18/04/2025
আজ একবিংশ শতাব্দীতে এসে সাক্ষী হলাম এক অভূতপূর্ব দৃশ্যের। স্থান, হাসিমারা হাই স্কুল, আমাদের সকলেরই প্রিয় বিদ্যালয়। আজকাল এই মডার্ন এডভান্স টেকনোলজি যুগে সবাই ব্যস্ত থাকে ডিজিটাল পেইন্টিং, ফটোগ্রাফিতে। ডিজিটাল পেইন্টিং, ফটোগ্রাফির নিখুঁত পরিবেশন সকলেরই মন কেড়ে নেয় এক ঝটিকায় । পুরাতন দিনের মা ঠাকুমাদের হাতের কাজ, সেলাই বুনাই, আঁকা আলপনা এসবই এযুগের ছেলে মেয়েদের কাছে গল্পকথা। যুগের সাথে সাথে পরিবর্তিত হয়েছে মা ঠাকুমারাও। তারাও আজকাল সময় বাঁচাতে স্টিকার নানা রকম ছবি দিয়ে ঘর সাজাতে পছন্দ করে। তবে আজ আমাদের বিদ্যালয় আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে আরেকটিবার সুযোগ করে দিয়েছে সকলকে সেই পুরাতনে ফিরে যাওয়ার জন্য। সুযোগ করে দিয়েছে রংগুলোকে নিজে হাতে ছুয়ে নিজের হাতে সাজানোর জন্য। সুযোগ নিজের কল্পনাকে নিজের আঁকা আলপনাতে ঢেলে দেবার জন্য। সুযোগ দিয়েছে রংয়ের গন্ধ ও সৌন্দর্যকে অনুভব করার। সেই সুযোগকেই লুফে নিতে হাজির দলে দলে প্রচুর পুরাতন ছাত্র-ছাত্রীরা। কেউবা মা ঠাকুমা থেকে অনুপ্রাণিত, কেউ বা নিজের মধ্যে আদি শিল্পসত্ত্বাকে বাঁচিয়ে রাখার কঠিন চেষ্টায় মত্ত।কেউবা সেই রঙের সৌন্দর্য গন্ধের নেশায় ছুটে এসেছে বিদ্যালয়ের প্রাঙ্গণে। সেই সুবাদে আমরাও সাক্ষী হলাম কিছু অপূর্ব কল্পনা চিত্রের যা আলপনার মধ্যে দিয়ে সকলের সামনে ফুটে উঠেছে। আমরা তো ছিলামই তবে যারা এই অভূতপূর্ব দৃশ্যের সাক্ষী হতে সশরীরে হাজির হতে পারেনি তাদের জন্য না হয় এই ডিজিটাল মাধ্যমই হয়ে উঠুক ডাক পিয়ন।