13/07/2025
কবিতার ভেলা
বর্ষামুখর এক দিনে কেটে গেল এক বর্ণময় স্বরণীয় মূহুর্ত। একটি নতুন পালক সংযোজিত হল দুই হাজার পঁচিশের জুলাই মাসের ১৩তম শুভক্ষণে। প্রকৃতির কোলে বিরাজমাম এ যেন এক সুসজ্জিত মঞ্চ, স্থান পেল শ্রদ্ধেয় কার্ত্তিক চন্দ্র পাল এবং তৃপ্তি পাল মহাশয়/মহাশয়ার নিজ বাসভবনে। আমন্ত্রিত স্বজনবন্ধুদের সাথী করে অংশ নিল কবিতার ভেলা। সূচনা হল তার ১৯ তম সংখ্যা এবং গপ্পো সপ্পো (পর্ব-৪) এর আনুষ্ঠানিক মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠান। উৎসব মুখর হয়ে উঠল সমগ্র পরিবেশ উদ্বোধনী সংগীতে - "আনন্দলোকে মঙ্গলালোকে..."। কণ্ঠ মেলালেন শিবানী চ্যাটার্জী, কার্ত্তিক চন্দ্র পাল, শিখা পোদ্দার এবং চঞ্চলা পাল। সংস্থার কর্ণধার প্রমতম সী রেখে গেলেন কবিতার ভেলার এক টুকরো স্মৃতি। প্রধান উপদেষ্টা অমরেন্দ্র নাথ পাল তুলে ধরলেন তার মূল্যবান সংযোজন। সভাপতি তুষার রঞ্জন মণ্ডল সুদুর জার্মানি থেকে মুঠোফোনে পৌঁছে দিলেন এক আকাশ ফুলেল শুভেচ্ছা। সমগ্র পরিবেশ হয়ে উঠল আনন্দময়। বাতাসে ভেসে আসছিল বাগান থেকে বেল ফুলের-জুঁই ফুলের সুবাস। প্রকাশিত হয় কবিতার ভেলার রথযাত্রা সংখ্যা ১৪৩২ এবং প্রমতম সী সম্পাদিত গপ্পো সপ্পো (পর্ব-৪)। পরক্ষনেই কবিতার ডালি নিয়ে ঝাঁকে ঝাঁকে পাড়ি দিল এক দল সৃজনশীল মনন- দেবাশীষ রায়, ফটিক চন্দ্র বিশ্বাস, শিবানী চ্যাটার্জী, তৃপ্তি পাল, সোমা কর প্রমুখ। ছন্দের বৈতরণী পার করে গল্পের সাগরে ডুব দিল আরেক সৃজনশীল মনন- চঞ্চলা পাল। এরপর ডানা মেলে ধরল সুর, চেনা এক কণ্ঠে- কার্ত্তিক চন্দ্র পাল। সাহিত্য ও সংস্কৃতির অঙ্গনে উদয় হল আরেক প্রতিভাবান স্বজন বন্ধুর। হরি সাধন শিকারী তুলে ধরলেন যোগব্যায়ামের সুফল গুলি। মূল্যবান বক্তব্য রাখেন দুই স্বজন বন্ধু সীতেশ চন্দ্র পাল এবং প্রদীপ পাল। ঝমঝমে বৃষ্টি আর এক কাপ গরম চা এর এক অনবদ্য মেলবন্ধন আর তার মাঝে এহেন আনন্দময় এক স্মৃতি ফ্রেমবন্দী হল নামী দামী সব মুঠোফোনে। আর সে সব গাঁথা থাকল প্রতিটি হৃদয়ের কোনে, মনের মনিকোঠায়। অমরেন্দ্র নাথ পাল মহাশয় সমাপ্তি ভাষনের মধ্য দিয়ে বার্তা দিলেন আগামী অনুষ্ঠানের শুভ সূচনা। নিষ্ঠা এবং ধৈর্য্য রেখাপাত করল সমগ্র উপস্থাপনায়। সংযোজনে প্রমতম সী'র কথা ও কবিতা।