The Sach

The Sach Always Try to present the truth to people and try to debunk lies and Hypocrisy.

The Truth
17/06/2025

The Truth

"যারাই দেহব্যবসা করে, তারাই ব্যশ্যা নয়" — সমাজের চোখে নয়, হৃদয়ের চোখে বিচার করুন একজন নারীর জীবনসংগ্রাম।

🔴 সমাজ যেভাবে দেখে:
আমাদের সমাজ একধরনের ‘তৃতীয় শ্রেণির নৈতিকতা’ দিয়ে একজন নারীর জীবন বিচার করে।
একজন নারী যদি দেহব্যবসায় জড়িত হয়, তাহলে তার পরিচয় মুছে যায়।
সে আর একজন মেয়ে, বোন, মা বা মানুষ নয় — সমাজ তাকে বলে “ব্যশ্যা”।

কিন্তু আমরা কি একবারও ভেবে দেখি কেন একজন নারী এই পথ বেছে নিতে বাধ্য হয়?

💔 একজন দেহব্যবসায়ীর বাস্তবতা কেমন হতে পারে?
🥀 ১. দারিদ্র্য যখন অমানবিক রূপ নেয়
যখন একটা পরিবারে ৩ দিন ধরে চুলায় আগুন জ্বলে না,
যখন সন্তানের জন্য একমুঠো চাল জোগাড় করা অসম্ভব হয়ে পড়ে,
তখন একজন মা নিজের শরীরের দিকে না তাকিয়ে সন্তানকে বাঁচানোর চেষ্টা করে।

🔹 আপনি যদি তার জায়গায় থাকতেন, কী করতেন?
🔹 নৈতিকতা দিয়ে কি ভাত রান্না হয়?

🥀 ২. প্রেমের নামে প্রতারণা
অনেক তরুণী প্রতারিত হন প্রেমের নামে।
ভালোবাসার কথা বলে দালাল বা অপরাধী চক্রের সদস্যরা তাদের শহরে আনে, তারপর বন্ধ ঘরে আটকে রেখে দেহব্যবসায় বাধ্য করে।

⛓️ এটা কি তার পছন্দ ছিল?
না, এটা ছিল জোর করে চাপিয়ে দেওয়া এক নিষ্ঠুর পেশা।

🥀 ৩. সংসারের ভার একা টানার লড়াই
অনেক নারীর স্বামী মারা গেছেন,
কারও স্বামী অক্ষম,
কারও সংসারে ৫-৬ জন খাওয়ার লোক কিন্তু আয়ের উৎস নেই।

🔹 সমাজ কী করেছে এই নারীদের জন্য?
🔹 সরকার কী দিয়েছে তাদের পুনর্বাসনের জন্য?

কিছুই নয়। বরং সুযোগ পেলেই সমাজ এই নারীদের গালি দেয় — “ব্যশ্যা”।

🥀 ৪. দেহব্যবসা নয়, এটা অনেকের কাছে ‘বেঁচে থাকার পথ’
সবার জীবন এক রকম নয়।
যে কাজটা কারও কাছে অপমানজনক, সেটাই অন্য কারও কাছে সম্মানের সাথে বেঁচে থাকার শেষ উপায়।

🛑 আমরা যদি তাদের পেছনের কষ্টটা না বুঝি, তাহলে আমরা কোনোদিনও “সভ্য সমাজ” বলে দাবি করতে পারি না।

⚖️ "ব্যশ্যা" শব্দটা কাকে প্রযোজ্য হওয়া উচিত?
👉 একজন নারী, যে অন্যায়ের শিকার, সমাজের অবহেলায় দেহ বিক্রি করছে — সে ব্যশ্যা নয়।
👉 বরং যে সমাজ এই নারীদের সুযোগ দেয় না, সহানুভূতি দেখায় না, তারা-ই আসল ‘অমানবিক’।

🔍 একদিকে একজন মা সন্তান বাঁচাতে শরীর বিক্রি করছে,
অন্যদিকে উচ্চশিক্ষিত, প্রতিষ্ঠিত নারী ইচ্ছায় পরকীয়া করছে —
👉 তাহলে চরিত্রহীন কে?
👉 কে আসল “নৈতিকভাবে” প্রশ্নবিদ্ধ?

🧠 সমাজের কিছু মুখোশ উন্মোচন করা দরকার:
দেহ বিক্রি মানেই দোষ, কিন্তু দেহ কেনা মানেই পুরুষত্ব — এ কেমন বিচার?

নারীকে অপমান করতে সবসময় 'চরিত্র' তুলে আনা হয়, কিন্তু পুরুষের জন্য সমাজ চুপ — এটা লিঙ্গবৈষম্য নয়?

একজন দেহব্যবসায়ী নারীকে সমাজ ঘৃণা করে, কিন্তু তার “কাস্টমার”কে সমাজে সম্মান দেয় — এটা কি ন্যায়বিচার?

🌱 কীভাবে সমাজ পরিবর্তন করা যায়?
✅ সহানুভূতির দৃষ্টিতে দেখা শিখুন:
একটা মেয়ে কেন এই পথ বেছে নিয়েছে, সেটা আগে জানুন, বোঝার চেষ্টা করুন।

✅ ভিন্ন পেশায় ফিরতে সাহায্য করুন:
দেহব্যবসায় থেকে বেরিয়ে আসতে চাইলেও অনেক নারী পারে না কারণ তাদের হাতে বিকল্প নেই।
সরকার, এনজিও এবং নাগরিক সমাজের উচিত তাদের জন্য নিরাপদ ও সম্মানজনক কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা।

✅ সম্মান দিন:
একজন দেহব্যবসায়ী নারীও একজন মানুষ। তারও আত্মসম্মান আছে, অনুভূতি আছে, জীবন আছে।
তার জীবন লড়াইয়ের গল্পটা ছোট নয় — অনেক পুরুষের চেয়ে সে অনেক বড় যোদ্ধা।

📌 শেষ কথা:
❝একজন নারী দেহ বিক্রি করছেন মানেই তিনি খারাপ নন।
তিনি হয়তো জীবনের সবচেয়ে অন্ধকার গলিতে একা দাঁড়িয়ে থেকেছেন,
কিন্তু তাও লড়েছেন — বেঁচে থাকার জন্য, পরিবারের জন্য, সন্তানের জন্য।❞

👉 এই সমাজ যদি সত্যিই মানবিক হতে চায়, তাহলে আগে “ব্যশ্যা” শব্দের মানে নতুন করে ভাবতে শিখতে হবে।

🔊 তাই বলি —
👉 দেহ ব্যবসা কোনো মেয়ের স্বপ্ন নয়
👉 এটা তার বাস্তবতা
👉 আর বাস্তবতা কখনোই গালি দিয়ে বিচার করা যায় না






#নারীকে_সম্মান_দিন
#সমাজকে_শিক্ষা_দিন

🔁 এই বার্তাটি ছড়িয়ে দিন, যাতে অন্তত একজন নারী অপমানের বদলে সম্মান পায়।

শেষ পর্যন্ত না পড়ে কোন মন্তব্য করবেন না 🙏
14/06/2025

শেষ পর্যন্ত না পড়ে কোন মন্তব্য করবেন না 🙏

🛑 আসামে হিমন্ত বিশ্ব শর্মার 'Shot at Sight' নির্দেশ — ভারতের সংবিধানের সরাসরি লঙ্ঘন!
✒️ যখন মুখ্যমন্ত্রীর মুখে উঠে আসে বুলেটের ভাষা, তখন নীরবতা মানে অপরাধ।
২০২৫ সালের ধুবড়ি জেলার সাম্প্রদায়িক সহিংসতা — যা নিঃসন্দেহে দুঃখজনক ও নিন্দনীয় — তার মোকাবিলায় আসামের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা পুলিশকে মৌখিকভাবে “Shot at Sight”, অর্থাৎ দেখামাত্র গুলি চালানোর নির্দেশ দেন।
এই আদেশ কি একজন নির্বাচিত জনপ্রতিনিধির পক্ষ থেকে গ্রহণযোগ্য?
এটা কি শুধুই প্রশাসনিক ব্যবস্থা, নাকি সংবিধানের মেরুদণ্ড ভেঙে দেওয়ার এক উন্মত্ত ঘোষণা?

চলুন আমরা বিষয়টি খুঁটিয়ে দেখি ভারতের সংবিধানের দৃষ্টিকোণ থেকে।

⚖️ সংবিধানের প্রাসঙ্গিক অনুচ্ছেদসমূহ:
🔹 Article 14 — সমতার অধিকার (Right to Equality)
ভারতের প্রতিটি নাগরিক আইনের চোখে সমান। কিন্তু ‘Shot at Sight’ নীতি একটি পক্ষপাতদুষ্ট ও বৈষম্যমূলক আচরণ — যেখানে ব্যক্তি অপরাধী কি না তা বিচার না করেই তাকে লক্ষ্য করে গুলি চালানো যায়।
👉 এটি সরাসরি আইনের শাসনের নীতি ভঙ্গ করে এবং একধরনের বিচারবহির্ভূত ‘প্রতিক্রিয়াশীল শাস্তি’-কে অনুমোদন দেয়।

🔹 Article 21 — জীবন ও ব্যক্তিগত স্বাধীনতার অধিকার
এই অনুচ্ছেদ বলে:

“No person shall be deprived of his life or personal liberty except according to procedure established by law.”

একজন নাগরিককে গুলি করে হত্যা করা যায় শুধুমাত্র যখন তা আদালত নির্দেশ দেয় এবং সেই সিদ্ধান্ত সংবিধান সম্মত বিচার প্রক্রিয়ার মাধ্যমে হয়।
👉 মুখ্যমন্ত্রীর মুখে উচ্চারিত কোনো ‘মৌখিক হুকুম’ সংবিধানিক বা আইনি হতে পারে না।
👉 ‘Shot at Sight’ আদেশ সরাসরি Article 21-এর লঙ্ঘন।

🔹 Article 19(1)(a) — মত প্রকাশের স্বাধীনতা
সরকারের বিরুদ্ধে প্রশ্ন তোলা, প্রতিবাদ করা, অন্যায়ের বিরুদ্ধে লেখালেখি করা — এগুলো এই অনুচ্ছেদ দ্বারা সুরক্ষিত।
কিন্তু যখন সরকার “দেখামাত্র গুলি করো” ধরনের আদেশ দেয়, তখন সমাজে ভয়ের পরিবেশ সৃষ্টি হয় এবং সাধারণ মানুষ তাদের মৌলিক অধিকার প্রয়োগ করতে ভয় পায়।
👉 এটি এক ধরনের “chilling effect” — যেখানে সরকার ভয়ের বাতাবরণ তৈরি করে স্বাধীন মতকে দমন করে।

🔹 Article 22 — গ্রেফতার ও আটক সংক্রান্ত অধিকার
এই অনুচ্ছেদ বলে:

“No person who is arrested shall be detained without being informed of the grounds of arrest.”

কিন্তু ‘Shot at Sight’ আদেশে কোনো গ্রেফতারই হয় না, কোনো কারণও বলা হয় না — শুধু সরাসরি গুলি করে হত্যা করা হয়।
👉 এটি বিচারপ্রক্রিয়ার বাইরে গিয়ে জীবন কেড়ে নেওয়া, যা ভারতের আইনি ব্যবস্থার সম্পূর্ণ বিপরীত।

❗ 'Shot at Sight' = রাষ্ট্রীয় হত্যার লাইসেন্স!
এই সিদ্ধান্ত শুধুমাত্র সংবিধান নয়, আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সনদের বিরুদ্ধেও যায়।
👉 United Nations' Basic Principles on the Use of Force and Fi****ms by Law Enforcement Officials (1990) অনুযায়ী:

Law enforcement officials shall, as far as possible, apply non-violent means before resorting to the use of force and fi****ms.

‘Shot at Sight’ আদেশ এই নীতির সম্পূর্ণ বিপরীত।

🧠 এই সিদ্ধান্তের রাজনৈতিক উদ্দেশ্য কী হতে পারে?
১. সংখ্যালঘুদের দমন করা: সাম্প্রদায়িক উত্তেজনার সুযোগ নিয়ে নির্দিষ্ট সম্প্রদায়ের উপর নিশানা করা।
২. ভয়ের পরিবেশ তৈরি করা: যাতে মানুষ প্রতিবাদ না করে, চুপ থাকে।
৩. গণতন্ত্রকে দুর্বল করা: আইনের শাসনকে ভেঙে ব্যক্তিকেন্দ্রিক একনায়কতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করা।

✊ আমাদের দাবি:
🔸 হিমন্ত বিশ্ব শর্মাকে এই অসাংবিধানিক আদেশের জন্য প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে হবে
🔸 ভারতের সুপ্রিম কোর্টকে suo moto (স্বপ্রণোদিত) পদক্ষেপ নিতে হবে
🔸 জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের হস্তক্ষেপ প্রয়োজন
🔸 সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে
🔸 Assam Police যেন শুধুমাত্র আদালতের আদেশে কোনো প্রাণঘাতী ব্যবস্থা নেয়

🛑 গণতন্ত্রে গুলি নয়, সংলাপের জায়গা থাকা উচিত
“When the government gives police the power to kill without trial, it takes away our right to live with dignity.”

📢 এই ভয়ঙ্কর সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ান। আপনি ভারতীয় — আপনি সংবিধানপ্রাপ্ত নাগরিক। ভয় নয়, প্রশ্ন করুন। প্রতিবাদ করুন। গুলি নয়, গণতন্ত্র চাই। এই সাম্প্রদায়িক উস্কানিমূলক কাজের জন্য অতিসত্বর তদন্ত করে দোষীদের কঠোর থেকে কঠোরতম শাস্তি প্রদান করা হোক, তবে দোষিদেরকে শান্তি দেওয়া আইনের কাজ মুখ্যমন্ত্রীর নয় ।

10/06/2025

হিমন্ত বিশ্ব শর্মা: আসামের গদি দখলের পর যিনি বিভাজন, ভয়ের রাজনীতি এবং দুর্নীতিকে প্রতিষ্ঠা করেছেন
ভারতবর্ষের উত্তর-পূর্বাঞ্চল, বিশেষ করে অসম, বহু সংস্কৃতি, জাতি ও ধর্মের এক অপূর্ব সংমিশ্রণ। কিন্তু এই ঐতিহ্য আজ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে একজন মুখ্যমন্ত্রীর নেতৃত্বে, যিনি নিজের রাজনৈতিক উচ্চাকাঙ্ক্ষা পূরণ করতে গণতন্ত্র, সংবিধান ও মানবিক মূল্যবোধকে একে একে বিসর্জন দিচ্ছেন।

হিমন্ত বিশ্ব শর্মা, যিনি একসময় কংগ্রেসের শীর্ষ পর্যায়ের নেতা ছিলেন, আজ বিজেপির সবচেয়ে আগ্রাসী মুখ হয়ে উঠেছেন। মুখে উন্নয়নের কথা বললেও, বাস্তবে তার রাজনীতি ঘুরপাক খাচ্ছে হিন্দুত্ববাদ, বিভাজন, রাজনৈতিক প্রতিহিংসা এবং দুর্নীতির চারপাশে।

💸 ১. দুর্নীতির ছায়ায় মুখ্যমন্ত্রী
🔍 কোভিড PPE দুর্নীতির অভিযোগ
২০২১ সালে ভারতের অন্যতম আলোচিত কেলেঙ্কারি ছিল আসামে করোনা মহামারির সময় PPE কিট কেনা নিয়ে দুর্নীতি। অভিযোগ ছিল, হিমন্ত শর্মার স্ত্রীর কোম্পানি JCB Industries–কে কোনো টেন্ডার ছাড়াই সরকার বড় অঙ্কের চুক্তি দেয় PPE সরবরাহের জন্য। এই সংস্থা সরাসরি সরকারের কাছে কিট বিক্রি করে, অথচ পরে দাবি করা হয়—সেটা ‘দান’। প্রশ্ন হলো: দান যদি হয়ে থাকে, সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত ফাইলে বিল কেন তৈরি হয়েছিল?

এই কেলেঙ্কারি প্রমাণ করে যে প্রশাসনিক ক্ষমতা কীভাবে ব্যক্তিগত স্বার্থে ব্যবহার করা হয়েছে। এরপরও কোনও স্বাধীন তদন্ত হয়নি, কোনও জবাবদিহি হয়নি—এটাই প্রমাণ করে দুর্নীতির উপর কতটা রাজনৈতিক রক্ষাকবচ তৈরি করা হয়েছে।

🏗️ সরকারি প্রকল্পে স্বজনপোষণ
বিভিন্ন সরকারি নির্মাণ, স্বাস্থ্য পরিষেবা ও অবকাঠামোগত প্রকল্পে রাজনৈতিক ঘনিষ্ঠ ও আত্মীয়দের প্রতিষ্ঠানকে চুক্তি দেওয়া হচ্ছে বলে একাধিক রিপোর্টে উঠে এসেছে। সরকারি টাকায় ব্যবসায়িক স্বার্থ মেটানো আজ আসামের প্রশাসনিক সংস্কৃতির অংশ হয়ে উঠেছে।

🔥 ২. সাম্প্রদায়িক উস্কানি ও ঘৃণার রাজনীতি
🕌 সংখ্যালঘু মুসলিমদের বিরুদ্ধে ধারাবাহিক অপমানজনক মন্তব্য
হিমন্ত শর্মা অনেকবার প্রকাশ্যে মুসলিমদের বিরুদ্ধে অবমাননাকর, উস্কানিমূলক বক্তব্য রেখেছেন। উদাহরণস্বরূপ:

তিনি একাধিকবার বলেছেন: “মাদ্রাসা শিক্ষা বন্ধ করা উচিত”, “মুসলিমরা বহিরাগত”, ইত্যাদি।

'Love Jihad', 'গোরক্ষা', 'বোরকা নিষিদ্ধকরণ' ইত্যাদি বিষয়ে তিনি এমন ভাষায় কথা বলেন যা সরাসরি ধর্মীয় সম্প্রদায়কে নিশানা করে।

📄 NRC ও D-Voter অপব্যবহার
অসমে NRC তালিকায় বহু প্রকৃত ভারতীয় নাগরিকের নাম বাদ পড়েছে, বিশেষত দরিদ্র মুসলিম জনগোষ্ঠীর। যাদের ভোটাধিকার কেড়ে নেওয়া হয়েছে, জোর করে বিদেশি ট্রাইব্যুনালে পাঠানো হয়েছে, অথচ প্রশাসন বারবার এর পেছনে ‘জাতীয় নিরাপত্তা’ ছাড়াও কোনও মানবিক দৃষ্টিকোণ দেখাতে ব্যর্থ হয়েছে।

🚫 ৩. মতপ্রকাশের অধিকার ও বিরোধী কণ্ঠের দমন
📰 মিডিয়া ও সাংবাদিকদের দমন
হিমন্ত শর্মার শাসনে অসমে সাংবাদিকদের ওপরে নজরদারি, হুমকি, এমনকি মিথ্যা মামলায় গ্রেপ্তারের অভিযোগ রয়েছে। যারা সরকারের সমালোচনা করে, তাদের বিরুদ্ধে "আইনশৃঙ্খলা" লঙ্ঘনের অভিযোগ আনা হয়।

👨‍🎓 ছাত্র আন্দোলনের উপর আঘাত
CAA বিরোধী আন্দোলনে বহু ছাত্র নেতা ও নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিকে গ্রেপ্তার করা হয়। অসমের মতো শিক্ষিত রাজ্যে ছাত্র সমাজের কণ্ঠরোধ গণতন্ত্রের পক্ষে অত্যন্ত বিপজ্জনক সঙ্কেত।

🧠 ৪. গণতন্ত্রকে বিকৃত করার নতুন কৌশল
হিমন্ত বিশ্ব শর্মার শাসনের সবচেয়ে ভয়াবহ দিক হলো—তিনি জনগণকে এমন এক "জাতীয়তাবাদ"-এর গল্প শোনান, যা তাদের মূল সমস্যা ভুলিয়ে দেয়।

শিক্ষার মান নিম্নমুখী

সরকারি চাকরির সংখ্যা কমছে

কৃষকের আয় নেই

স্বাস্থ্য পরিকাঠামো দুর্বল

কিন্তু এই সব প্রকৃত সমস্যা থেকে মানুষের দৃষ্টি ঘোরাতে তিনি হিন্দু-মুসলিম বিভাজন, জাতীয়তাবাদী স্লোগান, এবং চরমপন্থী ভাষার আশ্রয় নেন।

⚖️ উপসংহার: সময় এসেছে প্রশ্ন করার
আমরা যদি মুখ বন্ধ রাখি, যদি কেবল "চকচকে উন্নয়ন" এর মোড়কে বাস্তব দুর্নীতি ও অবিচারকে আড়াল করি, তাহলে গণতন্ত্র মৃত হবে। হিমন্ত বিশ্ব শর্মার নেতৃত্বে আসাম ধীরে ধীরে একটি পুলিশি রাষ্ট্রে রূপ নিচ্ছে, যেখানে শুধু সরকার-বান্ধব লোকেরা নিরাপদ।

আমি একজন ভারতীয় নাগরিক হিসেবে, সংবিধানের ১৯(১)(a) ধারা অনুযায়ী, আমার মতপ্রকাশের অধিকার চর্চা করছি। কোনো ভয়, হুমকি বা রাজনৈতিক অপপ্রচারে এই অধিকার কেড়ে নেওয়া যাবে না।

আমার পোস্ট কোন ব্যক্তি ঘৃণা করে না, বরং একটি অন্যায়-ভিত্তিক শাসনের বিরুদ্ধে গণতান্ত্রিক প্রতিবাদ।


03/06/2025

People Who Do Not Learn From the Mistake Of History Are Doomed To Repeat It. ( ইতিহাসের ভূল থেকে যারা শিক্ষা নেয় না তাদেরকে আবার ইতিহাসের সেই ভুলটি পুনরায় করতে হয় ) মনে রাখবেন আজকের এই ভয়াবহ দিনগুলোতে মধ্য হাইলাকান্দির বিধায়ক জাকির হোসেনের ভুমিকা কেননা 2026এ আজকের এই বিভীষিকাময় দৃশ্য ইতিহাস হয়ে যাবে।

02/06/2025
30/05/2025

আপনারা যারা ২০২৬ বিধানসভা নির্বাচন নিয়ে এখন থেকে নিজের নিজের পছন্দের নেতাদের নাম নিয়ে সোসিয়াল মিডিয়াতে তোলপাড় সৃষ্টি করে দিয়েছেন তাদের উদ্দেশ্যে বলছি, বিশেষ করে আমাদের হাইলাকান্দির বিগত দিনের নির্বাচিত নেতাদের ব্যপারে একবার ভাবুন, উনাদের কাছ থেকে আমরা আজকে পর্যন্ত শুধু অপ্রয়োজনীয় ও অকথ্য ভাষায় কথাবার্তা ও এক দলের নেতা হয়েও একে অপরের প্রতি হিংসা নিন্দা ছাড়া আর কিছুই দেখতে পাইনি বলে মনে হচ্ছে,

কতদিন আগে আমাদের মধ্যে হাইলাকান্দির বিধায়ক জাকির হোসেন লস্কর সাহেবের আর দক্ষিণ হাইলাকান্দির বিধায়ক হাজী সুজাম উদ্দিন সাহেবের মধ্যে হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে কিছু কথাবার্তা শুনে যেন লাগলো যে কোন এমন পরিবারের দুটি বাচ্চা ছেলে কথা বলছে যাদেরকে তাদের মা বাবা কখনও কোন শিক্ষা দেয় নি আর আদর্শ শেখায়নি , আর উত্তর হাইলাকান্দীর বিধায়ক হাজী নিজাম উদ্দিন চৌধুরী সাহেব যদিও তাদের দুইজনের থেকে কম নয় কিন্তু হিন্দি ভাষায় উনি একদম পারফেক্ট 😆

আমার উনাদের সাথে কোন ব্যক্তিগত দুশমনি নেই আর আমি কখনও তাদের কাছে কোন কিছু চাইতে যাইনি আর ভবিষ্যতেও উনাদের কাছে কিছুর জন্য যেতে হবে এই আশাও নেই শুধু সত্যি বলতে হবে তাই এরকম বলতে বাধ্য।

যাইহোক আমিও একজন হাইলাকান্দিয়ান ও ওই সমাজ থেকে আমিও যেই সমাজের কথা উল্লেখ করলাম তাই আমার আপনাদের সবার প্রতি একটা আবেদন যে ২০২৬ এর নির্বাচনে যারাই প্রতিদ্বন্দ্বীতা করবেন সবাই যেন একসাথে সোসিয়াল মিডিয়াতে এসে Live Debate করে ও নিজের নিজের অতীতের সব সমাজের প্রতি অবদান জনসম্মুখে তুলে ধরতে হবে, তবেই আমরা সবাই সেটা নির্ণয় করতে পারবো যে আমাদের সমাজের কোন নেতার কতটুকু ভাষাগত যোগ্যতা আছে ও কার কাছে নেতৃত্ব দেওয়ার শক্তি কতটুকু আর কার হাত ধরে আমাদের সমাজকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারবো আমরা।
কমেন্ট করে নিজের মতামত জানাবেন ও শেয়ার করে অন্যকে মতামত দেওয়ার সুযোগ দিবেন।
ধন্যবাদ 🙏

27/05/2025

ময়ুর, এক অপরূপ সৌন্দর্যের প্রতীক। তার রঙিন পালক যেন প্রকৃতির নিজ হাতে আঁকা এক জীবন্ত চিত্রকর্ম। যখন সে নাচে বৃষ্টির ছোঁয়ায়, তার বিস্তার করা পাখায় দেখা যায় সৃষ্টির অপার বিস্ময়। ময়ুর আমাদের শেখায়, নিজের গুণ ও সৌন্দর্য লুকিয়ে না রেখে প্রকাশ করা উচিত—সাহসের সঙ্গে, আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে।

ময়ুরের মতো জীবনেও হোক আমাদের প্রতিটি পদক্ষেপ ছন্দময়, প্রতিটি মুহূর্ত রঙিন, আর প্রতিটি সংকটে মাথা উঁচু করে দাঁড়ানোর শক্তি।

নিজেকে ভালোবাসো, নিজের সৌন্দর্যকে সম্মান দাও,
কারণ তুমিও একজন ময়ুর—নিজস্ব মহিমায় অনন্য।

গতকাল সকালে এই ফটোটা আমার ক্যামেরা দিয়ে তোলা ফটো 🦚🌄

17/05/2025

ভারতে বন্ধ করতে হবে iPhone প্রোডাকশন, টিম কুককে ট্রাম্পের সতর্কবার্তা , যেই মোদী ট্রাম্পের কথায় উঠা বসা করেন আজকে ট্রাম্প সেই ভারতের বিরুদ্ধে।

Address

Hailakandi

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when The Sach posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share