ক্লান্ত হয়ে গেছি এখনো তো কিছু বলতে পারি নাই।

- আরে হাল ছাড়লে চলবে নাকি? লেগে থাকো সবসময়, তাহলে সফলতা আসবেই। তুমি তো আজ পর্যন্ত আমাকে বললে না যে মেয়েটা কোন বিল্ডিংয়ে থাকে, তাহলে আমি পরিচয় বের করে দিতাম হাহাহা হাহাহা।

- কাল বিকেলে আপনাকে নিয়ে ছাদে যাবো।

- ঠিক আছে তাই হবে।

- আজকে তাস খেলতে যাবেন?

- হ্যাঁ অবশ্যই, নাস্তা শেষ করো তারপর যাচ্ছি।

নাস্তা করে বের হয়ে বললাম,

- ঠিক আছে আঙ্কেল, আপনি শিহাব ভাই আর রহমান কাকাকে নিয়ে রুমে গিয়ে বসুন আমি সামনে ফ্লেক্সিলডের দোকান থেকে আসছি।

- আচ্ছা।

মোবাইলে রিচার্জ করে দোকান থেকে বের হতেই একটা বোরকা পরা মেয়ের সঙ্গে দেখা হয়ে গেল। আমি তাকে পাশ কাটিয়ে চলে যাবো ঠিক তখনই সে বললো,

- শুনুন।

- আমি অবাক হয়ে বললাম, আমাকে বলছেন?

- হ্যাঁ।

- বলেন।

মেয়েটি তার হাতের কাগজটা আমার দিকে হাত বাড়িয়ে দিয়ে বললো,

- চারিদিকে সবাই আমার পরিচিত, এখানে বেশি কথা বলতে পারবো না। এই কাগজে আমার মোবাইল নাম্বার ও কিছু কথা লেখা আছে, আপনি রাত দশটার পরে কল দিবেন।

- কিন্তু কে আপনি?

- আশ্চর্য ব্যাপার, এক মাস ধরে প্রতিদিন ছাদে দাঁড়িয়ে হাত নাড়েন তবুও চিনতে পারেন না? বলি আমি তাহলে কত নাম্বারে আছি?

আমি হতবাক হয়ে গেলাম, মেয়েটা তো বেশ সুন্দরী আছে। ঠোঁটের কাছে তিল আছে, কথাতে গালে টোল পরে তাহলে হাসিতে নিশ্চয়ই পরবে।

- দাঁড়িয়ে আছেন কেন? যান চলে যান।

- ইয়ে মানে, তুমি অনেক সুন্দর।

- এমন সস্তা কথা বলার অনেক সময় আছে।

হাতের কাগজটা নিয়ে দৌড়ে চলে আসলাম রুমে, হঠাৎ করে বেশ আনন্দ লাগছে। আনোয়ার আঙ্কেল ও বাকি দুজন তাস নিয়ে বসে আছে। আমার হাতে কাগজ দেখে শিহাব ভাই বললো,

- হাতে ওটা কি সজীব?

- আমি বললাম, তেমন কিছু না।

এমন সময় রহমান কাকা সেটা ছো মেরে নিয়ে গেল, হয়তো সন্দেহ করেছে। আমি তেমন কিছু না বলে দাঁড়িয়ে আছি, কাগজে কি লেখা আছে সে তো আমিও জানি না। যদি রোমান্টিক কিছু থাকে তাহলে লজ্জা পাবো এতটুকুই।

রহমান কাকা পড়তে লাগলো।

" আমার নাম 'ফারহানা আফরোজ' আপনার সব কর্মকান্ড দেখে অবাক হই। তবুও আপনাকে দেখে ভালো লাগে, রাস্তায় হাঁটার সময় মোবাইল বের করে এতো কি দেখেন? সেদিন দেখলাম গাড়ির নিচে পরে যাচ্ছিলেন।
যাইহোক, জরুরি কথা হচ্ছে আপনার সঙ্গে কিন্তু আমার বাবার বেশ খাতির জমেছে। আমি প্রায়ই রাস্তায় বা হোটেলে বাবার সঙ্গে গল্প করতে দেখি, খবরদার বাবার কাছে আবার আমার কথা বলে দিবেন না। তাহলে কিন্তু হাসপাতালের মর্গে রাখা হবে আপনাকে, সাবধান। আমার বাবার নাম 'আনোয়ার হোসেন'।
নাম্বার দিলাম, রাত দশটার পরে কল দিবেন। "

আমি তখন সম্পুর্ন বেকুব হয়ে দাঁড়িয়ে আছি, আনোয়ার আঙ্কেলের দিকে চোখ দিয়ে তাকানোর সাহস হচ্ছে না। এতদিন ধরে যত অপকর্মের কথা তিনি বলেছেন, আর আমিও যেসব কথা তাকে বলেছি, সবকিছু চোখের সামনে ভাসছে। 🥹🥹

হে খোদা, রক্ষা করো।

________(ছোটগল্প)(সমাপ্ত) _______

©️মোঃ সাইফুল ইসলাম (সজীব)

নিবেদিতা ❤️

২ মিনিট লাগবে ছোট একটি গল্প আশা করি ভালো লাগবে একটি ছেলে খুব সাদাসিধে ছিলো। সে একটি দোকানে চাকরি করতো। ছেলেটির বেতন ছিলো...
18/09/2023

২ মিনিট লাগবে ছোট একটি গল্প আশা করি ভালো লাগবে

একটি ছেলে খুব সাদাসিধে ছিলো। সে একটি দোকানে চাকরি করতো। ছেলেটির বেতন ছিলো মাত্র পাঁচ হাজার টাকা, ছেলেটির দোকানের সামনে দিয়ে প্রতিদিন একটি মেয়ে স্কুলে যেতো। মেয়েটি ছিলো পর্দাশীল। যদিও তার মুখটা প্রায়ই খোলা থাকতো। একদিন হঠাৎ ছেলেটির নজর পড়লো মেয়েটির দিকে। এভাবে বেশ কয়েকদিন যাবার পর মেয়েটি বুঝতে পারলো, ছেলেটি তাকে লক্ষ করে।
মেয়েটিও বাকা চোখে, ছেলেটিকে দেখতে শুরু করলো। ছেলেটি মেয়ের চলাফেরা দেখে মুগ্ধ হয়ে। আফসোস করতে লাগলো। ইস যদি আমিও আজ পড়াশোনা করতে পারলাম। তা হলে শাহস করে মেয়েটির সাথে কথা বলতে পারতাম।
মেয়েটি বুঝতে পারলো, ছেলেটি তাকে বিষন পছন্দ করে। তাই একদিন মেয়েটি ছেলেটির দোকানের পাশে দাড়িয়ে রইলো। তখন দুপুরের খাবার খাওয়ার জন্য ছেলেটি বাহির হইলো

সে চায়ের দোকানে গিয়ে পাঁচ টাকার একটি রুটি খেয়ে পানি পান করে আসতে লাগলো। তখন মেয়েটি তার কাছে গেলো। তুমি ভাত খেলে না
রুটি দিয়ে
পেট ভরবে। তখন ছেলেটি, মেয়েটিকে দেখে অবাক হয়ে গেলো। তখন ছেলেটি বললো আমি ভাত খেলে, আমার মা, আর ছোট বোনকে কি খাওয়াবো। মেয়েটি শিক্ষিত তাই অল্পতেই বুঝে গেলো। সে হাত ধরে বলতে লাগলো, তা হলে তুমি যে আমাকে পছন্দ করো। আমাকে কি খাওয়াবে। তখন ছেলেটি বললো আমি তো তুমাকে আপন করে পাওয়ার জন্য দেখি না । কারন সে যোগ্যতা আমার নেই। তবে এটা সত্যি যে তুমাকে দেখলে আমার খুব ভালো লাগে। তাই দেখি। মেয়েটি ছেলেটির কথা শুনে চোখ দিয়ে পানি ধরে রাখতে পারলো না । সে বুঝে গেলো, ছেলেটির চরিত্র, ও ভাবনা ও সুন্দর।
সেদিন মেয়েটি চলে গেলো। বাসায় গিয়ে রাত্রি বেলা মেয়েটি অসুস্থ হয়ে পড়ে, পরের তাকে ডাক্তারের কাছে নিয়ে আসা হলো, বলা হলো তার দুইটাই কিডনি নষ্ট। তখন মেয়ের বাবা ফোন করে তার বন্ধুর ছেলেকে
যার সাথে বিয়ে দেওয়ার জন্য সে পাগল। কিন্তু মেয়েটি তার বাবার পছন্দের ছেলে কে বিয়ে করতে রাজি না। কারন ছেলেটির টাকা থাকলে কি হবে তার চরিত্র খারাপ। সে লোভী। এদিকে মেয়েটির কোনো লোভ ছিলো না। যাই হোক হবো জমাই আসার পর তাকে সব খুলে বললো তুমার থেকে একটি কিডনি খুলে আমার মেয়েটিকে দাও। তুমি তো বলছো, আমার মেয়ে কে অনেক ভালোবাসো। তাকে পেলে তুমি ভালো হয়ে জাবে। তা হলে আজ পরিক্ষা দাও। তখন ছেলেটি বললো, আমি আপনার রোগা মেয়ে কে বিয়ে করবো কেন।
আমার কি সুস্থ মেয়ে অভাব নাকি। এ বলে সে চলে গেলো। বাবা তখন কেঁদে কেঁদে মেয়ের কাছে সব খুলে বললো। মেয়েটি বললো বাবা তুমি কেদোনা। একটা পথ এখনো আছে। তুমি এক কাজ করো। আমাদের সমনের মোডে বড় একটা গ্যারেজ আছে না। সেখানে তুমি জাও। জেয়ে তাইয়্যেব নামের একটা ছেলে আছে। তাকে নিয়ে আসো। আমার কথা বলো। তখন বাবা ছেলেটিকে নিয়ে আসলো। মেয়েটিকে দেখে ছেলেটির চোখ ভিজে পানি পরতে লাগলো। কারন মেয়ের বাবা তাকে সব খুলে বলছে। তখন ছেলেটিকে মেয়েটিকে বললো। তুমি আমাকে একটা কিডনি দিবে। ছেলেটি বললো কিডনি দিবার জন্যই আমি এসেছি। মেয়েটি তাকে বললো তুমি কি চাও। ছেলেটি বললো তুমি সুস্থ হয়ে আমার দোকানের সামনে দিয়ে জাবে, আর দূর থেকে আমার দিকে তাকিয়ে দেখবে।
এই অনুমতিটুকু চাই। এ কথা শুনে মেয়ে টি, ও বাবা, তাদের চোখের পানি ধরে রাখতে পারলো না। অবশেষে মেয়েটি বিছানা থেকে উঠে ছেলেটির দু'পায়ে জড়িয়ে ধরে বললো। এজীবনে তুমার থেকে আমাকে মৃত্যু আলাদা করতে পারবে। আর কেহ পারবে না । তারপর মেয়েটি বললো আমার কোনো কিডনি নষ্ট হয়নি।
এসব ছিলো আমার সাজানো নাটক। আমি যা ভেবে ছিলাম তাই হয়েছে।
তুমাকে দেখে বুঝেছিলাম তুমিই আমার একমাত্র যোগ্য।

এখন কিপ্টামি না করে পোস্ট কেমন লাগছে জানান!!!
লেখক ঃলিখন
♥♥♥

 #বুয়েট পাস এমন একজনকে চিনি, যার বিবাহিত জীবনের ১৩টা বছর শুধু একটা বাচ্চা নেয়ার চেষ্টায় কাটিয়ে দিচ্ছে। তার জীবনে সফল...
17/09/2023

#বুয়েট পাস এমন একজনকে চিনি, যার বিবাহিত জীবনের ১৩টা বছর শুধু একটা বাচ্চা নেয়ার চেষ্টায় কাটিয়ে দিচ্ছে। তার জীবনে সফলতা আছে কিন্তু পূর্ণতা নাই।

#ব্যাংকের এ,জি,এম এমন একজনকে চিনি, যার বউ দুইটা বাচ্চা রেখে আরেকজনের সাথে পালিয়ে গেছে। তার জীবনে সফলতা-পূর্ণতা সবই ছিলো, কিন্তু ভালোবাসাটা কপালে জুটেনি।

#এম,বি,এ পাশ করা একজনকে চিনি, পড়ালেখা শেষ করে ভালো কিছু করার জন্যে চলে যান দেশের বাহিরে , তারপর বিবাহের প্রস্তাব দেন ১৪ বছরের ভালোবাসার মানুষটির পরিবারে। শুধুমাত্র ছেলে প্রবাসী বলে বিবাহ দেননি। ভালো চাকুরী মানেই কি সব কিছু??

#প্রেম করে পালিয়ে বিয়ে করা এক মেয়ের গল্পটা জানি, কি নিদারুণ অত্যাচার সহ্য করে একদিন গলায় বিষ ঢেলে দিলো। ভালোবাসার জন্যে ঘর ছেড়েছিলো, সফলতা আসেনি কখনও।

#দেশ সেরা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়া মেয়েটার গল্পটা জানি। শুধু গায়ের রঙটা কালো বলে প্রেমিকের বাবা মায়ের হাজারো অবহেলার কথা মাথায় তুলে নিয়ে রিলেশনটা ব্রেকাপ করতে হয়েছিলো। সেরা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইডি কার্ড গলায় ঝুলিয়েও সে সুখী হতে পারছে না।

#ক্যারিয়ার গঠনের জন্য যে মেয়ে, তার বাবা মাকে বিয়ের কথা উচ্চারণ করতে দেয়নি, সে মেয়েটির শেষ পর্যন্ত বিয়েই হয়নি। টাকা পয়সা সব আছে কিন্তু স্বামী সংসার নেই।

#চাকুরী না পাওয়া তরুণের গল্পটাও করুণ। বেকার থাকার সময়ে প্রেমিকার বিয়ের আয়োজনটা থামাতে পারে নাই। চাকুরীটা হাতে পাওয়ার আগেই বাবা মারা গেলো। "সফলতা মানেই সুখ" বাক্যটা তার কাছে সম্পূর্ণ মিথ্যা।

#পুলিশের একজন এসপি-কে জানি, যিনি ভাগ্যের গেড়াকলে পড়ে; সন্তান হারিয়েছেন, স্ত্রীকে হারিয়েছেন, সংসার ও চাকুরি সব হারিয়ে, এখন ক্ষমতাহীন নিঃস্ব জীবন-যাপন করছেন। সফলতা তার জীবনে সুখ আনতে আনতে পারেনি।

#একজন প্রফেসরের সাথে আমার কথা হয়েছিলো। তিনি বলেছিলেন, "বিবাহের চার বছর পর থেকে স্বামী অসুস্থ। আজ বারো বছর হলো দুই সন্তান ও অসুস্থ স্বামী নিয়ে সংসার করছি। জীবনে কি পেলাম?" সবই ছিলো, ভালো চাকুরী, দুই সন্তান। শুধু অর্থই জীবনের সব কিছু, একথা তার কাছে হাস্যকর।

#এক পরিচিত বড় ভাই ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার হয়েও এখন হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসক এবং হোমিওপ্যাথিক কলেজের প্রভাষক।

#একজন এম এ(ফার্স্ট ক্লাস ১৬তম)এলএল বি পাশ করে ওকালতি প্রাকটিস ও কলেজের প্রভাষক পদ ছেড়ে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক!

আসলে জগতে কে সুখে আছে? টাকায় সুখ দিয়েছে কয়জনকে? জীবনে সফলতা মানেই কি সুখ? একটা জীবনে সুখী হয়ে মারা গেছে ক'জন!!

সুখী দেখেছিলাম আমার এলাকার নসু পাগলাকে, সে এক বেলা পেট ভরে খেয়ে কি আয়েশী হাসিটাই না হেসেছিলো!! শুধু ভরা পেটেই যে সুখে থাকতে পারে তার চেয়ে সুখী আর কেও নাই!! আমরা যারা মানুষ, তাদের মন ভরে সুখ কখনো আসে না। আমরা কখনো পরিপূর্ণভাবে সুখী হতে পারি না। বাস্তবতা বড় ফ্যাকাশে, স্বপ্নের মতো রঙিন হয় না।

একটু সুখের জন্যে অনেক কিছুর দরকার নেই। চলুন, আমরা মনটাকে একটু ভালো করি, ক্ষমতা ও অর্থের দম্ভ থেকে সরে আসি, হিংসা, লোভ, স্বার্থপরতা ত্যাগ করি, সৃষ্টিকর্তার তরে নিজেকে সপে দিই; আর কাউকে না ঠকাই।
আমাদের জীবন সুখের হবে।

17/09/2023

আপনার পাতিল কতটুকু?

একবার দুই জেলে মাছ ধরছিল। একজন ভালো মাছ ধরেছিল। তারপর সে মাছগুলো নিয়ে বাড়িতে চলে যাচ্ছিলো৷ হঠাৎ সে দেখে ২য় জেলে বড় একটা মাছ পায়, কিন্তু সে মাছটি পানিতে ফেলে দেয়৷
১ম জেলে তো খুব অবাক। সে দেখলো ২য় জেলে আবার একটা বড় মাছ ধরলো। কিন্তু সেটাও সে ফেলে দিলো৷

তারপর ১ম জেলে ২য় জেলেকে বললো, 'কি ব্যাপার ? তুমি সব মাছ ফেলে দিচ্ছো কেন? '
তখন ২য় জেলে বললো,' আমার বাড়িতে এত বড় মাছ রান্না করার পাতিল নেই'।
তখন ১ম জেলে হেসে উঠলো এবং বললো, ' তাহলে তো তুমি বাজার থেকে বড় পাতিল কিনে নিলেই পারো'।
২য় জেলে তখন বললো আসলেই, আমার মাথায় তো সেটা আসে নি।

#মূলকথাঃ আমাদের জীবনেও কিন্তু মাঝে মাঝে অনেক বড় সুযোগ আসে। যেগুলো আমরা পারবো না ভেবে হাতছাড়া করে ফেলি। কিন্তু আমাদের উচিত নিজেকে আরও দক্ষ করে তোলা৷ আরও পরিশ্রমী হয়ে ওঠা৷ কখনো কোনো সুযোগ হাতছাড়া করা উচিত নয়।

জীবনে কোনে বড় অপরচুনিটি পেলে এই জেলের বোকামির কথা মাথায় আনবেন৷

- আয়মান সাদিক

স্বামী একটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মাস্টার্স পাশ করা যুবক, স্ত্রীও  জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মাস্টার্স পাশ করা...... ...
16/09/2023

স্বামী একটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মাস্টার্স পাশ করা যুবক, স্ত্রীও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মাস্টার্স পাশ করা...... স্বামী চেষ্টা করছে কৃষি উদ্যোক্তা হওয়ার, তাই এই মৌসুমে আলুর চাষ করেছেন, স্বামী ব্যস্ত কৃষি জমিতে পরিচর্যা নিয়ে,সকাল গড়িয়ে দুপুর,স্বামী ক্ষুধার্ত, ক্লান্ত....... স্ত্রী স্বামীর জন্য নিয়ে এসেছেন দুপুরের খাবার এবং পানি, স্বামীকে ক্ষুধার্থ রেখে স্ত্রী বাসায় একা খান নি,

মাঠে খাবার নিয়ে দুজনে এক সাথে খাচ্ছেন, দুজন ই উচ্চ শিক্ষিত হলেও কারো মাঝেই অহংকারের লেশ নেই, এটাই পারিবারিক শিক্ষা।

সম্মান করলে সম্মান,স্নেহ,মর্যাদা পাওয়া যায়, যারা বলে গাছ তলাতে সুখ নেই, তারা শিক্ষা নিতে পারেন,

ভালো থাকুক পৃথিবীর সকল পবিত্র ভালোবাসা...

ছবিটি ঠাকুরগাঁও জেলার পীরগঞ্জ উপজেলা থেকে তোলা

#সংগ্রহীত

16/09/2023

লজ্জা লাগছে কেউ সাহায্য চাইলে আমরা ভাংতি খুঁজে পাই না.....

চট্টগ্রামের বাঁশখালী থানার বাজারে একটি হোটেলে বসলাম। লক্ষ্য ছিলো সিংগাড়া খাবো। এই পদার্থটি আমার সহ্য হয় না। খাওয়ার সাথে সাথে এসিডিটি হয়। তবু লোভে পড়ে খাই। মাঝে মাঝে। সিংগাড়া শেষ করেই ঔষধ খাই।

আমি সব সময় হোটেল-রেস্টুরেন্টের এক কোণায় গিয়ে বসি। একটু লুকিয়ে থাকার ইচ্ছে আরকি। আমি অবশ্যই অন্তর্মুখী মানুষ।

গতকাল কোণার টেবিল ফাঁকা না থাকায় ম্যানাজারের খুব কাছের একটি টেবিলে বসলাম। তার সব কথা শুনতে পাচ্ছিলাম।

একজন বয়োঃবৃদ্ধা ভিক্ষুক এলেন। কাতর কন্ঠে বললেন, "বাবা, খুব ক্ষুধা লেগেছে। কিছু খেতে দিতে পারো?"

ম্যানেজার একটা টেবিল দেখিয়ে বললেন, "ঐ জায়গায় গিয়ে বসেন খালা।" তারপর চিৎকার দিয়ে বললেন, "খালাকে এক প্লেট খিচুড়ি দে।"

আমি মুগ্ধ হয়ে দেখছিলাম। ছোট্ট হোটেল। তেমন বেচাকেনা হয় বলেও মনে হলো না।

দুই তিন মিনিটের মধ্যেই আরো একজন বৃদ্ধা ভিক্ষুক ভিক্ষা নিতে এলেন। ম্যানেজার বললেন, "খাওয়া দাওয়া হয়েছে খালা?"

খালাকে নিশ্চুপ দেখে আগের খালার পাশের চেয়ারে বসালেন এবং তাকেও এক প্লেট খিচুড়ি দেওয়া হলো। দুই জন ক্লান্ত পরিশ্রান্ত বয়োঃবৃদ্ধাকে খেতে দেখে কী যে ভালো লাগছিলো!

এরপর আরো একজন বয়োঃবৃদ্ধা ভিক্ষুক এলেন। ম্যানাজারের সামনে দাঁড়ালেন। বললেন, "বাবা, ভিক্ষা করতে এসেছিলাম। তেমন ভিক্ষা পাইনি আজ। বাড়ি যাওয়ার ভাড়া নেই। ভাড়াটা দিতে পারো।"

ম্যানাজার বললো, "আমার তেমন বিক্রি হয়নি খালা। আপনি বরং একটু খেয়ে যান। দেখেন কেউ ভাড়াটা দিতে পারে কিনা।"

এতোক্ষণ যে বয়টি খাবার পরিবেশন করছিলো সে বললো, "খালা কয় টাকা ভাড়া লাগে বাড়ি যেতে?"
-১৫ টাকা বাবা।
হোটেল বয়টি পকেট থেকে ২০ টাকার একটা নোট বের করে খালার হাতে দিয়ে বললেন, "নেন, এটা রাখেন। একটু খিচুড়ি খেয়ে বাড়ি যান। আমি খিচুড়ি দিচ্ছি।"

হোটেল ম্যানাজার হাসতে হাসতে বললেন, "শালা যেমন ম্যানাজার, তেমন তার কর্মচারীরা! কেউ মানুষকে ফিরাতে জানে না।"

তারপর বললেন, "শোন, কোন ভিক্ষুক যেন খেতে এসে না ফিরে যায়। সবাইকে খাওয়াবি।"

আমি সব দেখছিলাম। মাথা নিচু করে বসে আছি। চোখ ঝাপসা হয়ে আসছে। মনের ভেতর তোলপাড় চলছে।

ম্যানাজারকে এক সময় কাছে গিয়ে ফিসফিস করে বললাম, "ভাই, আপনার ঐ কর্মচারী ছেলেটি সম্পর্কে আমাকে একটু বলুন তো প্লিজ। কয় টাকা বেতন দেন ওকে।"

- ব্যবসা তো তেমন চলে না ভাই। সারাদিন হোটেল খোলা। রাত নয়টা পর্যন্ত। ওকে ১২০ টাকা দিই।

- বাড়িতে কে কে আছে ওর?

- কেউ নেই তেমন। মা মারা গেছে। বাবা আরেকটি বিয়ে করেছে। ওর নানা-নানি বয়স্ক হয়ে গেছে। কোন কাজ করতে পারে না। এই ছেলেটি কাজ করে নানা-নানিকে খাওয়ায়।

আমার কাছে এবার অনেক কিছু পরিস্কার হয়ে গেল। সারাজীবন ভালোবাসা, মায়া, স্নেহ বঞ্চিত বলেই, এই ছেলেটার হৃদয় ভালোবাসা আর মায়ায় পরিপূর্ণ।

ছোট্ট ছেলেটিকে কাছে ডাকলাম। বললাম, "লেখাপড়া করেছো?"
- না স্যার।
- ঢাকার দিকে কোন কাজ ম্যানেজ করে দিলে যাবা? একটু বেশি বেতনের?

- নানা-নানি চলতে পারে না। তাদের গোসল করার পানি তুলে দিতে হয়। টয়লেটের, অযুর। খাওয়ার রান্না করতে হয়। আমি এদের রেখে যেতে পারবো না স্যার।

আরো কিছুক্ষণ কথা বলে ফিরে এসেছি। মনটা কেমন ভার হয়ে আছে। ছেলেটা সারাদিন কাজ করে একশত কুড়ি টাকা পায়। তিন জন মানুষের সংসার। কীভাবে চলে! এর থেকে সে আবার অসহায়দের দান করে!

মন খারাপ হলে আমি আল-কুরআন খুলে বসি। আজও কুরআনুল কারীম খুলতেই সূরা আল-বাকারার একটি আয়াতে চোখ আটকে গেল। "এরা নিজেদের রিজিক থেকে অসহায়দের দান করে.. "

আমি আয়াতটির তাফসীর পড়া শুরু করলাম। সেখানে লেখা, "মানুষের এমন পরিমাণ দান করা উচিত, যাতে তার নিজের খাবারে টান পড়ে।"

মনের মধ্যে তোলপাড় হচ্ছে। নিজের খাবারে টান পড়া মানে, গোশত খেতাম, দান করার কারণে এখন মাছ খেতে হচ্ছে। দুই প্লেট ভাত খেতাম এখন এক প্লেট খেতে হচ্ছে।

কী অদ্ভুতভাবে আয়াতটি আমার কাছে খুলে যাচ্ছে! তাবুক যুদ্ধের সময় আল্লাহর রাসূল মুহাম্মদ(সাঃ) বললেন, "আজ কে বেশি দান করতে পারো দেখি?"
উসমান (রাঃ) একশত উট দিয়েছিলেন। উমর (রাঃ) তার সম্পদের অর্ধেক দিয়েছিলেন। আবু বকর (রাঃ) দিয়েছিলেন এক মুষ্টি খেজুর বা একটু যব জাতীয় কিছু আর তার বাড়িতে ঐটুকু সম্পদই ছিলো।

রাসূল (সাঃ) যা বলেছিলেন তার সারমর্ম হলো, আবু বকর সিদ্দিক (রাঃ) দানে প্রথম হয়েছে। সে তার সম্পদের শতভাগ দিয়েছে।

আমার চোখে ইসলামের ইতিহাসের সেই সোনালী দিন, আজকের ঐ হোটেল কর্মচারী আর আল-কুরআনের আয়াত "তারা রিজিক থেকে অসহায়দের দান করে" এই বিষয়গুলো এক অসহ্য ভালোলাগার এবং পরিতাপের বিষয় হয়ে উঠলো। কী করতে পারলাম জীবনে ভাবতে গিয়ে চোখ থেকে টপ টপ করে কয়েক ফোঁটা পানি পড়লো আল-কুরআনের পাতায়। আমি তাড়াতাড়ি কুরআনুল কারীম বন্ধ করে আকাশের দিকে তাকিয়ে থাকলাম। আরশে আজীম থেকে আল্লাহ তায়ালাও নিশ্চয় আমার দিকে তাকিয়ে আছেন। কোন কিছুই তো তার দৃষ্টির আড়ালে নয়।

কোন এক ভাই এর লিখা 💜

Address

Farakka
742202

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Life Changing Words posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share