
17/06/2025
The Truth
"যারাই দেহব্যবসা করে, তারাই ব্যশ্যা নয়" — সমাজের চোখে নয়, হৃদয়ের চোখে বিচার করুন একজন নারীর জীবনসংগ্রাম।
🔴 সমাজ যেভাবে দেখে:
আমাদের সমাজ একধরনের ‘তৃতীয় শ্রেণির নৈতিকতা’ দিয়ে একজন নারীর জীবন বিচার করে।
একজন নারী যদি দেহব্যবসায় জড়িত হয়, তাহলে তার পরিচয় মুছে যায়।
সে আর একজন মেয়ে, বোন, মা বা মানুষ নয় — সমাজ তাকে বলে “ব্যশ্যা”।
কিন্তু আমরা কি একবারও ভেবে দেখি কেন একজন নারী এই পথ বেছে নিতে বাধ্য হয়?
💔 একজন দেহব্যবসায়ীর বাস্তবতা কেমন হতে পারে?
🥀 ১. দারিদ্র্য যখন অমানবিক রূপ নেয়
যখন একটা পরিবারে ৩ দিন ধরে চুলায় আগুন জ্বলে না,
যখন সন্তানের জন্য একমুঠো চাল জোগাড় করা অসম্ভব হয়ে পড়ে,
তখন একজন মা নিজের শরীরের দিকে না তাকিয়ে সন্তানকে বাঁচানোর চেষ্টা করে।
🔹 আপনি যদি তার জায়গায় থাকতেন, কী করতেন?
🔹 নৈতিকতা দিয়ে কি ভাত রান্না হয়?
🥀 ২. প্রেমের নামে প্রতারণা
অনেক তরুণী প্রতারিত হন প্রেমের নামে।
ভালোবাসার কথা বলে দালাল বা অপরাধী চক্রের সদস্যরা তাদের শহরে আনে, তারপর বন্ধ ঘরে আটকে রেখে দেহব্যবসায় বাধ্য করে।
⛓️ এটা কি তার পছন্দ ছিল?
না, এটা ছিল জোর করে চাপিয়ে দেওয়া এক নিষ্ঠুর পেশা।
🥀 ৩. সংসারের ভার একা টানার লড়াই
অনেক নারীর স্বামী মারা গেছেন,
কারও স্বামী অক্ষম,
কারও সংসারে ৫-৬ জন খাওয়ার লোক কিন্তু আয়ের উৎস নেই।
🔹 সমাজ কী করেছে এই নারীদের জন্য?
🔹 সরকার কী দিয়েছে তাদের পুনর্বাসনের জন্য?
কিছুই নয়। বরং সুযোগ পেলেই সমাজ এই নারীদের গালি দেয় — “ব্যশ্যা”।
🥀 ৪. দেহব্যবসা নয়, এটা অনেকের কাছে ‘বেঁচে থাকার পথ’
সবার জীবন এক রকম নয়।
যে কাজটা কারও কাছে অপমানজনক, সেটাই অন্য কারও কাছে সম্মানের সাথে বেঁচে থাকার শেষ উপায়।
🛑 আমরা যদি তাদের পেছনের কষ্টটা না বুঝি, তাহলে আমরা কোনোদিনও “সভ্য সমাজ” বলে দাবি করতে পারি না।
⚖️ "ব্যশ্যা" শব্দটা কাকে প্রযোজ্য হওয়া উচিত?
👉 একজন নারী, যে অন্যায়ের শিকার, সমাজের অবহেলায় দেহ বিক্রি করছে — সে ব্যশ্যা নয়।
👉 বরং যে সমাজ এই নারীদের সুযোগ দেয় না, সহানুভূতি দেখায় না, তারা-ই আসল ‘অমানবিক’।
🔍 একদিকে একজন মা সন্তান বাঁচাতে শরীর বিক্রি করছে,
অন্যদিকে উচ্চশিক্ষিত, প্রতিষ্ঠিত নারী ইচ্ছায় পরকীয়া করছে —
👉 তাহলে চরিত্রহীন কে?
👉 কে আসল “নৈতিকভাবে” প্রশ্নবিদ্ধ?
🧠 সমাজের কিছু মুখোশ উন্মোচন করা দরকার:
দেহ বিক্রি মানেই দোষ, কিন্তু দেহ কেনা মানেই পুরুষত্ব — এ কেমন বিচার?
নারীকে অপমান করতে সবসময় 'চরিত্র' তুলে আনা হয়, কিন্তু পুরুষের জন্য সমাজ চুপ — এটা লিঙ্গবৈষম্য নয়?
একজন দেহব্যবসায়ী নারীকে সমাজ ঘৃণা করে, কিন্তু তার “কাস্টমার”কে সমাজে সম্মান দেয় — এটা কি ন্যায়বিচার?
🌱 কীভাবে সমাজ পরিবর্তন করা যায়?
✅ সহানুভূতির দৃষ্টিতে দেখা শিখুন:
একটা মেয়ে কেন এই পথ বেছে নিয়েছে, সেটা আগে জানুন, বোঝার চেষ্টা করুন।
✅ ভিন্ন পেশায় ফিরতে সাহায্য করুন:
দেহব্যবসায় থেকে বেরিয়ে আসতে চাইলেও অনেক নারী পারে না কারণ তাদের হাতে বিকল্প নেই।
সরকার, এনজিও এবং নাগরিক সমাজের উচিত তাদের জন্য নিরাপদ ও সম্মানজনক কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা।
✅ সম্মান দিন:
একজন দেহব্যবসায়ী নারীও একজন মানুষ। তারও আত্মসম্মান আছে, অনুভূতি আছে, জীবন আছে।
তার জীবন লড়াইয়ের গল্পটা ছোট নয় — অনেক পুরুষের চেয়ে সে অনেক বড় যোদ্ধা।
📌 শেষ কথা:
❝একজন নারী দেহ বিক্রি করছেন মানেই তিনি খারাপ নন।
তিনি হয়তো জীবনের সবচেয়ে অন্ধকার গলিতে একা দাঁড়িয়ে থেকেছেন,
কিন্তু তাও লড়েছেন — বেঁচে থাকার জন্য, পরিবারের জন্য, সন্তানের জন্য।❞
👉 এই সমাজ যদি সত্যিই মানবিক হতে চায়, তাহলে আগে “ব্যশ্যা” শব্দের মানে নতুন করে ভাবতে শিখতে হবে।
🔊 তাই বলি —
👉 দেহ ব্যবসা কোনো মেয়ের স্বপ্ন নয়
👉 এটা তার বাস্তবতা
👉 আর বাস্তবতা কখনোই গালি দিয়ে বিচার করা যায় না
#নারীকে_সম্মান_দিন
#সমাজকে_শিক্ষা_দিন
🔁 এই বার্তাটি ছড়িয়ে দিন, যাতে অন্তত একজন নারী অপমানের বদলে সম্মান পায়।