09/06/2025
স্কুল ছেড়ে কাজে যোগ দেয়, মায়ের চিকিৎসার টাকা জোগাড় করার জন্য।
ছোট্ট একটি ঘর। মা ও তার একমাত্র ছেলে রাহুল। রাহুলের বাবা অনেক বছর আগেই মারা গেছেন। সংসারের সব ভার মায়ের কাঁধে। দিনরাত শ্রম করে, অন্যের বাড়িতে কাজ করে মা রাহুলকে মানুষ করছেন। রাহুল খুব মেধাবী, স্কুলে তার ফলাফল ভালো। মা স্বপ্ন দেখেন, একদিন তার ছেলে বড় মানুষ হয়ে তাদের দুঃখ দূর করবে।
কিন্তু জীবন কখনও সহজ নয়। একদিন মা অসুস্থ হয়ে পড়েন। ডাক্তার বলেন, তার একটি বড় অপারেশন প্রয়োজন, নাহলে তিনি বাঁচবেন না। রাহুলের চোখে জল, হৃদয়ে অন্ধকার। সে স্কুল ছেড়ে কাজে যোগ দেয়, মায়ের চিকিৎসার টাকা জোগাড় করার জন্য। দিনরাত সে রেস্টুরেন্টে ওয়ার্কার হিসাবে কাজ করে, পেট ভরে খায় না, শীতের রাতে কম্বল ছাড়াই শোয়।
মা যখন হাসপাতালে, রাহুল তার পাশে থাকে। মা তাকে বলে, "বাবা, তুই কেন এত কষ্ট করছিস? তোর পড়াশোনা চালিয়ে যাও।" রাহুল কান্না চেপে বলে, "মা, তুমি না থাকলে আমার পড়াশোনার কোন অর্থ থাকবে না।"
অবশেষে, অপারেশন হয়, মা সুস্থ হয়ে ওঠেন। কিন্তু রাহুলের স্বপ্নভঙ্গ হয়—তার স্কুলের বছরটা নষ্ট হয়ে গেছে। তবুও মা তাকে আশা দেন, "জীবনে কষ্ট থাকবেই, কিন্তু হার মানলে চলবে না।"
রাহুল আবার পড়াশোনা শুরু করে। কঠোর পরিশ্রম করে সে স্কলারশিপ পায়, ভালো কলেজে ভর্তি হয়। বছর কেটে যায়, রাহুল একজন সফল ইঞ্জিনিয়ার হয়। সে মাকে নিয়ে একটি সুন্দর বাড়ি করে, তাদের কষ্টের দিনগুলো শেষ হয়।
মা তার ছেলের মুখে হাসি দেখে বলে, "আমার সব কষ্ট সার্থক হয়েছে।" রাহুল মায়ের পায়ে হাত রেখে বলে, "তুমিই আমার শক্তি, মা।"