01/12/2025
♦️দিঘা বেড়াতে গিয়ে আর সময়মতো খাওয়া-দাওয়া নিয়ে চিন্তা নেই। প্রাতঃরাশ, মধ্যাহ্নভোজ, নৈশভোজ হোটেলে বসে অর্ডার করলেই তিনবেলার খাবার আপনাকে পৌঁছে দেবে জগন্নাথ মন্দির কর্তৃপক্ষ।
♦️এবার সকাল-দুপুর-সান্ধ্য এবং রাত্রিতে স্বল্প খরচে মিলবে মহাপ্রসাদ। জগন্নাথ মন্দির তৈরির পর থেকেই ভক্তদের ঢল উপচে পড়েছে সৈকতশহর দিঘায়। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে জনপ্রিয়তা ও আয় দুই বেড়েছে দিঘার জগন্নাথ মন্দিরের। উত্তরোত্তর সেই ভক্তসমাগম বৃদ্ধির কথা মাথায় রেখে নতুন পরিষেবা চালু করেছে মন্দির কর্তৃপক্ষ। শুধু জগন্নাথদেবের ভোগ নয়, এবার অর্ডার করলে প্রাতঃরাশ থেকে নৈশভোজ সবই আপনি পেয়ে যাবেন মন্দিরে। বসে খাওয়ার ব্যবস্থাও রয়েছে। খরচও নামমাত্র। দিঘা বেড়াতে গিয়ে আর সময়মতো খাওয়া-দাওয়া নিয়ে চিন্তা নেই। প্রাতঃরাশ, মধ্যাহ্নভোজ, নৈশভোজ হোটেলে বসে অর্ডার করলেই তিনবেলার খাবার আপনাকে পৌঁছে দেবে জগন্নাথ মন্দির কর্তৃপক্ষ। মেনুও রকমারি। চাইলে সকালে জলখাবারে লুচি-সবজি অথবা খিচুড়ি অর্ডার করতে পারেন। এক প্লেট লুচি- সবজির দাম পড়বে মাত্র ৫০ টাকা। আর খিচুড়ি পাবেন ১০০ টাকা প্রতি প্যাকেজে। শর্ত একটাই, মন্দির থেকে প্রাতঃরাশ নিতে হলে আগের দিন রাত ৯টার মধ্যে অর্ডার দিতে হবে। মধ্যাহ্নভোজে রয়েছে দু'ধরনের প্যাকেজ যা সাধারণ ও স্পেশাল। সাধারণ প্যাকেজে থাকবে অন্নভোগসহ ডাল, সবজি, ভাজা,মিষ্টি থেকে নানা ধরনের পদ মিলবে। খরচ মাত্র ১০০ টাকা। আর স্পেশাল প্যাকেজের মধ্যে রয়েছে অন্নভোগ-সহ আট রকমের পদ। রয়েছে ঘি পরোটা, পনিরও। এই স্পেশাল প্যাকেজ পাওয়া যাবে ১৫০ টাকায়। নৈশভোজেও দুপুরের মতোই দু'ধরনের প্যাকেজ রয়েছে। সাধারণ প্যাকেজে অন্নভোগসহ পাঁচ রকমের পদ। আর স্পেশাল প্যাকেজে অন্নভোগ-সহ আট রকমের পদ। এরপর রয়েছে জগন্নাথের মহাপ্রসাদের অংশ। যেদিন জগন্নাথদেবকে যা ভোগ দেওয়া হবে, তার অংশবিশেষ মহাপ্রসাদ হিসাবে ভক্তদের কাছে পৌঁছে দেওয়া হবে। ফলে প্রতিদিন ভিন্ন রকম প্রস্তুতি থাকায় ভক্তরা নতুন স্বাদের অভিজ্ঞতা পাবেন। শুধু তাই নয়, মিষ্টির প্যাকেজও রয়েছে। মিষ্টির প্যাকেজের মধ্যে রয়েছে গজা, প্যাড়া, খাজা, লাড্ডু। দাম ৫০ থেকে ১০০ টাকা। সারাদিন যে কোনও সময়ে আপনি এই মিষ্টির প্যাকেজ অর্ডার করতে পারেন। চাইলে মন্দিরে এসেও মহাপ্রসাদ কিনে নিতে পারেন। এখানে বসে খাওয়ার ব্যবস্থা রয়েছে। তবে হোটেলে বসে অর্ডার করলে প্রতি প্যাকেজে ১০ টাকা করে ডেলিভারি চার্জ দিতে হবে। দিঘায় এখন সাধ্যের মধ্যে হোটেল পাওয়া গেলেও খাওয়া-দাওয়ার আকাশছোঁয়া দাম। পর্যটকদের মতে, দিঘায় হোটেল ভাড়াতে যা খরচ না হয়, তার থেকে বেশি খরচ হয় তিনবেলা খাওয়ার জন্য। ফলে এখন অনেক পর্যটকই দিঘায় এলে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত খাবারের দায়িত্ব তুলে দিচ্ছেন জগন্নাথ মন্দির কর্তৃপক্ষের উপর। এতে খরচও অনেকটাই কমছে। দিঘা জগন্নাথ মন্দির ট্রাস্ট কমিটির সদস্য রাধারমন দাস বলেন, "দর্শনার্থীদের জন্যে সকাল থেকে রাত্রি পর্যন্ত মহাপ্রসাদ খাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। তবে আগে থেকে অর্ডার করতে হবে, তবেই মিলবে মহাপ্রসাদ। তাছাড়া মন্দিরের মধ্যে ঠাকুরের সরঞ্জাম-সহ গিফটের স্টল রয়েছে। সেখানে দর্শনার্থীরা কেনাকাটা করতে পারবেন।"
📌তথ্যসূত্র: সংবাদ প্রতিদিন